লোকসভা নির্বাচনের আগে রাজ্য প্রশাসনে ফের বড়সড় রদবদল করা হল। রাজ্যের নতুন স্বরাষ্ট্র সচিব হলেন নন্দিনী চক্রবর্তী। আর রাজ্যের নতুন মুখ্যসচিব হলেন বিপি গোপালিকা। আজ অর্থাৎ রবিবারই বর্তমান মুখ্যসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদী কর্মজীবন থেকে অবসর নেওয়ায় গোপালিকাকে এই দায়িত্ব দেওয়া হল। বিদায়ী মুখ্যসচিবকে মুখ্যমন্ত্রীর অর্থনৈতিক উপদেষ্টা করা হয়েছে। অন্যদিকে এর আগে নন্দিনী চক্রবর্তী রাজ ভবনের সচিব থাকার সময় একাধিক বিতর্কের সৃষ্টি হয়েছিল। তবে অবশেষে তাঁকেই স্বরাষ্ট্রসচিব করা হল।
এর আগে রাজ্যের স্বরাষ্ট্রসচিবের পদে ছিলেন বিপি গোপালিকা। ফলে তিনিই যে পরবর্তীতে মুখ্যসচিব হতে চলেছেন, তা জানাই গিয়েছিল। আজ অর্থাৎ রবিবার আনুষ্ঠানিকভাবে নবান্নে দায়িত্বভার নিলেন বিপি গোপালিকা।
কিন্তু রাজ্যে স্বরাষ্ট্রসচিবের দায়িত্বভার নন্দিনী চক্রবর্তীর হাতে তুলে দেওয়ার ক্ষেত্রে বেশ চমক ছিল। তিনি পর্যটন দফতরের সচিবের দায়িত্বে ছিলেন। ১৯৯৪ ব্যাচের আইএএস নন্দিনী চক্রবর্তী। তাঁকে নিয়ে বিতর্ক কম ছিল না। রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসের সচিব পদ থেকেও সরিয়ে দেওয়া হয়েছিল তাঁকে। সেই নন্দিনী চক্রবর্তীকেই এবার রাজ্যের স্বরাষ্ট্রসচিব হিসেবে ঘোষণা করল সরকার। পর্যটন দফতরের দায়িত্বও তাঁর হাতেই থাকছে। নন্দিনী চক্রবর্তীই রাজ্যের প্রথম মহিলা স্বরাষ্ট্রসচিব হলেন।
রাজ্যের ডেঙ্গি পরিস্থিতি নিয়ে রীতিমতো উদ্বিগ্ন নবান্ন। মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে সোমবার জেলাশাসকদের সঙ্গে জরুরি বৈঠক করেন মুখ্যসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদী। সঙ্গে ছিলেন স্বাস্থ্য দফতরের একাধিক আধিকারিক। নবান্ন সূত্রে খবর ডেঙ্গি মোকাবিলায় কয়েকটি নতুন রূপরেখা তৈরি করা হয়েছে। পাশাপাশি ডেঙ্গি মোকাবিলার সঙ্গে যুক্ত সমস্ত কর্মীদের ছুটি বাতিল করা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।
জানা গিয়েছে, কলকাতা সহ জেলাগুলিতে যেসব ওয়ার্ডে ডেঙ্গির প্রকোপ বেশি হয়েছে সেই সব ওয়ার্ডের কাউন্সিলরদের সঙ্গে বৈঠক করবেন জেলাশাসকরা। কোথাও জল জমলে তা বের করার জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে হবে পুলিশকে। পাশাপাশি ডেঙ্গি দমনেও পঞ্চায়েতগুলিকেও সঠিক পদক্ষেপ নিতে হবে।
মোটের উপর ডেঙ্গি নিয়ে যে কপালে চিন্তার ভাঁজ পড়েছে রাজ্য স্বাস্থ্য দফতরের সেটা স্পষ্ট। ইতিমধ্যে রাজ্যে ডেঙ্গির গ্রাফ বৃদ্ধি পেয়ে প্রায় ৪০ হাজারের কাছে পৌঁছেছে। এছাড়া সূত্রের খবর, প্রতিদিন বহু মানুষ ডেঙ্গি আক্রান্তের বৃদ্ধি পাচ্ছে। ডেঙ্গি আক্রান্ত হয়ে ইতিমধ্যেই ৪৬ জনৰৰ মৃত্যু হয়েছে। এ অবস্থায় ডেঙ্গির রাশ টানতে স্বাস্থ্য দফতরের আধিকারিকদের সঙ্গে উচ্চ পর্যায়ের বৈঠকে মুখ্যসচিব। আর এই বৈঠকেই ঠিক করে দেওয়া হয়েছে রূপরেখা।
