আশঙ্কাই সত্যি হল। ভোটগ্রহণ পর্ব শুরু হতেই আইইডি বিস্ফোরণে কেঁপে উঠল ছত্তিশগড়। ঘটনায় জখম হয়েছেন এক সিয়ারপিএফ জওয়ান। ঘটনাটি ঘটেছে সুকমা জেলার এলমাগুন্ডা বুথ সংলগ্ন এলাকায়।
ছত্তিশগড়ের ৯০টি আসনের মধ্যে ২০টি আসনে ভোটগ্রহণ মঙ্গলবার। নির্বাচনের শুরু থেকেই মাওবাদী হামলা নিয়েই সবথেকে বেশি চিন্তায় রয়েছে প্রশাসন। কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থার আয়োজন করা হয়েছে। কিন্তু তারই মাঝে আইইডি বিস্ফোরণ হয় এদিন সকালে। ছত্তিশগড়ের পাশাপাশি মিজ়োরামেও ভোটগ্রহণ হচ্ছে। সেখানকার মুখ্যমন্ত্রী জোরামথাঙ্গা ভোট দিতে গেলেও যান্ত্রিক ত্রুটি থাকার কারণে ভোটদান প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়নি। ভোট শুরু হতেই টুইটে বার্তা দেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এবং স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ।
এদিকে রেকর্ড সংখ্যক ভোট দেওয়ার জন্য নিজের এক্স হ্যান্ডেলে আবেদন জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। যাঁরা প্রথমবার ভোট দেবেন তাঁদের শুভেচ্ছাও জানিয়েছেন। পাশাপাশি এক্স হ্যান্ডেলে বার্তা দেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ।
ফের পথকুকুরের (Stray Dog) আক্রমণের (Attack) ঘটনা। মৃত্যু (Death) হল পাঁচ বছরের শিশুর (Child)। জানা গিয়েছে, ভোরবেলা প্রাতঃকৃত্য সারতে রাস্তায় বেড়িয়েছিল শিশুটি। সেসময় শিশুকে ঘিরে ধরে একদল পথকুকুর। এর ফলে তার মৃত্যু হয় বলে অভিযোগ। শরীরের মিলেছে আঘাতের চিহ্নও। ঘটনাটি ঘটেছে ছত্তিশগড়ের (Chhattisgarh) কোরিয়া জেলার বৈকুণ্ঠপুরে।
পুলিস সূত্রে খবর, মৃত শিশুর নাম সুকান্তি। শুক্রবার সকাল ৬টা নাগাদ সে প্রাতঃকৃত্যের জন্য মার্গদর্শন স্কুল রোডের রাস্তায় বেড়িয়েছিল। তখনই শিশুটির উপর হামলা হয়। কুকুরের কামড়ে গুরুতর আহত হয়। পরে মৃত্যু হয় শিশুটির। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় পুলিস। পুলিস জানিয়েছে, প্রাথমিকভাবে মনে করা হচ্ছে, কুকুরের কামড়েই শিশুটির মৃত্যু হয়েছে। তবে দেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। সেই রিপোর্ট হাতে এলে এ বিষয়ে আরও স্পষ্ট ধারণা পাওয়া যাবে বলে মনে করা হচ্ছে। এর পিছনে অন্য কোনও কারণ রয়েছে কিনা তাও খতিয়ে দেখছে পুলিস।
উল্লেখ্য, পথকুকুরের আক্রমণে শিশুর মৃত্যুর ঘটনা এর আগেও ঘটেছে। একের পর এক শিশুর মৃত্যু কুকুরের আক্রমণে, তা সত্যি আতঙ্কের বিষয়।
মোরগের(Rooste) নিরাপত্তা চেয়ে পুলিসের দ্বারস্থ এক মহিলা। ঘটনাটি ছত্তিশগড়ের(Chattisgarh) রাইপুরের রতনপুর থানা এলাকার। মোরগ চুরির অভিযোগও ওই মহিলা দায়ের করেছেন প্রতিবেশীদের বিরুদ্ধে, অভিযোগকারীর নাম জানকীবাঈ। অভিযোগকারীর পছন্দের পোষ্য মোরগ। তাই তিনি বাজার থেকে একটি মোরগ কিনে আনেন। এমনকি ওই মোরগকে নিজের সন্তানের মতো লালনপালনও করেন। কিন্তু প্রতিবেশীরা তাঁর মোরগকে চুরি করে খেয়ে ফেলতে পারেন, এই ভেবে তাঁকে সবসময়ই আগলে রাখতে শুরু করেন। এরপর থেকেই মোরগকে ঘরেই রাখতেন তিনি, কিন্তু তাতেও কোনও লাভ হয়নি। একদিন বিকেলে জানকী কাজ সেরে বাড়ি ফিরে এসে দেখে মোরগটি নেই। তখনই ছোটেন প্রতিবেশীর বাড়ি।
জানকীর অভিযোগ, গত কয়েক মাস ধরেই পাশের বাড়ির বুগল এবং দুর্গা তাঁর মোরগের দিকে তাকিয়ে থাকত। এই দুই প্রতিবেশী সবসময় মোরগের প্রতি নজর রাখত। একদিন মোরগকে নিয়ে পালানোর চেষ্টাও করেছিল বুগল নামের ওই প্রতিবেশী। তাই তড়িঘড়ি ছুটে যায় বুগল এবং দুর্গার বাড়িতে।
