আসন্ন লোকসভা ভোটের মুখে হিংসা অব্যাহত বঙ্গে। মানসিক ভারসাম্যহীন বৃদ্ধ ঠাকুরদাকে মারধরের হাত থেকে বাঁচাতে গিয়ে কংগ্রেস প্রধানের স্বামী সহ ২ ভাইকে হাঁসুয়া দিয়ে কুপিয়ে খুনের চেষ্টার অভিযোগ। কাঠগড়ায় তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা। শুক্রবার সকালে ঘটনাটি ঘটে, মালদা সিলামপুর ২ গ্রাম পঞ্চায়েতের বাহাদুরপুর এলাকায়। অভিযোগ, পঞ্চায়েত প্রধান ফিরোজা খাতুনের মানসিক ভারসাম্যহীন বৃদ্ধ ঠাকুরদাকে বেধড়ক মারধর করে তৃণমূল কর্মী জাহাঙ্গীর শেখ, জলিল শেখ, মুকুলেশ্বর রহমানরা। ঘটনার প্রতিবাদ করায় শুক্রবার সকালে পঞ্চায়েত প্রধান ফিরোজা খাতুনের বাড়িতে পাল্টা হামলা চালায় তৃণমূলী দুষ্কৃতীরা। প্রথমেই হাঁসুয়া দিয়ে প্রধানের স্বামী নাসিরুদ্দিন শেখের উপর কুপিয়ে খুনের চেষ্টা করা হয়। নাসিরুদ্দিনের দুই ভাই বাধা দেওয়ায় তাঁদেরও মারধর করা হয় বলে অভিযোগ।
যদিও তৃণমূলের দাবি এটা কোনও রাজনৈতিক বিবাদ নয়। বর্তমানে গুরুতর জখম তিনজন চিকিৎসাধীন মালদা মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে। অন্যদিকে, এই ঘটনায় হামলাকারী মুকুলেশ্বর রহমান, জাহাঙ্গীর শেখ, জলিল শেখ সহ অন্যান্যদের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন কংগ্রেস পঞ্চায়েত প্রধান ফিরোজা খাতুন। লিখিত অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্তে নেমেছে কালিয়াচক থানার পুলিস।
রবিবার রাত ১১-১২ টার দিকে তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের জেরে ধুন্ধুমার কাণ্ড বাঁধে বৌবাজারের নবীন চাঁদ বড়াল লেনে। হঠাৎই কিছু বহিরাগত এসে হামলা চালায়। একের পর এক বাইক, পার্কিং-এ দাঁড়ানো গাড়িতে ভাঙচুর চালায়। মহিলাদেরকেও মারধর করা হয়। পাড়ার লোকজনের বাড়িতে কাঁচের বোতল, থান ইট ছোড়া হয়। এরপরেই শুরু হয় স্থানীয়দের বিক্ষোভ। চূড়ান্ত অশান্ত হয়ে ওঠে নবীন চাঁদ বড়াল লেন।
সমগ্র ঘটনায় অভিযোগের তীর ৪৮ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর বিশ্বরূপ দে-র দিকেই। এমনকি, তিনি বিভিন্ন তামাক, মাদক দ্রব্যের ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত দাবি করে তাঁর চরিত্র নিয়ে বিস্ফোরক মন্তব্য করেন স্থানীয় বাসিন্দারা।
যদিও, ঘটনা সম্পর্কে কিছুই জানেন না। খোঁজ নিয়ে দেখবেন। জানিয়ে দায় এড়িয়ে গেলেন ৪৮ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর বিশ্বরূপ দে।
মূলত, তৃণমূলের দুই গোষ্ঠীর মধ্যেকার দ্বন্দ্বই রবিবার রাতের এই ঘটনার মূল কারণ। জানা যাচ্ছে, নয়না বন্দ্যোপাধ্যায়ের অনুগামী বনাম বিশ্বরূপ দের অনুগামীদের মধ্যেই এই ঝামেলা হয়। তবে, উল্লেখযোগ্যভাবে এই ঘটনায় পুলিসি ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। অভিযোগ, পুলিস সামনে থাকলেও ঝামেলা আটকাতে কোনও সক্রিয়তা দেখায়নি পুলিস। তবে কি, কোনও বিশেষ স্বার্থ সিদ্ধিতেই পুলিসের নিশ্চুপ ভূমিকা? প্রশ্ন তুলছে বিরোধী মহল। সবটাই টাকার খেলা, মন্তব্য বিজেপি নেতা সজল ঘোষের।
