এবার হাওড়া (Howrah) স্টেশন থেকে উদ্ধার ১১ লক্ষ টাকা নগদ ও ৩ লক্ষ টাকার সোনার জিনিস। যার মোট বাজারমূল্য প্রায় ১৪ লক্ষ টাকা। আরপিএফ (RPF) সূত্রে খবর, মঙ্গলবার আরপিএফের একটি দল হাওড়া স্টেশনের ৮ নম্বর প্ল্যাটফর্মের শেষ প্রান্তে নজরদারি চালাচ্ছিলেন। সেই সময় তাঁরা এক ব্যক্তিকে সন্দেহজনক অবস্থায় ঘোরাফেরা করতে দেখেন। আরপিএফ জওয়ানরা তাঁকে তখনই আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করেন। তল্লাশি চললে, তাঁর ব্যাগ খুলতেই বেড়িয়ে আসে বিপুল পরিমাণে নগদ টাকা ও কিছু সোনার জিনিস। এরপরই ওই ব্যক্তিকে তাঁর যাবতীয় জিনিসের কাগজপত্র দেখাতে বলা হলে সে কোনওরকম বৈধ কাগজপত্র দেখাতে পারেননি। এরপরই এই বিষয়ে কলকাতার আয়কর অফিসের আধিকারিকদের খবর দেওয়া হয়।
আরপিএফ সূত্রে আরও জানা যায়, ধৃত ওই ব্যক্তির নাম ভিকি কুমার। তিনি ঝাড়খণ্ডের বাসিন্দা। বুধবার আরপিএফ ওই ব্যক্তিকে এবং উদ্ধার হওয়া যাবতীয় টাকা ও সোনা তুলে দেয় আয়কর আধিকারিকদের হাতে।
ফের উদ্ধার 'টাকার পাহাড়।' তবে এবার বাংলা নয়, উদ্ধার করা হয়েছে নয়ডা (Noida) থেকে। নয়ডা পুলিস বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় সেক্টর ৫৮ এলাকায় একটি গাড়ি থেকে কোটি কোটি টাকা উদ্ধার করা হয়েছে। ঘটনায় আটজনকে গ্রেফতার (Arrest) করেছে এবং তল্লাশি অভিযান চালিয়ে গাড়িতে ২ কোটি টাকা উদ্ধার করেছে। কয়েক মাস আগে ঝাড়খণ্ডের তিন বিধায়কের গাড়ি থেকেও নগদ টাকা উদ্ধার করে হাওড়া পুলিস। নয়ডার ঘটনা সেই স্মৃতিকেই উসকে দিয়েছে।
গোপন সূত্রে খবর পেয়ে পুলিস এই অভিযানে নামে। সেক্টর ৫৮ থানার পুলিস খবর পেয়েছিল, বিলাসবহুল গাড়িতে করে কয়েকজন ব্যক্তি হাওয়ালা ব্যবসায় লেনদেন চালানোর জন্য সেক্টর-৫৫ তে আসছেন। সেই মতো সাবধান করা হয় সেক্টর-৫৫ থানার পুলিসকে। অভিযান চালিয়ে আট জনকে পাকড়াও করা হয়েছে। তাঁদের গাড়ি থেকে নগদ ২ কোটিরও বেশি টাকা বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। এছাড়া বিভিন্ন সরকারি দফতরের স্ট্যাম্পও পাওয়া গিয়েছে।
টাকা উদ্ধারের পর ঘটনাস্থলে পৌঁছেছে আয়কর দফতর। নয়ডা পুলিস জানিয়েছে, অভিযুক্তদের জিজ্ঞাসাবাদ করছে আইটি বিভাগ। এর সঙ্গে কারা কারা জড়িত রয়েছে তাও তদন্ত করে দেখা হচ্ছে বলে জানিয়েছে পুলিস। উল্লেখ্য পুলিসের দাবি, হাওয়ালা চক্রের সঙ্গে যুক্ত ধৃতরা। হাওয়ালা ব্যবসার জন্যই ওই নগদ টাকা ধৃতরা নিয়ে যাচ্ছিলেন।
শহর কলকাতায় (Kolkata) শুক্রবার সকাল থেকেই ইডির তল্লাসি শুরু হয়েছে। এরই মধ্যে ফের শহরে অস্ত্র উদ্ধার। ৪টি আগ্নেয়াস্ত্র (firearms), ১০০ রাউন্ড গুলি (bullet)-সহ এক ব্যক্তিকে গ্রেফতার (arrest) করেছে কলকাতা পুলিসের স্পেশাল টাস্ক ফোর্স। সূত্রের খবর, ধৃতের কাছ থেকে বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে ১৬ হাজার নগদ টাকাও। ধৃতকে শুক্রবারই আদালতে হাজির করানো হয়েছে।
পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, ধৃত ব্যক্তির নাম জয় চৌধুরী। শুক্রবার সকাল ১০টা ৫৫ মিনিট নাগাদ তাকে গ্রেফতার করে এসটিএফ। পাশাপাশি জানা যায়, উদ্ধার হওয়া আগ্নেয়াস্ত্রগুলির মধ্যে রয়েছে ৩টি সেমি অটোমেটিক পিস্তল ও একটি দেশি পিস্তল। ধৃত ব্যক্তির সঙ্গে আরও কে বা কারা জড়িত সেই বিষয়ে তদন্তে শুরু করেছে এসটিএফ।
দিন কয়েক আগে শাসনের তৃণমূল নেতার বাড়ি থেকে বিপুল পরিমাণ অস্ত্র উদ্ধার করেছিল এই স্পেশাল টাস্ক ফোর্সই। সেই অস্ত্রভাণ্ডারে ছিল পিস্তল, লং রাইফেল গোলাবারুদ। বিরোধীদের অভিযোগ, পঞ্চায়েত ভোটের আগে রাজ্যে সন্ত্রাসের পরিবেশ তৈরি করতেই জেলায় জেলায় এভাবে মজুত হচ্ছে অস্ত্র।
ই-নাগেটস গেমিং অ্যাপ-কাণ্ডে (Gaming App Scam) গ্রেফতার আরও এক। বৃহস্পতিবার উলটোডাঙা থেকে ইডির (ED) হাতে গ্রেফতার আমির খান ঘনিষ্ঠ রুমেন আগরওয়াল। এই আমির খানের গার্ডেনরিচের বাড়ি থেকেই একই মামলায় সাড়ে ১৭ কোটি টাকা (Cash Recover) উদ্ধার করেছিল ইডি। পরে গাজিয়াবাদ থেকে তাঁকে গ্রেফতার করেছে কলকাতা পুলিস। ঘটনাচক্রে উলটোডাঙার (Ultadanga Raid) রুমেন আগরওয়াল আমির খানের বন্ধু। বুধবার তাঁর বাড়িতে তল্লাশি চালিয়ে ১ কোটি ৬০ লক্ষ টাকা নগদ, প্রায় ৭ কোটি টাকার বিটকয়েন উদ্ধার করেছে কেন্দ্রীয় সংস্থা। ইডি গোয়েন্দাদের অনুমান হাওয়ালার মাধ্যমে টাকা খাটাতেন আগরওয়ালরা। যে বাড়িতে বুধবার রাতভর তল্লাশি চলেছে, সেই বাড়ির মালিক উমেশ আগরওয়াল।
গত মাসেই আমির খানের গার্ডেনরিচের বাড়ি থেকে সাড়ে ১৭ কোটি টাকা উদ্ধার করে ইডি। পার্থ-অর্পিতা-কাণ্ডের পর সেই টাকা উদ্ধার ফের একবার নাড়িয়ে দিয়েছিল শহর কলকাতাকে। যদিও অভিযুক্তকে পরিবহণ ব্যবসায়ী হিসেবে চিনতেন স্থানীয়রা। সেই ব্যবসায়ীর বাড়ির খাটের তলায় কীভাবে এত নগদ? এই আগরওয়ালদের গার্মেন্টস ব্যবসা রয়েছে। জানতে পেরেছে ইডি। এমনকি রিয়েল এস্টেটে বিনিয়োগের খবরও সূত্রের মাধ্যমে পেয়েছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা।
সেই তদন্তে নামে ইডি। তাঁদের দাবি, গেমিং অ্যাপ প্রতারণা চক্র থেকে এই নগদ হাতে পেয়েছিলেন আমির খান। যদিও ইডি তল্লাশির সময় পলাতক ছিলেন মূল অভিযুক্ত। পরে কলকাতা পুলিস আমির খানকে গাজিয়াবাদ থেকে গ্রেফতার করে।
এবার নৈহাটি স্টেশনে (Naihati Station) এক সন্দেহভাজনের ব্যাগ থেকে প্রায় ৬০ লক্ষ (Cash Seized) টাকা বাজেয়াপ্ত। যদিও টাকার আসল পরিমাণ নিয়ে ধন্দে তদন্তকারীরা। তাঁকে আটক করেছে নৈহাটি জিআরপি (GRP)। খবর দেওয়া হয়েছে, আয়কর দফতর এবং দুর্নীতি দমন শাখাকে। সূত্রের খবর, টাকা গুণতে মেশিনও এনেছে জিআরপি। এমনটাই নৈহাটি জিআরপি সূত্রে খবর। জানা গিয়েছে, মঙ্গলবার রাতে আটক এই যুবক টিটাগড়ের (Titagarh) বাসিন্দা। বারবার বয়ান বদলানোয় টাকার উৎস নিয়ে ধন্দে তদন্তকারীরা।
সূত্রের খবর, নৈহাটি স্টেশনে টাকা উদ্ধারের ঘটনায় তদন্তকারী অফিসারদের বারেবারে বিভ্রান্ত করছে ধৃত যুবক। জেরায় সন্দেহভাজন যুবক জানিয়েছে, মাঝেমাঝে সে এরকম ভাবে নৈহাটিতে টাকা নিয়ে আসে। তবে কার কাছে আসে, তা বলতে নারাজ অভিযুক্ত অভিষেক সোনকার।
নৈহাটি জিআরপির ওসি জানান, তাঁদের স্টেশনজুড়ে নাকা চেকিং চলছিল। আপ কল্যাণী লোকাল থেকে অভিষেক ব্যাগ নিয়ে নামতেই আমাদের সন্দেহ হয়। অন্য কাউকে ব্যাগ হস্তান্তরের এর জন্য ফোন করে অভিষেক। দুই ক্যারিয়ারের সংকেত ছিল, মোবাইলে হাফ দশ টাকার নোটের ছবি দেখালেই টাকার ব্যাগ হস্তান্তার হবে। আর সেই মুহুর্তেই পুলিস বমাল ধরে ফেলে। ব্যাগ তল্লাশি চালাতেই বেড়িয়ে পড়ে টাকার বান্ডিল।
এরপরই তাঁকে দফায় দফায় জিজ্ঞাসাবাদ করেও টাকার উৎসের খোজ এখন পায়নি ইনকাম ট্যাক্স। ব্যাগের মধ্যে টাকার পরিমাণ কত, তা এখন স্পষ্ট নয় পুলিশের কাছে। তবে অনুমান ৬০ লক্ষের মতো রয়েছে সন্দেহভাজনের ব্যাগে। ক্যাশ ভেন্ডিং মেশিনে টাকার পরিমান আরো বাড়তে পারে বলে পুলিসের অনুমান।
ফের খারিজ পার্থ চট্টোপাধ্যায় (Partha Chatterjee) এবং অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের (Arpita Mukherjee) জামিনের (Bail Plea) আর্জি। ৩১ অক্টোবর পর্যন্ত এই দু'জনের জেল হেফাজতের (Jail Custody) নির্দেশ দিয়েছে আদালত। এদিন ভার্চুয়ালি নিয়োগ-কাণ্ডে ইডির (ED) হাতে গ্রেফতার পার্থ-অর্পিতাকে আদালতে পেশ করা হয়। পার্থর আইনজীবী বয়সের দোহাই দিয়ে জামিনের আবেদন করলেও, এই বিষয়ে নীরব ছিলেন অর্পিতার আইনজীবী। প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রীর আইনজীবী জানান, এতদিন হেফাজতে রয়েছে পার্থ চট্টোপাধ্যায়। কতবার তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়ছে? পার্থ চট্টোপাধ্যায় তদন্তের সবক্ষেত্রে সাহায্য করেছেন। তারপরেও জামিনে বাধা কোথায়?
প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রীর আইনজীবী বলেন, চার্জশিট জমা পড়েছে। কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে তৈরি বাগ কমিটির রিপোর্টে নাম ছিল পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের। পরে টাকা উদ্ধার হল, সেখানেও নাম উঠল পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের। কিন্তু কোথাও উপযুক্ত প্রমাণ নেই।' তিনি জানান, পার্থ চট্টোপাধ্যায় একা, মেডিক্যাল সাপোর্ট পাচ্ছেন না। ৬৫ দিন ধরে জেলে রয়েছেন।
এই যুক্তির পাল্টা ইডির আইনজীবী জানান, নিয়োগ দুর্নীতির তদন্তে আর্থিক তছরূপের পরিমাণ ১০০ কোটি ছাড়িয়ে দেড়শো কোটিতে পৌঁছেছে। হাজার হাজার ছেলেমেয়ে কাঁদছে। বাবলি চ্যাটার্জি ফাউন্ডেশনের খোঁজ মিলেছে। ওই ফাউন্ডেশনের সঙ্গে পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের জামাই যুক্ত। ট্রাস্টি হিসেবে রয়েছেন। পাটুলিতে ১৮ একর জমির খোঁজ মিলেছে। পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের পরিবারের সদস্যদের নাম আছে। আরও দু'টো কোম্পানির খোঁজ পাওয়া গিয়েছে। তদন্তের স্বার্থে নাম প্রকাশ করা হচ্ছে না। এখনও পর্যন্ত পার্থ চট্টোপাধ্যায়, অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের নামে একক এবং যৌথভাবে ১০০-র উপর ব্যাংক অ্যাকাউন্টের খোঁজ পেয়েছে ইডি।
এদিকে, অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের আইনজীবী জানান, আমি আজ জামিনের আবেদন করছি না। আদালতের উপর ভরসা রাখছি। তবে আমি তদন্তকারী সংস্থার হেফাজতের বিরোধিতা করছি। বিচারক পাল্টা বলেন, 'হেফাজতের বিরোধিতা করতে হলে লিখিত আবেদন করতে হবে। অর্পিতার আইনজীবী এদিন বলেন, 'আমার মক্কেল মায়ের সঙ্গে কথা বলতে চান। জেলারকে বলা হলেও কোনও উত্তর আসেনি। অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের মা বৃদ্ধা। জেলের নিজস্ব যোগাযোগ ব্যবস্থার মাধ্যমে কথা বলতে চান আমার মক্কেল।'
গার্ডেনরিচে (Gradenreach ED) পরিবহণ ব্যবসায়ীর বাড়ি থেকে প্রায় ১৮ কোটি (cash recovery) টাকা উদ্ধারের ঘটনায় ধৃত মূল অভিযুক্ত। আমির খান নামে ওই অভিযুক্তকে গাজিয়াবাদ (Ghaziabad) থেকে গ্রেফতার করেছে কলকাতা পুলিস। শনিবার তাঁকে ব্যাঙ্কশাল কোর্টে তোলা হয়েছিল। এদিকে, পার্থ-অর্পিতার ঘটনার পর আমির খানের বাড়ি থেকেও প্রায় ১৮ কোটি টাকা নগদ বাজেয়াপ্ত করেছিল ইডি। ট্রাঙ্কে ভরে সেই টাকা পাঠানো হয়েছিল এসবিআই ব্যাঙ্কে। কিন্তু এই ইডি অভিযানের সময় থেকেই নিখোঁজ ছিলেন আমির। অনলাইন গেমিংয়ের ফাঁদ পেতে প্রতারণা চক্র খুলেছিলেন পরিবহণ ব্যবসায়ী আমির। প্রাথমিক তদন্তে এমনটাই জানতে পেরেছে ইডি। তদন্তকারীদের দাবি, গা ঢাকা দেওয়ার পর একাধিকবার সিম বদলিয়ে পুলিসকে ধোঁকা দেওয়ার চেষ্টা করেছেন আমিরত খান। ইতিমধ্যে মোমিনপুরের বাসিন্দা জুনেইদ নামে এক ব্যক্তির যোগসূত্রে অর্থ উদ্ধার-কাণ্ডে উঠে এসেছে। তবে এই ঘটনায় পুলিসের নিষ্ক্রিয়তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। কারণ একটি ব্যাঙ্ক এক বছর আগে পার্ক স্ট্রিট থানায় প্রতারণার অভিযোগ জানালেও কোনও পদক্ষেপ হয়নি। এমনকি গার্ডেনরিচ থানার ঢিল ছোড়া দূরত্বে মূল অভিযুক্তর বাড়ি। যে বাড়ি থেকে ১৭ কোটি ৩২ লক্ষ টাকা উদ্ধার করে ইডি। কীভাবে এই বিপুল নগদ সম্পর্কে অন্ধকারে ছিল পুলিস? এই প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে।
যদিও কেন্দ্রীয় এই সংস্থা নয়, বরং কলকাতা পুলিসের গোয়েন্দা শাখা। অপরদিকে, ১০ সেপ্টেম্বর গার্ডেনরিচে পরিবহণ ব্যবসায়ী নিসার খানের ছেলে আমির খানের বাড়িতে তল্লাশি চালিয়ে উদ্ধার করা হয়েছে ১৭ কোটি ৩২ লাখ টাকা। ইডির কাছে আসা তথ্য অনুযায়ী, মোট ১৯৭টি অ্যাকাউন্টে গেমিং অ্যাপ থেকে তোলা টাকার লেনদেন হত। ভিনরাজ্যের বহু বাসিন্দাকে টাকা দিয়ে তাঁদের অ্যাকাউন্ট ভাড়া করার তথ্যও সামনে এসেছে। যাঁদের নামে এই অ্যাকাউন্টগুলি ভাড়া নেওয়া হয়েছিল তাঁদের সন্ধান এই মুহূর্তে চালাচ্ছে ইডি।
প্রাথমিকভাবে ইডি পাঁচটি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের সন্ধান পেয়েছে। যেখানে রাখা হয় প্রায় ৪৮ কোটি টাকা। এই বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য পেতে সোমবার অ্যাকাউন্টগুলি ও তার নথি পরীক্ষা করবেন ইডি আধিকারিকরা। এই গেমিং অ্যাপ থেকে তোলা কালো টাকা সাদা করতে বাবার পরিবহণ ব্যবসায় কি বিনিয়োগ করেছিল আমির খান? সেই সম্ভাবনাও উড়িয়ে দিচ্ছেনা ইডি আধিকারিকরা। তাই তদন্তকারীদের রাডারে রয়েছে এই পরিবহণ ব্যবসাও।
প্রসঙ্গত, অভিযুক্ত আমিরের বিরুদ্ধে রয়েছে ৪৭ কোটি টাকা তছরূপের অভিযোগ। জানা যায়, পার্কস্ট্রিট থানায় আগেই তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ করে একটি ব্যাঙ্ক। অভিযোগ অনুসারে, সাড়ে ১৭ কোটি টাকা উদ্ধার হয়েছে ইতিমধ্যে। তাহলে বাকি সাড়ে ২৯ কোটি টাকা কোথায়? ব্যাঙ্ক থেকে কি সব টাকা তুলে নিয়েছিল আমির? সব টাকা তুলে না নিলে বাকি টাকা কোথায়? তাহলে কি সেই টাকা নিয়ে পালিয়েছে আমির? প্রশ্নগুলির উত্তর খুঁজছে ইডি।
নিয়োগ দুর্নীতি কাণ্ডের তদন্তে ৫৮ দিনের মাথায় পার্থ-অর্পিতার বিরুদ্ধে চার্জশিট জমা ইডির। জানা গিয়েছে, নিয়োগ দুর্নীতি এবং অর্পিতার দুই ফ্ল্যাট মিলিয়ে ৫০ কোটি টাকা উদ্ধারের ঘটনায় রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রীকে মূল অভিযুক্ত হিসেবে দেখানো হয়েছে। নাম রয়েছে প্রাক্তন মন্ত্রী ঘনিষ্ঠ অর্পিতা মুখোপাধ্যায়েরও। এই দুজনের নামে ছয়টি সংস্থার হদিশ পেয়েছে কেন্দ্রীয় সংস্থা। এই দু'জনের প্রায় ১০৩ কোটি টাকার সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত হয়েছে। সোমবার ব্যাঙ্কশাল কোর্টে জমা করা চার্জশিটে দাবি করেছে ইডি। ১৭২ পাতার এই চার্জশিটে ৪২ জন সাক্ষীর নাম উল্লেখ করেছে ইডি।
ইতিমধ্যে ২২ জুলাই দিনভর পার্থ চট্টোপাধ্যায় এবং অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের বাড়িতে তল্লাশি চালায় ইডি। এই তদন্তে অর্পিতার টালিগঞ্জ এবং বেলঘরিয়ার ফ্ল্যাট থেকে উদ্ধার হয়েছে ৫০ কোটি টাকা নগদ-সহ সোনার গয়না এবং বিদেশি মুদ্রা। গত প্রায় দু'মাস তদন্ত চালিয়ে পার্থ এবং অর্পিতার একাধিক সম্পত্তির হদিশ পেয়েছে ইডি। কয়েক কোটি টাকার এলআইসি পেপার বাজেয়াপ্ত করেছে কেন্দ্রীয় এই তদন্তকারী সংস্থা। নিয়োগ দুর্নীতির টাকায় এই সম্পত্তি কিনা খতিয়ে দেখেই চার্জশিট জমা ইডির।
এদিকে, ২১ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের সিবিআই হেফাজত। নিয়োগ দুর্নীতি-কাণ্ডে এই কেন্দ্রীয় সংস্থার হাতে ইতিমধ্যে তিন প্রাক্তন শিক্ষাকর্তা গ্রেফতার হয়েছেন। তাঁদের সঙ্গে প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রীকে মুখোমুখি বসিয়ে জেরা করতেই পার্থকে নিজেদের হেফাজতে নিয়েছে সিবিআই।
অপরদিকে, গত দু'মাসে একাধিকবার অসুস্থতার যুক্তি দেখিয়ে জামিনের আবেদন করেন পার্থ চট্টোপাধ্যায় কিন্তু প্রতিবার সেই আবেদন খারিজ করে দিয়েছে আদালত।
প্রসূন গুপ্ত: একসময়, সেই ৭০-এর খবরের কাগজে বিজ্ঞাপন হতো নানা জামা কাপড় থেকে জুতো। এছাড়াও পাওয়া যেত বাড়ির প্রয়োজনীয় দ্রব্যের প্রচার। এই বিজ্ঞাপন কিন্তু চলেছিল দীর্ঘদিন ধরে। তখন মানুষের হাতে টাকা ছিল, বিভিন্ন সংস্থা কর্মীদের পুজো বোনাস দিতো, যা ছিল বাধ্যতামূলক। এ রাজ্যে যেমন দুর্গাপূজাকে কেন্দ্র করে বিক্রিবাট্টা হতো তেমনই অন্য প্রদেশে দীপাবলিকে কেন্দ্র করে একই ঘটনা ঘটতো। পুজোর অন্তত একমাস আগে থেকেই কেনাকাটা শুরু হয়ে যেত। শুধুমাত্র নিজের পরিবারের জন্য নয়, আত্মীয়স্বজনের জন্যও কাপড়জামা কেনা হতো। তখনকার দিনে বাজারে জামাকাপড় থেকে জুতোর দোকানে প্রবল ভিড় এবং প্রায় লাইন দিয়ে নিজেদের পছন্দের সামগ্রী কিন্তু বঙ্গ সন্তানরা। রবি ঠাকুরের কবিতাতেও এর বিবরণ পাওয়া যায়। কিন্তু প্রচার করে বিক্রিবাট্টার জমানা আসে ওই ৬০ ৭০-এর দশকের মধ্যে।
এই সেদিনও পুজোর বাজার হতো ধুমধাম করেই। এই বিক্রি কমতে শুরু হয়েছে বছর ছয়েক ধরে। ক্রমাগত দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধিতে মানুষ দিশেহারা। খাবে না, বাজার করবে? এরই মধ্যে করোনার দাপট সারা বিশ্বের অর্থনীতির বাজারকে অসহায় করে দিয়েছে। গত ৩ বছর ধরে হালহকিকত খুব খারাপ। লক্ষ লক্ষ মানুষ কর্মহীন। হাতে টাকা নেই তাই বিকিকিনিতে মন নেই।
বিশ্ববাজারে এক্সপোর্ট এবং পাল্লা দিয়ে ইমপোর্ট নিদারুন কমে গিয়েছে। আন্তঃদেশীয় বাজারে কেনার মানুষ ৫ থেকে ১০ শতাংশ। উৎপাদন বাড়ানোর প্রশ্ন নেই, যেহেতু গ্রাহক বাড়েনি। যে কারণে গত দু'বছরে চাকরি খুইয়েছে বহু মানুষ, ব্যতিক্রম নয় এই বাংলাও।
দরিদ্র মানুষের ক্রয় ক্ষমতা চলে গেলে অর্থনীতিতে ধাক্কা আসবেই। এবার নিদারুন ভাবে বিক্রি কমে যাওয়ার করুণ দৃশ্য লোকের চোখে পড়ছে। প্রত্যেক জিনিসের দাম অন্তত ১৫ থেকে ২৫ শতাংশ বেড়েছে পক্ষান্তরে মানুষের উপার্জন বাড়েনি। এই অভাব আজ মধ্যবিত্তকে ছুঁয়ে ফেলেছে। এর থেকে মুক্তি কোথায়?
গাজোলের ঘাটশোল (Maldaha) এলাকায় ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়কের পাশেই জয়প্রকাশ সাহা নামে মৎস্য ব্যবসায়ীর বাড়িতে সিআইডির (CID) হানা। যদিও প্রতিবেশীদের কাছ থেকে শোনা যাচ্ছে যে এই ব্যক্তির আর্থিক পরিস্থিতি খুব একটা ভালো নয়। কিন্তু তা সত্যেও তার বাড়িতে হানা দিয়ে সম্ভাব্য প্রায় কোটি টাকা উদ্ধার হয়েছে বলেই স্থানীয় সূত্রে খবর। টাকা গোনার কাজ এখনও চলছে বলেই জানা গিয়েছে।
সকাল ১০টা থেকে উদ্ধার হওয়া ১০০,২০০ এবং ৫০০ টাকার নোট গুনছেন তদন্তকারীরা। গোটা অভিযান চলাকালীন বহিরাগতদের প্রবেশ নিষিদ্ধ। আনা হয়েছে টাকা গোনার মেশিন, মোতায়েন বিশাল পুলিস বাহিনী। ঘটনাস্থলজুড়ে কৌতুহলী মানুষের ভিড়। পাড়া প্রতিবেশিদের মতে এত টাকা এলোই বা কোথা থেকে, ব্যবসায়ীর অবস্থা তো কোনওদিন ভালো ছিল না। এক ছোট মাছের ব্যবসায়ী মাত্র। অর্থের উৎস খতিয়ে দেখুক সিআইডি, এমনটাই জানিয়েছে স্থানীয়রা।
