
গরু পাচার মামলায় এবার অনুব্রতর অন্যতম আদেশ রক্ষাকারী তৃণমূল যুব নেতাকে তলব করল সিবিআই। সূত্রের খবর, চলতি বছরের মার্চেই দিল্লিতে ডাক পড়েছিল তাঁর। এবার তৃণমূল যুবনেতা কৃপাময় ঘোষকে, গরুপাচার মামলায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য বুধবার নিজাম প্যালেসে তলব করল সিবিআই।
প্রসঙ্গত, অনুব্রতকে যখন দিল্লি নিয়ে যাচ্ছিল ইডি তখনই পথে শক্তিগড়ে দাঁড়িয়েছিল গাড়ি। সেখানে অনুব্রতর সঙ্গে সবুজ পাঞ্জাবি পরা এক ব্যক্তিকে নিয়ে ঘনিয়েছিল রহস্য। তিনিই বাংলা ছাড়ার দিন অনুব্রতর সঙ্গে শক্তিগড়ে বেশ কিছুক্ষণ ‘গল্প’ করেন, কচুরিও খান।
আসানসোল থেকে যাওয়ার পথে বর্ধমানের শক্তিগড়ে একটি হোটেলে দাঁড়িয়েছিল অনুব্রত মণ্ডলের গাড়ি। সেখানেই প্রাতঃরাশ খেতে শুরু করেন অনুব্রত মণ্ডল। সেখানেই কেষ্ট মণ্ডলের খাবার টেবিলে দেখা যায় সবুজ পাঞ্জাবি পরিহিত এক ব্যক্তিকে। টিভিতে সেই ছবি দেখাতেই তা নিয়ে চাপানউতোর শুরু হয় নানা মহলে। কে তিনি, কীভাবে তিনি অনুব্রতর কাছে গেলেন তা নিয়ে তৈরি হয় নানা প্রশ্ন। পরবর্তীতে জানা যায় এই ব্যক্তিই বীরভূমের তৃণমূল যুবনেতা কৃপাময় ঘোষ। কিন্তু, কে এই কৃপাময়?
সূত্রের খবর, ‘কেষ্টদার’ যে কোনও দরকারে, যে কোনও কাজে সর্বদাই হাজির থাকতেন ‘ভাই’ কৃপাময়। কেষ্টর ছায়াসঙ্গী হিসাবেও পরিচয় রয়েছে তাঁর। তবে গরু পাচার মামলায় গ্রেফতারির পর যে শুধু শক্তিগড়েই তাঁকে অনুব্রতর সঙ্গে দেখা গিয়েছিল এমনটা নয়। এর আগে দুবরাজপুর আদালতে অনুব্রতকে তোলার সময় দেখা মিলেছিল কৃপাময়ের।
বৃহস্পতিবার ভোরে আসানসোলের সিবিআই (CBI) আদালতে হাজিরা দিলেন গরুপাচারের (Cattle Smuggling) আরও এক অভিযুক্ত আব্দুল লতিফ (Abdul Latif)। তৃণমূল নেতা অনুব্রত মণ্ডল গ্রেফতার হওয়ার পর থেকে আব্দুল লতিফকে খুঁজছিল সিবিআই। তদন্তকারীরা জানতে পেরেছিলেন, এই লতিফই ইলামবাজার পশুহাটের দেখভাল করতেন। নেপথ্যে চলত গরুপাচারের কারবার। এই সবই হত লতিফের তত্ত্বাবধানে। শক্তিগড়ে রাজু ঝা খুনেও লতিফের নাম উঠে আসে। বলা হয় সেদিন লতিফকেও ঘটনাস্থলে দেখা গিয়েছিল। এরপরেই লতিফকে খুঁজতে আরও বেশি তৎপর হয়ে ওঠে সিবিআই। কিন্তু তার আগেই লতিফের আইনজীবী সুপ্রিমকোর্টের কাছে মক্কেলের গ্রেফতারি এড়াতে আবেদন রাখেন। সেই আবেদনে সাড়া দিয়ে সুপ্রিমকোর্ট আগামী ৪ মে পর্যন্ত লতিফের গ্রেফতারিতে অন্তবর্তীকালীন স্থগিতাদেশ দেয়।
এরমধ্যেই বৃহস্পতিবার একেবারে কাক ভোরেই লতিফ তাঁর আইনজীবীকে নিয়ে আসানসোলের সিবিআই আদালতে হাজির হন। প্রথমে কেউ টের পায়নি। পরে লতিফ আসার খবর পেতেই রীতিমতো শোরগোল পড়ে যায় আদালত চত্বরে। এদিন সিবিআইয়ের বিশেষ আদালতে লতিফের হয়ে সওয়াল করেন আইনজীবী শেখর কুণ্ডু। সিবিআইয়ের হয়ে উপস্থিত ছিলেন সরকারি আইনজীবী রাকেশ কুমার। কেস ডায়েরি নিয়ে সেখানে হাজির ছিলেন তদন্তকারী অফিসাররাও।
সওয়াল-জবাবের পর বিচারক রাজেশ চক্রবর্তী লতিফকে ১৫ হাজার টাকার ব্যক্তিগত বন্ডে জামিন দেন। আগামী ৬ মে এই মামলার পরবর্তী শুনানি রয়েছে। এর মধ্যে প্রতি তিনদিনে একবার সিবিআইয়ের তদন্তকারীদের সঙ্গে দেখা করতে হবে লতিফকে। সিবিআইয়ের কাছে তাঁর পাসপোর্ট জমা রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। তাছাড়াও সিবিআইকে কয়েকটি নির্দেশ দিয়েছেন বিচারক। সেই নির্দেশ অনুযায়ী আব্দুল লতিফকে জিজ্ঞাসাবাদের সময় সিবিআইকে সমস্ত মানবাধিকার রক্ষা করতে হবে। জিজ্ঞাসাবাদের সময় লতিফের আইনজীবী উপস্থিত থাকতে পারবেন।
