যাদবপুরের পর এবার পশ্চিমবঙ্গে রাষ্ট্রীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাবর্তন বাতিল করল রাজভবন। রাজভবন সূত্রে খবর, ভোটের কথা মাথায় রেখেই স্থগিত এই কনভোকেশন বা সমাবর্তন। যদিও ওয়েবকুপার দাবি রাজ্যের চাপেই এই বেআইনি সমাবর্তন অনুষ্ঠান বাতিল করেছেন রাজ্যপাল।
সূত্রের খবর, গতকাল অর্থাৎ মঙ্গলবার বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে একটি চিঠি দিয়ে এই কনভোকেশন বাতিলের কথা জানানো হয় রাজভবনের তরফে। প্রসঙ্গত, আগামী ২৭ এপ্রিল এই সমাবর্তন অনুষ্ঠিত হওয়ার হওয়ার কথা ছিল। যদিও সূত্রের খবর, রাজ্যকে না জানিয়েই রাজ্যপাল নিয়োজিত অন্তর্বর্তী উপাচার্য রাজকুমার কোঠারি এই কনভোকেশন অনুষ্ঠানের পরিকল্পনা করেন। এরপরেই রাজ্যের উচ্চশিক্ষা দফতরের তরফে একটি বিবৃতি প্রকাশ করে ওই সমাবর্তনকে বেআইনি বলে দাবি করা করা হয়। এরপর রাজভবনের তরফেও ওই সমাবর্তন বাতিল করা হয়েছে। লোকসভা ভোট সম্পন্ন হওয়া অবধি স্থগিত পশ্চিমবঙ্গ রাষ্ট্রীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাবর্তন অনুষ্ঠান, এমনটাই সূত্রের খবর।
এ প্রসঙ্গে পশ্চিমবঙ্গ রাষ্ট্রীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্তর্বর্তী উপাচার্য রাজকুমার কোঠারি জানালেন, ভোটের জন্যই স্থগিত করা হয়েছে সমাবর্তন। ভোট ছাড়া অন্য কারণ নেই। যদিও ওয়েবকুপার রাজ্য সহ-সভাপতি মণিশঙ্কর মণ্ডল জানালেন, সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ মোতাবেক রাজ্য জানিয়েছে অস্থায়ী উপাচার্যের সময়কালে কোনও কনভোকেশনই বৈধ নয়।
সমগ্র ঘটনায় তৃণমূলের শিক্ষক সংগঠন ওয়েবকুপার দাবি একপ্রকার রাজ্যের চাপেই এই বেআইনি সমাবর্তন অনুষ্ঠান বাতিল করেছেন রাজ্যপাল। যদিও এই তত্ব মানতে নারাজ রাজভবন। তাঁদের দাবি নির্বাচনের কারণেই স্থগিত সমাবর্তন। সবমিলিয়ে এই ঘটনায় যে ফের একবার কি প্রকাশ্যে রাজ্য-রাজভবন সংঘাত? সমাবর্তনের সঙ্গে জুড়ে পড়ুয়াদের ভবিষৎ। এবার কনভোকেশন বাতিল হওয়ায় কি বঞ্চিত রাষ্ট্রীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়ারা?
তীব্র দহনে পুড়ছে গোটা বাংলা। এই আবহে স্কুলের গরমের ছুটি এগিয়ে আনলো রাজ্য সরকার। ২২ এপ্রিল থেকে সরকারি স্কুলে গরমের ছুটি ঘোষণা করা হল রাজ্য শিক্ষা দফতরের তরফে। সূত্র মারফৎ খবর, বেসরকারি স্কুলগুলিকেও গরমের ছুটি এগোনোর জন্য অনুরোধ করেছে রাজ্য।
লোকসভা ভোটের জন্য এবার গরমের ছুটি বাড়িয়েছে মধ্যশিক্ষা পর্ষদ। প্রতি বছর সাধারণত ১০ দিন গরমের ছুটি পায় স্কুল পড়ুয়ারা। এবার যা বাড়িয়ে ২২ দিন করা হবে বলে জানিয়েছিল পর্ষদ। বলা বাহুল্য, ২২ এপ্রিল অর্থাৎ সোমবার থেকে ছুটি ঘোষণা হওয়ায় গরমের ছুটি মেয়াদ আরও বাড়ল।
চলতি বছরের এপ্রিলে পর্ষদের জারি করা বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী, ৬ মে থেকে গরমের ছুটি শুরু হওয়ার কথা ছিল। যা ২ জুন পর্যন্ত চলবে বলে জানিয়েছিল বোর্ড। উল্লেখ্য, বছরের শুরুতে ২০ মে পর্যন্ত গরমের ছুটি দেওয়া হবে বলে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল। যা পড়ে জুন মাস পর্যন্ত বাড়ানো হয়।
প্রসঙ্গত, ১৯ এপ্রিল থেকে দেশজুড়ে শুরু হচ্ছে লোকসভা নির্বাচন। ওই দিন হবে প্রথম দফার ভোটগ্রহণ। ১৯ তারিখ উত্তরবঙ্গের জেলাগুলিতে চলবে নির্বাচন। এই কারণে সেখানকার স্কুলগুলিতে ছুটি ঘোষণা করেছে পর্ষদ।