আরাবুল ইসলামকে গ্রেফতারের পরদিনই রীতিমতো উত্তপ্ত হয়ে উঠল ভাঙড়। একদিকে যেমন উদ্ধার হয়েছে তাজা বোমা, অন্যদিকে দলীয় পতাকা লাগানোকে কেন্দ্র করে আইএসএফ এবং তৃণমূল কর্মীরা বচসায় জড়িয়ে পড়েন। আর তা রীতিমতো সংঘর্ষে পৌঁছয়। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যায় উওর কাশীপুর থানার পুলিস। পরিস্থিতি সামাল দিতে পুলিসকে লাঠিচার্জ করতে হয় বলে অভিযোগ।
জানা গিয়েছে, ঘটনায় আহত হয়েছেন বেশ কয়েকজন তৃণমূল কর্মী। শুক্রবার সকালে তৃণমূল ও আইএসএফ সংঘর্ষে উত্তপ্ত হয় ভাঙরের কোচপুকুর এলাকা। অভিযোগ, তৃণমূল কংগ্রেস কর্মীরা ফেস্টুন ব্যানার লাগাচ্ছিলেন এলাকায়। আর তা কেন্দ্র করে আইএসএফ কর্মীদের সঙ্গে বচসা শুরু হয়। পরবর্তীতে বচসা পৌঁছয় হাতাহাতিতে। এই মুহূর্তে তৃণমূল কংগ্রেস সমর্থকদের পক্ষ থেকে উত্তর কাশীপুর থানায় অভিযোগ জানানো হয়েছে।
উল্লেখ্য, কোচপুকুরে সংঘর্ষের ঘটনায় আহতদের জিরানগাছা প্রাথমিক হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। তবে এঁদের মধ্যে দুজনের অবস্থার অবনতি হওয়ায় কলকাতায় রেফার করে দেয় চিকিৎসকেরা।
পুলিস কর্মীর বাড়ির সামনের রাস্তা আটকে প্রাচীর তুলে দেওয়ার অভিযোগ প্রতিবেশীদের বিরুদ্ধে। যার ফলে গৃহবন্দী হয়ে পড়েছেন ওই পুলিসকর্মীর পরিবার। অভিযোগ, দীর্ঘ তিন মাস ধরে গৃহবন্দী হয়ে রয়েছে ওই পরিবারটি। জানা গিয়েছে, বেঙ্গল পুলিসে কর্মরত কৃষাণু বিশ্বাস তিনি যাতায়াতের রাস্তার জন্য একাধিকবার প্রশাসনের দ্বারস্থ হয়েছিলেন। এমনকি রানাঘাট মহাকুমা আদালত থেকে ১৪৭ ধারা জারি করা হয়েছিল ওই রাস্তার উপর।
অভিযোগ, আদালতের নির্দেশিকা ছাড়াই রাস্তার উপরেই প্রাচীর তুলে দেন প্রতিবেশীরা। ওই পুলিস কর্মীর অভিযোগ, শাসকদলের মদতেই এই কাজ করেছেন প্রতিবেশীরা। তারপর প্রশাসন থেকে স্থানীয় পঞ্চায়েত প্রশাসনের কাছে গেলেও মেলেনি সুরাহা। অবশেষে নিজের পরিবারকে বাঁচাতে এবং গৃহবন্দী অবস্থা থেকে মুক্তি পেতে শুক্রবার বাদকুল্লা দুই নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের সামনে ইউনিফর্ম পড়ে প্লাকার্ড হাতে ধরনায় বসেন ওই পুলিসকর্মী।
এরপর ধরনায় বসার খবর চাউর হতেই ঘটনাস্থলে যায় বাদকুল্লা ফাঁড়ির পুলিস। এখন প্রশ্ন উঠছে নিরাপত্তা ও প্রশাসনের সহযোগিতা নিয়ে। কারণ একজন পুলিসকর্মী হয়েও পাচ্ছেন না নিরাপত্তা, পাচ্ছেন না প্রশাসনের সহযোগিতা। তাহলে সাধারণ মানুষ কিভাবে সেই নিরাপত্তা পাবে এটা নিয়ে বারংবার উঠছে প্রশ্ন। লিখিতভাবে প্রশাসনকে জানিও কেন ব্যবস্থা গ্রহণ করা হলো না?
