অবশেষে চেয়ারম্যান নিযুক্ত হল রাজ্যের পাবলিক সার্ভিস কমিশনে (পিএসসি)। পিএসসি-র নতুন চেয়ারম্যান হলেন অবসরপ্রাপ্ত আইএএস মহুয়া বন্দ্যোপাধ্যায়। রাজ্য সরকারের সুপারিশ অনুযায়ী, মঙ্গলবার তাঁকে নিয়োগ করা হয়। নতুন চেয়ারম্যান নিযুক্ত হওয়ার পর নিয়োগ প্রক্রিয়ায় কি গতি আসবে? আশায় চাকরিপ্রার্থীরা।
রাজ্যের তরফে পিএসসি চেয়ারম্যান পদে অবসরপ্রাপ্ত আইএএস মহুয়া বন্দ্যোপাধ্যায়ের নাম প্রস্তাব করা হয়। রাজ্য সরকারের সেই প্রস্তাবে মঙ্গলবার অনুমোদন দিয়েছেন রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোস। নিয়োগ দুর্নীতির কারণে অপসারণ করা হয়েছিল পিএসসি- র চেয়ারম্যানকে। দীর্ঘদিন পদটি শূন্য পড়ে ছিল। ফাঁকা রয়েছে বেশ কয়েকজন আধিকারিকের পদও। এই পরিস্থিতিতে নিয়োগ এবং প্রশাসনিক কোনও সিদ্ধান্ত নিতে পারছে না পিএসসি, তারই অবসান চেয়ে সরকারকে চিঠিও দিয়েছিলেন রাজ্যপাল। গত ১৮ জানুয়ারি রাজভবন থেকে একটি সংক্ষিপ্ত বিবৃতি জারি করে রাজ্য সরকারকে এই নিয়োগের ক্ষেত্রে গতি আনতে নির্দেশ দেওয়া হয়।
পাহাড়বাসীর জন্য সুখবর। পাহাড়বাসীর দীর্ঘদিনের দাবিপূরণ। রাজ্যের পার্বত্য এলাকার জন্য গঠিত হল স্কুল সার্ভিস কমিশনের আঞ্চলিক শাখা। কালিম্পঙের বাসিন্দা অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক বিজয়কুমার রাইকে কমিশনের চেয়ারম্যান হিসেবে নিযুক্ত করা হয়েছে। সূত্রের খবর, মোট সাত সদস্যের গঠিত কমিটি কাজ কবরে আগামী ২০২৮ সালের ২৪ জানুয়ারি পর্যন্ত, এমনই ঘোষণা রাজ্যের শিক্ষা দফতরের পক্ষ থেকে।
সূত্রের খবর, কেবলমাত্র পার্বত্য এলাকার স্কুল সার্ভিস কমিশনের আঞ্চলিক শাখা গঠনই নয়, রাজ্যের শিক্ষা দফতরের তরফে বদল করা হয়েছে বেশ কিছু আঞ্চলিক এসএসসির চেয়ারম্যানকেও। এই মর্মে উত্তর রিজিয়নের চেয়ারম্যান বদলি করে সেখানকার এসএসসির চেয়ারম্যান নিযুক্ত করা হয়েছে অধ্যাপক সাধন কুমার সাহাকে। এছাড়াও বদলি পশ্চিম রিজিয়নের চেয়ারম্যানকেও। নতুন করে পশ্চিম রিজিয়নের চেয়ারম্যান নিযুক্ত করা হয়েছে ডঃ দেবপ্রসাদ সাউকে।
রাজ্যজুড়ে এখন শুধু দুর্নীতির মরশুম বলা চলে। দুর্নীতির ক্ষেত্রে ছাড়া হয়নি শিক্ষা জগৎকেও। শিক্ষা নিয়োগে ভয়ানক দুর্নীতি প্রকাশ্যে এসেছে বহুদিন। তার মধ্যে পার্বত্য অঞ্চলের মানুষের দাবিপূরণের এই খবরে কিছুটা খুশির আমেজ পাহাড়বাসীর মনে।
পুরসভার নিয়োগ দুর্নীতি মামলার তদন্তে রবিবার সকালে মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম এবং তৃণমূল বিধায়ক মদন মিত্রের বাড়িতে হানা দেয় সিবিআই। এর পাশাপাশি ওই একই মামলার তদন্তে হালিশহর এবং কাঁচড়াপাড়া, উত্তর দমদম, টাকি, কৃষ্ণনগর, ব্যারাকপুর সহ মোট ১২টি জায়গায় গেল তদন্তকারী সংস্থার মত ১৭ টি দল। সেখানে প্রাক্তন পুরপ্রধানদের বাড়িতেও তল্লাশি চালাচ্ছেন সিবিআই গোয়েন্দারা।
