লোকসভা নির্বাচনে রাজ্যের আরও পাঁচটি আসনে প্রার্থী দিল বামফ্রন্ট। আজ, শুক্রবার বিকেলে আলিমুদ্দিন স্ট্রিটে দলীয় দফতরে সেই ঘোষণা করেন বামফ্রন্ট চেয়ারম্যান বিমান বসু। প্রার্থী দেওয়া নিয়ে আইএসএফের দর কষাকষিতে বামফ্রন্ট যে অসন্তুষ্ট সেটাও বোঝা গিয়েছে এদিনের সাংবাদিক সম্মেলনে। আইএসএফের পর ডায়মন্ড হারবারে প্রার্থী দিল সিপিআইএম।
ডায়মন্ড হারবারে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে আইএসএফ দাঁড় করিয়েছে মজনু লস্করকে। নওশাদ সিদ্দিকী প্রথমে এই আসন থেকে লড়াই করবেন বলে বারবার জানিয়ে এলেও তা হয়নি। এই ভোলবদলের কারণ নিয়ে প্রশ্নের উত্তরে নওশাদ বলছেন, তিনি দলের ঊর্ধ্বে নন। আইএসএফের প্রার্থী দেওয়ার পর আজ সিপিআইএম প্রতীকুর রহমানকে ডায়মন্ড হারবারে প্রার্থী করল। সন্দেশখালির প্রাক্তন বিধায়ক এবং সাম্প্রতিক সন্দেশখালি আন্দোলনের মুখ হিসেবে উঠে আসা নিরাপদ সর্দারকে প্রার্থী করা হয়েছে বসিরহাট কেন্দ্র থেকে।
ব্যারাকপুর আসন থেকে সিপিআইএমের হয়ে লড়বেন দেবদূত ঘোষ। ঘাটাল আসনে সিপিআইয়ের তপন গঙ্গোপাধ্যায়ের নাম প্রার্থী হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে। বারাসত কেন্দ্র থেকে লড়াই করবেন ফরওয়ার্ড ব্লক প্রার্থী প্রবীর ঘোষ। এদিন বামফ্রন্টের তরফে জানানো হয়েছে, ৩০টি আসনে লড়বেন বামফ্রন্টের প্রার্থীরা। জয়নগর ও মথুরাপুর আসনে প্রার্থী দেওয়া হবে। ১২টি আসনে বামেদের সমর্থনে লড়াই করবে কংগ্রেস। পুরুলিয়ায় একাই লড়বে ফরওয়ার্ড ব্লক।
জল্পনার অবসান। অবশেষে লোকসভা ভোটের জন্য পঞ্চম প্রার্থীতালিকা ঘোষণা করল বিজেপি। রবিবার নয়াদিল্লি থেকে ১৭টি রাজ্যের ১১১টি লোকসভা আসনের নাম ঘোষণা পদ্ম শিবিরের।
জল্পনার অবসান। অবশেষে লোকসভা ভোটের জন্য পঞ্চম প্রার্থীতালিকা ঘোষণা করল বিজেপি। রবিবার নয়াদিল্লি থেকে ১৭টি রাজ্যের ১১১টি লোকসভা আসনের নাম ঘোষণা পদ্ম শিবিরের। এর মধ্যে পশ্চিমবঙ্গের ১৯টি আসন রয়েছে। মেদিনীপুরের বিদায়ী সাংসদ দিলীপ ঘোষ এবার লড়বেন বর্ধমান-দুর্গাপুর কেন্দ্র থেকে। অন্যদিকে, মেদিনীপুর আসন থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন আসানসোল দক্ষিণের বিধায়ক বিজেপি অগ্নিমিত্রা পল। এছাড়া, ব্যারাকপুর থেকে লড়বেন অর্জুন সিং। বিজেপির এই প্রার্থী তালিকায় বেশ কিছু চমক রয়েছে। তমলুক থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন কলকাতা হাইকোর্টের প্রাক্তন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। সন্দেশখালির প্রতিবাদী মুখ রেখা পাত্রকে বসিরহাট আসনে প্রার্থী করা হয়েছে। তবে ডায়মন্ড হারবার, বীরভূম, আসানসোল এবং ঝাড়গ্রাম আসনের প্রার্থীর নাম এখনও ঘোষণা করা হয়নি।