জয়নগর, আমডাঙার পর এবার গোসাবা (Gosaba)। রাস্তা নিম্নমানের হওয়ায় প্রতিবাদ করতে যাওয়ায় লোহার রড দিয়ে মেরে তৃণমূলের বুথ সভাপতিকে খুনের অভিযোগ উঠল দলেরই একাংশের বিরুদ্ধে। ঘটনাটি দক্ষিণ ২৪ পরগনার গোসাবা ব্লকের রাধানগর এলাকার। পরিবারের দাবি, গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের জেরেই এই খুন। জানা গিয়েছে, ঘটনায় মূল অভিযুক্ত বাকিবুল মোল্লা, আজিজুল মোল্লা, আহম্মদ মোল্লা। মোট ১৯ জনের নামে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। এখনও পর্যন্ত ৪ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। মূল অভিযুক্তরা ঘটনার পর থেকেই পলাতক। মূল অভিযুক্তরা বিধায়ক ঘনিষ্ঠ হওয়ায় গ্রেফতার না করায় পুলিসের বিরুদ্ধে নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগ উঠছে। ঘটনাকে কেন্দ্র করে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে রাধানগর এলাকায়।
জানা গিয়েছে, নিহত তৃণমূল বুথ সভাপতির নাম মুছাকলি মোল্লা। পথশ্রী প্রকল্পের রাস্তায় নিম্নমানের সামগ্রীর ব্যবহার এবং যে পরিমাণ ঢালাই দেওয়ার কথা ছিল, তা না দেওয়ার প্রতিবাদ করতে গিয়ে ঘটনার সূত্রপাত বলে প্রাথমিকভাবে জানা যাচ্ছে। অভিযোগ, লোহার রড দিয়ে বেধড়ক মারধর করা হয় মুছা আলিকে। এর পর আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাঁকে প্রথমে গোসাবা হাসপাতালে ও পরে কলকাতার এসএসকেএম হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানেই চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। ইতিমধ্যেই দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তে পাঠিয়েছে পুলিস। তৃণমূল বুথ সভাপতি খুনে চার অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছে সুন্দরবন কোস্টাল থানার পুলিস ও তাদের আজই আলিপুর আদালতে তোলা হবে।
জানা গিয়েছে, গোসাবার বিধায়ক সুব্রত মণ্ডলের সঙ্গে প্রাক্তন বিধায়কের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব। তার জেরেই এই খুন বলে দাবি। ঘটনার মূল অভিযুক্ত বাকিবুল মোল্লা, আজিজুল মোল্লা, আহম্মদ মোল্লা। এরা তিন ভাই। মূল অভিযুক্ত বাকিবুল বিধায়ক ঘনিষ্ঠ। তার নেতৃত্বেই মুছাকালি মোল্লার ওপর হামলা করা হয়েছে ও বেধড়ক মারধর করে খুন করা হয়েছে। বিধায়ক ঘনিষ্ঠ হওয়ায় মূল অভিযুক্তদের গ্রেফতার করা হচ্ছে না বলে দাবি প্রাক্তন বিধায়কের। এমনকি তাঁর নির্দেশেই অভিযুক্তদের ধরছে না পুলিস। এমন অভিযোগ এলাকার প্রাক্তন প্রধানের।