বুধবার অনুব্রত কন্যা সুকন্যা মণ্ডলকে (Sukanya Mondal) গরু পাচার (Cattle Smuggling) কাণ্ডের তদন্ত সূত্রে গ্রেফতার করেছে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট তথা ইডি (ED)। বৃহস্পতিবার সুকন্যাকে আদালতে পেশ করে হেফাজতে চাইবে কেন্দ্রীয় এই তদন্ত এজেন্সি। তারই মধ্যে এদিন আবার শুনানি ছিল অনুব্রত মণ্ডলের।
তিহাড় থেকে এদিন ভিডিও কনফারেন্সিংয়ের মাধ্যমে শুনানিতে যোগ দেন অনুব্রত ও তাঁর একদা দেহরক্ষী সায়গল হোসেন। বিচারক প্রথমে তাঁর কাছে জানতে চান, কেমন আছেন? শুনে অনুব্রত বলেন, 'একদম ভাল নেই। একদম না।'
তিহাড় থেকে আসানসোল জেলে ফিরতে চেয়ে মামলা করে রেখেছেন অনুব্রত। বিচারক এদিন জানতে চান সেই মামলার কী অবস্থা? জবাবে অনুব্রত বলেন, মামলা চলছে। আদালত চাইলে তাঁকে আসানসোলে ফেরত পাঠাতে পারে। সেই সঙ্গে অনুব্রত অভিযোগ করেন, তাঁর বিরুদ্ধে ফলস কেস সাজিয়েছে সিবিআই। সব মামলা মিথ্যা। এ কথা বলে জামিন চান অনুব্রত। বিচারক শুনে বলেন, তিনি অনুব্রত মণ্ডলের কথা শুনলেন ঠিকই। কিন্তু এ সব কথা অর্থহীন। আদালতের কাছে শুধুমাত্র কাগজেরই মূল্য রয়েছে।
অনুব্রত মণ্ডল ও সায়গল হোসেন ছাড়াও এই মামলায় ইতিমধ্যে গ্রেফতার করা হয়েছে অনুব্রত মণ্ডলের চার্টার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্ট মনীশ কোঠারিকে। তার পর এবার মেয়ে সুকন্যাকেও গ্রেফতার করেছে ইডি। অর্থাৎ বীরভূমে কেষ্টর কাছে লোক আর কেউ এখন বাইরে নেই। সবাই হয় জেলে, নয় হেফাজতে রয়েছে।
গরু পাচার (Cattle smuggling) মামলায় আরও সক্রিয় কেন্দ্রীয় গোয়েন্দারা। সোমবার দিল্লির (Delhi) অফিসে ফের ডেকে পাঠানো হয়েছে সিউড়ি থানার ভারপ্রাপ্ত আধিকারিক মোহাম্মদ আলীকে। পাশাপাশি সোমবার সিবিআইয়ের (Cbi) তরফে কলকতার নিজাম প্যালেসে ডেকে পাঠানো হয়েছে সাঁইথিয়ার দুই রাইস মিল মালিককে। গরু পাচার মামলায় গ্র্রেফতার হয়েছে বীরভূমের বেতাজ বাদশা অনুব্রত মন্ডল। এরপর কেন্দ্রীয় গোয়েন্দাদের সক্রিয়তায় সামনে এসেছে আরও গুরুত্বপূর্ণ তথ্য। গরু পাচার মামলায় ইন্সপেক্টর মোহাম্মদ আলীকে এর আগেও সমন করেছে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দারা। উনি হাজিরা দিয়েছিলেন, গত শনিবার মোহাম্মদ আলীকে দিল্লিতে ৯ ঘন্টা জেরা করে ইডির আধিকারিকরা। এরপর সোমবারও তাঁকে হাজিরা দিতে বলা হয়েছে বলে সূত্রের খবর।
পাশাপাশি সাঁইথিয়ার ২জন রাইস মিল মালিককে তলব করেছে সিবিআই। সূত্রের খবর, সাঁইথিয়ার ব্যবসায়ী রবিন টিব্রেওয়াল ও তাঁর বাবাকে তলব করে সিবিআই। সিবিআই সূত্রে খবর, এনামুল হকের কোম্পানি, হক ইন্ডাস্ট্রির সঙ্গে যোগাযোগ ছিল এই ব্যবসায়ীর। এনামুল হকের সঙ্গে ব্যবসায়ী রবিন টিব্রেওয়ালের কি যোগাযোগ রয়েছে? কত টাকার লেনদেন হয়েছে? তা জানতে সোমবার এই ব্যবসায়ীকে ও তাঁর বাবাকে তলব করেছে সিবিআই।
কাজে এলো না অনুব্রতের (Anubrata) কোনও দাবি। শেষমেশ তাঁকে যেতেই হচ্ছে তিহারে (Tihar Jail)। মঙ্গলবার গরুপাচার মামলার শুনানিতে তাঁকে ১৩ দিনের জেল হেফাজত দিল আদালত। অর্থাৎ তাঁকে যেতেই হচ্ছে তিহার জেলে। সেখানে গরু পাচারকাণ্ডে অভিযুক্ত সায়গল, মনীশ কোঠারি, এনামুল হক, সতীশ কুমাররা আগে থেকেই আছেন, এবার সেই লিস্টে যোগ দিলেন অনুব্রতও।
