
মঙ্গলবার এশিয়ান গেমসের প্রথম ম্যাচে নামছে ভারত। হ্যাংঝৌকে তাঁদের মুখোমুখি ঘরের টিম চিন। এই ম্যাচে জিতেই এশিয়ান গেমসের অভিযান শুরু করতে চাইছে সুনীল ব্রিগেড। তবে প্রথম ম্যাচে সুনীলকে নাও খেলাতে পারেন কোচ ইগর স্টিম্যাচ। সাংবাদিক বৈঠকে জানিয়ে দিলেন ইগর স্টিম্যাচ।
এবার আইএসএলের পাশাপাশি একই সঙ্গে আইএসএল চলবে। তাই এশিয়ান গেমসে অনেক দলই টিমের ফুটবলারদের ছাড়েনি। সন্দেশ ঝিঙ্ঘানকে চেয়েছিলেন ইগর স্টিমাচ। সন্দেশ আসলেও, পাওয়া যায়নি গোলকিপার গুরপ্রিত সিংকেও।
এশিয়ান গেমসে চিন, বাংলাদেশ, ও মায়ানমারের বিরুদ্ধে নামবে ভারত। সাংবাদিক বৈঠকে স্টিম্যাচ বলেন, "প্রথম ম্যাচে যদি সুনীল বা সন্দেশকে না নামাই, তা হলে অবাক হওয়ার কিছু নেই। আমি চিন ম্যাচ নিয়ে ভাবছি না। বাংলাদেশ ও মায়ানমার টিম নিয়েই চিন্তা আছে আমার।"
জি-২০ শীর্ষ সম্মেলনে (G 20 Summit) আসছেন না চিনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং (Xi Jinping), সূত্রের খবর, এবারে সরকারিভাবে জানাল বেজিং (Beijing)। প্রত্য়াশিতই ছিল যে, শি জিনপিং-এর বদলে ভারতে আসতে পারেন লি কিয়াং। সেই প্রত্যাশাই সত্যি হল। সব জল্পনার অবসান করে অবশেষে চিনা বিদেশ মন্ত্রক থেকে বিবৃতি করে জানিয়ে দেওয়া হল জি-২০ সম্মেলনের জন্য ভারতে আসছেন না শি জিনপিং। বরং চিনের প্রতিনিধিত্ব করতে আসছেন লি কিয়াং (Li Qiang)।
এ বছর আসন্ন জি-২০ সম্মেলনের আয়োজক দেশ হল ভারত। ৯ ও ১০ সেপ্টেম্বরেই হবে এই সম্মেলন। ফলে নয়া দিল্লিতে জি-২০ সম্মেলনের জন্য প্রস্তুতিও তুঙ্গে। আর তার আগেই এল এই খবর। এর আগেও জানা গিয়েছে, এই সম্মেলনে আসতে পারবেন না রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। তাঁর বদলে আসবেন সারজেই লাভরোভ। পুতিন নিজেই প্রধানমন্ত্রী মোদীকে ফোন করে জানিয়েছিলেন যে, তিনি জি-২০ সম্মেলনে যোগ দিতে পারবেন না। কিন্তু তিনি জানিয়েছিলেন, ভারতের প্রতিটি পদক্ষেপে তাঁর সমর্থন থাকবে। আর এবারে চিনা প্রেসিডেন্টের অনুপস্থিতির শিলমোহর দিল চিনা বিদেশ মন্ত্রক।
তবে শি জিনপিং পুতিনের মতো প্রধানমন্ত্রী মোদীকে ফোন করে জানাননি চিনা প্রেসিডেন্ট। এমনকি তিনি কেন যোগ দেবেন না জি-২০ সম্মেলনে, তার কারণও স্পষ্ট নয়। ফলে তাঁর না আসা নিয়ে কূটনৈতিক মহলে জল্পনা তুঙ্গে।
রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের (Vladimir Putin) পর এবারে চিনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং (Xi Jinping)! জি-২০ শীর্ষ সম্মেলনের (G20 Summit) জন্য ভারতে আসছেন না শি জিনপিং। এমনটাই সূত্রের খবর। আগামী সপ্তাহে নয়াদিল্লিতে (New Delhi) অনুষ্ঠিত হতে চলেছে জি-২০ শীর্ষ সম্মেলন, আর সেখানেই সম্ভবত উপস্থিত থাকবেন না চিনের রাষ্ট্রপতি শি জিনপিং। এর আগে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন না আসার কথা বলেছিলেন। আর এবারে সংবাদসংস্থা রয়টার্স সূত্রের মাধ্যমে চিনা প্রেসিডেন্টের কথা জানা গিয়েছে। তবে এখনও সরকারি ভাবে এই নিয়ে চিন ও ভারতের তরফ থেকে কিছু জানানো হয়নি।