যুবক খুনের প্রতিবাদে নতুন করে উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে এলাকা। অভিযুক্তকে এবারে হাতেনাতে পেতেই বেধড়ক মার স্থানীয়দের। রবিবার সকাল থেকে রাস্তা অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন স্থানীয়রা। বিধাননগর দক্ষিণ থানার পুলিসকে ঘিরে বিক্ষোভও দেখানো হয়। এর পরই বিক্ষোভস্থলে যান বিধানননগর কমিশনারেটের পুলিস কমিশনার গৌরব শর্মা। কিন্তু পরে পুলিসের সামনেই অভিযুক্তকে মারধর করে উত্তেজিত জনতা।
শনিবার রাত ১:৩০টা নাগাদ বিধান নগর দক্ষিণ থানা এলাকার চিংড়িঘাটার বাসন্তী দেবী কলোনিতে সাইফ আলি সরকার নামে এক যুবককে কাঁচি দিয়ে খুন করার অভিযোগ উঠেছে। অভিযুক্ত যুবকের নাম বিট্টু সর্দার। শনিবার রাতের ঘটনার পর অভিযুক্ত সেখান থেকে পালিয়ে গেলেও রবিবার সকালেই তাকে খুঁজে পায় স্থানীয়রা। এর পর তাকে পেতেই শুরু হয় গণপিটুনি। যে যা সামনে পেয়েছে, তাই দিয়েই মারধর করেছেন স্থানীয়রা। এর পর অভিযুক্তকে উদ্ধার করে পুলিসি পাহারায় হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
সূত্রের খবর, অভিযুক্ত বিট্টু সর্দারকে বিধাননগর মহকুমা হাসপাতাল থেকে ক্রিটিক্যাল কন্ডিশনে আর জি কর হাসপাতালে ট্রান্সফার করা হলো। আরজি কর ট্রমা কেয়ারে ইতিমধ্যে ভর্তি রয়েছে। পাশাপাশি তার যাবতীয় শারীরিক চিকিৎসা এবং টেস্ট চলছে।
ডেঙ্গির বাড়বাড়ন্ত, এ অবস্থায় স্বাস্থ্য ভবনে গিয়ে পুলিসের বাধার মুখে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। এ অবস্থায় বিজেপি বিধায়করা পুলিসের সঙ্গে ধস্তাধস্তিতে জড়িয়ে পড়েন। ধস্তাধস্তি বেধে যায় বিরোধী দলনেতার সঙ্গেও।
সূত্রের খবর, এর আগে ডেঙ্গি পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনার জন্য মুখ্যমন্ত্রীর অনুপস্থিতিতে মুখ্যসচিবের সঙ্গে দেখা করার জন্য সময় চেয়েছিলেন। তবে মুখ্যসচিব অনুপস্থিত থাকায় দেখা হয়নি। এরপর আজ হঠাৎই স্বাস্থ্য ভবনে বিজেপি বিধায়কদের সঙ্গে নিয়ে হাজির হন বিরোধী দলনেতা। ভিতরে ঢুকতে চান তিনি। অভিযোগ, স্বাস্থ্যভবনের নিরাপত্তারক্ষী ও পুলিসকর্মীরা তাঁকে ভিতরে যাওয়ার অনুমতি দেননি। তখনই শুরু হয় ধস্তাধস্তি। বেধে যায় ধুন্ধুমার কাণ্ড। পুলিসকর্মীদের সঙ্গে বাকযুদ্ধে জড়ান শুভেন্দু।
বিরোধী দলনেতা বলেন, “স্বাস্থ্য ভবন কি তৃণমূলের পৈত্রিক সম্পত্তি? এখানে ২০-২২ জন বিধায়ক আর বিরোধী দলনেতাকে ঢুকতে দেওয়া হচ্ছে না। তৃণমূল আসার আগে এ বাড়ি হয়েছে। আর যাঁরা ভিতরে রয়েছে তাঁরা ট্যাক্সের টাকায় বেতন পান।” শুভেন্দু অভিযোগ করে বলেন, “ছোট শিশু মারা যাচ্ছে। সদ্যজাত মারা যাচ্ছে। প্রসূতি মা মারা যাচ্ছে। ভয়ঙ্কর পরিস্থিতি। হাসপাতালে বেড নেই। প্রাইভেট নার্সিংহোমে নো-এন্ট্রি বোর্ড লাগানো হয়েছে।
'ট্রেনে ও স্টেশনে তাঁদের জিনিসপত্র বিক্রি করতে দিতে হবে,' এই দাবি নিয়ে বিক্ষোভে নেমেছিলেন হাওড়ার হকার্স সংগঠন। এরপরেই ওই বিক্ষোভ তুলতে এলে আরপিএফ ও হকারদের তুমুল সংঘর্ষ শুরু হয়। এরপরে বিশাল রেল পুলিশ বাহিনী ঘটনাস্থলে এসে পরিস্থিতি সামাল দেয়।
