ফের শতরান বিরাটের। একদিবসীয় ক্রিকেটে ৫০টি শতরান হলো বিরাট কোহলির। এর পূর্বে দক্ষিণ আফ্রিকার সঙ্গে ৪৯ তম শত রান করে শচীনের রেকর্ড স্পর্শ করেন তিনি। এবার তিনি বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে শতরান করে শচীনের রেকর্ড ভেঙে দিলেন। একদিবসীয় ক্রিকেটে শচীনের মোট ৪৯ টি সেঞ্চুরি ছিল। এবার সেই রেকর্ড ভেঙে নয়া রেকর্ড বিরাট কোহলির। এক দিবসীয় ক্রিকেটে বিরাট কোহলির ঝুলিতে এখন ৫০ টি সেঞ্চুরি।
নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে টসে জিতে প্রথমে ব্যাট করতে নেমে ভালো শুরু করে ভারত। রোহিত ভালো শুরু করলেও একটুর জন্য হাফ সেঞ্চুরি মিস হয় রোহিতের। যদিও এরপর ইনিংসের হাল ধরে গিল ও বিরাট। বিরাট প্রথম দিকে একটু ধরে খেলা চেষ্টা করলেও, হাফ সেঞ্চুরির পর হাত খুলে খেলে বিরাট। ১০৫ বলে নিজের সেঞ্চুরি পূরণ করে বিরাট। বিরাটের সেঞ্চুরির পর দর্শকদের মধ্যে প্রবল উল্লাস শুরু হয়। পাশাপাশি ক্রিকেট রাজা কোহলিকে অভ্যর্থনা জানাতে শুরু করে সবাই। পাশাপাশি মাঠে থাকা দর্শকরাও তাঁকে অভ্যর্থনা জানায়। পূর্বে দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে ইডেনে ৪৯ তম সেঞ্চুরি করে বিরাট। এই নিয়ে চলতি বিশ্বকাপে ভারতের হয়ে দ্বিতীয় সেঞ্চুরি বিরাটের। এবং গোটা বিশ্বকাপে সর্বোচ্চ রান বিরাটের।
জন্মদিনে ৪৯ তম সেঞ্চুরি বিরাটের। ইডেনে ৩৫ তম জন্মদিনে সেঞ্চুরিটি করেন বিরাট। টসে জিতে প্রথমে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেয় ভারত। শুরু ভালো হলেও রোহিত আউট হওয়ার পর, বিরাট ধরে খেলার চেষ্টা করেন। সুযোগ বুঝে বাউন্ডারি,ওভার বাউন্ডারি ও শট রান নিয়ে নিজের শতরান টি পূরণ করেন বিরাট। ৪৯ তম সেঞ্চুরিতে সচিনের রেকর্ড স্পর্শ করল বিরাট। ইডেনে দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে ১১৯ বলে নিজের সেঞ্চুরিটি পূর্ণ করেন বিরাট। এই সেঞ্চুরিতে রীতিমত উন্মাদনা ছড়িয়ে পরে গোটা বিরাট ও ক্রিকেট প্রেমীদের মধ্যে।
এক দিবসীয় ম্যাচে ৪৬৩ ম্যাচ খেলে শচীন ৪৯ টি সেঞ্চুরি করেন। বিরাট ২৮৮ টি ইনিংস খেলে এই মাইলফলক স্পর্শ করেন বিরাট। বিশ্বকাপের গত দুটি ম্যাচে বিরাট সেঞ্চুরি দোরগোড়ায় পৌঁছালেও ৪৯ তম সেঞ্চুরি করতে বিরাটকে অপেক্ষা করতে হয়। শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে ৯৪ বলে ৮৮ রান করে আউট হয়ে যায়।
