অটো চালকদের সঙ্গে সিভিক পুলিসের (Civic police) তর্কবিতর্ক পরিণত হয় মারামারিতে। ঘটনায় আহত পাঁচ সিভিক পুলিস। ভাটপাড়া স্টেট জেনারেল হাসপাতালে আহতদের চিকিৎসা চলছে বলে জানা গিয়েছে।
সূত্রের খবর, শ্যামনগর স্টেশনের সামনে অটো রাখা নিয়ে অটো চালকদের সঙ্গে এক সিভিক পুলিসের বচসা বাধে। এরপর খবর পেয়ে আরও সিভিক পুলিস সেখানে ছুটে গেলে ঝামেলা আরও বেড়ে যায়। তারপরে সিভিক পুলিসদের সঙ্গে অটোচালকদের মারামারি শুরু হয়। যার ফলে আহত হন পাঁচ সিভিক পুলিস।
এক সিভিক পুলিস জানিয়েছেন, সাত আটজন অটোচালক একটি অটোতে একজোট হয়ে বসে সিভিক পুলিসদের ধমকাতে থাকেন। স্টেশনে যে সিভিক পুলিস ছিলো তাঁর গায়ে প্রথম হাত তোলেন অটোচালক। তখনই সেই সিভিক বাকি সিভিক কর্মীদের ফোন করে ডেকে পাঠান। বাকি সিভিকরা ঘটনাস্থলে উপস্থিত হতেই পিছন থেকে আচমকাই ২০-৩০ জন অটোওয়ালা মিলে তাঁদেরকে মারধর করতে আরম্ভ করেন বলে অভিযোগ। এমনকি ট্রাফিক অফিসারকেও তাঁরা মারধর করেন। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিস এসে পৌঁছয় এবং সিভিকদের উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যায়।
হাওড়ার মেয়েদের স্কুলে (Howrah Girls School) নেই নিরাপত্তারক্ষী। সিভিক পুলিসকে (Civic Police) নিরাপত্তারক্ষীর কাজে লাগাতে নির্দেশ কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসুর। জেলা পুলিস সুপারকে এই মর্মে নির্দেশ দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট (Calcutta High School)। বোর্ডের উদ্দেশে মন্তব্য, 'আপনারা স্কুলগুলোর ছাত্রছাত্রীদের কথা ভাবুন। তাঁদের ভবিষ্যত আপনাদের হাতে। এই অচলায়তন ভাঙতে গেলে সময় লাগবে। কিন্তু বোর্ড, আপনারা শুরু করুন। আমি তিন সপ্তাহ পর ফল পেতে চাই।'
হাওড়া আমতা রসপুর বালিকা বিদ্যালয়ে অঙ্কের শিক্ষিকা ২০১৬ থেকে নেই। স্কুলের মিড ডে মিল খাওয়ার জন্য জায়গা নেই। খেলার মাঠ থাকলেও, সেটা ব্যবহার হয় সাইকেল রাখতে। এই স্কুলে শিক্ষিকার সংখ্যা আট জন, ৫৪৮ জন ছাত্রী। পড়ুয়া-শিক্ষিকা এই অনুপাত দেখেও উদ্বিগ্ন কলকাতা হাইকোর্ট।
হাইকোর্টের মন্তব্য,'শিক্ষকদের বদলি পছন্দ না হলে পরে মামলা করুন। না গেলে পরের মাস থেকে বেতন বন্ধ করে দেব।' বিচারপতি জানান, 'রাজনৈতিক চাপের কথা ভুলে যান, রাজ্যের যে স্কুলে পড়ুয়ার সংখ্যা অত্যন্ত কম তার অনুমোদন প্রত্যাহার করুন।' রাজ্যের স্কুল শিক্ষা দফতরকে এই পরামর্শ বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসুর।
হাওড়ার রসপুর স্কুলের মামলার প্রেক্ষিতে দেখা গিয়েছে, একটি বিদ্যালয়ে ১৩ জন পড়ুয়ার জন্য ৫ জন শিক্ষক। অন্যদিকে অপর একটি স্কুলে প্রায় ৫৫০ জন পড়ুয়া আছে, কিন্তু বাংলার শিক্ষক নেই। ২০১৬ থেকে গণিতের শিক্ষক নেই। তারপরেই বিদ্যালয়ের অনুমোদন প্রত্যাহারের জন্য শিক্ষা দফতরকে পরামর্শ দেন বিচারপতি বসু। উত্তরে শিক্ষা দফতরের আইনজীবী জানান, 'এটা করতে গেলে একটু সমস্যা আছে। স্থানীয়স্তরে সমস্যা হতে পারে, রাজনৈতিক চাপ আসতে পারে।'
পাঁশকুড়া থানায় (Paskura Police Station) মজুত বাজি থেকে বিস্ফোরণ (Blast)। ভয়াবহ এই বিস্ফোরণে মৃত এক সিভিক ভলান্টিয়ারের (Civic Police)। একাধিক ব্যক্তির আহত হওয়ার খবর মিলেছে। এমনটাই সূত্রের মারফৎ খবর পাওয়া গিয়েছে। বিস্ফোরণে তীব্রতায় ক্ষতিগ্রস্ত থানা চত্বরে থাকা একাধিক বাইক। স্থানীয়রা উদ্যোগ নিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করে। তমলুক থেকে আসে দমকলের ইঞ্জিন। থানায় হওয়া এই বিস্ফোরণ ঘিরে এলাকায় আতঙ্ক এবং চাঞ্চল্য।
