রবিবার ছুটির দিনেও তৎপর কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা ইডি। এবারে ভিন রাজ্যের ব্যাঙ্ক প্রতারণা মামলায় রাজ্যে তল্লাশি অভিযান চালাচ্ছে ইডি। নিউটাউনের একটি ফ্ল্যাট এবং একটি অফিস, পাশাপাশি চিনারপার্কের একটি অফিসে এই মামলার তদন্তে তল্লাশি অভিযানে নামে ইডির আধিকারিকরা।
রবিবার সকাল সকাল ইডির হানা নিউটাউন এবং চিনারপার্কে। জানা যাচ্ছে, ভিন রাজ্যের ব্যাঙ্ক প্রতারণা মামলায় তল্লাশি অভিযান শহরের এই দুই জায়গাতে। নিউটাউনের গ্রিনউড কমপ্লেক্সের একটি ফ্ল্যাটে পৌঁছয় ইডি, সঙ্গে পাশে থাকা অফিসেও। স্থানীয় সূত্রে খবর, ওই ফ্ল্যাটটি ঋষি সিং নামে এক ব্যক্তির, যিনি ইমপোর্ট-এক্সপোর্টের ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত ছিলেন।
পাশাপাশি, এই একই মামলায় চিনার পার্ক সংলগ্ন একটি অফিসেও তল্লাশি চালান ইডির আধিকারিকরা। জানা গিয়েছে, চিনার পার্ক সংলগ্ন পিএস এভিয়েটর বিল্ডিংয়ের পাঁচতলার একটি অফিসে পৌঁছয় ইডির আধিকারিকরা। তবে অফিস বন্ধ থাকায় দীর্ঘক্ষণ অপেক্ষা করতে হয় ইডি আধিকারিকদের। ভিন রাজ্যের ব্যাঙ্ক প্রতারণা মামলায় নিউটাউন এবং চিনারপার্কের এই আবাসন ও অফিস থেকে কী উদ্ধার হয় এবং তদন্তের গতিবিধি কোন দিকে এগোয় এখন সেটাই দেখার।
ভয়াবহ ভূমিকম্পে কেঁপে উঠল চিন। তাসের ঘরের মতো হুড়মুড়িয়ে ভেঙে পড়ল বাড়িঘর। প্রকৃতির এই বিধ্বংসী রোষে এখনও পর্যন্ত ১১৫ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে খবর। আহত হয়েছে কমপক্ষে ২০০ জন। জানা গিয়েছে, সোমবার গভীর রাতে উত্তর-পশ্চিম চিনের গানসু এবং কিংহাই প্রদেশ কেঁপে উঠে। রিখটার স্কেলে কম্পনের মাত্রা ছিল ৬.২। ধ্বংসস্তূপের নীচে যারা আটকে পড়েছেন বহু। মঙ্গলবার সকাল থেকে উদ্ধারকাজ শুরু হয়েছে।
চিনের সরকারি সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর, স্থানীয় সময় সোমবার রাত ১২টা নাগাদ কেঁপে ওঠে গানসু এবং কিংহাই প্রদেশ। ভূকম্পের কেন্দ্রস্থল গানসু প্রদেশের রাজধানী লানঝৌ থেকে ১০০ কিমি দূরে মাটি থেকে মাত্র ১০ কিমি গভীরে।
উল্লেখ্য, আফটার শক হয় বেশ কয়েকটি জায়গায়। জোরালো এই ভূমিকম্পে চিনে জল ও বিদ্যুতের লাইনের পাশাপাশি পরিবহন ও যোগাযোগ ব্যবস্থায় ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে ব্যাপক। ভূমিকম্পে গানসু সহ কুইনঘাই প্রদেশের ভেঙে পড়ে বহু ঘর-বাড়ি। রাতে ভূমিকম্প হওয়ার সতর্কতার সুযোগ পায়নি মানুষ। ঘুমের মধ্যে ঘর বাড়ি চাপা পড়ে বহু মানুষের মৃত্য়ু হয়েছে।