এবার জি-২০ সম্মেলনের সভাপতিত্ব করছে ভারত। জি-২০ সম্মেলনের বৈঠক হতে চলেছে নয়া দিল্লিতে। আগামী ৯ ও ১০ সেপ্টেম্বর এই বৈঠক হবে। ঠিক রয়েছে যে, জি-২০ সম্মেলনে যোগ দিতে ভারতে আসছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন, ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইম্যানুয়েল ম্যাক্রঁ, কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো থেকে শুরু করে আরও তাবড় তাবড় রাষ্ট্রনেতারা। জি-২০ সম্মেলনে যোগ দেওয়ার কথা ছিল চিনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং ও রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট পুতিনেরও। কিন্তু এর আগে পুতিন নিজেই মোদীকে ফোন করে জানিয়েছেন, তাঁর পরিবর্তে প্রতিনিধিত্ব করতে আসবেন বিদেশমন্ত্রী সারজেই লাভরোভ।
আর এরপরেই বৃহস্পতিবার খবরে এসেছে, জি-২০ সম্মেলনে যোগ দেবেন না জিনপিং। তাঁর বদলে চিনা প্রিমিয়ার লি কিউয়াং প্রতিনিধিত্ব করবেন। যদিও ভারত ও চিনের বিদেশ মন্ত্রকের তরফে এখনও এই বিষয়ে কোনও মন্তব্য করা হয়নি।
একাধিকবার চিনারা ভারতের বিভিন্ন অংশকে নিজেদের বলে দাবি করেছে। আর এই নিয়ে সংঘাত লেগেই রয়েছে। কিন্তু সম্প্রতি চিনের তরফে একটি মানচিত্র প্রকাশ করা হয়েছে, যা নিয়ে নতুন করে বিতর্কের সৃষ্টি হয়েছে। চিনের নতুন মানচিত্রে দেখা গিয়েছে, ভারতের অরুণাচলপ্রদেশ, আকসাই চিন, তাইওয়ান ও দক্ষিণ চিন সাগরকে চিনের অংশ বলে দাবি করা হয়েছে। আর সেই পোস্ট ভাইরাল হতেই ভারতও এর প্রতিবাদ করেছে ও কড়া প্রতিক্রিয়া দিয়েছে। আর এবারে চিনের তরফেও দেওয়া হল 'সাফাই'। চিনকে এই মানচিত্রকে 'স্যান্টার্ড ম্যাপ' উল্লেখ করেছে ও এটিকে 'রুটিন এক্সাইসাইজ' বলে দাবি করেছে।
চিনের মানচিত্র নিয়ে বিতর্ক যখন তুঙ্গে, সেসময় চিনের চিনের তরফে পাল্টা বার্তা দেওয়া হল। সে দেশের বিদেশমন্ত্রকের মুখপাত্র ওয়াং ওয়েন বিন জানিয়েছেন, চিন তাঁদের স্ট্যান্ডার্ড ম্যাপ প্রকাশ করেছে। আর তা আইন মেনেই করা হয়েছে। প্রতিবারই তা করা হয় বলেও দাবি তাঁর। এই বিষয় নিয়ে অতিরিক্ত চিন্তা করার প্রয়োজন নেই বলেও মন্তব্য ওয়াং ওয়েন বিনের। পাশাপাশি তাঁর দাবি, সব পক্ষ যেন এ ব্যাপারে শান্ত থাকে।
উল্লেখ্য, ভারতের তরফে এই ঘটনার তীব্র প্রতিবাদ করা হয় বলে জানান বিদেশমন্ত্রকের মুখপাত্র অরিন্দম বাগচি। ভারত চিনের দাবিকে প্রত্যাখ্যান করেছে বলেও মন্তব্য করেন তিনি। বিদেশমন্ত্রকের মুখপাত্রের কথায়, এর কোনও ভিত্তি নেই। এই ধরনের দাবি সীমানা প্রশ্নের সমাধানকে আরও জটিল করে তুলবে বলেও মন্তব্য করেন অরিন্দম বাগচি।
