
খলিস্তানিপন্থি শিখ নেতা তথা জঙ্গি (Terrorists) হিসাবে পরিচিত নিজ্জর সিং-এর হত্যার পিছনে ভারত রয়েছে, এমনটাই দাবি করেছে ট্রুডোর দেশ। এর পরই কানাডা-ভারত সম্পর্ক আরও তিক্ত হয়ে ওঠে। আর এই দুই দেশের মধ্যে সংঘাত বৃদ্ধি পেয়ে চরমে পৌঁছেছে। এতদিন এই অভিযোগের সরাসরি উত্তর না দিলেও এবারে উপযুক্ত জবাব দিয়েছে ভারত। আজ অর্থাৎ ২১ সেপ্টেম্বর ভারতের বিদেশমন্ত্রকের তরফে বলা হয়েছে, কানাডা ধীরে ধীরে জঙ্গিদের আশ্রয়স্থ হয়ে উঠছে। ফলে এই বক্তব্যের পরই বোঝা যাচ্ছে, ভারত এবারে কানাডাকেও পাকিস্তানের আসনে বসিয়েছে।
খলিস্তানি নেতা হরদীপ সিং নিজ্জর খুনে ভারতের যোগ রয়েছে বলে কয়েকদিন আগে অভিযোগ করেন কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো। বৃহস্পতিবার তার নিন্দা করে বিদেশমন্ত্রকের মুখপাত্র অরিন্দম বাগচি বলেন, 'জঙ্গিদের নিরাপদ আশ্রয়স্থান হয়ে উঠছে কানাডা।' ট্রুডোর এই অভিযোগকে 'পলিটিক্যালি ড্রিভেন' বলে মনে করছেন তিনি। এছাড়াও অরিন্দম বাগচি জানিয়েছেন, আশ্রয় পাওয়া ২০-২৫ জন জঙ্গিদের ভারতের কাছে তুলে দেওয়ার কথাও বলা হয়। কিন্তু সেই ক্ষেত্রে কোনও পদক্ষেপ করেনি কানাডা। আবার নিজ্জর খুনের অভিযোগ আনার পিছনে তেমন কোনও প্রমাণও দেয়নি কানাডা, এমনটাই জানিয়েছে বিদেশমন্ত্রক। ফলে কানাডাকে উপযুক্ত জবাব দিতে বিদেশমন্ত্রকের মুখপাত্র পাকিস্তানের জায়গায় কানাডাকে বসালেন।
ভারত-কানাডা (India-Canada), এই দুই দেশের সংঘাত চরমে। কানাডায় না যাওয়ার পরামর্শের পর এবারে ভারতের তরফে আরও এক কড়া পদক্ষেপ নেওয়া হল। এবারে কানাডার নাগরিকদের ভিসা (Visa) দেওয়া বন্ধ করল ভারত। আজ, বৃহস্পতিবার এক বিবৃতি জারি করে জানানো হয়েছে, অনির্দিষ্টকালের জন্য কানাডার নাগরিকদের জন্য ভিসা পরিষেবা স্থগিত রেখেছে ভারত। কানাডার প্রধানমন্ত্রী খলিস্তান সমর্থক হরদীপ সিং নিজ্জর হত্যার জন্য ভারতকে অভিযুক্ত দায়ী করায় দুই দেশের মধ্যে উত্তেজনা ক্রমে বেড়েই চলেছে। ফলে দেখা গিয়েছে, কানাডার সঙ্গে সম্পর্কের টানাপোড়েনের পরেই ভারত কানাডার ভিসা পরিষেবা বন্ধ করে দিয়েছে।
জানা গিয়েছে, ভারতের অনলাইন ভিসা অ্যাপ্লিকেশন সেন্টার বিএলএস ইন্টান্যাশনালের তরফে এই বিবৃতি জারি করা হয়েছে। সেখানে লেখা রয়েছে, 'ভারতীয়দের যাত্রা নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ ঘোষণা, পরিচালনা সংক্রান্ত কারণে ২১ সেপ্টেম্বর থেকে পরবর্তী নির্দেশ না আসা পর্যন্ত, ভারতীয় ভিসা পরিষেবা বন্ধ থাকবে। পরবর্তী আপডেটের জন্য বিএলএস-এর ওয়েবসাইটে নজর রাখুন।' তবে এই নিয়ে এখন পর্যন্ত কেন্দ্র কোনও প্রতিক্রিয়া দেয়নি।
#UPDATE | Ticker from the BLS International - India Visa Application Center Canada - removed.