এশিয়া কাপের শুরুতেই ধুমধাড়াক্কা ওপেনিং। মুলতানে প্রথম ম্যাচ খেলতে নেমে নেপালের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক সেঞ্চুরি বাবর আজমের। ১৫১ রানের ইনিংস এল তাঁর ব্যাট থেকে। গড়লেন একাধিক রেকর্ড।
এশিয়া কাপের এবার অন্যতম ফেভারিট পাকিস্তান। তবে নেপালের বিরুদ্ধে প্রথমেই টপ অর্ডারের দুটি উইকেট হারিয়ে ফেলে টিম। এই পরিস্থিতি থেকে খেলা ধরেন অধিনায়ক বাবর আজম। ১৩১ বলে ১৫১ রান করেন তিনি। দ্রুততম ১৯তম ওয়ানডে সেঞ্চুরি করে ফেললেন তিনি। পেরিয়ে গেলেন হাসিম আমলা ও বিরাট কোহলিকে। সেঞ্চুরি করেন পাকিস্তানের ইফতিকার আহমেদ। ৫০ ওভারে ৬ উইকেট হারিয়ে ৩৪২ রান তোলে পাকিস্তান।
জবাবে ব্যাট করতে নেমে শুরুটা ভাল করলেও ভেঙে পড়ল নেপালের ব্যাটিং লাইন আপ। ২১ ওভারে ৬ উইকেট হারিয়ে তাঁদের রান ৯০। ২ উইকেট তুলে নিয়েছেন শাহিন শাহ আফ্রিদি ও হ্যারিস রাউফ। ১ উইকেট নাসিম শাহের। ১০৪ রানেই ২৩ ওভারে গুটিয়ে যায় নেপালের ইনিংস। ফলে ২৩৮ রানে নেপালকে হারাল পাকিস্তান।
ঘরোয়া ক্রিকেট এবং আইপিএলের পরে টেস্ট ম্যাচেও দুর্দান্ত ফর্মে রয়েছেন যশস্বী জয়সওয়াল। জীবনের প্রথম টেস্ট ম্যাচেই শতরান হাঁকিয়েছেন তিনি। আর এই সাফল্যের পর তিনি জানিয়েছেন, সবে শুরু করেছেন তিনি। এখনও আরও সাফল্য পাওয়াই তাঁর লক্ষ্য।
অভিষেক টেস্টে শতরান করে উচ্ছ্বসিত যশস্বী। তিনি জানিয়েছেন, এই ইনিংস তাঁর জন্য অত্যন্ত আবেগপূর্ণ। ভারতীয় দলে সুযোগ দেওয়ার জন্য তিনি ধন্যবাদ জানিয়েছেন অধিনায়ক রোহিত শর্মাকে- এবং অগণিত দর্শকদের। এরপরেই নিজের ইনিংস নিয়ে তিনি বলেন, 'সবে শুরু করলাম। ভবিষ্যতেও ভাল পারফরম্যান্স করতে চাই।'
আজহারউদ্দিন, সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়, বীরেন্দ্র সেওয়াগদের ছুঁয়ে ফেলেছেন যশস্বী জয়সওয়াল। রোহিতের সঙ্গে জুটি বেঁধে ক্যারিবিয়ানদের বিরুদ্ধে দাপটের সঙ্গে খেলেন যশস্বী। ২১৫ বলে শতরান করেন তিনি। ওয়েস্ট ইন্ডিজের মাটিতে যশস্বীই প্রথম ভারতীয় যিনি অভিষেক টেস্টে শতরান করলেন। ম্যাচের দ্বিতীয় দিনের শেষে তিনি অপরাজিত রয়েছেন ১৪৩ রান করে।
