গার্ডেনরিচ, বিরাটির বিল্ডিং বিপর্যয়ের আতঙ্কের মধ্যেই খোদ মেয়র ফিরহাদ হাকিমের ওয়ার্ডেই ভেঙে পড়ল পুরোনো বাড়ি। রবিবার ভোরে ঘটনাটি ঘটেছে চেতলার ৮২ নম্বর ওয়ার্ডের পরমহংসদেব রোডে। সেই সময় বাড়িটির নিচে রাখা ছিল একটি গাড়ি। তিনতলা বাড়ির চাঙরের এক অংশ সেই গাড়ির উপর ভেঙে পড়ে। যদিও হতাহতের কোনও খবর পাওয়া যায়নি।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, রবিবার ছুটির দিন। তাই এদিন সকালের দিকে রাস্তায় লোক সংখ্য়া তেমন ছিল না। তখন আচমকায় তিন তলার একাংশ ভেঙে পড়ে রাস্তার ওপর। তবে অন্য় কোনও সময়ে এই ঘটনাটি ঘটত তাহলে প্রাণের সংশয়ও হতে পারত বলে অনুমান স্থানীদের। স্থানীয় সূত্রে আরও খবর, গত বছর ভেঙে পড়া বাড়িটির ওপরের অংশটি মেরামত করা হয়েছিল। তারপরেও কীভাবে ভেঙে পড়ল তা কেউ জানেন না।
প্রসঙ্গত, শনিবার রাতে উত্তর দমদম পুরসভার বিরাটিতে ১৭ নম্বর ওয়ার্ডে একটি নির্মীয়মান বাড়ির ছাদ ভেঙে পড়ে মৃত্য়ু হয় এক মহিলার। আজ অর্থাৎ রবিবার সেই ঘটনায় তিন প্রোমোটার সহ কন্টাক্টার ও দুজন লেবার ইনচার্জকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
চেতলায় ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড (Fire Incident in Chetla)। আহত দুই শিশু-সহ স্বামী স্ত্রী। আহতদের এসএসকেএম (SSKM Hospital) হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। দুটি ইঞ্জিনের (Fire Tender) চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। জানা গিয়েছে, সোমবার প্রায় ৭:২০ নাগাদ চেতলা রোডের বস্তিতে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। গ্যাসের সিলিন্ডার লিক করেই অগ্নিকাণ্ড ঘটে। ঘটনায় ওই বাড়ির ৪ জন আহত হয়, দুই শিশু-সহ স্বামী এবং স্ত্রী। তাঁদের এসএসকেএম হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। প্রাথমিক চিকিৎসার পর দুই শিশুকে বার্ন ওয়ার্ড থেকে ছেড়ে দেওয়া হয়। তবে বাকি দু'জনের এখনও চিকিৎসা চলছে।
এলাকাবাসীরা জানায়, সোমবার সকালে হঠাৎ একটা আওআজ শুনতে পান তাঁরা। এলাকাবাসীরা তড়িঘড়ি করে ঘরের বাইরে বেড়িয়ে দেখেন পাশের বাড়ির রান্নাঘরে দাউ দাউ করে আগুন জ্বলছে এবং ভিতর থেকে চিৎকার। এলাকাবাসীরা দমকলে খবর দিলে দমকল কর্মীরা চেতলার ওই বস্তিতে আসে এবং রান্নাঘরের পাশে থাকা আরেকটি ঘরের দেওয়াল কেটে তাঁদের উদ্ধার করে।
একাদশীর সকালে চেতলা (South Kolkata Incident) এলাকায় প্রকাশ্য দিবালোকে পেশায় গাড়ি চালক এক ব্যক্তিকে পিটিয়ে খুনের (beaten to death) অভিযোগ। পরিবারের অভিযোগ ছিনতাইয়ের লক্ষে এই খুন। তবে আরও একটি সূত্র বলছে পুরনো বিবাদকে কেন্দ্র করে ঝামেলা। আর তাতেই বিশ্বজিৎ চৌধুরী নামে এক ব্যক্তিকে রাস্তায় ফেলে পেটানো হয় বলে অভিযোগ। ঘটনার পর থেকে এসএসকেএম-এ চিকিৎসাধীন ছিলেন বিশ্বজিৎবাবু। বৃহস্পতিবার ভোরে তাঁর মৃত্যুর খবর পায় পরিবার।
এই ঘটনায় পুলিসের বিরুদ্ধে গাফিলতির অভিযোগে সরব মৃতের পরিবার। তাঁদের দাবি, রক্তাক্ত অবস্থায় পুলিস বিশ্বজিৎ চৌধুরীকে পড়ে থাকতে দেখেও হাসপাতালে না নিয়ে গিয়ে উলটে পরিবারকে খবর দেয়। পরিবার গিয়ে তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করে। যদিও সব অভিযোগ অস্বীকার করে পুলিসের দাবি, ঘটনার সঙ্গে সঙ্গে খুনের চেষ্টার ধারায় মামলা রুজু করে সৌরভ দাসকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এদিন আক্রান্ত ব্যক্তির মৃত্যু হলে খুনের চেষ্টার ধারা বদলে খুনের ধারা দেওয়া হয়েছে। সৌরভের সঙ্গে মৃত ব্যক্তির কোনও সম্পর্ক নেই। এই দাবি ক্যামেরার সামনে করেছেন বিশ্বজিৎবাবুর স্ত্রী।
তিনি নির্বিবাদী লোক ছিলেন। প্রতিদিন সকালেই চা খেতে বেরোতেন। ঘটনার দিনেও বেড়িয়েছিলেন। ছিনতাইয়ের উদ্দেশ্যে এই হামলা। কারণ পরে ওর থেকে কোনও টাকার ব্যাগ আমরা পায়নি। জানা গিয়েছে, এই হামলার ঘটনা ধরা পড়েছে স্থানীয় এক আবাসনের সিসি ক্যামেরায়। সেই ফুটেজ দেখে তদন্ত এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে পুলিস। এদিকে, চেতলার যে এলাকায় এই ঘটনা, সেখান থেকে এক কিমির মধ্যে মেয়র ফিরহাদ হাকিমের বাড়ি। কিন্তু রাস্তায় নেই কোনও সিসিটিভি ক্যামেরা। এর আগেও এই এলাকায় ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটেছে। অভিযোগ স্থানীয়দের।