রাজ্যের ডেঙ্গি পরিস্থিতি নিয়ে খুবই উদ্বিগ্ন নবান্ন। সেকারণে মুখ্যসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদীকে এবিষয়ে দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়ার নির্দেশ দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশ মতো জেলাশাসক, স্বাস্থ্য ভবনের কর্তা ও আধিকারিকদের সঙ্গে বৈঠক করেন মুখ্যসচিব। বৈঠকে জারি করা হয়েছে একাধিক নির্দেশিকা।
মুখ্যসচিবের নির্দেশ, যে সমস্ত মিউনিসিপ্যালিটি এলাকায় ডেঙ্গি সংক্রমণ বাড়ছে সেই সমস্ত মিউনিসিপ্যালিটি এলাকার কাউন্সিলরদের সঙ্গে জেলাশাসকদের বৈঠক করতে হবে। ডেঙ্গি সংক্রমণ আটকানোর জন্য পুলিস প্রশাসনকেও যুক্ত করতে হবে। জমা জল বের করার জন্য কমিশনার অফ পুলিস এবং পুলিস সুপারদের প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণের নির্দেশ দিয়েছে।
এছাড়াও ডেঙ্গি মোকাবিলার সঙ্গে যুক্ত সমস্ত সরকারি আধিকারিক ও কর্মচারীদের ছুটি বাতিলের সিদ্ধান্ত নিল বৈঠকে। ডেঙ্গি পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের জন্য গ্রামাঞ্চলের পঞ্চায়েতগুলির জন্য মাইক্রোপ্ল্যান তৈরি করারও পরিকল্পনা রয়েছে। রোগীদের চিকিৎসার জন্য তৈরি করা হচ্ছে এসওপি। ডেঙ্গি সংক্রমণ নিয়ে সঠিক ও যথাযথ ডেটা এন্ট্রি করার নির্দেশ সরকারি হাসপাতালগুলিকে।
উল্লেখ্য, চলতি সপ্তাহেই ডেঙ্গি সংক্রমণ আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করছে নবান্ন।শহর ছাড়াও গ্রামাঞ্চলেও ডেঙ্গি ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন মুখ্যসচিব। গ্রাম অঞ্চলের বাজার, হাটগুলি পরিষ্কার করার প্রতি বিশেষ জোর দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যসচিব।
কলকাতা সহ একাধিক জেলায় ডেঙ্গি আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে। হাসপাতালগুলিতে রোগীর সংখ্যা দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। সূত্রের খবর, রাজ্যে দৈনিক প্রায় ২৫০ থেকে ৩০০ জন করে ডেঙ্গিতে আক্রান্ত হচ্ছেন। এদিকে কয়েকদিন ধরে ভারী বৃষ্টি হওয়ায় ডেঙ্গি আক্রান্তের সংখ্যা বৃদ্ধি পাওয়ার আশঙ্কা করছেন বিশেষজ্ঞরা। আর সেকারণে এই পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতেই ওই বৈঠক করছেন মুখ্যসচিব।
শুধু শহরাঞ্চল নয়, গ্রামীণ অংশেও ডেঙ্গি বাড়ছে লাফিয়ে লাফিয়ে। ইতিমধ্যে রাজ্য সরকারের তরফে বেশ কিছু এলাকাকে ডেঙ্গি হটস্পট হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। ডেঙ্গি মোকাবিলায় ইতিমধ্যে গ্রামীণ হাসপাতালগুলিতে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে। ডেঙ্গি মোকাবিলায় সচেতনতা বৃদ্ধির দিকেও নজর দেওয়া হয়েছে। বিভিন্ন এলাকায় প্রচার চালানো হচ্ছে।
