সদ্যোজাতের বদল ঘিরে চাঞ্চল্য ছড়াল মালদহের (Malda) চাঁচলের (Chanchal) একটি নার্সিংহোমে। পাশাপাশি দুটি সদ্যোজাত পুত্র সন্তানের অদলবদলের অভিযোগকে ঘিরে বিপাকে পড়েন নার্সিংহোম কর্তৃপক্ষ। উত্তেজনা ছড়ালে ঘটনাস্থলে পুলিস গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। অভিযোগের ভিত্তিতে সোমবার এক নার্সিং স্টাফকে গ্রেফতার (Arrested) করে পুলিস আদালতে পেশ করে।
পুলিস ও নবজাতদের পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, বৃহস্পতিবার বিকেলে দঃ শালদহ ও ইলাম গ্রামের ২ প্রসূতি একই সঙ্গে নার্সিংহোমে ভর্তি হন। সেদিন রাতেই জানবী পারভীন ও চুমকি খাতুন পুত্র সন্তানের জন্ম দেন। দুই পরিবারের অভিযোগ, শুক্রবার রাতে এক সেবিকা তাঁদের সদ্যোজাতের মধ্যে অদলবদলের চেষ্টা করেন। সেই সময় সদ্যজাতের মায়েরা দেখে ফেলেন এবং পরিবারের সাথে যোগাযোগ করেন। পরিবারের সদস্যরা নার্সিংহোমে ছুটে আসলে নার্সিংহোম কর্তৃপক্ষের সঙ্গে বাকবিতন্ডা তৈরি হয়।
খবর পেয়ে চাঁচল থানার পুলিস গিয়ে পরিস্থিতি সামাল দেয়। রাতেই ওই অভিযুক্ত সেবিকাকে আটক করে থানায় নিয়ে যান। সদ্যোজাত শিশু বদলানোর চক্র আগে থেকেই কি ওই নার্সিংহোমে সক্রিয় রয়েছে? সেই নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে পরিবারের লোকেরা। স্বাস্থ্য দফতরেও অভিযোগ জানাবেন বলে জানিয়েছেন তাঁরা। যদিও এই প্রসঙ্গে নার্সিংহোম কর্তৃপক্ষের কোন প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি। চাঁচলের এই নার্সিংহোম চলতি মাসের ৯ তারিখেই খবরের শিরোনামে উঠে এসেছিল। সদ্যোজাত শিশুর মৃত্যুকে কেন্দ্র করে রণক্ষেত্র হয়েছিল নার্সিংহোম চত্বরে। ভাঙচুর হয়েছিল নার্সিংহোম। গাফিলতির অভিযোগ উঠেছিল কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে। এবার সদ্যোজাতের অদল বদলের অভিযোগ।
দোকানে যাওয়ার নাম করে বাড়ি থেকে বেরিয়ে অপহৃত অষ্টম শ্রেণির নাবালিকা ছাত্রী (Student)। অপহরণের পর উদ্ধার হলেও নাবালিকাকে ফেরত আনতে যেতে টাকা চাইছে পুলিস। এমনটাই বিস্ফোরক অভিযোগ নাবালিকার পরিবারের। তাহলে রক্ষকই ভক্ষক? উঠেছে এমনই প্রশ্ন। গাজিয়াবাদে নাবালিকাকে উদ্ধার করতে যাওয়ার জন্য ৪০ হাজার টাকা চাইছে স্থানীয় চাঁচল থানার (Chanchal Police Station) অন্তর্গত খরবা ফাঁড়ির পুলিস। সমগ্র ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে মালদহের (Malda) চাঁচল থানার মল্লিক পাড়া এলাকায়।