Our response to media queries on the so called 2023 “standard map” of China:https://t.co/OZUwNRNrit pic.twitter.com/sAmy20DEa6
— Arindam Bagchi (@MEAIndia) August 29, 2023
অরুণাচলপ্রদেশকে (Arunachal Pradesh) ফের একবার নিজেদের বলে দাবি করে নতুন মানচিত্র প্রকাশ করেছিল চিন। আকসাই চিনকেও (Aksai Chin) চিনের (China) অংশ বলে দাবি করা হয়। আর এই নিয়েই শুরু হয়েছে বিতর্ক। তবে এর উত্তরেও উপযুক্ত জবাব দিয়েছে ভারত (India)। অরুণাচলপ্রদেশ দেশের 'অখণ্ড ও অবিচ্ছেদ্য অংশ আছে, ছিল ও থাকবে' বলে জানিয়েছে ভারত। কিন্তু এরই মাঝে আরও এক তথ্য প্রকাশ্যে এসেছে, যা নিয়ে বিতর্ক তুঙ্গে। জানা গিয়েছে, আকসাই চিন উপত্যকার কাছে সুড়ঙ্গ তৈরি করছে লাল ফৌজ। আর সেই ছবি উপগ্রহের তোলা চিত্রে ধরা পড়েছে।
সেই চিত্রে দেখা যাচ্ছে, উত্তর লাদাখ থেকে ৬০ কিমি পূর্বে ডেপসাং অঞ্চলে মাটিতে গর্ত খুঁড়ে সুড়ঙ্গ তৈরি করছে চিনা সেনা। সেখানকার সরু নদী উপত্যকায় তৈরি করছে সেনা ছাউনি। ওই অঞ্চলটি আকসাই চিনের অন্তর্গত। প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখার খুব কাছেই এই কাজ করছে চিন। শুধু তাই নয়, ওই অঞ্চলে নদীর দুই পারে অন্তত ১১টি সুড়ঙ্গের খোঁজ মিলেছে। গত কয়েক মাস ধরেই এখানে চিন ঘাঁটি বানাচ্ছে বলে জানা যাচ্ছে। বিশেষজ্ঞ মহলের দাবি, ওই সুড়ঙ্গগুলিতে বিপুল পরিমাণ অস্ত্র মজুত করে রাখার পরিকল্পনা করছে লাল ফৌজ।
ফের চিনের (China) দখলদারির চেষ্টা! এবারে ভারতের বিস্তীর্ণ অঞ্চলকে নিজেদের জায়গা বলে নতুন ম্যাপ প্রকাশ করল চিন। সোমবার ২০২৩-এর স্ট্যান্ডার্ড ম্যাপ প্রকাশ করে চিন। যেখানে দেখা যাচ্ছে, অরুণাচলপ্রদেশ, আকসাই চিন, তাইওয়ান, সাউথ চিন সাগরের বিতর্কিত অংশকে নিজেদের বলে দাবি করে নতুন মানচিত্র প্রকাশ করেছে চিন।
জানা গিয়েছে, চিনের মিনিস্ট্রি অব ন্যাচারাল রিসোর্স বা প্রাকৃতিক সম্পদ মন্ত্রকের তরফ থেকে একটি মানচিত্র প্রকাশ করা হয়েছে, যেখানে দেখা যাচ্ছে, অরুণাচল প্রদেশ ও আকসাই চিনের একটা বড় অংশ নিজেদের ভূখণ্ড বলে দাবি করেছে চিন। শুধু তাই নয়, তাইওয়ান ও দক্ষিণ চিন সাগরের বিতর্কিত অংশকেও নিজেদের বলে দাবি করা হয়েছে। ২০২৩ সালের এডিশন অনুযায়ী চিনের স্ট্যান্ডার্ড ম্যাপ প্রকাশ করা হয়েছে দেশের প্রাকৃতিক সম্পদ মন্ত্রকের ওয়েবসাইটে। এক্স হ্যান্ডেলে (টুইটার) গ্লোবাল টাইমসের একটি পোস্টেও এই বিষয়টি তুলে ধরা হয়েছে। যা এখন রীতিমতো ভাইরাল। আর এই নিয়েই বিতর্ক তুঙ্গে।
