
শেষ বিধানসভা নির্বাচনে রাজ্যে এসেছিল প্রায় এগারোশো কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী। আসন্ন লোকসভা নির্বাচনে তার থেকেও বেশি সংখ্যক কেন্দ্রীয় বাহিনী আসবে এই রাজ্যে, এমনটাই ইঙ্গিত জাতীয় নির্বাচন কমিশনের। কারণ, জাতীয় নির্বাচন কমিশন ২০১৯ সাল থেকে এখনও পর্যন্ত ঘটে যাওয়া সব নির্বাচনের তথ্য সংগ্রহ করে রেখেছে। যার ভিত্তিতেই কমিশনের এই ইঙ্গিত।
সম্প্রতি রাজ্যে শেষ হয়েছে পঞ্চায়েত নির্বাচন। আর তাতে যে ছবি ধরা পড়েছে তা গোটা দেশবাসীর কাছে দিনের আলোর মতো পরিস্কার হয়ে গিয়েছে। রাজ্য প্রশাসনের ভূমিকার নিরিখে জাতীয় নির্বাচন কমিশন এখন থেকেই কোমড় বাঁধতে শুরু করেছে। যাতে করে রাজ্যের মানুষ বাড়ি থেকে বেরিয়ে নিজের ভোট নিজেই দিতে পারেন স্বাধীনভাবে। আর তার জন্য যা যা করার দরকার এবার জাতীয় নির্বাচন কমিশন সেটা করার জন্য সবরকম পদক্ষেপ করতে এখন থেকেই প্রস্তুতি নিচ্ছে।
শেষ তিন বছরের উত্তেজনাপ্রবণ এলাকা থেকে শুরু করে সবকিছুই নিজেদের হাতের মুঠোয় রেখেছে কমিশন। এখন শুধু সময়ের অপেক্ষা লোকসভা নির্বাচনের দিনক্ষণ চূড়ান্ত হওয়ার। তারপরেই কমিশন এবার যে ভূমিকা নিতে চলেছে তাতে অনেকেই একদিকে যেমন একই ঘটনার পুনরাবৃত্তি করতে বারবার ভাববেন, অন্যদিকে যাঁরা চান নিজেদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে তাঁরা এবার স্বাচ্ছন্দে ভোট দিতে পারবেন। গোটা দেশে গণতন্ত্রকে প্রতিষ্ঠা করার পাশাপাশি পশ্চিমবঙ্গের উপর বিশেষভাবে নজরদারি করছে জাতীয় নির্বাচন কমিশন। সেই জায়গায় দাঁড়িয়ে আসন্ন লোকসভা নির্বাচনে জাতীয় নির্বাচন কমিশন সেই গণতন্ত্র কে ফিরিয়ে আনতে কতটা সক্ষম হয় সেটাই এখন সবথেকে বড় প্রশ্ন।
রাজ্য ও রাজভবনের শীতল লড়াই তো ছিলই। এই আবহেই রাজ্যের বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ রাজভবনের। অভিযোগ, কলকাতা পুলিস রাজভবনের উপর নজরদারি চালাচ্ছে। রাজ্য ও রাজ্যপালের লড়াই পৌঁছে দিল্লি অবধি। কখনও প্রকাশ্যে সেই লড়াই কঠিন থেকে কঠিনতম পর্যায়ে পৌঁছেছে। কখনও শিক্ষা কিংবা কখনও নির্বাচনী হিংসা, বোসের কার্যকলাপে রীতিমত শোরগোল পড়েছে রাজ্যে। সেইমত শাসকদলের মাথা ব্যাথার কারণও তিনি। এরই মধ্যে রাজ্যপাল ও রাজভবনের উপর কলকাতা পুলিসের নজরদারি চালানোর অভিযোগে রীতিমত শোরগোল পড়েছে রাজ্য-রাজনীতিতে।
সূত্রের খবর, আজ অর্থাৎ বৃহস্পতিবার সকালে রাজভবন কতৃর্ক কেন্দ্রীয়স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকে চিঠি পাঠানো হয়েছে, যেখানে কলকাতা পুলিসের বিরুদ্ধে নজরদারি চালানোর অভিযোগ তোলা হয়েছে। অভিযোগ, গতকাল অর্থাৎ বুধবার রাতে কলকাতা পুলিসের দুই আধিকারিককে রাজ্যপাল যেখানে বসেন, সেখানে ঘোরা-ফেরা করতে দেখা যায়। এমনকি তাঁদের সেই মুহূর্তে রাজভবন কতৃর্ক চলে যেতে বলা হলেও, সেই মুহূর্তে চলে গিয়ে, ফের ফিরে আসেন তারা। এরপরেই স্বরাষ্ট্র মন্ত্রককে চিঠি লিখে অভিযোগ জানানোর সিন্ধান্ত নেয় রাজভবন। সূত্রের খবর, রাজ্যপালের অভিযোগের ভিত্তিতেই এবার রাজ ভবনের সম্পূর্ণ নিরাপত্তার দায়িত্ব নিতে চলেছে কেন্দ্রীয় বাহিনী।