সূত্রের খবর, এদিন হাওড়া স্টেশনের ৫ নম্বর প্লাটফর্মের কাছে প্রতীকী অবস্থানে বসেন হকাররা। হাতে সংগঠনের পতাকা নিয়ে চলতে থাকে বিক্ষোভ। এরপর রেল পুলিশ হকারদের ঘিরে ধস্তাধস্তি শুরু হয়। লাঠিচার্জ করা হয় বলেও অভিযোগ। চরম বিশৃঙ্খলা তৈরি হয় গোটা স্টেশন চত্বরে। হয়রানির শিকার হন নিত্যযাত্রীরা। বিগত কয়েকদিন ধরেই একই দাবি নিয়ে স্টেশনে বিক্ষোভ দেখাতে দেখা যায় হকারদের। দু’দিন আগে কোন্নগর স্টেশনে একটি বিক্ষোভ হয়। এদিন তার আঁচ এসে পড়ে হাওড়া স্টেশনেও।
কলকাতা পুরসভায় তৃণমূল ও বিজেপি দুই পক্ষের কাউন্সিলদের মধ্যে তীব্র বচসা। যার যারে হাতাহাতি শুরু হয় কলকাতা পৌরসভায়। সূত্রের খবর, কলকাতা পুরসভার চেয়ারম্যান মালা রায়ের একটি বক্তব্যের প্রতিবাদ করে বিজেপি কাউন্সিলর সজল ঘোষ ও বিজয় ওঝা। এরপরই তৃণমূল ও বিজেপির কাউন্সিলরদের মধ্যে হাতাহাতি শুরু হয়। মারধর করা হয় বিজেপি কাউন্সিলর সজল ঘোষকে।
সম্প্রতি কলকাতা পুরসভায় বিজেপি কাউন্সিলররের বাড়ি ভাঙা নিয়ে বিতর্ক শুরু হয়, যার পরে তৃণমূল ও বিজেপি কাউন্সিলর, দুই পক্ষের মধ্যে হাতাহাতি শুরু হয়। সেবার সজল ঘোষ মুখ্য ভূমিকা পালন করে। এবং বিজেপি কাউন্সিলরের নির্মাণ ভাঙা নিয়ে সেসময় সজল ঘোষের বক্তব্যের প্রতিবাদ করে বিজেপি কাউন্সিলরদের উপর চড়াও হয় তৃণমূল কাউন্সিলররা।
মদ্যপান করা নিয়ে সংঘর্ষে তৃণমূলের দুই গোষ্ঠী দ্বন্দ্ব। এই ঘটনায় এক পক্ষের বিরুদ্ধে তৃণমূল কার্যালয়ে ভাঙচুরের অভিযোগ উঠেছে। এই ঘটনা ঘিরে ব্যাপক উত্তেজনা ছড়িয়েছে ওই এলাকায়। সূত্রের খবর, সোমবার সকালে এই ঘটনার খবর পেয়ে খড়দহ থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে পৌঁছায়। এ ঘটনায় এখনও পর্যন্ত কাউকে গ্রেফতার করা না হলেও, দুই পক্ষই একে অপরের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দায়ের করেছে।
সূত্রের খবর, পানিহাটি পৌরসভার ১০ নম্বর ওয়ার্ডের জয় প্রকাশ কলোনি এলাকায় মদ্যপানের প্রতিবাদ করায় তৃণমূলের দুই গোষ্ঠীর সংঘর্ষে উত্তপ্ত হয়ে উঠল এলাকা। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই ওয়ার্ডের পুরপিতা প্রবীর মজুমদারের সঙ্গে দীর্ঘদিন ধরেই বিবাদ রয়েছে পশ্চিম পানিহাটি শহর তৃণমূল কংগ্রেসের সহ-সভাপতি প্রবীর দের। অভিযোগ, তৃণমূল কার্যালয়ের সামনে বসে মদ্যপান করছিলেন পুরপিতার অনুগামীরা। সেই মদ্যপানের প্রতিবাদ দীর্ঘদিন ধরে করছিল তৃণমূল নেতা প্রবীর দে ও তাঁর দলবল।
