প্রসূন গুপ্তঃ অবশেষে একেবারে ভোট শুরুর দোরগোড়ায় আসানসোল লোকসভা কেন্দ্রে বিজেপি প্রার্থী করল পুরাতন সাংসদ সুরিন্দর সিং আলুওয়ালিয়াকে। বড্ড দেরিতে এই ঘোষণা হলো। অঞ্চলের সাংসদ শত্রুঘ্ন সিনহা ইতিমধ্যেই ৫০ শতাংশ অঞ্চলে প্রচার সেরে ফেলেছেন। এবারে প্রশ্ন এই আসানসোল কেন্দ্রে প্রার্থী ঠিক করতে এত দেরি হলো কেন?
প্রথমত একেবারে প্রথমেই ভোজপুরি গায়ক/অভিনেতা পবন সিংকে এই কেন্দ্রে প্রার্থী করেছিল বিজেপি। কিন্তু বাঙালিকে নিয়ে পবনের একটি আপত্তিকর গানে তুমুল প্রতিবাদ ওঠে বিভিন্ন মহল থেকে। মানে মানে পবন এক প্রকার পালিয়ে যান ভোট লড়াই থেকে।
এরপর বিজেপি ভাবতে শুরু করে যে, একসময় পরপর দুবার এই লোকসভা জেতার পরে বিজেপি প্রার্থী বাবুল সুপ্রিয় দল ছেড়ে, পদ ছেড়ে তৃণমূলে যদি দেন এবং তাদের সিম্বলে জিতে মমতা মন্ত্রিসভার সদস্য হন। অন্যদিকে উপনির্বাচনে আসানসোল কেন্দ্রে প্রার্থী হন অভিনেতা ও রাজনীতিবিদ শত্রুঘ্ন এবং ৩ লক্ষেরও বেশি ভোটে জিতে আসেন। কাজেই অঞ্চলটি যে বেশ কঠিন তা বেশ ভালো বুঝতে পারে বিজেপি। কিন্তু শত্রুর বিরুদ্ধে উপযুক্ত প্রার্থী খুঁজে পায় না তারা। একবার প্রাক্তন তৃণমূল এবং বর্তমানে বিজেপির নেতা জিতেন্দ্র তিওয়ারিকে কে প্রার্থী করার ভাবনা আসে তাদের কিন্তু সম্প্রতি কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থার সঙ্গে গোপন বৈঠকের কথা জানতে পেরে জিতেনকে বাতিল করা হয়। অবাঙালি অধ্যুষিত এই অঞ্চলে শেষ পর্যন্ত আলুওলিয়াকে ঠিক করা হয়।
আলুওয়ালিয়া ২০১৪-তে দার্জিলিং থেকে সাংসদ হন, ২০১৯ পদ্মফুল চিন্হে জিতে আসেন বর্ধমান/ দুর্গাপুর থেকে। শেষ বার অবিশ্যি নামমাত্র ভোটে জেতেন আলুওয়ালিয়া। এই আলুওয়ালিয়া মূলত প্রয়াত সুষমা স্বরাজের ঘনিষ্ঠ ছিলেন এবং লালকৃষ্ণ আদবানিরও পছন্দের মানুষ। সুরিন্দর আসানসোলের মানুষ, চমৎকার বাংলা বলেন, তাঁর স্ত্রীও বাঙালি। কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র। কিন্তু একটাই মাইনাস পয়েন্ট তিনি মোদী/শাহের অপছন্দের নেতা বলেই গুঞ্জন। শেষ পর্যন্ত উপায়ান্তর না দেখেই তাঁকে প্রার্থী করা হলো। সমস্যা হচ্ছে শত্রুঘ্ন কঠিন প্রার্থী। আসানসোলে প্রচুর বিহারী এবং মুসলিম ভোট। এ ছাড়া শত্রু বিহারীবাবুও বটে কাজেই বেশ কঠিন লড়াই আলুওয়ালিয়ার।
হাতে গোনা আর কয়েকটা মাত্র দিন। তারপরেই শুরু হতে চলেছে দিল্লির কুরসি দখলের লড়াই। রবিবাসরীয় সকালে কলেজ স্কোয়ারে মর্নিং ওয়াক থেকে শুরু করে চায়ে পে চর্চার মাধ্যমে জনসংযোগ সারেন উত্তর কলকাতা লোকসভা কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী তাপস রায়। চায়ের আড্ডায় যোগ দিয়ে বিজেপির দলীয় কর্মী থেকে শুরু করে সাধারণ মানুষের অভাব অভিযোগের কথাও শোনেন তিনি।
উত্তর কলকাতা লোকসভা কেন্দ্রে মূলত গণতন্ত্রের সম্মানের লড়াই হতে চলেছে। এদিন সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়কে নাম না করে আক্রমণ করেন তাপস রায়। সংসদে কোনওদিন উত্তর কলকাতার মানুষদের দাবিদাওয়ার কথা জানাননি সাংসদ, অভিযোগ বিজেপি প্রার্থীর।
