পুজোর আগে বড়সড়ো সাফল্য পেল খড়দহ থানার পুলিস। ভুয়ো কল সেন্টার চালানোয় গ্রেফতার ১০ জন অভিযুক্ত। কল সেন্টারের মাধ্যমে কোটি কোটি টাকা জালিয়াতির অভিযোগ। বুধবার গোপন সূত্রে খবর পেয়ে তল্লাশি চালিয়ে গ্রেফতার করেছে খড়দহ থানার পুলিস।
পুলিস সূত্রে খবর, খড়দহ এমএস মুখার্জি রোড এলাকায় একটি আবাসনে কল সেন্টারের মাধ্যমে সাইবার ক্রাইমের অপরাধ চালাত ওই দুষ্কৃতীরা। কল সেন্টারের মাধ্যমে বিভিন্ন লোকের কাছ থেকে বিভিন্ন উপায়ে টাকা নিত ওই দুষ্কৃতীর দল। এমনকি কোটি কোটি টাকা জালিয়াতির অভিযোগ রয়েছে এই চক্রের বিরুদ্ধে।
এরপর এদিন সকালে খড়দহ থানার পুলিস গোপন সূত্রে খবর পেয়ে অভিযান চালায়। অভিযান চালিয়ে খড়দহ এমএস মুখার্জী রোডে পুনম প্লাজা নামের আবাসনে ভুয়ো কল সেন্টারের হদিশ পায় পুলিস। ওই কল সেন্টার থেকে ১০ জনকে গ্রেফতার করে খড়দহ থানার পুলিস। তবে এই চক্রের সঙ্গে বিদেশের যোগ থাকতে পারে বলে পুলিস জানিয়েছে। অভিযুক্তদের পাঁচ দিনের পুলিসি হেফাজত চেয়ে ব্যারাকপুর আদালতে পাঠিয়েছে খড়দহ থানার পুলিস।
রাজারহাটে (Rajarhat) অবৈধ (Fake) কল সেন্টারের (Call Center) হদিশ। পরিত্যক্ত বাড়িতে কল সেন্টার খুলে বিদেশি নাগরিকদের প্রতারণার অভিযোগ। রাজারহাট থানার হাতে গ্রেফতার তিন। আজ, মঙ্গলবার তাদের বারাসত আদালতে তোলা হবে। পুলিস সূত্রে খবর, ধৃতদের নাম অভয় শর্মা, বিবেক কুমার শর্মা ও রাজ মিত্র। পুলিস গোপন সূত্রে খবর পায় যে, রাজারহাটের রেকজোয়ানি আজাদ নগরে একটি পরিত্যক্ত বাড়িতে অবৈধ কল সেন্টার চলছে। সেই সূত্রের ভিত্তিতে রাজারহাট থানার পুলিস সেখানে হানা দেয়।
সেখান থেকে তিন যুবককে গ্রেফতার করা হয়। এদেরকে জিজ্ঞাসাবাদ করে জানতে পারে যে, তারা নেট কানেকশনের জন্য অন্যের মোবাইলের হটস্পট ব্যবহার করতো এবং এর পরেই তারা বিদেশি নাগরিকদের ফোন করতো। বিদেশি নাগরিকদের ফোন করে নিজেদের সার্ভেয়ার বলে পরিচয় দিতো এবং ফ্রিতে বাড়িতে লিফ্ট ইনস্টলেশন করার জন্য বলতো। যাঁরা রাজি হতো তাঁদের কাছে বিভিন্ন অজুহাতে টাকা হাতিয়ে নিয়ে প্রতারণা করতো বলে পুলিস সূত্রে খবর।
