লোকসভা আবহে নির্বাচনী প্রচারে ব্যস্ত সমস্ত রাজনৈতিক দলের প্রার্থীরা। গ্রীষ্মের দাবদাহকে উপেক্ষা করেই চলছে নির্বাচনী প্রচার। শুক্রবার সকাল সকাল প্রচার সারলেন উত্তর কলকাতা লোকসভা কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী তাপস রায়। বেলেঘাটার লোহাপোল এলাকায় বাড়ি বাড়ি গিয়ে জনসংযোগ সারেন তিনি। সেখানে সাধারণ মানুষের অভাব অভিযোগের কথাও শোনেন তিনি।
উত্তর কলকাতা লোকসভা কেন্দ্রে কোনও লড়াই-ই নেই। তিনিই জিতছেন এই কেন্দ্র থেকে, নির্বাচনী প্রচারে বেরিয়ে জানালেন জয়ের বিষয়ে আত্মবিশ্বাসী তাপস। এর আগেও একাধিকবার সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়কে নিশানা করতে দেখা গিয়েছে তাঁকে।
প্রতিপক্ষ সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়কে কখনও দুর্নীতিগ্রস্ত তো কখনও সুবিধাবাদী বলে কটাক্ষ করেছেন উত্তর কলকাতা লোকসভা কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী তাপস রায়। এর থেকেই স্পষ্ট যে লোকসভা ভোটে এই কেন্দ্রে তৃণমূল-বিজেপির মধ্যে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হতে চলেছে। তবে শেষ হাসি কে হাসবে তা জানতে আরও বেশ কিছুদিন অপেক্ষা করতে হবে রাজ্যবাসীকে।
আজ থেকে লোকসভা ভোটের প্রচারে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কৃষ্ণনগরে প্রথম সভা করেন তিনি। কৃষ্ণনগরের তৃণমূল প্রার্থী মহুয়া মৈত্রের সমর্থনে প্রচার শুরু করলেন তিনি। মহুয়াকে কেন লোকসভা থেকে ‘তাড়িয়েছে’ বিজেপি, সেই ব্যাখা দেওয়ার পাশাপাশি বিজেপি প্রার্থী ‘রাজমাতা’ অমৃতা রায়ের পরিবারকে ‘বিশ্বাসঘাতক’ বলে খোঁচা দিলেন মমতা।
জনসভায় উপস্থিত সকলের উদ্দেশ্যে এদিন মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘মহুয়াকে জেতাবেন। আপনারা জেতানোর পরেও ওকে তাড়িয়ে দিয়েছে। কারণ মহুয়া জোরে জোরে কথা বলত। বিজেপির বিরুদ্ধে কথা বলত। ওকে জেতালে ও যোগ্য জবাব দিতে পারবে। বিজেপির মুখোশ টেনে ছিঁড়ে দিতে পারবে।’ পাশাপাশি ধুবুলিয়ার সুকান্ত স্পোর্টিং ক্লাবের মাঠ থেকে বিজেপির উদ্দেশ্যে প্রশ্ন ছুঁড়ে দেন মমতা। বলেন, জেতার বিষয়ে নিশ্চিত হলে কেন রাজ্যে ইডি? কেন সিবিআই? কেনই বা ইনকাম ট্যাক্স অফিসাররা?
সূত্রের খবর, ভিন রাজ্যেও প্রচারে যাবেন মুখ্যমন্ত্রী। অসমে দুটি সভা করবেন তৃণমূল কংগ্রেস নেত্রী। আগামী ১৭ এবং ১৮ এপ্রিল অসমে দুটি জায়গায় সভা করবেন তিনি।
লোকসভা ভোটের আগে নিজের বাড়িতে পড়ে গিয়েই মাথায় চোট পেয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কপালে চারটে সেলাই পড়েছিল। তারপরে বিশ্রামেই ছিলেন তিনি। আজ অর্থাৎ রবিবার থেকে লোকসভা ভোটের প্রচারে নেমেছেন তিনি। প্রথমেই বেছে নিয়েছেন কৃষ্ণনগর লোকসভা কেন্দ্রকে। উল্লেখ্য, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীও কৃষ্ণনগরে সভা করে গিয়েছেন।
