
ভোটের (polls) আগেই রাজ্য জুড়ে বিপুল পরিমাণে মাদক দ্রব্য ও নগদ টাকা উদ্ধার। উদ্ধার হয়েছ ২০ লক্ষ লিটার মদ, ১,৭০০ কেজি মাদক ও ৯৫ কোটি টাকা। ঘটনাটি ঘটেছে কর্নাটকে (Karnataka)। ফলে সীমানায় রাজ্য প্রশাসন এবং নির্বাচন দফতরকে নজরদারি বাড়ানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। কর্নাটকের চারপাশে ছ’টি রাজ্য রয়েছে। আর এই ছ’টি রাজ্যের সীমানায় ১৮৫টি চেকপোস্ট রয়েছে। আর এই সব চেকপোস্টেই কড়া নজরদারি রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
জানা গিয়েছে, ২৯ মার্চ থেকে সোমবার পর্যন্ত তল্লাশি চালিয়ে ৩০৯ কোটি টাকার জিনিস বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে কর্নাটক থেকে। মাদক দ্রব্য নগদ টাকা সহ ৭৯৪ কেজি সোনা-রুপোও উদ্ধার হয়েছে, যার বাজার মূল্য ৮০.৫৩ কোটি টাকা। এমনকি সারা রাজ্যে ৬৯ হাজার ৮২৫টি অস্ত্রশস্ত্র বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। যার মধ্যে ২০টি বন্দুকের লাইসেন্স বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে।
কর্নাটকের এই পরিস্থিতি নিয়ে বৈঠকে বসেছিলেন মুখ্য নির্বাচন কমিশনার রাজীব কুমার। ওই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন রাজ্যের মুখ্য সচিব, পুলিসের ডিরেক্টর জেনারেল, নোডাল পুলিস অফিসার, উপকূলরক্ষী বাহিনীর আধিকারিক, নার্কোটিকস কন্ট্রোল ব্যুরো, কর্নাটক এবং সংলগ্ন রাজ্যের আয়কর দফতরের আধিকারিকেরাও। ওই বৈঠকেই সীমানার চেকপোস্টগুলিতে কড়া নজরদারির কথা বলা হয়েছে। বৈঠকে আরও বলা হয়েছে, সমাজমাধ্যমেও নজরদারি চালাতে হবে, যাতে ভোট সংক্রান্ত ভুয়ো খবরের উপর নজর রাখা যায়।
বিয়ের সাত দিন পরেই গয়নাগাটি নিয়ে চম্পট নববধূর। প্রেমিকের(Love Affair) হাত ধরে স্বামীর ঘর ছেড়ে পালিয়েছেন স্ত্রী, অভিযোগ স্বামীর।উত্তরপ্রদেশের(Uttarpradesh) দেওরিয়া জেলার ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিস(Police)। জানা গিয়েছে, সাতদিন আগেই বিয়ে হয়েছিল তাঁদের। শ্বশুরবাড়ির সঙ্গে বেশ ভালোই মানিয়ে গুছিয়ে নিয়েছিলেন ওই তরুণী। বিয়ের পরে এই সাত দিন গুছিয়ে সংসারও করেছিলেন তরুণী। শুক্রবার স্বামী বাড়ি ফিরে তরুণীকে না দেখতে পেয়ে অনেক খোঁজাখুজি করলেও পাওয়া যায় না ওই তরুণীকে। কিছুক্ষণ পরে যুবক দেখেন, স্ত্রীর সঙ্গে তাঁর যাবতীয় গয়নাগাটিও গায়েব ও বেশ কিছু নগদ টাকাও পাওয়া যাচ্ছে না। এরপরই স্ত্রী এবং তাঁর প্রেমিকের বিরুদ্ধে অগত্যা থানায় অভিযোগ দায়ের করেন তিনি।
যুবক পুলিসকে জানান, 'তাঁর স্ত্রী গ্রামেরই একটি ছেলের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্কে জড়িত ছিলেন। তবে এই বিষয়টি বিয়ের আগে থেকেই জানতেন তিনি। সবকিছু আলোচনা করার পরই তাঁদের বিয়ে হয়েছিল। কিন্তু বিয়ের পর যে পুরনো প্রেমিকের হাত ধরে স্ত্রী এভাবে পালিয়ে যাবেন তা বুঝতে পারেননি তিনি।'
