বেজে গিয়েছে লোকসভা নির্বাচনের দামামা। ইতিমধ্যেই নির্বাচনী ময়দানে প্রচারের ঝড় তুলেছে সমস্ত রাজনৈতিক দল। বঙ্গের ৪২ আসনে প্রার্থী তালিকা ঘোষণা করেছে রাজ্যের শাসকদল তৃণমূল। ২০ আসনে প্রার্থী তালিকা ঘোষণা করলেও বাকি আসনগুলোতে এখনও প্রার্থী তালিকা প্রকাশ করেনি বিজেপি। ইতিমধ্যেই কেন্দ্রীয় বিজেপির পক্ষ থেকে চতুর্থ দফায় প্রার্থী তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে। সেখানে পুদুচেরি ও তামিলনাড়ুর প্রার্থী তালিকা প্রকাশ হয়েছে।
বিজেপি সূত্রে খবর, বাংলার বাকি আসনগুলোর প্রার্থী তালিকা চূড়ান্ত করতে ফের দিল্লি যাচ্ছেন বিজেপির রাজ্যসভাপতি সুকান্ত মজুমদার ও বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। শনিবার কেন্দ্রীয় নির্বাচনী কমিটির বৈঠকে অংশ নেবেন তাঁরা। সূত্রের খবর, বৈঠকের পরেই বাংলার বাকি আসনে প্রার্থী তালিকা ঘোষণা করবে বিজেপি। বিজেপির প্রার্থী তালিকা প্রকাশে বিলম্ব হওয়ায় সরব রাজ্যের শাসকদল। তাঁদের অভিযোগ, প্রার্থী খুঁজতে হিমশিম খেতে হচ্ছে বিজেপিকে। যদিও সমস্ত অভিযোগ উড়িয়ে বিজেপির প্রার্থী তালিকার পদ্ধতিগত দিকটি ব্যাখ্যা করেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি।
বিজেপি বাংলায় আনুষ্ঠানিক ভাবে বাকি ২২ আসনে প্রার্থী ঘোষণা না করলেও বেশ কয়েকটি আসনে সম্ভাব্য প্রার্থীদের নাম প্রকাশ্যে আসছে।
বারাসতে- প্রাক্তন আইপিএস দেবাশিস ধর
বর্ধমান-দুর্গাপুরে- দিলীপ ঘোষ
মেদিনীপুর- ভারতী ঘোষ
দমদম- শীল ভদ্র দত্ত
ব্যারাকপুর- অর্জুন সিং
দক্ষিণ কলকাতায়- বৈশাখী ডালমিয়া
যদিও সম্ভাব্য তালিকাকে গুরুত্ব দিতে নারাজ রাজ্য বিজেপি নেতৃত্ব। চূড়ান্ত প্রার্থী তালিকা ঘোষণার পরেই কারা প্রার্থী হচ্ছেন তা স্পষ্ট হবে বলেই মত গেরুয়া নেতৃত্বের।
লোকসভা নির্বাচন ২০২৪-এর জন্য প্রথম প্রার্থী তালিকা ঘোষণা করল বিজেপি। আজ, শনিবার প্রথম দফায় ১৯৫ জন প্রার্থীর নাম ঘোষণা করল বিজেপি। যার মধ্যে রয়েছে বাংলার ২০টি আসনের প্রার্থীর নাম। বিজেপির প্রথম প্রার্থী তালিকায় জায়গা পেয়েছেন ৩৪ জন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী এবং লোকসভার ও কয়েকটি রাজ্যের বিধানসভার অধ্যক্ষও। বারাণসী থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। গান্ধিনগর থেকে প্রার্থী হচ্ছেন অমিত শাহ। মথুরা থেকে লড়বেন হেমা মালিনী। লখনউ থেকে লড়বেন প্রতিরক্ষা মন্ত্রী রাজনাথ সিং। প্রথম প্রার্থী তালিকায় ২৮ জন মহিলা প্রার্থীর নাম রয়েছে।
