দোল, রংয়ের উৎসব, বাঙালির আবেগ। দিনভর রাজ্যের বিভিন্নপ্রান্তে নাচ-গান-উৎসবে মুখর একটা সুন্দর দিন। ক্যালেন্ডারে চৈত্র হলেও বাতাসে বসন্তের সুর। দোলে, আবিরের রংয়ে সেই রেশ যেন ছড়িয়ে পড়ে ছন্দ হয়ে। বসন্ত, বসন্ত উৎসব মানেই বোলপুর, শান্তিনিকেতন। সোনাঝুড়ির খোয়াইয়ে হাজার হাজার মানুষের সমাগমে বসন্ত উৎসব।
রবিঠাকুরের গানে প্রভাতফেরি। তারপর দিনভর সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। জমজমাট বসন্ত উৎসব টেরাকোটা শহর বাঁকুড়ার বিষ্ণুপুরে। রংয়ের রেশ উত্তরবাংলাতেও। কোচবিহারের দেবতা মদনমোহন মন্দিরে সকাল থেকেই ছিল মানুষের ঢল। রংয়ের উৎসব শুধু উৎসব নয়, বাঙালির আবেগ। ১৫ তম বসন্ত উৎসব পালিত পূর্ব মেদিনীপুরের মহিষাদল রাজবাড়ির আম্রকুঞ্জে। নাচে গানে আবৃত্তিতে পুরো দিনটাই ছিল রঙিন।
দোলযাত্রার দিনে জন্ম নিয়েছিলেন মহাপ্রভু। সেই দিন স্মরণ করে মহা সমারহ নদীয়ার মায়াপুরে। মহাপ্রভুর ৫৩৮ তম আবির্ভাব দিবস উপলক্ষে দেশি-বিদেশি হাজার হাজার ভক্তের কণ্ঠে হরিনামে মুখরিত মায়াপুর।
শেখ শাহজাহানের গ্রেফতারিতে আনন্দে মেতে উঠেছে গোটা সন্দেশখালিবাসী। ৫৫ দিন নিখোঁজ থাকার পর অবশেষে পুলিসের জালে ধরা পড়ল শাহজাহান। বুধবার মিঁনাখা থানার বামনপুকুর এলাকা থেকে গ্রেফতার করা হয় তাঁকে। গ্রেফতারির পর ১৪ দিনের পুলিসি হেফাজত চেয়ে বসিরহাট আদালতে তোলা হয় শাহজাহানকে।
শেখ শাহজাহানের গ্রেফতারির খবর শোনা মাত্রই আনন্দে মজেছে সন্দেশখালি। উল্লাসিত সন্দেশখালির মহিলারা। চলল বিজেপির পক্ষ থেকে মিষ্টিমুখ। দঙ্গলপাড়ায় পায়েস রান্না হচ্ছে গ্রামবাসীর বাড়িতে বাড়িতে। আজ অর্থাৎ বৃহস্পতিবার কার্যত উৎসবে মেতে থাকবে গ্রামবাসীরা। এতদিন পর শাহজাহান গ্রেফতার হওয়ায় সন্দেশখালির মহিলারা এক অপরের মধ্যে লাল আবির মাখলেন, রাস্তার মানুষদের মিষ্টি খাওয়ালেন, বাজি ফাটিয়ে উৎসবের মেজাজে ফিরে এলো সন্দেশখালি।
কিন্তু আনন্দের মাঝে আতঙ্ক এখনও কাটেনি সন্দেশখালির মহিলাদের মন থেকে। এবার শাহজাহানের ফাঁসির দাবি জানিয়েছেন মহিলারা। কারণ শেখ শাহজাহান ফিরে এলে আবার সন্দেশখালির মা-বোনদের ওপর অত্যাচার শুরু হবে, এমনটাই আশঙ্কাও করছে এই মহিলারাই।