এ দিন মদ্যপানের প্রতিবাদ করায় পুরপিতা প্রবীর মজুমদারের অনুগামীরা তৃণমূল কার্যালয়ের ভিতরে ব্যাপক ভাঙচুর চালায় বলে অভিযোগ। কার্যালয়ের ভেতরে চেয়ার টেবিল থেকে শুরু করে টিভি ভাঙচুর করা হয় বলে অভিযোগ। ঘটনাকে কেন্দ্র করে ব্যাপক উত্তেজনা তৈরি হয় এলাকায়।অভিযোগ বেলঘড়িয়া অ্যাসিস্ট্যান্ট পুলিশ কমিশনারের অফিসের সামনেই চলে এই ভাঙচুরের ঘটনা। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসে খড়দহ থানার বিশাল পুলিশবাহিনী।
এখনও মণিপুরের (Manipur) পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসেনি। বরং নতুন করে ফের উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে মণিপুর। ফলে নিজের জায়গার এমন পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন প্রাক্তন বিশ্বচ্যাম্পিয়ন বক্সার মেরি কম (Mary Kom)। এই আবহে দেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহকে (Amit Shah) চিঠি লিখলেন তিনি। তাঁর 'কম' গ্রামকে বাঁচাতে বিশেষ পদক্ষেপ নিতে অমিত শাহের কাছে আবেদন করলেন রাজ্যসভার প্রাক্তন সদস্য।
সূত্রের খবর, বৃহস্পতিবার মণিপুরের বিষ্ণপুর এবং চাঁদচূড়াপুরে ফের মেইতেই এবং কুকি সম্প্রদায়ের মধ্যে বিবাদ শুরু হয়। এই সংঘর্ষে ৮ জনের মৃত্যুর পাশাপাশি ১৮ জন আহত হন বলে খবর। এর পরই ফের উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন মেরি কম। মণিপুরের স্বীকৃত ৩৫টি উপজাতির অন্যতম হল 'কম'। মেরি সেই উপজাতি ভুক্ত। ফলে তিনি অমিত শাহকে চিঠি লিখে জানিয়েছেন, মণিপুরের কুকি ও মেইতেই সম্প্রদায়ের সংঘর্ষের কারণে ভীষণভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে কম উপজাতির মানুষ। অথচ তাঁরা এই সংঘর্ষের সঙ্গে জড়িত নয়। অথচ অনবরত হিংসায় তাঁদের জীবন দুর্বিষহ হয়ে উঠেছে।
তাই বৃহস্পতিবার শাহকে চিঠি দিয়ে অবিলম্বে মণিপুরের হিংসা বন্ধ করতে পদক্ষেপ করার আর্জি জানিয়েছেন মেরি কম। সাধারণ মানুষের নিরাপত্তার জন্য কমদের গ্রামগুলিতে পর্যাপ্ত নিরাপত্তা রক্ষী মোতায়েনের অনুরোধ করেছেন প্রাক্তন সাংসদ।
মণিপুরে অশান্তি যেন থামার নাম করছে না। আবার নতুন করে উত্তপ্ত উত্তর পূর্বের এই রাজ্য। নিরাপত্তা বাহিনীর সঙ্গে মেইতেই মহিলাদের সংঘর্ষে আহত অন্তত ১৭ জন। জানা গিয়েছে, বৃহস্পতিবার সকালে ব্যারিকেড ভাঙতে যায় মেইতেই জনগোষ্ঠীর মহিলারা তাঁদের বাধা দেয় অসম রাইফেলস এবং র্যাফ। সেখান থেকেই অশান্তির সূত্রপাত। সংঘর্ষে ইটবৃষ্টি শুরু করে উত্তেজিত জনতা।
একই জেলার কাংভাই এবং ফউগাকচাও-এ পরিস্থিতি আয়ত্তে আনতে ছোঁড়া হয় কাঁদানে গ্যাস। উল্লেখ্য, গত ৪ মে রাজধানী ইম্ফল থেকে ৩৫ কিলোমিটার দূরে কাংপোকপি জেলায় দুই মহিলাকে গণধর্ষণ করার অভিযোগ ওঠে। এরপর তাঁদের বিবস্ত্র করে হাঁটানো হয় বলে অভিযোগ। ঘটনার ভিডিও প্রকাশ্যে আসতেই তোলপাড় হয় গোটা দেশ। এমনকী প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীও ঘটনার নিন্দা করে। এছাড়া কুকি ও মেইতেই সংঘর্ষের জের এখনও অব্যাহত।