পঞ্চায়েত ভোট মিটে গেলেও আরও ১০ দিন রাজ্যে থাকবে কেন্দ্রীয় বাহিনী (Central Force)। সোমবার সকালে এই সংক্রান্ত একটি মামলার শুনানিতে এই নির্দেশ দিয়েছেন কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court) প্রধান বিচারপতি টি এস শিবজ্ঞানম। পাশাপাশি তাঁর নির্দেশ, আগামী ১০ দিন কোথাও কোনও অশান্তির খবর পেলেই সেখানে বাহিনীকে পাঠাতে হবে।
পঞ্চায়েত ভোটের ফল ঘোষণার পরেও ১০ দিন বাহিনী থাকার নির্দেশ দিয়েছিল আদালত। কিন্তু তারপরেও পরিস্থিতি খারাপ হতে পারে। এই আশঙ্কা করে কলকাতা হাইকোর্টে একটি মামলা করে প্রিয়ঙ্কা টিব্রেওয়াল।
রাজ্যের পরিস্থিতি বিচার করে আরও একমাস রাজ্যে কেন্দ্রীয় বাহিনী রাখা যায় কিনা তা কেন্দ্রের কাছে জানতে চেয়েছিল কলকাতা হাইকোর্ট। কেন্দ্র জানিয়েছে, রাজ্যে আরও ১০ দিন রাজ্যে বাহিনী থাকবে।
মঙ্গলবার গণনার রাতে উত্তপ্ত হয়ে উঠেছিল ভাঙড়। ভাঙড়-২ পঞ্চায়েতের অধীন কাঁঠালিয়া হাইস্কুলের দোতলার কন্ট্রোল রুমে সেদিন কী ঘটেছিল জানেন? বিস্ফোরক অভিযোগ উঠছে রাজ্য সশস্ত্র পুলিশের বাহিনীর বিরুদ্ধে। অভিযোগ, ওইদিন কন্ট্রোল রুমে আরাবুলকে তাঁর স্ত্রী-সহ আটকে রেখেছিল পুলিস। তাঁদের থেকে কেড়ে নেওয়া হয় মোবাইল। সেইসঙ্গে গালিগালাজ, আর বারবার হুমকি দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। নিখোঁজ সহকর্মীদের খোঁজ পাওয়া না গেলে তাঁদের কপালে দুর্ভোগ আছে, এমন হুমকি দেওয়ারও অভিযোগ উঠেছে পুলিশের বিরুদ্ধে। তখন বুথে উপস্থিত ভোটকর্মীরাও একই অভিযোগ তুলেছে পুলিশের বিরুদ্ধে। অন্যদিকে, এ বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে রাজ্য পুলিশ বা বারুইপুর পুলিশ জেলার আধিকারিকেরা মন্তব্য করতে চাননি। ঘটনার প্রেক্ষিতে আরাবুল ইসলাম জানিয়েছেন, পুরো ঘটনার বিষয়ে তিনি দলকে জানিয়েছেন।
পুলিশের অভিযোগ তাঁদের কর্মীদের নিখোঁজের পিছনে দায়ী আরাবুল ইসলাম ও তাঁর দলবল। তাই তাঁকে সেখানে আটকে রেখে বারবার হুমকি দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। আরাবুল জানিয়েছেন, পুলিশের ওই দুই কর্মীকে তো তিনিই নিমকুড়িয়া থেকে উদ্ধার করিয়েছেন। ওঁদের তো আইএসএফ তুলে নিয়ে গিয়েছিল। তাঁরা রাজনীতির মানুষ। পুলিশ সুযোগ পেলেই অসম্মান করে। দলকে সব ঘটনা জানিয়েছেন। পুলিশ বেশি রকম বাড়াবাড়ি করেছে।