মঙ্গলবার আদালতে পেশ করার আগে অনুব্রতকে নিয়ে আসা হল রাম মনোহর লোহিয়া হাসপাতালে। গত দুদিন শ্বাসকষ্ট জনিত সমস্যায় ভুগছেন কেষ্ট। তাই সোমবারের পর আজ মঙ্গলবার ফের তার স্বাস্থ্যের পরীক্ষা করতে নিয়ে আসা হলো রাম মনোহর লোহিয়া হাসপাতালে। মঙ্গলবার আদালতে পেশ করার আগেই তাঁকে স্বাস্থ্যপরীক্ষার জন্য আনা হয়। ইডি সূত্রে খবর, হাসপাতালে তার স্বাস্থ্য পরীক্ষার পর, আদালতে পেশ করার আগে অনুব্রত মণ্ডলকে ম্যারাথন জিজ্ঞাসাবাদ চালায় ইডি। এরপরেই তাঁকে আদালতে পেশ করা হলে ১৩ দিনের ইডি হেফাজত দেয় আদালত।
মঙ্গলবার আদালত সূত্রে খবর, অনুব্রত মণ্ডল চারটে ব্যাগ নিয়ে এসেছিলেন। সেই ব্যাগগুলো জেলে নিয়ে যেতে চেয়েছিলেন অনুব্রত। তার অনুমতি দেয়নি আদালত। ব্যাগগুলো তাঁর আইনজীবীকে নিয়ে নিতে নির্দেশ দেয় কোর্ট। পাশাপাশি জানা গিয়েছে, গরু পাচারকাণ্ডে নাম উঠেছে বোলপুর পুরসভার চেয়ারপার্সন ও তাঁর স্বামীর। তাঁদের সম্পত্তিও ইডির নজরে আছে বলে জানিয়েছে পুলিস।
গরুপাচার মামলায় এবার বীরভূমের দুই ব্যবসায়ীকে তলব করল সিবিআই। চলতি সপ্তাহে ব্যবসা, আয়কর এবং ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের তথ্য সম্বলিত নথি নিয়ে হাজিরার নির্দেশ দিয়েছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। সিবিআই সূত্রে খবর, বীরভূমের বিভিন্ন প্রান্তে চলা গরুরহাটের ব্যবস্থাপনায় এই দুই ব্যবসায়ী যুক্ত। এনামূল হক ও এই মামলায় বেশ কয়েকজনকে জিজ্ঞাসাবাদ করে এই দুই ব্যবসায়ী সম্পর্কে তথ্য হাতে পায় সিবিআই।
সূত্রের খবর, গত সপ্তাহে ধৃত সায়গলকে জেরা করার সময় এই দুই ব্যবসায়ী সম্পর্কে তথ্য মিলিয়ে দেখা হয়েছে। তাতে পাচারকারীদের সঙ্গে ওই দুই ব্যবসায়ীর যোগ পাওয়া গিয়েছে। মূলত বীরভূমের বিভিন্ন গরুরহাটে লেনদেন সুষ্ঠুভাবে যাতে করতে পারে পাচারকারীরা, সেই ব্যবস্থা করে দেওয়ার দায়িত্ব ছিল এই দু’জনের ওপর, এমনই তথ্য উঠে এসেছে তদন্তে। সেক্ষেত্রে মোটা টাকার বিনিময়ে মধ্যস্থতাকারী হিসেবেও কাজ করেছেন এই দুই ব্যবসায়ী, জানতে পেরেছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী দল। বেআইনি লগ্নিতেও এঁদের যথেষ্ট ভূমিকা রয়েছে। কারণ গরুরহাটের ব্যবস্থা করতে গিয়ে অনেক প্রভাবশালীর সংস্পর্শে এসেছেন দুই ব্যবসায়ী। তাই এঁদের জিজ্ঞাসাবাদ করে সেই সব প্রভাবশালীর দরজায় পৌঁছতে চাইছে সিবিআই।
গত সপ্তাহে এই গরুপাচার মামলায় গ্রেফতার করা হয়েছে অনুব্রত মণ্ডলের দেহরক্ষী সায়গল হোসেনকে। তাঁকে নিজেদের হেফাজতে রেখে জেরা করছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। এর আগে অনুব্রত মণ্ডল ঘনিষ্ঠ এক ব্যবসায়ী তথা রাইস মিল মালিককে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে সিবিআই। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার মুখোমুখি হয়েছেন অনুব্রত মণ্ডল নিজেও। সব মিলিয়ে পাচার মামলায় জোর কদমে নেমেছে সিবিআই। ওই জেলার দুই ইন্সপেক্টরও ডাক পেতে চলেছেন বলে সূত্রের খবর।