বাংলায় কোচবিহার থেকে বিজেপির হয়ে লড়বেন নিশীথ প্রামাণিক, আলিপুরদুয়ারে বিজেপির প্রার্থী মনোজ টিজ্ঞা, বালুরঘাটের বিজেপি প্রার্থী সুকান্ত মজুমদার, মালদা উত্তরে বিজেপির টিকিট পেলেন খগেন মুর্মু, মালদা দক্ষিণে বিজেপি প্রার্থী শ্রীরূপা মিত্র চৌধুরী, নির্মল কুমার সাহা লড়বেন বহরমপুর, রানাঘাট থেকে লড়বেন জগন্নাথ সরকার, বনগাঁ শান্তনু ঠাকুর, যাদবপুর থেকে লড়বেন ড. অনির্বাণ গঙ্গোপাধ্যায়, হাওড়া থেকে বিজেপির হয়ে লড়বেন রথিন চক্রবর্তী, হুগলি থেকে লড়বেন লকেট চট্টোপাধ্য়ায়, ঘাটাল থেকে লড়বেন হিরণ চট্টোপাধ্য়ায়, কাঁথি থেকে লড়বেন সৌমেন্দু অধিকারী, বাঁকুড়া থেকে নির্বাচিত সুভাষ সরকার, বিষ্ণুপুর থেকে লড়বেন সৌমিত্র খাঁ, আসানসোল পবন সিং, বোলপুর থেকে লড়বেন প্রিয়া শা।
প্রসঙ্গত, ২০১৯ সালে প্রথম তালিকায় ১৮০ জন প্রার্থীর নাম ঘোষণা করেছিল বিজেপি। প্রার্থী তালিকা ঘোষণা করা হয়েছিল, ভোটের সূচি ঘোষণার ১১ দিন পর।
মাধ্যমিক পরীক্ষার সময় কিছুটা এগিয়ে এলে সমস্যায় পড়ে যায় পরীক্ষার্থী সহ শিক্ষক-শিক্ষিকারা। এবার সেই কথা চিন্তাভাবনা করে হাইকোর্টের নির্দেশে প্রতিটি জেলার জন্য দুটি করে হেল্পলাইন নম্বর চালু করল মধ্যশিক্ষা পর্ষদ। যদিও হাইকোর্টের নির্দেশের পূর্বে বর্ধমান, কলকাতা, মেদিনীপুর ও উত্তরবঙ্গ চারটি আঞ্চলিক এলাকার জন্য চারটি হেল্পলাইন নম্বর খুলেছিল মধ্যশিক্ষা শিক্ষা পর্ষদ।
মধ্যশিক্ষা শিক্ষা পর্ষদ জানিয়েছে, এই হেল্পলাইন নম্বরগুলি মাধ্যমিক পরীক্ষার দিনগুলিতে সকাল ৬টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা অবধি চালু থাকবে। কোনও পরীক্ষার্থী সঠিক সময় পৌঁছতে না পারলে বা পরীক্ষার্থীরা কোনওরকম সমস্যায় পড়লে জন্য, তারা যোগাযোগ করতে পারবে এই হেল্পলাইন নম্বরগুলিতে।
পরীক্ষার মাত্র কয়েকদিন আগে কেন সময় বদল করা হল, সেই প্রশ্নই ঘুরপাক খাচ্ছে সকলের মধ্যে। আগামী ২ ফেব্রুয়ারি থেকে শুরু হবে মাধ্যমিক পরীক্ষা। যে সময় মাধ্যমিক পরীক্ষা শুরু হওয়ার কথা ছিল, তার থেকে দু'ঘণ্টা আগে অর্থাৎ সকাল ৯ টা ৪৫ মিনিট থেকে পরীক্ষা শুরু হয়ে যাবে। আর সকাল আটটা থেকে পরীক্ষাকেন্দ্রে পৌঁছতে হবে শিক্ষক এবং অশিক্ষক কর্মীদের।
রাজ্য মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীর সমস্যা কথা না ভেবে এবং কোনও শিক্ষক সংগঠনগুলির সঙ্গে আলোচনা ছাড়াই দুই ঘণ্টা পরীক্ষা এগিয়ে আনার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বলে অভিযোগ করে একাধিক শিক্ষা সংগঠন। এই সময় বদলের ফলে শহর থেকে শুরু করে গ্রামের পড়ুয়াদের অভিভাবকরা দুঃশ্চিন্তায় রয়েছেন। অত সকালে যানবাহনের অসুবিধের মধ্যে পড়তে পারেন পড়ুয়া থেকে শুরু করে শিক্ষকরাও। আবার গ্রামের দিকে একটি স্কুল থেকে আরেকটির দূরত্ব অনেকটা। ফলে তাদের পরীক্ষাকেন্দ্রে পৌঁছতে বেরোতে হবে একদম ভোরে। এই হেল্পলাইন নম্বর গুলি কতটা কার্যকর হবে গ্রামের পরীক্ষার্থীদের ক্ষেত্রে এখন সেটাই বিবেচ্য বিষয়।