বাংলায় ভোট নিরাপত্তায় কেন্দ্রীয় বাহিনীর (Central Force) খরচের হিসেব কেন্দ্রকে পাঠাল রাজ্য। জানা গিয়েছে, রাজ্যের তরফে এই সংক্রান্ত একটি চিঠি পাঠানো হয়েছে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকে (Ministry of Home Affairs)। সেই চিঠিতে বলা হয়েছে, ভোটে কেন্দ্রীয় বাহিনীর খরচ বাবদ প্রায় ৩৫০ কোটি টাকা দিতে হবে রাজ্যকে। এদিকে, এখনও কিছু বাহিনী রাজ্যে রয়ে গিয়েছে। সেক্ষেত্রে হিসেব আরও বাড়তে পারে। সেক্ষেত্রে রাজনৈতিক মহলে প্রশ্ন উঠছে, এত তাড়া কেন শাসকদলের? আরও কয়েকদিন পরে টাকার হিসেব পাঠাতে পারত তৃণমূল (TMC)।
জানা গিয়েছে, প্রায় ৭০০ কোম্পানি বাহিনী এসেছে রাজ্যে। প্রায় ৭০ হাজার জওয়ান। তাঁদের গাড়ির তেল খরচ, খাওয়া, থাকার খরচ দিতে হয়েছে রাজ্যকে। সেই খরচ বাবদ ৩৫০ কোটি টাকার হিসেব দেখানো হয়েছে।
উল্লেখ্য, আদালতের নির্দেশ ছিল, কেন্দ্রীয় বাহিনীর কোনও খরচ রাজ্যের থেকে চাইতে পারবে না কেন্দ্র। সেই মতোই স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকে টাকার হিসেব পাঠিয়েছে রাজ্য নির্বাচন কমিশন।
একাধিক জেলা থেকে একই অভিযোগ উঠে আসছে। ভোট গণনা কেন্দ্রে ঢুকতে দেওয়া হচ্ছেনা বিরোধী দলের এজেন্টদের। দুর্গাপুরের (Durgapur) কাঁকসাতেও ঠিক একই ঘটনা ঘটেছে। গণনা কেন্দ্রের বাইরে চরম উত্তেজনা। বিরোধী এজেন্টেদের ভোট গণনা কেন্দ্র থেকে তুলে নিয়ে যাওয়ার অভিযোগ উঠেছে শাসকদলের বিরুদ্ধে। আর সেই নিয়েই বিক্ষোভ শুরু হয়েছিল কাঁকসাতে (Kanksa)। তবে ঘটনাস্থলে কেন্দ্রীয় বাহিনী (Central force) এসে পরিস্থিতির সামাল দেয়।
সিপিআইএম ও তৃণমূলের সংঘর্ষে উত্তপ্ত দুর্গাপুরের কাঁকসার ভোট গণনা কেন্দ্র। এক সিপিআইএম প্রার্থীকে গণনা কেন্দ্রে ঢোকার মুখেই মারধর করার অভিযোগ। এরপরই উত্তপ্ত হয় গোটা এলাকা। দুই পক্ষকে সামলাতে কেন্দ্রীয় বাহিনীকে নামানো হয়েছে। তবে এই ঘটনায় সিপিআইএমের কাউন্টিং এজেন্টরা জানিয়েছেন, ভোট গণনা কেন্দ্রটিকে রীতিমতো ঘিরে রেখেছে শাসকদলের দুষ্কৃতীরা। এমনকি অনেক এজেন্টকে তুলেও নিয়ে গিয়েছে, মারধর করেছে, তবে এই সবকিছু দেখেও চুপচাপ ছিল বেঙ্গল পুলিস। পরে কেন্দ্রীয় বাহিনী তাঁদের উদ্ধার করেন, এমনটাই জানাচ্ছেন তাঁরা।
বাহিনি মোতায়েন করেও রাজ্যে পঞ্চায়েত ভোটের গণনায় অশান্তি এড়ানো গেল না। গত একঘণ্টায় রাজ্যের একাধিক জেলা থেকে অশান্তির খবর পাওয়া গিয়েছে। এরমধ্যে মুর্শিদাবাদে ফের আক্রান্ত তৃণমূল কংগ্রেস। কেশপুরে গণনা কেন্দ্রের সামনেই বিরোধীদের বিক্ষোভ। অভিযোগ, তৃণমূল এজেন্ট বসাতে দিচ্ছে না। এরমধ্যে দক্ষিণ ২৪ পরগনার ডায়মন্ড হারবার থেকেও বোমাবাজির অভিযোগ পাওয়া গিয়েছে।