কয়লা পাচারকাণ্ডে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য সিবিআই টিম পৌঁছে গেল তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক তথা সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাড়িতে। হরিশ মুখার্জি রোডে অভিষেকের বাড়ি 'শান্তিনিকেতন'-এ তাই প্রচুর মানুষের ভিড়। যদিও তিনি এই মুহূর্তে বাড়িতে নেই। অভিষেক আজই রওনা দিয়েছেন ত্রিপুরার উদ্দেশে, উপ নির্বাচনের প্রচারের জন্য। সেখানে তাঁর নানা কর্মসূচিও রয়েছে। ফলে আজ তাঁর স্ত্রী রুজিরা বন্দ্যোপাধ্যায়কেই জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে বলে সিবিআইয়ের একটি সূত্রে জানা গিয়েছে। সিবিআই টিমে মহিলা অফিসার সহ রয়েছেন ৮ জন।
উল্লেখ্য, এর আগে গত বছর মার্চ মাসেও সিবিআই বাড়িতে গিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করেছিল রুজিরাকে। সেদিন টানা ৫ ঘণ্টা জিজ্ঞাসাবাদের পর তারা বেরিয়ে গিয়েছিল। সেই সময়ের পর সিবিআইয়ের হাতে যে সব নথি হাতে এসেছে, তার সঙ্গে তাঁর বয়ানের কিছু কিছু ক্ষেত্রে নাকি অসঙ্গতি মিলেছে। সেগুলি যাচাই করার জন্যই এদিনের অভিযান বলে মনে করা হচ্ছে।
এদিকে অভিষেক বেরিয়ে যাওয়ার পরই সিবিআই টিমের এই হানা নিয়ে প্রশ্ন তুলতে শুরু করে দিয়েছেন তৃণমূলের কর্মী-সমর্থকরা। তাঁদের অভিযোগ, এ থেকেই প্রমাণিত হয়, সম্পূর্ণ রাজনৈতিক স্বার্থেই এই কর্মসূচি।
বুধবার বিকাশ মিশ্রের জামিনের আবেদন মঞ্জুর করল সিবিআই আদালত। কয়লা ও গরু পাচারকাণ্ডে অভিযুক্ত বিকাশ মিশ্রের জামিনের আবেদন করেছিলেন তাঁর আইনজীবী সোমনাথ চট্টরাজ। লাগাতার ৬০ দিন জেলে থাকার পরেও চার্জশিট পেশ করেনি সিবিআই। আর সেই আইনকে হাতিয়ার করেই বিকাশের জামিনের আবেদন করেন তাঁর আইনজীবী সোমনাথ চট্টরাজ। গত বুধবার আসানসোল সিবিআই আদালত তাঁর জামিন মঞ্জুর করে।
প্রসঙ্গত, পাচারকাণ্ডে শুধু দেশেই নয়, দেশের সীমা ছাড়িয়ে তাঁর হাত পৌঁছেছিল বিদেশেও। সূত্রের খবর, ইতিমধ্যে গত ১৮ মার্চ অন্তর্বর্তীকালীন জামিনের আবেদন করেছিলেন তাঁর আইনজীবী সোমনাথ চট্টরাজ। সেই আবেদন খারিজ হয়। এরপরই কয়লাপাচার কাণ্ডে তাঁকে জেল হেফাজত ও গরুপাচার কাণ্ডে সিবিআই হেফাজতের নির্দেশ দেয় আদালত।
প্রশ্ন ওঠে, কে এই বিকাশ মিশ্র? কীভাবে তাঁর উত্থান? জানা গিয়েছে, তৃণমূল ঘনিষ্ঠ বিনয় মিশ্রের ভাই বিকাশ মিশ্র। পাচারকাণ্ডে সিবিআইয়ের হাত থেকে পালাতে প্রশান্ত মহাসাগরের বুকে একটি দ্বীপরাষ্ট্রে আত্মগোপন করেন বিনয়। কিন্তু সিবিআইয়ের হাত থেকে পালাতে পারেননি বিকাশ। কয়লার পর গরুপাচার কাণ্ডেও সিবিআইয়ের নজরে পড়ে যান বিকাশ মিশ্র।
পাচারকাণ্ডে তদন্তে নামে সিবিআই। অনুপ মাজি ওরফে লালা, বিনয় ও বিকাশ মিশ্রের প্রায় সাড়ে ৯ কোটি টাকার সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করে ওই কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। তার মধ্যে রয়েছে বাড়ি, গাড়ি ও জমিও। উঠে আসে একের পর এক প্রভাবশালী যোগ। মার্চের দুটি তারিখে আসানসোল সিবিআই আদালতে বিকাশ মিশ্রের মামলার শুনানি ছিল। কিন্তু দুটি তারিখেই তাঁকে হাজির করানো হয়নি। আসানসোল জেল বা বিশেষ সংশোধনাগার থেকে আদালতে বলা হয়, বিকাশ মিশ্র কলকাতায় এসএসকেএমে ভর্তি রয়েছেন। তাই তাঁকে হাজির করানো যায়নি। কিন্তু সিবিআই আদালতের বিচারক রাজেশ চক্রবর্তী বিকাশের জামিনের আবেদন নাকচ করে দিয়ে জেল হাজতের নির্দেশ দিয়েছিলেন। অবশেষে সিবিআই নির্দিষ্ট সময়ে চার্জশিট পেশ করতে না পারাতেই জামিন পেয়ে গেলেন তিনি।
