ধূপগুড়ি উপনির্বাচনের প্রচারে গিয়ে তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় কথা দিয়েছিলেন, ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে মহকুমা হবে ধূপগুড়ি। ফল ঘোষণার পর মুখ্যমন্ত্রী ধুপগুড়িকে মহকুমা করার প্রস্তাব দেন , এবার রাজ্যের মন্ত্রিসভাতেও পাশ হল এই প্রস্তাব। এছাড়াও এদিন মন্ত্রিসভার বৈঠকে একাধিক বিল পাশ হয়েছে। বৈঠক থেকে বেরিয়ে ফিরহাদ হাকিম জানান, মোট ১২ হাজার কনস্টেবল নিয়োগ করা হবে রাজ্যে। তাঁদের মধ্যে ৮,৪০০ জন পুরুষ এবং ৩,৬০০ জন মহিলা।’’
বাড়ি থেকে বেরোতে পারবেন না মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই কারণে কালীঘাটেই রাজ্য মন্ত্রিসভার বৈঠক করার সিদ্ধান্ত নিলেন তিনি। সূত্রের খবর, আগামী ১২ অক্টোবর অর্থাৎ বৃহস্পতিবার মুখ্যমন্ত্রীর বাসভবনের অফিসেই এই বৈঠকের আয়োজন করা হয়েছে। শুক্রবার বিকেলের মধ্যে অনেকেই জেনে গিয়েছেন সেই খবর। বাকিদেরও জানিয়ে দেওয়া হবে বলেই নবান্ন সূত্রের খবর।
স্পেন সফরে গিয়ে পায়ে চোট পেয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্য্যের। গত ২৩ সেপ্টেম্বর কলকাতায় পৌঁছোন তিনি। এসএসকেএমে তাঁর চিকিৎসা হয়।
চিকিৎসকরা তাঁকে বাড়িতে থাকতে পরামর্শ দেন। বাড়ি থেকেই প্রশাসনের কাজ সামলাচ্ছেন তিনি। সেই কারণেই মন্ত্রীসভার বৈঠকও কালীঘাটে করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তিনি।
অবশেষে মহিলা সংরক্ষণ বিলে (Women Reservation Bill) অনুমোদন দিল কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা (Union Cabinet)। মঙ্গলবার সংসদে বিল পেশ করা সম্ভাবনা রয়েছে। এমনটাই সূত্রের খবর। সোমবার শুরু হয় সংসদের বিশেষ অধিবেশন। সোমবারের অধিবেশনের শুরুতেই বক্তব্য রাখেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী (Narendra Modi)। এর পর অধিবেশনের শেষ হতেই সন্ধ্যায় কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার জরুরি বৈঠক ডাকেন। তবে কেন এই বৈঠক, তা নিয়েই শুরু হয় জল্পনা। বৈঠক শেষে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী প্রহ্লাদ প্যাটেল জানিয়েছেন, মহিলা সংরক্ষণ বিলে অনুমোদন দিয়েছে কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা।
সোমবার রাতেই কেন্দ্রীয় মন্ত্রী প্রহ্লাদ প্যাটেল সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করে জানান, 'নারী সংরক্ষণের দাবি পূরণ করার নৈতিক সাহস কেবল মাত্র মোদী সরকারেরই ছিল। এই বিলকে অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা। এর মাধ্যমে সরকারের নৈতিক সাহসিকতা প্রমাণিত হয়েছে। নরেন্দ্র মোদীজি এবং কেন্দ্রীয় সরকারকে অভিনন্দন।'
Union Cabinet has approved women’s reservation bill, says Union minister Prahlad Patel.#WomenReservationBill pic.twitter.com/PyP0txPNmq
— Live Law (@LiveLawIndia) September 18, 2023