গোটা দেশজুড়ে পালিত হচ্ছে নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুর ১২৭ তম জন্মবার্ষিকী। পতাকা উত্তোলন ও মাল্য়দানের মাধ্যমে নেতাজি স্মরণ করছেন দেশবাসী। আজকের দিনটা যেন একটা উৎসবের দিন সমস্ত স্কুল-কলেজ, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও সংগঠনগুলির জন্য।
মঙ্গলবার সকালে বালুরঘাটে দক্ষিণ দিনাজপুর জেলা বিজেপি কার্যালয়ে নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুর প্রতিকৃতিতে মাল্যদান করেন বিজেপি রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। জন্মজয়ন্তীতে অবহেলায় নেতাজীর মূর্তি, ঝাড়ু পোছা দিয়ে নিজ হাতে পরিষ্কার করে মাল্যদান করলেন দিলীপ ঘোষ। পাশাপাশি খড়্গপুরের পুরাতন বাজার মোড়ে নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুর মূর্তিতে মাল্যদান করেন সাংসদ দিলীপ ঘোষ। সেই সঙ্গে ঝাড়ু হাতে এবং জল পোছা দিয়ে পরিষ্কার করেন নেতাজির মূর্তি ও তার চারপাশ।
মঙ্গলবার সকাল ৯ টা ৩০ নাগাদ তারকেশ্বর ব্যবসায়ী সমিতির উদ্যোগে নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুর ১২৭ তম জন্ম জয়ন্তী উপলক্ষে তারকেশ্বর স্কুল রোড এলাকায় নেতাজির প্রতিকৃতিতে মাল্যদান করে। এরপর ব্যবসায়ী সমিতির তরফ থেকে এক বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা তারকেশ্বর শহরে পরিক্রমা করে।
রাজপুর সোনারপুর পৌরসভার কোদালিয়ায় নেতাজির পৈতৃক ভিটেতে জন্ম জয়ন্তী বর্ষ পালিত হয় খুব ধুমধামের সহিত। সকাল সাড়ে ন'টায় নেতাজির পৈতৃক ভিটেতে পাতাকা উত্তোলন করে। আজকের বিশেষ দিন উপলক্ষে তাঁর পৈতৃক ভিটের দরজা খুলে দেওয়া হয় দর্শনার্থীদের জন্য। সারা দেশের সঙ্গে মালদহে ধুমধাম করে পালিত হল নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুর জন্ম দিবস।
চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে অবতরণ করেছে চন্দ্রযান ৩। আসমুদ্রহিমাচল সেই মুহূর্তের জন্য অপেক্ষা করছিল। বুধবার সেই ঐতিহাসিক মুহূর্তে চোখ ছিল মহেন্দ্র সিং ধোনিরও। ক্যাপ্টেন কুল কীভাবে সেলিব্রেশন করলেন। একটি ভিডিয়ো সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়ে গিয়েছে।
ল্যান্ডার বিক্রম চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে অবতরণ করতেই বন্ধুদের সঙ্গে সেলিব্রেশন করেন মহেন্দ্র সিং ধোনি। নীল হাতকাটা টি-শার্ট ও হাফপ্যান্ট পরে টেলিভিশনে চোখ রাখেন মাহি। ডান হাতে তালিও দিতে দেখা যায় তাঁকে। শুধু ধোনি নন, কন্যা জিভার একটি ভিডিয়ো সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে। চাঁদ হাতে পেতেই আনন্দে লাফিয়ে ওঠেন জিভা। সেই ভিডিয়ো পোস্ট করেন সাক্ষী মালিক।