পরিবার সূত্রে খবর, গত সাত দিন আগে বাড়ি থেকে নিখোঁজ হয়ে গিয়েছিল মালদহের চাঁচল ১ নং ব্লকের মল্লিকপাড়া এলাকার এক নাবালিকা। ওই নাবালিকাকে অপহরণ করা হয়েছে এমনটাই অভিযোগ তুলেছিল তার পরিবার। অভিযোগের তীর এক প্রতিবেশী বান্ধবীর বিরুদ্ধে। তারপর বৃহস্পতিবার দিল্লির গাজিয়াবাদ থানা থেকে খবর আসে ওই থানায় রয়েছে নাবালিকা। অপহরণ করে তাকে দিল্লিতে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল পাচারের উদ্দেশে। রাস্তায় কোনও এক সহৃদয় ব্যক্তি ওই নাবালিকাকে উদ্ধার করে থানায় দিয়ে আসে।
এই মুহূর্তে ওই থানা থেকে স্থানীয় থানায় যোগাযোগ করে বলা হয়েছে, স্থানীয় থানা উপযুক্ত প্রমাণ সহ গেলে তবেই নাবালিকাকে ছাড়বে পুলিস। ওই নাবালিকার পরিবার খরবা ফাঁড়ির দ্বারস্থ হন। কিন্তু নাবালিকার পরিবারের অভিযোগ, পুলিসের নাম করে ওই ফাঁড়ির এক সিভিক নাবালিকার পরিবারের কাছ থেকে গাজিয়াবাদ যাওয়ার জন্য চল্লিশ হাজার টাকা দাবি করেছেন। টাকা না পেলে তারা কোনোভাবে নাবালিকাকে দিল্লি থেকে চাঁচলে আনতে পারবেনানা বলেও জানান। নাবালিকার পরিবারের এই অভিযোগ সামনে আসতে ছড়িয়েছে ব্যাপক চাঞ্চল্য।
মহানন্দা নদীর তীরে সরকারি খাস জায়গায় বসবাস ওই নাবালিকার পরিবার। হতদরিদ্র, দিনমজুর পরিবারের সামর্থ্য নেই সেই টাকা যোগানের। মেয়েকে ফেরানোর চিন্তায় ব্যাকুল মা। পুলিসের ভূমিকা নিয়ে উঠেছে প্রশ্ন।
আবারও চিকিৎসার গাফিলতিতে (Medical negligence) শিশু মৃত্যুর (Child Death) অভিযোগ। অভিযোগ তুলে চাঁচলের (Chanchal) একটি বেসরকারি নার্সিংহোমে ভাঙচুর চালান শিশুর পরিবারের সদস্যরা। দীর্ঘক্ষণ চেষ্টার পর পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনলো চাঁচল থানার পুলিস।
জানা গিয়েছে, চাঁচল এলাকার বাসিন্দা সোমা পারভিন গত বুধবার প্রসব যন্ত্রণা নিয়ে চাঁচলের একটি বেসরকারি নার্সিংহোমে ভর্তি হন। সিজার করার পর সেদিন রাতেই কন্যা সন্তানের জন্ম দেন তিনি। বৃহস্পতিবার সকাল থেকে সদ্যোজাত কন্যা সন্তানের শারীরিক অবস্থার অবনতি হতে থাকে। জ্বরে আক্রান্ত হয় সদ্যোজাত ওই শিশু কন্যা। এরপরও নার্সিংহোম কর্তৃপক্ষ কোনওরকম চিকিৎসা করেনি বলে অভিযোগ পরিবারের। শুক্রবার রাতে ওই শিশু কন্যার শ্বাসকষ্ট শুরু হলে ওই বেসরকারি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ শিশুকে চাঁচল সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে রেফার করে। শনিবার ভোররাতে মারা যায় ওই শিশু কন্যা।
এরপরই চিকিৎসার গাফিলতির অভিযোগ তুলে নার্সিংহোম ভাঙচুর চালান মৃত শিশু কন্যার পরিবারের লোকেরা। ঘটনায় রণক্ষেত্রের চেহারা ন্যায় নার্সিংহোম চত্বরে। পরে ঘটনাস্থলে পৌঁছে চাঁচল থানার পুলিস পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