কলেজ স্কোয়ারে প্রচার সেরে বেলেঘাটার সিআইটি রোডে বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রায় অংশ নেন উত্তর কলকাতার বিজেপি প্রার্থী তাপস রায়। এদিন হুড খোলা জিপে চড়ে নির্বাচনী প্রচার সারেন তিনি। উত্তর কলকাতায় জয় নিশ্চিত, জানান জয়ের বিষয় আত্মবিশ্বাসী তাপস।
এনআই-এর উপর হামলার ঘটনায় তৃণমূলকে নিশানা করেন তাপস রায়। এছাড়াও উত্তর কলকাতার একাধিক বেআইনি নির্মাণের বিষয়েও চিন্তাপ্রকাশ করেন তিনি।
প্রতিপক্ষ সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়কে কখনও দুর্নীতিগ্রস্ত তো কখনও সুবিধাবাদী বলে কটাক্ষ করেছেন উত্তর কলকাতা লোকসভা কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী তাপস রায়। এর থেকেই স্পষ্ট যে লোকসভা ভোটে এই কেন্দ্রে তৃণমূল-বিজেপির মধ্যে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হতে চলেছে। তবে শেষ হাসি কে হাসবে তা জানতে আরও বেশ কিছুদিন অপেক্ষা করতে হবে রাজ্যবাসীকে।
লোকসভা নির্বাচনে রাজ্যের আরও পাঁচটি আসনে প্রার্থী দিল বামফ্রন্ট। আজ, শুক্রবার বিকেলে আলিমুদ্দিন স্ট্রিটে দলীয় দফতরে সেই ঘোষণা করেন বামফ্রন্ট চেয়ারম্যান বিমান বসু। প্রার্থী দেওয়া নিয়ে আইএসএফের দর কষাকষিতে বামফ্রন্ট যে অসন্তুষ্ট সেটাও বোঝা গিয়েছে এদিনের সাংবাদিক সম্মেলনে। আইএসএফের পর ডায়মন্ড হারবারে প্রার্থী দিল সিপিআইএম।
ডায়মন্ড হারবারে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে আইএসএফ দাঁড় করিয়েছে মজনু লস্করকে। নওশাদ সিদ্দিকী প্রথমে এই আসন থেকে লড়াই করবেন বলে বারবার জানিয়ে এলেও তা হয়নি। এই ভোলবদলের কারণ নিয়ে প্রশ্নের উত্তরে নওশাদ বলছেন, তিনি দলের ঊর্ধ্বে নন। আইএসএফের প্রার্থী দেওয়ার পর আজ সিপিআইএম প্রতীকুর রহমানকে ডায়মন্ড হারবারে প্রার্থী করল। সন্দেশখালির প্রাক্তন বিধায়ক এবং সাম্প্রতিক সন্দেশখালি আন্দোলনের মুখ হিসেবে উঠে আসা নিরাপদ সর্দারকে প্রার্থী করা হয়েছে বসিরহাট কেন্দ্র থেকে।
ব্যারাকপুর আসন থেকে সিপিআইএমের হয়ে লড়বেন দেবদূত ঘোষ। ঘাটাল আসনে সিপিআইয়ের তপন গঙ্গোপাধ্যায়ের নাম প্রার্থী হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে। বারাসত কেন্দ্র থেকে লড়াই করবেন ফরওয়ার্ড ব্লক প্রার্থী প্রবীর ঘোষ। এদিন বামফ্রন্টের তরফে জানানো হয়েছে, ৩০টি আসনে লড়বেন বামফ্রন্টের প্রার্থীরা। জয়নগর ও মথুরাপুর আসনে প্রার্থী দেওয়া হবে। ১২টি আসনে বামেদের সমর্থনে লড়াই করবে কংগ্রেস। পুরুলিয়ায় একাই লড়বে ফরওয়ার্ড ব্লক।
জল্পনার অবসান। অবশেষে লোকসভা ভোটের জন্য পঞ্চম প্রার্থীতালিকা ঘোষণা করল বিজেপি। রবিবার নয়াদিল্লি থেকে ১৭টি রাজ্যের ১১১টি লোকসভা আসনের নাম ঘোষণা পদ্ম শিবিরের।