জানকীর দাবি, 'প্রতিবেশীর বাড়িতে মোরগটিকে বাঁধা অবস্থায় দেখি। সেটিকে রান্না করে খাওয়ার তোড়জোড়ও চলছিল খুব ভালোই। বুগলের সঙ্গে অনেক হাতাহাতি-বচসার পরে শেষমেশ পোষ্যকে বাড়িতে নিয়ে আসেন জানকী। মোরগের গলায় গভীর একটা ক্ষত ছিল।' এরপরই মোরগের নিরাপত্তা চেয়ে পুলিসের দ্বারস্থ হন জানকী।
পুলিস জানিয়েছে, মোরগ নিয়ে দু-পক্ষের কথাই শোনা হয়েছে। তাড়াতাড়ি এই সমস্যার সমাধান করার চেষ্টা চলছে। এর পরেও যদি বিষয়টি না মেটে তাহলে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
চারিত্রিক সন্দেহের বশে স্ত্রীকে খুনের পর টুকরো টুকরো করে জলের ট্যাঙ্কের ভিতর ভরে রাখলেন স্বামী। ঘটনাটি ছত্তিশগড়ের বিলাসপুরের উসলাপুরে এলাকার। দশ বছর ধরে একই ছাদের তলায় ঘর করছেন স্বামী-স্ত্রী। কিন্তু চরিত্রে খুঁত থাকার কারণে নাকি স্ত্রীকে খুন করতে বাধ্য হন। পুলিস সূত্রে খবর, মৃতার নাম সীতা সাহু এবং অভিযুক্ত পবন ঠাকুর।
জাল নোটের কারবারের সঙ্গে যুক্ত থাকার কারণে পবনের বিরুদ্ধে বিলাসপুর থানায় অভিযোগ দায়ের হয়েছে। পবনের বাড়িতে জালনোটের তল্লাশির জন্য শুক্রবার সকালে অভিযান চালিয়েছে পুলিস। কিন্তু সেই তল্লাশিতে গিয়ে জালনোট-সহ টুকরো করা দেহ উদ্ধার করল পুলিস। জাল নোট খুঁজতে গিয়ে বাড়ির ছাদে পৌঁছে গিয়েছিল পুলিস।
জলের ট্যাঙ্কের ভিতর থেকে একটা বিকট গন্ধ ভেসে আসে। সন্দেেহের বশে পুলিস ট্যাঙ্ক খুলে দেখে যে, তার মধ্যে মৃতদেহের কাটা টুকরো রাখা। সঙ্গে রয়েছে জাল নোটের বান্ডিল। খোঁজ নিয়ে পুলিস জানতে পারে, এই দেহটি পবনের স্ত্রী সীতার। জিজ্ঞাসাবাদ করার সময় পবন জানান, 'স্ত্রীর চরিত্র ভাল ছিল না। স্ত্রী, অন্য পুরুষের সঙ্গে সম্পর্কে রয়েছে সন্দেহে তাঁকে খুন করেন পবন। খুন করার পর স্ত্রীর দেহ টুকরো টুকরো করে কেটে জলের ট্যাঙ্কে ভরেছিলেন।'
পুলিসের অনুমান, দেহের টুকরোগুলি এক-দু’মাস আগে ট্যাঙ্কের ভিতর ভরে রাখা হয়েছে। বাড়ির ভিতর থেকে নকল নোট তৈরির মেশিনও খুঁজে পাওয়া গিয়েছে বলে পুলিস সূত্রে খবর। খুনের অভিযোগ এবং জালনোটের সঙ্গে যুক্ত থাকার কারণে পবনকে গ্রেফতার করেছে বিলাসপুর থানার পুলিস।
শনিবার ভোর থেকেই শুরু হয়েছে ছত্তিশগড়ের (Chhattisgarh) বিজাপুর জেলায় পুলিস এবং সিআরপিএফের (CRPF) যৌথবাহিনীর সঙ্গে মাওবাদীদের গুলির লড়াই। এনকাউন্টারে (encounter) এক মহিলা-সহ তিন মাওবাদী নিহত হয়েছে বলে জানান এক পুলিসকর্তা।
বস্তার রেঞ্জের আইজি পি সুন্দররাজ সংবাদ সংস্থাকে জানিয়েছেন, গোপন সূত্রে খবর পেয়ে নিরাপত্তা বাহিনীর যৌথ দল মাওবাদী বিরোধী অভিযানে নামে। সকাল ৭.৩০টার দিকে গুলির লড়াই শুরু হয়। রাজধানী রায়পুর থেকে প্রায় ৪০০ কিলোমিটার দূরে মিরতুর থানার পোমরার জঙ্গলে চলে এই গুলির লড়াই।
ডিস্ট্রিক্ট রিজার্ভ গার্ড (ডিআরজি), স্পেশাল টাস্ক ফোর্স (এসটিএফ) এবং সেন্ট্রাল রিজার্ভ পুলিস ফোর্স (সিআরপিএফ)-এর কর্মীরা অভিযানে নামে। মাওবাদীদের বিভাগীয় কমিটির সদস্য মোহন কাদতি এবং সুমিত্রার উপস্থিতির কথা জানতে পেরেছিল বাহিনী। গুলির লড়াইয়ে তিন সঙ্গীর মৃত্যুর পর তাঁদের দেহ ফেলে রেখেই অন্যেরা পালিয়ে যায়। সুন্দররাজ জানিয়েছেন, গোটা এলাকা ঘিরে ফেলে তল্লাশি অভিযান শুরু করেছে যৌথ বাহিনী।