রবিবার সকালে হালিশহর পুরসভার প্রাক্তন পুরপ্রধান অংশুমান রায়ের বাড়িতে পৌঁছে যান সিবিআই গোয়েন্দারা। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ২০১০ থেকে ২০২১ সাল পর্যন্ত পুরপ্রধান ছিলেন তিনি। আলমারি থেকে একাধিক কাগজপত্র বের করতে থাকেন তাঁরা। জিজ্ঞাসাবাদও শুরু হয়েছে। অন্যদিকে কাঁচড়াপাড়া পুরসভার প্রাক্তন পুরপ্রধান সুদমা রায়ের বাড়িতেও সিবিআই তল্লাশি চলছে। সেখানেও একাধিক কাগজপত্র খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে সূত্র মারফত জানা গিয়েছে। ওদিকে টাকি পুরসভার প্রাক্তন পুর-প্রধান সোমনাথ মুখার্জীর বাড়িতেও তল্লাশি পুলিশের।
শিক্ষা দুর্নীতি মামলায় গ্রেফতার হয়েছেন হুগলির বাসিন্দা অয়ন শীল। তাঁকে জেরা করেই পুরসভার নিয়োগ দুর্নীতির বিষয়টি প্রকাশ্যে আসে। শুরু হয় তদন্ত। আগেও একাধিক পুরসভায় অভিযান চালিয়েছে কেন্দ্রীয় সংস্থা। এবার রবিবার সকালে ফের ফিরহাদ হাকিম এবং মদন মিত্রের বাড়িতে হানা দেয় তদন্তকারী সংস্থার দুটি দল।
ওই দুই হেভিওয়েট নেতাদের বাড়িতে CBI পৌঁছতেই ভিড় জমান অনুগামীরা। এদিকে বাড়ি ঘিরে রেখেছেন কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানরা। এমনকি, ফিরহাদ হাকিমের মেয়ে প্রিয়দর্শীনি হাকিম বাড়িতে ঢোকার চেষ্টা করলেও তাঁকে আটকানো হয়। দীর্ঘক্ষণ কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানদের সঙ্গে তাঁর কথাকাটাকাটি হয়। অবশেষে তাঁকে ঢোকার অনুমতি দেওয়া হয়।
পুকুর ভরাটের অভিযোগ খোদ ভাইস চেয়ারম্যানের (Vice Chairman) ওয়ার্ডে। ঘটনাটি ঘটেছে বোলপুর (Bolpur) পৌরসভা (Municiplity) এলাকায়। কিছুদিন আগে বোলপুর পৌরসভার চেয়ারম্যান পর্ণা ঘোষের ওয়ার্ডে একটি পুকুর বুজিয়ে ফেলার ঘটনা দেখা গিয়েছিল। ঠিক একইভাবেই বোলপুর পৌরসভার ভাইস চেয়ারম্যান ওমর শেখের ছয় নম্বর ওয়ার্ডেও পুকুর বুজিয়ে ফেলার ঘটনাটি সামনে আসে। যদিও এমন কোনও ঘটনা ঘটেছে বলে কিছুই জানেন না বলে জানিয়েছেন বোলপুর পৌরসভার চেয়ারম্যান পর্ণা ঘোষ।
স্থানীয়দের সূত্রে খবর, পুকুর বুজিয়ে আবাসন তৈরি করা হবে। অন্যদিকে ভূমি ও ভূমি সংস্কার দপ্তর এর আধিকারিকরা জানায়, অভিযোগের ভিত্তিতে যদি এরকম কোন ঘটনা ঘটে থাকে তাহলে তারা যথোপযুক্ত ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। তারা আশ্বস্ত করে এরকম ধরণের ঘটনা পরবর্তী কালে যাতে না ঘটে সেইদিকে নজর রাখবে তাঁরা।