শহরে ফের ভুয়ো কল সেন্টারের (Call Center) হদিশ। সোমবার সল্টলেক (Salt Lake) সেক্টর ফাইভে, সাইবার ক্রাইম (Cyber Crime) থানা এলাকার ঘটনা। পুলিস সূত্রে খবর, ওই কল সেন্টারে তল্লাশি চালিয়ে ৫ লক্ষ ৬৪ হাজার ৫০০ টাকা উদ্ধার করা হয়েছে। পাশাপাশি ওই ঘটনায় ১৬ জনকে আটক করা হয়েছে বলে সূত্রের খবর। সল্টলেকে ভুয়ো কল সেন্টার নতুন নয়। শহরজুড়ে বারবার টাকা লোপাট, লোনের নামে প্রতারণার অভিযোগ আসছিল। তদন্তে নেমে ভুয়ো কল সেন্টারের সূত্র পায় পুলিস। সেইমতো সোমবার ওই কল সেন্টারে হানা দেয় পুলিস, তল্লাশি চালিয়ে, উদ্ধার হয়েছে কম্পিউটার, স্মার্টফোন, প্রতারিতদের বহু নথি এবং ডেবিট কার্ড, এছাড়া কিপ্যাড মোবাইল-সহ বিভিন্ন নথি।
পুলিস জানিয়েছে, কিছু ব্যক্তি একটি প্রাইভেট লিমিটেড কোম্পানির নামের আড়ালে ফেক কল সেন্টারের ব্যাবসা চালাচ্ছিল। সেক্টর ফাইভের বহুতলে ২০২২ সালের ডিসেম্বর মাস থেকে, অফিস ভাড়া করে চলছিল এই প্রতারণা চক্র। কোম্পানির মোবাইলের টাওয়ার বসানো এবং লোন পাইয়ে দেওয়ার নাম করে আসাম সহ ভারতের বিভিন্ন রাজ্যের মানুষদের প্রতারণা করত এই সংস্থা। সোমবার তল্লাশি চালানোর পর, বিধাননগর সাইবার ক্রাইম থানার হাতে গ্রেফতার, দুই ডিরেক্টর-সহ মোট ১৬ জন।
অবৈধ কল সেন্টারের(Fake Call Center) পর্দা ফাঁস পুলিসের। রাতের অন্ধকারে কল সেন্টারে হানা দিল শিলিগুড়ির(Siliguri) মাটিগাড়া থানার পুলিস(Police)। ঘটনায় ২০ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ধৃতদের মধ্যে ২ জন গুজরাতের বাসিন্দা, ৫ জন মহিলা। গোটা ঘটনায় তদন্ত চালিয়ে নিয়ে যেতে গুজরাতের দুই বাসিন্দাকে রিমান্ডের আবেদন জানিয়েছে পুলিস। ধৃতদের বৃহস্পতিবার শিলিগুড়ি আদালতে পেশ করা হয়৷
উত্তরবঙ্গে শিল্পের প্রসারে শিলিগুড়িতে গড়ে তোলা হয়েছিল আইটি পার্ক। তবে সেই আইটি পার্কটি বর্তমানে অবৈধ কল সেন্টারের হাব হয়ে উঠেছে বলে অভিযোগ। জানা গিয়েছে, গোপন সূত্রের খবরে বুধবার রাতে মাটিগাড়া থানা এলাকার অধীন আইটি পার্কে হানা দেয় পুলিস। অভিযান চালায় ডিটেকটিভ ডিপার্টমেন্ট, সাইবার ক্রাইম, এসওজি এবং মাটিগাড়া থানার পুলিস। অভিযান চালিয়ে একসঙ্গে ২০ জনকে গ্রেফতার করে পুলিস।
পুলিস সূত্রে খবর, ধৃত ২০ জনের মধ্যে ২ জন মূল পান্ডা। তাঁরা গুজরাতের বাসিন্দা সুনীল গুপ্তা এবং অভিষেক রাজপুত। গোটা ঘটনায় তদন্তের স্বার্থে গুজরাতের দুই বাসিন্দাকে রিমান্ডের আবেদন জানায় পুলিস। পুলিস আরও জানায়, 'ওই অবৈধ কল সেন্টারের অনলাইন মাধ্যমে প্রতারণার ফাঁদ পাতা হয়েছিল।'
