জনগণের স্বার্থে কেন্দ্রের পাঠানো টাকা লুঠ হয়েছে। এই দাবি করে কলকাতা হাইকোর্টে জনস্বার্থ মামলা (PIL) রুজু করেন জগন্নাথ চট্টোপাধ্যায়। ক্যাগের রিপোর্টের (CAG Report) ভিত্তিতে সিবিআই তদন্তের (CBI investigation) দাবি করা হয়েছে সেই জনস্বার্থ মামলায়। এবার এই মামলায় ক্যাগ এবং রাজ্যের অর্থসচিবকে জুড়তে নির্দেশ দিয়েছে প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ। এই বেঞ্চের অপর বিচারপতি রাজর্ষি ভরদ্বাজ। আগামি সোমবার এই মামলার পরবর্তী শুনানি। জগন্নাথ চট্টোপাধ্যায়-সহ এই মামলার অপর দুই মামলাকারী আইনজীবী সুমনশঙ্কর চট্টোপাধ্যায় এবং অবসরপ্রাপ্ত সেনাকর্মী ঋত্বিক পাল।
জানা গিয়েছে, রাজ্যের বিরুদ্ধে প্রায় ২ লক্ষ ৩০ হাজার কোটি টাকা নয়ছয়ের অভিযোগ। সত্যি কি সেই টাকা নয়ছয় হয়েছে? সেটা জানতেই রাজ্যের অর্থসচিব এবং কেন্দ্রীয় সংস্থা ক্যাগকে জুড়তে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এ প্রসঙ্গে উল্লেখ্য, কেন্দ্রীয় বরাদ্দের টাকা নয়ছয়ের অভিযোগে একাধিকবার মোদী সরকারের সংশ্লিষ্ট মন্ত্রককে চিঠি লিখে অভিযোগ জানিয়েছেন শুভেন্দু অধিকারী। বিরোধী দলনেতার তোলা সেই অভিযোগের জল এবার গড়ালো হাইকোর্টে।
গঙ্গাসাগর মেলার প্রস্তুতি খতিয়ে দেখলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (CM Mamata Banerjee)। বুধবার ডুমুরজলা হেলিপ্যাড গ্রাউন্ড থেকে হেলিকপ্টারে গঙ্গাসাগর (Gangasagar Mela) উড়ে যান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। দুপুর দেড়টা নাগাদ তিনি হেলিপ্যাড আসেন এবং গঙ্গাসাগরের উদ্দেশ্যে রওনা দেন। সাগরে পৌঁছে তিনি মেলা প্রস্তুতি খতিয়ে দেখার পাশাপাশি উপস্থিত জেলা প্রশাসনকে প্রয়োজনীয় নির্দেশ দেন। পুজো দেন কপিল মুনির আশ্রমে। ৮-১৭ জানুয়ারি চলবে এই মেলা।
এদিন তিনি গঙ্গাসাগরে দাঁড়িয়ে বলেন: ৬৫ লক্ষ টাকা খরচ করে আধুনিক গেস্ট হাউস তৈরি করা হয়েছে, বিদেশিরা এসে থাকতে পারবে
গঙ্গাসাগর মেলার তীর্থ কর মুকুব করে দিয়েছি, প্রত্যেকের জন্য ৫ লক্ষ টাকা জীবন বীমা করা হয়েছে।
কুম্ভ মেলার সঙ্গে রেলপথ, আকাশপথ কানেক্টেড। কিন্তু গঙ্গাসাগর মেলায় জল পেরিয়ে যেতে-আসতে হয়, কঠিন কাজ
১০ হাজার কোটি টাকা খরচে মুড়িগঙ্গা ব্রিজ করার চেষ্টা হচ্ছে
পাশাপাশি এদিন তিনি গঙ্গাসাগর মেলাকে জাতীয় মেলা ঘোষণার দাবি কেন্দ্রকে জানান মুখ্যমন্ত্রী। তিনি জানান, জাতীয় মেলা ঘোষণার ক্ষেত্রে কোনও সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতা নেই। তাঁর অভিযোগ, 'কুম্ভ মেলায কেন্দ্রীয় সাহায্য পায়। কিন্তু গঙ্গাসাগর মেলায় একটা বাতাসা দিয়েও সাহায্য করে না কেন্দ্র।' মুখ্যমন্ত্রীর দাবি,'পরিকাঠামো তৈরি হয়ে গেল। এবারে এখান থেকে হেলিকপ্টার চলবে। বেসরকারি সংস্থাও হেলিকপ্টারও চালাতে পারে।'
জানা গিয়েছে, এবার মেলায় প্রায় এক কোটি পুন্যার্থীর সমাগমের সম্ভাবনা।
ফের মমতা সরকারের (Mamata Government) বিরুদ্ধে কেন্দ্রীয় বরাদ্দের টাকা নয়ছয়ের অভিযোগ তুলে সরব শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikary)। বৃহস্পতিবার রাজ্যের বিরোধী দলনেতা (Opposition Leader) চিঠি লিখে কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী (Finance Minister) নির্মলা সীতারমণকে এই অভিযোগ করেন। পাশাপাশি তাঁর অনুরোধ এই অভিযোগের প্রকৃত তদন্ত করে ব্যবস্থা নিক অর্থ মন্ত্রক। কেউ যাতে দুর্নীতি এবং কেন্দ্রের ভাবমূর্তি কলুষিত না করতে পারে। সেই বিষয়ে পদক্ষেপ করুক অর্থ মন্ত্রক। বৃহস্পতিবার তাঁর পাঠানো ওই চিঠি শুক্রবার টুইট করেছেন বিরোধী দলনেতা।
West Bengal LoP and BJP leader Suvendu Adhikari has written to Union Finance Minister Nirmala Sitharaman alleging West Bengal govt illegally diverting funds provided by the Central government pic.twitter.com/rR1nyqzPJg
— ANI (@ANI) September 30, 2022
সেই চিঠির ছত্রে ছত্রে রয়েছে কেন্দ্রীয় বরাদ্দ সঠিক খাতে ব্যয় না করার অভিযোগ। তিনি লিখেছেন, কেন্দ্রের নির্দিষ্ট খাতে বরাদ্দ টাকা লক্ষ্মীর ভাণ্ডার প্রকল্প-সহ রাজ্যের অন্য প্রকল্পে ব্যবহার করা হচ্ছে। তিনি জানান, কয়েক মাস আগে দিনের আলো দেখেছে পাবলিক ফিনান্স ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম। প্রধানমন্ত্রী স্বয়ং এই প্রকল্প চালু করেছেন। সেই ম্যানেজমেন্ট সিস্টেমে বরাদ্দ টাকা খরচের রাজ্য এক বেসরকারি ব্যাঙ্কে নোডাল অ্যাকাউন্ট খুলেছে। সেই ব্যাঙ্কেই সরকারের জরুরি ত্রাণ তহবিল রয়েছে। পাবলিক ফিনান্স ম্যানেজমেন্ট সিস্টেমের বরাদ্দ অর্থের বেশিরভাগ অংশ সেই তহবিলে নিয়ে সুদ-সহ অন্য খাতে ব্যবহার করছে মমতা সরকার।
তাঁর দাবি, 'এই অভিযোগ গুরুতর ভাবে খতিয়ে দেখলে অনিয়ম ধরা পড়বে। আর রাজ্য সরকার যে অভিযোগ করে কেন্দ্রীয় টাকা আটকে রাখা হয়েছে। সেই অভিযোগও মিথ্যা প্রমাণিত হবে।'