যদি কাজ না করেই টাকা পাওয়া যেত, এমনটা ভাবলেও কতটা ভালো লাগে, তাই তো! তবে কাজ না করেই টাকা পাবেন, এমনটা কল্পনাতেও আসে না। কারণ এমনটা হতেই পারে না। তবে চিনে এমনই এক কাণ্ড ঘটেছে। জানা গিয়েছে, চিনের এক সংস্থার কর্মী 'পেইড লিভ' পেয়েছেন তাও আবার এক-দু'মাসের জন্য নয়, এক বছরের জন্য। পেইড লিভ অর্থাৎ আপনি ছুটিতে থাকবেন, তবু আপনি আপনার বেতন পাবেন মাসের শেষে।
জানা গিয়েছে, এমনটা ঘটেছে এক লটারির জন্য। চিনের ওই সংস্থায় কর্মীদের নিয়ে একটা লটারির আয়োজন করা হয়েছিল। কাজের জন্য একঘেয়েমি জীবন, আর থেকেই মুক্তি দিতে এক গেম বা লাকি ড্র-এর আয়োজন করা হয়েছিল। সেখানেই সেই কর্মী এই পুরস্কারটি জিতেছেন। সমাজমাধ্যমে এক ছবি ভাইরাল হচ্ছে, যেখানে দেখা যাচ্ছে, এক কর্মী লাকি ড্র জিতেছেন ও তাঁর হাতে তুলে দেওয়া হচ্ছে এক বড় চেক।
তবে এই কর্মীর ভাগ্য ভালো তাই লাকি ড্র-তে এই পুরস্কারটি পেয়েছেন, তবে যাঁদের ভাগ্য তাঁদের সেদিন সঙ্গে ছিল না, তাঁরা পেনাল্টিও পেয়েছেন। যেখানে কোনও কর্মীকে একজন ওয়েটার হিসেবে কাজ করতে কিছুদিনের জন্য, অনেকে আবার দু-দিনের পেইড লিভ পেয়েছেন।
ফের দেশ-বিদেশে বাড়ছে করোনার প্রকোপ। তার মধ্যে আবার নয়া ভাইরাসের খোঁজ! তাও আবার কিনা চিনের (China) মাটিতেই। শুধু তাই নয়, H3N8 অর্থাৎ বার্ড ফ্লু'য়ের মতো ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে এক মহিলার মৃত্যুও হয়েছে সে দেশে। আর এই মৃত্যুকে ঘিরেই আতঙ্ক। ফের কি বিপদের মুখে বিশ্ব? বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা অর্থাৎ হু বলছে, বার্ড ফ্লুতে আক্রান্ত হয়ে এটাই বিশ্বের প্রথম মৃত্যু। এই ভাইরাসে আক্রান্ত হলেও মৃত্যু হয়েছে এমন কোনও রেকর্ড নেই।
ফলে এই ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মহিলার মৃত্যুর ঘটনা সামনে আসতেই নতুন করে আতঙ্ক তৈরি হয়েছে। যদিও বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার দাবি, এই স্ট্রেন মানুষের মধ্যে খুব একটা সংক্রমক নয়। ফলে এখনই এত আতঙ্কের কিছু নেই বলেই জানাচ্ছেন স্বাস্থ্য আধিকারিকরা।
এমনকি এই স্ট্রেন খুব একটা মানুষের মধ্যে সংক্রমণ ছড়ায় না বলেও জানানো হচ্ছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংগঠনের তথ্য অনুযায়ী, চিনের মাটিতে যে মহিলার মৃত্যু হয়েছে তাঁর বয়স ৫৬ বছর। দক্ষিণে গুয়াংডং প্রদেশে ওই মহিলা থাকতেন বলে জানা গিয়েছে। হু-এর তথ্য অনুযায়ী, আরও দুই ব্যক্তিকে আক্রান্ত করেছে H3N8 অর্থাৎ বার্ড ফ্লু। চিনের রোগ নিয়ন্ত্রণ ও প্রতিরোধ কেন্দ্র জানাচ্ছে, মৃত ওই মহিলা গত মাসে আক্রান্ত হয়েছিলেন। যদিও ওই মহিলার মৃত্যু নিয়ে কিছু বলা হয়নি। তবে ওই মহিলা আরও বেশ কিছু রোগে আক্রান্ত ছিলেন বলে জানা গিয়েছে।
চিনের (China) হুশিয়ারির পাল্টা জবাব স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী (Home Minister) অমিত শাহের (Amit Shah)। অমিত শাহের অরুণাচল প্রদেশ সফর নিয়ে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রককে হুঁশিয়ারি দেয় বেজিং। চিনের হুঁশিয়ারি উপেক্ষা করে অরুণাচল সফরে গেলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। সোমবার ভারত-চিন প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখা (এলএসি) লাগোয়া কিবিথুতে কেন্দ্রীয় সরকারের ‘ভাইব্র্যান্ট ভিলেজ প্রোগ্রাম’ উদ্বোধন করতে গিয়ে কড়া ভাষায় বেজিংকে জবাব দিলেন তিনি।