বৃহস্পতিবার বিকেল সাড়ে তিনটা নাগাদ বিস্ফোরণের এই ঘটনা। জানা গিয়েছে পাঁশকুড়া থানা এলাকার বিভিন্ন জায়গা থেকে উদ্ধার হওয়া বাজি ও বাজি তৈরির মশলা বারুদ জমা রাখা হয়েছিল থানার সামনেই। সেই মজুত থাকা বাজি ও বারুদে হঠাৎই আগুন লাগে।
আগুন লাগার সঙ্গে সঙ্গে দ্রুততার সঙ্গে আগুন ছড়িয়ে পড়ে। প্রাণভয়ে ছড়িয়ে ছিটিয়ে যায় থানায় কর্তব্যরত পুলিসকর্মী ও থানায় আসা সাধারণ মানুষ। তারপর কর্তব্যরত পুলিস কর্মী ও আশেপাশের লোকজন জল ঢেলে আগুন প্রাথমিকভাবে নিয়ন্ত্রণে আনে। কিছুক্ষণ পর ঘটনাস্থলে আসে তমলুক থেকে একটি দমকলের ইঞ্জিন। চলে পুরোদমে আগুন নিয়ন্ত্রণের কাজ, এমনটাই সূত্রের খবর।
জানা গিয়েছে, গুরুতর আহত হন এক সিভিক ভলান্টিয়ার। তাঁকে নিয়ে যাওয়া হয় পাঁশকুড়া সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে। কিন্তু হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে ওই সিভিক কর্মীকে মৃত ঘোষণা করে হাসপাতাল । হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে তাঁর মৃত্যু বলে জানান চিকিৎসকরা। মৃত ওই সিভিক ভলান্টিয়ার গোপাল মান্নার বাড়ি পাঁশকুড়া থানা এলাকার হাউরে।
অভিযুক্তদের আটক করে নিয়ে যাওয়ার সময় পুলিসের গাড়ি থেকে ছিনিয়ে নেওয়ার অভিযোগ কাউন্সিলরের (TMC Councillor) বিরুদ্ধে। পানিহাটি পুরসভার (Panihati Incident) ১৩ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলরের পুলিস নিরাপত্তা তুলে নিয়ে, গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি খড়দহ থানার। জানা গিয়েছে, দুর্গাপুজোর কেনাকাটার ভিড় ছিল সোদপুর স্টেশন রোড মার্কেটে। মানুষের ভিড় সামলাতে হিমশিম অবস্থা ট্রাফিক পুলিস ও খড়দহ থানার। সেই সময় সোদপুর ব্রিজে ওঠার মুখে টোটো চালকরা (Toto-Police scuffle) ট্রাফিক নিয়ম মানছিলেন না। এই নিয়ে কর্তব্যরত সিভিক ভলান্টিয়ার টোটো চালকদের সঠিক ট্রাফিক রীতি মানতে বলেন।
সেই নির্দেশ ঘিরে শুরু হয় বচসা, টোটো চালকদের সঙ্গে সিভিক পুলিসের গণ্ডগোল বাঁধে। এমনকি কর্তব্যরত সিভিক পুলিসকে মারধরের অভিযোগ ওঠে টোটো চালকদের বিরুদ্ধে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসে খড়দহ থানার পুলিস। অভিযুক্ত দুই টোটো চালককে আটক করে খড়দহ থানায় নিয়ে যাওয়ার সময় সোদপুর ট্রাফিক মোড়ে পুলিসের জিপ থেকে অভিযুক্তদের নামিয়ে নিয়ে যাওয়ার অভিযোগ ওঠে পানিহাটি পুরসভার ১৩ নম্বর ওয়ার্ডের পৌরপিতা গোবিন্দ দাসের বিরুদ্ধে। পরবর্তী সময়ে খড়দহ থানার পুলিশ গিয়ে ওই দুই অভিযুক্ত টোটো চালককে গ্রেফতার করে। এদিকে, অভিযুক্তদের পুলিসের গাড়ি থেকে নামানোর ঘটনায় কাউন্সিলর গোবিন্দ দাসের বিরুদ্ধে জামিন অযোগ্য ধারায় মামলা রুজু করে ব্যারাকপুর কমিশনারেট।
যদিও অভিযোগ অস্বীকার করেছেন কাউন্সিলর। পাশাপাশি এ ঘটনায় নিন্দা জানান পানিহাটির বিধায়ক নির্মল ঘোষ। তিনি বলেন, 'পুলিস-প্রশাসন তাঁদের কাজ করবে। অন্যায় ভাবে পুলিশের কাজে বাধা দিলে কাউকে রেয়াত করা হবে না। পাশাপাশি শাসকদলের কাউন্সিলরের এই ঘটনার সমালোচনায় সরব বিজেপিও।