একনজরে বাংলার প্রার্থী তালিকা
জলপাইগুড়ি - ডাঃ জয়ন্ত রায়
দার্জিলিং-রাজু বিস্তা
রায়গঞ্জ-কার্তিক পাল
জঙ্গিপুর-ধনঞ্জয় ঘোষ
কৃষ্ণনগর-অমৃতা রায় (রানিমাতা)
ব্যারাকপুর-অর্জুন সিং
দমদম-শীলভদ্র দত্ত
বারাসত- স্বপন মজুমদার
বসিরহাট- রেখা পাত্র
মথুরাপুর-অশোক পুরকায়েত
কলকাতা দক্ষিণ- দেবশ্রী চৌধুরী
কলকাতা উত্তর-তাপস রায়
উলুবেড়িয়া- অরুণ উদয় পাল চৌধুরী
শ্রীরামপুর-কবীর শঙ্কর বোস
আরামবাগ- অরূপ কান্তি দিগর
তমলুক-অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় (প্রাক্তন বিচারপতি)
মেদিনীপুর-অগ্নিমিত্রা পল
বর্ধমান পূর্ব- অসীম কুমার সরকার
বর্ধমান-দুর্গাপুর- দিলীপ ঘোষ
বিজেপির এই প্রার্থীতালিকা নিয়ে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী জানান, যাঁরা প্রাথী হয়েছেন, তাঁদের সবারই জন্যই দল ঐক্যবদ্ধভাবে লড়বে।
লোকসভা নির্বাচন কড়া নাড়ছে দোরগোড়ায়। ১৬ মার্চ নির্বাচন কমিশনের তরফ থেকে ভোটের নির্ঘণ্ট প্রকাশ করা হয়েছে৷ এবারেও বাংলায় ৭ দফায় ভোট হবে৷ শনিবার আলিমুদ্দিন স্ট্রিটে দ্বিতীয় প্রার্থী তালিকা প্রকাশ করলেন বামফ্রন্ট চেয়ারম্যান বিমান বসু। এই তালিকায় চমক, মুর্শিদাবাদে প্রার্থী হচ্ছেন সিপিআইএম রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম।
সিপিএমের টিকিটে রানাঘাট থেকে লড়বেন অলোকেশ দাস, বোলপুর শ্যামলী প্রধান এবং বর্ধমান-দুর্গাপুর কেন্দ্রের প্রার্থী হয়েছেন সুকৃতি ঘোষাল। সুকৃতি ঘোষাল বর্ধমান মহিলা কলেজের প্রাক্তন অধ্যক্ষ ছিলেন। এদিন বিমান বসু বলেছেন, প্রার্থী তালিকা নিয়ে আরও আলোচনা বাকি রয়েছে। তাই বাকিদের নাম পরে ঘোষণা করা হবে।
উল্লেখ্য, ১৯শে এপ্রিল প্রথম দফায় কোচবিহার, আলিপুরদুয়ার, জলপাইগুড়ি ও ২৬ এপ্রিল দ্বিতীয় দফায় দার্জিলিং, রায়গঞ্জ, বালুরঘাট আসনে প্রার্থী দেওয়া সম্পূর্ণ বামেদের৷ এর আগে মোট ১৭টি আসনে প্রার্থী দিয়েছিল বামেরা। সবমিলিয়ে মোট ২১ আসনের প্রার্থীদের নাম ঘোষণা করে দিল তারা। তবে ২১ বাকি আসনে প্রার্থী দিতে আরও কিছুটা সময় লাগবে বলে জানিয়ে দিলেন বিমান বসু। কারণ আসনগুলি নিয়ে শরিকদের সঙ্গে এখনও আলোচনা চলছে। সহমত হওয়ার পরই বাকি প্রার্থীদের নাম ধোষণা করা হবে।
ব্রিগেডের জনগর্জন সভা থেকে পশ্চিমবঙ্গ-সহ বিভিন্ন রাজ্যের প্রার্থী তালিকা ঘোষণা করে দিলেন তৃণমূল কংগ্রেস। বেশ কয়েকটি আসনে বদলানো হলো প্রার্থী। ফলে বিদায়ী অনেক সাংসদই টিকিট পেলেন না। তৃণমূল কংগ্রেসের প্রার্থী তালিকায় একঝাঁক নতুন মুখ। নজিরবিহীনভাবে লোকসভার ৪২ প্রার্থী নিয়ে র্যাম্পে হাঁটলেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