তবে এই পোস্ট ভাইরাল হওয়ার পর থেকেই ভারতের তরফেও যোগ্য জবাব দেওয়া হয়েছে। জানা গিয়েছে, ভারতের তরফে বারংবার জানানো হয়েছে, 'অরুণাচলপ্রদেশ সবসময় ভারতের এক অখণ্ড ও অবিচ্ছেদ্য অংশ ছিল, আছে ও থাকবে।'
কিছুদিন আগেই এক অনুষ্ঠানে জনগণের উদ্দেশে বক্তৃতা দিতে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী (Narendra Modi) জানিয়েছিলেন, বিজেপি ফের ক্ষমতায় ফিরলে ভারত (India) বিশ্বের তৃতীয় বৃহত্তম অর্থনৈতিক দেশ (Indian Economy) হবে। তিনি এও জানিয়েছিলেন যে, কেন্দ্রে বিজেপি সরকার দ্বিতীয়বার ক্ষমতায় আসায় বর্তমানে ভারতের স্থান বৃহত্তম অর্থনৈতিক দেশগুলির মধ্যে পাঁচ নম্বরে আছে। তবে খুব শীঘ্রই এক থেকে তিন নম্বরের তালিকায় চলে আসবে ভারত। এবার তারই 'প্রমাণ' ফের একবার দেখা গেল। সূত্রের খবর, সম্প্রতি এক মার্কিন সংস্থা জানিয়েছে, ভারতের অর্থনীতিতে উন্নয়ন হচ্ছে ও আগামীতেও হবে। কারণ আর্থিক বৃদ্ধির নিরিখে ভারত 'ইক্যুয়াল ওয়েট' থেকে 'ওভার ওয়েট' (Over Weight) স্তরে উন্নীত হয়েছে।
ভারতের আর্থিক অবস্থা নিয়ে এবারে বড়সড় তথ্য প্রকাশ্যে আনল মার্কিন সংস্থা 'মর্গ্যান স্ট্যানলি'। আমেরিকার প্রখ্যাত আর্থিক পরিষেবা প্রদানকারী সংস্থা 'মর্গ্যান স্ট্যানলি' এক বিবৃতি দিয়ে জানিয়েছে, ভারত আর্থিক বৃদ্ধির নিরিখে 'ইক্যুয়াল ওয়েট' অর্থাৎ সমান স্তর থেকে 'ওভার ওয়েট' স্তরে পৌঁছে গিয়েছে। এর অর্থ হল, ভবিষ্যতে ভারতের অর্থনৈতিক দিক আরও উন্নত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
এছাড়াও মার্কিন সংস্থার রিপোর্টে জানানো হয়েছে, চিনের অর্থনীতিতে নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে। আর এই প্রভাব ভবিষ্যতে আরও পড়বে বলে জানা গিয়েছে। তাই চিনকে 'ওভার ওয়েট' স্তর থেকে নামানো হয়েছে। ফলে এবারে এক্ষেত্রে চিনকেও টপকে গেল ভারত।
ভয়াবহ বিস্ফোরণ (Explosion)। রেস্তরাঁয় গ্যাস সিলিন্ডার ফেটে অগ্নিকাণ্ড। এই ঘটনায় অগ্নিদগ্ধ হয়ে মৃত্যু (Death) হল কমপক্ষে ৩১ জনের। বুধবার রাতে এই ঘটনাটি ঘটেছে চিনের (China) ফুইয়াং নামের একটি বারবিকিউ রেস্তোরাঁতে। বিস্ফোরণের পরই উদ্ধারকাজে ছুটে আসে বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী। আহত ও নিহত সবাইকে উদ্ধার করে নিয়ে যাওয়া হয় হাসপাতালে। এই ঘটনার খবর পেয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে আসেন চিনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং। তিনি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে দ্রুত চিকিৎসা করার নির্দেশও দেন।
এক সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন থেকে জানা গিয়েছে, ‘ড্র্যাগন বোট ফেস্টিভ্যাল’ উপলক্ষে আশেপাশের আর পাঁচটি রেস্তরাঁয় মতোই ফুইয়াং নামের একটি বারবিকিউ রেস্তোরাঁতেও ভিড় জমিয়েছিলেন মানুষ। সেই সময়ই এই বিস্ফোরণের ঘটনাটি ঘটে।