বুধবার সন্ধ্যায় চাঁদের মাটিতে নেমেছে চন্দ্রযান ৩। বৃহস্পতিবার সকালে ল্যান্ডারের পেটের ভিতর খেকে বেরিয়ে পড়েছে রোভার প্রজ্ঞানও। ইসরোর বিজ্ঞানীদের প্রশ্নের জবাব দিতে শুরু করেছে প্রজ্ঞান।
সৌমেন সুর: গৌরী কর্মকার। একটা নাম, একটা আবেগ। একটা নক্ষত্র। এত প্রতিভার মানুষ খুব কমই দেখা যায়। গৌরী ক্লাস সেভেনে পড়ে। ইতিমধ্যেই সোশ্যাল মিডিয়ায় তার নাম ছড়িয়ে পড়েছে। সুবারর্বন অঞ্চলে গৌরী থাকে। বিধবা মা ছাড়া সংসারের ওর আর কেউ নেই। কিছু কিছু মানুষ প্রতিভা নিয়েই জন্ম নেয় এই পৃথিবীতে। গৌরী তাদের মধ্যে একজন। যেমন লেখাপড়ায় তেমনি আঁকায় তেমনি কবিতা লেখায়। গৌরী এরমধ্যে শ'দুয়েক ছবি এঁকে ফেলেছে। তার আঁকা দেখে মনে হবে এই ছবি যেন কোন এক বিখ্যাত শিল্পীর আঁকা। অঞ্চলের এক শুভানুধ্যায়ীর সাহায্যে ওর ছবি ক্যালিফর্নিয়ায় প্রদর্শিত হয়। সেখান থেকে খবর আসে ওর ছবি দর্শকদের ভালো লাগছে। এত কম বয়সে এত ট্যালেন্ট এটা দেখে ক্যালিফোর্নিয়ার প্রদর্শনী কর্তৃপক্ষ একটা প্রশংসা পত্র পাঠায়। গৌরীর মা সেটা যত্ন করে বাঁধিয়ে রাখেন ঘরে। পাড়া-প্রতিবেশী, বাইরের লোক সবাই গৌরীকে স্নেহ করে, ভালবাসে।
গৌরী প্রতিবছর ১৫ ই অগাস্ট একটা সাদামাটা অনুষ্ঠান করে। এই অনুষ্ঠানে দুঃস্থ ছাত্র-ছাত্রীদের বই-খাতা, পেন বিতরণ করে। গৌরী ও তার বন্ধুরা কোনরকম চাঁদা না তুলে, প্রত্যেকে টিফিনের টাকা জমিয়ে- সেই টাকায় অনুষ্ঠান করে। এবার কেউ যদি স্বেচ্ছায় ডোনেট করে সেটা গ্রহণ করে। গৌরীরা চার বন্ধু। এরা চারজনই মেধাবী, কর্মঠ। গৌরী এদের লিডার। দেখতে দেখতে ১৪ ই অগাস্ট এসে যায়। গৌরী ও চার বন্ধু মিলে ১৫ ই আগস্ট এর জন্য ফ্ল্যাগ কিনতে বেরোয়। সকাল সকাল চলে আসে, বড় রাস্তার দোকানে। একটা স্লিকের ফ্ল্যাগ কেনে। ফ্ল্যাগ কেনার পর গৌরী তিন বন্ধুকে বলে লজেন্স আর চকলেট কিনে মাঠে চলে আসতে। সবাই স্থান ত্যাগ করে।