রাজ্যের পঞ্চায়েত ভোটে বাহিনী মোতায়েন নিয়ে বিস্তর জলঘোলা হয়েছে। তারপরেও অশান্তি কিন্তু ঠেকানো যাচ্ছে না। এরমধ্যেই উত্তর ২৪ পরগনার আমডাঙায় দুই সিপিএম প্রার্থীকে অপহরণ করার অভিযোগ উঠেছে। পূর্ব বর্ধমানের গলসিতে সিপিএম প্রার্থীর মেরে পা ভেঙে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। কাটোয়াতেও আক্রান্ত সিপিএম প্রার্থী। এরমধ্যে উত্তর ২৪ পরগনার গাইঘাটায় পুলিসের বিরুদ্ধে লাঠি চালানোর অভিযোগ উঠেছে।
ফলে এদিন প্রশ্ন উঠছে, বাহিনী মোতায়েনের কৌশল নিয়ে। গণনা কেন্দ্রে অশান্তি এড়াতে ঢেলে বাহিনী দেওয়া হয়েছে। অভিযোগ, ঝামেলা চলছে তার অনেক বাইরে। সেখানে কেন্দ্রীয় বাহিনী শূন্য।
মণি ভট্টাচার্য: ইতিমধ্যেই রাজ্যে পঞ্চায়েত নির্বাচন (Panchayat Election) সম্পন্ন হয়েছে। হিংসা-মৃত্যু, সংঘর্ষ, ছাপ্পা, ব্যালট লুঠের অভিযোগে রাজ্যে বিভিন্ন জায়গায় পুনর্নির্বাচন শুরু হয়েছে। সূত্রের খবর, রাজ্যে ৬৯৬ টি আসনে পুনর্নির্বাচন (Reelection) আজ অর্থাৎ সোমবার। পুনঃনির্বাচনের দিন কিন্তু দেখা গেল উল্টো চিত্র। রাজ্যে নির্বাচনের দিন অর্থাৎ শনিবার রাজ্য জুড়ে বহু জেলায় একই অভিযোগ ছিল যে কেন্দ্রীয় বাহিনী কোনও বুথে নেই। অর্থাৎ পর্যাপ্ত কেন্দ্রীয় বাহিনী থাকা সত্ত্বেও বহু বুথে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়ন ছিলনা। অথচ আজ অর্থাৎ সোমবার রাজ্যে পুনর্নির্বাচনের দিন রাজ্যের প্রায় প্রত্যেকটি বুথেই রয়েছে পর্যাপ্ত কেন্দ্রীয় বাহিনী। এরপর থেকে স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে প্রয়োজনের দিন পাওয়া গেল না কেন্দ্রীয় বাহিনীকে। প্রয়োজনের দিন রাজ্যে ২১ টি প্রাণ গেল, সেদিন কেন্দ্রীয় বাহিনী পাওয়া যায়নি। আজ কেন্দ্রীয় বাহিনী দিয়ে কি হবে।
নির্বাচন কমিশনের সূত্র অনুযায়ী, রাজ্যে ৮২২ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনীর মধ্যে প্রায় ৬৫০ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী নির্বাচনের আগের দিনই রাজ্যে এসে পৌঁছেছে। সেইমতো রাজ্য নির্বাচন কমিশন,স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক ও আইজি বিএসএফের বৈঠকে ঠিক হয় যে ভোটগ্রহণ কেন্দ্রে দুটির বেশি বুথ আছে সেখানে কমপক্ষে চারটি কেন্দ্রীয় বাহিনী, যেখানে ৬টির বেশি বুথ আছে, সেখানে হাফ সেকশন কেন্দ্রীয় বাহিনী অর্থাৎ এভাবেই ভোট গ্রহণ কেন্দ্র মাফিক কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়নের একটি ছক সম্পন্ন হয়। যদিও ভোটের দিন কিন্তু তার কোন কিছুই হয়নি। ফলস্বরূপ রাজ্যে প্রত্যেকটি জেলায় বুথ দখল, রিগিং, ব্যালট পুড়িয়ে দেওয়া, ব্যালট ছিনতাই, ছাপ্পা, হিংসা-সংঘর্ষ ও মৃত্যুর মতন ঘটনাগুলি ঘটেছে। যা বাংলার ভোটকে ফের রক্তস্নাত হিসেবেই চিনিয়েছে।