শাহ সোমবার বলেন, ‘আগে যে কেউ ভারতীয় ভূখণ্ডে অনুপ্রবেশ এবং জবরদখল করতে পারত। এখন ভারতীয় সূচ্যগ্র ভূখণ্ডও কেউ ছিনিয়ে নিতে পারবে না।’ এবং পাশাপাশি, ১৯৬২ সালে চিনা ফৌজের আগ্রাসনের বিরুদ্ধে অরুণাচলবাসীর অনমনীয় মনোভাবের প্রশংসা করে তিনি বলেন, ‘এই মনোভাবই সেদিন হামলাকারীদের পিছু হটতে বাধ্য করেছিল।’ ১৯৬২ সালের যুদ্ধে কিবিথুতে চিনা হামলায় নিহত ভারতীয় সেনাদের প্রতি শ্রদ্ধা প্রদর্শনও করেন শাহ।
সোমবার সকালে শাহের দু’দিনের অরুণাচল সফরের আগেই প্রতিবাদ জানিয়েছিল চিনা বিদেশ মন্ত্রক। বিবৃতিতে বলা হয়েছিল, ‘এই পদক্ষেপ (শাহের সফর) দ্বিপাক্ষিক শান্তি প্রক্রিয়ার পরিপন্থী। আমাদের আঞ্চলিক সার্বভৌমত্বে হস্তক্ষেপ বরদাস্ত করা হবে না।’ বেজিংয়ের তরফে নয়াদিল্লিকে হুঁশিয়ারি দিয়ে বলা হয়, টানাপড়েনের মধ্যে ভারত যেন সীমান্ত পরিস্থিতিকে অযথা জটিল না করে তোলে।
কিন্তু চিনা হুমকি উপেক্ষা করেই উত্তর-পূর্বাঞ্চলের ওই রাজ্যে গিয়ে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘নরেন্দ্র মোদী সরকারের আমলে ভাবনায় বদল এসেছে। কেন্দ্র এখন সীমান্তবর্তী অঞ্চলের উন্নয়নকে সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দিতে চায়। সীমান্তবর্তী গ্রামগুলি আর এখন ‘শেষ গ্রাম’ নয়, ‘প্রথম গ্রাম। এটাই ভাবনার বদল।’
তাইওয়ানের নির্দিষ্ট লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত করা শুরু করল চিন (China)। তবে এই বিষয়টিকে শুধুমাত্র মহড়া বলে দাবি করা হয়েছে। সোমবার চিনের সেনাবাহিনীর পূর্বাঞ্চলীয় থিয়েটার কম্যান্ডের তরফে একটি বিবৃতি দিয়ে জানানো হয়েছে, একাধিক এইচ-সিক্স যুদ্ধবিমান এই মহড়ায় অংশ নিয়েছে। মহড়ায় ব্যবহার করা হয়েছে দেশীয় প্রযুক্তিতে তৈরি শ্যানডং বিমানকেও। জানা গিয়েছে, গত শুক্রবার থেকেই তাইওয়ানকে ঘিরে নতুন করে নৌযুদ্ধের মহড়া শুরু করেছে চিন। বুধবারই ক্যালিফোর্নিয়ায় আমেরিকার কংগ্রেসের নিম্নকক্ষ হাউস অফ রিপ্রেজেন্টেটিভসের স্পিকার তথা রিপাবলিকান পার্টির নেতা কেভিন ম্যাকার্থির সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছিলেন তাইওয়ানের প্রেসিডেন্ট সাই ইং-ওয়েন। আর তারপরি চিনা সরকার তাইওয়ানের উপর সামরিক আস্ফালন দেখাতে শুরু করেন।
জানা গিয়েছে, গেল বছরের অগস্টে চিনের হাউস অফ রিপ্রেজেনটেটিভসের তৎকালীন স্পিকার ন্যান্সি পেলোসি তাইওয়ান সফরে গিয়েছিলেন। আর তারপরেই তাইওয়ানের পিংটন দ্বীপের অদূরে যুদ্ধের মহড়া শুরু করেছিল চিনা সেনা। তাঁরা মূলত আকাশ ও জলযুদ্ধের মহড়া চালাচ্ছিল।
তবে এক সংবাদমাধ্যম সূত্রে জানা গিয়েছে, চিনাদের যুদ্ধের এই মহড়া আগে কোনওদিন তাইওয়ানের এত কাছে হয়নি। তাই চিনা হামলা রুখতে তাইওয়ান ফৌজও প্রস্তুতি নিচ্ছে। গত আট দশক ধরেই স্বশাসিত তাইওয়ান নিজেদের স্বাধীন বলেই মনে করে। তবে কমিউনিস্ট পার্টি পরিচালিত চিনের শাসকেরা বরাবরই মনে করেন, তাইওয়ান চিনেরই অংশ।