জল্পনার অবসান। অবশেষে লোকসভা ভোটের জন্য পঞ্চম প্রার্থীতালিকা ঘোষণা করল বিজেপি। রবিবার নয়াদিল্লি থেকে ১৭টি রাজ্যের ১১১টি লোকসভা আসনের নাম ঘোষণা পদ্ম শিবিরের। এর মধ্যে পশ্চিমবঙ্গের ১৯টি আসন রয়েছে। মেদিনীপুরের বিদায়ী সাংসদ দিলীপ ঘোষ এবার লড়বেন বর্ধমান-দুর্গাপুর কেন্দ্র থেকে। অন্যদিকে, মেদিনীপুর আসন থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন আসানসোল দক্ষিণের বিধায়ক বিজেপি অগ্নিমিত্রা পল। এছাড়া, ব্যারাকপুর থেকে লড়বেন অর্জুন সিং। বিজেপির এই প্রার্থী তালিকায় বেশ কিছু চমক রয়েছে। তমলুক থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন কলকাতা হাইকোর্টের প্রাক্তন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। সন্দেশখালির প্রতিবাদী মুখ রেখা পাত্রকে বসিরহাট আসনে প্রার্থী করা হয়েছে। তবে ডায়মন্ড হারবার, বীরভূম, আসানসোল এবং ঝাড়গ্রাম আসনের প্রার্থীর নাম এখনও ঘোষণা করা হয়নি।
একনজরে বাংলার প্রার্থী তালিকা
জলপাইগুড়ি - ডাঃ জয়ন্ত রায়
দার্জিলিং-রাজু বিস্তা
রায়গঞ্জ-কার্তিক পাল
জঙ্গিপুর-ধনঞ্জয় ঘোষ
কৃষ্ণনগর-অমৃতা রায় (রানিমাতা)
ব্যারাকপুর-অর্জুন সিং
দমদম-শীলভদ্র দত্ত
বারাসত- স্বপন মজুমদার
বসিরহাট- রেখা পাত্র
মথুরাপুর-অশোক পুরকায়েত
কলকাতা দক্ষিণ- দেবশ্রী চৌধুরী
কলকাতা উত্তর-তাপস রায়
উলুবেড়িয়া- অরুণ উদয় পাল চৌধুরী
শ্রীরামপুর-কবীর শঙ্কর বোস
আরামবাগ- অরূপ কান্তি দিগর
তমলুক-অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় (প্রাক্তন বিচারপতি)
মেদিনীপুর-অগ্নিমিত্রা পল
বর্ধমান পূর্ব- অসীম কুমার সরকার
বর্ধমান-দুর্গাপুর- দিলীপ ঘোষ
বিজেপির এই প্রার্থীতালিকা নিয়ে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী জানান, যাঁরা প্রাথী হয়েছেন, তাঁদের সবারই জন্যই দল ঐক্যবদ্ধভাবে লড়বে।
লোকসভা নির্বাচন কড়া নাড়ছে দোরগোড়ায়। ১৬ মার্চ নির্বাচন কমিশনের তরফ থেকে ভোটের নির্ঘণ্ট প্রকাশ করা হয়েছে৷ এবারেও বাংলায় ৭ দফায় ভোট হবে৷ শনিবার আলিমুদ্দিন স্ট্রিটে দ্বিতীয় প্রার্থী তালিকা প্রকাশ করলেন বামফ্রন্ট চেয়ারম্যান বিমান বসু। এই তালিকায় চমক, মুর্শিদাবাদে প্রার্থী হচ্ছেন সিপিআইএম রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম।
সিপিএমের টিকিটে রানাঘাট থেকে লড়বেন অলোকেশ দাস, বোলপুর শ্যামলী প্রধান এবং বর্ধমান-দুর্গাপুর কেন্দ্রের প্রার্থী হয়েছেন সুকৃতি ঘোষাল। সুকৃতি ঘোষাল বর্ধমান মহিলা কলেজের প্রাক্তন অধ্যক্ষ ছিলেন। এদিন বিমান বসু বলেছেন, প্রার্থী তালিকা নিয়ে আরও আলোচনা বাকি রয়েছে। তাই বাকিদের নাম পরে ঘোষণা করা হবে।
উল্লেখ্য, ১৯শে এপ্রিল প্রথম দফায় কোচবিহার, আলিপুরদুয়ার, জলপাইগুড়ি ও ২৬ এপ্রিল দ্বিতীয় দফায় দার্জিলিং, রায়গঞ্জ, বালুরঘাট আসনে প্রার্থী দেওয়া সম্পূর্ণ বামেদের৷ এর আগে মোট ১৭টি আসনে প্রার্থী দিয়েছিল বামেরা। সবমিলিয়ে মোট ২১ আসনের প্রার্থীদের নাম ঘোষণা করে দিল তারা। তবে ২১ বাকি আসনে প্রার্থী দিতে আরও কিছুটা সময় লাগবে বলে জানিয়ে দিলেন বিমান বসু। কারণ আসনগুলি নিয়ে শরিকদের সঙ্গে এখনও আলোচনা চলছে। সহমত হওয়ার পরই বাকি প্রার্থীদের নাম ধোষণা করা হবে।
প্রসূন গুপ্ত : সেই কবেই ২০টি আসন ঘোষণা করেছিল কেন্দ্রীয় বিজেপি নেতৃত্ব এ রাজ্যের জন্য। ইতিমধ্যে আসানসোল কেন্দ্র থেকে প্রার্থী নিজেকে সরিয়ে নিয়েছে অর্থাৎ এখনও ২৩ আসনে প্রার্থী দেওয়া বাকি। ভোট একেবারে শিয়রে, স্বাভাবিক ভাবেই প্রশ্ন উঠেছে কবে ঠিক হবে?