ফের তুঙ্গে রাজ্য ও রাজ্যপাল সংঘাত। শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসুকে রাজ্যের মন্ত্রিসভা থেকে সরিয়ে দেওয়ার সুপারিশ রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোসের। এই সুপারিশকে এক্স হ্যান্ডেলে ‘হাস্যকর’ বলে উল্লেখ করেন ব্রাত্য।
উল্লেখ্য, ৩০ শে মার্চ গৌড়বঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ে ওয়েবকুপার একটি সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। ওইদিন অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু। সেখানে রাজনৈতিক আলোচনা হয়েছে বলে অভিযোগ তোলেন সরাসরি রাজ্যপাল। রাজ্যপালের অভিযোগ তিনি নির্বাচন বিধি লঙ্ঘন করেছেন এবং সেই অভিযোগে শিক্ষামন্ত্রীকে মন্ত্রিসভা থেকে সরানোর সুপারিশ রাজ্যপালের।
এই ঘটনার পর টুইটে পাল্টা খোঁচা শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসুর। টুইট করে রাজ্যপালকে কটাক্ষ করে বলেন, ‘‘আমি রাষ্ট্রপতির কাছে যদি রাজ্যপালকে সরানোর সুপারিশ করতাম, তা হলে সেটা যেমন হাস্যকর হত, এটাও ঠিক তেমনই। আমি কোনও নির্বাচনী বিধিভঙ্গ করে থাকলে তা কমিশনের নজরে আনার অধিকার রয়েছে রাজনৈতিক দলের। ভারতের সংবিধান অনুযায়ী কোনও রাজ্যের মন্ত্রীর অপসারণ বা নিয়োগের সুপারিশ করতে পারেন একমাত্র মুখ্যমন্ত্রী। কিন্তু রাজ্যপাল এমন অভিযোগ তুলে নিজের সাংবিধানিক পদের অপব্যবহার করছেন। নিজের রাজনৈতিক পরিচয়ও প্রকাশ্যে এনেছেন। নিজের সাংবিধানিক সীমাও লঙ্ঘন করেছেন।’’
— Bratya Basu (@basu_bratya) April 4, 2024
সামনেই লোকসভা নির্বাচন। এবার সাত দফায় চলবে ভোটগ্রহণ পর্ব। আর সেই ভোট পর্ব চলবে বেশিরভাগ স্কুলে। সেই উপলক্ষ্য়ে সংশ্লিষ্ট জেলার স্কুলগুলিতে ছুটির নির্দেশিকা জারি করল স্কুল শিক্ষা দফতর। ৬ই মে থেকে ২রা জুন পর্যন্ত ছুটির নোটিশ দিয়েছে শিক্ষা দফতর।
সোমবার মধ্যশিক্ষা পর্ষদের পাশাপাশি প্রাইমারি পর্ষদেও ছুটির ঘোষণা করা হল। লোকসভা ভোটের দিনগুলিতে সংশ্লিষ্ট জেলায় প্রাইমারি স্কুলগুলি ছুটি থাকবে। সেখানেও গরমের ছুটি বাড়িয়ে ৬ মে থেকে ২ জুন অবধি ছুটি ঘোষণা করে নির্দেশিকা জারি করা হয়েছে।
চলতি মাসের ১৯ এপ্রিল থেকে শুরু হবে লোকসভা ভোটপর্ব। আর ভোট শেষ হবে আগামী ১ জুন। ৪ জুন হবে ভোটগণনা। সেক্ষেত্রে প্রথম দফার ইলেকশনের জন্য ১৬ এপ্রিল থেকে ২০ এপ্রিল পর্যন্ত কোচবিহার, আলিপুরদুয়ার, জলপাইগুড়ির জেলার স্কুল বন্ধ থাকবে। দ্বিতীয় দফার নির্বাচন পর্বের জন্য ২৪ এপ্রিল থেকে ২৭ এপ্রিল পর্যন্ত দার্জিলিং, কালিম্পং উত্তর ও দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার স্কুলগুলি বন্ধ থাকবে।
ভোটের আগেই রণক্ষেত্রের চেহারা নিল বাঁকুড়ার কোতুলপুর গ্রাম। কোতুলপুরের লালবাজার এলাকায় তিন বিজেপি কর্মীকে মারধরের অভিযোগ। কাঠগড়ায় তৃণমূল আশ্রিতরা। স্থানীয় বিজেপি নেতৃত্বের দাবি, মঙ্গলবার রাতে চায়ের দোকানে তাঁদের উপর চড়াও হয় তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা। বেধড়ক মারধর করা হয় বিজেপি কর্মীদের। তাঁদের মধ্যে আক্রান্ত এক বিজেপি কর্মী প্রেমানন্দ বিশ্বাস-এর দাবি, বিজেপি করার অপরাধেই তাঁকে মারধর করা হয়েছে।