স্বেচ্ছায় চুরি (Theft) করে জেলে গেলেন এক যুবক। প্রেমিকার সঙ্গে বিয়ে এড়াতেই এই সিদ্ধান্ত। চুরির অভিযোগে ওই যুবককে আটক করে চুরি করার কারণ জানার পর হতভম্ব পুলিসকর্মীরাও। এই ঘটনাটি ঘটেছে চিনের (china) সাংহাই শহরে। জানা গিয়েছে, অভিযুক্তর নাম চেন। সাংহাই শহরের হুয়াশান রোডের একটি নাচের স্টু়ডিও থেকে ব্লুটুথ স্পিকার চুরি করেন চেন। যেই স্পিকারের বাজারমূল্য প্রায় ২১ হাজার টাকা।
সূত্রের খবর, পুলিসের জিজ্ঞাসাবাদে চেন বলেন প্রেমিকার সঙ্গে সাতপাকে ঘুরতে চান না তিনি। তাই সবকিছু ভেবে চুরির ফন্দি এঁটেছেন তিনি। তবে তিনি চাননি, তাঁর এই পরিকল্পনার কারণে কেউ বড় কোনও ক্ষতির মুখে পড়ুক। সে কারণেই তিনি স্পিকার চুরি করেন। চেনের দাবি, চুরি করলে পুলিস তাঁকে ধরে ফেলবে। চুরির অভিযোগে চেন জেলে গেলে প্রেমিকা আর তাঁকে বিয়ে করতে চাইবেন না। তাই এমন কাজ করতে বাধ্য হইয়েছেন তিনি।
‘প্রেম’ করার জন্য কলেজ ছুটি। বিষয়টি অবাক লাগলেও ‘প্রেম’করার জন্য পড়ুয়াদের এক সপ্তাহ ছুটি দিল চিনের কলেজগুলি। এমনকি শুধু সঙ্গীর সঙ্গেই প্রেম নয়, প্রকৃতির সঙ্গে প্রেম, জীবনের সঙ্গে প্রেম করার পরামর্শও দেওয়া হয়েছে পড়ুয়াদের। এই বিষয়ে ওই কলেজের ডেপুটি ডিন বলেন, 'আশা করছি, পড়ুয়ারা এই সময়ের মধ্যেই প্রকৃতি এবং বসন্তকালকে ভাল করে উপভোগ করবেন। আর এর ফলেই পড়ুয়াদের চিন্তাভাবনার বিকাশই ঘটবে ও তাঁদের শিক্ষণীয় ক্ষমতা সমৃদ্ধ হবে।' তিনি আরও বলেন, 'এই ছুটিতে কোনও পড়ুয়াকে হোমওয়ার্কও করতে হবে না।'
এক সংবাদ সংস্থা অনুযায়ী, এই সিদ্ধান্তর কথা ঘোষণা করা হয় ২১ মার্চ। তাই ১ এপ্রিল থেকে ৭ এপ্রিল পর্যন্ত কলেজগুলিতে ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে। এমনকি এই ছুটির নাম‘স্প্রিং ব্রেক’ দেওয়া হয়েছে। তবে এই সিদ্ধান্তের কারণ হিসেবে জানা গিয়েছে, চিনে জন্মহার কমছে যা নিয়ে চিন্তিত সরকার। ফলে জন্মহার বাড়ানোর কাজে সহযোগিতা করতে এগিয়ে এসেছে চিনের কলেজগুলিও। তাই কলেজগুলিতে পড়ুয়াদের এক সপ্তাহ প্রেম করার জন্য ছুটি দেওয়া হয়েছে, এমনটাই দাবি কলেজ কর্তৃপক্ষের।
কলকাতায় চালু হল চিনা রেক তথা ডালিয়ান রেকের মেট্রো। যাত্রী স্বাচ্ছন্দের কথা মাথায় রেখেই চালু হল এই মেট্রো। শুক্রবার বিকেল সাড়ে পাঁচটায় দমদম মেট্রো স্টেশন থেকে বাণিজ্যিকভাবে পথচলা শুরু করল এই চিনা রেক। এদিন এই শুভ উদ্বোধনে উপস্থিত ছিলেন কলকাতা মেট্রো রেলের জেনারেল ম্যানেজার অরুণ অরোরা-সহ মেট্রো রেলকর্তারা।
জানা গিয়েছে, চার বছর আগে ২০১৯ সালে চিন থেকে কলকাতা বন্দরে এসে পৌঁছেছিল এই ডালিয়ান রেক। তারপর থেকে করোনা মহমারী ও আরও নানা কারণে সেই রেক বাণিজ্যিকভাবে চালু করা সম্ভব হয়নি। তাই দীর্ঘ চার বছরের প্রতীক্ষার পর শুক্রবারই বাণিজ্যিকভাবে পথচলা শুরু হল চিনের বিশেষ প্রযুক্তিতে তৈরি ডালিয়ান রেক। দমদম মেট্রো স্টেশন থেকেই এই রেকের যাত্রা শুরু।