ইতিমধ্যেই বিজেপির প্রধান বিরোধী রাজ্য প্রশাসন তৃণমূল কংগ্রেস এবং আরও এক বিরোধী বামেরা কিন্তু প্রতিটি কেন্দ্রে প্রচার শুরু করে দিয়েছে। বিশেষ করে তৃণমূল। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দল ৪২টি কেন্দ্রে প্রার্থী ঘোষণা করে, দেওয়াল লিখে প্রার্থীর প্রচার শুরু করে দিয়েছে। পিছিয়ে নেই বামেরা ব্যতিক্রম বিজেপি এবং কংগ্রেস। যদিও বাংলায় কংগ্রেস দু তিনটি কেন্দ্র ছাড়া কোথাও শক্তিশালী নয়। তাদের নিয়ে বিজেপির চিন্তাও নেই কিন্তু প্রার্থী তো দিতে হবে।
সূত্রের খবর বেশ কয়েকটি আসন নিয়ে জটিলতা দেখা গিয়েছে রাজ্য বিজেপিতে। শোনা যাচ্ছে, মেদিনীপুর কেন্দ্রে দিলীপ ঘোষ কে টিকিট দেওয়া নিয়ে সমস্যা হচ্ছে। এখানে শুভেন্দু অধিকারী ঘনিষ্ঠ ভারতী ঘোষকে প্রার্থী করতে চাইছে কেন্দ্রীয় কমিটি। দিলীপবাবু কে দুর্গাপুর-বর্ধমান কেন্দ্রে দাঁড়াতে বলা হয়েছে যা ঘোরতর আপত্তি দিলীপের। সংকট রায়গঞ্জ, দার্জিলিং, আসানসোল, দমদম, বারাসত সহ ১০/১২ টি আসনে প্রার্থী ঠিক করাই যাচ্ছে না। অবিশ্যি উত্তর কলকাতা পাচ্ছেন তাপস রায়, ব্যারাকপুর পেতে চলেছেন অর্জুন সিং।
এই রাজ্য ছাড়াও অনন্য রাজ্যও বেশ সমস্যা প্রার্থী নিয়ে। শনিবার বিকেলে অথবা গভীর রাতে অমিত শাহ্ এবং নাড্ডা তৃতীয় বারের জন্য বৈঠকে বসেন শুভেন্দু ও সুকান্ত মজুমদারের সাথে। আশাকরা যাচ্ছে রবিবারের মধ্যে ঠিক হতে পারে। রাজ্যে মূল সমস্যা গোষ্ঠীদন্দ নিয়ে। প্রার্থী ঠিক হলে দ্বিতীয় সংকটও মেটাতে হবে শাহ্কেই।
বেজে গিয়েছে লোকসভা নির্বাচনের দামামা। ইতিমধ্যেই নির্বাচনী ময়দানে প্রচারের ঝড় তুলেছে সমস্ত রাজনৈতিক দল। বঙ্গের ৪২ আসনে প্রার্থী তালিকা ঘোষণা করেছে রাজ্যের শাসকদল তৃণমূল। ২০ আসনে প্রার্থী তালিকা ঘোষণা করলেও বাকি আসনগুলোতে এখনও প্রার্থী তালিকা প্রকাশ করেনি বিজেপি। ইতিমধ্যেই কেন্দ্রীয় বিজেপির পক্ষ থেকে চতুর্থ দফায় প্রার্থী তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে। সেখানে পুদুচেরি ও তামিলনাড়ুর প্রার্থী তালিকা প্রকাশ হয়েছে।
বিজেপি সূত্রে খবর, বাংলার বাকি আসনগুলোর প্রার্থী তালিকা চূড়ান্ত করতে ফের দিল্লি যাচ্ছেন বিজেপির রাজ্যসভাপতি সুকান্ত মজুমদার ও বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। শনিবার কেন্দ্রীয় নির্বাচনী কমিটির বৈঠকে অংশ নেবেন তাঁরা। সূত্রের খবর, বৈঠকের পরেই বাংলার বাকি আসনে প্রার্থী তালিকা ঘোষণা করবে বিজেপি। বিজেপির প্রার্থী তালিকা প্রকাশে বিলম্ব হওয়ায় সরব রাজ্যের শাসকদল। তাঁদের অভিযোগ, প্রার্থী খুঁজতে হিমশিম খেতে হচ্ছে বিজেপিকে। যদিও সমস্ত অভিযোগ উড়িয়ে বিজেপির প্রার্থী তালিকার পদ্ধতিগত দিকটি ব্যাখ্যা করেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি।
বিজেপি বাংলায় আনুষ্ঠানিক ভাবে বাকি ২২ আসনে প্রার্থী ঘোষণা না করলেও বেশ কয়েকটি আসনে সম্ভাব্য প্রার্থীদের নাম প্রকাশ্যে আসছে।
বারাসতে- প্রাক্তন আইপিএস দেবাশিস ধর
বর্ধমান-দুর্গাপুরে- দিলীপ ঘোষ
মেদিনীপুর- ভারতী ঘোষ
দমদম- শীল ভদ্র দত্ত
ব্যারাকপুর- অর্জুন সিং
দক্ষিণ কলকাতায়- বৈশাখী ডালমিয়া
যদিও সম্ভাব্য তালিকাকে গুরুত্ব দিতে নারাজ রাজ্য বিজেপি নেতৃত্ব। চূড়ান্ত প্রার্থী তালিকা ঘোষণার পরেই কারা প্রার্থী হচ্ছেন তা স্পষ্ট হবে বলেই মত গেরুয়া নেতৃত্বের।