— ANI (@ANI) September 21, 2023
The ticker earlier said, "Due to operational reasons, with effect from 21 September 2023, Indian visa services have been suspended till further notice. Please keep checking BLS website… https://t.co/jfMR5wUKY0 pic.twitter.com/vCsJbE141y
খলিস্তানপন্থী শিখ নেতার হত্যার দায় সরাসরি ভারতের উপর চাপিয়ে দিয়েছে কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো। তাঁর মৃত্যুর পিছনে ভারতের গুপ্তচর সংস্থার হাত রয়েছে বলে দাবি করেছে ট্রুডো সরকার। কিন্তু এ সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করেছে ভারত। এই নিয়েই দুই দেশের মধ্যে টানাপোড়েন চলছে। কানাডার কূটনীতিককে বহিষ্কার করেছে ভারত। ভারতীয় কূটনীতিককে বহিষ্কার করেছে কানাডাও। দেশের নাগরিকদের উদ্দেশে জারি করা হয়েছে সতর্কবার্তাও। কানাডার নাগরিকদের ভারতে ও ভারতের নাগরিকদের কানাডায় না যাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। এবারে ভারতের তরফে আরও এক বড় পদক্ষেপ নিতে দেখা গেল।
খলিস্তানপন্থী শিখ নেতার হত্যাকাণ্ড নিয়ে ভারত ও কানাডার (India-Canada) সংঘাত চরমে। এবারে দুই দেশের তরফেই তাঁদের নাগরিকদের জন্য নির্দেশিকা (Advisory) জারি করা হল। মঙ্গলবার প্রথমে কানাডার তরফে সতর্কবার্তা জারি করা হয়েছে। কানাডার তরফে ভারতে থাকা কানাডিয়ান নাগরিকদের জানানো হয়েছে, দেশজুড়ে সন্ত্রাসবাদী হামলা হতে পারে। আর এই নির্দেশিকার পরে ভারতের তরফেও সতর্কবার্তা জারি করে নয়াদিল্লি। ভারতীয়দের কানাডা যাওয়ার থেকে বিরত থাকতে অনুরোধ ভারত সরকারের।
মঙ্গলবার রাতে কানাডার নাগরিকদের উদ্দেশে একটি নির্দেশিকা জারি করেছে জাস্টিন ট্রুডোর সরকার। এই মুহূর্তে ভারতে থাকা নাগরিকদের উদ্দেশে কানাডা সরকারের পরামর্শ, খুব প্রয়োজন না হলে ভারত ছাড়ুন। কানাডা সরকারের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, এই মুহূর্তে ভারতে বসবাস করা কানাডিয়ান নাগরিকদের চরম সতর্ক থাকতে হবে। বলা হয়েছে, পরিস্থিতি দ্রুত বদলাতে পারে, নিরাপত্তা সংক্রান্ত উদ্বেগ রয়েছে। স্থানীয় সংবাদমাধ্যমগুলোতে নজরে রাখুন। স্থানীয় প্রশাসনের নির্দেশ মানুন। কানাডিয়ান নাগরিকদের ভারত ভ্রমণ নিয়েও সতর্ক করা হয়েছে। পাশাপাশি যাঁরা এই মুহূর্তে ভারতে আছেন, খুব প্রয়োজন না হলে তাঁদের ভারত ছাড়ার পরামর্শ দিয়েছে কানাডা সরকার।
এর পরই বুধবার দিল্লির তরফে প্রবাসী ভারতীয়দের উদ্দেশে সতর্কবার্তা জারি করা হয়। বিদেশমন্ত্রকের নির্দেশিকায় বলা হয়, ‘কানাডায় এই মুহূর্তে ভারত বিরোধী কার্যকলাপ এবং রাজনৈতিক মদতপুষ্ট হিংসা এবং অপরাধের বৃদ্ধি চোখে পড়ছে। যে সমস্ত ভারতীয় ওখানে রয়েছেন অথবা যাওয়ার পরিকল্পনা করছেন, সকলকে সতর্ক করা হচ্ছে। সম্প্রতি ভারতীয় কূটনীতিক এবং কিছু সম্প্রদায়ের মানুষকে বেছে বেছে নিশানা করা হয়েছে,যাঁরা ভারতবিরোধী কার্যকলাপের সমর্থক নন। তাই ভারতীয়দের এই মুহূর্তে কানাডা যাওয়া থেকে বিরত থাকা উচিত’।
অবশেষে প্রায় দু'দিন পর কানাডার উদ্দেশে রওনা দিলেন কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো। জি-২০ সম্মেলন (G20 Summit) শেষ হয়েছে রবিবার। তার পর পেরিয়ে গিয়েছে ৩৬ ঘণ্টা। কিন্তু দেশে ফিরতে পারেননি কানাডার প্রধানমন্ত্রী (Canada prime Minister) জাস্টিন ট্রুডো (Justin Trudeau)। সূত্রের খবর, কানাডার প্রধানমন্ত্রীর বিমানে প্রযুক্তিগত ত্রুটির কারণেই আটকে ছিলেন জাস্টিন ট্রুডো ও তাঁর প্রতিনিধি দল। কিন্তু এবারে খবরে এসেছে, মঙ্গলবার সকাল পর্যন্ত ভারতে আটকে থাকলেও তিনি অবশেষে কানাডার উদ্দেশে রওনা দিয়েছেন। কানাডার প্রধানমন্ত্রী দফতর থেকেই এই খবর দেওয়া হয়েছে।
রবিবার দুপুরের দিকে জি-২০ সম্মেলনের সমাপ্তি হয়েছে। তার পরই ঠিক ছিল যে, কানাডার প্রধানমন্ত্রী ও তাঁর প্রতিনিধি দল দেশে ফিরে যাবেন। কিন্তু যাওয়ার আগেই বিমানে কিছু প্রযুক্তিগত সমস্যা দেখা যায়। ফলে তাঁরা প্রায় ৩৬ ঘণ্টা ধরে ভারতেই আটকে ছিলেন। কানাডার সশস্ত্র বাহিনী বিমানের সমস্যা মেটানোর কাজ করিছল। এছাড়াও খবরে এসেছিল, তাঁদের দেশে ফিরিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য অন্য বিমান পাঠানো হবে। সেই বিমান রওনাও দিয়ে দেয়। কিন্তু এর পরই কানাডার প্রধানমন্ত্রী দফতরের প্রেস সেক্রেটারি মহম্মগ হুসেন জানান, বিমানে যা ত্রুটি ছিল তা ঠিক করা হয়েছে। ফলে যে বিমান কানাডা থেকে রওনা দিয়েছিল, পরে সেটি লন্ডন থেকে ঘুরিয়ে নেওয়া হয়। এর পর আগের বিমানে করেই ভারত ছেড়ে কানাডার উদ্দেশে রওনা দেন প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো ও তাঁর প্রতিনিধি দল।
'দ্য কেরালা স্টোরি' (The Kerala Story) এখন দেখা যাবে বিদেশেও। জানা গিয়েছে, এই ছবি নিয়ে দেশে একাধিক বিতর্কের সৃষ্টি হলেও এই ছবি কোনও বাধা ছাড়াই আমেরিকা (America) ও কানাডার (Canada) প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পেয়েছে। এরপরেই বেজায় খুশি ছবির পরিচালক সুদীপ্ত সেন-সহ দ্য কেরালা স্টোরির পুরো টিম।
'দ্য় কেরালা স্টোরি' নিয়ে বিতর্ক তুঙ্গে। ছবি নিয়ে রাজনৈতিক পারদ চড়তে শুরু করেছে প্রথম থেকেই। রাজ্যের শান্তি-শৃঙ্খলার বিঘ্নিত হতে পারে এমনটা ভেবে বাংলায় আগেই নিষিদ্ধ করা হয়েছে এই ছবি। কিন্তু অন্যদিকে এই ছবি বিদেশের মানুষের কাছে পৌঁছে দিতেও প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পেল। জানা গিয়েছে, আমেরিকা ও কানাডা মিলে মোট ২০০ টির বেশি প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পেয়েছে এই ছবি।
বাঙালি পরিচালক সুদীপ্ত সেন জানিয়েছেন, এই ছবি একটি লক্ষ্য নিয়ে তৈরি করা হয়েছে, যেটি সিনেমার ক্রিয়েটিভির ঊর্ধ্বে। কেরালায় যা ঘটে আসছে, তা প্রথমে অস্বীকার করা হয়েছিল। কিন্তু এখন এই ছবি বিশ্বের সমস্ত মানুষের কাছে পৌঁছে যাওয়া উচিত ও সচেতন বৃদ্ধি করা উচিত। ছবির প্রযোজক ভিপুল শাহও জানিয়েছেন, এই ছবির বিষয় সবার থেকে লুকিয়ে রাখা হয়েছিল। তে এই ঘটনা প্রকাশ্যে আসা উচিত, আর তাই এই ছবি।
বেশ কিছুদিন ধরে কানাডায় (Canada) তাপমাত্রা ঊর্ধ্বমুখী। ফলে দাবানলের মতো প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের সম্মুখীন হচ্ছে পশ্চিম কানাডার অ্যালবার্টা প্রদেশ। আবার অন্য়দিকে, ব্রিটিশ কলাম্বিয়া (Columbia) প্রদেশে দ্রুত গলছে বরফ। যার জেরে জারি হয়েছে বন্যার সতর্কতা। এই দুই পরিস্থিতি ঘিরে আশ্রয়হীন বহু মানুষ।
অ্যালবার্টার স্থানীয় প্রশাসন সূত্রে খবর, শুক্রবার মোট ১৩ হাজার মানুষকে নিরাপদ স্থানে আনা হয়েছে। বিভিন্ন এলাকা মিলিয়ে সেখানে এখন কমপক্ষে ৭৮টি দাবানল জ্বলছে বলে জানিয়েছে দমকল। সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত রেড রিভার ক্রি নেশন এলাকা। সেখানে ইতিমধ্যেই ২০টি বাড়ি ও স্থানীয় থানাটিতে বিক্ষিপ্তভাবে অগ্নিকাণ্ড ঘটেছে। বাসিন্দাদের নিরাপত্তার কথা মাথায় রেখে অ্যালবার্টা প্রদেশের রাজধানী এডমন্টনের পশ্চিমে অবস্থিত ড্রেটন ভ্যালি অঞ্চলটি দ্রুত খালি করার নির্দেশ দিয়েছে প্রশাসন।
অন্যদিকে, আবার বরফ গলার জেরে নদীর জলস্তর বৃদ্ধি পাওয়ায় সমস্যার মুখে ব্রিটিশ কলাম্বিয়া প্রদেশের বাসিন্দারা। নদীর পার উপচে জল ঢুকে গিয়েছে ক্র্যাশ ক্রিক এবং গ্র্যান্ড ফর্কের বহু বাড়িতে। আশঙ্কা বাড়িয়েছে ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস। যার জেরে সপ্তাহান্তে পরিস্থিতি আরও খারাপের দিকে যেতে পারে বলেই মনে করা হচ্ছে।
প্রেমিকের ডাকে সাড়া দিয়ে কানাডা থেকে ফিরেছেন ভারতে। কিন্তু সেই প্রেমিকের হাতেই খুন হতে হল তাঁকে। হরিয়ানার এই ঘটনায় ২৩ বছর বয়সী নিলমকে গত বছরের জুন মাসে মাথায় গুলি করে খুন করা হয়েছে। আবার প্রমাণ লোপাট করতে দেহ পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে একটি ক্ষেতে। দিল্লির শ্রদ্ধা ওয়ালকর ঘটনার স্মৃতি এখনও মনে তাজা, এরই মধ্যে ফের প্রেমিকা খুনের খবর প্রকাশ্যে এসেছে।
সূত্রের খবর, নিলমের পরিবার এই দেশেই থাকে। নিলম কাজের সূত্রে কানাডায় চলে গিয়েছিলেন। নিলমের বোন জানিয়েছেন, নিলম ইন্টারন্যাশনাল ইংলিশ ল্যাঙ্গুয়েজ টেস্টিং সিস্টেম পরীক্ষায় পাশ করে কানাডায় গত বছরের জানুয়ারি মাসেই চলে গিয়েছিলেন। এরপর তাঁর প্রেমিক সুনীল তাঁকে প্রভাবিত করে বিয়ে করার প্রতিশ্রুতি দিয়ে দেশে ফিরে আসতে বলে। সেই মতো ভালোবাসার মানুষকে পেতে বিয়ের স্বপ্ন নিয়ে তিনিও ছুটে আসেন দেশে। কিন্তু এমনটা কিছুই ঘটল না। বরং তাঁর প্রেমিকই তাঁকে খুন করল।
দেশে ফেরার পর নিলমের যখন খোঁজ পাওয়া যাচ্ছিল না, তখনই তাঁর পরিবার মিসিং ডায়েরি করে। তবে পুলিস প্রথমে এই ঘটনায় তেমন কোনও পদক্ষেপ না নেওয়ায় তাঁর পরিবার হরিয়ানার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অনিল ভিজের দ্বারস্থ হন। এরপর এই ঘটনা ক্রাইম ইনভেস্টিগেশন এজেন্সির কাছে ট্রান্সফার করে দেওয়ার পর তদন্তে নামে তাঁরা। এরপরই সুনীলের ক্ষেতে থাকা ১০ ফুট গভীর গর্তের মধ্যে থেকে তাঁর দেহের হাড় উদ্ধার করা হয়। এরপর সেগুলো ময়নাতদন্তের জন্য হাসপাতালে পাঠানো হয়। এরপর সুনীলকে গ্রেফতার করা হলেই সে স্বীকার করে নেয় যে, সে তাঁকে অপহরণ করেছিল ও মাথায় দু'বার গুলি করেছে।
প্রমাণ লোপাটের জন্য তাঁর দেহও পুড়িয়ে দেয় সে। সুনীলকে হেফাজতে নেওয়ার পর পুলিস আরও জানিয়েছে যে, সুনীল এমন অনেক খুন ও বেআইনি ভাবে বন্দুক রাখার মামলায় জড়িত আছে।
খলিস্তানপন্থী নেতা অমৃতপাল সিং (Amritpal Singh)-এর সমর্থনে কানাডায় (Canada) ভারতীয় দূতাবাসের সামনে বিক্ষোভ। এই আবহে কানাডা থেকে খুনের (Murder) ঘটনায় গ্রেফতার হলেন এক ভারতীয় বংশোদ্ভূত। জানা গিয়েছে, ভ্যাঙ্কুভারে অবস্থিত একটি কফিশপের বাইরে ছুরি মেরে খুন করেন এক কানাডিয়ানকে। অভিযুক্ত ব্যক্তির নাম ইন্দরদীপ সিং গোসাল, বয়স ৩২ বছর।
সূত্রের খবর, ঘটনার দিন ইন্দরদীপ ভ্যাঙ্কুভারের ওই কফিশপে গিয়েছিলেন। সেখান থেকে বেরিয়ে এক ব্যক্তির সঙ্গে তর্কাতর্কিতে জড়িয়ে পড়েন। কথা কাটাকাটি এমন পর্যায়ে পৌঁছয় তা হাতাহাতিতে পরিণত হয়। তখন ইন্দরদীপ চাকু বার করে বসিয়ে দেন ওই ব্যক্তির শরীরে। পথেই লুটিয়ে পড়েন তিনি। পুলিস ঘটনাস্থলে এসে ইন্দরদীপকে গ্রেফতার করে নিয়ে যায়।