করোনার (Corona) দাপট বিশ্বে সবেমাত্র কমেছে। কিন্তু এরই মাঝে চিনে ফের নয়া রোগের আতঙ্ক। 'অজানা নিউমোনিয়া' অর্থাৎ 'এইচ৯ এন২'-এ চিনে শিশুরা আক্রান্ত হতে শুরু হয়েছে। সেখানকার হাসপাতালে থিকথিকে ভিড়। এবারে এই রোগ নিয়েই উদ্বেগ প্রকাশ করল কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য পরিবার কল্যাণ মন্ত্রক। বিবৃতি দিয়ে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের তরফে জানানো হয়েছে, এখনই আতঙ্কের কিছু নেই। কারণ আপাতত এই রোগ ভারতে ছড়িয়ে পড়ার সম্ভাবনা কম। এছাড়াও জানানো হয়েছে, যে কোনও ধরনের জরুরি অবস্থার জন্য ভারত প্রস্তুত।
মূলত শিশুরাই অসুস্থ হচ্ছে এই 'অজানা নিউমোনিয়া'য়। ইনফ্লুয়েঞ্জার মতো এই 'অজানা নিউমোনিয়া' ভারতেও ছড়িয়ে পড়বে না তো, এমনই প্রশ্ন প্রত্যেক ভারতবাসীর। এবারে এই প্রশ্নের জবাবে বিবৃতি প্রকাশ করে কিছুটা স্বস্তি দিল কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রক। স্পষ্ট ভাষায় জানিয়ে দেওয়া হল, আপাতত চিনের 'অজানা নিউমোনিয়া' ভারতে ছড়িয়ে পড়ার কোনও লক্ষণ নেই। শুক্রবার কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের তরফে জানানো হয়, চিনে শিশুদের মধ্যে ছড়িয়ে পড়া ফুসফুসের সংক্রমণ ও এইচ৯এন২ সংক্রমণের উপরে কড়া নজর রাখা হচ্ছে। ভারতে এই সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ার সম্ভাবনা খুবই কম। তবে বর্তমান পরিস্থিতির উপরে নজর রেখে ভারত যেকোনও পরিস্থিতির সঙ্গেই লড়াই করতে প্রস্তুত।
সারা বিশ্বে করোনার (Corona) দাপট আপাতত কমেছে, মানুষ ফের স্বাভাবিকভাবে জীবনযাপন করতে শুরু করেছে। কিন্তু এরই মধ্যে ফের এক রহস্যজনক রোগের প্রকোপ শুরু হল। আর এবারও এর শুরু চিন থেকেই। 'অজানা নিউমোনিয়া' বলেই উল্লেখ করা হচ্ছে এই রোগকে। জানা গিয়েছে, মূলত শিশুরাই অসুস্থ হচ্ছে এতে। ইতিমধ্যেই এই রোগের জন্য স্থানীয় স্কুলগুলি বন্ধ রাখা হয়েছে।
আন্তর্জাতিক সংবাদসংস্থা সূত্রে খবর, 'অজানা' এই নিউমোনিয়া রোগ মূলত বেজিং এবং লিয়াওনিং প্রদেশের স্কুলপড়ুয়াদের মধ্যে ছড়িয়েছে। এই দুই জায়গায় শিশু হাসপাতালগুলি নিউমোনিয়া আক্রান্ত শিশুতে ভরে গিয়েছে। ১২ নভেম্বর এক সাংবাদিক বৈঠক করে চিনের ন্যাশনাল হেলথ কমিশন সম্ভবত প্রথমবারের মতো বাড়তে থাকা শ্বাসকষ্টজনিত সমস্যা নিয়ে দুশ্চিন্তা প্রকাশ করেছিল। হাসপাতালগুলিতে অজানা নিউমোনিয়া রোগে আক্রান্ত শিশুদের ভিড় উপচে পড়ছে বলে দাবি।
জানা গিয়েছে, অজানা রোগে আক্রান্ত শিশুদের মূলত জ্বর হচ্ছে, ফুসফুসে সংক্রমণ দেখা দিচ্ছে, শ্বাসকষ্ট হচ্ছে। তবে শিশুদেরই এই রোগ হচ্ছে। প্রাপ্তবয়স্কদের মধ্যে সেভাবে ছড়াচ্ছে না রোগটি। কিন্তু এই রোগে এখনও পর্যন্ত কোনও রোগীমৃত্যুর কোনও খবর আসেনি বলেই জানা গিয়েছে। অজানা এই নিউমোনিয়া নিয়ে ইতিমধ্যেই উদ্বেগ প্রকাশ করেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বা 'হু'।