ব্যবসায়ীর আত্মীয় বছর দেড়েক আগে দক্ষিণ দিনাজপুর থেকে মাদক মামলায় গ্রেফতার হয়েছিলেন সেই সূত্র ধরেই এই অভিযান সূত্রের খবর পাওয়া সম্ভব হয়। চাঞ্চল্য সাধারণ মানুষের মধ্যে। রাজনৈতিক কোনো যোগসূত্র আছে কি না, তা এখনও জানা যায়নি।
গত একমাসে লক্ষ-কোটি টাকা উদ্ধারে একাধিকবার খবরের শিরোনামে এসেছে কলকাতা-সহ বাংলা। এবারও তার অন্যথা হল না। দুই সন্দেহভাজন যুবকের থেকে হাওড়া স্টেশনে উদ্ধার সাড়ে ৩৮ লক্ষ টাকা। জানা গিয়েছে, কালো ব্যাগ নিয়ে ওই দু'জনকে পরিকল্পনাহীন ভাবে ঘুরতে দেখে সন্দেহ হয় আরপিএফ-র। তাঁদের আটক করে তল্লাশি চালালেই উদ্ধার হয় ৩৮ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা। এরপরেই তাঁদের গ্রেফতার করে আয়কর দফতরকে খবর দেওয়া হয়।
জানা গিয়েছে, দুই ধৃতের মধ্যে একজনের নাম শুভম বর্মা। দু'জনের বাড়ি বিহারে। একজনের বালিয়ায়, অন্যজনের বক্সারে। ধৃতদের জেরা করে টাকার উৎস এবং বহনের কারণ জানার চেষ্টা করছে আয়কর দফতর। এই বিপুল পরিমাণ অর্থ কোথায় যাচ্ছিল, কোনও সদুত্তর পায়নি আয়কর দফতর।
ফের উদ্ধার যকের ধন। মহারাষ্ট্রে (Maharastra) আয়কর হানায় (Income Tax Department) বাজেয়াপ্ত ৩৯০ কোটির সম্পত্তি। টাকার পাশাপাশি হিরে, সোনার পাহাড়ও উদ্ধার হয়েছে। কর ফাঁকি মামলায় জালনার একটি ব্যবসায়ী গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে তদন্তে নেমে ৩৯০ কোটির বেনামি সম্পত্তির হদিশ পায় আয়কর দফতর। সেই মোতাবেক তদন্তে নেমে বেরিয়ে এল ৫৬ কোটি টাকা নগদ (Cash), ৩২ কেজি সোনা (Gold) এবং ১৪ কোটি টাকা মূল্যের হিরে-জহরত (Diamond)। বেশ কিছু সম্পত্তির নথিও বাজেয়াপ্ত (Seized) করেছে আয়কর দফতর।
জানা গিয়েছে, ওই ব্যবসায়ী গোষ্ঠীর ইস্পাত, কাপড় এবং রিয়েল এস্টেটের ব্যবসা রয়েছে। গত ১লা অগাস্ট থেকে শুরু হয় তল্লাশি। ৮ অগাস্টের মধ্যে দু’টি ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানের একাধিক ঠিকানায় হানা দিয়ে এই বিপুল পরিমাণ বেনামি সম্পদ উদ্ধার করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, মোট ২৬০ জন আয়কর কর্মী পাঁচটি দলে ভাগ হয়ে তদন্ত শুরু করেন। টাকার পাহাড় গুনে শেষ করতে প্রায় ১৩ ঘণ্টা সময় লেগে যায় বলে খবর। এ ঘটনা দেখে সম্প্রতি কলকাতায় ইডির হানার কথা মনে পড়ে যাচ্ছে অনেকের। কয়েকদিন আগে প্রাক্তন বিধায়ক পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের দুটি ফ্ল্যাট থেকে উদ্ধার হওয়া টাকা গুনতে এরকমই দীর্ঘ সময় লেগেছিল তদন্তকারীদের।