সেখানে উপস্থিত পথচলতি মানুষ ঘটনাটি ভিডিও করেন। সেই ভিডিও ছড়িয়ে পড়ে সমাজমাধ্যমে। নেটনাগরিকরা ভিডিও দেখে রীতিমতো আঁতকে ওঠেন। কেন ইন্দরদীপ ওই ব্যক্তির সঙ্গে তর্কে জড়িয়ে পড়লেন, তা তদন্ত করে দেখছে পুলিস। প্রাথমিকভাবে পুলিস মনে করছে, দু’জন পূর্ব পরিচিত ছিলেন না। তা হলে কী কারণে ঝগড়া? জবাব খুঁজছে পুলিস। এর সঙ্গে খলিস্তানপন্থী বিক্ষোভের কোনও সম্পর্ক রয়েছে কিনা তাও খতিয়ে দেখছে পুলিস।
এবারের কাতার বিশ্বকাপ (Qatar World Cup 2022) যে অন্য বিশ্বকাপ থেকে অনেকাংশে আলাদা তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না। একদিকে যেমন, দুই মহা তারকার শেষ বিশ্বকাপ। পাশাপাশি রয়েছে একাধিক নিয়মের বেড়াজাল। কাতারের নিয়মকানুন একটু বেশি কড়া। প্রকাশ্যে এমনকি, মাঠে চুম্বন গুরুতর অপরাধ। আর সে নিয়মই ভেঙে বসলেন বেলজিয়াম-কানাডা ম্যাচের নায়ক বেলজিয়াম (Belgium) গোলরক্ষক থিবো কুর্তোয়া (Thibaut Courtois)। জয়ের আনন্দে নিয়মকানুন ভুলে হাজার হাজার দর্শকের সামনেই বান্ধবী মিশেল গেরজ়িকে (Mishel Gerzig) চুম্বন করলেন কুর্তোয়া। যা কাতারের আইন বিরুদ্ধ।
বিশ্বকাপের কথা মাথায় রেখে নিয়মে অনেকটা শিথিলতা এনেছে আয়োজকরা। অবিবাহিত দম্পতির একসঙ্গে থাকা কাতারে অপরাধের সামিল। তবে এবার তাতে কিছুটা ছাড় দেওয়া হয়েছে। পর্যটকদের ক্ষেত্রে রয়েছে সেই ছাড়টা। রাস্তায় হাত ধরে হাঁটলে সমস্যা নেই কাতার সরকারের। তবে প্রকাশ্যে ঘনিষ্ঠ হওয়ার উপর রয়েছে কড়া বিধিনিষেধ। এছাড়া সমকামিতার ক্ষেত্রে তিন বছরের জেলের নিদান দেওয়া রয়েছে। যা নিয়ে বিভিন্ন দেশ প্রতিবাদ জানিয়েছিল। এমনকি জার্মানরা ফটোসেশনে এর অভিনব প্রতিবাদ দেখান।
বুধবার রাতে কানাডার বিরুদ্ধে বেলজিয়ামের জয় খুব একটা সহজ ছিল না। ম্যাচের শুরুতেই একটি পেনাল্টি পেয়ে যায় কানাডা। আর পেনাল্টিতে গোল করতে যান কানাডার সেরা ফুটবলার আলফনসো ডেভিস। তাঁর অনবদ্য শট আটকে দেন কুর্তোয়া। হাততালির ঝড় ওঠে স্টেডিয়াম জুড়ে। বেলজিয়াম সমর্থকদের মুখে তখন একটাই নাম কুর্তোয়া। আর এই পেনাল্টি গোল বাঁচানো কতটা গুরুত্ব ছিল, তা ম্যাচের রেজাল্ট বলে দেয়। কারণ শেষ পর্যন্ত ১-০ ব্যবধানে জিতেছে বেলজিয়াম। এর অর্থ ম্যাচের শুরুতে কানাডা গোল পেলে ফলাফল অন্য রকমই হত। ফলে এদিনের ম্যাচের হিরো থিবো কুর্তোয়া।