মঙ্গলবার এশিয়ান গেমসের প্রথম ম্যাচে নামছে ভারত। হ্যাংঝৌকে তাঁদের মুখোমুখি ঘরের টিম চিন। এই ম্যাচে জিতেই এশিয়ান গেমসের অভিযান শুরু করতে চাইছে সুনীল ব্রিগেড। তবে প্রথম ম্যাচে সুনীলকে নাও খেলাতে পারেন কোচ ইগর স্টিম্যাচ। সাংবাদিক বৈঠকে জানিয়ে দিলেন ইগর স্টিম্যাচ।
এবার আইএসএলের পাশাপাশি একই সঙ্গে আইএসএল চলবে। তাই এশিয়ান গেমসে অনেক দলই টিমের ফুটবলারদের ছাড়েনি। সন্দেশ ঝিঙ্ঘানকে চেয়েছিলেন ইগর স্টিমাচ। সন্দেশ আসলেও, পাওয়া যায়নি গোলকিপার গুরপ্রিত সিংকেও।
এশিয়ান গেমসে চিন, বাংলাদেশ, ও মায়ানমারের বিরুদ্ধে নামবে ভারত। সাংবাদিক বৈঠকে স্টিম্যাচ বলেন, "প্রথম ম্যাচে যদি সুনীল বা সন্দেশকে না নামাই, তা হলে অবাক হওয়ার কিছু নেই। আমি চিন ম্যাচ নিয়ে ভাবছি না। বাংলাদেশ ও মায়ানমার টিম নিয়েই চিন্তা আছে আমার।"
জি-২০ শীর্ষ সম্মেলনে (G 20 Summit) আসছেন না চিনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং (Xi Jinping), সূত্রের খবর, এবারে সরকারিভাবে জানাল বেজিং (Beijing)। প্রত্য়াশিতই ছিল যে, শি জিনপিং-এর বদলে ভারতে আসতে পারেন লি কিয়াং। সেই প্রত্যাশাই সত্যি হল। সব জল্পনার অবসান করে অবশেষে চিনা বিদেশ মন্ত্রক থেকে বিবৃতি করে জানিয়ে দেওয়া হল জি-২০ সম্মেলনের জন্য ভারতে আসছেন না শি জিনপিং। বরং চিনের প্রতিনিধিত্ব করতে আসছেন লি কিয়াং (Li Qiang)।
এ বছর আসন্ন জি-২০ সম্মেলনের আয়োজক দেশ হল ভারত। ৯ ও ১০ সেপ্টেম্বরেই হবে এই সম্মেলন। ফলে নয়া দিল্লিতে জি-২০ সম্মেলনের জন্য প্রস্তুতিও তুঙ্গে। আর তার আগেই এল এই খবর। এর আগেও জানা গিয়েছে, এই সম্মেলনে আসতে পারবেন না রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। তাঁর বদলে আসবেন সারজেই লাভরোভ। পুতিন নিজেই প্রধানমন্ত্রী মোদীকে ফোন করে জানিয়েছিলেন যে, তিনি জি-২০ সম্মেলনে যোগ দিতে পারবেন না। কিন্তু তিনি জানিয়েছিলেন, ভারতের প্রতিটি পদক্ষেপে তাঁর সমর্থন থাকবে। আর এবারে চিনা প্রেসিডেন্টের অনুপস্থিতির শিলমোহর দিল চিনা বিদেশ মন্ত্রক।
তবে শি জিনপিং পুতিনের মতো প্রধানমন্ত্রী মোদীকে ফোন করে জানাননি চিনা প্রেসিডেন্ট। এমনকি তিনি কেন যোগ দেবেন না জি-২০ সম্মেলনে, তার কারণও স্পষ্ট নয়। ফলে তাঁর না আসা নিয়ে কূটনৈতিক মহলে জল্পনা তুঙ্গে।
রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের (Vladimir Putin) পর এবারে চিনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং (Xi Jinping)! জি-২০ শীর্ষ সম্মেলনের (G20 Summit) জন্য ভারতে আসছেন না শি জিনপিং। এমনটাই সূত্রের খবর। আগামী সপ্তাহে নয়াদিল্লিতে (New Delhi) অনুষ্ঠিত হতে চলেছে জি-২০ শীর্ষ সম্মেলন, আর সেখানেই সম্ভবত উপস্থিত থাকবেন না চিনের রাষ্ট্রপতি শি জিনপিং। এর আগে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন না আসার কথা বলেছিলেন। আর এবারে সংবাদসংস্থা রয়টার্স সূত্রের মাধ্যমে চিনা প্রেসিডেন্টের কথা জানা গিয়েছে। তবে এখনও সরকারি ভাবে এই নিয়ে চিন ও ভারতের তরফ থেকে কিছু জানানো হয়নি।
এবার জি-২০ সম্মেলনের সভাপতিত্ব করছে ভারত। জি-২০ সম্মেলনের বৈঠক হতে চলেছে নয়া দিল্লিতে। আগামী ৯ ও ১০ সেপ্টেম্বর এই বৈঠক হবে। ঠিক রয়েছে যে, জি-২০ সম্মেলনে যোগ দিতে ভারতে আসছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন, ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইম্যানুয়েল ম্যাক্রঁ, কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো থেকে শুরু করে আরও তাবড় তাবড় রাষ্ট্রনেতারা। জি-২০ সম্মেলনে যোগ দেওয়ার কথা ছিল চিনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং ও রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট পুতিনেরও। কিন্তু এর আগে পুতিন নিজেই মোদীকে ফোন করে জানিয়েছেন, তাঁর পরিবর্তে প্রতিনিধিত্ব করতে আসবেন বিদেশমন্ত্রী সারজেই লাভরোভ।
আর এরপরেই বৃহস্পতিবার খবরে এসেছে, জি-২০ সম্মেলনে যোগ দেবেন না জিনপিং। তাঁর বদলে চিনা প্রিমিয়ার লি কিউয়াং প্রতিনিধিত্ব করবেন। যদিও ভারত ও চিনের বিদেশ মন্ত্রকের তরফে এখনও এই বিষয়ে কোনও মন্তব্য করা হয়নি।
একাধিকবার চিনারা ভারতের বিভিন্ন অংশকে নিজেদের বলে দাবি করেছে। আর এই নিয়ে সংঘাত লেগেই রয়েছে। কিন্তু সম্প্রতি চিনের তরফে একটি মানচিত্র প্রকাশ করা হয়েছে, যা নিয়ে নতুন করে বিতর্কের সৃষ্টি হয়েছে। চিনের নতুন মানচিত্রে দেখা গিয়েছে, ভারতের অরুণাচলপ্রদেশ, আকসাই চিন, তাইওয়ান ও দক্ষিণ চিন সাগরকে চিনের অংশ বলে দাবি করা হয়েছে। আর সেই পোস্ট ভাইরাল হতেই ভারতও এর প্রতিবাদ করেছে ও কড়া প্রতিক্রিয়া দিয়েছে। আর এবারে চিনের তরফেও দেওয়া হল 'সাফাই'। চিনকে এই মানচিত্রকে 'স্যান্টার্ড ম্যাপ' উল্লেখ করেছে ও এটিকে 'রুটিন এক্সাইসাইজ' বলে দাবি করেছে।