যুবকের অভিযোগের ভিত্তিতে এই ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিস। স্ত্রী ও তাঁর প্রেমিককেও খুঁজে বের করার চেষ্টা করছে পুলিস। আদৌ ওই তরুণী তাঁর প্রেমিকের সঙ্গেই পালিয়েছেন কিনা তাও খতিয়ে দেখছেন পুলিস।
এবারে পুলিস(Police) কর্মীর বাড়িতে সিঁধ কাটল চোর (Theft)। নগদ টাকা, সোনা,ল্যাপটপ এবং বাইক চুরি করে নিয়ে পালাল দুষ্কৃতীরা। ঘটনাটি ঘটেছে ইংলিশ বাজার(English Bazar) থানার যদুপুরের মডেল কলোনি এলাকায়।
জানা গিয়েছে, পুলিসকর্মীর নাম আজমল হক, তিনি মুর্শিদাবাদের বাসিন্দা।। ইংলিশবাজারের যদুপুর মডেল কলোনি এলাকায় সপরিবারে প্রায় দেড় বছর ধরে ভাড়া থাকেন তিনি। মালদা জেলা পুলিস সুপার অফিসে বর্তমানে কর্মরত আছেন আজমল হক। হোলি উপলক্ষে সপরিবারে বাড়ি গিয়েছিলেন ওই পুলিসকর্মী। স্থানীয় বাসিন্দারা ফোনের মাধ্যমে জানতে পারেন বাড়িতে চুরি হয়েছে। দুষ্কৃতীরা সদর দরজার তালা ভেঙে পুলিসকর্মীর বাড়িতে ঢুকে নগদ প্রায় ৬৫ হাজার টাকা, এক ভরি সোনা, একটি ল্যাপটপ এবং একটি মোটর বাইক নিয়ে চম্পট দেয়। এই ঘটনায় ইংলিশ বাজার থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের হয়েছে।
শুক্রবার সকালে ঘটনা জানাজানি হতেই গোটা এলাকাজুড়ে চাঞ্চল্য। স্থানীয়দের অভিযোগ, একজন পুলিসকর্মীর বাড়িতেই চুরির ঘটনা ঘটলে সাধারণ মানুষদের নিরাপত্তা কোথায়। এই ঘটনায় দোষীদের চিহ্নিত করে উপযুক্ত শাস্তির দাবি তুলেছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। তাঁরা নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন বলেও অভিযোগ তুলেছেন।
ফের টাকা, গয়না উদ্ধার করল এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট বা ইডি(ED)। উদ্ধার করা হয়েছে নগদ ১ কোটি ২১ লক্ষ টাকা-সহ সোনা এবং হিরের গয়নাও। যার বাজারমূল্য ৫ কোটি ৫১ লক্ষ টাকা। আর্থিক তছরুপের একটি মামলায় মুম্বই এবং নাগপুরের বিভিন্ন এলাকায় তল্লাশি করে এই টাকা ও গয়না উদ্ধার করেছে ইডি। জানা গিয়েছে, নাগপুরে সিতাবুলদি থানায় একটি এফআইআর-এর(FIR) ভিত্তিতে আর্থিক তছরুপের তদন্ত শুরু করেছিল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। গত বছরের ২২শে জুলাই কোটি কোটি টাকা উদ্ধারের ঘটনায় নড়ে উঠেছিল গোটা বাংলা। শিক্ষা দুর্নীতিতে কলকাতায় সব মিলিয়ে ২৭ কোটি ৯০ লক্ষ টাকা উদ্ধার করেছিল ইডি। কিন্তু এবার মুম্বাই থেকে বিপুল পরিমাণ টাকা উদ্ধার করেছে ইডি।
অভিযানে গিয়ে কাঁড়ি কাঁড়ি নগদ টাকা, গয়না উদ্ধার করল এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি)। উদ্ধার করা হয়েছে নগদ ১ কোটি ২১ লক্ষ টাকা। উদ্ধার করা হয়েছে সোনা এবং হিরের গয়নাও। তার বাজারমূল্য ৫ কোটি ৫১ লক্ষ টাকা। আর্থিক তছরুপের একটি মামলায় মুম্বই এবং নাগপুরের বিভিন্ন এলাকায় তল্লাশি চালিয়ে এই পরিমাণ নগদ টাকা এবং গয়না উদ্ধার করেছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা।
এমনকি তদন্তকারীরা জানায়, পঙ্কজ এবং তাঁর সহযোগীরা মিলে একটি ‘পন্জি স্কিম’ চালাতেন। এর মাধ্যমে বিনিয়োগকারীদের তাঁরা ঠকাতেন বলেও অভিযোগ। এই ঘটনার তদন্তে নেমেই নগদ টাকা এবং গয়না উদ্ধার করেছে ইডি। ইডি সূত্রে খবর, গত ৩ মার্চ মুম্বই এবং নাগপুরের ১৫টি এলাকায় তল্লাশি চালিয়েছিল ইডি। পঙ্কজ মেহাদিয়া, লোকেশ জৈন, কার্তিক জৈন নামে ৩ ব্যক্তির বাড়ি এবং অফিসেও তল্লাশি চালানো হয়। এই ঘটনায় ওই ৩ ব্যক্তিই অন্যতম প্রধান অভিযুক্ত বলে দাবি করেছেন তদন্তকারীরা। নগদ টাকা এবং গয়নার পাশাপাশি বেশ কিছু নথিও বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে।
কোটি কোটি টাকা উদ্ধারের ঘটনায় নড়ে উঠেছিল গোটা পশ্চিমবঙ্গ। শিক্ষা দুর্নীতিতে কলকাতায় সব মিলিয়ে ২৭ কোটি ৯০ লক্ষ টাকা উদ্ধার করেছিল ইডি।
স্কুল সার্ভিস কমিশন বা এসএসসি-র (SSC Scam) প্রাক্তন উপদেষ্টা শান্তিপ্রসাদ সিনহা নিয়োগ দুর্নীতি-কাণ্ডে জেলবন্দি। এবার তাঁর (SP Sinha) কলকাতার ফ্ল্যাট থেকে নগদ-গয়না বাজেয়াপ্ত করল সিবিআই। এই কেন্দ্রীয় সংস্থাই (CBI) এসপি সিনহাকে নিয়োগ-কাণ্ডের অভিযুক্ত হিসেবে গ্রেফতার করেছিল। তারাই বুধবার প্রাক্তন এসএসসি কর্তার ফ্ল্যাটে তল্লাশি চালায়। বাজেয়াপ্ত হয়েছে আনুমানিক ৫০ লক্ষ টাকা নগদ। দেড় কেজির সোনা এবং অন্তত ১৫০০ চাকরিপ্রার্থীর নামের তালিকা।
অভিযোগ, এদিন সিবিআই যে ফ্ল্যাটে তল্লাশি চালায়, সেই ফ্ল্যাটের পরোক্ষে মালিকানা শান্তিপ্রসাদ সিনহা এবং তাঁর স্ত্রীয়ের। যদিও অন্য ব্যক্তির নামে সেই ফ্ল্যাট রেজিস্টার্ড। শিক্ষা দুর্নীতি-কাণ্ডে কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে এফআইআর দায়ের করে তদন্ত শুরু করেছে সিবিআই। সেই এফআইআর-এ নাম রয়েছে রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়, এসপি সিনহা-সহ অন্যদের। মূলত একাদশ-দ্বাদশের সহকারী শিক্ষক নিয়োগের দুর্নীতির অভিযোগে এই সিবিআই তদন্ত।
সিটি অফ জয়ে 'উড়ছে' বান্ডিল বান্ডিল নোট! পরপর তিন দিন, শহর কলকাতায় উদ্ধার টাকার পাহাড় (Cash Recover)। বালিগঞ্জ, গড়িয়াহাটের পর এবার বড়বাজার (Burra Bazar Incident)। কলকাতা পুলিসের STF-র অভিযানে বড়বাজারের বাবুলাল লেন থেকে ৩৫ লক্ষ টাকা উদ্ধার। কলকাতা পুলিসের (Kolkata Police) স্পেশাল টাস্ক ফোর্স উদ্ধার করে এই টাকা। শুক্রবার দুপুর বেলা এই টাকা উদ্ধারের ঘটনায় এখনও পর্যন্ত গ্রেফতার দুই ব্যক্তি। জানা গিয়েছে ধৃত দু'জনের নাম রাম অবতার গানেরিওয়াল এবং সরোবর শর্মা।
জানা গিয়েছে, বড় বাজারে টেক্সটাইল ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত বহু বছরের পুরনো সংস্থা শ্রী নিবাস টেক্সটাইল থেকে উদ্ধার টাকা। এসটিএফ-র অভিযানের সময় দু'জন কর্মচারী উপস্থিত ছিলেন, অনুপস্থিত ছিলেন সংস্থার কর্ণধার। জানা গিয়েছে, গেঞ্জির ব্যবসা এই শ্রী নিবাস টেক্সটাইলের, কর্ণধারের নাম মুন্না বাবু।