মেয়াদ বৃদ্ধি রাজ্যের মুখ্যসচিব (Chief secretary) হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদীর (Hari Krishna Dwivedi)। সূত্রের খবর, মুখ্যসচিব হিসেবে তাঁর মেয়াদ আরও ছ’মাস বাড়িয়ে দিল কেন্দ্রীয় সরকার (Central Goverment)। শুক্রবারই তাঁর কর্মজীবনের শেষদিন ছিল। বৃহস্পতিবার পর্যন্ত মেয়াদবৃদ্ধি সংক্রান্ত চিঠি না-আসায় প্রশাসনিক মহল খানিকটা উদ্বেগে ছিল। কিন্তু তার সঙ্গেই আশাবাদীও ছিল যে, শুক্রবার দিন শেষের আগেই ওই সংক্রান্ত কেন্দ্রীয় ছাড়পত্র এসে যাবে। বাস্তবেও তেমনই ঘটেছে। দ্বিবেদীর মেয়াদ বেড়ে যাওয়ার ফলে পঞ্চায়েত ভোটের আগে রাজ্য প্রশাসনে কোনও রদবদল প্রয়োজন হচ্ছে না। সেদিক দিয়ে আশ্বস্ত মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও। কারণ, প্রশাসনে দ্বিবেদী তাঁর ‘আস্থাভাজন’ বলেই পরিচিত।
মুখ্যসচিব পদে তাঁর মেয়াদবৃদ্ধি হবে কি না, তা নিয়ে দোলাচলে ছিলেন দ্বিবেদীও। গত কয়েকদিন তিনি সে ভাবে কারও সঙ্গে কথাও বলেননি। যখন দ্বিবেদীর মেয়াদ না-বাড়লে গোপালিকার নামই পরবর্তী মুখ্যসচিব হিসেবে সবচেয়ে আগে বিবেচিত হচ্ছিল।
প্রসঙ্গত, দ্বিবেদীর মেয়াদ যাতে না-বাড়ে, তার জন্য বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী দিল্লি গিয়ে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহকে অনুরোধ করেছিলেন। তিনি যে দ্বিবেদীর ‘পক্ষে’ নন, তা একাধিক বার প্রকাশ্যেই জানিয়েছেন শুভেন্দু। বিবিধ অধিযোগও তিনি এনেছিলেন দ্বিদেবীর বিরুদ্ধে। এবং তা-ও প্রকাশ্যেই।
যৌন ব্যবসার (Sex Racket) সঙ্গে যুক্ত খোদ আন্দামান ও নিকোবর দ্বীপপুঞ্জের (Andaman and Nicobar) প্রাক্তন মুখ্যসচিব (Former Chief Secretary) জিতেন্দ্র নারাইন। এমনটাই অভিযোগ উঠল তাঁর বিরুদ্ধে। পোর্ট ব্লেয়ারের নিজের বাড়িতে অসংখ্য, অন্তত ২০ জন মহিলা এনে যৌন ব্যবসা চালাতেন বলে অভিযোগ করেন এক তরুণী। কেবল মুখ্যসচিবই নয়, প্রশাসনের আরও এক উচ্চপদস্থ আধিকারিকের বিরুদ্ধে গণধর্ষণ (Gang Rape) এবং যৌন নির্যাতনের অভিযোগও এনেছেন ওই তরুণী।
২১ বছরের ওই তরুণীর অভিযোগ, 'কাজের সন্ধান করছিলেন বহুদিন ধরে। এক হোটেল মালিক আন্দামানের শ্রম-মহাধ্যক্ষ আরএল ঋষির সঙ্গে তাঁর আলাপ করিয়ে দেন। এরপর ঋষি তাঁকে মুখ্যসচিবের বাড়িতে নিয়ে যান। সেখানে প্রথমে তাঁকে মদ্যপান করার জন্য প্রস্তাব দেওয়া হয়। তিনি রাজি হননি। এরপর সরকারি চাকরি দেওয়ার নাম করে তাঁর সঙ্গে অশ্লীল ব্যবহার করা হয়।' দুই আমলার বিরুদ্ধেই যৌন হেনস্থার অভিযোগ তুলেছেন তিনি।
তরুণী আরও জানান, দু'সপ্তাহ আগে ফের তাঁর সঙ্গে একই ব্যবহার করেন তাঁরা। চাকরি তো অনেক দূরের ব্যাপার, উল্টে ঘটনার কথা যেন কাউকে না বলে, সেই হুমকিও দেওয়া হয় তরুণীকে। তাঁর অভিযোগের ভিত্তিতে গ্রেফতার করা হয় জিতেন্দ্র এবং ঋষিকে। ১৪ নভেম্বর পর্যন্ত জিতেন্দ্র অন্তর্বর্তীকালীন জামিন পেয়েছেন। ঋষির জামিনের আবেদন খারিজ হয়ে গিয়েছে।