চিনের মানচিত্র নিয়ে বিতর্ক যখন তুঙ্গে, সেসময় চিনের চিনের তরফে পাল্টা বার্তা দেওয়া হল। সে দেশের বিদেশমন্ত্রকের মুখপাত্র ওয়াং ওয়েন বিন জানিয়েছেন, চিন তাঁদের স্ট্যান্ডার্ড ম্যাপ প্রকাশ করেছে। আর তা আইন মেনেই করা হয়েছে। প্রতিবারই তা করা হয় বলেও দাবি তাঁর। এই বিষয় নিয়ে অতিরিক্ত চিন্তা করার প্রয়োজন নেই বলেও মন্তব্য ওয়াং ওয়েন বিনের। পাশাপাশি তাঁর দাবি, সব পক্ষ যেন এ ব্যাপারে শান্ত থাকে।
উল্লেখ্য, ভারতের তরফে এই ঘটনার তীব্র প্রতিবাদ করা হয় বলে জানান বিদেশমন্ত্রকের মুখপাত্র অরিন্দম বাগচি। ভারত চিনের দাবিকে প্রত্যাখ্যান করেছে বলেও মন্তব্য করেন তিনি। বিদেশমন্ত্রকের মুখপাত্রের কথায়, এর কোনও ভিত্তি নেই। এই ধরনের দাবি সীমানা প্রশ্নের সমাধানকে আরও জটিল করে তুলবে বলেও মন্তব্য করেন অরিন্দম বাগচি।
Our response to media queries on the so called 2023 “standard map” of China:https://t.co/OZUwNRNrit pic.twitter.com/sAmy20DEa6
— Arindam Bagchi (@MEAIndia) August 29, 2023
অরুণাচলপ্রদেশকে (Arunachal Pradesh) ফের একবার নিজেদের বলে দাবি করে নতুন মানচিত্র প্রকাশ করেছিল চিন। আকসাই চিনকেও (Aksai Chin) চিনের (China) অংশ বলে দাবি করা হয়। আর এই নিয়েই শুরু হয়েছে বিতর্ক। তবে এর উত্তরেও উপযুক্ত জবাব দিয়েছে ভারত (India)। অরুণাচলপ্রদেশ দেশের 'অখণ্ড ও অবিচ্ছেদ্য অংশ আছে, ছিল ও থাকবে' বলে জানিয়েছে ভারত। কিন্তু এরই মাঝে আরও এক তথ্য প্রকাশ্যে এসেছে, যা নিয়ে বিতর্ক তুঙ্গে। জানা গিয়েছে, আকসাই চিন উপত্যকার কাছে সুড়ঙ্গ তৈরি করছে লাল ফৌজ। আর সেই ছবি উপগ্রহের তোলা চিত্রে ধরা পড়েছে।
সেই চিত্রে দেখা যাচ্ছে, উত্তর লাদাখ থেকে ৬০ কিমি পূর্বে ডেপসাং অঞ্চলে মাটিতে গর্ত খুঁড়ে সুড়ঙ্গ তৈরি করছে চিনা সেনা। সেখানকার সরু নদী উপত্যকায় তৈরি করছে সেনা ছাউনি। ওই অঞ্চলটি আকসাই চিনের অন্তর্গত। প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখার খুব কাছেই এই কাজ করছে চিন। শুধু তাই নয়, ওই অঞ্চলে নদীর দুই পারে অন্তত ১১টি সুড়ঙ্গের খোঁজ মিলেছে। গত কয়েক মাস ধরেই এখানে চিন ঘাঁটি বানাচ্ছে বলে জানা যাচ্ছে। বিশেষজ্ঞ মহলের দাবি, ওই সুড়ঙ্গগুলিতে বিপুল পরিমাণ অস্ত্র মজুত করে রাখার পরিকল্পনা করছে লাল ফৌজ।
ফের চিনের (China) দখলদারির চেষ্টা! এবারে ভারতের বিস্তীর্ণ অঞ্চলকে নিজেদের জায়গা বলে নতুন ম্যাপ প্রকাশ করল চিন। সোমবার ২০২৩-এর স্ট্যান্ডার্ড ম্যাপ প্রকাশ করে চিন। যেখানে দেখা যাচ্ছে, অরুণাচলপ্রদেশ, আকসাই চিন, তাইওয়ান, সাউথ চিন সাগরের বিতর্কিত অংশকে নিজেদের বলে দাবি করে নতুন মানচিত্র প্রকাশ করেছে চিন।