হালিশহর (Halisahar) পুরসভার (Municiplity) পুরপ্রধান (Chairman) পদ থেকে পদত্যাগ করলেন রাজু সাহানি। তার জায়গায় বর্তমান পুর প্রধান হলেন শুভঙ্কর ঘোষ। সূত্রের খবর, বুধবার দুপুরে তৃণমূল পরিচালিত পুরসভা হালিশহরের পুর প্রধান রাজু সাহানি পুরসভার প্রশাসক পদ থেকে ইস্তফা দেন। সূত্রের খবর, হালিশহর পুরসভার ২০ ওয়ার্ডের তৃণমূল কাউন্সিলর রাজু। সম্প্রতি চিটফান্ড মামলায় তাঁকে গ্রেফতার করেছিল সিবিআই। পরে অবশ্য জামিন পেয়ে যান তিনি। সূত্রের খবর, বুধবার হালিশহর পুরসভায় একটি বৈঠক ডাকা হয়। ওই বৈঠকে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয় যে পুরসভার প্রধান হবেন শুভঙ্কর ঘোষ। সূত্রের খবর, শুভঙ্কর হালিশহর পুরসভার ১০ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর। আজ অর্থাৎ বুধবার পদত্যাগের পর রাজু সাহানি সংবাদ মাধ্যমকে জানান, দলের নির্দেশেই পদত্যাগ করেছেন তিনি।
ঝালদা পুরসভা (Jhalda Municipality Row) নিয়ে হাইকোর্টে ফের ধাক্কা রাজ্যর। ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে ফের ঝালদা পুরসভায় চেয়ারম্যান বদল। এবার রাজ্যের নিয়োগ করা কাউন্সিলরকে সরিয়ে আপাতত পূর্ণিমা কান্দুকে ঝালদা পুরসভার চেয়ারম্যান হিসেবে নিয়োগ করল আদালত (Calcutta High Court)। এই মুহূর্তে ঝালদা পুরসভায় ভাইস চেয়ারম্যান কংগ্রেস কাউন্সিলর পূর্ণিমা কান্দু। জানা গিয়েছে, ফেব্রুয়ারির দ্বিতীয় সপ্তাহে এই মামলার পরবর্তী শুনানি। শুক্রবার এই নির্দেশ দেন বিচারপতি অমৃতা সিনহা। আস্থা ভোটে জিতে চেয়ারম্যান হিসেবে নিয়োগ পাওয়া শীলা চট্টোপাধ্যায়ের কাউন্সিলর পদ খারিজ সংক্রান্ত বিজ্ঞপ্তিতে স্থগিতাদেশ দিয়েছে আদালত। পাশাপাশি এসডিও-র বিজ্ঞপ্তিতেও আগামি শুনানি পর্যন্ত স্থগিতাদেশ আদালতের। এমনটাই সূত্রের খবর।
জানা গিয়েছে, ১৮ জানুয়ারি ঝালদা পুরসভার চেয়ারম্যান শীলা চট্টোপাধ্যায়ের কাউন্সিলর পদ খারিজ করে সুদীপ কর্মকারকে চেয়ারম্যান পদে বসায় রাজ্য। এই দুটি সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করে আদালতে দ্বারস্থ হয়েছিল কংগ্রেস শিবির। দু'পক্ষের সওয়াল-জবাব শুনে কোর্ট জোড়া সিদ্ধান্তের উপর অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশ দিয়েছে হাইকোর্ট। পাশাপাশি কংগ্রেস কাউন্সিলর পূর্ণিমা কান্দুকে চেয়ারম্যান পদে নিয়োগ করেছে আদালত।