শুনে নেওয়া যাক, তাঁর আইনজীবী কী বলছেন।
ভোট পরবর্তী হিংসা মামলায় সিবিআইকে তৃতীয়বারের মতো 'না' বীরভূমের (Birbhum) দাপুটে নেতা অনুব্রতর (Anubrata Mandal)। শনিবার গরু পাচার মামলায় ষষ্ঠবার সিবিআই (CBI) হাজিরা এড়িয়েছিলেন অনুব্রত মণ্ডল। আর আজ, ভোট পরবর্তী হিংসা মামলায় তৃতীয়বার হাজিরা এড়ালেন তিনি। সূত্র মারফত এমনটাই জানা গিয়েছে। ইতিমধ্যেই নাকি অনুব্রতর আইনজীবী চিঠি দিয়ে সিবিআইকে জানিয়েছেন, অসুস্থতার কারণেই আজ হাজিরা দিতে পারবেন না তৃণমূল (TMC) নেতা। সিবিআই-এর কী পদক্ষেপ হয়, সেটা এখনও জানা যায়নি।
অনুব্রতর আইনজীবী শারীরিক অসুস্থতার যে রিপোর্ট দিয়েছেন সিবিআইকে, সেই রিপোর্টগুলি আলিপুর কমান্ড হাসপাতালে( Alipore Commando Hospital ) পাঠানো হয়। অনুব্রত মণ্ডল ঠিক কতটা অসুস্থ রয়েছেন সেটা জানার জন্য। প্রয়োজনে অনুব্রতর বাড়ি গিয়ে তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদও করতে পারেন সিবিআই আধিকারিকরা, এমনটাই সূত্রের খবর।
অনুব্রত মণ্ডলের আইনজীবী জানিয়েছেন, চিকিৎসকরা তাঁকে ৪ সপ্তাহ বিশ্রামে থাকার কথা বলেছেন। তাই একমাস পর সমস্ত হাজিরা দেবেন বলে জানান তিনি। টানা ১৭ দিন এসএসকেএম হাসপাতালে(SSKM Hospital) চিকিৎসাধীন থাকার পর শুক্রবার সন্ধেবেলা ছুটি হয় তাঁর। চিনারপার্কের ফ্ল্যাটে যান তিনি। সেখানেই রয়েছেন বর্তমানে।
গরুপাচার মামলায় অভিযুক্ত বিকাশ মিশ্র( bikash mishra)। আসানসোল সিবিআই আদালতে আনা হল বিকাশ মিশ্রকে। সিবিআই-এর(cbi) তিনজন আধিকারিকের সঙ্গে আসানসোলে নিয়ে আসা হল তাঁকে। গত ৮ এপ্রিল সিবিআই কোর্ট ১০ দিনের সিবিআই হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছিল। সিবিআই হেফাজতের মেয়াদ শেষ হল আজ। গরু পাচার কাণ্ডে অভিযুক্ত বিকাশ মিশ্রের ফের আগামী ২২ এপ্রিল পর্যন্ত জেল হেফাজত হয় এদিন। ...
প্রসঙ্গত, পাচারকাণ্ডে শুধু দেশেই নয়, দেশের সীমা ছাড়িয়ে তাঁর হাত পৌঁছেছিল বিদেশেও। সূত্রের খবর, গত ২৯ মার্চই হাজিরা দেওয়ার কথা ছিল তাঁর। কিন্তু তিনিও দ্বারস্থ হয়েছিলেন এসএসকেএম-এর(sskm)। ১৮ মার্চ অন্তর্বর্তীকালীন জামিনের (interim bail) আবেদন করেছিলেন তার আইনজীবী সোমনাথ চট্টরাজ। সেই আবেদন খারিজ হয়।
এরপরই কয়লাপাচার কাণ্ডে তাকে ১৪ দিনের জেল হেফাজত (jail custody) ও গরুপাচার কাণ্ডে ১০ দিনের সিবিআই হেফাজতের নির্দেশ দেয় আদালত। আইনজীবীরা জানিয়েছিলেন, কয়লাপাচার কাণ্ডের পরবর্তী শুনানি ২২ এপ্রিল ও গরুপাচার কাণ্ডের পরবর্তী শুনানি ১৮ এপ্রিল অর্থাত আজ।
প্রশ্ন ওঠে, কে এই বিকাশ মিশ্র? কীভাবে তাঁর উত্থান? জানা গেছে, তৃণমূল ঘনিষ্ঠ বিনয় মিশ্রের ভাই বিকাশ মিশ্র। পাচারকাণ্ডে সিবিআই-এর হাত থেকে পালাতে প্রশান্ত মহাসাগরের বুকে একটি দ্বীপরাষ্ট্রে আত্মগোপন করেছেন বিনয়। কিন্তু সিবিআই-এর হাত থেকে পালাতে পারেননি বিকাশ।
পাচারকাণ্ডে তদন্তে নামে সিবিআই। অনুপ মাজি ওরফে লালা, বিনয় ও বিকাশ মিশ্রের প্রায় সাড়ে ৯ কোটি টাকার সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করে ওই কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। তার মধ্যে রয়েছে বাড়ি, গাড়ি ও জমিও। উঠে আসে একের পর এক প্রভাবশালী যোগ। উল্লেখ্য, গত ৮ মার্চ এবং তারপর ১৪ মার্চ। দুটি তারিখে আসানসোল সিবিআই আদালতে বিকাশ মিশ্রের মামলার শুনানি ছিল। কিন্তু দুটি তারিখেই তাঁকে হাজির করানো হয়নি। আসানসোল জেল বা বিশেষ সংশোধনাগার থেকে আদালতে বলা হয়, বিকাশ মিশ্র কলকাতায় এসএসকেএমে ভর্তি রয়েছেন। তাই তাঁকে হাজির করানো যায়নি। কিন্তু সিবিআই আদালতের বিচারক রাজেশ চক্রবর্তী বিকাশের জামিনের আবেদন নাকচ করে দিয়ে জেল হাজতের নির্দেশ দিয়েছিলেন।
ফলে কয়লার পর এবার গরুপাচার কাণ্ডেও সিবিআইয়ের নজরে বিকাশ মিশ্র।
বিএসএফের গুলিতে মৃত্যু হল এক গরু পাচারকারীর। ঘটনাটি ঘটেছে সিতাই বিধানসভার শিবগঞ্জ থানার অন্তর্গত সীমান্ত গ্রাম অন্দরন সিংহমারী এলাকায়। বিএসএফ সূত্রে খবর, গতকাল গভীর রাতে সাহেবগঞ্জ থানার অন্তর্গত পদমা বর্ডার এলাকায় বেশ কয়েকজন দুষ্কৃতী গরু পাচারের উদ্দেশ্যে জড়ো হয়। পরবর্তীতে তারা বাংলাদেশে প্রবেশের চেষ্টা করে। প্রসঙ্গত, এই এলাকায় বর্ডারে কোনও কাঁটাতার নেই। এই সময় কর্তব্যরত ৭৫ নং বিএসএফ জওয়ানরা তাদের ধাওয়া করেন। তারা যখনপালাতে থাকে, বিএসএফ সেই সময় গুলি চালায়। সিরাজুল হক নামে এক ব্যক্তি গুলিতে মারা যায়। তার দেহ ভারত সীমান্ত পার করে বাংলাদেশের ভিতরে পড়ে থাকে। পরে পুলিশের উপস্থিতিতে রবিবার তার দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়।
ঘটনাস্থলে পৌঁছয় সাহেবগঞ্জ থানার পুলিশ। মৃত ব্যক্তি ভারতবর্ষের বাসিন্দা। তবে পরিবারের দাবি, দিনমজুরের কাজ করে তার সংসার চলত। গতকাল রাতে কে বা কারা তাকে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে গিয়েছিল, সেটা পরিবারের লোকজন জানে না।
এ ব্যাপারে বিএসএফের ভূমিকার কড়া সমালোচনা করেছেন সিতাই বিধানসভা কেন্দ্রের বিধায়ক জগদীশচন্দ্র বর্মা বসুনিয়া। তিনি বলেন, বিএসএফের ক্ষমতা বৃদ্ধির পর থেকেই তাদের অন্যায়-অত্যাচার বেড়ে গিয়েছে।
এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে। গোটা ঘটনায় তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।
গরু পাচারকাণ্ডে অন্যতম অভিযুক্ত বিকাশ মিশ্রকে এই প্রথম নিজেদের হেফাজতে পেয়েছে সিবিআই। বিকাশও দীর্ঘদিন এসএসকেএম হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন। তাই তাঁকেও জিজ্ঞাসাবাদ করার সুযোগ পায়নি সিবিআই। এ ব্যাপারে এসএসকেএমের ভূমিকা নিয়ে আসানসোল কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিল সিবিআই। কিন্তু এবার তারা বিকাশের শারীরিক পরীক্ষানিরীক্ষার জন্য তাঁকে কাছেই সরকারি সুপার স্পেশালিটি হাসপাতাল এসএসকেএমে নিয়ে গেল না। তাকে নিয়ে যাওয়া হল কমান্ড হাসপাতালে।
সিবিআই সূত্রে খবর, অনুব্রত মণ্ডল সহ একাধিক ঘটনায় তারা সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালের ভূমিকায় ক্ষুব্ধ। সেই কারণেই বিকাশ মিশ্রকে এসএসকেএমে না নিয়ে গিয়ে কমান্ড হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হল।