ব্রিগেডের জনগর্জন সভা থেকে পশ্চিমবঙ্গ-সহ বিভিন্ন রাজ্যের প্রার্থী তালিকা ঘোষণা করে দিলেন তৃণমূল কংগ্রেস। বেশ কয়েকটি আসনে বদলানো হলো প্রার্থী। ফলে বিদায়ী অনেক সাংসদই টিকিট পেলেন না। তৃণমূল কংগ্রেসের প্রার্থী তালিকায় একঝাঁক নতুন মুখ। নজিরবিহীনভাবে লোকসভার ৪২ প্রার্থী নিয়ে র্যাম্পে হাঁটলেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
প্রার্থী তালিকায় যাঁদের নাম রয়েছে, দেখে নিন একনজরে-
কোচবিহার থেকে লড়বেন- জগদীশ চন্দ্র বর্মা বসুনিয়া
আলিপুরদুয়ার- রাজ্যসভার সাংসদ প্রকাশ চিক বড়াইক
জলপাইগুড়ি- সাংসদ নির্মল চন্দ্র রায়
দার্জিলিং- গোপাল লামা
রায়গঞ্জ- কৃষ্ণ কল্যানী
বালুরঘাট- মন্ত্রী বিপ্লব মিত্র
মালদা উত্তর- প্রাক্তন আইপিএস প্রসূন বন্দ্যোপাধ্যায়
মালদা দক্ষিণ- শানোয়াজ আলী রেহান
জঙ্গিপুর- খলিলুর রহমান
বহরমপুর- ক্রিকেটার ইউসুফ পাঠান
মুর্শিদাবাদ- আবু তাহের খান
কৃষ্ণনগর- মহুয়া মৈত্র
রানাঘাট- মুকুটমণি অধিকারী
বনগাঁ- বিশ্বজিৎ দাস
ব্যারাকপুর- পার্থ ভৌমিক
দমদম- প্রফেসর সৌগত রায়
বারাসত- ডক্টর কাকলি ঘোষ দস্তিদার
বসিরহাট- হাজী নুরুল ইসলাম
জয়নগর- প্রতিমা মণ্ডল
মথুরাপুর- যুবনেতা বাপি হালদার
ডায়মন্ড হারবার- তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়
যাদবপুর- সায়নী ঘোষ
কলকাতা দক্ষিণ- মালা রায়
কলকাতা উত্তর- সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়
হাওড়া- ফুটবলার প্রসূন বন্দ্যোপাধ্যায়
হুগলি- অভিনেত্রী রচনা বন্দ্যোপাধ্যায়
আরামবাগ- মিতালী বাগ
তমলুক- আইটি সেলের রাজ্যের ইনচার্জ দেবাংশু ভট্টাচার্য
কাঁথি- উত্তম বারিক
ঘাটাল- দীপক অধিকারী (দেব)
মেদিনীপুর- জুন মালিয়া
ঝাড়গ্রাম- কালিপদ সরেন
পুরুলিয়া- শান্তি রাম মাহাতো
বর্ধমান-দুর্গাপুর- কীর্তি আজাদ
আসানসোল- শত্রুঘ্ন সিনহা
বাঁকুড়া- অরূপ চক্রবর্তী
বোলপুর- অসিতকুমার মাল
বীরভূম- শতাব্দী রায়
বিষ্ণুপুর- সুজাতা খাঁ
লোকসভা ভোটের আগে কেন্দ্রীয় বঞ্চনার প্রতিবাদ ও বিরোধীদের বিরুদ্ধে গর্জনের ডাক তৃণমূলের ‘জনগর্জন সভা’ থেকে। আজই, তৃণমূল ৪২টি আসনেই প্রার্থীদের নাম ঘোষণা করে দিতে চলেছে, এমনটাই সূত্র মারফত খবর। তারকা, প্রাক্তন ক্রিকেটার থেকে শুরু করে প্রাক্তন আইপিএস সহ হেভিওয়েট নেতাদের নাম থাকতে চলেছে এই প্রার্থী তালিকায়। ইতিমধ্যে বিজেপিকে আক্রমণ করে বক্তব্য রাখতে শুরু করেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।
সূত্রের খবর, লোকসভা ভোটে হুগলি থেকে তৃণমূলের টিকিটে রাজনীতির ময়দানে পদাপর্ণ করতে চলেছেন জনপ্রিয় অভিনেত্রী রচনা ব্যানার্জী। বালুরঘাট থেকে ঘাসফুলের হয়ে লড়তে পারেন সদ্য অবসরপ্রাপ্ত রায়গঞ্জে ডিআইজি প্রসূন বন্দ্যোপাধ্যায়। এদিকে বর্ধমান-দুর্গাপুর আসনে তৃণমূলের হয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে পারেন প্রাক্তন ক্রিকেটার কীর্তি আজাদ। ব্যারাকপুর থেকে পরিচালক তথা বিধায়ক রাজ চক্রবর্তী, বারাসত থেকে কাকলি ঘোষ দস্তিদার, কৃষ্ণনগরে মহুয়া মৈত্র। এছাড়াও মালা রায়, শতাব্দী রায়, সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়, জুন মালিয়া (মেদিনীপুর) কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়, সাজদা আহমেদ, সৌগত রায়ও (দমদম) টিকিট পাবেন বলেই খবর।
