সরকারি হাসপাতাল থেকে রোগীকে দেওয়া হচ্ছে মেয়াদ উত্তীর্ণ ওষুধ (Expired medicine)! এমনই অভিযোগ চন্দননগর সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালের (Chandannagar Super Specialty Hospital) বিরুদ্ধে। যে ওষুধে রোগমুক্তি হয়, প্রাণ বাঁচে মানুষের সেই ওষুধেই মৃত্যুর পথে ঠেলে দেওয়া? জানা গিয়েছে, দু-তিন দিন ধরে জ্বরে ভুগছিলেন হুগলির চন্দননগরের বাসিন্দা মালতি মল্লিক। গত ১১ সেপ্টেম্বর চন্দননগর হাসপাতালে চিকিৎসা করাতে যান তিনি। আউটডোর থেকে ওষুধ দেওয়া হয়। ১২ সেপ্টেম্বর সকালে বাড়িতে ওষুধ খেতে গিয়েই চক্ষু চড়কগাছ। তিন মাস আগে মেয়াদ ফুরিয়ে যাওয়া ওষুধ দেওয়া হয়েছে রোগীকে।
রোগীর পরিবারের তরফে হাসপাতালের বিরুদ্ধে অভিযোগ, নিছক ভুল বলেই দায় ঝেড়ে ফেলেন কর্তৃপক্ষ। প্রশ্ন উঠছে, তবে কি রোগীদের জীবনের কোনও মূল্য নেই? রোগী জীবন নিয়েও ছিনিমিনি? অভিযোগ, বাক্স ভর্তি মেয়াদ উত্তীর্ণ ওষুধ ছিল। হাসপাতালের পরিষেবা নিয়েও বিস্তর ক্ষোভ রোগী পরিবারের।
এ নিয়ে শুরুতে মুখ খুলতে চাননি হাসপাতাল সুপার ধ্যানব্রত মণ্ডল। পরে তিনি জানান, বিষয়টি তদন্ত সাপেক্ষ, অভিযুক্তদের মধ্যে ৩ জনকে শোকজ করা হয়েছে।
রাজ্যে মেয়াদ উত্তীর্ণ ওষুধের অসাধু কারবার চলছে বলে অভিযোগ করেছিলেন খোদ রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। এবার মিলল সর্ষের মধ্যেই ভূত! সরকারি হাসপাতাল থেকেই রোগীদের দেওয়া হচ্ছে মেয়াদ উত্তীর্ণ ওষুধ? এরাজ্যে কি জনস্বাস্থ্য নিয়ে কোনও দায় নেই? মেয়াদোত্তীর্ণ ওষুধ খেয়ে প্রাণসংশয়ও হলে দায় কার?
এটিএমের (ATM) টাকা নিয়ে চম্পট দিয়েছিল বেসরকারি সুরক্ষা বাহিনীর কিছু কর্মী। খবর পেয়েই ওই কর্মীদের বিরুদ্ধে থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করে ওই বেসরকারি সংস্থাটি। তদন্তে নেমে পুলিস (Police) প্রায় গোটা টাকা উদ্ধার করল। শ্রীরামপুর (Sreerampore) থানা এলাকার ঘটনা। পুলিস জানিয়েছে এ ঘটনায় মোট ৫ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
চন্দননগর কমিশনারেটের ডিসিপি শ্রীরামপুর ড: অরবিন্দ আনন্দ জানাচ্ছেন, শ্রীরামপুরের সিকিওর ভ্যালু ইন্ডিয়া লিমিটেড এজেন্সি নাম একটি কোম্পানির কর্মীরা ওই এলাকার এসবিআই এটিএমের ১ কোটি ২৯ লক্ষ টাকা নিয়ে পালিয়ে যায়। যদিও ব্যাঙ্ক কতৃপক্ষ এই গোটা দায়িত্বে থাকে, এবং সঙ্গে থাকে সিকিউরিটি এজেন্সির কর্মীরা। এঘটনার পর পুলিস অভিযোগ পেয়ে তদন্তে নেমে ৮ ই মে শ্রীরামপুর সংলগ্ন এলাকা থেকে ৩ জনকে আটক করে। এরপর তাদের জেরা করে আরও ২ জনের খোঁজ পায় পুলিস।
যদিও পুলিস জানিয়েছে, গ্রেফতার হওয়া অভিযুক্তদের থেকে চুরি যাওয়া ১ কোটি ২৯ লক্ষের মধ্যে ১ কোটি ১২ লক্ষ ৩৪ হাজার ৮০০ টাকা পাওয়া গিয়েছে। এছাড়া পুলিস আরও জানিয়েছে, ধৃতদের মধ্যে দুজন আইনজীবী যাদের নাম, শিব শঙ্কর ঠাকুর ও দীপঙ্কর মোদক। ধৃতদের জেরা পুলিস আরও ঘটনার বিবরণ জানার চেষ্টা করছে পুলিস, এছাড়া এ ঘটনায় আরও কেউ জড়িত কিনা সেটা খতিয়ে দেখছে পুলিস।