প্রশ্ন উঠছে, যেখানে রাজ্যে ৬১ হাজার বুথে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে, সেদিন কেন্দ্রীয় বাহিনী পর্যাপ্ত পরিমাণে বুথ গুলিতে না থাকার কারণে এত হিংসা অশান্তি, সেখানে কেন্দ্রীয় বাহিনী দেওয়া হয়নি। অথচ আজ মাত্র ৬৯৬ টি কেন্দ্রে ভোট হচ্ছে, সেখানে প্রত্যেক বুথে সশস্ত্র বাহিনী। এ ঘটনার পর অবশ্য বিজেপির একাংশের দাবি, ' নির্বাচন কমিশনার রাজীব সিনহা, জুতো মেরে গরু দান করছেন।' যদিও ইতিমধ্যে নির্বাচনী হিংসা, বেলাগাম সন্ত্রাস নিয়ে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছে অধীর রঞ্জন চৌধুরী। পাশাপাশি বিরোধী দল নেতা নির্বাচনের রাতেই নির্বাচন কমিশনের ডেটে তালা মেরে কমিশনের সামনে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন।
অশান্তি ঠেকাতে বুথের মধ্যেই গুলি চালাল কেন্দ্রীয় বাহিনী। শনিবার পঞ্চায়েত ভোটের (Panchayat Election) দুপুরে ঘটনাটি ঘটেছে নদিয়ার (Nadia) হাতিশালায়। ভোটপ্রক্রিয়ার শুরু থেকেই উত্তপ্ত হয়ে ওঠে নদিয়ার হাতিশালা গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকা। সেখানকার প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ভোটগ্রহণ চলছিল। বুথের সামনেই তৃণমূল (TMC) আশ্রিত দুষ্কৃতীরা এলোপাথাড়ি বোমা ছোড়ে বলে বিজেপির (BJP) অভিযোগ। বোমার শব্দে আতঙ্ক ছড়ায় এলাকায়। বেশির ভাগ ভোটারই ভয়ে ভোটকেন্দ্রের দিকে যাননি। অন্য দিকে, বুথের মধ্যে তৃণমূল এবং বিজেপির (BJP) গন্ডগোল একই রকম ভাবে জারি ছিল। শেষে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে বুথের মধ্যে গুলি চালায় জওয়ানরা। যদিও এতে হতাহতের কোনও খবর নেই।
অভিযোগ তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা ভোট বানচালে প্রায় ২০ থেকে ২৫টি বোমা ছোড়ে। তার জেরে আতঙ্ক ছড়ায় এলাকায়। ভোট দিতে আসা ভোটাররা ভয় পান। তাদের আশ্বস্ত করতেই পাল্টা গুলি চালনোর অভিযোগ করা হয়েছে।
পঞ্চায়েত ভোটের (Panchayat Election) দিন রাজ্যজুড়ে বেলাগাম হিংসা। একের পর এক ঝরছে প্রাণ। এককথায় রক্তাক্ত বাংলা (West Bengal)। রাজ্যের মোট ৪৪ হাজার ৩৮২টি ভোট কেন্দ্রে হচ্ছে পঞ্চায়েত ভোট। ভোট হচ্ছে না ১ হাজার ৪৩ বুথে। তাহলে পরিসংখ্যান অনুযায়ী ভোট চলছে মোট ৬০ হাজার ৫৯৩ টি বুথে। আদালতের নির্দেশ ছিল প্রতি ভোট কেন্দ্রে ৪ জন কেন্দ্রীয় বাহিনী (Central Force) মোতায়েন থাকবে। আর রাজ্য নির্বাচন কমিশনকে তা পর্যবেক্ষণের নির্দেশ দিয়েছিল আদালত। সকাল ৭টা থেকে শুরু হয়েছে ভোটদান পর্ব। কিন্তু ভোটগ্রহণ কেন্দ্রগুলিতে দেখা যাচ্ছে অন্য চিত্র। নেই কেন্দ্রীয় বাহিনী। কোনও কোনও বুথে দেখা মিললেও না থাকার মতোই। আবার কোথাও ভোট হয়ে যাওয়ার চার-পাঁচ ঘণ্টা পর ভোটকেন্দ্রে ঢুকছে আধা সামরিক বাহিনী। তাহলে কী অমান্য হচ্ছে না আদালতের নির্দেশ? বিশেষ করে ৪ হাজার ৮৩৪ টি (৮%) স্পর্শকাতর বুথের সবকটিতে মোতায়েন রয়েছে কেন্দ্রীয় বাহিনী? থাকলেও সংখ্যাটা কত?