আদালতের প্রশ্ন, 'বারবার হেরে যাওয়া দলের লোককে কেন চেয়ারম্যান পদে নিয়োগ করা হচ্ছে।' এদিন সংবাদ মাধ্যমকে জানান আইনজীবী কৌস্তভ বাগচি। তিনি জানান, আমরা এই পর্যবেক্ষণে খুশি। গণতান্ত্রিক মূল্যবোধকে মান্যতা দিয়েছে হাইকোর্ট। এ প্রসঙ্গে উল্লেখ্য, হাইকোর্টের এই অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশে কাউন্সিলর পদে বহাল থাকলেন শীলা চট্টোপাধ্যায়। পাশাপাশি রাজ্যের তরফে নিয়োগ করা ঝালদা পুরসভার কাউন্সিলর সুদীপ কর্মকার অপসারিত হয়েছেন।
২০২২-র পুর ভোটের পর থেকেই খবরে শিরোনামে পুরুলিয়ার এই শহর। সম্প্রতি হাইকোর্টের নির্দেশে আস্থা ভোটে জিতে ঝালদা পুরসভার চেয়ারম্যান পদে বসেন শীলা চট্টোপাধ্যায়। কিন্তু এই নিয়োগের কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই দলবিরোধী আইনে তাঁর কাউন্সিলর পদ খারিজ করে তৃণমূল কাউন্সিলর সুদীপ কর্মকারকে চেয়ারম্যান নিয়োগ করে রাজ্য।
করোনা আক্রান্ত হয়ে অক্সিজেন সাপোর্টে আইপিএল-র প্রাক্তন চেয়ারম্যান (IPL Chairman) ললিত মোদী। গত সপ্তাহে তাঁর (Lalit Modi) করোনা পরীক্ষার রিপোর্ট পজিটিভ এসেছে। এই খবর নিজেই ইনস্টাগ্রামে জানান ললিত। দু’সপ্তাহে এই নিয়ে দু’বার করোনায় (Covid Positive) সংক্রমিত হয়েছেন আইপিএল-র প্রাক্তন চেয়ারম্যান। তিনি নাকি ভুগছেন নিউমোনিয়ায়। ললিত লেখেন, 'তাঁর ইনফ্লুয়েঞ্জাও হয়েছে। মেক্সিকোয় ছিলেন ললিত। সেখানেই চলছিল চিকিৎসা। পরে এয়ার অ্যাম্বুল্যান্সে তাঁকে লন্ডনে আনা হয়েছে।'
গত বছর প্রাক্তন বিশ্বসুন্দরী সুস্মিতা সেনের সঙ্গে ললিতের প্রেমের সম্পর্ক ঘিরে হইচই পড়ে ছিল। ইনস্টাগ্রামে সুস্মিতার সঙ্গে ছবি পোস্ট করে তাঁদের সম্পর্কের ব্যাপারে সিলমোহর দেন প্রাক্তন আইপিএল চেয়ারম্যান। তবে কিছু দিনের মধ্যেই জল্পনা ছড়ায় সুস্মিতা-ললিতের মধ্যে বিচ্ছেদ হয়েছে।
এদিকে, ললিতের অসুস্থতার খবরে কমেন্ট করেন সুস্মিতা সেনের ভাই রাজীব সেন। তিনি লেখেন, 'তোমার দ্রুত আরোগ্য কামনা করছি ললিত। শক্ত থাকো।' প্রাক্তন ক্রিকেটার হরভজন সিংহও ললিতের আরোগ্য কামনা করেছেন।
একটি পুরসভা (Municipality) কিন্তু দু'জন পুরপ্রধান। বর্তমানে এই অবস্থায় দাঁড়িয়ে পুরুলিয়ার ঝালদা পুরসভা (Jhalda Municipality)। শুক্রবারই রাজ্যের পুর এবং নগরোন্নয়ন দফতর ঝালদা পুরসভায় চেয়ারম্যান হিসেবে তৃণমূল কাউন্সিলর (TMC) জবা মাছুয়াকে নিয়োগ করেছে। আর শনিবার কংগ্রেস (Congress) নতুন পুর বোর্ড গড়ে নির্দল কাউন্সিলর শীলা চট্টোপাধ্যায়কে পুর চেয়ারম্যান ঘোষণা করেছে। এখন এই জটিলতার মধ্যে কোন চেয়ারম্যান বৈধ সেদিকে তাকিয়ে ঝালদাবাসী।