মোট তিন পয়েন্ট পকেটে পুরে ম্যাচ শেষে চলে যান বান্ধবীর কাছে। কুর্তোয়ার ঠোঁটে আদরের চুম্বন করে বসেন মিশেল। যদিও প্রত্যেকবারের বিশ্বকাপে এ ঘটনা খুবই সাধারণ। বান্ধবীকে প্রকাশ্যে চুম্বন করার জন্য কুর্তোয়া এবং তাঁর বান্ধবীকে কি শাস্তি পেতে হবে? আশঙ্কা তৈরি হয়েছে ফুটবলপ্রেমীদের একাংশের মনে।
একসময়ের জনপ্রিয় অভিনেত্রী ছিলেন দক্ষিণী তারকা (South Indian Actor) রম্ভা (Rambha)। ২০১০ সালে সিনে দুনিয়ায় থেকে দূরে চলে যান তিনি। অন্টারিওতে গিয়ে কানাডার (Canada) ব্যবসায়ী ইন্থিরানকে বিয়ে করে সংসার জীবন শুরু করেন। মঙ্গলবার সকালে এক ভয়াবহ দুর্ঘটনার (Car Accident) শিকার হন তিনি ও তাঁর বাচ্চারা। স্কুল থেকে বাচ্চাদের নিয়ে বাড়ি ফিরছিলেন। সেসময় একটি গাড়ি দ্রুত গতিতে এসে তাঁদের গাড়িতে ধাক্কা মারে। একেবারে দুমড়ে-মুচড়ে যায় তাঁদের গাড়ি। সকলেই অল্পবিস্তর চোট পান। কিন্তু রম্ভার ছোট মেয়ে সাশা গুরুতর আঘাত পান বলে জানান অভিনেত্রী। বর্তমানে সাশা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
মঙ্গলবার সকালে ঘটনাটি ঘটেছে কানাডার অন্টারিওতে। ইনস্টাগ্রামে নিজেই সে কথা জানিয়েছেন রম্ভা। ভাঙা গাড়ির ছবিও পোস্ট করেছেন তিনি। তবে তাঁর ছোট মেয়ে সাশার ছবি সবার আগে পোস্ট করেন এবং সকলকে বলেন সাশার জন্য যেন প্রার্থনা করেন। মর্মান্তিক সেই ছবিগুলি দেখে তাঁর ভক্তরা শিউরে উঠেছেন এবং সবার আরোগ্য কামনা করেছেন।
তাঁদের গাড়িতে ছিলেন ন্যানিও, তিনিও আহত হন। অভিনেত্রী হাসপাতাল থেকে মেয়ের ছবি পোস্ট করে লিখেছেন, “খুব খারাপ সময় যাচ্ছে। আমাদের গাড়িকে ধাক্কা মেরেছে আর একটি গাড়ি। আমরা সবাই ঠিক আছি। অল্পস্বল্প যা চোট লেগেছিল, সামলে উঠেছি। কিন্তু আমার ছোট্ট সাশাকে হাসপাতালে ভর্তি করাতে হয়েছে। সবাই প্লিজ় ওর জন্য প্রার্থনা করুন।”
উল্লেখ্য, বলিউডে ১৯৯৭ সালে ‘জুড়ওয়া’ ছবির মাধ্যমে সকলের মন জয় করেছিলেন রম্ভা। দক্ষিণে অসংখ্য ছবিতে কাজ করেছেন তিনি। রজনীকান্ত, কমল হাসন, বিজয় এবং অজিতের মতো মহারথীদের সঙ্গেও স্ক্রিন শেয়ার করেছিলেন। রম্ভা বর্তমানে সিনেমা জগৎ থেকে দূরে। এক পুত্র ও দুই কন্যাও স্বামী নিয়ে ভালো রয়েছেন সংসারে। তবে এই গাড়ি দুর্ঘটনায় কিছুটা আতঙ্কিত তাঁরা।
এবার কানাডা।ফের সামনে এল প্রকাশ্যে ছুরি নিয়ে দুই যুবকের হামলার ঘটনা। অতর্কিত এই হামলায় অন্ততপক্ষে ১০ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে। ঘটনার পর থেকে অভিযুক্ত দুই যুবক ফেরার। তাদের সন্ধানে পুলিশ বিভিন্ন এলাকায় জোরদার চিরুনি তল্লাশি শুরু করেছে বলে জানা গিয়েছে।দুই যুবকের নাম ডেমিয়েন ও মাইলস স্যান্ডারসন।
পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, অভিযুক্তরা হামলা চালায় বহু সময় ধরে। তারপর কালো রঙের গাড়িতে করে ফেরার হয়। রবিবার কানাডার দুটি জায়গায় ছুরি নিয়ে আচমকাই হামলা চালায় ওই দুই যুবক।
এই ঘটনায় আনুমানিক ১০ জনের নিহত হওয়ার খবর জানা গেছে। পুলিশি সূত্রে খবর, রবিবার জেমস স্মিথ ক্রি নেশান ও সাচকাচুয়ানের ওয়েল্ডনের কাছে ছুরি নিয়ে হামলা চালানো হয়েছে বলে অভিযোগ। রয়্যাল কানাডিয়ান মাউন্টেড পুলিশের অ্যাসিস্ট্যান্ট কমিশনার রোনডা ব্ল্যাকমোর জানিয়েছেন, হামলায় অনেকে আহত হয়েছেন। তাঁদের মধ্যে ১৫ জনকে হাসপাতালেও ভর্তি করা হয়েছে। তিনি বলেছেন,'ভয়ঙ্কর ঘটনা ঘটল আমাদের দেশে'।
এই যেন সেদিনের কথা। কিন্তু দেখতে দেখতে ১০০ বছর (100 Years) পেরিয়ে গেল। কানাডার (Canada) হালিফ্যাক্স মিউজিয়ামে (Museum) ১০০টি বসন্ত পার করে দিল সে। ফলে উত্সব (Celebration) যে হবে, তা বলাই বাহুল্য। টানা তিনদিন ধরে চলবে ওই উত্সব।
চিত্রতারকা বা সেলিব্রিটিদের চেয়ে তার আকর্ষণ কম কিছু নয়। তাই তাকে ঘিরে গড়ে উঠেছে ফ্যান ক্লাব। মঙ্গলবার তারাই ট্যুইটারে এই আনন্দ সংবাদটি প্রকাশ্যে এনেছে। একইদিনে সেটি শেয়ার করেছে মিউজিয়াম অফ ন্যাচরাল হিস্ট্রি। তারা আলাদাভাবে ফেসবুকেও পোস্ট করে যাঁরা জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন, তাঁদের ধন্যবাদ জানিয়েছে। এর জন্য তিনদিন যে পার্টি হবে, সেখানেও অংশগ্রহণের জন্য সকলকে ধন্যবাদ জানানো হয়েছে।
গ্লোবাল নিউজের মর্নিং শো-তে তাকে চাক্ষুষ করেছেন বহু দর্শক। মিউজিয়ামের কর্মকর্তাদের মতে, কচ্ছপের ১০০ বছর বেঁচে থাকাটা মানুষের ১০০ বছর বেঁচে থাকারই সমতুল। তবে কচ্ছপের ক্ষেত্রে বাইরে থেকে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা কম। আর সেটাই হয়তো এদের দীর্ঘ জীবনের গোপন রহস্য।
আলিপুর চিড়িয়াখানার সেই অদ্বৈতর কথা নিশ্চয়ই মনে আছে। অনেকেই তাকে সবথেকে দীর্ঘায়ু প্রাণী বলে দাবি করে থাকেন। অদ্বৈত ২০০৬ সালের ২৩ মার্চ মারা যায়। লর্ড ওয়েলেসলি তাকে ভারতে আনেন। ১৮৭৫ সালে আলিপুর চিড়িয়াখানা প্রতিষ্ঠার সময় তাকে চিড়িয়াখানা কর্তৃপক্ষের কাছে হস্তান্তর করা হয়। কর্মকর্তাদের মতে, রেকর্ড অনুসারে এই কচ্ছপটির বয়স কমপক্ষে ১৫০ বছর। কিন্তু অন্যান্য তথ্য অনুসারে তার বয়স ২৫০ বছর।