উল্লেখ্য, শুক্রবার আসানসোলের সিবিআই কোর্টে হাজির করা হয় বিকাশকে। সূত্রের খবর, গত ২৯ মার্চই হাজিরা দেওয়ার কথা ছিল তাঁর। কিন্তু তিনিও দ্বারস্থ হন এসএসকেএম-এর। ১৮ মার্চ অন্তর্বর্তীকালীন জামিনের আবেদন করেছিলেন তাঁর আইনজীবী সোমনাথ চট্টরাজ। সেই আবেদন খারিজ হয়। কয়লাপাচার কাণ্ডে তাকে ১৪ দিনের জেল হেফাজত ও গরুপাচার কাণ্ডে ১০ দিনের সিবিআই হেফাজতের নির্দেশ দেয় আদালত। আইনজীবীরা জানান, কয়লাপাচার কাণ্ডের পরবর্তী শুনানি ২২ এপ্রিল ও গরুপাচার কাণ্ডের পরবর্তী শুনানি ১৮ এপ্রিল।
তৃণমূল ঘনিষ্ঠ বিনয় মিশ্রের ভাই বিকাশ মিশ্র। পাচারকাণ্ডে সিবিআই-এর হাত থেকে পালাতে প্রশান্ত মহাসাগরের বুকে একটি দ্বীপ রাষ্ট্রে আত্মগোপন করেছেন বিনয়। কিন্তু সিবিআই থেকে পালাতে পারেনি বিকাশ। পাচারকাণ্ডে তদন্তে নামে সিবিআই। অনুপ মাজি ওরফে লালা, বিনয় ও বিকাশ মিশ্রের প্রায় সাড়ে ৯ কোটি টাকার সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করে ওই কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। তার মধ্যে রয়েছে বাড়ি, গাড়ি ও জমিও। উঠে আসে একের পর এক প্রভাবশালী যোগ। উল্লেখ্য, গত ৮ মার্চ এবং তারপর ১৪ মার্চ। দুটি তারিখে আসানসোল সিবিআই আদালতে বিকাশ মিশ্রের মামলার শুনানি ছিল। কিন্তু দুটি তারিখেই তাকে হাজির করানো হয়নি। আসানসোল জেল বা বিশেষ সংশোধনাগার থেকে আদালতে বলা হয়, বিকাশ মিশ্র কলকাতায় এসএসকেএমে ভর্তি রয়েছে। তাই তাকে হাজির করানো যায়নি। কিন্তু সিবিআই আদালতের বিচারক রাজেশ চক্রবর্তী বিকাশের জামিনের আবেদন নাকচ করে দিয়ে জেল হাজতের নির্দেশ দিয়েছিলেন।
বীরভূমের দাপুটে তৃণমূল নেতা এসএসকেএমে কেমন আছেন, তা হাসপাতালে গিয়ে জানল সিবিআই। বৃহস্পতিবার সিবিআইয়ের এক আধিকারিক এসএসকেএমে আসেন অনুব্রতর শারীরিক অবস্থার খোঁজ নিতে। তা জেনেই অবশ্য তিনি বেরিয়ে যান। ফলে তাঁকে হাসপাতালে এসে সিবিআই জিজ্ঞাসাবাদ করবে কি না, সেই সম্ভাবনা থেকেই যাচ্ছে। কারণ, অনুব্রত নিজেই চিঠিতে উল্লেখ করেছিলেন, সিবিআই চাইলে ডাক্তারদের ছাড়পত্র নিয়ে তাঁকে এসএসকেএমে এসে জিজ্ঞাসাবাদ করতে পারে।
অন্যদিকে, এদিনই দুপুরে মেডিক্যাল বোর্ডের সদস্যরা অনুব্রত মণ্ডলকে পরীক্ষা করে দেখেন। হাসপাতাল সূত্রে খবর, অনুব্রত মণ্ডল আপাতত হাসপাতালেই থাকছেন। তাঁকে ছাড়া হচ্ছে না। আজ সকালে অনুব্রত মণ্ডলের একাধিক শারীরিক পরীক্ষা করা হয়েছে। এছাড়াও বেশ কিছু রক্ত পরীক্ষা করা হয়েছে। দুপুরে মেডিক্যাল বোর্ডের সদস্যরা বৈঠক করেন। গতকাল যে পরীক্ষাগুলি করা হয়েছিল, তার রিপোর্ট পর্যালোচনা করেন। বিকেলে বেশ কিছু পরীক্ষা করা হবে বলে জানা গিয়েছে। অক্সিজেনের মাত্রা ঠিক আছে। হার্টে আপাতত কোনও সমস্যা নেই বলেই দেখা গিয়েছে গতকালের রিপোর্টে।
এসএসকেএমের উডবার্ন ওয়ার্ডের সাড়ে ১২ নম্বর কেবিনে বুধবার দুপুরে ভরতি হয়েছিলেন অনুব্রত মণ্ডল। তারপর সেখান থেকে স্থানান্তরিত করা হয় ২১১ নম্বর রুমে। বর্তমানে সেখানেই চিকিৎসাধীন। চিকিৎসকদের পরামর্শ মতোই রাতে হালকা নৈশভোজ সেরেছিলেন।
উল্লেখ্য, বুধবার নিজাম প্যালেসে সিবিআই দফতরে যাওয়ার কথা ছিল অনুব্রত মণ্ডলের। কিন্তু মঙ্গলবার রাত থেকেই তাঁর শরীর খারাপ লাগে। বুকে ও পেটে ব্যথা, সঙ্গে বুকে চাপও। ফলে চিনার পার্কের বাড়ি থেকে তিনি নিজাম প্যালেসে না গিয়ে সোজা চলে যান এসএসকেএমে। সিবিআইয়ের মুখোমুখি হতে অক্ষম, সে কথা পরে তাঁর দুই আইনজীবী মারফত জানিয়ে দেন সিবিআই আধিকারিকদের। এ নিয়ে পঞ্চমবার তিনি সিবিআইযের হাজিরা এড়ালেন।