একটি মাত্র বুথ রয়েছে এমন ভোট কেন্দ্রের সংখ্যা ২৯ হাজার ৯৪০। দুটি বুথ রয়েছে ১২ হাজার ৩২০টি ভোট কেন্দ্রে। ৩টি বুথ রয়েছে এমন ভোট কেন্দ্রের সংখ্যা ১ হাজার ৫৯৪। চারটি বুথ রয়েছে ৪৩৩ টি কেন্দ্রে। ৬৪টি ভোট কেন্দ্রে রয়েছে ৫টি বুথ। আর ৬টি বুথ রয়েছে ২৪টি ভোট কেন্দ্রে। আর ছয়ের বেশি বুথ রয়েছে ৭টি ভোট কেন্দ্রে।
স্পর্শকাতর বুথের তালিকা-
আলিপুরদুয়ারে ১,২১২ বুথের মধ্যে স্পর্শকাতর বুথ ২
বাঁকুড়ায় ৩,১০০ বুথের মধ্যে স্পর্শকাতর বুথ ১১৬
বীরভূমে ২,৭৬৮ বুথের মধ্যে স্পর্শকাতর বুথ ২২৮
কোচবিহারে ২,৩৮৫ বুথের মধ্যে স্পর্শকাতর বুথ ৩১৭
মুর্শিদাবাদে ৫,৪৩৮ বুথের মধ্যে স্পর্শকাতর বুথ ৫৪১
উত্তর ২৪ পরগনায় ৪,৫৩২ বুথের মধ্যে স্পর্শকাতর বুথ ২৫৮
দক্ষিণ ২৪ পরগনায় ৬,২২৬ বুথের মধ্যে স্পর্শকাতর বুথ ২৫৮
আরও একাধিক জেলায় রয়েছে একাধিক স্পর্শকাতর বুথ। রাজ্য নির্বাচন কমিশন সূত্রে খবর, পঞ্চায়েত ভোট সুষ্ঠুভাবে পরিচালনায় আপাতভাবে ১ কোম্পানি বাহিনী অর্থাৎ প্রায় ৮০ জন বাহিনী স্ট্রংরুম পাহারার কাজে মোতায়েন হবে। পাশাপাশি রাজ্য নির্বাচন কমিশন সূত্রে খবর, ১-২ টি বুথ রয়েছে এমন ভোট কেন্দ্রে ৪ জন কেন্দ্রীয় বাহিনী, ৩-৪ টি বুথ রয়েছে এমন ভোট কেন্দ্রে ৮ জন কেন্দ্রীয় বাহিনী, ৫-৬টি বুথ আছে এমন ভোট কেন্দ্রে ১২ জন কেন্দ্রীয় বাহিনী, ও ৭ ও তার থেকে অধিক বুথ রয়েছে এমন ভোট গ্রহণ কেন্দ্রে ১৬ জনের বেশি কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করা হবে।
এছাড়া স্পর্শকাতর বুথ গুলিকেও বিশেষ অগ্রাধিকার দেওয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছে বলেই সূত্রের খবর। যদিও পঞ্চায়েত নির্বাচন সংক্রান্ত মামলায় কলকাতা হাইকোর্টের শেষ রায় ছিল, প্রতি বুথে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করতে হবে, মোতায়েন করতে হবে রাজ্য পুলিসকেও, এছাড়া আদালতের নির্দেশ ছিল, রাজ্য পুলিস ও কেন্দ্রীয় বাহিনী সমান ভাবে মোতায়েন করতে হবে। সে ক্ষেত্রে আদালতের নিয়ম মেনে কেন্দ্রীয় বাহিনী ও রাজ্য পুলিসের মোতায়েন নিয়ে নির্বাচন সম্পূর্ণ হচ্ছে কিনা তা নিয়ে উঠছে প্রশ্ন।
মণি ভট্টাচার্য: শনিবার বেলা সাতটা থেকে কথামতো শুরু হয়ে গিয়েছে বাংলা ত্রিস্তরীয় পঞ্চায়েত নির্বাচন (Panchayat Election)। কিন্তু বারংবার পশ্চিমবঙ্গ পঞ্চায়েত নির্বাচনের সময়ই গোটা দেশকে চিনিয়েছে যে বাংলায় নির্বাচন কখনও অবাধে শান্তিপূর্ণ হয় না। ঠিক সেই ধারাই বহাল রাখল পশ্চিমবঙ্গ। গোটা রাজ্যজুড়ে প্রত্যেক জেলায় কমবেশি রিগিং, প্রিজাইডিং অফিসারকে মারধর, ছাপ্পা, ব্যালট লুঠ ও সংঘর্ষের পাশাপাশি খুনের অভিযোগ উঠে এসেছে। এখন প্রশ্ন উঠছে কোথায় পুলিস! কোথায় বা কেন্দ্রীয় বাহিনী?