উল্লেখ্য, বিশেষ চমক থাকছে আজকের ব্রিগেড মঞ্চে। তৃণমূল সুপ্রিমোর হাত ধরে বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দিতে পারেন হেভিওয়েট নেতারা। এই বার ব্রিগেডে মঞ্চ সজ্জায় বিশেষ জোর দেওয়া হয়েছে। তিনটি মঞ্চ তৈরি করা হয়েছে। দুটি অপেক্ষাকৃত ছোট এবং একটি বড়। তৈরি করা হয়েছে র্যাম্পও। এদিনের সভা থেকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় ঠিক কী বার্তা দেন, সেই দিকে সব নজর।
সুপার সানডে! লোকসভা ভোটের দামামা বাজিয়ে একেবারে কোমর বেঁধে প্রচারের ময়দানে নেমেছে বিজেপি-তৃণমূল। আজ, 'জনগর্জন সভা' তৃণমূলের। আর সেই সভায় যোগ দিতে রাজ্যের বিভিন্ন জেলা থেকে কর্মী-সমর্থকরা ইতিমধ্যে এসে উপস্থিত হয়েছেন ব্রিগেড ময়দানে। ক’দিন আগে বিজেপি রাজ্যের ৪২টি আসনের মধ্যে ২০টি আসনের প্রার্থিতালিকা ঘোষণা করেছিল। সূত্রের খবর, আজকের সভামঞ্চ থেকে তৃণমূল ৪২টি আসনেই প্রার্থীদের নাম ঘোষণা করে দিতে চলেছে।
৪২ এ ৪২-এর লক্ষ্যে 'জনগর্জন সভা' থেকেই প্রচারে নেমে পড়বেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। তবে এদিন তাৎপর্যপূর্ণ ভাবে সভা থেকেই প্রার্থী তালিকা তৃণমূল সুপ্রিমো ঘোষণা করা হবে। ইতিমধ্যে বাংলার ২০ আসনে প্রার্থী তালিকা ঘোষণা করে চমক দিয়েছে বিজেপি। পাল্টা ব্রিগেডের ময়দানই প্রার্থী তালিকা ঘোষণার করবেন সুপ্রিমো। ৪২ টি লোকসভা আসনেই প্রার্থী তালিকা ঘোষণা করা হবে।
উল্লেখ্য, কলকাতা হাইকোর্টের প্রাক্তন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় ৭ই মার্চ বিজেপিতে যোগদান করেছেন। আবার তৃণমূলের বর্ষীয়ান নেতা তাপস রায়ও ঘাসফুল শিবির ছেড়ে বিজেপিতে নাম লিখিয়েছেন। পাল্টা বিজেপি বিধায়ক মুকুটমণি অধিকারীকে ঘরে তুলেছে তৃণমূল। ব্রিগেডের মঞ্চে আরও বড় কোনও চমক থাকতে পারে বলে জানা গিয়েছে।
লোকসভা নির্বাচন ২০২৪-এর জন্য প্রথম প্রার্থী তালিকা ঘোষণা করল বিজেপি। আজ, শনিবার প্রথম দফায় ১৯৫ জন প্রার্থীর নাম ঘোষণা করল বিজেপি। যার মধ্যে রয়েছে বাংলার ২০টি আসনের প্রার্থীর নাম। বিজেপির প্রথম প্রার্থী তালিকায় জায়গা পেয়েছেন ৩৪ জন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী এবং লোকসভার ও কয়েকটি রাজ্যের বিধানসভার অধ্যক্ষও। বারাণসী থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। গান্ধিনগর থেকে প্রার্থী হচ্ছেন অমিত শাহ। মথুরা থেকে লড়বেন হেমা মালিনী। লখনউ থেকে লড়বেন প্রতিরক্ষা মন্ত্রী রাজনাথ সিং। প্রথম প্রার্থী তালিকায় ২৮ জন মহিলা প্রার্থীর নাম রয়েছে।
বাংলায় কোচবিহার থেকে বিজেপির হয়ে লড়বেন নিশীথ প্রামাণিক, আলিপুরদুয়ারে বিজেপির প্রার্থী মনোজ টিজ্ঞা, বালুরঘাটের বিজেপি প্রার্থী সুকান্ত মজুমদার, মালদা উত্তরে বিজেপির টিকিট পেলেন খগেন মুর্মু, মালদা দক্ষিণে বিজেপি প্রার্থী শ্রীরূপা মিত্র চৌধুরী, নির্মল কুমার সাহা লড়বেন বহরমপুর, রানাঘাট থেকে লড়বেন জগন্নাথ সরকার, বনগাঁ শান্তনু ঠাকুর, যাদবপুর থেকে লড়বেন ড. অনির্বাণ গঙ্গোপাধ্যায়, হাওড়া থেকে বিজেপির হয়ে লড়বেন রথিন চক্রবর্তী, হুগলি থেকে লড়বেন লকেট চট্টোপাধ্য়ায়, ঘাটাল থেকে লড়বেন হিরণ চট্টোপাধ্য়ায়, কাঁথি থেকে লড়বেন সৌমেন্দু অধিকারী, বাঁকুড়া থেকে নির্বাচিত সুভাষ সরকার, বিষ্ণুপুর থেকে লড়বেন সৌমিত্র খাঁ, আসানসোল পবন সিং, বোলপুর থেকে লড়বেন প্রিয়া শা।
প্রসঙ্গত, ২০১৯ সালে প্রথম তালিকায় ১৮০ জন প্রার্থীর নাম ঘোষণা করেছিল বিজেপি। প্রার্থী তালিকা ঘোষণা করা হয়েছিল, ভোটের সূচি ঘোষণার ১১ দিন পর।