জানা গিয়েছে, রাজ্যের পৌর আইনের ১৯৯৩ সালের ১৭/৪ ধারা মেনে জবা মাছুয়াকে নিয়োগ করেছে পুর ও নগরোন্নয়ন দফতর। যতক্ষণ না নতুনভাবে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হবে, ততক্ষণ ঝালদা পুরসভায় চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্বে সামলাবেন দশ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল কাউন্সিলার জবা মাছুয়া। পুরও নগরোন্নয়ন দফতর এই বিজ্ঞপ্তি ইতিমধ্যেই জেলাশাসক-সহ ঝালদা পৌরসভার এক্সিকিউটিভ অফিসার ও ১০ নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর জবা মাছুয়ার এর কাছে পাঠানো হয়েছে।
এদিকে, কংগ্রেসের তরফে নির্বাচিত পুর চেয়ারম্যান শীলা চট্টোপাধ্যায় জানান, আমি ঝালদার মানুষকে স্বচ্ছ পুর পরিষেবা দেব। আমার সঙ্গে থাকার জন্য কংগ্রেসকে ধন্যবাদ।
এ প্রসঙ্গে উল্লেখ্য সম্প্রতি ঝালদা পৌরসভার তৃণমূল পরিচালিত বোর্ডের চেয়ারম্যান সুরেশ আগরওয়ালকে অনাস্থা প্রস্তাব এনে অপসারিত করা হয়েছে। পুরসভায় আয়োজিত আস্থা ভোটে চেয়ারম্যানের পক্ষে ভোট পড়ে ৫ জনের, বিপক্ষে ভোট পড়ে ৭ জনের। স্পষ্টতই আস্থা ভোটে জিতে বোর্ড গঠনে এগিয়ে ছিল কংগ্রেস। কিন্তু কংগ্রেসের ঘোষিত সেই কর্মসূচির একদিন আগে অর্থাৎ ২ ডিসেম্বর বিজ্ঞপ্তি দিয়ে তৃণমূল কাউন্সিলরকে চেয়ারম্যান নিয়োগ রাজ্যের।
ঘন ঘন চেয়ারম্যান বদল। পাঁচ বছর মেয়াদকাল পূর্ণ করে না কোনও বোর্ড। ফের সেই ইতিহাসের পুনরাবৃত্তি হতে চলেছে ঝালদা পুরসভায় (Jhalda municipality)। পুরপ্রধানের বিরুদ্ধে স্বেচ্ছাচারিতা ও দুর্নীতির অভিযোগ তুলে মহকুমাশাসককে অনাস্থার চিঠি দিলেন ঝালদা পুরসভার ছয় কাউন্সিলর (Councilor)। পাঁচজন কংগ্রেস (Congress) কাউন্সিলরের পাশাপাশি নির্দলের কাউন্সিলরও সই করলেন আনস্থায়। অস্বস্তিতে শাসকদল তৃণমূল (TMC)।
১২ আসন বিশিষ্ট ঝালদা পুরসভা। পুর নির্বাচনে পাঁচটি আসনে তৃণমূল, পাঁচটি আসনে কংগ্রেস ও দুটি আসনে জয়ী হয়েছেন নির্দল প্রার্থীরা। এর মধ্যে গত ১৩ই মার্চ দুষ্কৃতীদের গুলিতে খুন হয়েছেন পুরসভার ২ নম্বর ওয়ার্ডের কংগ্রেস কাউন্সিলর তপন কান্দু। এরপর ৫-ই এপ্রিল দুই নির্দল কাউন্সিলরকে নিয়ে ঝালদা পুর বোর্ড গঠন করে তৃণমূল। পৌরপ্রধান হন তৃণমূলের সুরেশ আগারওয়াল।
আর তার ঠিক ৬ মাস পর তৃণমূলের বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ তুলে পাঁচ কংগ্রেস কাউন্সিলর-সহ আট নম্বর ওয়ার্ডের নির্দল কাউন্সিলর সোমনাথ কর্মকার মিলে মোট ছয় জন কাউন্সিলর মহকুমা শাসককে এই অনাস্থা চিঠি জমা দিলেন। প্রসঙ্গত, এই অনাস্থা ঝালদা পুরসভায় নতুন নয়। এর আগেও বহুবার হয়েছে। বলা চলে ঘনঘন চেয়ারম্যান বদলের ইতিহাস রয়েছে ঝালদা পুরসভায়। গত বোর্ডে ইতিহাস আছে একটি বোর্ড পাঁচ বছর পূর্ণ করতে পারে না। এদিন এই অনাস্থা সেই পুরোনো ইতিহাসের পথে হাঁটল। যদিও এই অনাস্থা নিয়ে খুব একটা গুরত্ব দিচ্ছেন না ঝালদা পুরপ্রধান সুরেশ আগারওয়াল। পাল্টা তিনি দলের উপর ভরসা রাখলেন।