তবে কী এই বিল, এই নিয়ে সাধারণ মানুষের মনে অনেক প্রশ্ন রয়েছে। জানা গিয়েছে, এই বিল পাশ হয়ে গেলে লোকসভা, রাজ্যসভা ও বিধানসভায় মহিলাদের জন্য ৩৩ শতাংশ আসন সংরক্ষিত থাকবে। তফশিলি জাতি বা তফশিলি উপজাতির জন্য সংরক্ষিত আসনগুলির মধ্যেও এক তৃতীয়াংশ সংরক্ষিত হবে এসসি বা এসটি নারীদের জন্য।
বেসরকারি ইংরেজি মিডিয়াম স্কুলগুলিতে বাংলা বাধ্যতামূলক করল রাজ্য। প্রথম ভাষা হিসেবে বাংলা নিতেই হবে। রাজ্য মন্ত্রিসভার বড় সিদ্ধান্ত। একইসঙ্গে বেসরকারি স্কুলগুলিকে নিয়ন্ত্রণের জন্য রাজ্য তৈরি হচ্ছে শিক্ষা কমিশন।
বেসরকারি স্কুলের বিরুদ্ধে যে ভুরি ভুরি অভিযোগ ওঠে, সেগুলি শুনবে কমিশন। কমিশনের মাধ্যমে বিশেষ গাইডলাইনও প্রকাশ করা হবে। কমিশনের সদস্যদের নামও শীঘ্রই জানানো হবে।
জানা গিয়েছে, সোমবার রাজ্য মন্ত্রিসভার বৈঠকে অনুমোদিত রাজ্যের শিক্ষানীতিতে স্পষ্ট জানিয়ে দেওয়া হয় বাংলা এবং ইংরেজি পড়াতেই হবে। বেসরকারি ইংরেজি মাধ্যমের ক্ষেত্রেও একই নিয়ম।
এছাড়া, বেসরকারি স্কুলগুলিকে নিয়ন্ত্রণের জন্য একটি শিক্ষা কমিশন গঠন করছে রাজ্য। উল্লেখ্য, প্রায়ই বেসরকারি স্কুলগুলিতে কখনও ফি বৃদ্ধি কখনও আবার সিলেবাস-পরীক্ষা নিয়ে একাধিক অভিযোগ উঠেছে। এবার এদিকটা দেখবে শিক্ষা কমিশন। একজন অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি কমিশনের চেয়ারম্যান হবেন। তবে এই কমিশনে বেসরকারি স্কুলগুলিরও প্রতিনিধি থাকবে বলে জানা গিয়েছে।
নতুন বছরে অর্থাৎ ২০২৩ সালে প্রথমবারের মতো মোদী সরকারের মন্ত্রিপরিষদের বৈঠক। রবিবারের এই বৈঠকে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী, প্রতিমন্ত্রী, স্বতন্ত্র দায়িত্বপ্রাপ্ত এবং প্রতিমন্ত্রীরা অংশ নেবেন বলে জানা গিয়েছে। মোদী (PM Narendra Modi) সরকারের মেয়াদের শেষ পূর্ণাঙ্গ বাজেট ২.০-এর আগে এই বৈঠককে বাজেট অধিবেশনের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে।
বলে রাখা ভাল, এবার সংসদের বাজেট অধিবেশন ৩১ শে জানুয়ারি থেকে শুরু হচ্ছে। অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন ১লা ফেব্রুয়ারি সংসদে ২০২৩-২৪ অর্থবর্ষের বাজেট পেশ করবেন। সংসদ বিষয়ক কেন্দ্রীয় মন্ত্রী প্রহ্লাদ জোশী জানিয়েছিলেন বাজেট পেশ চলবে ৬ এপ্রিল পর্যন্ত।
শোনা গিয়েছে, বাজেট অধিবেশন নিয়ে মন্ত্রিপরিষদের বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী তাঁর মন্ত্রীদের কিছু নির্দেশও দিতে পারেন। প্রধানমন্ত্রী চান, বাজেট পেশের পর তাঁর মন্ত্রীরা যেন সরকারের সর্বোচ্চ জনকল্যাণমূলক পরিকল্পনা জনগণের কাছে পৌঁছে দেন। দেশকে দেওয়া জি-টোয়েন্টির সভাপতিত্ব সংক্রান্ত কর্মসূচি নিয়েও আলোচনা হতে পারে বলে সূত্রের খবর।
আগামি দিনে বিজেপি (BJP) বাংলায় অশান্তি তৈরি করতে পারে। রাজ্য মন্ত্রিসভার (State Cabinet) বৈঠকে এই আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী (CM Mamata)। তাই মমতা মন্ত্রিসভার সদস্যদের সতর্ক থাকতে নির্দেশ রাজ্যের প্রশাসনিক প্রধানের। রাজ্যজুড়ে নাকা চেকিং বাড়াতে নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। নবান্নের (Nabanna) একটি সূত্র মারফৎ এই খবর। মূলত, নভেম্বরের শেষ থেকে ডিসেম্বরের মাঝামাঝি পর্যন্ত সতর্ক থাকতে মন্ত্রীদের নির্দেশ দেন মুখ্যমন্ত্রী। এমনটাই সূত্র মারফৎ জানা গিয়েছে।