সৌমেন সুর: আজ একবিংশ শতাব্দীতে দাঁড়িয়ে শিক্ষা ও সভ্যতা নিয়ে আমরা বড়াই করি। শিক্ষা ও সভ্যতার প্রকৃত অর্থ অনুধাবন করার ক্ষমতা যদি মানুষের থাকতো, তাহলে প্রকৃতি ও মানুষের এরকম বিপর্যয় ঘটতো না। আজ অসহায় মানুষ ভুলে গিয়েছে বেঁচে থাকার মূল সত্য। যেদিন শোষিত বঞ্চিত মানুষ উপলব্ধি করবে- বেঁচে থাকার প্রকৃত মূল্য কি! সেদিন হবে অন্যায়ের অবসান।
নব প্রজন্মের কথা আমরা কি কখনো তলিয়ে দেখেছি? একটি শিশুর শিক্ষক যে এই প্রকৃতি, যাকে কেন্দ্র করেই শিশুরা বেড়ে ওঠে। মাঠ নেই, পুকুর নেই, জলা নেই- ভালোবাসাহীন এক কৃত্রিম সমাজ। এ দায়ভার, নিতে হবে আমাদের সকলকেই। এখনো সময় আছে, সবুজ গাছ, মাঠ, পুকুর (যতটুকু আছে) তাকে রক্ষা করা। এবং শিশুকে বহির্মুখী না করে সুষম স্বাস্থ্য ও মনোবিকাশের দিকে নজর দেওয়া।
আজ আকাশ দেখতে হলে ঘাড় তুলে দেখতে হয়। হাইরাইজ় বিল্ডিং সারি সারি। খেলার জন্য মাঠ ছিল, পুকুর ছিল, জলা জমি ছিল- হায়রে লোভ!! লোভাতুর মানুষের গ্রাসে উধাও হয়ে গিয়েছে সবুজ প্রকৃতি। শিশুদের মুখের দিকে তাকালে অসহায় মুখে শুধুই হাহাকার। তাই বোধনের মঙ্গল মন্ত্র যত শীঘ্র হোক আনতেই হবে, নইলে ধ্বংস অনিবার্য।
বিশাল জয়ে বিরাট রেকর্ড। শ্রীলঙ্কাকে (Srilanka Cricket Team) ৩১৭ রানের রেকর্ড ব্যবধানে হারিয়েছে ভারত (India Cricket Team)। কিন্তু রেকর্ড রুমের খাতায় শুধু কোহলি আর কোহলি (Virat Kohli)। কী কিরেছেন কিং কোহলি? ১৬৬ নট আউট। এটা শুধু পরিসংখ্যান নয়। এই নিয়ে একদিনের ক্রিকেটে ৪৬তম সেঞ্চুরি বিরাটের। সচিনকে (Sachin Tendulkar) ছুঁতে দরকার আরো ৩ টে সেঞ্চুরি। দেশের মাটিতে ওয়ান ডে ক্রিকেটে সবচেয়ে বেশি সেঞ্চুরি ছিল মাস্টার ব্লাস্টারের। সেই ম্যাজিক নম্বর ২০ ছাপিয়ে বিরাট করলেন ২১ নম্বর সেঞ্চুরি। এখানেই শেষ নয়।
কোনও একটি দেশের বিরুদ্ধে সর্বোচ্চ ১০টি শতরানের মালিকের নাম বিরাট কোহলি। এতদিন পর্যন্ত সেই রেকর্ড ছিল সচিনের দখলে। অজিদের বিরুদ্ধে ৯টি সেঞ্চুরি ছিল মাস্টারের। এখনও শেষ হয়নি। একদিনের ক্রিকেটে সর্বোচ্চ রানের তালিকায় বিরাট এখন পাঁচ নম্বরে রয়েছেন। ১২৭৫৪ রান রয়েছে বিরাটের।
যতদিন যাচ্ছে ছাপিয়ে যাচ্ছেন নিজেকে। নতুন নতুন রেকর্ড। সবচেয়ে বড় কথা, অন্তত বছর দুয়েক রানের দেখা পাননি। সমালোচনায় ক্ষতবিক্ষত হয়েছেন কিং। এবার ব্যাটে রানের বন্যা। সবুজ মাঠে ব্যাট হাতে যেন দাপুটে রাজা বিরাট।