প্রার্থী তালিকায় যাঁদের নাম রয়েছে, দেখে নিন একনজরে-
কোচবিহার থেকে লড়বেন- জগদীশ চন্দ্র বর্মা বসুনিয়া
আলিপুরদুয়ার- রাজ্যসভার সাংসদ প্রকাশ চিক বড়াইক
জলপাইগুড়ি- সাংসদ নির্মল চন্দ্র রায়
দার্জিলিং- গোপাল লামা
রায়গঞ্জ- কৃষ্ণ কল্যানী
বালুরঘাট- মন্ত্রী বিপ্লব মিত্র
মালদা উত্তর- প্রাক্তন আইপিএস প্রসূন বন্দ্যোপাধ্যায়
মালদা দক্ষিণ- শানোয়াজ আলী রেহান
জঙ্গিপুর- খলিলুর রহমান
বহরমপুর- ক্রিকেটার ইউসুফ পাঠান
মুর্শিদাবাদ- আবু তাহের খান
কৃষ্ণনগর- মহুয়া মৈত্র
রানাঘাট- মুকুটমণি অধিকারী
বনগাঁ- বিশ্বজিৎ দাস
ব্যারাকপুর- পার্থ ভৌমিক
দমদম- প্রফেসর সৌগত রায়
বারাসত- ডক্টর কাকলি ঘোষ দস্তিদার
বসিরহাট- হাজী নুরুল ইসলাম
জয়নগর- প্রতিমা মণ্ডল
মথুরাপুর- যুবনেতা বাপি হালদার
ডায়মন্ড হারবার- তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়
যাদবপুর- সায়নী ঘোষ
কলকাতা দক্ষিণ- মালা রায়
কলকাতা উত্তর- সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়
হাওড়া- ফুটবলার প্রসূন বন্দ্যোপাধ্যায়
হুগলি- অভিনেত্রী রচনা বন্দ্যোপাধ্যায়
আরামবাগ- মিতালী বাগ
তমলুক- আইটি সেলের রাজ্যের ইনচার্জ দেবাংশু ভট্টাচার্য
কাঁথি- উত্তম বারিক
ঘাটাল- দীপক অধিকারী (দেব)
মেদিনীপুর- জুন মালিয়া
ঝাড়গ্রাম- কালিপদ সরেন
পুরুলিয়া- শান্তি রাম মাহাতো
বর্ধমান-দুর্গাপুর- কীর্তি আজাদ
আসানসোল- শত্রুঘ্ন সিনহা
বাঁকুড়া- অরূপ চক্রবর্তী
বোলপুর- অসিতকুমার মাল
বীরভূম- শতাব্দী রায়
বিষ্ণুপুর- সুজাতা খাঁ
সুপার সানডে! লোকসভা ভোটের দামামা বাজিয়ে একেবারে কোমর বেঁধে প্রচারের ময়দানে নেমেছে বিজেপি-তৃণমূল। আজ, 'জনগর্জন সভা' তৃণমূলের। আর সেই সভায় যোগ দিতে রাজ্যের বিভিন্ন জেলা থেকে কর্মী-সমর্থকরা ইতিমধ্যে এসে উপস্থিত হয়েছেন ব্রিগেড ময়দানে। ক’দিন আগে বিজেপি রাজ্যের ৪২টি আসনের মধ্যে ২০টি আসনের প্রার্থিতালিকা ঘোষণা করেছিল। সূত্রের খবর, আজকের সভামঞ্চ থেকে তৃণমূল ৪২টি আসনেই প্রার্থীদের নাম ঘোষণা করে দিতে চলেছে।
৪২ এ ৪২-এর লক্ষ্যে 'জনগর্জন সভা' থেকেই প্রচারে নেমে পড়বেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। তবে এদিন তাৎপর্যপূর্ণ ভাবে সভা থেকেই প্রার্থী তালিকা তৃণমূল সুপ্রিমো ঘোষণা করা হবে। ইতিমধ্যে বাংলার ২০ আসনে প্রার্থী তালিকা ঘোষণা করে চমক দিয়েছে বিজেপি। পাল্টা ব্রিগেডের ময়দানই প্রার্থী তালিকা ঘোষণার করবেন সুপ্রিমো। ৪২ টি লোকসভা আসনেই প্রার্থী তালিকা ঘোষণা করা হবে।