নির্বাচন কমিশন সূত্রে খবর, রাজ্যে শুক্রবার রাত অবধি ৬০০-এর অধিক কেন্দ্রীয় বাহিনী এসে পৌঁছেছে। অর্থাৎ তাদের মধ্যে কার্যকরী কেন্দ্রীয় বাহিনী অর্থাৎ আধা সামরিক বাহিনীর সংখ্যা প্রায় ৪২০০০। সেক্ষেত্রে কোথায় সেই কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে, এ নিয়ে প্রশ্ন উঠছে সাধারণ মানুষের মনে।
পঞ্চায়েত ভোট শুরুর পর থেকে এখনও অবধি সাত জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গিয়েছে। রাজ্যের বিভিন্ন জেলায় সকাল থেকেই হিংসা মারধর ও বেলাগাম ছাপ্পার অভিযোগ উঠে এসেছে। কোথাও ভোট কর্মীদের মারধর, কোথাও ব্যালট পুড়িয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠছে, ফলত এটা স্পষ্ট যে বাংলা তার চেনা রূপই দেখালো। কিন্তু প্রশ্ন উঠছে এই ৪২ হাজার কেন্দ্রীয় বাহিনী কোথায় গেল? রাজ্যের বিভিন্ন জেলা থেকে অভিযোগ, রাজ্যের বিভিন্ন জেলায় ভোটে স্পর্শকাতর কেন্দ্রগুলোতেও কোনোভাবেই সকাল থেকে কেন্দ্রীয় বাহিনীর দেখা নেই। এ বিষয়ে বিভিন্ন জেলা পুলিস আধিকারিকদের কাছে জানতে চাওয়া হলে তারা এ বিষয়ে কোনো সদুত্তর দিতে পারেননি।
ভোটগ্রহণের শুরুর চার ঘন্টা পর এখনও অবধি শনিবার মৃতের সংখ্যা ৭, এবং পাশাপাশি সূত্রের খবর অনুযায়ী, ১২ শতাংশ ভোট পড়েছে এবং এখনও অবধি নির্বাচনী হিংসায় আহত কমপক্ষে ১০০ জন।
শনিবার পঞ্চায়েত নির্বাচন (Panchayat Election)। ইতিমধ্যে অবাধ ও শান্তিপূর্ণ (PeaceFul) নির্বাচনের লক্ষ্যে চূড়ান্ত প্রস্তুতি নিয়েছে রাজ্য নির্বাচন কমিশনার। হাইকোর্টের নির্দেশে নিরাপত্তার জন্য রাখা হবে ৮২২ কোম্পানী কেন্দ্রীয় বাহিনী (Central Force)। রাজ্য নির্বাচন কমিশনের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, পঞ্চায়েত ৭৩ হাজার ৮৮৭টি বুথের মধ্যে ৯০১৩ টি আসনে ভোট হবে না। অর্থাৎ ওই ১২ শতাংশ আসনে কোনও একটি রাজনৈতিক দল ইতিমধ্যে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয় পেয়ে গিয়েছে। বাকি বুথগুলিতে ভোট গ্রহণের জন্য কড়া নিরাপত্তা ব্যবস্থা করা হয়েছে।
নির্বাচন কমিশন প্রথমে রাজ্য পুলিস দিয়ে পঞ্চায়েত নির্বাচন করার পরিকল্পনা করলেও পরে হাইকোর্টের নির্দেশে সব জেলায় কেন্দ্রীয় বাহিনী দিয়ে ভোট করানোর প্রস্তুতি নেয়। সেইমতো রজ্যের সব জেলায় কেন্দ্রীয় বাহিনী পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে।
আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে বুধবার থেকেই বিভিন্ন এলাকায় রুট মার্চ শুরু করেছে কেন্দ্রীয় বাহিনী। সূত্রের খবর, বুথ অনুযায়ী বিভিন্ন এলাকায় কত বাহিনী রাখা হবে সেনিয়ে একটি তালিকাও প্রস্তুত করা হয়েছে। অন্যদিকে, শুক্রবার থেকেই রাজ্যের বিভিন্ন এলাকায় ভোট কর্মীদের পৌঁছে দেওয়ার কাজ শুরু হয়েছে। জেলায় জেলায় তৈরি করা ডিসি ও আরসি থেকে ভোটের জন্য সরঞ্জাম নিয়ে গন্তব্যের উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছেন ভোটকর্মীরা।
পশ্চিমবঙ্গের পঞ্চায়েত ভোটে (Panchayat Election) কেন্দ্রীয় বাহিনী (Central Force) মোতায়েন নিয়ে জটিলতা ক্রমেই বাড়ছে। উত্তপ্ত পরিস্থিতিতে বুথে মাত্র একজন জওয়ান থাকলে তাঁর প্রাণের ঝুঁকি থাকতে পারে, এই মর্মে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রককে চিঠি দিয়েছেন কেন্দ্রীয় বাহিনীর কোঅর্ডিনেটর। বৃহস্পতিবার রাতে দেড় ঘণ্টার বেশি সময় ধরে কেন্দ্রীয় বাহিনীর কোঅর্ডিনেটর আইজি (বিএসএফ)-র সঙ্গে বৈঠক করেছেন রাজ্য নির্বাচন কমিশনার রাজীব সিনহা।