যদিও গাফিলতির অভিযোগ অস্বীকার করেছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। তাদের দাবি, মাতৃদুগ্ধ পান করতে গিয়ে ওই শিশু কন্যার শ্বাসনালীতে আটকে গিয়ে শ্বাসকষ্ট শুরু হয়। যেহেতু সেখানে স্পেশাল কেয়ার ইউনিট নেই তাই তাকে সুপার স্পেশালিটিতে রেফার করা হয়। এদিকে সমগ্র ঘটনায় বেসরকারি হাসপাতালের পরিকাঠামো এবং ভূমিকা নিয়ে একাধিক প্রশ্ন উঠছে। প্রসঙ্গত, চাঁচলে ব্যাঙের ছাতার মতো যত্রতত্র গজিয়ে উঠছে নার্সিংহোম। কিন্তু সেগুলিতে থাকছে না স্বাস্থ্যবিধি অনুযায়ী পরিকাঠামো। প্রশ্ন উঠছে সে ক্ষেত্রে স্বাস্থ্য দফতর কতটা নজরদারী চালাচ্ছে।
ভয়াবহ বাইক দুর্ঘটনা (Accident) মালদহে। অন্ধকার রাস্তায় প্রচণ্ড গতিতে থাকা বাইক গিয়ে ধাক্কা মারে বিদ্যুতের খুঁটিতে (Electricity poles)। এই ঘটনায় মৃত্যু (Death) হয়েছে এক কিশোরের। শুক্রবার রাতে ঘটনাটি ঘটেছে মালদহের চাঁচলের (Chanchal) পৌহরিয়া এলাকায়। এই ঘটনার পর এলাকাবাসীরা ওই কিশোরকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যায়। তবে শেষ রক্ষা হয়নি। পরে খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় চাঁচল থানার পুলিস (Police)। পুলিস মৃতদেহটি উদ্ধার করে শনিবার মালদহ মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে পাঠায়। এই ঘটনায় এলাকা জুড়ে নেমে এসেছে শোকের ছায়া।
পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, মৃত কিশোরের নাম শাহিন আক্তার (১৫)। বাড়ি মালদহের চাঁচল থানার ঘরবা গ্রাম পঞ্চায়েতের কাজলাদহ গ্রামে। স্থানীয় সূত্রে খবর, শুক্রবার রাতে পৌহরিয়ায় আত্মীয়র বাড়ি থেকে বাড়ি ফিরছিল ওই কিশোর। পৌহরিয়া এলাকার রাস্তা ঘুটঘুটে অন্ধকার থাকায় এবং বাইকের গতি নিয়ন্ত্রণে আনতে না পেরে বিদ্যুতের খুঁটিতে গিয়ে কিশোরের বাইকটি ধাক্কা মারে। তখনই বাইক থেকে ছিটকে রাস্তার উপর পড়ে ওই কিশোর।
স্থানীয়দের দাবি, এই ঘটনার পরেই তাঁরা রক্তাক্ত অবস্থায় তড়িঘড়ি ওই কিশোরকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যায়। তবে হাসপাতালে কর্তব্যরত চিকিৎসকরা ওই কিশোরকে মৃত বলে ঘোষণা করে।
'এ হাওয়া আমায় নেবে কতদূরে?' বাংলাদেশের ব্লকবাস্টার সিনেমা 'হওয়া'-র (Hawa) প্রভাব যে কতটা তা ভালোই টের পেয়েছিলেন বাংলাদেশ ও ভারতের দর্শকেরা। ২০২২ সালে বাংলাদেশে মুক্তি পেয়েছিল সিনেমাটি। কিন্তু সামাজিক মাধ্যমে হাওয়ার দোলায় তখন মাতোয়ারা হয়েছিল কলকাতার দর্শকরা। সিনেমায় অভিনয় করেছেন জনপ্রিয় অভিনেতা চঞ্চল চৌধুরী (Chanchal Chowdhury)। রহস্যময় হাওয়ায় গা ভাসানোর সুযোগ পেয়েছিল এই বাংলার দর্শকও।
কলকাতার নন্দনে বেশ কিছুদিন এই সিনেমার প্রদর্শনী করানো হয়েছিল। উপচে পড়েছিল দর্শকদের ভিড়। তবে কলকাতার সমস্ত দর্শকেরা দেখতে পারেননি সিনেমাটি। অনেকের মনেই সিনেমাটি না দেখার আফসোস রয়ে গিয়েছে খানিকটা। কিন্তু এবার তাঁদের জন্য সুখবর। সিনেমাটি দেখা যেতে চলেছে ওটিটিতে। 'সনি লিভ' এর অ্যাপে মুক্তি পেতে চলেছে সিনেমাটি। তবে অপেক্ষা করতে হবে চলতি বছরের ৭ জুলাই পর্যন্ত।