'কেন্দ্রীয় বঞ্চনা'র অভিযোগে দিল্লির যন্তর মন্তরে (Jantar Mantar) ধরনা দিতে চেয়েছিল রাজ্যের তৃণমূল সরকার। ধরনার জন্য লিখিত আবেদনও দেওয়া হয়েছিল দিল্লি পুলিসের কাছে। শেষ পর্যন্ত তৃণমূলের ধরনার জন্য অনুমতি দেয়নি দিল্লি পুলিস। কিন্তু সেই জায়গাতেই ২০০৯-এর প্রাথমিক চাকরিপ্রার্থীদের আধ ঘণ্টা ধরনা করার ক্ষেত্রে সায় দিয়েছে দিল্লি পুলিস। ফলে সোমবার যন্তর মন্তরে ধরনায় বসেন দক্ষিণ ২৪ পরগনার ২০০৯ সালের প্রাথমিকের চাকরিপ্রার্থীরা।
কেন্দ্রীয় প্রকল্পে বাংলার প্রতি বঞ্চনার অভিযোগে মোদী সরকারের বিরুদ্ধে দিল্লিতে রাজঘাটে আন্দোলনে বসেছে তৃণমূল। ফলে তৃণমূল সাংসদ-বিধায়করা যখন দিল্লির রাজঘাটে ধরনা-বিক্ষোভে সামিল হয়েছে, সেসময় রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে নিয়োগে বঞ্চনার অভিযোগে মোদী সরকারের দ্বারস্থ হয়ে দিল্লির যন্তর মন্তরে ধরনায় বসেন দক্ষিণ ২৪ পরগনার ২০০৯ সালের প্রাথমিকের চাকরিপ্রার্থীরা। তাঁরা এদিন হাতে পোস্টার নিয়ে বিক্ষোভ দেখান। তাঁরা জানিয়েছেন, তাঁরা ১৪ বছরের বঞ্চনার কথা বলতে এসেছেন দিল্লিতে।
চাকরিপ্রার্থীরা আরও জানিয়েছেন, তাঁরা চাকরির দাবিতে এখানে ধরনায় বসেছেন। বাংলায় একাধিক জায়গায় অভিষেক বন্দ্যোপাধ্য়ায়ের সঙ্গে দেখা করতে গেলেও তাঁদের লালবাজারে নিয়ে যাওয়া হয়েছে, গ্রেফতার করা হয়েছে। ফলে তাঁরা এবারে দিল্লি এসেছেন। এমনকি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় যেখানে যেখানে ধরনায় বসবেন, সেখানেই তাঁরা বিক্ষোভ দেখাবেন বলে জানিয়েছেন চাকরিপ্রার্থীরা। প্রধানমন্ত্রী এবং কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রীর কাছে লিখিত ভাবে রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে অভিযোগ জানানো হবে বলেও জানিয়েছেন তাঁরা।
দক্ষিণ কলকাতার অন্যতম ব্যস্ত হাজরা মোড় বুধবার যেন মিছিল-আন্দোলনের হটস্পট। হাইকোর্টের অনুমতি পাওয়ার পর ক্যামাক স্ট্রিট অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Abhishek Banerjee) অফিসের সামনে দিয়ে মিছিল শুরু করে নিজাম প্যালেস এবং এক্সাইড মোড় ঘুরে হাজরা মোড়ে এসে মিছিল শেষ করেন রাজ্য গ্রুপ ডি (Group D) চাকরিপ্রার্থীরা। এদিকে তার আগেই হাজরা মোড়ে এসে জড়ো হন ২০০৯ সালে দক্ষিণ ২৪ পরগনার প্রাথমিকের চাকরিপ্রার্থীরা। কিন্তু রুট ভেঙে মুখ্যমন্ত্রীর বাড়ির দিকে এগোনোর চেষ্টা করতেই পুলিসের সঙ্গে বিপুল ধস্তাধস্তি বেঁধে যায় তাঁদের।
২০০৯ সালের প্রাথমিকের চাকরিপ্রার্থীদের দাবি, তাঁরা বুধবার কালীঘাটে মুখ্যমন্ত্রীর বাড়ি যাবেন বলে আগেই জানিয়েছিলেন। কিন্তু এই নিয়ে একাধিকবার মেল এবং লিখিত আবেদন করা সত্ত্বেও কোনও কাজ হয়নি। ফলে বিনা অনুমতিতেই তাঁরা হাজরা মোড়ে জড়ো হন। পরিস্থিতি বুঝে আগে থেকেই প্রচুর সংখ্যায় পুলিস মোতায়েন করা হয়েছিল। এর মধ্যেই কয়েকজন পুলিসের ঘেরাটোপ গলে কালীঘাটে মুখ্যমন্ত্রীর বাড়ির দিকে দৌড়তে থাকেন। তখন উলটো দিক থেকে পুলিস এবং কমব্যাট ফোর্স এসে তাদের আটকে দেয়। রাস্তায় রীতিমত শুয়ে পড়েন চাকরিপ্রার্থীরা। টেনে হিঁচড়ে, চ্যাংদোলা করে তাঁদের গাড়িতে তোলা হয়।
তাঁদের সেখান থেকে সরিয়ে নিয়ে যাওয়ার কিছুক্ষণের মধ্যেই হাজরা মোড়ে এসে হাজির হয় রাজ্য গ্রুপ ডি-র চাকরিপ্রার্থীদের মিছিল। হাজরা মোড়ে পৌঁছে গিয়েও নিজেদের দাবিতে অনড় চাকরিপ্রার্থীরা বারবার স্লোগান তোলেন, দ্রুত নিয়োগ দিন মুখ্যমন্ত্রী। তাঁদের এবং তাঁদের পরিবারের মুখে হাসি ফিরিয়ে দিন। একই দাবি তাঁদের অভিভাবকদেরও। সে মুহুর্মূহু স্লোগান দিতে থাকেন। পুলিসি ব্যারিকেডের মধ্যে থেকেই তাদের এই স্লোগান বিক্ষোভে অন্য মাত্রা নেয়।
নিবেদিতা মাইতি: কলকাতা লাগোয়া নিউটাউন রাজারহাটেও নির্বাচনী হিংসার রেশ বহাল। ব্যালট বক্স ভাঙচুড়, ছাপ্পা ভোট সহ ব্যাপক মারধর, বোমাবাজিরও অভিযোগ উঠেছে। এমনকি রাজারহাটের ২৬৯, ২৭০ নম্বর বুথের গ্রাম পঞ্চায়েতের সিপিআইএম প্রার্থী (CPIM Candidates) সুতপা মিস্ত্রি সহ তাঁর বাবার উপর প্রাণঘাতী হামলারও (Attack) অভিযোগ উঠে আসছে। অভিযোগ উঠেছে তৃণমূল (TMC) আশ্রিত দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে।
এই ঘটনায় ওই সিপিআইএম প্রার্থী সুতপা মিস্ত্রি সিএন ডিজিটালকে জানিয়েছেন, 'শনিবার সকালে আমি ও বাবা ভোটকেন্দ্রে পৌঁছই। আমার বাবাই আমার পোলিং এজেন্ট। আমারা বুথে ঢোকার পরই বুথ দখল করতে আসে তৃণমূলের প্রায় ২০ থেকে ২৫ জন দুষ্কৃতী। তারপরেই দুষ্কৃতীরা বুথের বাইরে আমাকে আর বাবাকে ঘেরাও করে মারধরের চেষ্টা করে। এমনকি আমাকে খুনের হুমকিও দেয়। এই ঘটনার কিছুক্ষণ পরেই দুষ্কৃতীরা লোকচক্ষুর আড়াল থেকে বাবাকে তুলে নিয়ে চলে যায়। বেশ কিছুক্ষণ তাঁরা বাবাকে আটকে রাখে। বাবার ফোন কেড়ে নেয়, মাথায় পিস্তল ঠেকিয়ে খুন করার হুমকি দেয়।' তিনি আরও বলেন, 'দুষ্কৃতীরা বাবাকে মারধর করে, হুমকি দিয়ে, শেষ পর্যন্ত ছেড়ে দেয়। তবে এখনও পর্যন্ত কেড়ে নেওয়া ফোনটি ফেরত দেয়নি। এমনকি শনিবার রাতেও আমাদের বাড়ির বাইরে তাণ্ডব চালায় দুষ্কৃতীরা।'