মাধ্যমিক পরীক্ষার সময় কিছুটা এগিয়ে এলে সমস্যায় পড়ে যায় পরীক্ষার্থী সহ শিক্ষক-শিক্ষিকারা। এবার সেই কথা চিন্তাভাবনা করে হাইকোর্টের নির্দেশে প্রতিটি জেলার জন্য দুটি করে হেল্পলাইন নম্বর চালু করল মধ্যশিক্ষা পর্ষদ। যদিও হাইকোর্টের নির্দেশের পূর্বে বর্ধমান, কলকাতা, মেদিনীপুর ও উত্তরবঙ্গ চারটি আঞ্চলিক এলাকার জন্য চারটি হেল্পলাইন নম্বর খুলেছিল মধ্যশিক্ষা শিক্ষা পর্ষদ।
মধ্যশিক্ষা শিক্ষা পর্ষদ জানিয়েছে, এই হেল্পলাইন নম্বরগুলি মাধ্যমিক পরীক্ষার দিনগুলিতে সকাল ৬টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা অবধি চালু থাকবে। কোনও পরীক্ষার্থী সঠিক সময় পৌঁছতে না পারলে বা পরীক্ষার্থীরা কোনওরকম সমস্যায় পড়লে জন্য, তারা যোগাযোগ করতে পারবে এই হেল্পলাইন নম্বরগুলিতে।
পরীক্ষার মাত্র কয়েকদিন আগে কেন সময় বদল করা হল, সেই প্রশ্নই ঘুরপাক খাচ্ছে সকলের মধ্যে। আগামী ২ ফেব্রুয়ারি থেকে শুরু হবে মাধ্যমিক পরীক্ষা। যে সময় মাধ্যমিক পরীক্ষা শুরু হওয়ার কথা ছিল, তার থেকে দু'ঘণ্টা আগে অর্থাৎ সকাল ৯ টা ৪৫ মিনিট থেকে পরীক্ষা শুরু হয়ে যাবে। আর সকাল আটটা থেকে পরীক্ষাকেন্দ্রে পৌঁছতে হবে শিক্ষক এবং অশিক্ষক কর্মীদের।
রাজ্য মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীর সমস্যা কথা না ভেবে এবং কোনও শিক্ষক সংগঠনগুলির সঙ্গে আলোচনা ছাড়াই দুই ঘণ্টা পরীক্ষা এগিয়ে আনার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বলে অভিযোগ করে একাধিক শিক্ষা সংগঠন। এই সময় বদলের ফলে শহর থেকে শুরু করে গ্রামের পড়ুয়াদের অভিভাবকরা দুঃশ্চিন্তায় রয়েছেন। অত সকালে যানবাহনের অসুবিধের মধ্যে পড়তে পারেন পড়ুয়া থেকে শুরু করে শিক্ষকরাও। আবার গ্রামের দিকে একটি স্কুল থেকে আরেকটির দূরত্ব অনেকটা। ফলে তাদের পরীক্ষাকেন্দ্রে পৌঁছতে বেরোতে হবে একদম ভোরে। এই হেল্পলাইন নম্বর গুলি কতটা কার্যকর হবে গ্রামের পরীক্ষার্থীদের ক্ষেত্রে এখন সেটাই বিবেচ্য বিষয়।
'কেন্দ্রীয় বঞ্চনা'র অভিযোগে দিল্লির যন্তর মন্তরে (Jantar Mantar) ধরনা দিতে চেয়েছিল রাজ্যের তৃণমূল সরকার। ধরনার জন্য লিখিত আবেদনও দেওয়া হয়েছিল দিল্লি পুলিসের কাছে। শেষ পর্যন্ত তৃণমূলের ধরনার জন্য অনুমতি দেয়নি দিল্লি পুলিস। কিন্তু সেই জায়গাতেই ২০০৯-এর প্রাথমিক চাকরিপ্রার্থীদের আধ ঘণ্টা ধরনা করার ক্ষেত্রে সায় দিয়েছে দিল্লি পুলিস। ফলে সোমবার যন্তর মন্তরে ধরনায় বসেন দক্ষিণ ২৪ পরগনার ২০০৯ সালের প্রাথমিকের চাকরিপ্রার্থীরা।
কেন্দ্রীয় প্রকল্পে বাংলার প্রতি বঞ্চনার অভিযোগে মোদী সরকারের বিরুদ্ধে দিল্লিতে রাজঘাটে আন্দোলনে বসেছে তৃণমূল। ফলে তৃণমূল সাংসদ-বিধায়করা যখন দিল্লির রাজঘাটে ধরনা-বিক্ষোভে সামিল হয়েছে, সেসময় রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে নিয়োগে বঞ্চনার অভিযোগে মোদী সরকারের দ্বারস্থ হয়ে দিল্লির যন্তর মন্তরে ধরনায় বসেন দক্ষিণ ২৪ পরগনার ২০০৯ সালের প্রাথমিকের চাকরিপ্রার্থীরা। তাঁরা এদিন হাতে পোস্টার নিয়ে বিক্ষোভ দেখান। তাঁরা জানিয়েছেন, তাঁরা ১৪ বছরের বঞ্চনার কথা বলতে এসেছেন দিল্লিতে।
চাকরিপ্রার্থীরা আরও জানিয়েছেন, তাঁরা চাকরির দাবিতে এখানে ধরনায় বসেছেন। বাংলায় একাধিক জায়গায় অভিষেক বন্দ্যোপাধ্য়ায়ের সঙ্গে দেখা করতে গেলেও তাঁদের লালবাজারে নিয়ে যাওয়া হয়েছে, গ্রেফতার করা হয়েছে। ফলে তাঁরা এবারে দিল্লি এসেছেন। এমনকি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় যেখানে যেখানে ধরনায় বসবেন, সেখানেই তাঁরা বিক্ষোভ দেখাবেন বলে জানিয়েছেন চাকরিপ্রার্থীরা। প্রধানমন্ত্রী এবং কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রীর কাছে লিখিত ভাবে রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে অভিযোগ জানানো হবে বলেও জানিয়েছেন তাঁরা।