জীবজগতে মানুষ হল শ্রেষ্ঠ জীব। কখনো প্রতিকূলতার সঙ্গে সে যুদ্ধ করতে করতে এগিয়েছে আবার কৌশলগত বুদ্ধির প্রয়োগেও কখনো সে এগিয়েছে। এগোনোর পেছনে আছে অনেক রক্তপাত, হিংসা, মারামারি, দলাদলি। আমরা সবাই জানি মানুষের মধ্যে আছে দুটো শক্তি, একটা শুভশক্তি আর একটা পশুশক্তি বা একটা দেবত্ব শক্তি, অন্যটা আসুরিক শক্তি। এই দুই শক্তির সমন্বয়ে মানুষের মধ্যে নিরন্তর দ্বন্দ্ব।
এদিকে মানুষের সভ্যতা ধীরে ধীরে এগিয়েছে। পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে, বিভিন্ন সময়ে জন্ম নিয়েছেন অনেক মহৎপ্রাণ মহাপুরুষ। তারা বোঝালেন মানুষের ধর্ম কী, বেঁচে থাকার সার্থকতা কোথায়! দেখতে দেখতে জগতে এলো- সনাতন হিন্দু ধর্ম, বৌদ্ধ ধর্ম, জৈন ধর্ম, ইসলাম ধর্ম। সব ধর্মের মূল কথা প্রেম। কিন্তু ধর্মের মূল বাণীটা মানুষ ভুলে গেল। সেখানে এলো ধর্মীয় গোঁড়ামি, হিংসা, মারামারি, কাটাকাটি। এর ফলে আমরা দেখতে পেলাম, ধর্মে ধর্মে, সম্প্রদায়ে সম্প্রদায়ে বাঁধলো সংঘাত। প্রকৃত ধর্মের মূল সত্যকে জানার বদলে প্রকাশ পেল স্বার্থচিন্তা। ফলে মানুষ ভুলে গেল প্রেম ও মৈত্রীর কথা। পরিবর্তে এলো রক্তপাত ও দাঙ্গা। ব্যক্তিগত প্রাপ্তিকে মানুষ বড় করে দেখলো। ধর্মকে মানুষ ক্ষুদ্র স্বার্থসিদ্ধির উপকরণ হিসেবে ব্যবহার করলো। অন্যদিকে কিছু মানুষ রাজনৈতিক উদ্দেশ্যসাধনের হাতিয়ার করলো।
আসলে একটা কথা বুঝতে হবে ঠান্ডা মাথায়, মানুষ কিন্তু মানব ধর্মের দিকে তপস্যা করতে বলছে, সেখানেই মানুষ সর্বজনীন। তাই তো মানুষ নিজের আত্মার মধ্যে অন্যের আত্মাকে, অন্যের আত্মার মধ্যে নিজের আত্মাকে জানে। যে জানে, সেই সত্যকে জানে। এই সত্যই হলো মানবধর্ম। এজন্যই 'সবার উপর মানুষ সত্য, তাহার উপরে নাই।' এই ধর্মে রয়েছে অপার ধৈর্যশক্তি, মানুষের প্রতি অকৃত্রিম ভালবাসা। যে ধর্মের মধ্যে সহনশীলতা আছে, শান্তির কথা আছে, সেই ধর্মই মানুষের ধর্ম। এই ধর্মেই একমাত্র মানুষ নির্মল নিঃশ্বাস পেতে পারে।
মালদহে বিজেপি কর্মীর মৃত্যুর প্রতিবাদে বিক্ষোভ। গতকাল বিজেপি কর্মীর স্ত্রী ওই থানার আইসির পায়ে পড়লেও আজ অর্থাৎ সোমবার রণমূর্তি ওই এলাকার বিজেপি মহিলা কর্মীদের। সূত্রের খবর, নালাগোলা ফাঁড়ি ঘেরাও করে বিক্ষোভ করেন বিজেপি কর্মী সমর্থকরা। পুলিস ফাঁড়ি ভাঙচুর, পুলিসকে ঝাঁটা নিয়ে তাড়া করেন বিজেপি কর্মী সমর্থকরা। ঘটনায় এলাকায় উত্তেজনা তৈরি হয়েছে।
রবিবার সকালে নালাগোলা এলাকায় ঘর থেকে ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয় বুরান মুর্মু নামে এক বিজেপি কর্মীর। তৃণমূলের মদতে এই খুন হয়েছে বলে অভিযোগ তোলে স্থানীয় বিজেপি। রবিবারই গভীর রাতে ছেলে বিপ্লব মুর্মু ও তাঁর স্ত্রী শর্মিলাকে গ্রেফতার করে পুলিস। এছাড়া এ ঘটনায় বাকি অভিযুক্তদের গ্রেফতারির দাবিতে বিক্ষোভ করেন বিজেপি কর্মী সমর্থকরা।