অন্যদিকে, সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করে তৃণমূলের দাবি, তৃণমূলকে বদনাম করতে মিথ্যে অভিযোগ করছে বিজেপি। এ অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যে। আক্রান্ত বিজেপি কর্মীদের সঙ্গে নিয়ে কোতুলপুর থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন সৌমিত্র খাঁ। তাঁর দাবি, লোকসভা নির্বাচনের আগে এলাকার শান্তি বিঘ্নিত করার চেষ্টা করছে তৃণমূল। স্পর্শকাতর এলাকাগুলিতে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন না করলে প্রতিটি থানা এবং পুলিস সুপারের দফতর ঘেরাওয়ের হুঁশিয়ারি।
গত পঞ্চায়েত নির্বাচনে বারবার রাজনৈতিক সংঘর্ষের ছবি উঠে এসেছে কোতুলপুর ব্লকের বিভিন্ন ব্লকে। আর এবার আসরে লোকসভা। গত পঞ্চায়েত নির্বাচনের ঘটনা মাথায় রেখে ভীত এলাকার স্থানীয় বাসিন্দারা।
নবম-দশম ও একাদশ-দ্বাদশের শিক্ষা ব্যবস্থায় বড়সড় পরিবর্তনের ঘোষণা CBSE-র। জাতীয় শিক্ষা নীতি অনুযায়ী পরিকাঠামো গত বদল ঘটতে চলেছে বলে খবর। নবম-দশমে দু'টির বদলে তিনটি ও একাদশ-দ্বাদশে একটির বদলে দু'টি ভাষা পড়ানোর পরিকল্পনা করেছে কেন্দ্রীয় বোর্ড।
নবম-দশমের দু'টি এবং একাদশ-দ্বাদশের তিনটির মধ্যে বাধ্যতামূলকভাবে একটি ভাষা ভারতীয় হবে বলে নির্দেশ। ইতিমধ্যেই স্কুলগুলিকে এই পরিকল্পনা জানিয়ে দিয়েছে কেন্দ্রীয় বোর্ড। পাশাপাশি ক্রেডিট ভিত্তিক শিক্ষা ব্যবস্থা চালু করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
রামায়ণের মেঘনাদের মতোই অলক্ষ্যে থেকে কার্যসিদ্ধির চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন সন্দেশখালি কাণ্ডের মুলচক্রী শেখ শাহজাহান। এবার বসিরহাট মহকুমা আদালতের দ্বারস্থ হলেন তিনি। ৫ জানুয়ারি রেশন দুর্নীতি কাণ্ডের তদন্ত করতে গিয়ে সন্দেশখালির বেতাজ বাদশাহ শেখ শাহজাহানের অনুগামীদের হাতে আক্রান্ত হন ইডির আধিকারিকরা। তারপর থেকেই পলাতক এই তৃণমূল নেতা। ফের, ২৪ জানুয়ারি শেখ শাহজাহানের বাড়িতে তল্লাশি চালায় কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা ইডি। এদিন শাহজাহানের বাড়িতে একটি নোটিশও টানিয়ে আসে ইডি। ২৯ জানুয়ারি তলব করা হয় শেখ শাহজাহানকে। কিন্তু তিনি আসেননি। উল্টে ৩০ শে জানুয়ারি আগাম জামিনের আবেদন করা হয় শাহজাহানের তরফে। সন্দেশখালির ঘটনায় ইডির পক্ষ থেকে ন্যাজাট থানায় এফআইআর দায়ের করা হলে ইতিমধ্যেই বেশ কয়েকজন গ্রেফতার হয়েছে। অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে জামিনযোগ্য ধারায় মামলা রুজু করা হয়।
এবার অলক্ষ্যে থেকেই বসিরহাট মহকুমা আদালতের দ্বারস্থ হলেন শেখ শাহজাহান। একদিকে ফের আগাম জামিনের আবেদন শেখ শাহজাহানের। অন্যদিকে শাহজাহানের আইনজীবীকে ইমেইলের মাধ্যমে সমন পাঠানো হয়েছে ইডির তরফে। আগামী ৭ই ফেব্রুয়ারী ফের শেখ শাজাহানকে তলব করা হয়েছে। সিজিও কমপ্লেক্সের ইডি দফতরে হাজিরার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে সন্দেশখালির ফেরার বাদশাকে।
আদৌ কি শেখ শাহজাহান হাজিরা দেবেন, না কি ফের নতুন কোনও ঘটনার সম্মুখীন হতে হবে ইডি আধিকারিকদের, সে জবাব সময়ই দেবে।