জানা গিয়েছে, তদন্তের স্বার্থে পুলিস কল রেকর্ড চেক করেন। তরুণীর বয়ানের সঙ্গে সেই সব মিলে গিয়েছে। এসব বিতর্কের ফলে গত ১৭ অক্টোবর সাসপেন্ড করা হয় জিতেন্দ্র এবং ঋষিকে। যদিও মুখ্যসচিব এ অভিযোগ মানতে নারাজ। তিনি বলেন, তাঁর বিরুদ্ধে বড়সড় ষড়যন্ত্র করা হয়েছে।
রাজ্যের মুখ্যসচিব এবং অর্থসচিবের বিরুদ্ধে কেন জারি হবে না আদালত অবমাননার (Contempt of Court) রুল? ব্যাখ্যা চেয়ে হলফনামা তলব কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court)। মুখ্যসচিব হরেকৃষ্ণ দ্বিবেদি ও অর্থসচিব মনোজ পন্থের থেকে হলফনামা তলব করল আদালত। আগামী ৪ নভেম্বরের মধ্যে হলফনামা তলব বিচারপতি হরিশ ট্যান্ডন এবং বিচারপতি রবীন্দ্রনাথ সামন্তর ডিভিশন বেঞ্চের। বকেয়া ডিএ প্রদানে গড়িমসি করে আদালত অবমাননা করেছে রাজ্য। সেই অভিযোগে দায়ের মামলায় এই নির্দেশ দিয়েছে ডিভিশন বেঞ্চ।
আগামী ৯ নভেম্বর এই মামলার শুনানি। মহার্ঘ ভাতা মামলায় রাজ্যের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার মামলা দায়ের করেছে সরকারি কর্মচারী সংগঠনগুলি। সেই মামলাতেই এই নির্দেশ। এদিকে, DA বা মহার্ঘ ভাতা মামলায় হাইকোর্টে (Calcutta High Court) বড়সড় ধাক্কা খেল রাজ্য সরকার (Mamata Government)। বকেয়া ডিএ প্রদান সংক্রান্ত ডিভিশন বেঞ্চের রায় পুনর্বিবেচনার আর্জি খারিজ করে দিল বিচারপতি হরিশ ট্যান্ডনের। মে মাসের রায় বহাল রেখেই রাজ্য সরকারি কর্মীদের বকেয়া ডিএ মেটাতে হবে বৃহস্পতিবার আবার জানিয়ে দিল হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ। রাজ্যের তরফে অর্থাভাবের যুক্তি দেওয়া হলেও, সেই যুক্তি খারিজ হয়েছে আদালতে। ডিভিশন বেঞ্চের এই রায়ে পুজোর আগে কয়েক হাজার সরকারি কর্মীর মুখে হাসি ফুটবে। এমনটাই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।
যদিও রাজ্যের তরফে জানানো হয়েছে, এই রায়কে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্ট যাবে তারা। তাই আগেভাগেই শীর্ষ আদালতে ক্যাভিয়েট দাখিল করতে চলেছে সরকারি কর্মী ফেডারেশন। যাতে তাঁদের না জানিয়ে কোনও শুনানি না হয় আদালতে। কর্মী সংগঠনের দাবি, 'শীর্ষ আদালতে মুখ পুড়বে সরকারের। বরং সুপ্রিম কোর্ট সুদ-সহ বকেয়া মেটানোর নির্দেশ দিতে পারে। কারণ বিচারপতি হরিশ ট্যান্ডন এবং সুব্রত তালুকদারের ডিভিশন বেঞ্চ সুপ্রিম কোর্টের একাধিক রায়ের উল্লেখ করে জানিয়ে দিয়েছে কেন ডিএ বকেয়া রাখা যাবে না।'
সরকারি কর্মচারী সংগঠনের একজন জানান, ২০১৬ থেকে স্যাট, হাইকোর্ট, হাইকোর্ট স্যাট করে বকেয়া ডিএ প্রদান দেওয়া নিয়ে গড়িমসি করছে। বরং রাজ্যকে কটাক্ষের সুরে হাইকোর্ট বলেছে আপনারা নতুন করে আবেদন করছেন কেন? রায় পুনর্বিবেচনা মানে আগের রায়ে কোনও ভুল-ত্রুটি থাকলে সেটা সংশোধন। তাই আপনাদের এই আবেদন গৃহীত নয়য়। ২০ মে ২০২২-র রায় মেনেই ডিএ দিতে হবে।'