কলকাতা মেট্রো রেলের জেনারেল ম্যানেজার অরুণ অরোরার দাবি, 'এই রেক যাত্রীদের আরও স্বাচ্ছন্দ্য দেবে। বর্তমানে যে মেট্রোগুলি চলে তার থেকে সাড়ে ৮ শতাংশ বেশি যাত্রী এই রেকে উঠতে পারবে। পাশাপাশি রেকের দরজা চওড়ায় বড় করা হয়েছে। এমনকি বয়স্কদের জন্য থাকছে আরও বেশি সংখ্যক সংরক্ষিত আসন। বিশেষ চাহিদাসম্পন্নদের জন্য থাকছে আলাদা ব্যবস্থা। এই রেকে ঝাকুনির অনুভূতি কম হবে।'
তিনি বলেন, 'ডালিয়ান রেকে শীততাপ নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা আরও ভাল। ভিতরের সজ্জাতেও রয়েছে আধুনিকতার ছোঁয়া। এই রেকে এমন প্রযুক্তি ব্যবহার করা হয়েছে যার ফলে বাইরের আওয়াজ ভিতরে আসবে অল্প। ফলে মেট্রোতে যাতাযাত করা হবে আরও শান্তিপূর্ণ। এমনকি সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে আগামী দিনে কলকাতা মেট্রো মোট ১৩টি ডালিয়ান রেক কিনবে।'
মেট্রোর মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক কৌশিক মিত্র বলেন, 'খুবই মসৃণ এই মেট্রোর সফর। আপাতত একটি রেক এসেছে। আরও তিনটি খুব শীঘ্রই চলে আসবে।'
চিনের (China) ইতিহাসে নয়া রেকর্ড গড়লেন শি জিনপিং (Xi Jinping)। টানা তৃতীয়বার চিনের প্রেসিডেন্ট (China President) পদে নির্বাচিত শি জিনপিং। তৃতীয়বার প্রেসিডেন্ট পদে নির্বাচিত হয়ে তিনি ছুঁলেন চিনের কমিউনিস্ট পার্টির স্রষ্টা মাও জে দং(Mao Zedong)-এর কীর্তি। গত অক্টোবরেই চিনের কমিউনিস্ট পার্টির প্রধান হিসাবে আগামী পাঁচ বছরের জন্য নির্বাচিত হয়েছিলেন শি। সেই সময়ই চিনের সর্বশক্তিমান নেতা হিসাবে নিজের প্রতিপত্তি প্রমাণ করেছিলেন। এবার তৃতীয়বারের জন্য প্রেসিডেন্ট হিসাবেও নির্বাচিত হলেন তিনি। আর এই খবর শুক্রবার একদলীয় চিনের শাসক দল কমিউনিস্ট পার্টি জানিয়েছে।
পাশাপাশি চিনা রাজনীতিতে সবথেকে গুরুত্বপুর্ণ দুটি পদে তিনি আরও পাঁচ বছর থাকছেন। ৬৯ বয়সী নেতার বিরুদ্ধে শূন্য কোভিড নীতি, দীর্ঘ লকডাউন এবং করোনায় মৃতের সংখ্যা লুকানোর অভিযোগে বিদ্রোহ হয়েছিল। লকডাউন শিথিল করার পর দেখা গিয়েছিল চিনে মৃত্যমিছিল ঘটেছে। তারপরও ফের শি জিনপিংকেই সর্বোচ্চ নেতা হিসেবে বেছে নেওয়া হল চিনে।
শুক্রবারই তাঁকে সেন্ট্রাল মিলিটারি কমিশনের প্রধান হিসাবেও সর্বসম্মত ভোটে পুনরায় নির্বাচিত করা হয়। মনে করা হচ্ছে, বিশ্বের সর্বোচ্চ শক্তিমান নেতা হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করার জন্য়ই পরিকল্পিতভাবে জিনপিংকে প্রেসিডেন্ট হিসাবে নির্বাচিত করা হয়েছে। শপথ গ্রহণের পর জিনপিং চিনের সর্বোচ্চ সময়ের জন্য নির্বাচিত প্রেসিডেন্ট হবেন।
চিন-ভারত সীমান্তে (Indian-China Border) দুই দেশের বাহিনীর তৎপরতা আশঙ্কার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। এই আবহে সামরিক মহড়া শুরু করছে ভারতীয় বায়ুসেনা (Indian Air Force)। সূত্র মারফত জানা গিয়েছে, বেশ কয়েকদিন ধরেই ভারতের সীমানার কাছে চিনা যুদ্ধবিমানের আনাগোনা বেড়ে গিয়েছে। তাই পালটা প্রত্যাঘাতের জন্য নিজেদের প্রস্তুত রাখতে চাইছে ভারত। তাই এই মহড়ার আয়োজন। জানা গিয়েছে, প্রশিক্ষণের জন্য রাফালে বা সুখোই এস ৩০-এর মতো অত্যাধুনিক যুদ্ধবিমানকে ব্যবহার করতে পারে বায়ু সেনা।