ফের খাস কলকাতায় (Kolkata) প্রতারণার অভিযোগ। এবার ব্যাঙ্কে চাকরি (bank job) দেওয়ার নাম করে লক্ষাধিক টাকা প্রতারণা (fraud) করার অভিযোগ। বৃহস্পতিবার রাতে ভুয়ো কল সেন্টারে হানা দিয়ে ১০ মহিলা-সহ ১৬ জনকে গ্রেফতার করলো বিধাননগর (Bidhan Nagar) ইলেকট্রনিক্স কমপ্লেক্স থানার পুলিস (police)। উদ্ধার হয়েছে একাধিক ইলেকট্রনিক্স গ্যাজেট।
পুলিস সূত্রে খবর, সল্টলেকের সেক্টর ফাইভের এসডিএফ বিল্ডিংয়ের ২১৫ নম্বর ঘরে ইভান অ্যাচিভার্স প্রাইভেট লিমিটেড নামের একটি ভুয়ো কল সেন্টার চালু করেছিলেন প্রতারকরা। সেখান থেকে ওয়ার্ক ইন্ডিয়া নামের একটি অ্যাপের মাধ্যমে চাকরির বিজ্ঞাপন দিতেন তারা। ব্যাঙ্কের ব্যাক অফিসে চাকরি দেওয়ার বিজ্ঞাপন দেওয়া হতো বলেই পুলিস সূত্রে খবর।
জানা গিয়েছে, এই অ্যাপের মধ্যে রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তের যারা চাকরির জন্য প্রোফাইল তৈরি করতেন, তাঁদের বিভিন্ন ভুয়ো পরিচয় দিয়ে ফোন করতেন প্রতারকরা। সেখানে তাঁদের রেজিস্ট্রেশন বাবদ কিছু টাকা জমা করতে বলা হত। রেজিস্ট্রেশন করার পরই চাকরিপ্রার্থীদের ইন্টারভিউয়ের জন্যে ডাকা হত। তবে পরবর্তীতে তাঁদের কাছ থেকে আরও টাকা হাতিয়ে নিয়ে প্রতারণা চালাতো এই চক্র, বলে ইতিমধ্যেই প্রাথমিক তদন্তে উঠে এসেছে।
এরপরই বৃহস্পতিবার রাতে এসডিএফ বিল্ডিংয়ের ওই ভুয়ো কল সেন্টারে হানা দেয় বিধাননগর ইলেকট্রনিক্স কমপ্লেক্স থানার পুলিস। সেখান থেকে ১০জন মহিলা-সহ মোট ১৬ জনকে গ্রেফতার করে পুলিস। তাদের মধ্যে এই ইভান অ্যাচিভার্স প্রাইভেট লিমিটেড সংস্থার কর্ণধার হাসিবুর রহমানকেও গ্রেফতার করেছে পুলিস। তাদের কাছ থেকে একাধিক কম্পিউটার, ল্যাপটপ, মোবাইল ফোন, কাস্টমার ডেটা উদ্ধার করেছে পুলিস। শুক্রবার অভিযুক্তদের বিধাননগর আদালতে তোলা হয়।
এই চক্র তাদের প্রতারণা চক্রের জাল কত দূর পর্যন্ত বিস্তার করেছিল এবং এই চক্রের সঙ্গে অন্য কাদের যোগ রয়েছে সেই বিষয়ে তদন্ত শুরু করেছে বিধাননগর ইলেকট্রনিক্স কমপ্লেক্স থানার পুলিস।
বিদেশি নাগরিকদের টেক সাপোর্টের নাম করে প্রতারণা (fraud)। ভুয়ো কল সেন্টারে (Fake call center) হানা দিয়ে ১১ অভিযুক্তকে গ্রেফতার (arrest) করলো বিধাননগর ইলেকট্রনিক্স কমপ্লেক্স থানার পুলিস (police)। উদ্ধার একাধিক ইলেকট্রনিক্স গ্যাজেট। খাস কলকাতায় এমন ঘটনায় চাঞ্চল্য।