জানা গিয়েছে, চিনের মিনিস্ট্রি অব ন্যাচারাল রিসোর্স বা প্রাকৃতিক সম্পদ মন্ত্রকের তরফ থেকে একটি মানচিত্র প্রকাশ করা হয়েছে, যেখানে দেখা যাচ্ছে, অরুণাচল প্রদেশ ও আকসাই চিনের একটা বড় অংশ নিজেদের ভূখণ্ড বলে দাবি করেছে চিন। শুধু তাই নয়, তাইওয়ান ও দক্ষিণ চিন সাগরের বিতর্কিত অংশকেও নিজেদের বলে দাবি করা হয়েছে। ২০২৩ সালের এডিশন অনুযায়ী চিনের স্ট্যান্ডার্ড ম্যাপ প্রকাশ করা হয়েছে দেশের প্রাকৃতিক সম্পদ মন্ত্রকের ওয়েবসাইটে। এক্স হ্যান্ডেলে (টুইটার) গ্লোবাল টাইমসের একটি পোস্টেও এই বিষয়টি তুলে ধরা হয়েছে। যা এখন রীতিমতো ভাইরাল। আর এই নিয়েই বিতর্ক তুঙ্গে।
তবে এই পোস্ট ভাইরাল হওয়ার পর থেকেই ভারতের তরফেও যোগ্য জবাব দেওয়া হয়েছে। জানা গিয়েছে, ভারতের তরফে বারংবার জানানো হয়েছে, 'অরুণাচলপ্রদেশ সবসময় ভারতের এক অখণ্ড ও অবিচ্ছেদ্য অংশ ছিল, আছে ও থাকবে।'
কিছুদিন আগেই এক অনুষ্ঠানে জনগণের উদ্দেশে বক্তৃতা দিতে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী (Narendra Modi) জানিয়েছিলেন, বিজেপি ফের ক্ষমতায় ফিরলে ভারত (India) বিশ্বের তৃতীয় বৃহত্তম অর্থনৈতিক দেশ (Indian Economy) হবে। তিনি এও জানিয়েছিলেন যে, কেন্দ্রে বিজেপি সরকার দ্বিতীয়বার ক্ষমতায় আসায় বর্তমানে ভারতের স্থান বৃহত্তম অর্থনৈতিক দেশগুলির মধ্যে পাঁচ নম্বরে আছে। তবে খুব শীঘ্রই এক থেকে তিন নম্বরের তালিকায় চলে আসবে ভারত। এবার তারই 'প্রমাণ' ফের একবার দেখা গেল। সূত্রের খবর, সম্প্রতি এক মার্কিন সংস্থা জানিয়েছে, ভারতের অর্থনীতিতে উন্নয়ন হচ্ছে ও আগামীতেও হবে। কারণ আর্থিক বৃদ্ধির নিরিখে ভারত 'ইক্যুয়াল ওয়েট' থেকে 'ওভার ওয়েট' (Over Weight) স্তরে উন্নীত হয়েছে।
ভারতের আর্থিক অবস্থা নিয়ে এবারে বড়সড় তথ্য প্রকাশ্যে আনল মার্কিন সংস্থা 'মর্গ্যান স্ট্যানলি'। আমেরিকার প্রখ্যাত আর্থিক পরিষেবা প্রদানকারী সংস্থা 'মর্গ্যান স্ট্যানলি' এক বিবৃতি দিয়ে জানিয়েছে, ভারত আর্থিক বৃদ্ধির নিরিখে 'ইক্যুয়াল ওয়েট' অর্থাৎ সমান স্তর থেকে 'ওভার ওয়েট' স্তরে পৌঁছে গিয়েছে। এর অর্থ হল, ভবিষ্যতে ভারতের অর্থনৈতিক দিক আরও উন্নত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
এছাড়াও মার্কিন সংস্থার রিপোর্টে জানানো হয়েছে, চিনের অর্থনীতিতে নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে। আর এই প্রভাব ভবিষ্যতে আরও পড়বে বলে জানা গিয়েছে। তাই চিনকে 'ওভার ওয়েট' স্তর থেকে নামানো হয়েছে। ফলে এবারে এক্ষেত্রে চিনকেও টপকে গেল ভারত।
ভয়াবহ বিস্ফোরণ (Explosion)। রেস্তরাঁয় গ্যাস সিলিন্ডার ফেটে অগ্নিকাণ্ড। এই ঘটনায় অগ্নিদগ্ধ হয়ে মৃত্যু (Death) হল কমপক্ষে ৩১ জনের। বুধবার রাতে এই ঘটনাটি ঘটেছে চিনের (China) ফুইয়াং নামের একটি বারবিকিউ রেস্তোরাঁতে। বিস্ফোরণের পরই উদ্ধারকাজে ছুটে আসে বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী। আহত ও নিহত সবাইকে উদ্ধার করে নিয়ে যাওয়া হয় হাসপাতালে। এই ঘটনার খবর পেয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে আসেন চিনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং। তিনি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে দ্রুত চিকিৎসা করার নির্দেশও দেন।
এক সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন থেকে জানা গিয়েছে, ‘ড্র্যাগন বোট ফেস্টিভ্যাল’ উপলক্ষে আশেপাশের আর পাঁচটি রেস্তরাঁয় মতোই ফুইয়াং নামের একটি বারবিকিউ রেস্তোরাঁতেও ভিড় জমিয়েছিলেন মানুষ। সেই সময়ই এই বিস্ফোরণের ঘটনাটি ঘটে।
এক সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন থেকে আরও জানা গিয়েছে, আহতদের মধ্যে সাত জন গুরুতর জখম হয়েছেন। এমনকি ওই সাত জনের মধ্যে এক জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। এছাড়াও দু'জনের শরীরের বড় অংশ ভয়ানকভাবে পুড়ে গিয়েছে এবং দু'জন বিস্ফোরণের পর কাচ বিঁধে আহত হয়েছেন। আহতরা সবাই এখন হাসপাতালে চিকিৎসারত। তবে এই ঘটনায় মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে, অনুমান প্রশাসনের।
বিয়ের (Marriage) পর বিবাহ জীবন সকলের সুখের হয় না। এরফলে অনেকেই বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন। আবার অনেকে অন্য কোনও কারণে। তবে বিয়ের পরে বিবাহবহির্ভূত সম্পর্কে জড়ালে থাকবে না চাকরি। এমনটা আগে শোনা যায়নি। সম্প্রতি চিনের (China) একটি বেসরকারি সংস্থা কর্মচারীদের জন্য এমনই নির্দেশ জারি করেছে।
ওই সংস্থার তরফে বলা হয়েছে, কর্পোরেট সংস্কৃতিতে পরিবারের প্রতি দায়বদ্ধ থাকা উচিত। তাহলে কর্মক্ষেত্রেও সুশ্রী পরিবেশ বজায় থাকবে বলে মনে করছে সংস্থাটি। ইতিমধ্যে এই সংস্থার সিদ্ধান্ত নিয়ে বিতর্ক শুরু হয়েছে। অনেকে আবার ব্যক্তি স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপের অভিযোগ নিয়ে সরব হয়েছেন। চলতি মাসের ৯ জুন চিনের ঝেজিয়াং প্রদেশের একটি বেসরকারি সংস্থা একটি নির্দেশিকা জানায়, সেখানে কর্মরত এবং বিবাহিত কোনও কর্মী বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্কে জড়াতে পারবে না।
সংস্থার তরফে কর্মীদের জন্য় চারটি বিষয়ে না জড়ানোর ‘পরামর্শ’ দেওয়া হয়েছে। সেগুলি হল বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্কে জড়ানো যাবে না, উপপত্নী না রাখা, বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্কে না জড়ানো এবং স্ত্রীকে ডিভোর্স না দেওয়া। সংস্থার এক কর্মী চিনের একটি সংবাদ সংস্থায় জানিয়েছে, পরিবারে শান্তি এবং স্থিতি থাকলে তার প্রতিক্রিয়া পড়বে কর্মক্ষেত্রেও। তাই সংস্থা চায়, তাদের সব কর্মী পরিবার নিয়ে সুখে শান্তিতে থাকুক।