গৌরী এক বুক আনন্দ নিয়ে ফ্ল্যাগটা ডান্ডায় ঢুকিয়ে হাঁটতে থাকে ফ্ল্যাগের দিকে তাকিয়ে। স্বাধীনতার পতাকাটা হাওয়ায় পত পত করে উড়তে থাকে। কিছুটা এগোতেই একটা বাইক অসাবধানতাবশত গৌরীকে ধাক্কা মেরে চলে যায়। গৌরী ছিটকে লুটিয়ে পড়ে। ও দেখছে- উঁচু থেকে পতাকাটা নীচে নামছে। যন্ত্রণার কথা চিন্তা না করে, এক অদম্য শক্তিতে উঠে দাঁড়িয়ে ফ্ল্যাগটা হাতে ধরে ফেলে। মাটির নোংরা স্পর্শ করতে পারেনা পবিত্র পতাকাকে। এ দৃশ্য দেখে জড়ো হওয়া সব মানুষ গৌরীকে হাততালি দিয়ে অভিনন্দন জানায়। গৌরীর শুকনো মুখে কষ্টার্জিত হাসি ফুটে ওঠে। এমন সময় দূর থেকে মাইকে ভেসে ওঠে দেশাত্ববোধক গান- "হও ধরমেতে ধীর হও করমেতে বীর, হও উন্নত শির নাহি ভয়....।"
স্বাধীনতার মান রক্ষার দায়-দায়িত্ব সমস্ত নাগরিকের। স্বাধীনতার ৭৬ বছরে কি পেলাম আর কি পেলাম না- সেই হিসাবে না গিয়ে, আসুন আমরা সবাই মিলে ১৫ ই অগাস্ট শপথ করি, আমরা আমাদের সর্বশক্তি দিয়ে দেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষা করবো।
ইউরোপ ছেড়ে আমেরিকায় উড়ে গিয়েছেন লিও মেসি। অভিষেক হয়েছে নতুন ক্লাব ইন্টার মায়ামিতে। নতুন দেশে, নতুন জয়ের পর সেলিব্রিশনেও নতুনত্ব আনলেন মেসি। যদিও, মেসির সেলিব্রেশনের ধরন একেবারে ঠোঁটস্থ অনুরাগীদের। কিন্তু মায়ামিতে গিয়ে মেসির সেলিব্রেশন একেবারে মাথা ঘুরিয়ে দিল অনুরাগীদের, এভাবে তো প্রিয় ফুটবলারকে জয়ের পর দেখেননি তাঁরা। এরপরেই মাঠে নামেন মেসি-জায়া আন্তোনেলা রোকুজ্জো।
কেন এভাবে উল্লাস করেছেন স্বামী, তাঁরই ব্যাখ্যা দিলেন তিনি। ইনস্টাগ্রামে আন্তোনেলা জানান,মেসির সেলিব্রেশন মার্ভেল হিরো থরের অনুপ্রেরণায়। থর হাতুড়ি তুলে নেওয়ার জন্য যেভাবে হাত বাড়ান,সেভাবেই মেসিকেও দেখা গিয়েছে উদযাপনে। গোলের পর স্ত্রী সন্তানদের উদ্দেশে হাত বাড়িয়ে উদযাপন করেন তিনি।
বিনোদন জগতে ফের সম্পর্ক ভাঙন! না এবার কোনও অভিনেতা, অভিনেত্রীর জুটি নয়। বরং বলিউডের জনপ্রিয় গায়িকা নেহা কক্কর ও তার স্বামী রোহনপ্রীত সিং-এর সম্পর্কে নাকি চিড় দেখা দিয়েছে। ৬ জুন অভিনেত্রী নেহা কক্করের (Neha Kakkar) জন্মদিন (Birthday) ছিল। ঘড়িতে ১২ টা বাজতেই বাড়িতে জন্মদিন উদ্যাপন (Celebration) শুরু হয়। জন্মদিন পালনে উপস্থিত ছিলেন নেহার আত্মীয়স্বজন থেকে শুরু করে আরও অনেকে। তবে দেখা মেলেনি নেহার স্বামী রোহনপ্রীত সিং-এর।