পুলিস সূত্রে খবর, সল্টলেকের সেক্টর ফাইভের এসডিএফ বিল্ডিংয়ে একেএস কনসালটেন্সি নামের একটি ভুয়ো কল সেন্টার চালু করেছিল এই প্রতারকরা। সেই কল সেন্টার থেকে বিদেশি নাগরিকদের ভয়েস ওভার ইন্টারনেট প্রটোকল ব্যবহার করে ফোন করা হত। এরপরই বিভিন্ন নামী সফটওয়্যার কোম্পানির কর্মী পরিচয় দিয়ে বিদেশি নাগরিকদের টেক সাপোর্ট দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিত প্রতারকরা। সেখান থেকে টেক সাপোর্টের নাম করে টাকা হাতিয়ে নেওয়া হত বলে পুলিস সূত্র জানিয়েছে। আরও জানা যায়, এই প্রক্রিয়ায় প্রায় লক্ষাধিক টাকা প্রতারণা করেছে প্রতারকরা।
এই তথ্যের ভিত্তিতে বৃহস্পতিবার রাতে সেই অফিসে হানা দেয় বিধাননগর ইলেকট্রনিক্স কমপ্লেক্স থানার পুলিস। ইতিমধ্যেই ঘটনাস্থল থেকে ১১ জনকে গ্রেফতার করে পুলিস। অফিস থেকে ২০টির বেশি মোবাইল ফোন, ১০ টির বেশি কম্পিউটার সহ একাধিক ইলেকট্রনিক গ্যাজেট উদ্ধার করেছে পুলিস। শুক্রবার অভিযুক্তদের বিধাননগর মহকুমা আদালতে তোলা হয়। পুলিস তাদের নিজেদের হেফাজতে নেওয়ার আবেদন জানায় বলে পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে। পাশাপাশ এই চক্রের মূল পাণ্ডার খোঁজও চালাচ্ছে বিধাননগর ইলেকট্রনিক্স কমপ্লেক্স থানার পুলিস।
রাজ্যের বেশ কিছু জেলায় ডেঙ্গিতে (dengue) আক্রান্তের সংখ্যা যে হারে বাড়ছে তাতে করে উদ্বেগ আরও বাড়ছে। দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা বাড়তে থাকায় রাজ্যের স্বাস্থ্য দফতর ডেঙ্গি রোধে নতুন কিছু পদক্ষেপের কথা ঘোষণা করেছে। শুক্রবার স্বাস্থ্য দফতরের তরফে জানানো হয়েছে, এই মূহুর্তে কলকাতা (Kolkata), উত্তর ২৪ পরগনা, হাওড়া (Howrah), হুগলি (Hooghly), মুর্শিদাবাদ ও দার্জিলিংয়ে ডেঙ্গি আক্রান্তের সংখ্যা সবচেয়ে বেশি।
এই সব জেলায় ডেঙ্গি রোগীদের সাহায্যের জন্য আলাদা কল সেন্টার তৈরি করতে বলা হয়েছে। এছাড়াও নজরদারি চালানোর জন্য বিশেষ টিম গঠনেরও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। হাওড়া ও হুগলির বিভিন্ন হাসপাতালে ফিভার ক্লিনিক চালু করতেও স্বাস্থ্য দফতর নির্দেশ দিয়েছে। পাশাপাশি হাওড়াতে ডেঙ্গি টেস্ট কিটের সংখ্যাও বাড়াতে বলা হয়েছে। জোরদার প্রচার অভিযান চালানোরও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
সম্প্রতি, স্বাস্থ্য দফতরের পক্ষ থেকে একটি বুলেটিন প্রকাশ পায়। সেখানে জানানো হয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় রাজ্যে নতুন করে ৪০১ জন ডেঙ্গিতে আক্রান্ত হয়েছেন। তার মধ্যে ৩১৫ জন ডেঙ্গি আক্রান্তের চিকিত্সা চলছে সরকারি হাসপাতালে।