চিনার পার্কে নিজের ফ্ল্যাটে উঠেছিলেন মঙ্গলবার রাতেই। সবাই ভেবেছিলেন, তিনি আজ বুধবার সিবিআই দফতরে হাজিরা দেবেন। গাড়ি যখন ই এম বাইপাস ধরে এগচ্ছে, তখনও সবাই ভেবেছিলেন, তিনি নিজাম প্যালেসেই যাচ্ছেন। কিন্তু আচমকাই পট পরিবর্তন। তাঁর গাড়ি সোজা গিয়ে থামল এসএসকেএম হাসপাতালের উডবার্ন ওয়ার্ডে। তাঁকে নিয়ে যাওয়া হয়েছে উডবার্ন ব্লকে।
তাঁর ঘনিষ্ঠ মহল থেকে জানানো হয়েছে, সকাল থেকেই তিনি শারীরিক অসুস্থতা বোধ করতে থাকেন। বুকে তাঁর ব্যথা। বুকে নাকি চাপও অনুভব করছেন তিনি। তাই পরীক্ষা-নিরীক্ষার জন্যই তিনি সটান এখানে।
অন্যদিকে, অনুব্রতকে জেরা করার জন্য সকাল থেকেই সাজো সাজো রব ছিল নিজাম প্যালেসে। উল্লেখ্য, তাঁকে তলব করা হয়েছে গরুপাচার কাণ্ডে সাক্ষী হিসাবে। দক্ষিণবঙ্গের এই প্রভাবশালী নেতাকে জিজ্ঞাসাবাদ করার জন্য সিবিআই ব্যাপকভাবে প্রস্তুতি নিতে শুরু করে সকাল থেকেই। এর জন্য তৈরি করা হয় একটি বিশেষ টিম। সেই টিমে রাখা হয়েছে এই পাচার কাণ্ডের মুখ্য তদন্তকারী অফিসারকে। রাখা হয়েছে অতিরিক্ত পুলিস সুপার পদমর্যাদার এক অফিসার। গোটা বিষয়টি দেখভাল করবেন যুগ্ম ডিরেক্টর পদমর্যাদার অফিসার। মূলত এনামুল হকের গ্রেফতারকালীন তাঁর জবানবন্দি এবং এনামুলের সিন্ডিকেটের সঙ্গে অনুব্রতর কোনও যোগাযোগ ছিল কি না, তাও তদন্তে জানতে চাওয়া হবে বলে সিবিআই সূত্রে জানা গিয়েছে।
গরুপাচার কাণ্ডে কাল বুধবার সিবিআই দফতরে হাজিরা দেওয়ার কথা বীরভূমের দাপুটে নেতা তথা জেলা তৃণমূল কংগ্রেস সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলের। এর আগে শারীরিক অসুস্থতা সহ নানা কারণ দেখিয়ে তিনি হাজিরা এড়িয়েছেন। বারবার দৌড়েছেন কোর্টে। কিন্তু শেষমেশ হাইকোর্টে রক্ষাকবচ না মেলায় সিবিআই তাঁকে ৬ এপ্রিল নিজাম প্যালেসে হাজির হতে বলে। পাশাপাশি এবার তাঁর নিরাপত্তারক্ষী সায়গল হোসেনকেও ফের তলব করা হয়েছে বলে সিবিআই সূত্রে খবর।
উল্লেখ্য, হাইকোর্টে (High Court) রক্ষাকবচ না পাওয়ার পরই সম্ভাবনা জোরালো হয়েছিল। তাড়াতাড়ি তা সত্যিও প্রমাণিত হয়। ফের অনুব্রতকে তলব করে সিবিআই (CBI)। এর আগে শারীরিক অসুস্থতার কারণ দেখিয়ে বারবার হাজিরা এড়িয়েছেন বীরভূমের তৃণমূল সভাপতি তথা দাপুটে নেতা অনুব্রত মণ্ডল (Anubrata Mondal)। এবার তিনি কী করেন, তার দিকেই নজর থাকবে সবার।
সম্প্রতি গরু পাচার মামলায় অনুব্রত মণ্ডলকে রক্ষাকবচ দেয়নি কলকাতা হাইকোর্ট। হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ সিঙ্গল বেঞ্চের নির্দেশই বহাল রেখেছিল। অর্থাত্ গরু পাচারকাণ্ড (Cattle Smuggling) মামলায় হাইকোর্টে ধাক্কা খেয়েছিলেন অনুব্রত মণ্ডল। এবার সিবিআই জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ডাকলে অনুব্রতকে যেতেই হবে, এমনটাই জানিয়েছিল বিশেষজ্ঞ মহল।
উল্লেখ্য, গরু পাচার মামলায় চারবার অনুব্রতকে নোটিস দিয়েছিল সিবিআই। কিন্তু তাঁকে গ্রেফতার করা হতে পারে, এই আশঙ্কায় কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন তিনি। এর আগে বিচারপতি রাজাশেখর মান্থার একক বেঞ্চ অনুব্রতর রক্ষাকবচের আবেদন খারিজ করে দেয়। ওই সময় বিচারপতি মন্তব্য করেছিলেন, কোনও মামলায় বার বার সিবিআইয়ের হাত বাঁধতে পারে না আদালত।
ফলে এবার অস্বস্তিতে তৃণমূল নেতা অনুব্রত মণ্ডল।