রাজ্যের সব ভোটকেন্দ্রে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করে ভোট করানো আদৌ সম্ভব কি না, তা নিয়ে উঠছে প্রশ্ন। বিএসএফ, আইটিবিপি-সহ সব বাহিনীর কর্তারা জানিয়েছেন, কোনও জায়গায় এক সেকশনের কমে বাহিনী থাকতে পারে না। এক সেকশনের সদস্য সংখ্যা ১১ জন। রাজ্যের বর্তমান পরিস্থিতিতে, হিংসা, বুথ দখলের আশঙ্কা উড়িয়ে দেওয়া যায় না। এই পরিস্থিতিতে হাফ সেকশন অর্থাৎ ৪ জনকে প্রতি বুথে রাখতে হবে। এই কথা উল্লেখ করে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রককে চিঠি পাঠানো হয়েছে।
পঞ্চায়েত ভোটের (Panchayat Election) পরেও আরও দশ দিন রাজ্যে কেন্দ্রীয় বাহিনী (Central Force) থাকবে এমন নির্দেশ কলকাতা হাইকোর্টের (High Court) প্রধান বিচারপতি টি এস শিবজ্ঞানমের ডিভিশন বেঞ্চের। অতীতে বাংলার নির্বাচন পরবর্তী সময়ে যে অশান্তি ও হিংসার অভিযোগ উঠেছে, সেই প্রেক্ষিতে যাতে ভোটের পরেও কেন্দ্রীয় বাহিনী থাকে রাজ্যে, সেই নিয়ে আবেদন জানানো হয়েছিল আদালতে। সেই আবেদনের ভিত্তিতে এবার হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতির বেঞ্চ জানিয়ে দিল, পঞ্চায়েত ভোটের ফল ঘোষণার পরবর্তী ১০ দিন রাজ্যে মোতায়েন থাকবে কেন্দ্রীয় বাহিনী। কেন্দ্রকে সেই অনুযায়ী নির্দেশিকা জারি করতে হবে বলে নির্দেশ দিয়েছেন প্রধান বিচারপতি টি এস শিবজ্ঞানম।
কেন কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন ঘিরে এত জটিলতা তৈরি হচ্ছে, তা নিয়েও প্রশ্ন ওঠে আদালতে। তখন কেন্দ্রের তরফে ডেপুটি সলিসিটর জেনারেল কমিশনের দিকেই দায় ঠেলেন। তাঁর বক্তব্য, কমিশন কত সংখ্যক বাহিনী লাগবে, সেটা বলার পাশাপাশি, কোন বাহিনী লাগবে… সিআরপিএফ না এসএসবি, সেটাও উল্লেখ করে দিয়েছে। আর সেই কারণেই তাড়াতাড়ি বাহিনী পাঠানোর ক্ষেত্রে সমস্যা হচ্ছে বলে দাবি ডেপুটি সলিসিটর জেনারেলের। যদিও সেই সমস্যা আজই দূর করে দেন বিচারপতি। বিচারপতি জানিয়ে দেন, কমিশন শুধু ঠিক করবে বাহিনীর সংখ্যা। তবে কোন বাহিনী আসবে, সেটা আইজি বিএসএফ ঠিক করবেন।
এই বিষয়টি নিয়ে জটিলতা কাটার পর বিচারপতি জোর দেন, যাতে আগামিকাল রাতের মধ্যেই গোটা বাহিনী রাজ্যে পৌঁছে যায়। বিষয়টি যাতে দ্রুত হয়ে যায়, তা দেখার জন্য বলেন। তখন কেন্দ্রের তরফে আশ্বস্ত করা হয়, আগামিকাল রাতের মধ্যে মোট ৬৫৮ কোম্পানি বাহিনী রাজ্যে পৌঁছে যাবে। আর বাকি বাহিনীও ভোটের সকালে পৌঁছে যাবে বলে জানিয়েছেন ডেপুটি সলিসিটর জেনারেল।
পোলিং বুথের (Polling Booth) পর এবার কাউন্টিংয়েও কেন্দ্রীয় বাহিনী (Central Force) মোতায়েন করার আবেদন। সুষ্ঠু ভোটের পর গণনায় কোনও অশান্তি, গণ্ডগোল, কারচুপি রুখতে বিশেষ নির্দেশ হাই কোর্টের (High Court) বিচারপতি অমৃতা সিনহার। শনিবারই রাজ্যে পঞ্চায়েত নির্বাচন। ১১ জুলাই গণনা। প্রার্থী ও কাউন্টিং এজেন্টদেরও নিরাপত্তা দিতে হবে বলে নির্দেশ দিয়েছে হাই কোর্ট।
বুধবার বিচারপতি অমৃতা সিনহার এজলাসে নির্বাচন কমিশনকে নির্দেশ দেওয়া হয়, গণনাকেন্দ্রে আধাসেনা মোতায়েন করতে হবে। মঙ্গলবারই প্রতি বুথে সমাত অনুপাতে রাজ্য পুলিশ ও কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েনের নির্দেশ দেয় প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ।
মঙ্গলবারই নির্বাচন কমিশনকে গোটা বিষয় দেখার কথা বলেছিলেন বিচারপতি অমৃতা সিনহা। এরপরেও নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে কোনও পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি।