বর্ষশেষের দিনে শহরের বুকে ফের দুর্ঘটনা। রবিবার সকাল ৬টা নাগাদ বিড়লা মন্দিরের কাছে ভয়াবহ এই দুর্ঘটনা ঘটে। আর এই দুর্ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে একটি গাড়ি, খুলে গিয়েছে এয়ারব্যাগও। গাড়ির সামনের অংশ পুরো ভেঙে চুরমার হয়ে গেছে। তবে এখনও পর্যন্ত কোনও হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি।
রবিবার সকাল ৬টায় বিড়লা মন্দিরের কাছে ঘটে দুর্ঘটনা। দুর্ঘটনার জেরে ফুটপাতের উপর উঠে গিয়েছে ক্ষতিগ্রস্ত গাড়ি, খুলে গিয়েছে এয়ারব্যাগ। একেবারে দুমড়ে মুচড়ে গিয়েছে গাড়িটি। বালিগঞ্জ ফাঁড়ি থেকে পার্ক সার্কাস সেভেন পয়েন্টের দিকে যাওয়ার সময় বিড়লা মন্দিরের কাছে একটি লাইটপোস্টে ধাক্কা মারে, এরপর ফুটপাতে উঠে যায়। জানা গিয়েছে, দুটি বিলাসবহুল গাড়িতে ফিরছিল বন্ধুরা। তার মধ্যে একটি গাড়ি দুর্ঘটনার কবলে পড়ে। দুর্ঘটনার কবলে পড়া গাড়িতে ছিল ৪ বন্ধু। এই ঘটনার পরে ৪ বন্ধুই অন্য গাড়িতে চেপে চলে যায়। গাড়ি চালাচ্ছিল সেই ৪ বন্ধুরই একজন। বেপরোয়া গতির কারণেই এই দুর্ঘটনা বলে মনে করা হচ্ছে।
এই দুর্ঘটনার খবর পেয়েই ঘটনাস্থলে পৌঁছে যায় বালিগঞ্জ থানার পুলিস। ক্লোজ সার্কিট ক্যামেরার ফুটেজ দেখে তদন্ত শুরু করেছে তারা। ঠিক কী কারণে দুর্ঘটনা তা জানার চেষ্টা চলছে। তীব্র গতির কারণে দুর্ঘটনা কিনা তাও খতিয়ে দেখছে। ছুটির দিনে সকালে শহরে এমন দুর্ঘটনা ঘটায় উত্তেজনা ছড়িয়েছে।
গাড়ি দুর্ঘটনায় (Car Accident) মৃত্যু হল ৯ সেনা জওয়ানের (Indian Army)। একাধিক সেনা জওয়ান এই ভয়াবহ দুর্ঘটনায় আহত হয়েছেন। ঘটনাটি লাদাখের (Ladakh)। সূত্রের খবর, শনিবার লাদাখের নিয়মা জেলার কিয়ারি নামক শহরে ঘটনাটি ঘটেছে। বেস ক্যাম্পে যাওয়ার সময় গাড়িটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে গভীর খাদে পড়ে যায় বলে অনুমান। তবে এই ঘটনার পিছনে অন্য কোনও কারণ রয়েছে কিনা, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে সূত্রের খবর।
সূত্রের খবর, লাদাখে ভারতীয় সেনাবাহিনীর গাড়ি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে পড়ে যায় রাস্তার ধারে গভীর খাদে। এর জেরে ৯ জন সেনা জওয়ানের মৃত্যু হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। প্রাথমিক ভাবে জানা গিয়েছিল, দুর্ঘটনায় ৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। তবে মৃতের সংখ্যা বেড়েই চলেছে। জানা গিয়েছে, লে থেকে প্রায় ১৫০ কিলোমিটার দূরে কিয়ারিতে এই দুর্ঘটনা ঘটেছে। কিয়ারিতে ঢোকার ৭ কিলোমিটার আগে পিচ্ছিল রাস্তা থেকে পিছলে খাদে গিয়ে পড়ে যায় বলে সেনা সূত্রে জানা গিয়েছে। সেনার ওই গাড়িতে মোট ১০ জন জওয়ান ছিলেন। তার মধ্যে ৯ জনেরই মৃত্যু হয়েছে এবং এক জন গুরুতর আহত অবস্থায় চিকিৎসাধীন।
তবে নেপথ্যে অন্য কোনও কারণ রয়েছে কিনা তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। গাড়ি ও জওয়ানদের উদ্ধারের চেষ্টা করা হচ্ছে।
সাধারণত ডাক্তারদের (Doctors) ঈশ্বরের সঙ্গেই তুলনা করা হয়, কারণ তাঁরাই একমাত্র পারেন বিভিন্ন চিকিৎসার মাধ্যমে মানুষের প্রাণ ফিরিয়ে দিতে। এবারে এমনই এক অবিশ্বাস্য ঘটনা ঘটে গেল ইজরায়েলে (Israel)। এক ১২ বছরের বালকের ধড় থেকে আলগা হয়ে যাওয়া মাথা এবারে অস্ত্রোপচারের (Operation) মাধ্যমে ফের শরীরে বসিয়ে দিলেন ইজরায়েলের ডাক্তাররা। জানা গিয়েছে, এই বালকের বেঁচে থাকার সম্ভাবনা মাত্র ৫০ শতাংশ ছিল। কিন্তু সেই ধারণাকেই ভুল প্রমাণিত করে গোটা বিশ্ববাসীকে তাক লাগিয়ে দিলেন ইজরায়েলের ডাক্তাররা।
জানা গিয়েছে, গত মাসে এক ১২ বছরের বালক রাস্তায় সাইকেল চালাতে গিয়ে গাড়ির সঙ্গে ধাক্কা খায়। দ্রুত গতিতে বাসটি এসে তাকে ধাক্কা দিতেই গুরুতর জখম হয় সে। এই দুর্ঘটনায় তার ধড় থেকে আলাদা হয়ে যায় মাথা। শুধু মেরুদণ্ডের অস্থিসন্ধির সঙ্গে আটকে ছিল মাথার খুলি। এরপরই তাকে তড়িঘড়ি হাদাশা মেডিক্যাল সেন্টারে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে কিছুক্ষণ অস্ত্রোপচার করার পর তার বিচ্ছিন্ন মাথা ফের শরীরের সঙ্গে জুড়ে দিতে সক্ষম হন চিকিৎসকরা। দুর্ঘটনায় কারও এমন অবস্থা হলে, চিকিৎসা বিজ্ঞানের ভাষায় তাকে বলে 'বাইলেটারাল আটলান্তো অক্সিপিটাল জয়েন্ট ডিসলোকেশন'।
গত মাসেই এই জটিল অস্ত্রোপচার হয়। এক মাস পর্যবেক্ষণে রাখার পর সুলেইমানকে হাসপাতাল থেকে ছাড়া হয়েছে। তারপরই সাংবাদিকদের সামনে ঘটনাটি প্রকাশ্যে নিয়ে আসা হয়। আর এই চিকিৎসকদের এমন কীর্তি দেখে বিস্ময়ে বিশ্ববাসী।
দ্রুতগতিতে গাড়ি (Car) চালিয়ে ওভারব্রিজ থেকে পড়ে গিয়ে গুরুতর আহত হলেন পাঁচ জন। ঘটনাটি নাগপুরের (Nagpur)। রবিবার সকাল সাড়ে ৭ টা নাগাদ বোরখেরি শিভর (Borkhedi Shivar) এলাকায় ঘটনাটি ঘটেছে। স্থানীয় সূত্রে খবর, নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে গিয়েই গাড়িটি ওভারব্রিজ থেকে নীচে রেললাইনের উপর পড়ে যায়। দুর্ঘটনায় আহতদের তড়িঘড়ি হাসপাতালে ভর্তি হয়।
সূত্রের খবর, আজ রবিবার সকালে একটি গাড়ি দ্রুতগতিতে চলছিল, এরপরই হঠাৎ নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে বোরখেরি ওভারব্রিজ থেকে রেললাইনের উপর পড়ে যায় গাড়িটি। নীচে পড়ে যেতেই চোখের নিমেষে দুমড়ে-মুচড়ে যায় গাড়িটি। তবে কোনওমতে গাড়িতে উপস্থিত ব্যক্তিরা বেরিয়ে আসতে পারেন ও তাঁরা প্রাণে বেঁচে যান। দুঘর্টনাস্থলে পুলিস এসে পৌঁছয় ও আহতদের বুট্টিবোরির মায়া হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। জানা গিয়েছে, তাঁরা গাড়ি নিয়ে নাগপুর থেকে হায়দরাবাদে যাচ্ছিলেন।
তবে এইভাবে গাড়ি উল্টে গিয়ে কীভাবে রেললাইনের উপর পড়ে গেল, তা এখনও স্পষ্ট নয়। ফলে পুলিস এই ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে।
ফের ভয়াবহ গাড়ি দুর্ঘটনা (Car Accident)। বৃহস্পতিবার সকালে এক যাত্রীবাহী গাড়ি খাদে পড়ে গিয়ে মৃত্যু হল ৯ জনের, আহত ২। ঘটনাটি উত্তরাখণ্ডের (Uttarakhand) পিথোরাগড়ের। জানা গিয়েছে, যাত্রীবাহী গাড়িটি পিথোরাগড়ের কাছে এক ৬০০ মিটার গভীর খাদে পড়ে যায়।
সূত্রের খবর, বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ৭ টা নাগাদ পিথোরাগড়ের হকরায় কোকিলা দেবী মন্দিরে যাওয়ার পথেই গাড়িটি খাদে পড়ে যায়। পিথোরাগড়ের জেলাশাসক রিনা জোশী জানিয়েছেন, ওই গাড়িতে মোট ১১ জন যাত্রী ছিলেন। স্থানীয়দের কাছে খবর পেয়েই পুলিশ এবং বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীর সদস্যেরা গাড়িটির কাছে পৌঁছন। প্রাথমিকভাবে জানা গিয়েছিল, ৮ জনের মৃত্যু হয়েছে। কিন্তু পরে জানা যায়, মোট ৯ জনের মৃত্যু হয়েছে।
তবে ঠিক কী কারণে এই দুর্ঘটনা, তা এখনও স্পষ্ট নয়। তবে স্থানীয়রা জানিয়েছেন, গতকাল রাতে ভারী বৃষ্টিপাতের ফলে রাস্তার অবস্থা খারাপ ছিল। আর সে কারণেই গাড়ি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে খাদে পড়ে যায় বলে ধারণা তাঁদের।
বিপাকে 'দ্য কেরালা স্টোরি'-র পরিচালক সুদীপ্ত সেন ও অভিনেত্রী আদাহ শর্মা (Adah Sharma)। রবিবার করিমনগরে একটি অনুষ্ঠানে যাওয়ার সময় গাড়ি দুর্ঘটনায় (Car Accident) জখম হন পরিচালক সুদীপ্ত সেন (Sudipto Sen) ও নায়িকা অদাহ শর্মা। যদিও এই বড়সড় দুর্ঘটনার হাত থেকে রক্ষা পেলেন তাঁরা। কিন্তু কীভাবে এই দুর্ঘটনা ঘটল, তা নিয়ে তাঁর অনুরাগীদের কৌতুহলের শেষ নেই।
সূত্রের খবর, ১৪ মে করিমনগরে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে যাচ্ছিলেন তাঁরা। আর তখনই গাড়ি দুর্ঘটনার কবলে পড়েন তাঁরা। তড়িঘড়ি তাঁদের হাসপাতালে নিয়ে গিয়ে চিকিৎসা করা হয় বলে খবর। এরপর তাঁদের দুর্ঘটনার খবর ছড়িয়ে পড়তেই সুদীপ্ত সেন ট্যুইট করে জানান, 'আজকে আমাদের তেলেঙ্গানার করিমনগরে যাওয়ার কথা ছিল। সেখানে যুব সম্প্রদায়ের একটি সমাবেশে আমাদের সিনেমা নিয়ে বক্তব্য রাখার কথা ছিল। দুভার্গ্যবশত স্বাস্থ্যজনিত কারণে আমরা সেখানে যেতে পারছি না। এর জন্য করিমনগরের মানুষের কাছে আমি মন থেকে ক্ষমা চাইছি। আমাদের মেয়েদের রক্ষা করার জন্য এই সিনেমা তৈরি করেছি আমরা। দয়া করে আমাদের সমর্থন করুন।'
Thank u so much for ur concerns about our health. We are overwhelmed with ur calls & warm messages. Just wanted to tell u - we r now absolutely fine. Tom we'll resume our promotional events. Pls continue supporting us. Love & light @adah_sharma @Aashin_A_Shah #TheKeralaStory pic.twitter.com/YYhopxA2Zr
— Sudipto SEN (@sudiptoSENtlm) May 14, 2023
আবার অভিনেত্রী আদাহ শর্মাও ট্যুইটে লেখেন, 'আমি ভালো আছি। আমাদের দুর্ঘটনা সম্পর্কে খবর ছড়াতেই প্রচুর মেসেজ পেয়েছি। আমাদের পুরো টিম ভালো আছে, গুরুতর বা বড় কিছু নয়। তবে আপনাদের এত খোঁজ নেওয়ার জন্য ধন্যবাদ।'
নিউ টাউনে পথ দুর্ঘটনা (New Town Accident), আহত স্কুটি চালক এক মহিলা। গুরুতর অবস্থায় আহতকে (Injured) একটি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। ঘাতক গাড়ির চালক পলাতক। ঘটনাস্থলে টেকনোসিটি থানার পুলিস। নিউটাউন বিসর্জন ঘাট এলাকার এই ঘটনায় চাঞ্চল্য।
স্থানীয়দের দাবি, নিউটাউন বিসর্জন ঘাটের দিক থেকে একটি প্রাইভেট গাড়ি অত্যন্ত দ্রুত গতিতে আসছিল। সেই সময় স্কুটি চালক এক মহিলা গলি থেকে বেরোলেই তাকে সজোরে ধাক্কা মারে গাড়ি। স্কুটি থেকে ছিটকে পড়েন মহিলা। ঘাতক গাড়ি বেশ কিছুটা রাস্তা ঘষে নিয়ে যায় স্কুটিকে। তড়িঘড়ি স্থানীয়রা ছুটে এসে আহত মহিলাকে স্থানীয় এক হাসপাতালে নিয়ে যায়। প্রাইভেট গাড়ির চালক পলাতক। তাঁর খোঁজে তল্লাশি চালাচ্ছে টেকনো সিটি থানার পুলিস।
দিল্লির গাড়ি দুর্ঘটনা-কাণ্ডে (Delhi Car Accident) মৃত তরুণী কি মদ্যপ ছিলেন? ঘটনার একমাত্র প্রত্যক্ষদর্শী মৃতার বান্ধবীর গলায় তেমন সুর। এদিকে অঞ্জলি সিংয়ের (Anjali Singh Case) প্রাথমিক ময়না তদন্তের রিপোর্টে চাঞ্চল্য। খুলির হাড় ভেঙে যাওয়া, শিরদাঁড়ায় গভীর ক্ষত এবং অতিরিক্ত রক্তক্ষরণে মৃত্যু হয়েছে তাঁর। এমনটাই উল্লেখ ময়না তদন্তের প্রাথমিক রিপোর্টে (Post Mortem)। সম্প্রতি সংবাদমাধ্যমগুলিকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে মৃতার বান্ধবীর দাবি, 'দুর্ঘটনার সময় মত্ত অবস্থায় ছিলেন অঞ্জলি। স্কুটি চালানো নিয়ে বচসায় জড়িয়েছিলেন আমার সঙ্গে। আমি ওকে স্কুটার চালাতে বারণ করলে জোরাজুরি করতে থাকে।' ফলে মাঝ রাস্তায় নেমে ওকেই স্কুটি চালাতে দিই। সাক্ষাৎকারে জানান মৃতার বান্ধবী।
এদিকে, অঞ্জলির প্রাথমিক ময়না তদন্তের রিপোর্টে মদ্যপ থাকার বিষয় এখনও খোলসা করেনি পুলিস। অপরদিকে, দিল্লি কানঝাওয়ালা-কাণ্ডে নিহত অঞ্জলির ময়নাতদন্তের প্রাথমিক রিপোর্টে উল্লেখ, নিহত তরুণীর খুলি ভেঙে বেরিয়ে এসেছিল। শুধু তাই নয়, তাঁর মাথার হাড় ভেঙে টুকরো টুকরো হয়ে যায়। পাঁজর ভেঙে গিয়ে বুক ফুঁড়ে পিছন দিক দিয়ে বেরিয়ে আসে। নিহতের মাথা ও শিরদাঁড়াতেও একাধিক আঘাতের চিহ্ন ছিল। ভেঙেছে বাঁ পায়ের থাইয়ের হাড়।
শুধু তাই নয়, দুর্ঘটনায় তাঁর দু’টি ফুসফুস ক্ষতিগ্রস্ত হয়। পুলিস সূত্রে খবর, অঞ্জলির দেহে অন্তত ৪০টি গুরুতর আঘাতের কথা ময়নাতদন্তের প্রাথমিক রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়েছে। পাশাপাশি, অত্যাধিক রক্তক্ষরণ ও শকের কারণে তাঁর মৃত্যু হয়েছে।
মৃত্যুমুখ থেকে বেঁচেছেন ভারতীয় ক্রিকেটার ঋষভ পন্থ (Rishabh Panth Accident)। ৩০ ডিসেম্বর ভোরে দিল্লি থেকে উত্তরাখন্ডে (Delhi to Uttarakhand) নিজের বাড়ি ফেরার পথে গাড়ি দুর্ঘটনার কবলে পড়েন তিনি। নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে গাড়ি ডিভাইডারে ধাক্কা মারে। গাড়িতে আগুন ধরে যায়। কোনওভাবে প্রাণে রক্ষা পান ঋষভ। দেরাদুনের ম্যাক্স হাসপাতালে চিকিৎসাধীন পন্থ। অসংখ্য অনুরাগী হাসপাতালের সামনে ভিড় জমিয়েছেন তাঁদের প্রিয় ক্রিকেটারের শারীরিক অবস্থা কেমন তা জানতে।
কেউ কেউ দেখা করতে হাসপাতালের ভিতর প্রবেশ করছেন। এর ফলে যেমন বিশ্রাম নেওয়ার সুযোগ পাচ্ছেন না ক্রিকেটার, তেমনই তাঁর সংক্রমিত হওয়ার আশঙ্কাও তৈরি হয়েছে। পন্থের পরিবারের পক্ষ থেকে ভক্তদের অনুরোধ করা হলেও ভিড় কমার কোনও লক্ষণ নেই। সেকারণে পরিস্থিতি সামাল দিতে তাঁকে আইসিইউ থেকে প্রাইভেট স্যুইটে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হবে মুম্বই। এমনটাই দিল্লি ক্রিকেট সংস্থার কর্তা শ্যাম শর্মা জানান সংবাদমাধ্যমকে।
এ বিষয়ে শ্যাম জানিয়েছেন, 'সংক্রমণের আশঙ্কা থাকায় আমরা ঋষভ পন্থের পরিবার ও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে বলে ওকে প্রাইভেট স্যুইটে সরিয়ে নিয়ে যাওয়ার ব্যবস্থা করেছি। ও এখন ভাল আছে। ও দ্রুত সুস্থ হয়ে উঠবে। বুধবারই মুম্বই নিয়ে যাওয়া হবে। বাকি চিকিৎসা হবে ওখানেই।'
এর ঠিক কিছুদিন আগে শ্যাম শর্মা জানিয়েছিলেন, “সংক্রমণের ভয়ে আমরা পন্থের পরিবার ও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছিলাম যাতে পন্থকে আলাদা কেবিনে স্থানান্তরিত করা হয়। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ সেটা করেছেন। ও এখন ধীরে ধীরে সুস্থ হয়ে উঠছে।” কিন্তু চিকিৎসকরা বলছেন, নির্ধারিত সময়ের পরেও অনেকে পন্থকে দেখতে আসছেন।
এর ফলে তাঁর বিশ্রামে ব্যাঘাত ঘটছে। দুর্ঘটনার ফলে যে চোট পেয়েছে, তার ফলে শরীরের বিভিন্ন জায়গায় এখনও যন্ত্রণা। এরই মধ্যে ওকে বিভিন্ন লোকের সঙ্গে কথা বলতে হচ্ছে। এর ফলে ওর শারীরিক শক্তিক্ষয় হচ্ছে যা দ্রুত সুস্থ হয়ে ওঠার পক্ষে বাধা হয়ে দাঁড়াচ্ছে। ঋষভের বিশ্রামের জন্যই স্থানান্তর করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
উল্লেখ্য,সম্প্রতি পন্থকে দেখতে হাসপাতালে গিয়েছিলেন অভিনেতা অনিল কাপুর ও অনুপম খের। উত্তরাখণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী পুষ্কর সিং ধামিও হাসপাতালে যান। এছাড়া প্রতিনিয়ত কেউ না কেউ পন্থকে দেখতে উপস্থিত হচ্ছেন।
বছরের শেষ সকালে ময়দানে (Kolkata Maidan) ক্যাসুরিনা আভেনিউতে ভয়াবহ গাড়ি দুর্ঘটনা (Road Accident)। স্টিয়ারিং লক হয়ে একটি গাড়ি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে গাছে ধাক্কা মেরে উলটে যায়। কার্যত দুমড়ে গিয়েছে গাড়ির সামনের অংশ। ভিতরে থাকা দু'জনের হাতে এবং পায়ে চোট লেগেছে। ময়দান থানার (Kolkata PS) কর্তব্যরত পুলিসকর্মীরাই গাড়ির দুই আরোহীকে উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য পাঠায়। জানা গিয়েছে, দুর্ঘটনার অভিঘাতে গাড়ির এয়ার ব্যাগ বেড়িয়ে আসায় প্রাণহানি রক্ষা করা গিয়েছে।
পুলিস সূত্রের খবর, গাড়িতে যারা ছিলেন তারা মদ্যপ ছিলেন কিনা তা পরীক্ষা করা হবে। পাশাপাশি সাতসকালে গাড়ির গতি বেশি ছিল কিনা তাও খতিয়ে দেখছে ময়দান থানার পুলিশ। এই প্রসঙ্গে উল্লেখ্য, সকালবেলা ময়দান অঞ্চলে প্রচুর মানুষ মর্নিং ওয়াকে বের হন। প্রাতঃভ্রমণকারীদের জমায়েতে জনবহুল থাকে ক্যাসুরিনা অ্যাভেনিউয়ে জোড়া কামান চত্বর। তাই এদিন সকালের দুর্ঘটনা বড়সড় ক্ষতির হাত থেকে রক্ষা পেয়েছে শহর কলকাতা।
ভারতীয় ক্রিকেট দলের তারকা উইকেটকিপার-ব্যাটার ঋষভ পন্থ (Rishabh Pant) এবং বলিউড কুইন ঊর্বশী রাউতেলার (Urvashi Rautela) সম্পর্ক মাঝেমধ্যেই সংবাদ শিরোনামে উঠে এসেছে। শুক্রবার ভোর সাড়ে পাঁচটা নাগাদ দিল্লি থেকে উত্তরাখণ্ডে (Delhi-Uttarakhand) নিজের বাড়ি ফেরার পথে রুরকির কাছে দুর্ঘটনার কবলে পড়েন ঋষভ। গুরুতর আঘাত পান পন্থ। এই ঘটনার পর থেকেই সোশ্যাল মিডিয়ায় একটাই প্রশ্ন ঘুরছে। ঊর্বশী রাউতেলা এই দুর্ঘটনার খবর পেয়ে কী করলেন? কিছু মাস আগে টি-২০ বিশ্বকাপের সময় অস্ট্রেলিয়ায় উড়ে গিয়েছিলেন উর্বশী। তবে ঋষভের কাছেই গিয়েছিলেন কিনা তা জানা যায়নি।
ঋষভের এই ভয়াবহ ঘটনার পর ইনস্টাগ্রামে নিজের কোনও অনুষ্ঠানের ছবি পোস্ট করে অভিনেত্রী লেখেন, “প্রার্থনা করছি।” সঙ্গে আবার সাদা পায়রা এবং সাদা হার্টের স্টিকার। সাদা শান্তির প্রতীক এ কথা সকলের জানা। এই পোস্টের মাধ্যমে কী বোঝাতে চাইলেন? কোনও ইঙ্গিত ছিল কি এই পোস্টে? অনেকে মনে করছেন তিনি ঋষভের সুস্থ হয়ে ওঠার প্রার্থনা করছেন।
জানা গিয়েছে, ঋষভের মাথায়, কোমরে, পিঠে ও পায়ে ভয়াবহ আঘাত লেগেছে। চিকিৎসকদের জানিয়েছে, পন্থের পা ভেঙে গিয়েছে এবং তা সারতে বেশ সময় লাগবে। পুড়ে যাওয়া পিঠে প্লাস্টিক সার্জারি করা হবে। পুলিসকে প্রাথমিক বয়ানে পন্থ জানান, গাড়ির স্টিয়ারিং সিটে বসে সম্ভবত চোখ লেগে যাওয়ায় এত বড় দুর্ঘটনা। বড় কিছু হয়েছে বুঝতে পেরে তিনি গাড়ির উইন্ড স্ক্রিন ভেঙে বেড়িয়ে আসেন। উত্তরাখণ্ডের এক পুলিসকর্তা জানান, এই উপস্থিত বুদ্ধি না দেখালে আরও বড় বিপদ হতে পারতো ভারতীয় ক্রিকেটারের।
প্রসঙ্গত, পন্থের শারীরিক অবস্থা নিয়ে সকলের মতোই উদ্বিগ্ন উত্তরাখণ্ডের মুখ্যমন্ত্রীও। তাঁর রাজ্যের ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসাডর পন্থ। ফলে ঋষবের চিকিৎসায় যেন কোনও ত্রুটি না থাকে সেই নির্দেশ দিয়েছেন তিনি। পন্থকে দিল্লিতে নিয়ে যাওয়ার জন্য প্রয়োজনে এয়ার অ্যাম্বুল্যান্সের ব্যবস্থা করার নির্দেশ দিয়েছেন তিনি।
মর্মান্তিক মৃত্যু (Death) যুবকের। বেপরোয়া গতিতে ছুটে আসা একের পর এক গাড়ির চাকা পিষে দিল যুবককে। জাতীয় সড়কে গাড়ি দুর্ঘটনায় (Car Accident) মৃত্যু হয় তাঁর। বেশ কয়েক ঘণ্টা দেহ পড়ে ছিল ওই দুর্ঘটনাস্থলেই। তখনই একের পর এক গাড়ি তাঁর উপর দিয়ে চলে গিয়েছিল। দেহের মাংস-হাড় মিশে গিয়েছিল রাস্তায়। এমন পরিস্থিতি শেষমেশ বেলচা এনে দেহের অবশিষ্টাংশ উদ্ধার করতে হয়েছে পুলিসকে। হাড়-হিম করা ঘটনাটি ঘটেছে রাজস্থানের (Rajasthan) জয়পুরে (Jaipur)।
পুলিস সূত্রে খবর, বুধবার রাতে জাতীয় সড়কে ওই দুর্ঘটনাটি ঘটে। রাস্তার মাঝেই মধ্যরাত পর্যন্ত পড়েছিল যুবকের দেহ। কারোর চোখে পড়েনি। ফলে যুবকের দেহের উপর দিয়ে মধ্যরাত পর্যন্ত গাড়ি চলেছিল। রাত ২ টো নাগাদ এক পথচারীর চোখে পড়তেই পুলিসে খবর দেন। পুলিস এসে রাস্তা থেকে দেহাংশ বেলচার সাহায্যে তোলে। তারপর সেই দলা পাকানো দেহাংশ হাসাপাতালে পাঠায় ময়নাতদন্তের জন্য।
জানা গিয়েছে, এমনই বিকৃতি হয়ে গিয়েছিল দেহ চেনার কোনও উপায় ছিল না। তবে ওই যুবকের পোশাক এবং ডান হাতে থাকা বালার ছবি তুলে রেখেছে পুলিস, যাতে চিহ্নিতকরণে সুবিধা হয়। এবং বিভিন্ন থানায়ও পাঠানো হয় সেই ছবি।