এবছর নেহা ৩৫ বছরে পা রাখেন। জন্মদিনের একগুচ্ছ ছবি সমাজমাধ্যমে ভাগ করে নিয়েছেন নেহা। সেখানে মধ্যরাতে কেক কাটা থেকে শুরু করে কেক খাওয়ানোর ছবিও রয়েছে। সঙ্গে সুন্দর করে ঘরে সাজানো রয়েছে বাহারি উপহার। তবে একটি ছবিতেও দেখা গেল না রোহনকে। রোহন নিজেও কোনও পোস্টের মাধ্য়মে স্ত্রীকে শুভেচ্ছা জানাননি। অভিনেত্রী নেহা কক্করের জন্মদিনের ছবি দেখে চিন্তায় ভরেছে নেটদুনিয়া। আত্মীয় পরিজনের মধ্য়ে সবাই খুঁজছিলেন একটি মুখ, কিন্তু তাঁকে কোনও ছবিতেই দেখতে পাওয়া গেল না। নেহার স্বামী রোহনপ্রীত সিং-এর অনুপস্থিতি বেশ ভাবিয়ে তুলেছে অনুরাগীদের।
২০২০ সালের অক্টোবর মাসে ধুমধাম করে বিয়ে হয় নেহা-রোহনের। নেহার থেকে রোহন বয়সে ৮ বছরের ছোট হওয়া সত্ত্বেও তাঁরা দুজনেই বেশ সুখে ছিল। বিয়ের পর রোহনের সঙ্গে একটি গানের ভিডিও করে কটাক্ষের শিকার হয়েছিলেন নেহা। সেই গানের প্রচারে ছিল নেহার অন্তঃসত্ত্বা হওয়ার আভাস। বিয়ের মাত্র দু’মাসের মধ্যেই কী ভাবে সন্তান ধারণ করলেন, সেই প্রশ্নের তির ছোঁড়া হয়েছিল নেহার দিকে। এই বিষয়ে নেহা জানিয়েছেন, বেশিরভাগ লোকে ভাবে, ইন্ডস্ট্রির মানুষেরা এমনই হয়। বিয়ের আগেই অনেক কিছু করে ফেলে। তবে সন্তান নেওয়ার পরিকল্পনা তাঁর আপাতত নেই। শুধুমাত্র পরস্পরের সঙ্গ উপভোগ করতে চেয়েছিলেন জুটিতে।
এক সাত বছরের শিশুকে যৌন নিগ্রহ এবং নয় বছরের শিশুকে নিগ্রহের (Sexual assault) চেষ্টার অভিযোগ। হোলির দিনে গুরুতর এই অভিযোগ উঠেছে এক মদ্যপ ব্যক্তির উপর। ঘটনাটি বিহারের(Bihar) বেগুসরাইয়ের একটি স্কুল শৌচালয়ের। এই ঘটনার পরই শিশুদের পরিবার থেকে যৌন নিগ্রহের অভিযোগ দায়ের হয়েছে। অভিযুক্ত ব্যক্তির খোঁজ শুরু করে ঘটনার কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছে পুলিস(Police)।
জানা গিয়েছে, হোলির দিন দুই বন্ধু মিলে দোকান থেকে বাড়ি ফিরছিল। বাড়ি ফেরার পথে একটি স্কুলের ভিতরে দোলনা দেখে স্কুলে ঢোকে তারা। হোলির কারণে সেদিন স্কুলও বন্ধ ছিল। ফাঁকা স্কুলে দুই শিশুকে দেখে এক মদ্যপ স্কুলে ঢুকে পড়ে। এরপরই সাত বছরের শিশুকে জোর করে তুলে নিয়ে গিয়ে স্কুল শৌচালয়ে যৌন নিগ্রহ করে। বন্ধুর উপর হওয়া নির্যাতন দেখে অভিযুক্তকে বাধা দেওয়ার চেষ্টা করে নয় বছরের মেয়েটি।
সাত বছরের শিশুকে নিগ্রহের পর তাঁর সঙ্গীকেও একইভাবে নিগ্রহের চেষ্টা করে ওই ব্যক্তি। সেই চেষ্টা ব্যর্থ হওয়ার পর শিশুর গালে কামড়ে দেন অভিযুক্ত। এমনকি তাঁকে মারধরও করেন। এরপরই সাত বছরের শিশুকে তুলে নিয়ে গিয়ে স্কুলের একটি ঝোপে ফেলে দিয়ে চম্পট দেয় অভিযুক্ত।