ডিভিশন বেঞ্চে ফের ধাক্কা বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের। মেডিক্যাল কলেজ দুর্নীতি মামলায় বুধবারই তাঁর সিবিআই তদন্তের নির্দেশ খারিজ হয়। এবার সিবিআইয়ের দায়ের এফআইআরও খারিজ করে দিল বিচারপতি সৌমেন সেনের ডিভিশন বেঞ্চ। একইসঙ্গে আদালতের নির্দেশ, আদালত থেকে সংগৃহীত নথি ফেরত দিতে হবে সিবিআইকে।
সিঙ্গেল বেঞ্চের সিবিআই তদন্তের নির্দেশ ডিভিশন বেঞ্চ স্থগিত করার কথা জানার পরেও কি করে রেজিস্ট্রার জেনারেল অফিস সেই রায়ের কপি সিবিআইকে পাঠালো? বিচারপতি সৌমেন সেনের ডিভিশন বেঞ্চের এই প্রশ্নের জবাব দিতে হবে রেজিস্ট্রার জেনারেলকে। আগামী সোমবার মামলার শুনানি।
উল্লেখ্য, ডাক্তারি পরীক্ষায় রিজার্ভ পরীক্ষার্থীদের নিয়োগের ক্ষেত্রে ভুয়ো শংসাপত্র। রাজ্যজুড়ে বিভিন্ন দুর্নীতির আবহেই ডাক্তারি পরীক্ষায় এমবিবিএস-এর রেজিস্ট্রেশনের ক্ষেত্রে ভুয়ো জাতিগত শংসাপত্র জমা দিয়ে নিয়োগের অভিযোগে আদালতে মামলা রুজু হয়েছিল। এই ঘটনাতেই সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিয়েছিল কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়।
প্রসঙ্গত, এর আগেও ১৪ জন চিকিৎসকের নিয়োগ বাতিল করেছিলেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়। কিন্তু তারপরে আবারও মিলেছে জাতিগত ভুয়ো শংসাপত্র জমা দিয়ে নিয়োগের তথ্য প্রমাণ। আর তারপরেই ঘটনায় সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিলেন বিচারপতি।
ডাক্তারি পরীক্ষায় রিজার্ভ পরীক্ষার্থীদের নিয়োগের ক্ষেত্রে ভুয়ো শংসাপত্র। রাজ্যজুড়ে বিভিন্ন দুর্নীতির আবহেই ডাক্তারি পরীক্ষায় এমবিবিএস-এর রেজিস্ট্রেশনের ক্ষেত্রে ভুয়ো জাতিগত শংসাপত্র জমা দিয়ে নিয়োগের অভিযোগে আদালতে মামলা রুজু হয়েছিল। এই ঘটনাতেই এবার সিবিআই তদন্তের নির্দেশ কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের।
প্রসঙ্গত, এর আগেও ১৪ জন চিকিৎসকের নিয়োগ বাতিল করেছিলেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়। কিন্তু তারপরে আবারও মিলেছে জাতিগত ভুয়ো শংসাপত্র জমা দিয়ে নিয়োগের তথ্য প্রমাণ। আর তারপরেই ঘটনায় সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিলেন বিচারপতি।
এদিন এই মামলার শুনানি চলাকালীন বিচারপতির মন্তব্য, রাজ্য বিষয়গুলিকে আড়াল করার চেষ্টা করছে। শেখ শাহজাহানের প্রসঙ্গ উত্থাপন করে বিচারপতির মন্তব্য, আপনারা শেখ শাহজাহানকে গ্রেফতার করতে পেরেছেন কি? আর তাই এই ধরনের ঘটনার ক্ষেত্রে আমার রাজ্যের ওপর ভরসা নেই বলেই জানান বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়।
আর এরপরেই, কারা এই ভুয়ো শংসাপত্র ইস্যু করেছে, এর নেপথ্যে কোনও আর্থিক লেনদেন আছে কি না, তা অবিলম্বে সিবিআইকে খুঁজে বের করার নির্দেশ দিলেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়।
এরই সঙ্গে রাজ্যের অ্যাডভোকেট জেনারেল এর উদ্দেশ্যে বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের মন্তব্য, সব তথ্য সিবিআই কে হস্তান্তর করতে হবে। এমনকি শেখ শাহজাহানকে পুলিসের গ্রেফতার করতে না পারা। কেন্দ্রীয় সংস্থার গায়ে হাত তোলার ঘটনা নিয়ে রাজ্যের ওপর যে তাঁর কোনও ভরসা নেই, তা বলেও ভর্ৎসনা জানান রাজ্যের প্রতি। সঙ্গে জানান, আর্থিক দুর্নীতি হলে সেটাও সামনে আসা প্রয়োজন।
