বারাসত-হাসনাবাদ শাখার ট্রেনের (Train) সামনে ঝাঁপ দিয়ে আত্মঘাতী (Suicide) হন এক সিভিক ভলেন্টিয়ার। বৃহস্পতিবার রাতে ঘটনাটি ঘটেছে দেগঙ্গা (Deganga) থানার বারাসত-হাসনাবাদ শাখার ভাসিলা-হাড়োয়া রোড ষ্টেশনের মাঝে বনবিবি তলায়। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌছয় দেগঙ্গা থানার পুলিস (Police)। শুক্রবার ভোরে মৃতদেহটি উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য বারাসত নিয়ে যাওয়া হয় রেল পুলিসের তরফে। ইতিমধ্যেই ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিস।
পুলিস সূত্রে খবর, মৃত ওই যুবকের নাম ডেভিড দেবনাথ(৩২)। তিনি দেগঙ্গা থানার সিভিক ভলেন্টিয়ার ছিলেন। বৃহস্পতিবার রাতে বারাসত-হাসনাবাদ শাখার ভাসিলা-হাড়োয়া রোড ষ্টেশনের মাঝে বনবিবি তলায় শেষ ডাউন ট্রেনের সামনে ঝাঁপ দেন ওই যুবক।
মৃতের পরিবার সূত্রে খবর, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় বাড়ি থেকে সাইকেল নিয়ে বার হন ডেভিড। রাতে বাড়ি ফিরছে না দেখে তাঁর স্ত্রী ফোন করেন। কিন্তু সেই মুহূর্তে স্থানীয় এক ব্যক্তি ডেভিডের ফোনটি ধরে আত্মহত্যার কথা জানান। তারপরেই ঘটনাস্থলে যায় পুলিস।
আইন রক্ষকের বিরুদ্ধে এবার ধর্ষণের (Harrasment) অভিযোগ। এক গৃহবধূকে (Woman) ধর্ষণের অভিযোগে গ্রেফতার দুই সিভিক ভলান্টিয়ার (Civic Volunteer)। ঘটনাটি ঘটেছে বীরভূমের (Birbhum) লাভপুর থানা এলাকায়।
জানা গিয়েছে, গত সোমবার চার বছরের শিশুকন্যাকে নিয়ে মন্দিরে পুজো দিতে গিয়েছিলেন ওই গৃহবধূ। সেখানেই কর্তব্যরত অবস্থায় ছিলেন দুই সিভিক ভলান্টিয়ার। ছোট্টু দত্ত ও সুমিত মুখোপাধ্যায়। লাভপুর থানায় সিভিক ভলান্টিয়ার হিসেবে কর্মরত। তাঁদের কাছে জল আছে কিনা জিজ্ঞাসা করেন ওই গৃহবধূ। পরিস্থিতি বুঝে শিশুকন্যাকে আটকে রেখে ওই গৃহবধূকে মন্দিরের অতিথিশালায় ধর্ষণ করে বলে অভিযোগ ওঠে।
প্রথমে, কে কী বলবে এই ভয়ে কাউকে এই ঘটনার কথা জানাননি গৃহবধূ। পরে নিজের স্বামীর কাছে সবটা খুলে বলেন তিনি। বুধবার সন্ধ্যায় লাভপুর থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন নির্যাতিতা গৃহবধূ। তারপরই তদন্তে নেমে লাভপুর থানার পুলিস দুই সিভিক ভলান্টিয়ারকে গ্রেফতার করে। বৃহস্পতিবার বোলপুর মহকুমা আদালতে তোলা হয় এই দুই ভলান্টিয়ারকে। আদালত তিন দিনের পুলিস রিমান্ডের নির্দেশ দিয়েছে।
প্রচণ্ড দাবদাহে অসুস্থ হয়ে মৃত্যু এক সিভিক ভলান্টিয়ারের (Civic Volunteer)। মর্মান্তিক ঘটনাটি ঘটেছে মালদার ইংরেজবাজার (Maldah Incident) থানার নরহরপুর গ্রামে। মৃতদেহের ময়না তদন্ত মালদা মেডিক্যাল কলেজের হাসপাতাল মর্গে। জানা গিয়েছে, মৃত সিভিক ভলান্টিয়ারের নাম পাণ্ডব মণ্ডল, বয়স (৩৭)বছর। পরিবারে রয়েছে স্ত্রী নিরুপমা মণ্ডল। পাণ্ডব মণ্ডল মালদা পুলিস লাইনে কর্মরত ছিলেন। আজ নববর্ষ উপলক্ষে তিনি কাজে ছুটি নিয়েছিলেন বলে পরিবার সূত্রে খবর।