পাশাপাশি এদিন রাজ্য মন্ত্রিসভার বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়েছে, এবার থেকে বিধবা ভাতার প্রাপকরাও লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের সুবিধা পাবেন। এমনকি বুধবারের রাজ্য মন্ত্রিসভার বৈঠকে সিদ্ধান্ত, এখন থেকে মুখ্যমন্ত্রীকে জানিয়ে করতে হবে যেকোনও প্রকল্পের ঘোষণা।
পরিবহন দফতর নবান্নকে না জানিয়ে বিভিন্ন রুটে বাস চালিয়ে দিচ্ছে, এটা করা যাবে না। ১০০ দিনের কাজে যারা যুক্ত তাদের অন্য দফতরের কাজে ব্যবহার করতে হবে। এমনকি, মেলায় খরচ কমাতে নির্দেশ মুখ্যমন্ত্রীর। মেলার খরচ কমিয়ে ১০০ দিনের কাজে টাকা ব্যবহারের নির্দেশ দেন তিনি।
এদিকে, ক্যাবিনেট বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রীর অশান্তি পাকানোর আশঙ্কা প্রসঙ্গে বিজেপি জানিয়েছে, কোনও দলকে ভাঙানো যায় না। দল নিজের মতো করে চলে। সরকার যেভাবে চলছে তাতেই ডিসেম্বরের পর সরকার চালানো মুশকিল। বিজেপি এভাবে সরকার ভাঙানোর পক্ষপাতী নয়। বিজেপি মুখপাত্র শমীক ভট্টাচার্য বলেন, 'মুখ্যমন্ত্রী বাস্তব চিত্রটা জানেন। উনি দল এবং সরকার তৈরি করেছেন। একা সামনে দাঁড়িয়ে লড়াইয়ে নেতৃত্ব দিয়েছেন। বিজেপি কোনওদিন এই সরকারকে অগণতান্ত্রিক ভাবে ফেলার কথা বলেনি। সরকার যেভাবে চলছে, তাতে রাজ্যে চরম নৈরাজ্য। হেভিওয়েট মন্ত্রীরা গ্রেফতার হচ্ছেন, কেউ গ্রেফতারির জায়গায় চলে যাচ্ছেন। ধীরে ধীরে গৃহযুদ্ধের দিকে চলে যাচ্ছে। একটা অরাজক অবস্থা তৈরি হচ্ছে, এই সরকার, এখন সরকারে নেই। অস্তিত্ব রক্ষার লড়াইয়ে তৃণমূল আর টিকে থাকতে পারবে না, সেটা ইঙ্গিত পেয়েই এভাবে ঘুরিয়ে দেওয়ার চেষ্টা চলছে।'
কংগ্রেস সাংসদ তথা প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরীর খোঁচা, 'সর্বদলীয় বৈঠক ডাকুন মুখ্যমন্ত্রী। এত বড় ঘটনায় একা সিদ্ধান্ত নিতে পারেন না মুখ্যমন্ত্রী। উনি আগে দলকে সামলান, যারা রাজ্যজুড়ে জহ্লাদরাজ কায়েম করেছে তাঁদের সামলান। মানুষের ক্ষোভ প্রশমিত করতে না পেরে এসব বাহানা তৈরি।'
সিপিএম-র সুজন চক্রবর্তীর কটাক্ষ, 'বিজেপি কী কী করতে পারে, ভালো জানেন মুখ্যমন্ত্রী নিজে। উনি বিজেপির সব অপরাধের শরিক। কারণ বিজেপিকে স্বাভাবিক শরিক মনে করেন মুখ্যমন্ত্রী।'
কীভাবে একটা নির্বাচিত সরকার পড়ে যেতে পারে? এই প্রশ্ন তুলেছেন তৃণমূলের রাজ্য সহ-সভাপতি জয়প্রকাশ মজুমদার। তিনি বলেন, 'কী করে সরকারের পতন হবে? ভারতের আইন, সংবিধান আছে, একজন নির্বাচিত সরকার কীভাবে এভাবে পড়ে যেতে পারে? দেশে সংবিধান, আইন ব্যবস্থা নেই? এসব প্রচার করে বিজেপি হাওয়া গরম করছে।'