সম্প্রতি দক্ষিণ চিন (china) সাগরের লুজন দ্বীপের উত্তর-পশ্চিমে এক ডুবে যাওয়া যুদ্ধহাজের (War Ship) সন্ধান পেয়েছেন একদল বিজ্ঞানী। সূত্রের খবর, দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় ৮৬৪ জন অস্ট্রেলীয় সেনা নিয়ে যাওয়ার সময় সমুদ্রে ডুবে গিয়েছিল জাপানের ওই জাহাজটি। তারপর প্রায় ৮৪ বছর পর খোঁজ মিলল ওই জাহাজের, এমনটাই দাবি এক সংবাদমাধ্যমের।
এই ঘটনায় অস্ট্রেলিয়া সরকার সূত্রে খবর, সমুদ্রের ১৩ হাজার ৩২৩ ফুট নীচে জাহাজটি খুঁজে পেয়েছেন গবেষকরা। তবে মনে করা হচ্ছে, ৮৬৪ জন নন, এক হাজার জনেরও বেশি মানুষের মৃত্যু হয়েছিল এই জাহাজডুবিতে। জানা গিয়েছে, ওই জাহাজের নাম এসএস মন্টেভিডিয়ো মারু। ১৯৪২ সালে ফিলিপিন্সের কাছে সমুদ্রে ডুবে গিয়েছিল জাহাজটি। তারপর থেকেই জাহাজটির হদিস আর পাওয়া যায়নি।
এবারে জনসংখ্যার নিরিখে চিনকে (China) ছাপিয়ে গেল ভারত। বিশ্বের সবচেয়ে জনবহুল দেশের তকমা পেল ভারত। এখন থেকে চিনকে আর সবচেয়ে বেশি জনবহুল দেশ বলা যাবে না। বুধবার রাষ্ট্রসংঘের (United Nations) তরফে দেওয়া এমনই এক চমকপ্রদ তথ্যতে জানা গিয়েছে, ২০২৩ সালের মাঝ বরাবর ভারতের জনসংখ্যা চিনের থেকে ৩০ লক্ষ বেশি বৃদ্ধি পেতে চলেছে। ২০২১ সালের হিসাব অনুযায়ী, বর্তমানে ভারতের জনসংখ্যা ১৪০.৮ কোটি ও চিনের সংখ্যা ১৪১.২৪ কোটি। তবে নতুন তথ্যে জানা গিয়েছে, চলতি বছরেই চিনকে টেক্কা দিয়েছে ভারত। ফলে এখন বিশ্বের জনবহুল দেশ হল ভারত (India)।
ইউনাইটেড নেশনস পপুলেশন ফান্ডের স্টেট অফ ওয়ার্ল্ড পপুলেশন রিপোর্টে তথ্য উঠে এসেছে যে, ভারতের জনসংখ্যা বর্তমানে ১৪২.৮ কোটি আর চিনের জনসংখ্যা ১৪২.৫ কোটি। জনসংখ্যার নিরিখে তৃতীয় স্থানে রয়েছে আমেরিকা। এখানে জনসংখ্যা ৩৪ কোটি। রাষ্ট্রসংঘের তরফে যদিও তথ্য দেওয়া হয়েছে, চলতি বছরেই জনসংখ্যার নিরিখে চিনকে হারিয়ে দিয়েছে ভারত। কিন্তু এই বছরের ঠিক কোন সময়ে, কোন তারিখে আনুষ্ঠানিকভাবে ভারতকে বিশ্বের সবচেয়ে জনবহুল দেশ বলে স্বীকৃতি দেওয়া হবে, তা সমীক্ষায় উল্লেখ করা হয়নি। এই রিপোর্টে আরও উঠে এসেছে, চিনের জনসংখ্যা অনেকটাই কমতে শুরু করেছে, যার ফলে ভারত ছাপিয়ে গিয়েছে চিনকে। অন্যদিকে ২০১১ সালের পর থেকে ভারতের জনসংখ্যা বৃদ্ধিও স্থির হয়ে রয়েছে, তবে চিনের মতো সেই হারে কমে যায়নি। তাই এখন বিশ্বের জনবহুল দেশ হয়ে উঠেছে ভারত।