প্রসঙ্গত, এর আগেও মেডিক্যাল নিট-এ ভুয়ো জাতিগত শংসাপত্র দেখিয়ে নিয়োগের ঘটনায় সিবিআই তদন্তের ইঙ্গিত দিয়েছিলেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়। এডুকেশন বোর্ডের ডিরেক্টরকে ডেকে পাঠিয়ে বিচারপতির প্রশ্ন করেছিলেন, অভিযোগ ভিত্তিহীন হতেই পারে, কিন্তু সেই অভিযোগের ভিত্তিতে কেন তদন্ত করেনি বোর্ড? সেদিনই সব পক্ষের বর্ণনা শুনে বিচারপতি মন্তব্য করেছিলেন, আদালত মনে করলে স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে সিবিআইকে তদন্তের নির্দেশ দেবে। তাঁর সেই ইঙ্গিতেই বুধবার সিলমোহর দিলেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়। এবার মেডিক্যাল নিট-এ ভুয়ো জাতিগত শংসাপত্র দেখিয়ে নিয়োগের ঘটনার তদন্তের দায়ভার উঠল সিবিআইয়ের হাতে।
যদিও সিঙ্গল বেঞ্চের সেই নির্দেশে এবার স্থগিতাদেশ দিলেন বিচারপতি সৌমেন সেনের ডিভিশন বেঞ্চ। বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় এই মামলায় সিবিআইয়ের তদন্তের নির্দেশ দিয়ে সিবিআই আধিকারিককে এজলাসে ডেকে পাঠানোর পর, সেই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে এদিনই বিচারপতি সৌমেন সেনের ডিভিশন বেঞ্চে আবেদন করেন রাজ্যের অ্যাডভোকেট জেনারেল। তাঁর অভিযোগ, সিঙ্গল বেঞ্চ তাঁর কোনও কথাই শোনেনি। তারপরেই, সিঙ্গল বেঞ্চের ওই নির্দেশের ওপর স্থগিতাদেশ দেয় বিচারপতি সৌমেন সেনের ডিভিশন বেঞ্চ। যদিও, যেহেতু রাজ্য ডিভিশন বেঞ্চের এই নির্দেশের কোনও অর্ডার কপি বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের বেঞ্চে পেশ করতে পারেনি, তাই পূর্ব রায়মাফিক বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় সিবিআইয়ের হাতে যাবতীয় নথি তুলে দিলেন। মামলার পরবর্তী শুনানি ২৫ জানুয়ারি বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে দশটায়। এরপর আদালতের রায় মামলা কোন দিকে মোড় নেয়, এখন সেটাই দেখার।
শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় ফের তৎপর ইডি। বৃহস্পতিবার সকালে কলকাতার একাধিক জায়গায় ম্যারাথন তল্লাশি ইডির। এবার ইডি স্ক্য়ানারে শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতির মিডলম্যান প্রসন্নকুমার রায়। সাম্প্রতিককালে সুপ্রিম কোর্ট থেকে জামিন পেয়েছেন তিনি। এদিন সকাল ছ'টা নাগাদ তাঁর একাধিক ফ্ল্যাট ও নিউটাউনের অফিস সহ মোট সাত জায়গায় অভিযান চালান ইডি আধিকারিকরা।
সন্দেশখালির ঘটনা থেকে শিক্ষা নিয়ে এবার সর্তক কেন্দ্রীয় বাহিনী। দেখা গিয়েছে মাথায় হেলমেট, ঢাল সঙ্গে কাঁদানে গ্যাসের সেল নিয়ে হাজির কেন্দ্রীয় বাহিনী। অভিযোগ, চাকরি দেওয়ার নাম করে চাকরিপ্রার্থীদের কাছ থেকে কোটি কোটি টাকা তুলেছিলেন এই প্রসন্ন রায়। তারপর এসএসসির উপদেষ্টা কমিটির সদস্যদের সঙ্গে সংযোগ রেখে চাকরি দেওয়ার নাম করে চাকরিপ্রার্থীদের কাছ থেকে টাকা তোলার কাজ করতেন প্রসন্ন। তৎকালীন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ এই প্রসন্ন রায়।কোটি কোটি টাকা থেকে একাধিক সম্পত্তির হদিশ পাওয়া গেছে প্রসন্ন রায়ের নামে ও তাঁর পরিবারের সদস্যদের নামে।
সূত্রের খবর, একশোর বেশি কোম্পানি রয়েছে প্রসন্ন রায়ের। একাধিক ফ্ল্যাট, নিউটাউন এলাকায় প্রচুর জমি, বিভিন্ন কোম্পানির মাধ্যমে কালো টাকা সাদা করা এই সবই হয়েছে তাঁর চাকরির বিক্রির টাকা থেকে। এর আগে নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় সিবিআই এর হাতে গ্রেফতার হয়েছিলেন প্রসন্ন রায়।
এদিন প্রসন্ন রায় ছাড়ও তাঁর ঘনিষ্ঠ নয়াবাদ এলাকায় রোহিত ঝাঁ নামে এক পরিবহন ব্যবসায়ীর ফ্ল্যাটেও হানা দেয় ইডি। অন্যদিকে প্রসন্ন রায় তিনিও পরিবহন ব্যবসায়ের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। তাঁরই ঘনিষ্ঠ রোহিত। অনেক দুর্নীতির ক্ষেত্রে তাঁর এই ফ্ল্যাট থেকে নথি উদ্ধার হতে পারে তারই সূত্র ধরে ইডি আধিকারিকরা এসে পৌঁছন।
উচ্চশিক্ষায় সংরক্ষণের নয়া নীতি নির্ধারণের জন্য সম্প্রতি বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি) একটি গাইডলাইনে প্রস্তাব দিয়েছে। ইউজিসির ওই প্রস্তাবিত গাইডলাইনে বলা হয়েছে, কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ে চাকরির ক্ষেত্রে তফসিলি জাতি-উপজাতি (এসসি/এসটি), ওবিসি এবং আর্থিক ভাবে দুর্বল প্রার্থীদের থেকে কোনও অ্যাপ্লিকেশন ফি নেওয়া যাবে না। এও বলা হয়েছে, সংরক্ষিত আসনের চাকরিপ্রার্থীদের ইন্টারভিউ দিতে দূরবর্তী জায়গায় যেতে হলে, তাঁদের সেকেন্ড ক্লাস ট্রেনের টিকিট অথবা বাসের ভাড়াও চাইলে মিটিয়ে দিতে পারে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান অথবা নিয়োগ সংস্থাগুলি।
সম্প্রতি প্রস্তাবিত এই গাইডলাইনে নাগরিকদের মতামতও চেয়েছে ইউজিসি। সেখানেই সংরক্ষিত প্রার্থীদের জন্য এমন একগুচ্ছ নিয়ম কার্যকর করতে চাইছে কেন্দ্র। আরও বলা হয়েছে, প্রতিটি বিশ্ববিদ্যালয়ে অন্তত ডেপুটি রেজিস্ট্রার পদমর্যাদার একজনকে এসটি, এসসি, ওবিসিদের বিষয়গুলি মনিটার করার জন্য লিয়াজ়ঁ অফিসার হিসেবে দায়িত্ব দিতে হবে। এছাড়া পিএইচডি অথবা শিক্ষক-শিক্ষাকর্মী নিয়োগের সিলেকশন কমিটিগুলিতে এসটি, এসসি, ওবিসি প্রতিনিধি যথাযথ মাত্রায় রাখতে হবে।
উল্লেখ্য, প্রস্তাবিত গাইডলাইন অনুযায়ী তফসিলি জাতি-উপজাতি (এসসি/এসটি), ওবিসি এবং আর্থিক ভাবে দুর্বল প্রার্থীদের অধিকার রক্ষার জন্য এই নিয়ামাবলী তৈরি করা হয়েছে।
নবম শ্রেণির রেজিস্ট্রেশন নিয়ে এবার আরও কড়া মাধ্যমিক শিক্ষা পর্ষদ। এবারের মাধ্যমিক পরীক্ষায়ও নিরাপত্তায় কড়াকড়ি করা হয়েছে। সমস্ত পরীক্ষাকেন্দ্রে রাখা হয়েছিল সিসিটিভি। ফলপ্রকাশ না হওয়া পর্যন্ত স্কুলগুলির প্রধান শিক্ষকদের সিসিটিভি ফুটেজ সংরক্ষণ করে রাখতে হবে। শুক্রবার এমনই নির্দেশ দিল মধ্যশিক্ষা পর্ষদ। পর্ষদের তরফ থেকে একটি নির্দেশিকা জারি করে বলা হয়েছে, প্রধান শিক্ষকদের নন জুডিশিয়াল ১০ টাকার স্ট্যাম্প পেপারে লিখে জানাতে হবে যে তাঁর স্কুলের নবম শ্রেণির পড়ুয়াদের সবার রেজিস্ট্রেশন হয়েছে। আর এই নির্দেশ অমান্য করলে স্কুলের পড়ুয়াদের মাধ্যমিক পরীক্ষার সময় সমস্যার মধ্যে পড়তে হতে পারে বলে জানানো হয়েছে।
গত ১৩ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত রেজিস্ট্রেশনের দিন ধার্য করা হয়েছিল। পরে জানানো হয়, লেট ফি দিয়ে ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত রেজিস্ট্রেশন করা যাবে। সেই দিনও আসন্ন। তাই এবার প্রধান শিক্ষকদের এই দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। ৩১ ডিসেম্বরের পর পড়ুয়ারা আর কোনও রেজিস্ট্রেশন জমা দিতে পারবেন না। কিন্তু ঠিক কী কারণে স্ট্যাম্প পেপারে লিখে জানাতে হবে পর্ষদকে? এর উত্তরে পর্ষদের তরফে জানানো হয়েছে, এই রেজিস্ট্রেশন মাধ্যমিকের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রক্রিয়া। এখন কোভিড পরবর্তীকালে নবম শ্রেণীতে এসে বহু ছাত্র দলছুট বা স্কুল ত্যাগ করেছেন। এই প্রবণতা রুখতে প্রধান শিক্ষকদের বাড়তি দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।
আর মাত্র এক মাস। ২০২৪ সালে ২ ফেব্রুয়ারি থেকে মাধ্যমিক পরীক্ষা শুরু হবে। আর শেষ হবে ১২ ফেব্রুয়ারি। এবার মাধ্যমিকের নিরাপত্তা নিয়ে আরও নড়েচড়ে বসল মধ্যশিক্ষা পর্ষদ। কড়াকড়ি করা হচ্ছে মাধ্যমিক পরীক্ষার নিরাপত্তা। অর্থাৎ আঁটোসাঁটো নিরাপত্তায় এবার পরীক্ষার্থীদের মাধ্যমিক পরীক্ষা দিতে হবে। এই নিরাপত্তার মধ্যে রয়েছে সিসিটিভি। এই সিসিটিভি ঘোরাটোপে এবার মাধ্যমিক পরীক্ষা দিতে হবে। সেই ফুটেজ সংরক্ষণ করে রাখতে হবে। এবার পরীক্ষা কেন্দ্রগুলিকে শুক্রবার এমনই চিঠি দিল মধ্যশিক্ষা পর্ষদ। যা নিয়ে জোর আলোচনা শুরু হয়েছে।
পরীক্ষা কেন্দ্রগুলিকে শুক্রবার চিঠি দিয়ে পর্ষদ জানিয়েছে, প্রত্যেকদিনের সিসিটিভি ফুটেজ সংরক্ষণ করতে হবে। দেখতে হবে যাতে সিসিটিভিগুলি কাজ করে। কোনও কারণে সিসিটিভিরগুলির সমস্যা হলে তার ব্যাকআপ রাখতে হবে। কোনও সমস্যা হলে আগে থেকে সিসিটিভি গুলি ঠিক করতে হবে। পর্ষদ জানিয়ে দিয়েছে, সিসিটিভি ফুটেজের সংরক্ষণগুলি সংশ্লিষ্ট পরীক্ষা কেন্দ্রগুলির প্রধানের কাছেই পরীক্ষার ফল প্রকাশ না হওয়া পর্যন্ত রাখতে হবে। সিসিটিভি ফুটেজ নষ্ট হলে দায় নিতে হবে সংশ্লিষ্ট পরীক্ষা কেন্দ্রের প্রধান শিক্ষককে।
উল্লেখ্য, বেলা ১১ টা ৪৫ থেকে বিকেল ৩ টে পর্যন্ত চলবে মাধ্যমিক পরীক্ষা। পর্ষদের এই নির্দেশ মানা হচ্ছে কিনা, তা খতিয়ে দেখতে পর্ষদের পর্যবেক্ষকরা সব পরীক্ষাকেন্দ্রে যাবেন। পরীক্ষাকেন্দ্রের যাবতীয় পরিস্থিতি খুঁটিনাটি সরেজমিনে খতিয়ে দেখে তাঁরা একটি রিপোর্ট পর্ষদের কাছে জমা দেবেন। কোনও ভাবেই যাতে প্রশ্নপত্র ফাঁস না হয়, সে ব্যাপারে এ বার অনেক আগে থেকেই কড়া অবস্থান নিতে শুরু করেছে পর্ষদ। তাই সিসিটিভি ক্যামেরা বসিয়ে নিজেদের দায় শেষ করতে নারাজ পর্ষদের কর্তারা।
নতুন নির্দেশে আরও বলা হয়েছে, কোনও পরীক্ষার্থী নির্দিষ্ট সময়সীমা শেষ হওয়ার আগে পরীক্ষা শেষ হয়ে গেলেও প্রশ্নপত্র নিয়ে বাড়ি যেতে পারবে না। পরীক্ষা শেষ হওয়া পর্যন্ত সংশ্লিষ্ট পরীক্ষার্থী পরীক্ষাকেন্দ্রের বাইরে যেতে পারবে না। তাই পরীক্ষা শেষ না হওয়া পর্যন্ত কোনও পরীক্ষার্থী প্রশ্নপত্র পরীক্ষাকেন্দ্রের বাইরে নিয়ে যেতে পারবে না।
এবার রাজ্যে ২০১৬ সালের SLST- তে চাকরি পাওয়া শিক্ষকদের তালিকা তৈরি করতে নির্দেশ দিল রাজ্যের শিক্ষা দফতর। পাশাপাশি ২০১৬-র RLST-তে চাকরি পাওয়া গ্রুপ সি এবং গ্রুপ ডি-তে যাঁরা চাকরি করছেন, তাঁদের তালিকাও প্রস্তুত করতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে শিক্ষা দফতরের তরফে। এই বিষয়ে প্রতিটি জেলার ডিআইকে বিজ্ঞপ্তি পাঠাল SSC। ওই বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে প্রতিটি প্রধান শিক্ষকের কাছে বিজ্ঞপ্তি পাঠিয়ে, তাঁদের স্কুলে কতজন ২০১৬-তে পাওয়া চাকুরিরত রয়েছেন তার তালিকা প্রস্তুত করতে। পাশাপাশি যাঁরা স্কুলে থাকবেন না, তাঁদের বাড়িতেই পাঠাতে হবে এই বিজ্ঞপ্তি, এমনটাই নির্দেশ শিক্ষা দফতরের।
৯ ডিসেম্বরের মধ্যে প্রতিটি স্কুলের প্রধান শিক্ষককে, ২০১৬-তে চাকরি পাওয়া শিক্ষক, শিক্ষিকা, শিক্ষাকর্মীর তালিকা প্রস্তুত করতে নির্দেশ দিয়েছিল রাজ্য শিক্ষা দফতর। এছাড়াও সোমবার অর্থাৎ ১১ ডিসেম্বরের মধ্যে প্রত্যেক প্রধান শিক্ষককে সংশ্লিষ্ট SI অফিস থেকে অন্যান্য নথি-সহ শিক্ষা দফতর দ্বারা জারি করা নোটিশ সংগ্রহ করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ১২ ডিসেম্বরের মধ্যে প্রতিটি স্কুল এবং সংশ্লিষ্ট অফিসকে তাদের নোটিস বোর্ডে ওই 'পাবলিক নোটিস' প্রদর্শন করতেও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
পাশাপাশি ওই দিনই সংশ্লিষ্ট কর্মচারীদের অন্যান্য নথির সাথে নোটিশ প্রদান করবেন প্রধান শিক্ষক, এমনটাই নিদের্শ রাজ্য শিক্ষা দফতরের। পাশাপাশি ওই সংশ্লিষ্ট কর্মচারী বা শিক্ষককে ই-মেলও করা হবে এবং প্রমাণও রাখা হবে ওই বিজ্ঞপ্তির, এমনটাই সূত্রের খবর। সবশেষে আগামী ১৪ ডিসেম্বরের মধ্যে ফরওয়ার্ডিং লেটার-সহ ওই বিজ্ঞপ্তি পরিষেবার প্রতিবেদন জমা দিতে হবে সংশ্লিষ্ট এসআই অফিসে। তবে এক্ষেত্রে ২০১৬-র SLST এবং RLST-তে চাকরি পাওয়া ব্যক্তির মধ্যে কেউ পদত্যাগ করে থাকলে বা কারও মৃত্যু হয়ে থাকলে সেক্ষেত্রে তাঁদের ওই বিজ্ঞপ্তি পাঠানোর জন্য বিবেচনা করা হবে না বলেই সূত্রের খবর।
তবে এই তালিকা প্রকাশের বিজ্ঞপ্তির বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে বিবেচনা করার জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছে রাজ্য শিক্ষা দফতরের তরফে।
ফের সুপ্রিম কোর্টে পিছিয়ে গেল অনুব্রত মণ্ডলের (Anubrata Mondal) জামিনের মামলা। তবে কি নতুন বছরেও জেলেই থাকতে হবে কেষ্টকে! জানা গিয়েছে, অনুব্রতর বিরুদ্ধে বিস্ফোরক অভিযোগ উঠেছে। সিবিআইয়ের দাবি, অনুব্রত মণ্ডল প্রভাবশালী, জামিন পেলেই গোটা তদন্ত প্রভাবিত করার চেষ্টা করবেন। ফলে শীর্ষ আদালতের পর্যবেক্ষণ, অনুব্রতর বিরুদ্ধে চার্জ গঠন করা হোক, তারপর ভেবে দেখবেন তাঁরা। এই মামলার পরবর্তী শুনানি ২২ জানুয়ারি।
সুপ্রিম কোর্টের শুনানিতে প্রশ্ন তুললেন গরু পাচার কাণ্ডের অভিযুক্ত বীরভূমের তৃণমূল নেতা অনুব্রত মণ্ডল। তাঁর হয়ে সওয়াল করেছেন বর্ষীয়ান আইনজীবী মুকুল রোহাতগি। তিনি বলেন, "গরু পাচার কাণ্ডের মূল অভিযুক্ত এনামূল হক জামিন পেয়েছে, বিএসএফ আধিকারিক সতীশ কুমারও জামিন পেয়েছে। আমি গোটা কাণ্ডের মাস্টারমাইন্ড নই, তারপরও আমাকে কেন আটকে রাখা হচ্ছে জেলে?"
অন্যদিকে অনুব্রতর জামিনের আবেদনের তীব্র বিরোধিতা করলেন ইডি, সিবিআইয়ের আইনজীবী অতিরিক্ত সলিসিটর জেনারেল এসভি রাজু। তাঁর হিসেবরক্ষক মনীশ কোঠারির দেওয়া বয়ান উল্লেখ করা হয়েছে আদালতে। অনুব্রত মণ্ডল প্রভাবশালী, জামিন পেলেই গোটা তদন্ত প্রভাবিত করার চেষ্টা করবেন, অভিযোগ রাজুর।
শীর্ষ আদালতের পর্যবেক্ষণ, 'অনুব্রতর বিরুদ্ধে চার্জ গঠন করা হোক, তারপর ভেবে দেখবো আমরা।' জানুয়ারির তৃতীয় সপ্তাহে এই মামলার পরবর্তী শুনানি হবে শীর্ষ আদালতে। এক সপ্তাহের মধ্যে অনুব্রতর বিরুদ্ধে সিবিআই-এর দেওয়া সমস্ত চার্জশিট আদালতে জমা করার নির্দেশ শীর্ষ আদালতের।