চলতি সপ্তাহে বুধবারই সিবিআই(CBI) জেরার মুখে পড়েছিলেন উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য(Vice Chancellor) তথা এসএসসির প্রাক্তন চেয়ারম্যান(ex Chairman) সুবীরেশ ভট্টাচার্য(Subiresh Bhattacharya)। এরপর এদিন সকালে সোজা রওনা হলেন কলকাতার(Kolkata) উদ্দেশে। নিয়োগ দুর্নীতি কাণ্ডে তাঁকে সমন পাঠিয়েছেন সিবিআই আধিকারিকরা ৷ মনে করা হচ্ছে সিবিআই তলবে দফতরে হাজিরা দিতে গেলেন তিনি । সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে তিনি জানিয়েছেন, কলকাতা যাচ্ছেন। তবে কেন যাচ্ছেন তিনি তা স্পষ্ট করেননি।
উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরে উপাচার্য সুবীরেশ ভট্টাচার্যের বাংলোয় রয়েছে কড়া নিরাপত্তা। সকাল থেকেই মোতায়েন রয়েছে একাধিক নিরাপত্তারক্ষী। এরই মাঝে এদিন সকাল প্রায় ৮ টা বেজে ১৪ মিনিটে একটি লাল রঙের গাড়ি প্রবেশ করে উপাচার্যের বাংলোয়। তার কিছু সময় বাদেই প্রবেশ করে বিশ্ববিদ্যালয়ের নিজস্ব একটি গাড়ি সহ সাদা রঙের আরও একটি গাড়ি। প্রতিটি গাড়িই অবশ্য ফাঁকা ছিল বলে জানা গেছে।
গতকাল উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরে হানা দিয়েছিল সিবিআই । সূত্রের খবর, প্রায় ১০ ঘন্টা জিজ্ঞাসাবাদ করা হয় উপাচার্যকে। উল্লেখ্য, সিবিআইয়ের ১১ জনের একটি দল উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসে থাকা বাংলো এবং প্রশাসনিক ভবনের কার্যালয়ে হানা দেয়। পাশাপাশি উপাচার্যের বাঁশদ্রোনীর বাড়িটিও সিল করে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা ।
গতকালের পর আজও ফের সিবি আই হানার খবর রয়েছে। সূত্রের খবর, এদিন ফের বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরে যেতে পারেন সিবিআই আধিকারিকরা।
এসএসসি(SSC) নিয়োগ দুর্নীতি তদন্তে এবার সিবিআই(CBI) ব়্যাডারে এসএসসির প্রাক্তন চেয়ারম্যান তথা উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য সুবীরেশ ভট্টাচার্য। সূত্রের খবর, বুধবার সকাল দশটা নাগাদ কেন্দ্রীয় দল এসে পৌঁছয় শিলিগুড়িতে। পৃথক দুটি গাড়িতে ৮ থেকে ৯ জনের দল বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরে পৌঁছন বলেই খবর। তাঁরা দু'টি ভাগে ভাগ হয়ে যান। একটি দল আসে উপাচার্যের দফতরে। অপর দলটি যায় শিলিগুড়িতে ইউনিভার্সিটি ক্যাম্পাসের(university campus) ভিতরে উপাচার্যের সরকারি বাসভবনে।