এক সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন থেকে আরও জানা গিয়েছে, আহতদের মধ্যে সাত জন গুরুতর জখম হয়েছেন। এমনকি ওই সাত জনের মধ্যে এক জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। এছাড়াও দু'জনের শরীরের বড় অংশ ভয়ানকভাবে পুড়ে গিয়েছে এবং দু'জন বিস্ফোরণের পর কাচ বিঁধে আহত হয়েছেন। আহতরা সবাই এখন হাসপাতালে চিকিৎসারত। তবে এই ঘটনায় মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে, অনুমান প্রশাসনের।
বিয়ের (Marriage) পর বিবাহ জীবন সকলের সুখের হয় না। এরফলে অনেকেই বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন। আবার অনেকে অন্য কোনও কারণে। তবে বিয়ের পরে বিবাহবহির্ভূত সম্পর্কে জড়ালে থাকবে না চাকরি। এমনটা আগে শোনা যায়নি। সম্প্রতি চিনের (China) একটি বেসরকারি সংস্থা কর্মচারীদের জন্য এমনই নির্দেশ জারি করেছে।
ওই সংস্থার তরফে বলা হয়েছে, কর্পোরেট সংস্কৃতিতে পরিবারের প্রতি দায়বদ্ধ থাকা উচিত। তাহলে কর্মক্ষেত্রেও সুশ্রী পরিবেশ বজায় থাকবে বলে মনে করছে সংস্থাটি। ইতিমধ্যে এই সংস্থার সিদ্ধান্ত নিয়ে বিতর্ক শুরু হয়েছে। অনেকে আবার ব্যক্তি স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপের অভিযোগ নিয়ে সরব হয়েছেন। চলতি মাসের ৯ জুন চিনের ঝেজিয়াং প্রদেশের একটি বেসরকারি সংস্থা একটি নির্দেশিকা জানায়, সেখানে কর্মরত এবং বিবাহিত কোনও কর্মী বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্কে জড়াতে পারবে না।
সংস্থার তরফে কর্মীদের জন্য় চারটি বিষয়ে না জড়ানোর ‘পরামর্শ’ দেওয়া হয়েছে। সেগুলি হল বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্কে জড়ানো যাবে না, উপপত্নী না রাখা, বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্কে না জড়ানো এবং স্ত্রীকে ডিভোর্স না দেওয়া। সংস্থার এক কর্মী চিনের একটি সংবাদ সংস্থায় জানিয়েছে, পরিবারে শান্তি এবং স্থিতি থাকলে তার প্রতিক্রিয়া পড়বে কর্মক্ষেত্রেও। তাই সংস্থা চায়, তাদের সব কর্মী পরিবার নিয়ে সুখে শান্তিতে থাকুক।
সম্প্রতি দক্ষিণ চিন (china) সাগরের লুজন দ্বীপের উত্তর-পশ্চিমে এক ডুবে যাওয়া যুদ্ধহাজের (War Ship) সন্ধান পেয়েছেন একদল বিজ্ঞানী। সূত্রের খবর, দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় ৮৬৪ জন অস্ট্রেলীয় সেনা নিয়ে যাওয়ার সময় সমুদ্রে ডুবে গিয়েছিল জাপানের ওই জাহাজটি। তারপর প্রায় ৮৪ বছর পর খোঁজ মিলল ওই জাহাজের, এমনটাই দাবি এক সংবাদমাধ্যমের।