পরিবার সূত্রে আরও জানা গিয়েছে, ছুটির দিনে চাষাবাদের কাজ করতেন পাণ্ডব। শনিবার বাড়ি থেকে কিছুটা দূরেই নিজের ক্ষেতে গিয়েছিলেন। আর সেখানেই প্রচণ্ড গরমের কারণে অসুস্থ হয়ে পড়েন ওই সিভিক ভলান্টিয়ার। পরিবারের সদস্যরা তড়িঘড়ি খবর পেয়ে ওই সিভিক ভলান্টিয়ারকে উদ্ধার করে নিয়ে যায় স্থানীয় হাসপাতালে। সেখান থেকে অবস্থার অবনতি হওয়ায় মালদা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয় পাণ্ডবকে। মেডিকেল কলেজে আনার পরেই তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করা হয়। মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মেডিকেল কলেজের মর্গে পাঠানো হয়। এই ঘটনায় পাণ্ডবের গ্রামে শোকের ছায়া। পরিবারের একমাত্র রোজগেরের এভাবে অকালমৃত্যুতে মুখ্যমন্ত্রীর কাছে সরকারি চাকরি প্রার্থনা করেছে পরিবার।
প্রথমে সামনে এসেছিল খড়দহ থানার পুলিসের (Khardaha Police) রাস্তার উপরে দাঁড়িয়ে প্রকাশ্যে লরি ও ট্রাক থেকে টাকা তোলার ছবি। এবার সরাসরি ছিনতাইয়ের অভিযোগ উঠল খড়দহ থানার পুলিসের বিরুদ্ধে। শনিবার এমনই এক অভিযোগ করা হয় ব্যারাকপুর পুলিস কমিশনারের দফতরে।
অভিযোগ, সোদপুর সুখচর গীর্জা এলাকার বাসিন্দা এক যুবক রাস্তায় বিস্কুট কিনতে বেরিয়ে পুলিসের নিগ্রহের শিকার হন। এমনকি গোটা রাত থানার লকআপে কাটাতে হয় তাঁকে। শুধু তাই নয় যুবকের ও তাঁর পরিবারের মারাত্মক অভিযোগ, তাঁকে মারধর করা হয় এবং তাঁর থেকে আড়াই হাজার টাকা ছিনতাই করে নিয়ে নেওয়া হয়। এই অভিযোগ নিয়ে শনিবার ব্যারাকপুর পুলিস কমিশনারের দ্বারস্থ হয় সোদপুর সুখচর গীর্জা এলাকার পাঁজা পরিবার।
পরিবার সূত্রে দাবি, পাঁজা পরিবারের সন্তান সমন্বয় পাঁজা গত ১৪ তারিখ রাতে পাশের বাড়ি থেকে বিস্কুট আনতে বেরিয়েছিলেন। অভিযোগ, সেই সময় খড়দহ থানার একটি টহলদারী অটোতে দুইজন সিভিক ভলেন্টিয়ার ও একজন অফিসার এসে পৌঁছায় ওই স্থানে। এরপরেই শুরু হয় নিগ্রহের পর্ব। সমন্বয়ের দাবি, অটোর মধ্যে থেকে কেউ তাঁর মুখে বারবার টর্চ মারতে থাকেন। তখন সে বলেন যে, আলো তাঁর মুখে না মেরে, রাস্তায় একটু আলো ফেললে খুব ভালো হয়। এই কথা শোনা মাত্রই ওই অটো থেকে দুই জন সিভিক ভলেন্টিয়ার বেরিয়ে আসেন এবং তার ঘাড় ধরে অশ্লীল ভাষা ব্যবহার করতে থাকেন। এর প্রতিবাদ করলে তাঁকে বলপূর্বক অটোতে তুলে নেন।
অভিযোগ, অটোতে একজন খাকি উর্দি পড়া অফিসার বসে ছিলেন। কিন্তু তিনি দুইজন সিভিক ভলেন্টিয়ারদের সংযত থাকতে বলেননি বরং নির্বাক দর্শক হয়ে সেদিন সঞ্চালকের ভূমিকা পালন করছিলেন। এরপরেই তাঁকে অটোর মধ্যে চড় থাপ্পর মারে এবং অভব্য ভাষার ব্যবহার করে বলে দাবি সমন্বয়ের। এরইমধ্যে তাঁর মোবাইল থেকে আড়াই হাজার নগদ টাকা নিয়ে নেয় পুলিস বলে অভিযোগ।