প্রসঙ্গত, ২০১৪ থেকে ২০১৮ সাল পর্যন্ত তিনি এসএসসি-র চেয়ারম্যান(Chairman)) ছিলেন। জানা গিয়েছে, তদন্ত চলাকালীন উপাচার্যর দফতরের বাইরে যে সকল কর্মীরা ছিলেন তারা যাতে বাইরে যোগাযোগ করতে না পারেন, তার জন্য তাদের মোবাইল(mobile) জমা নিয়ে নেওয়া হয়। যাতে কেউ উপাচার্যের দফতরে যেতে না পারে তার জন্য ছিল কড়া পুলিসি(police) প্রহরা। সূত্রের খবর, দফতরে গিয়ে তাঁরা উপাচার্য সুবীরেশকে জিজ্ঞাসাবাদ করেন।
অন্যদিকে, সিবিআইয়ের অন্য একটি দল দক্ষিণ কলকাতায় তাঁর ফ্ল্যাটে পৌঁছয়। বাঁশদ্রোণীতে ফ্ল্যাটটি তালাবদ্ধ ছিল। ফলে অফিসাররা দীর্ঘ সময় ধরে অপেক্ষা করেছিলেন। কিন্তু তাঁর পক্ষ থেকে কাউকে পাওয়া যায়নি বলে সূত্রের খবর। তাই আধিকারিকরা ফ্ল্যাটের ভিতরে অভিযান চালাতে পারেনি। কলকাতার বাঁশদ্রোণী এলাকায় সুবীরেশের ফ্ল্যাট সিল করে দেয় সিবিআই।
প্রসঙ্গত, তিনি ৪ বছরের বেশি স্কুল সার্ভিস কমিশনের চেয়ারম্যান ছিলেন। হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চের কাছে প্রাক্তন বিচারপতি আর কে বাগের কমিটির দেওয়া রিপোর্টে জানানো হয়, ৩৮১টি ভুয়ো নিয়োগ হয়েছে। তার মধ্যে ২২২ জন পরীক্ষাই দেননি বলে অভিযোগ। বাগ কমিটির সেই রিপোর্টেও উল্লেখ ছিল সুবীরেশের নাম।
যদিও বিষয়টি নিয়ে এর আগেই সুবীরেশ ভট্টাচার্য জানান, ‘চেয়ারম্যান থাকাকালে কোনও আপস করিনি। ২০১৮ সালের জুলাই পর্যন্ত আমি চেয়ারম্যান ছিলাম। তখন দুর্নীতি হয়নি।’
রায়গঞ্জ পুরসভার ভাইস চেয়ারম্যানকে খুনের হুমকি যা নিয়ে তপ্ত বঙ্গ রাজনীতি । আজ একটি উড়ো চিঠিতে রায়গঞ্জ পুরসভার ভাইস চেয়ারম্যানকে খুনের হুমকি ঘিরে তীব্র চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে রায়গঞ্জে। যদিও চিঠিটি কে বা কারা লিখেছেন তা নিয়ে সংশয়ে পুলিস। এই নিয়ে ইতিমধ্যেই তদন্ত শুরু করেছে রায়গঞ্জ থানার পুলিস।
কী লেখা হয়েছে সেই চিঠিতে? জানা গিয়েছে, চিঠিতে রায়গঞ্জ পুরসভার ভাইস চেয়ারম্যান অরিন্দম সরকারকে প্রাণনাশের হুমকি দেওয়া হয়েছে। এই চিঠিকে ঘিরে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক চাপানোতর।
রায়গঞ্জ পৌরসভার ভাইস চেয়ারম্যান অরিন্দম সরকারকে খুনের হুমকি দেওয়া হয়েছে ,এমনই দাবি করেন তিনি। হিন্দিতে লেখা ওই চিঠিতে লেখা হয়েছে " সাবধানে থাকুন, আপনার প্রাণনাশের আশঙ্কা রয়েছে। চিঠিতে একটি গাড়ির নম্বরও উল্লেখ করা হয়েছে। নম্বরটি হল WB60V5858। গাড়ির নম্বর অনুয়ায়ী পুলিস জানতে পেরেছে গাড়িটি রায়গঞ্জের আরটিও'র রেজিস্ট্রেশন রয়েছে।