এই ঘটনায় অস্ট্রেলিয়া সরকার সূত্রে খবর, সমুদ্রের ১৩ হাজার ৩২৩ ফুট নীচে জাহাজটি খুঁজে পেয়েছেন গবেষকরা। তবে মনে করা হচ্ছে, ৮৬৪ জন নন, এক হাজার জনেরও বেশি মানুষের মৃত্যু হয়েছিল এই জাহাজডুবিতে। জানা গিয়েছে, ওই জাহাজের নাম এসএস মন্টেভিডিয়ো মারু। ১৯৪২ সালে ফিলিপিন্সের কাছে সমুদ্রে ডুবে গিয়েছিল জাহাজটি। তারপর থেকেই জাহাজটির হদিস আর পাওয়া যায়নি।
এবারে জনসংখ্যার নিরিখে চিনকে (China) ছাপিয়ে গেল ভারত। বিশ্বের সবচেয়ে জনবহুল দেশের তকমা পেল ভারত। এখন থেকে চিনকে আর সবচেয়ে বেশি জনবহুল দেশ বলা যাবে না। বুধবার রাষ্ট্রসংঘের (United Nations) তরফে দেওয়া এমনই এক চমকপ্রদ তথ্যতে জানা গিয়েছে, ২০২৩ সালের মাঝ বরাবর ভারতের জনসংখ্যা চিনের থেকে ৩০ লক্ষ বেশি বৃদ্ধি পেতে চলেছে। ২০২১ সালের হিসাব অনুযায়ী, বর্তমানে ভারতের জনসংখ্যা ১৪০.৮ কোটি ও চিনের সংখ্যা ১৪১.২৪ কোটি। তবে নতুন তথ্যে জানা গিয়েছে, চলতি বছরেই চিনকে টেক্কা দিয়েছে ভারত। ফলে এখন বিশ্বের জনবহুল দেশ হল ভারত (India)।
ইউনাইটেড নেশনস পপুলেশন ফান্ডের স্টেট অফ ওয়ার্ল্ড পপুলেশন রিপোর্টে তথ্য উঠে এসেছে যে, ভারতের জনসংখ্যা বর্তমানে ১৪২.৮ কোটি আর চিনের জনসংখ্যা ১৪২.৫ কোটি। জনসংখ্যার নিরিখে তৃতীয় স্থানে রয়েছে আমেরিকা। এখানে জনসংখ্যা ৩৪ কোটি। রাষ্ট্রসংঘের তরফে যদিও তথ্য দেওয়া হয়েছে, চলতি বছরেই জনসংখ্যার নিরিখে চিনকে হারিয়ে দিয়েছে ভারত। কিন্তু এই বছরের ঠিক কোন সময়ে, কোন তারিখে আনুষ্ঠানিকভাবে ভারতকে বিশ্বের সবচেয়ে জনবহুল দেশ বলে স্বীকৃতি দেওয়া হবে, তা সমীক্ষায় উল্লেখ করা হয়নি। এই রিপোর্টে আরও উঠে এসেছে, চিনের জনসংখ্যা অনেকটাই কমতে শুরু করেছে, যার ফলে ভারত ছাপিয়ে গিয়েছে চিনকে। অন্যদিকে ২০১১ সালের পর থেকে ভারতের জনসংখ্যা বৃদ্ধিও স্থির হয়ে রয়েছে, তবে চিনের মতো সেই হারে কমে যায়নি। তাই এখন বিশ্বের জনবহুল দেশ হয়ে উঠেছে ভারত।
যদি কাজ না করেই টাকা পাওয়া যেত, এমনটা ভাবলেও কতটা ভালো লাগে, তাই তো! তবে কাজ না করেই টাকা পাবেন, এমনটা কল্পনাতেও আসে না। কারণ এমনটা হতেই পারে না। তবে চিনে এমনই এক কাণ্ড ঘটেছে। জানা গিয়েছে, চিনের এক সংস্থার কর্মী 'পেইড লিভ' পেয়েছেন তাও আবার এক-দু'মাসের জন্য নয়, এক বছরের জন্য। পেইড লিভ অর্থাৎ আপনি ছুটিতে থাকবেন, তবু আপনি আপনার বেতন পাবেন মাসের শেষে।
জানা গিয়েছে, এমনটা ঘটেছে এক লটারির জন্য। চিনের ওই সংস্থায় কর্মীদের নিয়ে একটা লটারির আয়োজন করা হয়েছিল। কাজের জন্য একঘেয়েমি জীবন, আর থেকেই মুক্তি দিতে এক গেম বা লাকি ড্র-এর আয়োজন করা হয়েছিল। সেখানেই সেই কর্মী এই পুরস্কারটি জিতেছেন। সমাজমাধ্যমে এক ছবি ভাইরাল হচ্ছে, যেখানে দেখা যাচ্ছে, এক কর্মী লাকি ড্র জিতেছেন ও তাঁর হাতে তুলে দেওয়া হচ্ছে এক বড় চেক।