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রতিশ্রুতি পালনে তোড়জোড় শুরু প্রশাসনের। মুখ্য়মন্ত্রীর কথা অনুযায়ী, দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলায় শুরু হতে চলেছে ১০০ দিনের ক্য়াম্প। শ্রমিকদের নাম নথিভুক্ত করতে ক্যাম্প করবে জেলা প্রশাসনের আধিকারিকেরা। যাদের এখনও পর্যন্ত ১০০ দিনের কাজ করেও বকেয়া টাকা রয়েছে শ্রমিকদের। তাঁরা তাঁদের সঠিক প্রমাণ দিয়ে নাম নথিভুক্ত করতে পারবেন এই ক্যাম্পে। তাঁদের নাম রেজিস্ট্রেশন করানো হবে এই ক্যাম্পে। তারপরেই তাঁরা তাঁদের প্রাপ্য় টাকা পাবে।
আগামীকাল অর্থাৎ ১০ ফেব্রুয়ারি থেকে ১৫ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত চলবে সেই রেজিস্ট্রেশন ক্যাম্প। জেলার সমস্ত লোক সভা কেন্দ্রে হবে এই রেজিস্ট্রেশন ক্যাম্প। এই ক্য়াম্প শেষ হওয়ার পর জেলা প্রশাসন থেকে জানিয়ে দেওয়া হবে কারা কারা ১০০ দিনের বকেয়া টাকা পাবে।
ফের সংবাদ শিরোনামে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়। যাদবপুরে বাম বাধায় আটকে গেল রাম কর্মসূচি। অশান্তির গুঞ্জন ছিলই। সে কথা মাথায় রেখে রবিবার যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ বিজ্ঞপ্তিও জারি করেছিল। কিন্তু রামমন্দির উদ্বোধনের দিন অশান্তি আটকানো গেল না যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে। অযোধ্যায় রামমন্দিরের উদ্বোধন শুরুর খানিকটা আগেই তপ্ত হয়ে ওঠে যাদবপুর ক্যাম্পাস।
রামমন্দির উদ্বোধনের লাইভ স্ট্রিমিং করার জন্য প্রোজেক্টর-সহ অন্যান্য জিনিসপত্র নিয়ে ক্যাম্পাসে প্রবেশ করছিল অখিল ভারতীয় বিদ্যার্থী পরিষদের সমর্থকেরা। অভিযোগ, সেই সময় অতিবাম সংগঠনের ছাত্রছাত্রীরা তাদের বাধা দেয়। স্লোগান, পাল্টা স্লোগানে ক্যাম্পাসে তীব্র উত্তেজনা তৈরি হয়। হাতাহাতিতে জড়িয়ে পড়েন দু'পক্ষের সমর্থকেরা। চলে উত্তপ্ত বাক্য বিনিময়ও। ABVP শিবিরের দাবি, বামেরা তাদের উপর হামলাও চালিয়েছে।
যাদবপুরের ঘটনায় ইতিমধ্যেই আহত হয়েছেন বিশ্ব বিদ্যালয়ের সহ উপাচার্য অমিতাভ দত্ত। সূত্রের খবর, মারমুখী ছাত্রদের মধ্যে পড়ে আহত হন তিনি। এছাড়াও ABVP সূত্রে খবর, তাঁদের ৮ জন সদস্য আহত হয়েছেন। অন্যদিকে DSF, SFI সহ অন্যান্য বাম সংগঠনের ৪ জন সদস্য আহত। খবর পেয়ে অধ্যাপকদের অনেকে পৌঁছে যান ৩ নম্বর গেটের সামনে। পরিস্থিতি সামাল দিতে গেট বন্ধ করে দেয় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। তার পরেও চাপা উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরে।
খেটে খাওয়াদের জন্য় রক্তদান। বাইক চালিয়েও মহৎ কাজ রাইডারদের। বাঁচবে মানুষ, ফিরবে সুখ! রক্তদানে খেটে খাওয়ারাই মুখ! এবার এই স্লোগানেই অভিনব রক্তদানের আয়োজন করল অ্যাপ বাইক সংস্থা। বুধবার ওই অ্যাপ বাইক সংস্থাটি বিধাননগরের আঞ্চলিক কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত হল রক্তদান শিবির। যেখানে স্বেচ্ছায় রক্তদান করেন প্রায় ৫২ জন বাইক চালক। যাঁরা প্রত্যেকেই অ্যাপ বাইক চালক।
জানা গিয়েছে, বুধবার অনুষ্ঠিত হওয়া ওই রক্তদান শিবিরে উপস্থিত ছিলেন কলকাতার কোঠারি মেডিকেলের চিকিৎসকরাও। আয়োজক সংস্থার পক্ষে শামিম হোসেন জানান, "আমরা শুধু কাজ নয়, মানুষের হয়ে, মানুষের জন্য কাজ করতে চাই। প্রচুর রাইডার আছেন, যাঁদের রাস্তায় দুর্ঘটনা হলেও রক্তের প্রয়োজন। ঠিক এই কারণ এবং আনুষঙ্গিক সবটা ভেবে এই ব্যবস্থা।''
বিভিন্ন এলাকা থেকে রক্ত দিতে এসেছিলেন তন্ময় দাস, অভিরূপ চক্রবর্তী, গৌতম মণ্ডল, শিংকু বাল্মীকির মতো বাইক চালকরা। যাঁদের আয়ের উৎসই অ্যাপ নির্ভর বাইক। তাঁদের কথায়, "সারাবছর কাজ করি, সংসার চালায়। কিন্তু একটু যদি মানুষের পাশে থাকা যায় তাতে ক্ষতি কী!'' তাই সাধারণ মানুষের কথা ভেবেই আয়োজিত করা হয়েছিল এই রক্তদানের অনুষ্ঠানটি। তবে মানুষের পাশে থাকার জন্য় এবং যথা সম্ভব সাহায্য় করার কারণেই আগ্রহ আজ বহু মানুষ।
দরজায় কড়া নাড়ছে লোকসভা নির্বাচন। এই নির্বাচনকে সামনে রেখে এখন থেকেই রণকৌশল সাজাচ্ছে ঘাসফুল শিবির। এবার তৃণমূল নেতৃত্ব বিশেষ ভাবে জোর দিচ্ছে উত্তরবঙ্গের চা বলয়ে। কারণ, বিধানসভা, পুরসভা ও পঞ্চায়েত নির্বাচনে উত্তরবঙ্গে ব্যাপক সাফল্য পেলেও লোকসভা ভোটে ভরাডুবি হয়েছে ঘাসফুল শিবিরের। গত লোকসভা নির্বাচনে উত্তরবঙ্গ থেকে খালি হাতেই ফিরতে হয়েছে বাংলার শাসকদলকে। এই ট্রেন্ড বদলাতে এবার মরিয়া তৃণমূল নেতৃত্ব। ঘাসফুল শিবির বিশেষ করে জোর দিচ্ছে উত্তরবঙ্গের চা বলয়ে। সেই লক্ষ্যে উত্তরবঙ্গের সব চা-বাগানে বিশেষ শিবির করবে বাংলার শাসকদল। সেখানে লক্ষ্মীর ভাণ্ডার সহ রাজ্য সরকারের বিভিন্ন প্রকল্পের সুবিধা ভোটারদের সামনে তুলে ধরা হবে। থাকবেন দলের শীর্ষ নেতারা।
উত্তরবঙ্গে তৃণমূলের ভিত বরাবরই নড়বড়ে। দক্ষিণবঙ্গে বিগত বেশ কয়েকটি লোকসভা নির্বাচনে ঘাসফুল শিবির হৈ হৈ করে জিতে গেলেও উত্তরবঙ্গে তাঁদের হোঁচট খেতে হয়েছে। আর গত লোকসভা নির্বাচনে তো উত্তরবঙ্গে তৃণমূল ধুয়ে মুছে সাফ হয়ে গেছে। তবে বিধানসভা, পুরসভা এবং পঞ্চায়েত নির্বাচনে উত্তরবঙ্গে ভালো ফল করেছে ঘাসফুল শিবির। আর তাই আসন্ন লোকসভা ভোটকে নিয়ে আশায় বুক বাঁধছে বাংলার শাসকদল। এ নিয়ে বেশ কিছু কর্মসূচিও তাঁরা নিয়েছে। কিন্তু এত কিছুর পরেও তাঁদের এই প্রয়াস কি ফলপ্রসু হবে ? নাকি গত লোকসভা ভোটের মতো উত্তরবঙ্গে মুখ পুড়বে বাংলার শাসকদলের ? উত্তর মিলবে লোকসভা ভোটের ফলে।
মহাপঞ্চমীর উৎসবের মধ্যেই বেঙ্গল এসটিএফ-র মাদক বিরোধী অভিযানে মিলল ব্যাপক সাফল্য। বনগাঁর গাইঘাটাতে হেরোইন তৈরীর কারখানায় বৃহস্পতিবার তল্লাশি চালিয়ে মিলল প্রায় ১৬ কোটি টাকা মূল্যের নিষিদ্ধ মাদক। গ্রেফতার দুই মহিলাসহ মোট চারজন। কোটি কোটি টাকার ক্রুড হেরোইন এনে এই কারখানায় চলতো মিশ্রণ ও পরিশোধন। কলকাতা, হাওড়া ও উত্তর-দক্ষিণ ২৪ পরগনার বিভিন্ন জায়গায় পাঠানো হতো এখানকার মাদক।
গোপন খবরের ভিত্তিতে বেঙ্গল এসটিএফ-এর একটি টিম বৃহস্পতিবার সকালে পৌঁছয় গাইঘাটা থানার বিষ্ণুপুর গ্রামের উদ্দেশ্যে। সেখানে পৌঁছে থানাগামী পাকা রাস্তার থেকে বাঁদিকে দেড় মিনিট পায়ে হেঁটে গেলে একটি ছোটখাটো খামারবাড়ি। মালকিন চল্লিশোর্ধ্বা কাকলি রায়। ছয়ফুট উঁচু পাঁচিল দিয়ে ঘেরা দোতলা বাড়ির মধ্যে পোলট্রি, ছাগল ও গরুর থাকার ছাউনি।
বাড়িতে মালকিন কাকলি ছাড়াও অভিজিৎ বিশ্বাস, তপন মণ্ডল ও ডলি সর্দার নামের এক মহিলা ছিল। যাঁদেরকে জিজ্ঞাসাবাদ করে। একতলায় মাদক-সংক্রান্ত কিছু না পেয়ে এসটিএফ টিমের সদস্যরা মার্বেল বাঁধানো সিঁড়ি বেয়ে উঠে যায় দোতলায় এবং সেখানেই তাঁদের চক্ষু চড়কগাছ। দোতলার বেডরুম, বাথরুম এবং রান্নাঘরকে রীতিমতো একটি হেরোইন তৈরী করার কারখানায় রূপান্তরিত করা হয়েছে। থরে থরে সাজানো রয়েছে হেরোইনের প্যাকেট, কোনও ঘরে হাই-ভোল্টেজ আলোর নীচেই আলাদা আলাদা পাত্রে রাখা আছে বিশেষ প্রকার লিকুইড মিশ্রিত হেরোইন, শুষ্ক করার জন্য। কোনো ঘরে চলছে ফিল্টারিং, কোনো ঘরে প্যাকেজিং।
তল্লাশিতে উদ্ধারকৃত দ্রব্যের মধ্যে পাওয়া গিয়েছে, প্রায় আট কিলোগ্রাম হেরোইন, পাঁচ কিলোগ্রাম মোট ওজনের একপ্রকার বিশেষ গুঁড়ো যা মিশিয়ে নেশার মাত্রা বৃদ্ধি করা হয়,দশ কিলোগ্রাম ওজনের এসিটিক এনহাইড্রেট তরল যার সাহায্যে ক্রুড হেরোইন পরিশোধন করা হয়, চল্লিশ কিলোগ্রাম সোডিয়াম কারবোনেট, দুইটি ইলেকট্রনিক ওজন যন্ত্র, একটি মিক্সার গ্রাইন্ডার, প্রচুর সংখ্যক প্লাস্টিক প্যাকেট, একটি সিলিং মেশিন, দুইটি আই-ফোন, তিনটি স্মার্টফোন ইত্যাদি।
এরপরই গ্রেফতার করা হয় দুই মহিলা ও দুই ব্যক্তিকে। তাঁদের জিজ্ঞাসাবাদ করে উঠে আসে চাঞ্চল্যকর তথ্য। জানা গিয়েছে, প্রায় বছরখানেক ধরে চলছে এই কারখানা। মালকিন কাকলি তাঁর ব্যবসায়ী-পার্টনারদের থেকে ক্রুড হেরোইন এনে এই কারখানাতে পরিশোধন ইত্যাদি করে বিভিন্ন পাচারকারীদের মাধ্যমে কলকাতা, হাওড়া, উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনার বিভিন্ন ক্লায়েন্টদের কাছে দিত পৌঁছে। বিনিময়ে পেত বিপুল পরিমাণ মুনাফা। এই ঘটনায় গাইঘাটা থানাতে একটি অভিযোগ দায়ের করেছে বেঙ্গল এসটিএফ। অভিযোগের উপর মাদক আইনে মামলা রুজু করা হয়েছে। এই নিষিদ্ধ মাদকচক্রে অন্যান্য জড়িতদের বিরুদ্ধেও চলবে তদন্ত।
চাঁদের পর এবার সূর্য। আগেই ঠিক হয়েছিল অভিযানের কথা। এবার জানা গেল তারিখ। শনিবার সূর্যে যাচ্ছে আদিত্য এল ওয়ান। তার ছবি এবার সামনে আনল ইসরো। সূর্যের মাধ্যাকর্ষণ থেকে শুরু করে আরও নানা বিষয়ে পরীক্ষা করে ইসরোর এই যান।
ইসরো জানিয়েছে, আগামী দোসরা সেপ্টেম্বর সকাল ১১টা ৫০ মিনিটে শ্রীহরিকোটা থেকে পিএসএলভির মাধ্যমেই মহাশূন্যের দিকে এগিয়ে যাবে আদিত্য এল-ওয়ান। মোট ১২৭ দিন ধরে সূর্যের কক্ষপথের দিকে এগোবে এই যান। মাধ্যাকর্ষণ, সূর্যের আলোর জীবনীশক্তি-সহ নানা বিষয়েই পরীক্ষা চালানো হবে।
গত ২৩ অগাস্ট চাঁদের মাটি ছুঁটেছে ভারতীয় যান চন্দ্রায়ন তিন। সেখানে এখনও কাজ করছে বিক্রম ও প্রজ্ঞান। ইসরোর দাবি, অ্যালুমিনিয়াম, ক্যালশিয়াম, লৌহ, ক্রোমিয়াম, সিলিকন, অক্সিজেন, ম্যাঙ্গানিজ, টাইটানিয়ামের সন্ধান পেয়েছে রোভার। চলছে হাইড্রোজেনের খোঁজ।
সরকার নীতি না বদলালে রাজ্য সরকারি কর্মচারীরা (Goverment Employee) সরকার বদলের ক্ষমতা রাখে। হাওড়ার সভা থেকে এমনি হুঙ্কার রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের। পূর্বেই তিন দফা দাবিতে নবান্ন (Nabanna) অভিযানের ডাক দিয়েছিল রাজ্য কো-অর্ডিনেশন কমিটি (CO-Ordination Comitee)। বৃহস্পতিবার সেই কর্মসূচি থেকেই সরকারকে ফের হুঁশিয়ারি দিলেন সরকারি কর্মচারীরা।
কেন্দ্রীয় হারে মহার্ঘ ভাতার দাবি, শূন্যপদে স্বচ্ছতার সঙ্গে নিয়োগ ও প্রতিহিংসামূলক বদলি নীতি-এই তিন ইস্যুকে সামনে রেখেই নবান্ন অভিযানের ডাক দেওয়া হয়। বাম সরকারি কর্মচারীদের সংগঠনের সঙ্গে এই কর্মসূচিতে ছিল যৌথ মঞ্চের আন্দোলনকারীরা। বৃহস্পতিবার দুপুর আড়াইটে নাগাদ হাওড়া স্টেশনের বাইরে জমায়েত শুরু হয়। সেখান থেকে বঙ্কিম সেতু ধরে আন্দোলনকারীরা হাওড়া ময়দানে পৌঁছন। পুলিসের অনুমতি না মেলায় হাওড়া ময়দানে সভা করেন আন্দোলনকারী সরকারি কর্মচারীরা। সেখানে মঞ্চ থেকেই সরকারের বিরুদ্ধে হুঙ্কার দেন আন্দোলনকারীরা।
নবান্ন যেতে না দিলেও এই কর্মসূচি পুরোপুরি সফল বলে দাবি করেন রাজ্য সরকারি কর্মচারী যুক্ত কমিটির সাধারণ সম্পাদক তাপস কুমার ত্রিপাঠী। তিনি বলেন, 'আজ মিছিল করে প্রমাণ করে দিয়েছি, সরকার নীতি না বদলালে রাজ্য সরকারি কর্মচারীরা সরকার বদলের ক্ষমতা রাখে।' আজ জনসভা চলাকালীন তিনজন প্রতিনিধিকে নবান্নে ডেপুটেশনের অনুমতি দেওয়া হয়। বকেয়া ডিএ-র দাবিতে আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছে যৌথ মঞ্চ। শহিদ মিনারের সামনে অবস্থান চলছে। আন্দোলনরত সরকারি কর্মচারীরা সেখান থেকেই একাধিক কর্মসূচি নিয়েছেন।
এভারেস্টের (Everest) চূড়া ছোঁয়ার স্বপ্ন প্রায় সবারই থাকে। এবারে এই স্বপ্নের অনেকটা কাছে পৌঁছল এক ৬ বছরের খুদে। অবাক হচ্ছেন তো, তবে এটাই সত্যি। এই খুদের নাম আরিষ্কা লাদ্ধা (Arishka Laddha)। সে পুনেতে থাকে। আরিষ্কা ভারতের কনিষ্ঠতম এভারেস্ট বেস ক্যাম্প আরোহী হিসাবে রেকর্ড গড়ে তুলেছে। ১৭ হাজার ৫০০ ফুটেরও বেশি উচ্চতায় উঠে সে এই নজির গড়েছে। ফলে এই একরত্তি পুরো ভারতের জন্য এক অনুপ্রেরণা।
জানা গিয়েছে, এভারেস্টের বেস ক্যাম্পের উচ্চতায় যাওয়ার পথে তার সঙ্গী ছিল তার মা ডিম্পল লাদ্ধা। ছোট্ট আরিষ্কা জানিয়েছেন, তার এই যাত্রা পথে তাদের অনেক বাধার সম্মুখীন হতে হয়েছে। তাদের মাইনাস ৩ থেকে ১৭ ডিগ্রির মধ্যে দিয়ে যেতে হয় এভারেস্টের বেস ক্যাম্পে। এরপর ঠান্ডা থেকে বাঁচতে তাদের ৭-৮ লেয়ারে জামা-কাপড় পরতে হয়েছিল। আরও জানা গিয়েছে, তাদের ১৭ হাজার ৫০০ ফুটে চড়তে প্রায় ১৫ দিন সময় লেগেছিল।
আবিষ্কার এই অভিজ্ঞতার ব্যাপারে তাকে জি়জ্ঞাসা করা হলে সে বলে,'আমি খুব খুশি। খুব ঠান্ডা ছিল সেখানে। আমি এভারেস্ট সামিট ছুঁতে চাই।' তার মা ডিম্পল জানিয়েছেন, তার মেয়ে ছোট থেকেই সাইকেলিং, ট্রেকিং,দৌড়নো ইত্যাদির সঙ্গে যুক্ত। এটা তাঁরই পরিকল্পনা ছিল তাঁর মেয়েকে এভারেস্ট বেস ক্যাম্পে নিয়ে যাওয়ার। আরিষ্কার বাবা কৌস্তভ বলেন, 'আরিষ্কা ভারতকে গর্বিত করেছে। আমি সবসময় তার পাশে আছি।'
সব তীর্থ বারবার গঙ্গাসাগর (Gangasagar Mela) একবার। এই আপ্তবাক্যকে স্মরণ করেই গঙ্গাসাগরের উদ্দেশে বাবুঘাট (Babughat Kolkata) থেকে পুন্যার্থীদের ঢল। গত কয়েকদিন ধরেই বাবুঘাটে গঙ্গা সাগর ট্রানজিটের জন্য তৈরি অস্থায়ী ক্যাম্পে (Transit camp) দলে দলে ভিড় জমাতে শুরু করেছে দেশের বিভিন্ন প্রান্তের সাধু-সন্ত, পুন্যার্থী এবং পর্যটকরা। মূলত শুক্রবার থেকে তাঁরা একে একে গঙ্গা সাগরের উদ্দেশে যাত্রা শুরু করেন। চূড়ান্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থার মধ্যে দিয়ে তাঁদের জন্য বরাদ্দ থাকা বাসে তুলে দেওয়া হয়। থাকছে নদী পারাপারের জন্য ভেসেলের ব্যবস্থা। সেখানেও রয়েছে পর্যাপ্ত ব্যবস্থা।
মকর সংক্রান্তির পুণ্য তিথিতে সাগর সঙ্গমে স্নানের আগে দলে দলে পুন্যার্থীদের শুক্রবার বাবুঘাটে গঙ্গাস্নান করতে দেখা গিয়েছে। এই স্নান সেরেই গঙ্গা সাগরের উদ্দেশে রওয়ানা দিয়েছেন দেশ-বিদেশের তীর্থযাত্রীরা। কিছু পুন্যার্থী গঙ্গা সাগর না গিয়ে মকর সংক্রান্তির পুণ্য লগ্নে গঙ্গা স্নান সারতেও বাবুঘাটে দলে দলে ভিড় জমিয়েছেন। কেউ আবার সারছেন গঙ্গা পুজো। সংক্রান্তির দিন দুয়েক আগে কলকাতায় গঙ্গা সাগরের ট্রানজিট পয়েন্ট বাবুঘাটে এই মুহূর্তে সাজো সাজো রব।
বাবুঘাটে অস্থায়ী ক্যাম্পে খাবার পরিষেবা দেওয়ার দায়িত্ব নেওয়া এক সংস্থা জানিয়েছে, দিনে দু'বার ফ্রি তে তাঁরা সাধু-সন্ত, পুন্যার্থীদের খাবার পরিবেশন করছে। তাদের শিবিরে চা-জল খাবার ছাড়াও রয়েছে মেডিসিনের ব্যবস্থা।
পুঞ্চ-রাজৌরি হাইওয়ের পাশে সেনা ক্যাম্পের বাইরে উদ্ধার দুই স্থানীয়র মৃতদেহ। যা ঘিরে এলাকায় ব্যাপক উত্তেজনার সৃষ্টি হয়। স্থানীয়রা জানান, শুক্রবার সকাল ৬টা নাগাদ ওই সেনা ক্যাম্পের আলফা গেটের বাইরে গুলির চিহ্ন-সহ দুই স্থানীয়কে মৃত অবস্থায় দেখতে পাওয়া যায়।
স্থানীয় সূত্রে খবর, ওই দুই নিহত ব্যক্তিরা হলেন কমল কুমার ও সুরিন্দর কুমার। দুজনেই রাজৌরি জেলার বাসিন্দা। একজন ট্রাক চালক বলেন, "আমি এমএ গাড়িতে করে যাচ্ছিলাম এবং সেনা ক্যাম্পের আলফা গেটে বেশ কয়েকটি গুলির শব্দ শুনতে পেলাম। আমি আমার গাড়ির রেখে কী ঘটেছে দেখার জন্য দৌড়ে আসি। পরে আমি জানতে পারি দু'জন স্থানীয়কে হত্যা করা হয়েছে।"
একজন পুলিস কর্মকর্তা জানান, তাঁরা ঘটনাটি খতিয়ে দেখছেন। তিনি বলেন, "আসলে কী ঘটেছে এবং কীভাবে দুই স্থানীয়কে হত্যা করা হয়েছে তা জানতে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা ঘটনাস্থলে ছুটে গিয়েছেন। পুরো বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।"
এদিকে ঘটনার তদন্তের দাবিতে এলাকাবাসী ব্যাপক বিক্ষোভ শুরু করেন। বিক্ষোভকারীরা মহাসড়ক অবরোধ করে দেন এবং বন্ধ হয় যান চলাচল।” প্রত্যক্ষদর্শীরা বলেছেন, সেনাবাহিনীর আলফা গেটের বাইরে খালি কার্তুজও পাওয়া গিয়েছে।
রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয় (RBU Jorasanko Campus) জোড়াসাঁকো ক্যাম্পাসের মধ্যে গড়ে ওঠা তৃণমূল শিক্ষাবন্ধু সেলের অফিস ভাঙার নির্দেশ কলকাতা হাইকোর্টের। রবীন্দ্রনাথের বাড়িতে পার্টি অফিস ভাঙার নির্দেশ দিয়েছে প্রধান বিচারপতির প্রকাশ শ্রীবাস্তবের ডিভিশন বেঞ্চের (Calcutta High Court)। বিশ্ববিদ্যালয় অংশের নির্মাণও ভাঙতে হবে। ওই অংশের নির্মাণ পুনরায় আগের অবস্থায় ফিরিয়ে দেওয়ার দায়িত্ব হেরিটেজ বিভাগের (heritage Department)। পুনরুদ্ধারের পর হেরিটেজ বিল্ডিং বলে আলাদা করে চিহ্নিত করতে হবে দফতরকে। এই নির্দেশের জেরে কার্যত অস্বস্তি তৃণমূল কংগ্রেসের (TMC)।
সোমবার শুনানিতে আদালতের প্রশ্ন, 'হেরিটেজ বিল্ডিং না হলেও কি যে কেউ গিয়ে যেকোনও জায়গায় পার্টি অফিস বানিয়ে ফেলতে পারে?' তিন সপ্তাহের মধ্যে পুরসভাকে পদক্ষেপের নির্দেশ, ১৯ ডিসেম্বর পরবর্তী শুনানি ডিভিশন বেঞ্চে। এদিকে, রবীন্দ্র ভারতীর হেরিটেজ বিল্ডিং ভাঙার কথা মেনে নিল পুরসভা ও বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। আর রাজ্য জানালো অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তিদের নামে হেরিটেজ বিল্ডিং ভাঙার অভিযোগে তদন্ত শুরু হয়েছে। আর অভিযুক্তরা শুনানিতে হাজির হয়ে জানালো, তৃণমূল শিক্ষা বন্ধু সমিতির তরফে ওই ঘরগুলি তাদের দলীয় অফিস ছিল। পুরসভা ও হেরিটেজ সংরক্ষণ কমিটিকে নির্দেশ, যদি দখলদাররা ওই ঘর দখল করে থাকে, তাহলে আগে বেআইনি দখল উচ্ছেদ করতে হবে। সবপক্ষকে যোগাযোগ রেখে বেআইনি দখলদার উচ্ছেদ করে বিশ্ববিদ্যালয়ের সম্পত্তি রক্ষা করতে হবে। তারপরে ওই হেরিটেজের ক্ষতিগ্রস্ত অংশ সংস্কার করার কাজ করতে হবে।
তিন সপ্তাহের মধ্যে এই দখল উচ্ছেদ করতে হবে। ১৯ ডিসেম্বর পরবর্তী শুনানির আগে হলফনামা দিয়ে পুরসভার জানাতে হবে। কোর্ট নির্দেশের পরেই সিল করে দেওয়া হয় ঘরগুলো। এমনটাই বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে খবর।
ধোপ দূরস্ত পোশাক, হাতে ব্যাগ আর গাদা-গুচ্ছেক কাগজ নিয়ে প্রায় বছর চল্লিশের এক ব্যক্তি সরকারি এক আধিকারিকের গাড়ির দরজায় মুখ রেখে সমানে ঘেউ ঘেউ (Dog Bark) করে যাচ্ছেন! বাঁকুড়ার দু'নম্বর ব্লকের বিকনা গ্রাম পঞ্চায়েতের দুয়ারে সরকার (Duare Sarkar Camp) ক্যাম্পে এই দৃশ্য দেখে বিস্মিত অনেকেই। রীতিমতো ক্যামেরার সামনে সেই ব্যক্তির এই কাণ্ড দেখে প্রায় 'ছেড়ে দে মা কেঁদে বাঁচি' অবস্থা যুগ্ম বিডিওর (Joint BDO)। যেন কোনওভাবে ওই জায়গা ছাড়লেই হাঁফ ছাড়তে পারেন তিনি।
কিন্তু ঘটনাটা আদতে কী? জানা গিয়েছে, বাঁকুড়া-২ নম্বর ব্লকের বিকনা গ্রাম পঞ্চায়েতের কেশিয়াকোল গ্রামের শ্রীকান্তি দত্ত রাজ্যের খাদ্য ও সরবরাহ দফতর থেকে যে আরকেএসওয়াই রেশন কার্ড পেয়েছেন, এটা প্রথম থেকেই ভুলে ভরা। প্রথমে তাঁর পদবি দত্তের জায়গায় হয়েছে মণ্ডল। তারপর ত্রুটি সংশোধনে শ্রীকান্তি হয়েছে শ্রীকান্ত। এবং সবশেষে সেই ত্রুটি সংশোধনে দত্ত পদবী হয়ে গিয়েছে 'কুত্তা'। আর এই ঘটনায় যথেষ্ট বিব্রত ও অসম্মানিত শ্রীকান্তি বাবু। তাই বুধবার বিকনা গ্রামে 'দুয়ারে সরকার' ক্যাম্প জয়েন্ট বিডিও পরিদর্শনে এলে কুকুরের মতো ঘেউ ঘেউ করে 'প্রতিবাদ' জানান শ্রীকান্তি দত্ত।
শ্রীকান্তি দত্ত জানান, 'রেশন কার্ডের জন্য আবেদন করেছিলাম, প্রথম পর্যায়ে রেশন কার্ড হাতে পেলে দেখি আমি শ্রীকান্তি দত্ত হয়ে গিয়েছি শ্রীকান্ত মণ্ডল। সংশোধনের পর আমি হলাম শ্রীকান্ত কুমার দত্ত। ফের দুয়ারে সরকার ক্যাম্পে গিয়ে সংশোধনের আবেদন করলাম। এরপর আর মানুষ নয়, হয়ে গেলাম কুকুর! শ্রীকান্তি দত্তের জায়গায় শ্রীকান্তি কুমার কুত্তা এলো আমার নাম।'
তাঁর মন্তব্য, এই ঘটনার পর আমি মানসিকভাবে ভেঙে পড়ি। দুয়ারে সরকার ক্যাম্পে গিয়ে জয়েন্ট বিডিও কে হাতের কাছে পেয়েও দত্ত কী করে কুত্তা হয় এই প্রশ্ন তাঁর কাছে রাখি। তিনি কোন উত্তর না দিয়ে এলাকা ছাড়তে চান। এই ঘটনায় যথেষ্ট ক্ষুব্ধ শ্রীকান্তি দত্তর মা হীরা দত্ত। তাঁদের 'সামাজিক সম্মানহানি' হয়েছে দাবি করে তিনি বলেন, 'গুরুত্বপূর্ণ কাজে চুক্তিভিত্তিক আর অশিক্ষিত কর্মী নিয়োগের ফলেই এই ঘটনা ঘটছে। আর যার ফল ভোগ করতে হচ্ছে সাধারণ মানুষকে। আমার ছেলের আমি একটা নাম রেখেছি। দোকান করে ছেলে সংসার চালায়, আর এই ঘটনায় শতগুণ সম্মাণহানি হয়েছে।'
এদিকে, সিএন-এ এই খবর প্রচারিত হতেই নড়েচড়ে বসে প্রশাসন। নিজের পদবি ফিরে পান শ্রীকান্তি কুমার দত্ত। অবশেষে রাহুমুক্তি যুবকের। বাবা-মায়ের দেওয়া নাম-সহ রেশন কার্ড হাতে পান তিনি।
বঙ্গবিজেপির (BJP) তিন দিনের প্রশিক্ষণ শিবির বসছে বিলাসবহুল রিসর্ট বৈদিক ভিলেজ (Vedic Village)। প্রশিক্ষণ দিতে আসছেন দিল্লির তাবড় তাবড় বিজেপি নেতারা। প্রধানমন্ত্রীর গরিব কল্যাণ প্রকল্পের প্রচারের জন্য প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে বিলাসবহুল সেভেন স্টার রিসর্টে। আর সেটা নিয়েই বেদিক ভিলেজের প্রবেশ পথ হাতিশালাতে ঝাড়ু, জুতো-সহ পোস্টার তৃণমূল (TMC) কর্মীদের।
একদিকে সামনে পঞ্চায়েত নির্বাচন, অপরদিকে লক্ষ্য ২০২৪-এর লোকসভা নির্বাচন। রাজ্যের ভোট ক্যালেন্ডার মেনে সেমিফাইনাল এবং ফাইনাল। তাই এ রাজ্যে বিজেপির সংগঠন জোরদার করতে তৎপর গেরুয়া শিবির। এ জন্য সোমবার থেকে তিনদিনের প্রশিক্ষণ শিবির হবে রাজারহাটের বৈদিক ভিলেজে। নিউ টাউন সাপুরজি মোড় হয়ে ভাঙড়ের হাতিশালা, পাকাপোল হয়ে বৈদিক ভিলেজ যাওয়ার মূল রাস্তা। সেই রাস্তার মোড়ে মোড়েই পোষ্টার তৃণমূলের। ২৯ থেকে ৩১ অগাস্ট টানা তিনদিনের এই প্রশিক্ষণ শিবির।
বিজেপির এই প্রশিক্ষণ শিবিরে থাকবেন রাজ্যের দলীয় সব সাংসদ এবং বিধায়করাও। রাজ্যস্তরের নেতারাও থাকবেন। কর্মসূচিতে ক্লাস নেবেন সংগঠনের দায়িত্বে থাকা বিজেপির সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক বিএল সন্তোষ, অমিত মালব্যরা। ক্লাস নেবেন অমিত শাহ ঘনিষ্ঠ রাজ্যের সদ্য দায়িত্বপ্রাপ্ত কেন্দ্রীয় পর্যবেক্ষক সুনীল বনসলও।
জানা গিয়েছে এ জন্য ওই রিসর্টে দেড়শোর বেশি রুম বুক করা হয়েছে। একইসঙ্গে সুইমিং পুল, ক্যাফে, রেস্তোরাঁ বুক করা হয়েছে। তাই বিলাস-বৈভবের এই প্রশিক্ষণ শিবিরে যোগ দিতে আসা বিজেপি নেতাদের ঝাড়ু হাতে 'স্বাগত' জানাতে তৈরি ভাঙড়ের তৃণমূল নেতৃত্ব। এ জন্য বৈদিক ভিলেজের প্রবেশদ্বার নিউটাউন সংলগ্ন ভাঙড়ের হাতিশালায় রীতিমতো মঞ্চ তৈরি হয়েছে। হাতিশালা থেকে গাবতলা রাস্তার দু'পাশে বিজেপির বিরুদ্ধে পোষ্টারে ছয়লাপ।
পোষ্টারে লেখা 'বিজেপির তিন জামাই ইডি, আইটি, সিবিআই।' ১০০ দিনের টাকা-সহ জিএসটির পাওনা টাকা নিয়ে পোষ্টার তৈরি করে রাস্তার মোড়ে মোড়ে লাগিয়ে প্রতিবাদে মুখর ভাঙড়ের তৃণমূল নেতৃত্ব। সোমবার সকাল থেকেই হাতিশালা মোড়ে এজন্য সভা করবেন ভাঙড় বিধানসভার তৃণমূল চেয়ারম্যান রেজাউল করিম ও তার অনুগামীরা। এই সভা থেকে যাতে কোন অপ্রতীকর পরিস্থিতি তৈরি না হয় সেজন্য হাতিশালাতে পুলিশ মোতায়েন করবে কলকাতা লেদার কমপ্লেক্স থানা।