সোমবার রাতে এনিয়ে রায়গঞ্জ থানায় অভিযোগ জানাতে আসেন অরিন্দম সরকার। তিনি জানান, নামহীন একটি উড়ো চিঠি কেউ তাঁর বাড়িতে ফেলে দিয়ে যায়। সেই চিঠিতে কারও নাম না থাকায় বুঝতে অসুবিধা হচ্ছে কারা এই চিঠিটি পাঠিয়েছে। তবে ওই চিঠিতে একটি গাড়ির নম্বর দেওয়া রয়েছে যেখানে রায়গঞ্জের রেজিস্ট্রেশন করা গাড়ি বলে করা হচ্ছে। তবে কারা অরিন্দম সরকারকে খুনের পরিকল্পনা করছে সেই বিষয়ে অরিন্দম সরকারকে প্রশ্ন করা হলে তাঁর দাবি এটা বিরোধীদের চক্রান্ত।
অন্যদিকে এই ঘটনায় বিজেপির জেলা সহ সভাপতি নিমাই কবিরাজের সঙ্গে এবিষয়ে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, বিজেপি এধরনের কাজ করেনা। এটা তৃণমূলের গোষ্ঠীকোন্দলের ফল। পাশাপাশি চাকরির নামে যেভাবে তৃণমূল নেতারা টাকা তুলেছে তাঁর ফলে এধরনের ঘটনা ঘটতে পারে বলেই জানান তিনি। পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে এব্যাপারে থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে । সব দিক খোলা রেখে পুলিস তদন্ত শুরু করেছে।
পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে (Partha Chatterjee) নিয়ে বিস্ফোরক মন্তব্য তৃণমূল পরিচালিত পুরসভার পুরপ্রধানের। রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রীকে ক্যানসার (cancer) বলে সম্বোধন নিউ ব্যারাকপুর পুরসভার পুরপ্রধান প্রবীর সাহার। সোশ্যাল মিডিয়ায় (social media) ভাইরাল হওয়া এক ভিডিও, তাতে দেখা যাচ্ছে নিউ বারাকপুর (New Barrackpore) পুরসভার পুরপ্রধানের এমন মন্তব্য ঘিরেই শোরগোল পড়েছে। যদিও সেই ভিডিওর সত্যতা যাচাই করেনি ক্যালকাটা নিউজ ডিজিটাল।
প্রসঙ্গত, আগামী ২৮ শে অগাস্ট তৃণমূল ছাত্র পরিষদের প্রতিষ্ঠা দিবস, আর সেই প্রতিষ্ঠা দিবস উপলক্ষে নিউ ব্যারাকপুর শহর তৃণমূল ছাত্র পরিষদের পক্ষ থেকে একটি প্রস্তুতি সভা করা হয়। সেই মঞ্চেই পুর চেয়ারম্যান প্রবীর সাহার মন্তব্য ঘিরেই শুরু হয়েছে শোরগোল। তিনি সেদিন সভামঞ্চে বক্তব্য রাখতে গিয়ে বলেন, "চায়ের দোকানে তোলপাড় করে লাভ নেই। পার্থ চট্টোপাধ্যায় অন্যায় করেছে তৃণমূল তাকে কেটে বাদ দিয়ে দিয়েছে। শরীরের কোনও অংশে ক্যান্সার হলে কেটে বাদ দিয়ে দিতে হয়। পার্থ চট্টোপাধ্যায় সেই ক্যান্সার, তাই দল বাদ দিয়ে দিয়েছে। দল দলের মত চলছে।
ভিডিওর সত্যতা যাচাই করেনি ক্যালকাটা নিউজ ডিজিটাল
প্রসঙ্গত, তৃণমূল প্রাক্তন মন্ত্রী তথা প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের গ্রেফতারির পরই অস্বস্তিতে শাসক দল। এরপরই তৃণমূলে তাঁর সব পদ থেকে অপসারিত করা হয়েছে। মমতা ক্যাবিনেট থেকেও সরানো হয়েছে তাঁকে।