পুলিস জানিয়েছে, অভিযুক্তের বিরুদ্ধে পকসো আইনে মামলা রুজু হয়েছে।
আজ থেকে ১০০ বছর আগে রবীন্দ্রনাথ বারাণসীতে 'নিখিল ভারত বঙ্গ সাহিত্য সম্মেলনের' উদ্বোধন করেছিলেন। মূলত সারা বিশ্বের বাঙালিকে এক করতে চেয়েছিলেন কবিগুরু। রবিবার কলকাতার সিস্টার নিবেদিতা বিশ্ববিদ্যালয়ে অনুষ্ঠিত হলো শতবর্ষ সমাপ্তির সূচনা। চলবে এই বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাঙ্গনে তিন দিন ধরে।
রবিবারের অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন এ যুগের সেরা বাঙালিদের এক বিরাট অংশ। অনুষ্ঠানের শুভ সূচনা করলেন যাঁরা তারা যথাক্রমে রাজ্যপাল ড. সিভি আনন্দ বোস এবং তাঁর পত্নী, প্রাক্তন স্পিকার মীরা কুমার, সভার অন্যতম আয়োজক সাংসদ প্রদীপ ভট্টাচার্য, বিজ্ঞানী বিকাশ সিংহ, সংগীতজ্ঞ পণ্ডিত অজয় চক্রবর্তী, প্রাক্তন বিচারক ও রাজ্যপাল শ্যামল সেন, চিত্রশিল্পী শুভাপ্রসন্ন প্রমুখ। কিন্তু মূল আকর্ষণ ছিলেন শর্মিলা ঠাকুর এবং সৌরভ গাঙ্গুলি।
আজ যেন সেজে উঠেছিল বড়দিনে সিস্টার নিবেদিতা বিশ্ববিদ্যালয়ে মঞ্চ থেকে পারঙ্গম। এই অনুষ্ঠানে পৌরোহিত্য করেন সংস্থার চেয়ারম্যান সত্যম রায়চৌধুরী। উদ্বোধন হলো জাতীয় সংগীত দিয়ে এবং তার পরেই শ্লোক গীতি পরিবেশন করলেন অজয় চক্রবর্তী। এরপর উদ্বোধনী ভাষণে নিবেদিতা বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য সত্যম রায়চৌধুরী জানালেন, বাংলার সাহিত্য,সংস্কৃতি বিশ্বব্যাপী কাজেই যা রবীন্দ্রনাথ শুরু করেছিলেন আগামীতেও তা ধরে রাখতে হবে। সত্যমবাবু করোনা আবহের সময় ছাড়া প্রতি বছর বিদেশে বঙ্গ সংস্কৃতির উদ্যোগ নেন।
বক্তব্য রাখতে এসে বিজ্ঞানী বিকাশ সিংহ বলেন, আনন্দ বোস তাঁর একসময়ের সুহৃদ, অত্যন্ত গুণী সংস্কৃতি রুচিবান মানুষ। তিনি বলেন, বিজ্ঞান ও সাহিত্যের মধ্যে বৈরিতা নেই। মীরা কুমার বলেন, তিনি বাংলার কোলের সন্তান। তাঁর প্রয়াত পিতা প্রাক্তন জগজীবন রাম বাংলা পড়তে ও বলতে পারতেন অনর্গল। জন্মদিনে জগজীবনবাবু মেয়েকে এক আলমারি বাংলা সাহিত্যের বই উপহার দেন। মীরাজি অনুবাদ করা রবীন্দ্রনাথ, বঙ্কিমচন্দ্র, শরৎ সাহিত্য ইত্যাদি পড়েছেন।
একটিও ইংরেজি উচ্চারণ না করে রবীন্দ্রনাথের পরিবারের শর্মিলা খাঁটি বাংলায় তাঁর সাহিত্য অভিজ্ঞতার কথা জানালেন। সৌরভকে এর আগে কবে বাংলায় বক্তৃতা করতে কেউ দেখেছেন কিনা শুভাপ্রসন্ন মনে করতে পারলেন না। বাংলার দাদাও ছিলেন সপ্রতিভ।