উল্লেখ্য, সম্প্রতি বায়ুসেনা ড্রোনের মাধ্যমে উত্তর-পূর্বাঞ্চলের আন্তর্জাতিক সীমান্ত বরাবর মহড়া চালিয়েছিল। সাম্প্রতিককালের মধ্যে এই অঞ্চলে দ্বিতীয়বার এমন মহড়া চালাতে যাচ্ছে বিমানবাহিনী। একাংশের দাবি, বিতর্কিত ডোকলাম অঞ্চলে সামরিক কার্যকলাপ বাড়াচ্ছে চিন। তাই ওই অঞ্চলে আগাম সতর্ক থাকতে চাইছে বিমানবাহিনী।
আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর, গত শুক্রবার প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখায় নিযুক্ত সেনা সদস্যদের সঙ্গে দেখা করেছিলেন চিনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং। লাল ফৌজ যুদ্ধের জন্য প্রস্তুত কিনা, তা নাকি জানতে চান চিনা প্রেসিডেন্ট। এরপরই ভারতের বিমানবাহিনীর পক্ষ থেকে এই পদক্ষেপকে বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করা হচ্ছে।
প্রসঙ্গত, গত ৯ ডিসেম্বর গভীর রাতে অরুণাচল প্রদেশের তাওয়াং সেক্টরে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখায় (এলএসি) সংঘর্ষে জড়ায় দু'দেশের সেনারা। এই সংঘর্ষের ঘটনায় দু'পক্ষেরই বেশ কয়েক জন সেনা আহত হয়েছেন। তারপর থেকেই উত্তেজনা বাড়ছে দুই দেশের মধ্যে। দুই দেশই বিবাদপূর্ণ এলাকায় নজিরবিহীন সৈন্য মোতায়েন বাড়িয়েছে।
চেন্নাইয়ের (Chennai) এক অনুষ্ঠানে চিনকে (China) কড়া বার্তা বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্করের (Subrahmanyam Jaishankar)। গত দু'বছর নানাভাবে নিয়ন্ত্রণরেখা বা এলওসি বরাবর স্থিতাবস্থা নষ্ট করছে বেজিং। এই দাবি নানাভাবে দিল্লি করেছে আন্তর্জাতিক মহলে। এবার চেন্নাইয়ে তুঘলকের ৫৩তম বাৎসরিক অনুষ্ঠানে চিনকে কড়া জবাব এস জয়শঙ্করের। পাশাপাশি তিনি হুঁশিয়ারি দিয়েছেন, জাতীয় নিরাপত্তার স্বার্থে যা দরকার, ভবিষ্যতে সবই করবে ভারত।
শনিবার বিদেশমন্ত্রী চেন্নাইয়ের অনুষ্ঠানে বলেন, ‘‘উত্তর সীমান্তে বিশাল বাহিনী এনে, আমাদের চুক্তি ভঙ্গ করে স্থিতাবস্থা নষ্ট করার চেষ্টা করছে চিন। মনে করুন, কোভিড অতিমারির সময় ২০২০ সালের মে মাসেও এ রকমই হয়েছে। আমরাও যোগ্য এবং কঠিন জবাব দিয়েছিলাম।’’
সম্প্রতি চিনকে কাঠগড়ায় তুলে বিঁধেছে দেশের সেনাপ্রধান। যোগ্য জবাবের ইঙ্গিত তিনিও দিয়েছেন। এই মুহূর্তে বেজিংয়ের রক্তচক্ষুর সঙ্গে পাঙ্গা নিতে প্রস্তুত দেশের প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা। এমনটাই দাবি করছে মোদী সরকারের একটি সূত্র।
চিনে সংক্রমণ (Covid19) ছড়ানো করোনার নতুন উপপ্রজাতি যাতে ভারতে সংক্রামক না হয়, সেই লক্ষে কোভিড ঠেকাতে আরও কড়া পদক্ষেপ মোদী সরকারের (Modi Government)। অন্য দেশ থেকে যারা ভারতে নামছেন, তাঁদের ক্ষেত্রে আরও সাবধান হওয়ার নীতি গ্রহণ করছে কেন্দ্র। সংবাদ সংস্থা পিটিআই জানিয়েছে, অবিলম্বে বিশ্বের ছয় দেশ থেকে ভারতে আসা যাত্রীদের উপর জারি হবে নতুন বিধি (Strict Restriction)। ওই দেশগুলি থেকে আসা যাত্রীদের কোভিড পরীক্ষার রিপোর্ট নেগেটিভ বাধ্যতামূলক করছে মোদী সরকার। সম্প্রতি স্বাস্থ্য মন্ত্রকের বিশেষ রিপোর্টে উদ্বিগ্ন বিশেষজ্ঞরা। জানা গিয়েছে, গত ২ দিনে বিদেশ থেকে ভারতে আসা ৩৯ পর্যটকের শরীরে করোনা সংক্রমণ পাওয়া গিয়েছে। ভারত মহাসাগর সংলগ্ন জাপান, দক্ষিণ কোরিয়া, হংকং, তাইল্যান্ড এবং সিঙ্গাপুরে করোনার সংক্রমণ বাড়ছে। পিটিআই জানিয়েছে, এই ৬টি দেশ থেকে আসা পর্যটক অথবা এই দেশ ঘুরে দেশে ফেরা যাত্রীরা নেগেটিভ রিপোর্ট নিয়েই ভারতে ঢুকবে আগামী সপ্তাহ থেকেই চালু হতে পারে এই নতুন নিয়ম।
চিনে সংক্রমণ (Covid19) ছড়ানো করোনার নতুন উপপ্রজাতি যাতে ভারতে সংক্রামক না হয়, সেই লক্ষে কোভিড ঠেকাতে আরও কড়া পদক্ষেপ মোদী সরকারের (Modi Government)। অন্য দেশ থেকে যারা ভারতে নামছেন, তাঁদের ক্ষেত্রে আরও সাবধান হওয়ার নীতি গ্রহণ করছে কেন্দ্র। সংবাদ সংস্থা পিটিআই জানিয়েছে, অবিলম্বে বিশ্বের ছয় দেশ থেকে ভারতে আসা যাত্রীদের উপর জারি হবে নতুন বিধি (Strict Restriction)। ওই দেশগুলি থেকে আসা যাত্রীদের কোভিড পরীক্ষার রিপোর্ট নেগেটিভ বাধ্যতামূলক করছে মোদী সরকার।
সম্প্রতি স্বাস্থ্য মন্ত্রকের বিশেষ রিপোর্টে উদ্বিগ্ন বিশেষজ্ঞরা। জানা গিয়েছে, গত ২ দিনে বিদেশ থেকে ভারতে আসা ৩৯ পর্যটকের শরীরে করোনা সংক্রমণ পাওয়া গিয়েছে। ভারত মহাসাগর সংলগ্ন জাপান, দক্ষিণ কোরিয়া, হংকং, তাইল্যান্ড এবং সিঙ্গাপুরে করোনার সংক্রমণ বাড়ছে। পিটিআই জানিয়েছে, এই ৬টি দেশ থেকে আসা পর্যটক অথবা এই দেশ ঘুরে দেশে ফেরা যাত্রীরা নেগেটিভ রিপোর্ট নিয়েই ভারতে ঢুকবে আগামী সপ্তাহ থেকেই চালু হতে পারে এই নতুন নিয়ম।
চিনে করোনার উপপ্রজাতির (Corona Sub Variant) বাড়বাড়ন্তে উদ্বিগ্ন কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রক (Union Health Ministry)। সেই উদ্বেগের আঁচ এসে পড়েছে নবান্নে। করোনার সংক্রমণ প্রতিরোধে নবান্নে (Nabanna Meet) ভার্চুয়াল বৈঠক করলেন রাজ্যের মুখ্যসচিব এইচকে দ্বিবেদী। মুখ্যসচিবের তরফে জেলা প্রশাসনের কাছে একাধিক নির্দেশ গিয়েছে। নির্দেশিকা পাঠানো হয়েছে মেডিকেল কলেজ হাসপাতালগুলিকেও। এদিনের বৈঠকে ঠিক কী কী নির্দেশিকা জেলা শাসক এবং মেডিক্যাল কলেজের সুপারদের পাঠান মুখ্যসচিব?
#জেলা প্রশাসনকে বিশেষ নির্দেশ দেওয়া হয়েছে কোভিড রোগী ভর্তির জন্য। জেলার হাসপাতালগুলিতে পরিকাঠামো তৈরির নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
#হাসপাতালগুলিতে রাখতে হবে অক্সিজেন কন্সেন্ট্রেটর।
# প্রথম ধাপে রাজ্যজুড়ে ৩৮১৭টি কোভিড বেড প্রস্তুত রাখার নির্দেশ।
# করোনা পরীক্ষা বাড়ানোর উপরে জোর দেওয়া হয়েছে। সব ধরনের কিট যাতে প্রস্তুত থাকে, তাও নজর রাখতে বলা হয়েছে।
# সমস্ত জেলার সিএমওএইচ এবং মেডিকেল কলেজ হাসপাতালগুলির প্রিন্সিপাল দেরকে নির্দেশ।
# এখনো পর্যন্ত ২৬ শতাংশ মানুষ গোটা রাজ্যে বুস্টার ডোজ নিয়েছেন। টিকা নিতে অনীহা থাকায় বিভিন্ন মেডিকেল কলেজ হাসপাতালগুলোয় টিকা দেওয়া বন্ধ ছিল।
# বুস্টার ডোজের জন্য যাতে টিকা পাঠানো হয়, তার জন্য কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য পরিবার কল্যাণ মন্ত্রককে চিঠি লিখছে স্বাস্থ্য দফতর
# টিকা এলে যাতে সমস্ত জায়গা থেকে তা দেওয়া যায়,তার জন্য পরিকাঠামো প্রস্তুত রাখতে বলা হয়েছে প্রত্যেকটি হাসপাতালকে।
# চলতি সপ্তাহে যে যে হাসপাতালে মক ড্রিল হয়েছে,তার স্ট্যাটাস রিপোর্ট চাওয়া হয়েছে।
# বিমানবন্দরে নজরদারি বাড়াতে নির্দেশ।
ফের চোখ রাঙাচ্ছে করোনাভাইরাস। চিনে নতুন করে কোভিড ১৯ সংক্রমণ বৃদ্ধি পেয়েছে। শুধু চিন নয়, আমেরিকা,জাপান, জার্মানি, দক্ষিণ কোরিয়া, ব্রাজিলেও করোনার কেস বাড়তে শুরু করেছে। ফের করোনার গ্রাফ ঊর্দ্ধগামী হতেই সজাগ হতে শুরু করেছে ভারতও। নতুন করে নির্দেশিকা জারি করেছে ভারত সরকার। প্রত্যেকটি বিমানবন্দরে করা হচ্ছে র্যাপিড অ্যান্টিজেন টেস্ট। আর তাতে করোনোভাইরাস ভারত এবং অন্য দেশের নাগরিক মিলিয়ে ৩৯ জন বিমানযাত্রীর রিপোর্ট পজিটিভ এসেছে।
বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ সূত্র মারফত খবর, চিনে কোভিড সংক্রমণ বাড়ার পরেই বিমানবন্দরে বিদেশ থেকে আসা যাত্রীদের কোভিড পরীক্ষা বাধ্যতামূলক করা হয়। আর তা শুরু হয়েছে মাত্র দু’দিন হয়েছে। আর তাতে মোট ৩৯ জনের রিপোর্ট পজিটিভ এসেছে।
আগামী বৃহস্পতিবার পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে দিল্লির ইন্দিরা গান্ধী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে যাবেন কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী মনসুখ মাণ্ডব্য। ইতিমধ্যেই করোনার ওমিক্রন ভেরিয়েন্টের নয়া সাবভেরিয়েন্ট বিএফ.৯ ধরা পড়েছে এই দেশেই। ফলে করোনার নতুন রূপ ভারতের জন্য কতটা বিপজ্জন হতে পারে, সেই নিয়ে নতুন করে আলোড়ন তৈরি হয়েছে। চিকিত্সাবিজ্ঞানীরা প্রতিনিয়ত এই বিষয়ে সতর্কবার্তা দিচ্ছেন। উল্লেখ্য, জানা গিয়েছে, জানুয়ারি শেষে ভারতে বাড়তে পারে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা।
চিনের (China) করোনা (Covid-19) পরিস্থিতি ক্রমাগত খারাপ হচ্ছে। জিরো-কোভিড বিধি শেষ হওয়ার পর ফের বৃদ্ধি পেয়েছে চিনের করোনা সংক্রমণ (Coronavirus)। উদ্বেগ বাড়াচ্ছে কোভিড গ্রাফ। যদিও চিন সরকার সে কথা মানতে নারাজ। এই পরিস্থিতিতে সে দেশের স্বাস্থ্য দফতরের এক শীর্ষ আধিকারিক বিস্ফোরক দাবি করে বসলেন। তিনি অভিযোগ করেছেন, সরকার সঠিক তথ্য পরিবেশন করছে না। চিনের একটি শহর থেকেই প্রতিদিন প্রায় ৫ লক্ষেরও বেশি মানুষ আক্রান্ত হচ্ছেন।
চিনের একটি সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর, শুক্রবার কিংডাও শহরে এক দিনে ৪ লক্ষ ৯০ হাজার থেকে সাড়ে ৫ লক্ষ মানুষ কোভিডে আক্রান্ত হয়েছেন। এর থেকেই স্পষ্ট, সেখানকার করোনা পরিস্থিতি কতটা ভয়াবহ জায়গায় পৌঁছেছে। জানা গিয়েছে, ওই শহরের জনসংখ্যা ১ কোটি। বিশেষজ্ঞদের মতে, আগামী এক সপ্তাহের মধ্যেই সেই শহরের সংক্রমণ ১০ শতাংশ বৃদ্ধি পাবে।
ফের যেন ২০২০ ও ২০২১ এর ভয়াবহ চিত্র ফিরে এল চিনে। আইসিইউ-তে বেডের আকাল। চারপাশে মানুষের হাহাকার। রোগী সামাল দিতে গিয়ে নাজেহাল পরিস্থিতি হাসপাতালগুলির। শ্মশানগুলিতেও বাড়ছে ভিড়। পরিস্থিতি এমন পর্যায়ে পৌঁছেছে যে, ওষুধের দোকানগুলিতেও মিলছে না প্রয়োজনীয় ওষুধ।
উল্লেখ্য, চিনের স্বাস্থ্য কমিশনের দেওয়া শনিবারের করোনা রিপোর্ট অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় চিনে নতুন আক্রান্ত হয়েছেন ৪ হাজার ১৩০ জন। তবে কারও মৃত্যু হয়নি করোনার নয়া সংক্রমণে। জিয়াংজ়ি প্রদেশে ৩ কোটি ৬০ লক্ষ মানুষের বাস। আগামী মার্চের মধ্যে প্রদেশের মোট জনসংখ্যার ৮০ শতাংশ মানুষ সংক্রমিত হতে পারেন বলে আশঙ্কা করছে প্রশাসন। গত কয়েক দিনের মধ্যে জিয়াংজ়িতে ১৮ হাজার মানুষ হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে। যাঁদের মধ্যে ৫০০ জন গুরুতর বলে প্রশাসন সূত্রে খবর।