উল্লেখ্য, কলকাতা হাইকোর্টের প্রাক্তন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় ৭ই মার্চ বিজেপিতে যোগদান করেছেন। আবার তৃণমূলের বর্ষীয়ান নেতা তাপস রায়ও ঘাসফুল শিবির ছেড়ে বিজেপিতে নাম লিখিয়েছেন। পাল্টা বিজেপি বিধায়ক মুকুটমণি অধিকারীকে ঘরে তুলেছে তৃণমূল। ব্রিগেডের মঞ্চে আরও বড় কোনও চমক থাকতে পারে বলে জানা গিয়েছে।
পঞ্চায়েত নির্বাচনে (Panchayat Election) ৬০ হাজার আসনে প্রার্থীর হলফনামা প্রকাশ করার নির্দেশ দিল হাইকোর্ট (High Court)। অর্থাৎ ৫ দিনেই কমিশনকে হলফনামা প্রকাশ করে সমস্তটা জানাতে হবে।
পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে সাধারণত পঞ্চায়েত সমিতি এবং জেলা পরিষদের প্রার্থীদের হলফনামা প্রকাশ করে কমিশন। গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রার্থীদের হলফনামা প্রকাশ করা হয় না। গ্রাম পঞ্চায়েতে প্রার্থীর সংখ্যা অনেক বেশি হওয়ার কারণেই হলফনামা দেয় না কমিশন। তাঁদের যুক্তি, ভোটের আগে স্বল্প সময়ে এত প্রার্থীর হলফনামা দেওয়া সম্ভব নয়। কিন্তু এ বছর গ্রাম পঞ্চায়েতের সেই সকল প্রার্থীর হলফনামাও প্রকাশ করতে হবে বলে নির্দেশ দিল হাইকোর্ট। সোমবার হাই কোর্টের বিচারপতি অমৃতা সিংহের বেঞ্চে এই মামলার শুনানি হয়। বিচারপতি জানান, শুধু পঞ্চায়েত সমিতি বা জেলা পরিষদের প্রার্থীদের হলফনামা প্রকাশ করলেই হবে না। সব গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রার্থীর হলফনামাও প্রকাশ্যে আনতে হবে।
বিচারপতি সিংহের পর্যবেক্ষণ, ভোটাররা যে প্রার্থীদের ভোট দেবেন, তাঁদের সম্পর্কে সাধারণ জ্ঞান থাকা দরকার। হলফনামা দেখে প্রার্থী সম্পর্কে অনুমান করতে পারবেন ভোটাররা। তাই সকলের হলফনামা প্রয়োজন।
আগামী সপ্তাহেই প্রকাশিত হতে চলেছে তৃণমূল কংগ্রেসের (TMC) প্রার্থী তালিকা (Candidate List)। তৃণমূল কংগ্রেস সূত্রে জানা গিয়েছে, পঞ্চায়েত নির্বাচনের (Panchayet Election) জন্য প্রায় ৬০ হাজার পার্থী তালিকা প্রকাশ করবে তারা। ৮ জুলাই রাজ্যে একদফায় পঞ্চায়েত নির্বাচন হবে। শুরু হয়ে গিয়েছে মনোনয়ন পত্র জমা। ইতিমধ্যে বেশ কয়েকটি পঞ্চায়েতে মনোনয়ন জমাও হয়ে গিয়েছে। যদিও তৃণমূলের তরফে কেন্দ্রীয় ভাবে প্রার্থী তালিকা প্রকাশ করা হবে বলে জানা গিয়েছে।
পঞ্চায়েত নির্বাচনের জন্য নবজোয়ার কর্মসূচি চালাচ্ছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। সেখান থেকে বিভিন্ন পঞ্চায়েতের পছন্দের প্রার্থী খোঁজার কাজও চলছে। ওই কর্মসূচি শেষ হলেই পঞ্চায়েত নির্বাচনের প্রার্থী তালিকা ঘোষণা করতে পারে তৃণমূল কংগ্রেস। এদিকে পঞ্চায়েত নির্বাচনে ৫ দফা আবেদন নিয়ে হাইকোর্টে গেছে বিজেপি এবং কংগ্রেস। আগামী সোমবার ওই মামলার শুনানি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।