স্থানীয় সূত্রে খবর, ওই এলাকার বিজেপি কর্মী বুরণ। তাঁর পুত্রবধূ শর্মিলা তৃণমূলের প্রার্থী পদে দাঁড়িয়েছিলেন। কিন্তু হেরে যান। বাবার কারণে তিনি হেরেছেন এই অভিযোগ তুলে বুরণের সঙ্গে প্রায়শই ঝামেলা করত তাঁর ছেলে বিপ্লব। অভিযোগ, সেকারণেই বুরণের ছেলে বুরণকে খুন করেছে। যদিও প্রাথমিক তদন্তের পর পুলিসের দাবি, বুরণের শরীরে আঘাত চিন্হ রয়েছে। ময়নাতদন্তের পরই সবটা পরিষ্কার হবে।
গ্রামের একমাত্র পানীয় জলের (Water) কল ভেঙে দেওয়ার অভিযোগ তৃণমূলের বিরুদ্ধে। অভিযোগ, বারাসত বুথ বিজেপি দখল করার ক্ষোভে প্রতিবাদ জানাতে এইরকম ঘটনা ঘটিয়েছে তৃণমূল কর্মীরা। ঘটনাটি ঘটেছে বাঁকুড়ার (Bankura) পাত্রসায়ের ব্লকের নারায়নপুর গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায়। যদিও বিষয়টি জানা নেই বলে দায় এড়িয়েছে শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস।
গ্রামবাসীদের দাবী, রাতের অন্ধকারে তৃণমূলের লোকেরা গ্রামে থাকা একটি মাত্র পানীয় জলের কল ভেঙে দিয়েছে। তবে হঠাৎ কেন এই পানীয় জলের কল ভেঙ্গে দেওয়া হয় এ বিষয়ে গ্রামবাসীরা প্রশ্নের উত্তরে বলেন, বারাসত বুথ বিজেপি দখল করেছে এবং তারই প্রতিবাদ জানিয়ে তৃণমূল কর্মীরা রাতের অন্ধকারে গ্রামের একমাত্র পানীয় জলের কলটি ভেঙে দেয় বলে অভিযোগ উঠছে। গ্রামে একটিমাত্র পানীয় জলের কল ভেঙে ফেলাতে এই মুহূর্তে চরম জল সংকটে ভুগছেন গ্রামের সাধারণ মানুষরা। তবে কি তৃণমূলের পাশে না থাকলে এভাবেই কি সাধারণ মানুষদের সমস্যায় পড়তে হবে তা নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন সাধারণ মানুষরা।
এই ঘটনা নিয়ে শুরু হয়েছে শাসক বিরোধী তরজা। বিষ্ণুপুর সাংগঠনিক জেলা বিজেপির সহ-সভাপতি দেবপ্রিয় বিশ্বাস জানান, এলাকায় মানুষের উন্নয়ন না করে এলাকায় মানুষের ক্ষতি করছে। তৃণমূল মানেই দুষ্কৃতী। আর তাদের কাছ থেকে এর থেকে ভালো কিছু আশা করা যায় না।
অন্য়দিকে বিজেপিকে ভোট দেওয়ার অপরাধে গ্রামে বেশ কিছু পানীয় জলের কল ভেঙ্গে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে। অভিযোগ, তৃণমূলকে হারিয়ে বিজেপি জয়লাভ করে। এই আক্রোশে ওই সংসদের বেশ কিছু পানীয় জলের কল ভেঙ্গে দেয় বলে অভিযোগ।
পাশাপাশি বিজেপিকে ভোট দেওয়ার জন্য বিজেপি সমর্থিত গ্রামবাসীদের একাংশকে হুমকি দেওয়ারও অভিযোগ উঠেছে। এর আগেও এই ভাবে কল ভাঙ্গার চেষ্টা করেছিল বলে অভিযোগ। শুধু পানীয় কল নয় রাতের অন্ধকরে নল কূপের সাবমারসিবল পাম্পের বিদ্যুৎ-এর তারও কেটে দেয় বলেও অভিযোগ। যদিও সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করেছে তৃণমূলের শাসক দল।