সিনেমার চিত্রনাট্য দেখার মতো। মূলত মাঝিদের নিয়ে তৈরি হয়েছে সিনেমার প্রেক্ষাপট। তবে একদিন আচমকা মাঝ সমুদ্রে জালে ধরা পড়ে এক সুন্দরী। তাঁকে নিয়েই ঘনায় রহস্য। সেই রহস্যময়ী আসলে কে, কেনই বা তিনি বোটে এলেন তা জানা যাবে সিনেমা থেকে। সেই রহস্যময়ীর আগমনে মাঝিদের জীবনে কী পরিবর্তন আসবে, তাও দেখা যাবে পর্দায়।
সত্যজিৎ-মৃনাল-ঋত্বিক এই তিন কিংবদন্তি বাংলা সিনেমা জগতের পথিকৃৎ। এই তিন পরিচালকের হাত ধরে বাংলা সিনেমা জগতের নবজাগরণ হয়েছিল। গত বছর সত্যজিৎ রায়ের জীবন থেকে অনুপ্রাণিত হয়ে সিনেমা তৈরী করেছিলেন পরিচালক অনিক মুখোপাধ্যায়। অন্যদিকে ২০২২ সালেই মৃনাল সেনের (Mrinal Sen) জন্ম শতবর্ষ উপলক্ষে পরিচালক সৃজিত মুখোপাধ্যায় 'পদাতিক' তৈরির ঘোষণা করেন। 'অপরাজিত' সিনেমায় সত্যজিতের চরিত্রে দেখা গিয়েছিল জিতু কমলকে। স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন উঠেছিল, টলিউডের কোন অভিনেতা মৃনাল সেনের চরিত্রে অভিনয় করবেন? কিন্তু সকলকে অবাক করে দিয়ে মৃনাল সেনের চরিত্রাভিনেতা হিসেবে নির্ণয় করা হয় ওপার বাংলার অভিনেতা চঞ্চল চৌধুরীকে (Chanchal Chowdhury)।
এই খবর শুনে অবশ্য সিনেমাপ্রেমীরা বেশ খুশিই হয়েছিলেন। চঞ্চল চৌধুরী তাঁর অভিনয় দক্ষতায় দুই বাংলার কাছেই সমান জনপ্রিয়। এমনকি চেহারায় মৃনাল সেনকে ফুটিয়ে তুলতে তাঁকেই যথার্থ নির্বাচন বলে মনে করেছেন দর্শক। মৃনাল সেনের চরিত্রে চঞ্চল চৌধুরীকে কেমন দেখতে লাগবে, সেই ঝলক আগেই পেয়েছিলেন দর্শক। টলি ইন্ডাস্ট্রির প্রস্থেটিক মেকআপ আর্টিস্ট সোমনাথ কুন্ডুর হাতযশে মৃনালে আর চঞ্চলে কোনও ফারাক দেখতে পাননি দর্শকেরা। এমনকি নিজেকে দেখে অবাক হয়েছেন চঞ্চল খোদ। সামাজিক মাধ্যমে এই প্রথম নিজের লুক নিয়ে মন্তব্য করলেন অভিনেতা।
চঞ্চল লিখেছেন, 'ছবিটা দেখে প্রথমে আমি নিজেও অবাক হয়ে যাই, এটা কি মৃনাল সেন না কি আমি! সত্যতা বুঝতে একটু সময় লেগেছে, সাথে অনেকখানি ভালো লেগেছে। মেক আপ আর্টিস্ট সোমনাথ কুন্ডুর কি অসাধারণ কাজ।' প্রসঙ্গত সিনেমার শ্যুটিং শুরু হওয়ার কিছুদিন আগেই নিজের বাবাকে হারিয়েছিলেন চঞ্চল। একদিকে বাবার মৃত্যুশোক অন্যদিকে সিনেমার শ্যুটিং প্রসঙ্গে অভিনেতা লিখেছেন, 'বাবার সদ্য মৃত্যুর শোক বুকে নিয়ে শেষ করেছি মৃনাল সেনের জীবনীভিত্তিক সিনেমা পদাতিকের কাজ।'
মৃনাল সেনের জনপ্রিয়তা যেমন এপার বাংলায়, তেমনই ওপার বাংলাতেও পরিচালককে সাধারণ মানুষ ভালোবাসেন। অন্যদিকে মৃনালের চরিত্রাভিনেতা চঞ্চল চৌধুরীকেও দুই বাংলার দর্শক খুবই পছন্দ করেন। তাই কলকাতা এবং বাংলাদেশে ছবি মুক্তির পরিকল্পনা করছেন পরিচালক সৃজিত মুখোপাধ্যায়। 'পদাতিক' কবে মুক্তি পেতে পারে,তা এখনও ঘোষণা করেননি প্রযোজক সংস্থা। তবে মৃনালের চরিত্রে চঞ্চলের ছবি দর্শক যত দেখছেন, ছবিটি নিয়ে প্রত্যাশা ততই বাড়ছে।