দক্ষিণ কলকাতার অন্যতম ব্যস্ত হাজরা মোড় বুধবার যেন মিছিল-আন্দোলনের হটস্পট। হাইকোর্টের অনুমতি পাওয়ার পর ক্যামাক স্ট্রিট অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Abhishek Banerjee) অফিসের সামনে দিয়ে মিছিল শুরু করে নিজাম প্যালেস এবং এক্সাইড মোড় ঘুরে হাজরা মোড়ে এসে মিছিল শেষ করেন রাজ্য গ্রুপ ডি (Group D) চাকরিপ্রার্থীরা। এদিকে তার আগেই হাজরা মোড়ে এসে জড়ো হন ২০০৯ সালে দক্ষিণ ২৪ পরগনার প্রাথমিকের চাকরিপ্রার্থীরা। কিন্তু রুট ভেঙে মুখ্যমন্ত্রীর বাড়ির দিকে এগোনোর চেষ্টা করতেই পুলিসের সঙ্গে বিপুল ধস্তাধস্তি বেঁধে যায় তাঁদের।
২০০৯ সালের প্রাথমিকের চাকরিপ্রার্থীদের দাবি, তাঁরা বুধবার কালীঘাটে মুখ্যমন্ত্রীর বাড়ি যাবেন বলে আগেই জানিয়েছিলেন। কিন্তু এই নিয়ে একাধিকবার মেল এবং লিখিত আবেদন করা সত্ত্বেও কোনও কাজ হয়নি। ফলে বিনা অনুমতিতেই তাঁরা হাজরা মোড়ে জড়ো হন। পরিস্থিতি বুঝে আগে থেকেই প্রচুর সংখ্যায় পুলিস মোতায়েন করা হয়েছিল। এর মধ্যেই কয়েকজন পুলিসের ঘেরাটোপ গলে কালীঘাটে মুখ্যমন্ত্রীর বাড়ির দিকে দৌড়তে থাকেন। তখন উলটো দিক থেকে পুলিস এবং কমব্যাট ফোর্স এসে তাদের আটকে দেয়। রাস্তায় রীতিমত শুয়ে পড়েন চাকরিপ্রার্থীরা। টেনে হিঁচড়ে, চ্যাংদোলা করে তাঁদের গাড়িতে তোলা হয়।
তাঁদের সেখান থেকে সরিয়ে নিয়ে যাওয়ার কিছুক্ষণের মধ্যেই হাজরা মোড়ে এসে হাজির হয় রাজ্য গ্রুপ ডি-র চাকরিপ্রার্থীদের মিছিল। হাজরা মোড়ে পৌঁছে গিয়েও নিজেদের দাবিতে অনড় চাকরিপ্রার্থীরা বারবার স্লোগান তোলেন, দ্রুত নিয়োগ দিন মুখ্যমন্ত্রী। তাঁদের এবং তাঁদের পরিবারের মুখে হাসি ফিরিয়ে দিন। একই দাবি তাঁদের অভিভাবকদেরও। সে মুহুর্মূহু স্লোগান দিতে থাকেন। পুলিসি ব্যারিকেডের মধ্যে থেকেই তাদের এই স্লোগান বিক্ষোভে অন্য মাত্রা নেয়।
সিপিআইএমের পর ধুপগুড়ি কেন্দ্রের উপনির্বাচনের জন্য প্রার্থী ঘোষণা করল তৃণমূল কংগ্রেস। প্রার্থী করা হয়েছে অধ্যাপক নির্মল চন্দ্র রায়কে। দলের তরফে একটি প্রেস বিজ্ঞপ্তি জারি করে এই খবর জানানো হয়েছে।
বিধায়ক বিষ্ণুপদ রায়ের মৃত্যুর পর ওই আসনটি ফাঁকা হয়েছিল। চলতি মাসের ১১ তারিখ ওই কেন্দ্রের জন্য প্রার্থী ঘোষণা করেছিল সিপিআইএম। অবসর প্রাপ্ত শিক্ষক ঈশ্বরচন্দ্র রায়কে প্রার্থী করেছে তারা। বাম প্রার্থীকে সমর্থন করেছে কংগ্রেসও। এদিকে প্রাক্তন বিধায়ক তথা রাজবংশী নেত্রী মিতালি রায়কে উপনির্বাচনের টিকিট দিল না তৃণমূল।
অন্যদিকে ২০২১ সালের বিধানসভা নির্বাচনে কোনও আসন পায়নি বাম এবং কংগ্রেস। যদিও সাগরদিঘি উপনির্বাচনে কংগ্রেস জিতলেও ফের তৃণমূলে যোগদান করেন দলের জয়ী বিধায়ক বাইরন বিশ্বাস। আবার রাজ্যের জোট সঙ্গী কংগ্রেসের হাত ধরেই ভোটের লড়াইয়ে নামছে বামফ্রন্ট।
এদিকে যেহেতু বিধানসভা নির্বাচন এবং লড়াই তৃণমূলের বিরুদ্ধে সেকারণে 'ইন্ডিয়া' জোটও কার্যকর হচ্ছে না। কারণ,বাম কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব থেকেও জানানো হয়েছে কেন্দ্রে বিজেপি হারানো তাদের লক্ষ্য হলেও রাজ্যে তৃণমূলের বিরুদ্ধে রাজনৈতিক লড়াই চলবে।