সমন্বয়ের মা অভিযোগ জানিয়ে বলেন, তাঁর ছেলেকে ওই রাতে খড়দহ থানায় নিয়ে গিয়ে সারারাত লকআপে আটকে রাখে। থানার তরফে বলা হয়, সকালে ছেড়ে দেওয়া হবে তাঁর ছেলেকে। সকাল আটটার পর তাঁর স্বামী খড়দহ থানায় গেলে, থানার ডিউটি অফিসার বলে তাঁর ছেলেকে কোর্টে পাঠানো হবে। সমন্বয়ের মা, তাঁর ছেলেকে বিনা কারণে মারধর করে জোরপূর্বক গাড়িতে তুলে দেওয়া এবং মিথ্যা মামলা দেওয়ার পাশাপাশি পুলিস যে নির্মম অত্যাচার করেছে তাঁর সুবিচার চেয়েছেন অভিযোগ পত্রে।
তিনি আরও অভিযোগ করেন যে, থানার আধিকারিকেরা এই সমস্ত সিভিক ভলেন্টিয়ারদের দিয়ে রাতের অন্ধকারে সাধারণ মানুষদের উপর অন্যায় করছেন। রোজ তাঁদের বাড়ির সামনের রাস্তায় দাঁড়িয়ে সিভিক এবং পুলিস অফিসার গাড়ি থেকে বেআইনিভাবে টাকা তুলছে। সেটারও প্রতিকার চেয়েছেন তিনি।
প্রাথমিক শিক্ষায়(Primary Education) সিভিক ভলান্টিয়ার-কাণ্ডে বাঁকুড়া(Bankura) জেলা পুলিসের(Police) নতুন বিবৃতি। হইচইয়ের পর নবান্ন নড়েচড়ে বসতেই অবস্থান বদল অঙ্কুর প্রকল্পের। অঙ্কুর নিয়ে বাঁকুড়া জেলা পুলিসের নতুন বিবৃতিতে বলা, কিছু মানুষ এই উদ্যোগকে বিদ্যালয়ের নিয়মিত ক্লাস প্রতিস্থাপনের প্রচেষ্টা হিসাবে দেখিয়ে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করছেন। যা সম্পূর্ণ মিথ্যা, বিকৃত, ভুল তথ্য। আন্তর্জাতিক মানের শিক্ষাবিজ্ঞানের যে ক্লাসগুলি নেওয়ার পরিকল্পনা করা হয়েছে তা সম্পূর্ণ বিনামূল্যে কোচিং ক্লাসের আকারে বিদ্যালয়ের পশাপাশি ক্লাসের মতো চলবে।
বাঁকুড়া পুলিসের বিবৃতিতে আরও বলেন, বর্তমান উদ্যোগের সঙ্গে বিদ্যালয়ের ক্লাসের কোনও সম্পর্ক নেই। বিদ্যালয়ের নিয়মিত ক্লাসের পরেই এই কোচিং চলবে। তবে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে এই ক্লাসগুলি কোনও বিদ্যালয়ে করা হবে না। উপযুক্ত কর্তৃপক্ষের সঙ্গে পরামর্শের পরে শিশু-শিক্ষার্থী এবং তাঁদের অভিভাবকদের সুবিধা অনুসারে নির্বাচিত স্থানগুলি থেকেই পরিচালিত হবে। বাঁকুড়া পুলিস জেলার সাধারণ মানুষদের জন্য নিরন্তর কাজ করে যাবে। আপনাদের গঠনমূলক প্রতিক্রিয়া সাদরে গ্রহণ করা হবে।
এ প্রসঙ্গে উল্লেখ্য, বাঁকুড়া জেলা পুলিসের নেওয়া এই অঙ্কুর প্রকল্প ঘিরে বুধবার হইচই বাঁধে রাজ্য রাজনীতিতে। সরকারি স্কুলে পড়াবেন সিভিক ভলান্টিয়ার! ভলান্টিয়ারদের শিক্ষাগত যোগ্যতা বেশি থাকলে সুযোগ দেওয়া হবে। সমাজের পিছিয়ে পড়া প্রাথমিক পড়ুয়াদের শিক্ষার মান উন্নতি করতে নয়া পদক্ষেপ নিয়েছিল বাঁকুড়া জেলা পুলিস। কিন্তু হইচই শুরু হতেই পদক্ষেপ করে নবান্ন।
সরকারি স্কুলে পড়াবেন সিভিক ভলান্টিয়ার! ভলান্টিয়ারদের(Civic Volunteer) শিক্ষাগত যোগ্যতা বেশি থাকলে সুযোগ দেওয়া হবে। সমাজের পিছিয়ে পড়া প্রাথমিক পড়ুয়াদের(Primary Education) শিক্ষার মান উন্নতি করতে নয়া পদক্ষেপ নিয়েছিল বাঁকুড়া(Bankura) জেলা পুলিস। কিন্তু হইচই শুরু হতেই পদক্ষেপ করে নবান্ন। সিভিক ভলান্টিয়ারদের দিয়ে প্রাথমিক স্কুলে অংক-ইংরেজির পাঠ দেওয়ার এই সিদ্ধান্তে রীতিমতো ক্ষুব্ধ নবান্ন।
এই কর্মসূচি অবিলম্বে স্থগিত করার নির্দেশ দিল নবান্ন। এই ধরনের সিদ্ধান্ত কেন নেওয়া হয়েছিল, তা বাঁকুড়া জেলা প্রশাসনের কাছ থেকে জানতে চাওয়া হয়েছে।
জানা গিয়েছে, একটি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার সঙ্গে যৌথভাবে 'অংকুর' নামে একটি প্রকল্পের মাধ্যমে সামাজে পিছিয়ে পড়া প্রাথমিক শিক্ষার্থীদের উন্নত শিক্ষা প্রদানের জন্য অঙ্গীকারবদ্ধ বাঁকুড়া জেলা পুলিস।
বুধবার বাঁকুড়া পুলিস লাইনে আনুষ্ঠানিকভাবে এই 'অংকুর' প্রকল্পের উদ্বোধন করা হয়েছে। বাঁকুড়ার জেলা পুলিস সুপার বৈভব তিওয়ারি জানান, 'প্রাথমিক পর্যায়ে বাঁকুড়ার জঙ্গলমহলের পাঁচটি থানা এলাকার মধ্য দিয়েই এই প্রকল্পের কাজ শুরু হবে। পরবর্তীতে এই কর্মসূচি বাঁকুড়া জেলার সবকটি থানাতেই নেওয়া হবে বলে জানান ওই আইপিএস। খবর, জেলা পুলিসের প্রায় শতাধিক সিভিক ভলান্টিয়ারকে উপযুক্ত পরিমাণ প্রশিক্ষণ দিয়েই এই কাজে করাবে বাঁকুড়া জেলা পুলিস।'
এবার পুলিসের এই উদ্যোগ নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে বিরোধীরা। বাঁকুড়ার বিজেপি বিধায়ক নিলাদ্রী শেখর দানার দাবি, 'পুলিসের কাজ শিক্ষকতা করা নয়, পুলিসের কাজ আইনশৃঙ্খলাকে রক্ষা করা। এক্ষেত্রে পুলিসকে কেন দেখা যাচ্ছে? তার মানে জঙ্গলমহলে বুনিয়াদি শিক্ষার উন্নতিতে সরকার ব্যর্থ। তাছাড়া সামনেই পঞ্চায়েত ভোট তাই সাধারণ মানুষদের কাছ থেকে ভোট পাওয়ার জন্যই এমন কাজ।'
এই বিষয়ে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সুভাষ সরকার বলেন, 'সিভিক ভলান্টিয়াররা ছোটদের স্কুলে অঙ্ক আর ইংরেজি শিখাবে। এটা একবিংশ শতাব্দীতে পশ্চিমবাংলার লজ্জা। এখানে শিক্ষক নিয়োগে যেমন দুর্নীতি, শিক্ষক নিয়োগ হচ্ছে না। আর এই অবস্থাতে প্রত্যন্ত গ্রামের বাচ্চা তাঁদের ইংরেজি শিখাবে সিভিক ভলান্টিয়ার, এর থেকে লজ্জার আর কিছু হয় না। সরকার যদি রাজ্য চালাতে না পারে তাহলে পদত্যাগ করুক।'
অপরদিকে শাসক দলের নেতা শ্যামল সাঁতরার দাবি 'পুলিস তাদের দায়িত্ব ছাড়াও অনেক উন্নয়নমূলক কাজ করেছে। এমনকি পুলিস প্রশাসনের উদ্যোগে বিভিন্ন জায়গায় পাঠাগার, কোচিং ক্যাম্প ফ্রিতে করিয়ে থাকেন। সেরকমই জঙ্গলমহলের শিশুদের আরও ভালো পড়াশুনো করানোর জন্য তাঁরা উদ্যোগ নিয়েছেন। এটা সম্পুর্ণরূপে উন্নয়নমূলক কাজ। ভালো কাজ করলে যদি কেউ সমালোচনা করেন তাহলে করবেন। সমালোচনা করতে তো কোনও পয়সা লাগে না।'