আজ পয়লা মে। সারা বিশ্বে মে দিবস (May Day) হিসেবে পালিত হয় এই দিনটি। খেটে খাওয়া মানুষদের সম্মানেই এই দিনটি উদযাপন করা হয়। তাই এই বিশেষ দিনটি একটু অন্যরকম ভাবে উদযাপন করতে চাইছেন বাংলাদেশের বিখ্যাত অভিনেতা চঞ্চল চৌধুরী (Chanchal Chowdhury)। আজকের দিনে তাঁর একটি নাটক মঞ্চস্থ হবে। অভিনেতা নিজে সংবাদমাধ্যমে সেকথা জানিয়েছেন। নাটক কবে, কোথায় অনুষ্ঠিত হতে চলেছে সেই তথ্যও দিয়েছেন।
নিজের সামাজিক মাধ্যমে চঞ্চল লিখেছেন, 'মে দিবস উদযাপন উপলক্ষে আজ সন্ধ্যা ৭ টায় জাতীয় শিল্পকলা একাডেমীর এক্সপেরিমেন্টাল হলে মঞ্চস্থ হবে আরণ্যক প্রযোজিত, মামুনুর রশীদ রচিত ও নির্দেশিত নাটক রাঢ়াঙ। দেখা হবে এই আয়োজনে।' অভিনেতা সেই পোস্টে সকলকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন। সঙ্গে লিখেছেন, 'মেহনতী মানুষের জয় হোক।'
পোস্টের সঙ্গে নাটকের দৃশ্যের বেশ কিছু ছবি পোস্ট করেছেন চঞ্চল। তাঁকে দেখা গিয়েছে হাবিলদারের পোশাকে। সহ অভিনেতাদেরও দেখা গিয়েছে একাধিক ছবিতে। শ্রমিক শ্রেণীর মানুষদের সম্মান জানাতেই এই নাটক। চঞ্চল মঞ্চে উঠলেই দর্শকেরা অবাক চোখে দেখেন তাঁকে। আজও যে সেখানে মানুষের ঢল নামবে, তা আগে থেকেই বলা যায়।'
'হাওয়া' খ্যাত অভিনেতা চঞ্চল চৌধুরী (Chanchal Chowdhury) কেবল ওপার বাংলার অভিনেতা নয়, তাঁর অভিনয় ব্যাপ্তি সীমানার কাঁটাতার পেরিয়ে এই বাংলার দর্শকদের মন ছুঁয়েছে। বাদ যাননি টলিউড অভিনেত্রী শ্রীলেখা মিত্র (Sreelekha Mitra)। অভিনেতার প্রতি নিজের ভালোলাগা ব্যক্ত করলেন সামাজিক মাধ্যমেই। চঞ্চলকে নিয়ে তাঁর মনের সুপ্ত বাসনার কথাও জানালেন সোচ্চারে, সকলের সামনে।
শুক্রবার কলকাতায় অনুষ্ঠিত হয়েছিল এক পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠান। দুই বাংলার বহু তারকা উপস্থিত ছিলেন সেই অনুষ্ঠানে। বাংলাদেশ থেকে এসেছিলেন চঞ্চল চৌধুরী। আমন্ত্রিত ছিলেন শ্রীলেখা মিত্র। ঘটনাচক্রে তাঁরা একই মঞ্চে একে ওপরের পাশে দাঁড়ান। সেই ছবি নিজের সামাজিক মাধ্যমে পোস্ট করেছেন অভিনেত্রী। ক্যাপশনে লিখেছেন, 'কুছ কুছ হোতা হ্যায়, আমাদের একসাথে প্লিজ কেউ কাস্ট করো।'
শ্রীলেখার আপলোড করা ছবিতে দেখা গিয়েছে, সবুজ রঙের শাড়ি পরেছিলেন অভিনেত্রী। ঘটনাচক্রে চঞ্চল চৌধুরীও একটি সবুজ রঙের পাঞ্জাবি পরেছিলেন। অনতিদূরে দাঁড়িয়েছিলেন দুই বাংলার তারকা। শ্রীলেখার চেহারায় মুগ্ধতার হাসি। মনের ইচ্ছে তো জানালেন সামাজিক মাধ্যমে, সেই ইচ্ছে কী বাস্তবায়িত হবে? বলবে সময়।