সুজিত বসু (দমকলমন্ত্রী, পশ্চিমবঙ্গ সরকার):
১৯১৯ থেকে ২১ অবধি বিশ্বে স্প্যানিশ ফ্লু-এর উৎপাত ছিল। শুনেছি কয়েক লক্ষ মানুষ ভারতেই মারা গিয়েছিলো। তখন বিজ্ঞান এতো উন্নত ছিল না। এরপর ধীরে ধীরে চলে যায় ওই সংক্রমণ। কিন্তু শুনেছি পরবর্তীতে এই ভাইরাস চরিত্র পরিবর্তন করে টাইফয়েড বা সমতুল্য রোগে পরিণত হয়েছিল। আর আজ সেই সংক্রমণ যদি থেকেও থাকে তবে সাধারণ জ্বরে পরিণত হয়েছে।
চিকিৎসা বিজ্ঞানের বিশেষজ্ঞরা বলতে পারবেন সঠিক। করোনা ভাইরাস কিন্তু যখন চিনে এলো প্রথমে অন্যদেশে সেই খবর চেপে যাওয়া হয়েছিল বলে খবর। কিন্তু ধীরে সেই ভাইরাস লক্ষ লক্ষ মানুষের প্রাণ নিয়েছে। আক্রান্ত হয়েছিল কয়েক কোটি মানুষ। আজ আধুনিক বিজ্ঞানের যুগে কল্পনা করা যায় না। সম্প্রতি সমস্ত বিদেশি চ্যানেলের দিকে লক্ষ্য করে দেখলাম ফের নাকি নতুন রূপে এই ভাইরাস এসেছে যার নাম বিএফ-৭। তৎপরতা শুরু হয়েছে শীত প্রধান দেশে।
আমাদের মাননীয় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজেই স্বাস্থ্য দফতর দেখছেন দীর্ঘদিন ধরে। তিনি তো জানিয়েছেন যে আগেই আতঙ্কের কিছু নেই। কিছু হলে রাজ্য স্বাস্থ্য দফতর প্রস্তুত আছে। কিন্তু আমাদেরও দায়িত্ব আছে। সরকার নজরে রাখছে সমস্ত পরিস্থিতি।চিন্তা করবেন না।
গতবারের করোনা আবহে আমার দায়িত্ব অনেকটাই বেড়ে গিয়েছিলো। আমি নিজে দু-দুবার কোভিডে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি ছিলাম। আমার বিধাননগর এলাকাতে খুবই সতর্কতার সাথে কাজ করতে হয়েছে। কসমোপলিটন এলাকা। এলাকায় উচ্চবিত্ত মানুষ যেমন আছে তেমন খেতে খাওয়া মানুষের সংখ্যাও কম নয়। ফলে দায়িত্ব ছিল অনেক। আমরা এলাকায় এলাকায় চাল ডাল সবজি ডিম্ মানুষের বাড়িতে বাড়িতে পৌঁছে দিয়েছি।
৯ মাস ভিআইপি রোডে অভাবী মানুষের দু'বেলা খাওয়ানোর ব্যবস্থা করেছি। যাদের বাড়িতে বাজার করার লোক নেই, তিনি যিনিই হন বাড়িতে রান্না করা খাবার পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে। দিয়েছি ড্ৰাই ফুডের প্যাকেট। আক্রান্ত রোগীদের যথাযোগ্য হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল। একটা কমিটি গড়েছিলাম 'স্পর্শ', যারা কাজ করেছে। প্রতিটি পুজো কমিটির মাধ্যমে ১০ হাজারেরও বেশি মানুষকে ভ্যাকসিন দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া এলাকার বেশির ভাগ মানুষকে ভ্যাকসিন নেওয়ার জন্য আবেদনে তারা সাড়া দিয়েছেন।
এরপরেও করোনার প্রভাব ছিল। তবে নিশ্চিত শক্তিহীন। তাই ফের বলতে চাই, ভয় পাবেন না আমরা দায়িত্বে আছি সারা বাংলায়। তবে সতর্ক থাকতে হবে।রাজ্য প্রশাসন থেকে যে ঘোষণা হবে তা পালন করতে হবে। শুনছি এখনই কেন্দ্রীয় স্তরে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। জানিনা এতো তাড়াহুড়ো কেন? তাই আতঙ্কে থাকবেন না আমরা আছি। (অনুলিখন: প্রসূন গুপ্ত)