সিপিআইএম প্রার্থী সুতপা মিস্ত্রি দাবি করেন, 'বাবকে মারধর কারার কথা লিখিতভাবে জনানো হয়েছে নিউটাউন থানার পুলিসকে। তবে পুলিসের তরফ থেকে কোনও প্রতিক্রিয়া মেলেনি। কোনও রকমের সহযোগিতা করেননি পুলিস,' এমনটাই দাবি করছেন তিনি।
শনিবারের পঞ্চায়েত নির্বাচনে বুথ দখলকে কেন্দ্র করে রাজ্য জুড়ে উত্তপ্ত পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। সেই দিক থেকে হিংসার আঁচে বাদ পড়েনি নিউটাউনের পঞ্চায়েত এলাকাগুলিও। তবে এই উত্তপ্ত পরিস্থিতিকে সামাল দিতে বুথের বাইরে দেখা মেলেনি কেন্দ্রীয় বাহিনীর। রাজ্যের প্রায় সব পঞ্চায়েত এলাকাগুলিতেই কেন্দ্রীয় বাহিনী ও রাজ্য পুলিসের নিষ্ক্রিয়তার ছবি পাওয়া গিয়েছে। তবে রবিবার নির্বাচন কমিশনার রাজীব সিনহা জানিয়েছেন, এই নির্বাচনে মোট ১০ জনের মৃত্যু হয়েছে। যদিও অলিখিত ভাবে এখনও পর্যন্ত মৃতের সংখ্যা ৪৪ এবং আহতর সংখ্যা ৩০০ ছাড়িয়েছে।
বিজেপি প্রার্থীর (BJP Candidates) বাড়ি লক্ষ্য করে ইটবৃষ্টি ও বোমাবাজির (Bomb) অভিযোগ উঠলো শাসক দলের (TMC) বিরুদ্ধে। বৃহস্পতিবার রাতে ঘটনাটি ঘটেছে আমডাঙা (Amdanga) থানার অন্তর্গত আদহাটা পঞ্চায়েত এলাকার ৩৭ নম্বর বুথে। এই ঘটনার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় আমডাঙা থানার পুলিস (Police)। যদিও এই বিষয়ে ওই বিজেপি প্রার্থী থানায় কোনও লিখিত অভিযোগ দায়ের করেননি। শাসক দলের বিরুদ্ধে ওঠা এই অভিযোগ সম্পূর্ণ অস্বীকার করেছেন শাসক দলের কর্মীরা। তবে এই ঘটনাকে ঘিরে বেশ আতঙ্ক ছড়িয়েছে এলাকায়।
সূ্ত্রের খবর, ওই বিজেপি প্রর্থীর নাম পঙ্কজ মজুমদার। তিনি আমডাঙার আদহাটা পঞ্চায়েত এলাকার ৩৭ নম্বর বুথের বিজেপি প্রার্থী। ওই বিজেপি প্রার্থী জানান, বৃহস্পতিবার মধ্যরাতে তাঁর বাড়িতে কিছু তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা হামলা চালায়। প্রার্থীর বাড়ি লক্ষ্য করে ইট ও বোমাও ছোঁড়া হয়, এমনটাই জানান তিনি। এই বিষয়ে তিনি আরও দাবি করেন, 'আদহাটা গ্রামের ৩৭ নম্বর বুথে বিজেপির জেতার প্রবল সম্ভবনা রয়েছে। আর তাই ভেবে তৃণমূলের পায়ের তলার মাটি সরে গিয়েছে, তাই রাতের অন্ধকারে বাড়িতে ইট বোমাবাজি করে ভয় দেখানোর চেষ্টা চালাচ্ছে।'