একদম শেষ বক্তা ছিলেন রাজ্যপাল। তাঁর অনর্গল সাহিত্য নিয়ে ভাষণ এবং বাংলা সাহিত্য থেকে বিশ্ব সাহিত্যের উপর দখল অসাধারণ। নানান উদাহরণ দিয়ে তিনি জানালেন, এটা সোনার বাংলা। আজ বাংলা যা ভাবে কাল বিশ্ব তাই নেয়। পশ্চিমবঙ্গ কিন্তু চমৎকার জ্ঞানী এক রাজ্যপাল পেয়েছে। বোস বললেন, তাঁর ইচ্ছা ৫ বছরের মধ্যে তিনি যেমন নিয়মিত বই লেখেন, এবারে বাংলায় লিখবেন। একেবারে শেষে তাঁর অনুরোধ, তিনি দিতে এসেছেন, তাঁকে গ্রহণ করা হোক। অনুষ্ঠানের বিষয় যে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে খুশি করবে বলাই বাহুল্য।
সুজিত সাহা: শত ক্লান্তির মাঝে একমুঠো পুজোর গন্ধ দূর করে দেয় সব হতাশা আর মলিনতা। আনন্দময়ী মায়ের আগমনে আনন্দে উদ্ভাসিত আবালবৃদ্ধবনিতা। এবার পুজোর উন্মাদনা একটু বেশি। হতে পারে বছর দুই করোনার জন্য পুজো নিয়ে তেমন মাতামাতির সাহস হয়নি। বর্তমানে কচিকাচারা বেস উন্মুক্ত, ব্যস্ত। ন'দশটা পুজোর জামাকাপড় কোনদিন কীভাবে পরবে, কীভাবে সাজবে, কোথায় যাবে, কী খাবে সবের চুলচেরা বিশ্লেষণে ব্যস্ত। নিউক্লিয়াস ফ্যামিলিতে বাচ্চাদের পরিবার বলতে মা-বাবা। কালের নিয়মে ঠাকুর দেখার ধরন বদলেছে। আমাদের সময়ে গোটাকতক সমবয়সী ছেলেমেয়েদের জোটের এ মণ্ডপ থেকে ও মণ্ডপ ঘোরা। সকাল-সন্ধ্যা যখন ইচ্ছা, সময়ের কোনও বাঁধন নেই।
পুজো শেষে পরিসংখ্যান কে, ক'টা ঠাকুর দেখলো তার পরিমাপ। আমাদের শৈশবে নতুন পোশাকগুলো পুজো শেষে পরিপাটি করে দেরাজে তুলে রাখা হতো। কারণ এরপর লক্ষ্মীপুজো এবং কালীপুজোয় পরতে হবে। কিন্তু বর্তমান বাচ্চাদের অনুভূতি প্রতিদ্বন্দ্বিতামূলক। তুই কোথায় খেয়েছিস? তোর এতগুলো জামা! আবার এতগুলো হয়েছে ইত্যাদি ইত্যাদি। হয়তো সরল শিশুমনে প্রভাব পড়ে পরিবার পরিবেশ থেকে। সে যাই হোক শিশু তো শিশুই। তাঁদের আনন্দ ভালবাসা নিয়েই তো শৈশব।
মুদিয়ালি বা শ্রীভূমি অথবা পাড়ার মণ্ডপে গাড়ি করে ঘোরা। বা পায়ে হেঁটে, একালের হোক বা সেকালের; শিশু মন চায় একটু ভিন্ন স্বাদ। গতানুগতিকতার বাইরে খোলামেলা জীবন। বাঁধনছেঁড়া অপু-দুর্গার রেলগাড়ি দেখার মতোন বিস্ময় চোখে কচিকাচারা নিজের মতো করে দুর্গাপুজো দেখার স্বাধীনতা, তাঁদের একাকিত্ব জীবনে খানিকটা অন্য হাওয়া বয়ে আনে একথা বলার অপেক্ষা রাখে না।