তবে এই কর্মীর ভাগ্য ভালো তাই লাকি ড্র-তে এই পুরস্কারটি পেয়েছেন, তবে যাঁদের ভাগ্য তাঁদের সেদিন সঙ্গে ছিল না, তাঁরা পেনাল্টিও পেয়েছেন। যেখানে কোনও কর্মীকে একজন ওয়েটার হিসেবে কাজ করতে কিছুদিনের জন্য, অনেকে আবার দু-দিনের পেইড লিভ পেয়েছেন।
ফের দেশ-বিদেশে বাড়ছে করোনার প্রকোপ। তার মধ্যে আবার নয়া ভাইরাসের খোঁজ! তাও আবার কিনা চিনের (China) মাটিতেই। শুধু তাই নয়, H3N8 অর্থাৎ বার্ড ফ্লু'য়ের মতো ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে এক মহিলার মৃত্যুও হয়েছে সে দেশে। আর এই মৃত্যুকে ঘিরেই আতঙ্ক। ফের কি বিপদের মুখে বিশ্ব? বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা অর্থাৎ হু বলছে, বার্ড ফ্লুতে আক্রান্ত হয়ে এটাই বিশ্বের প্রথম মৃত্যু। এই ভাইরাসে আক্রান্ত হলেও মৃত্যু হয়েছে এমন কোনও রেকর্ড নেই।
ফলে এই ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মহিলার মৃত্যুর ঘটনা সামনে আসতেই নতুন করে আতঙ্ক তৈরি হয়েছে। যদিও বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার দাবি, এই স্ট্রেন মানুষের মধ্যে খুব একটা সংক্রমক নয়। ফলে এখনই এত আতঙ্কের কিছু নেই বলেই জানাচ্ছেন স্বাস্থ্য আধিকারিকরা।
এমনকি এই স্ট্রেন খুব একটা মানুষের মধ্যে সংক্রমণ ছড়ায় না বলেও জানানো হচ্ছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংগঠনের তথ্য অনুযায়ী, চিনের মাটিতে যে মহিলার মৃত্যু হয়েছে তাঁর বয়স ৫৬ বছর। দক্ষিণে গুয়াংডং প্রদেশে ওই মহিলা থাকতেন বলে জানা গিয়েছে। হু-এর তথ্য অনুযায়ী, আরও দুই ব্যক্তিকে আক্রান্ত করেছে H3N8 অর্থাৎ বার্ড ফ্লু। চিনের রোগ নিয়ন্ত্রণ ও প্রতিরোধ কেন্দ্র জানাচ্ছে, মৃত ওই মহিলা গত মাসে আক্রান্ত হয়েছিলেন। যদিও ওই মহিলার মৃত্যু নিয়ে কিছু বলা হয়নি। তবে ওই মহিলা আরও বেশ কিছু রোগে আক্রান্ত ছিলেন বলে জানা গিয়েছে।
চিনের (China) হুশিয়ারির পাল্টা জবাব স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী (Home Minister) অমিত শাহের (Amit Shah)। অমিত শাহের অরুণাচল প্রদেশ সফর নিয়ে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রককে হুঁশিয়ারি দেয় বেজিং। চিনের হুঁশিয়ারি উপেক্ষা করে অরুণাচল সফরে গেলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। সোমবার ভারত-চিন প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখা (এলএসি) লাগোয়া কিবিথুতে কেন্দ্রীয় সরকারের ‘ভাইব্র্যান্ট ভিলেজ প্রোগ্রাম’ উদ্বোধন করতে গিয়ে কড়া ভাষায় বেজিংকে জবাব দিলেন তিনি।
শাহ সোমবার বলেন, ‘আগে যে কেউ ভারতীয় ভূখণ্ডে অনুপ্রবেশ এবং জবরদখল করতে পারত। এখন ভারতীয় সূচ্যগ্র ভূখণ্ডও কেউ ছিনিয়ে নিতে পারবে না।’ এবং পাশাপাশি, ১৯৬২ সালে চিনা ফৌজের আগ্রাসনের বিরুদ্ধে অরুণাচলবাসীর অনমনীয় মনোভাবের প্রশংসা করে তিনি বলেন, ‘এই মনোভাবই সেদিন হামলাকারীদের পিছু হটতে বাধ্য করেছিল।’ ১৯৬২ সালের যুদ্ধে কিবিথুতে চিনা হামলায় নিহত ভারতীয় সেনাদের প্রতি শ্রদ্ধা প্রদর্শনও করেন শাহ।
সোমবার সকালে শাহের দু’দিনের অরুণাচল সফরের আগেই প্রতিবাদ জানিয়েছিল চিনা বিদেশ মন্ত্রক। বিবৃতিতে বলা হয়েছিল, ‘এই পদক্ষেপ (শাহের সফর) দ্বিপাক্ষিক শান্তি প্রক্রিয়ার পরিপন্থী। আমাদের আঞ্চলিক সার্বভৌমত্বে হস্তক্ষেপ বরদাস্ত করা হবে না।’ বেজিংয়ের তরফে নয়াদিল্লিকে হুঁশিয়ারি দিয়ে বলা হয়, টানাপড়েনের মধ্যে ভারত যেন সীমান্ত পরিস্থিতিকে অযথা জটিল না করে তোলে।
কিন্তু চিনা হুমকি উপেক্ষা করেই উত্তর-পূর্বাঞ্চলের ওই রাজ্যে গিয়ে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘নরেন্দ্র মোদী সরকারের আমলে ভাবনায় বদল এসেছে। কেন্দ্র এখন সীমান্তবর্তী অঞ্চলের উন্নয়নকে সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দিতে চায়। সীমান্তবর্তী গ্রামগুলি আর এখন ‘শেষ গ্রাম’ নয়, ‘প্রথম গ্রাম। এটাই ভাবনার বদল।’
তাইওয়ানের নির্দিষ্ট লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত করা শুরু করল চিন (China)। তবে এই বিষয়টিকে শুধুমাত্র মহড়া বলে দাবি করা হয়েছে। সোমবার চিনের সেনাবাহিনীর পূর্বাঞ্চলীয় থিয়েটার কম্যান্ডের তরফে একটি বিবৃতি দিয়ে জানানো হয়েছে, একাধিক এইচ-সিক্স যুদ্ধবিমান এই মহড়ায় অংশ নিয়েছে। মহড়ায় ব্যবহার করা হয়েছে দেশীয় প্রযুক্তিতে তৈরি শ্যানডং বিমানকেও। জানা গিয়েছে, গত শুক্রবার থেকেই তাইওয়ানকে ঘিরে নতুন করে নৌযুদ্ধের মহড়া শুরু করেছে চিন। বুধবারই ক্যালিফোর্নিয়ায় আমেরিকার কংগ্রেসের নিম্নকক্ষ হাউস অফ রিপ্রেজেন্টেটিভসের স্পিকার তথা রিপাবলিকান পার্টির নেতা কেভিন ম্যাকার্থির সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছিলেন তাইওয়ানের প্রেসিডেন্ট সাই ইং-ওয়েন। আর তারপরি চিনা সরকার তাইওয়ানের উপর সামরিক আস্ফালন দেখাতে শুরু করেন।
জানা গিয়েছে, গেল বছরের অগস্টে চিনের হাউস অফ রিপ্রেজেনটেটিভসের তৎকালীন স্পিকার ন্যান্সি পেলোসি তাইওয়ান সফরে গিয়েছিলেন। আর তারপরেই তাইওয়ানের পিংটন দ্বীপের অদূরে যুদ্ধের মহড়া শুরু করেছিল চিনা সেনা। তাঁরা মূলত আকাশ ও জলযুদ্ধের মহড়া চালাচ্ছিল।
তবে এক সংবাদমাধ্যম সূত্রে জানা গিয়েছে, চিনাদের যুদ্ধের এই মহড়া আগে কোনওদিন তাইওয়ানের এত কাছে হয়নি। তাই চিনা হামলা রুখতে তাইওয়ান ফৌজও প্রস্তুতি নিচ্ছে। গত আট দশক ধরেই স্বশাসিত তাইওয়ান নিজেদের স্বাধীন বলেই মনে করে। তবে কমিউনিস্ট পার্টি পরিচালিত চিনের শাসকেরা বরাবরই মনে করেন, তাইওয়ান চিনেরই অংশ।