শহরে টাকা উদ্ধারের ঘটনার সূত্রপাত গত বছর জুলাইয়ে। প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় ঘনিষ্ঠ অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের জোড়া ফ্ল্যাট থেকে প্রায় ৫০ কোটির বেশি টাকা উদ্ধার হয়েছিল। গার্ডেনরিচে অনলাইন গেমিং অ্যাপ প্রতারণা চক্রের সঙ্গে জড়িত সন্দেহে আমির খানের বাড়ি থেকে উদ্ধার হয়েছিল ১০ কোটি টাকার বেশি। এই দুই ঘটনায় তদন্তকারী সংস্থা এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট।
পাশাপাশি বালিগঞ্জের এক সংস্থা থেকে এক কোটির বেশি এবং গড়িয়াহাটের এক গাড়ি থেকে এক কোটি টাকা সম্প্রতি উদ্ধার হয়েছে। এখানেই শেষ নয়, ঝাড়খণ্ডের তিন বিধায়কের গাড়ি থেকে নগদ উদ্ধার করে হাওড়া পুলিস। হাওড়া শহরের দুই জায়গা থেকে গত বছর উদ্ধার হয়েছে নগদ।
বালিগঞ্জের পর গড়িয়াহাট, ফের দক্ষিণ কলকাতায় নগদ উদ্ধার (cash Seize)। এবার গড়িয়াহাট রোডে (Gariahat) একটি গাড়ি থেকে উদ্ধার এক কোটি টাকা (One Crore Rupees)! এই ঘটনায় দুই ব্যক্তিকে গ্রেফতার করেছে কলকাতা পুলিস। জানা গিয়েছে, কলকাতা পুলিসের (Kolkata Police) ডিটেকটিভ ডিপার্টমেন্ট, গুণ্ডা দমন শাখা এবং এসটিএফ-র অভিযানে এই নগদ উদ্ধার হয়েছে। গোপন সূত্রে খবর পেয়ে এই অভিযান। আটকদের গড়িয়াহাট থানায় নিয়ে গিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ চলছে।
কলকাতা পুলিস সূত্রে খবর, ধৃত একজনের নাম দুলাল মণ্ডল, তাঁর বাড়ি বেলগাছিয়া রোডে। অপরজনের নাম মুকেশ সারস্বত তাঁর বাড়ি রাজস্থানে। মুকেশের থেকে কলকাতার যমুনালাল বাজাজ স্ট্রিটের একটি ঠিকানা মিলেছে। এত টাকা কী কারণে গাড়িতে রাখা ছিল, সেই সংক্রান্ত বৈধ নথি দেখাতে ব্যর্থ এই দু'জন। তাই গড়িয়াহাট থানায় তাঁদের গ্রেফতার করে সিআরপিসির একাধিক ধারায় মামলা রুজু করেছে।
বুধবার বালিগঞ্জের এক রিয়াল এস্টেট সংস্থায় অভিযান চালিয়ে এক কোটির বেশি নগদ উদ্ধার করেছে ইডি। কয়লা-কাণ্ডের তদন্তের সূত্র ধরে অর্থ উদ্ধার। সেই নগদ উদ্ধারের ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই খাস কলকাতায় এক গাড়িতে কোটি টাকা উদ্ধারে চাঞ্চল্য।
কয়লা-কাণ্ডের তদন্তে বালিগঞ্জ আর্ল স্ট্রিটের এক রিয়েল এস্টেট সংস্থার অফিসে ইডি অভিযানে ১ কোটি ৪০ লক্ষ টাকা নগদ (Cash Recover) উদ্ধার হয়েছে। জানা গিয়েছে, এই অর্থ উদ্ধারের ঘটনার সঙ্গে দক্ষিণ কলকাতার (South Kolkata) হাজরা রোডের এক ধাবার মালিকের যোগাযোগ রয়েছে। সেই ব্যক্তির নাম মনজিৎ সিং বলে খবর। শুধু দক্ষিণ কলকাতার হাজরা রোড নয়, শহরের একাধিক জায়গায় এই ধাবার শাখা রয়েছে। তবে ইডি (ED) সূত্রে খবর, অর্থ উদ্ধারের ঘটনার পর থেকেই 'পলাতক' মনজিৎ সিং।
এদিকে কয়লা-কাণ্ডের তদন্তে কেন্দ্রীয় সংস্থা জানতে পেরেছে, এই মনজিৎ সিংয়ের ধাবার ফুড চেনের হাত ঘুরে কালো টাকা সাদা করা হয়েছে। এই ঘটনার তদন্তে রিয়েল এস্টেট সংস্থার মালিক বিক্রম শিখারিয়াকে ম্যারাথন জিজ্ঞাসাবাদ করেন তদন্তকারীরা। ফলে উদ্ধার হওয়া বিপুল টাকার উৎস কী, জানতে ফের বিক্রম শিখারিয়াকে সিজিওতে তলব করতে পারে ইডি। এই ব্যক্তির সঙ্গে একাধিক প্রভাবশালীর যোগসূত্র পেয়েছে কেন্দ্রীয় সংস্থা।
এদিকে উদ্ধার হওয়া ১ কোটি ৪০ লক্ষ টাকা ছাড়াও একটি ডেস্কটপ, কম্পিউটার বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। এখনও পর্যন্ত কাউকে আটক করা হয়নি।
খাস কলকাতায় ফের নগদ টাকা উদ্ধার (Cash Recover)। ইডি অভিযানে (ED Raid) বালিগঞ্জের এক সংস্থা থেকে উদ্ধার হয়েছে এক কোটি টাকারও বেশি। বুধবার সন্ধ্যায় এই নগদ গুণতে আনা হয়েছিল টাকা গোনার মেশিন। জানা গিয়েছে, সন্ধ্যা পেরিয়ে গেলেও চলেছে টাকা গোনার কাজ। এমনকি এই অভিযানে কেন্দ্রীয় সংস্থার উচ্চপদস্থ কর্তারা নেতৃত্ব দেন। অভিযোগ, কয়লা-কাণ্ডের (Coal Case) কালো টাকা ঘুরে এই সংস্থার মাধ্যমে সাদা করা হয়েছে। একাধিক জায়গায় বিনিয়োগ হয়েছে সেই অর্থ।
জানা গিয়েছে, ইডির ১২-১৩ জন কর্তারা মনজিত সিং জিততার খোঁজে আসেন তদন্তকারী অফিসাররা। মনোজিতকে না পেয়ে বিক্রম শিখারিয়া নামে এক ব্যক্তিকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে শুরু করে ইডি। কোথাও টাকা লুকনো রয়েছে কিনা সেই খোঁজেও কেন্দ্রীয় সংস্থা। পাশাপাশি সংস্থার অ্যাকাউন্ট সংক্রান্ত নথি খতিয়ে দেখছেন কেন্দ্রীয় সংস্থা। ইডি সূত্রে খবর, কয়লা পাচারকাণ্ডে বিভিন্ন সাক্ষীর বয়ান, ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের নথি ঘেঁটে এই বেসরকারি সংস্থার খোঁজ পাওয়া গিয়েছে। খোঁজ মিলেছে এমন আরও একাধিক সংস্থার।
ফের মালদায় বিপুল পরিমাণ টাকা (cash Recover) উদ্ধার। মালদহর (Maldah) কালিয়াচক এলাকার ঘটনা। ঘটনায় দুজনকে গ্রেফতার করেছে কালিয়াচক থানার পুলিস। ধৃত এক ব্যক্তির বাড়ি থেকে ৩৩ লক্ষ ৩ হাজার ১০০ টাকা উদ্ধার করে পুলিস (Bengal Police)। ধৃতদের মালদহ আদালতে তোলা হবে।
জানা গিয়েছে, আগেও কালিয়াচকের এই মজমপুর এলাকা মাদক পাচারে বেশ সক্রিয় হয়ে উঠেছিল । পরে NCB-র অভিযান চলার ফলে মাদক পাচার কিছুটা নিয়ন্ত্রণে এসেছিল। তবে বেশ কিছুদিন ধরেই এই পাচার-কাণ্ড আবার মাথা চাড়া দিয়ে উঠেছে। মজমপুর থেকে ১ কিলোমিটার দুরে মালদহর নারায়ণী থেকে এক মাদকপাচারকারীকে গ্রেফতার করা হয়েছিল। এমনকি তার কাছ থেকেও উদ্ধার করা হয়েছিল লক্ষ লক্ষ টাকা।
পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, গোপন সূত্রে খবর পেয়ে মজমপুর এলাকায় অভিযান চালায় কালিয়াচক থানার পুলিস। জসিমুদ্দিন আহমেদ নামে এক ব্যক্তির বাড়িতে অভিযান চালিয়ে ৩৩ লক্ষ ৩ হাজার ১০০ টাকা উদ্ধার করে পুলিস। ইতিমধ্যেই এই ঘটনায় দুজনকে গ্রেফতার করেছে কালিয়াচক থানার পুলিস।
এমনকি পুলিসের অনুমান, উদ্ধার হওয়া টাকার সঙ্গে সরাসরি যোগ রয়েছে ব্রাউন সুগার কারবারীদের। এই মাদক পাচার কারবারের কোথায় কোথায় ছড়িয়ে আছে তার তদন্ত করছে পুলিস। এমনকি এই পাচার কাণ্ডের সঙ্গে কোনো রাজনৈতিক দলের মদত আছে কিনা তাও খতিয়ে দেখছে পুলিস।
আমি মুর্শিদাবাদের (Murshidabad) সবচেয়ে বেশি করদাতা। প্রতি বছর আমি কেন্দ্রের থেকে সার্টিফিকেট পাই। আয়কর হানায় (IT Raid) বাড়ি-অফিসে নগদ উদ্ধার-কাণ্ডে অবশেষে মুখ খুললেন প্রাক্তন মন্ত্রী জাকির হোসেন (TMC MLA Zakir Hossain)। পাশাপাশি এই ঘটনায় চক্রান্তের গন্ধ পাচ্ছেন রাজ্যের প্রাক্তন শ্রমমন্ত্রী জাকির হোসেন। বৃহস্পতিবার তিনি জানান, 'আমার বাড়ি থেকে যৎসামান্য টাকা উদ্ধার হয়েছে। আনুমানিক এক-দেড় কোটি টাকা (Cash Seized) উদ্ধার করেছে কেন্দ্রীয় সংস্থা। সেই টাকা শ্রমিকদের বেতনের জন্য রাখা ছিল। কিছু টাকা আমার ছেলে আর স্ত্রী-মেয়ের। চালকল থেকে যে টাকা উদ্ধার হয়েছে, সেটাও ধান-গম কেনার টাকা, বেতনের টাকা। নগদে না দিলে ধান-গম কৃষকরা দেবেন না। তাছাড়া চালকল শরিকি ব্যবসা, অন্যদের জিজ্ঞাসা করতে হবে টাকার উৎস। ' এরকম করলে মিল বন্ধ হয়ে যাবে, এই আশঙ্কা করেন তৃণমূল বিধায়ক।
১৫ কোটি টাকা উদ্ধারের যে খবর সংবাদ মাধ্যমে দেখাচ্ছে, সেই খবর নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন তৃণমূলের জঙ্গিপুরের বিধায়ক। পাশাপাশি এভাবেই নিজের বিরুদ্ধে ওঠা সব অভিযোগ নস্যাৎ করেন প্রাক্তন শ্রমমন্ত্রী। এদিকে, জঙ্গিপুরের তৃণমূল বিধায়কের বাড়ি-অফিসে বুধবার দিনভর তল্লাশি চালায় আয়কর দফতর।
সূত্রের খবর, নগদ ১১ কোটি টাকা বাজেয়াপ্ত করেছে কেন্দ্রীয় সংস্থা। এই অর্থের মধ্যে শুধুমাত্র ৯ কোটি টাকা প্রাক্তন মন্ত্রীর মুর্শিদাবাদের অফিস থেকে উদ্ধার হয়েছে। আয়কর দফতর সূত্রে খবর, দেশের মোট ২৮ জায়গায় একযোগে তল্লাশি চালিয়েছে কেন্দ্রীয় সংস্থা। সব মিলিয়ে এখনও পর্যন্ত ১৫ কোটি টাকা উদ্ধার করেছে আয়কর দফতর। তল্লাশি চলেছে প্রাক্তন মন্ত্রী জাকির হোসেনের বাড়ি, অফিস, কারখানা এবং শিক্ষা প্রতিষ্ঠানেও।
এবার রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী তথা তৃণমূল বিধায়ক (TMC MLA) জাকির হোসেনের বাড়ি, অফিস এবং কারখানায় টাকার পাহাড়! জঙ্গিপুরের তৃণমূল বিধায়কের (Zakir Hossain) বাড়ি-অফিসে বুধবার দিনভর তল্লাশি (IT Raid) চালিয়ে নগদ ১১ কোটি টাকা বাজেয়াপ্ত করেছে আয়কর দফতর। এই অর্থের মধ্যে শুধুমাত্র ৯ কোটি টাকা প্রাক্তন মন্ত্রীর মুর্শিদাবাদের অফিস থেকে উদ্ধার হয়েছে। আয়কর দফতর সূত্রে খবর, দেশের মোট ২৮ জায়গায় একযোগে তল্লাশি চালিয়েছে কেন্দ্রীয় সংস্থা। সব মিলিয়ে এখনও পর্যন্ত ১৫ কোটি টাকা উদ্ধার করেছে আয়কর দফতর। তল্লাশি চলেছে প্রাক্তন মন্ত্রী জাকির হোসেনের বাড়ি, অফিস, কারখানা এবং শিক্ষা প্রতিষ্ঠানেও।
রাজ্যের প্রাক্তন শ্রম প্রতিমন্ত্রীর বাড়ি-অফিসে মিলিয়ে বুধবার রাতভর তল্লাশি অভিযান চালিয়ে মোট ১১ কোটি টাকা বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। অন্য জায়গাগুলোয় তল্লাশি চালিয়ে উদ্ধার হয়েছে বাকি অর্থ। কেন্দ্রীয় সংস্থা সূত্রে খবর, শ্রম দপ্তরের প্রাক্তন প্রতিমন্ত্রী জাকির হোসেনের সঙ্গে গরু পাচার-কাণ্ডের মূল অভিযুক্ত এনামুল হকের যোগসূত্র পেয়েছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সিবিআই।
জাকিরের বাড়ি-অফিসে তল্লাশি চালিয়ে আয়কর দফতরের উদ্ধার হওয়া অর্থ আদতে কোন পথে এসেছে, সেটা জানতে জাকিরকে তলব করতে পারে সিবিআই। সূত্র অনুযায়ী, এই অর্থ জাকিরের বিড়ি কারখানায় ব্যবহার হয়েছে কিনা, তা জানতে চায় ইডি। এত পরিমাণ নগদ কী কাজে বাড়ি-অফিসে রাখা ছিল, সেটা জানতে তৃণমূল বিধায়ককে জেরা করতে পারে কেন্দ্রীয় সংস্থা।
ফের খাস কলকাতায় বিপুল পরিমাণ নগদ উদ্ধার। বড়বাজারে ৪৩ লাখ টাকা-সহ গ্রেফতার তিন। এত বিপুল পরিমাণ টাকা কোথা থেকে এল, তাঁদের কাছে কোনও সদুত্তর নেই। জানা গিয়েছে, একটি নির্ভরযোগ্য সূত্রের ভিত্তিতে এবং দীর্ঘ সময় ধরে নজরদারি চালিয়ে বিমল ওঝা, আমান কুমার তিওয়ারি এবং বিমল কুমার দুদানিকে ৪০/১, স্ট্র্যান্ড রোডের কাছে আটক করা হয়। তাঁদের কাছে থাকা দুটি ব্যাগ বাজেয়াপ্ত করে তল্লাশি চালানো হলে ৪৩ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা উদ্ধার হয়েছে।
কেন এই অর্থ তাঁরা বহন করছিল, সেই সংক্রান্ত কোনও বৈধ নথি দিতে পারেনি অভিযুক্তরা। তাই তাঁদের গ্রেফতার করে বড়বাজার থানা সিআরপিসি এবং আইপিসির একাধিক ধারায় মামলা রুজু করেছে। এই মুহূর্তে বেআইনি নগদ উদ্ধারের নিরিখে গত বছর থেকে শিরোনামে বাংলা। সে নিয়োগ দুর্নীতি-কাণ্ডে অর্পিতার মুখোপাধ্যায়ের জোড়া ফ্ল্যাটে নগদ উদ্ধার হোক বা ঝাড়খণ্ডের বিধায়কদের গাড়ি। লক্ষ-কোটি টাকা উদ্ধারে চক্ষু ছানাবড়া বঙ্গবাসীর। এই তালিকায় নাম আছে গার্ডেনরিচ এবং হাওড়া স্টেশনেরও। সেই তালিকায় এবার নতুন সংযোজন বড়বাজারের ঘটনা।
বাংলায় আবার যখের ধন, এবার খড়দহে (Khardaha) এক অধ্যাপকের ফ্ল্যাটে উদ্ধার আনুমানিক ৩২ লক্ষ টাকা (Cash Recovery)। বৃহস্পতি এবং শুক্রবার মিলিয়ে মোট ১৪ ঘণ্টার তল্লাশি অভিযানে এই নগদ উদ্ধার হয়েছে। এমনটাই ব্যারাকপুর কমিশনারেট (Barrackpur) সূত্রে খবর। জানা গিয়েছে, পেশায় এক বেসরকারি কলেজের অধ্যাপক অমিতাভ দাসের বিরুদ্ধে মোটা টাকার বিরুদ্ধে পড়ুয়াদের কলেজে ভর্তি করিয়ে দেওয়ার অভিযোগ। পাশাপাশি পরীক্ষায় অনুত্তীর্ণদের মোটা টাকার বিরুদ্ধে সার্টিফিকেট বের করে দিতেন অমিতাভবাবু। এমনটাই পুলিস সূত্রে খবর। সেই অভিযোগের সূত্র ধরেই ব্যারাকপুর পুলিশ কমিশনারেটর গোয়েন্দা বিভাগ এবং খড়দহ থানা যৌথ ভাবে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যার কিছু পর নাথুপাল ঘাট রোডের শিরোমণি আবাসনের একতলায় অভিযান চালায়।
রাতভর অভিযান এবং তল্লাশিতে অমিতাভ দাসের ফ্ল্যাট থেকে উদ্ধার নগদ টাকা। যদিও এই অভিযান সম্বন্ধে শুক্রবার সকাল পর্যন্ত অন্ধকারে ছিলেন ওই আবাসনের অন্য আবাসিকরা। তাঁরা জানান, স্ত্রী বর্ণালী সাধুখা এবং এক সন্তানকে নিয়ে ওই ফ্ল্যাটে গত আড়াই বছর ধরে থাকছেন অমিতাভবাবু। এর আগে কোনওদিন কোনও সন্দেহজনক কিছু চোখেও পড়েনি। বেশ সজ্জন ভাবেই থাকত এই পরিবার। ঠিক কী কারনে পুলিশ এসে তল্লাশি ও জিজ্ঞাসাবাদ চালাচ্ছে সেই বিষয়ে স্পষ্ট কোন ধারণা নেই তাদের। তবে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা থেকেই কিছু লোকের আনাগোনা দেখেছি। এর বাইরে কিছুই অনুমান করতে পারিনি।
এক পড়শি জানান, অনেক রাত অবধি ওদের ঘর থেকে শব্দ আসছিল।দেওয়ালে ড্রিল মেশিন চালানোর শব্দও পাওয়া গিয়েছে। সকালে উঠে শুনি এভাবে টাকা উদ্ধার হয়েছে।
টালিগঞ্জ, গার্ডেনরিচের পর ফের খাস কলকাতায় বিপুল নগদ অর্থ উদ্ধার (Cash Recovery)। এবার ঘটনাস্থল পোস্তা থানা (Posta PS) এলাকার দিগম্বর জৈন টেম্পল রোড। জানা গিয়েছে, ১০ নম্বর দিগম্বর জৈন টেম্পল রোড থেকে পোস্তা থানার পুলিস (kolkata Police) দক্ষিণ ২৪ পরগনার দুই ব্যক্তিকে বিপুল নগদ-সহ প্রথমে আটক ও পরে গ্রেফতার করেছে। দীর্ঘদিন তাঁরা টাকা লেনদেনের সঙ্গে যুক্ত। বিভিন্ন অফিস থেকে টাকা নিতেন। এমনটাই জেরায় পুলিসকে জানিয়েছেন দুই ধৃত। তাঁরা জানায়, 'কলকাতার কটন স্ট্রিটের এক অফিস থেকে ১০ টাকার নোটের একটি নাম্বার দেখিয়ে নগদ ৫০ লক্ষ টাকা নিয়ে পোস্তার ১০ নম্বর দিগম্বর টেম্পল রোডে আসলে পুলিস তাঁদের আটক করে।'
প্রাথমিক তদন্তে জানা গিয়েছে, ধৃতরা দু'জনেই টাকা লেনদেনের সঙ্গে যুক্ত। কিন্তু তাঁদের কাছে এতো টাকা বহনের কোনও বৈধ নথি ছিল না। এমনকি, পুলিসি জেরায় অসংগতি পাওয়া গেলে তাঁদের গ্রেফতার করা হয়। ধৃতদের থেকে উদ্ধার হয়েছে ৫০ লক্ষ টাকা। শনিবার তাঁদের আদালতে তোলা হবে। জানা গিয়েছে, ধৃত দুই জন বাবা-ছেলে। চলতি বছর রাজ্যের একাধিক জায়গা থেকে বিপুল নগদ উদ্ধারে চাঞ্চল্য বাংলাজুড়ে। পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের বান্ধবী অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের তালিগঞ্জ-বেলঘরিয়ার ফ্ল্যাট কিংবা হাওড়ায় ঝাড়খণ্ড বিধায়কের গাড়ি। লক্ষ-কোটি টাকা উদ্ধারে চাঞ্চল্য জনমানসে। সম্প্রতি গার্ডেনরিচের এক বাড়ি থেকে বিপুল নগদ উদ্ধার করেছে ইডি। এমনকি হাওড়া স্টেশনেও সন্দেহভাজন ব্যক্তির থেকে উদ্ধার হয়েছে নগদ টাকা।
টাকার পাহাড় উদ্ধারের এই ঘটনাগুলোর মধ্যে নয়া সংযোজন পোস্তার দিগম্বর জৈন টেম্পল রোডের ঘটনা।