২০১১-র প্রথম ক্যাবিনেট মিটিং হয়েছিল মন্ত্রিসভার শপথের দিনই। সেদিন নতুন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং সুব্রত মুখোপাধ্যায় ছাড়া কারও সেভাবে কোনও প্রশাসনিক অভিজ্ঞতা ছিল না। কিন্তু এতো দীর্ঘ সময় ধরে মিটিং আগে কেউ দেখেনি। পরিবর্তনের সরকারের প্রথম সেই ক্যাবিনেট বৈঠক চলেছিল ৪-৫ ঘন্টা ধরে চলেছিল। রাত ১০টার পরেও ধরা যায়নি নব্য মন্ত্রীদের। শোনা যায় সেদিন মূল বক্তা ছিলেন একমাত্র মমতা। তিনি নানা উপদেশ-পরামর্শ দিয়েছিলেন। দফতরের সচিবদের সঙ্গে সমন্বয়ে কাজ করতে বলেছিলেন। অভিজ্ঞতা সঞ্চয় করতে বলেছিলেন। তখন তাঁর বা মন্ত্রীদের হাতে যে সমস্ত সচিব বা কর্মচারী ছিল তাঁরা প্রত্যেকেই বাম জমানার।
সেদিন কিন্তু মুখ্যমন্ত্রী সতর্ক হতে বলেননি বরং তাঁদের নিয়েই কাজ চলেছিল। এখনও প্রায় তাই। কিন্তু এবারে মুখ্যমন্ত্রী বুঝেছেন বোধ হয় যে শুধু আমলাদের উপর ভরসা করে কাজ হয় না। পরোক্ষে ১১ বছর বাদে এবার ক্যাবিনেট বৈঠকে তার ইঙ্গিত দিলেন মমতা।
ধমক খেলেন দলের বহু পুরাতন নেতা এবং তৃতীয় তৃণমূল সরকারের বনমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক। তাঁর কাজে মোটেই খুশি নয় মুখ্যমন্ত্রী।
শোনা গিয়েছে, এবার নাকি প্রস্তাব ছিল জ্যোতিপ্রিয়কে মন্ত্রিসভা থেকে বাদ রাখার জন্য। কিন্তু মুখ্যমন্ত্রী, তাঁর স্নেহের বালুকে বাদ দিতে চাননি। বরং খাদ্য থেকে সরিয়ে বন দফতর দেওয়া হয়েছে জ্যোতিপ্রিয়কে। শোনা গিয়েছে, মুখ্যমন্ত্রী বেশি সতর্ক হতে বলেছেন সুজিত বসুকে। কারণ দমকল দফতর অত্যন্ত স্পর্শকাতর জায়গা। নতুন মন্ত্রী বাবুল সুপ্রিয়কে, ইন্দ্রনীল সেনের কাছ থেকে কাজের অভিজ্ঞতা নিতে বললেন। পার্থ ভৌমিককে জানিয়েছেন সেচ অত্যন্ত জরুরি পরিষেবার বিভাগ। স্নেহাশিস বর্তমানে পরিবহণের নতুন মন্ত্রী। মমতা তাঁকে বললেন, দপ্তরটি একেবারে ঘুঘুর বাসা, বুঝে কাজ করতে হবে।
তবে মূল বক্তব্য, না বুঝে কোনও কাগজে সই নয়। সচিবদের উপর পরম ভরসার মুখ্যমন্ত্রী তবে কি বিশ্বাস হারাচ্ছেন?
রাজ্য মন্ত্রিসভার সম্প্রসারণের পর প্রথম ক্যাবিনেট বৈঠক (Cabinet Meeting) করলেন মুখ্যমন্ত্রী (CM Mamata)। এই বৈঠকে মন্ত্রীদের আরও স্বচ্ছ এবং সতর্ক হওয়ার পরামর্শ দেন তিনি। পার্থ-কাণ্ডের পর মুখ্যমন্ত্রীর, তাঁর মন্ত্রিসভার সদস্যদের প্রতি এই বার্তা তাৎপর্যপূর্ণ। সূত্রে মারফত এই খবর পাওয়া গিয়েছে।
সূত্রের খবর বৃহস্পতিবার মুখ্যমন্ত্রী বৈঠকে বলেছেন, 'ভালো ভাবে, সতর্ক হয়ে কাজ করুন। কোনও ফাইল সইয়ের আগে খতিয়ে দেখে নিন।' এমনকি, জেলা থেকে কলকাতায় আসা মন্ত্রীরা পাইলট কার এবং বাতি লাগানো গাড়ি নিয়ে ঘুরতে পারবেন না। এমন নির্দেশ নাকি এদিনের ক্যাবিনেট বৈঠকে দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী।
পাশাপাশি এদিনের বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়েছে, প্রতিমন্ত্রীদের জন্যও কাজ ভাগ করে দেওয়া হবে। এযাবৎকাল পূর্ণমন্ত্রীদের জন্য কাজ থাকলেও প্রতিমন্ত্রীদের জন্য সেভাবে ছিল না কাজ। সেই দায়িত্ব এবার ভাগ করতে চলেছেন মুখ্যমন্ত্রী। এমনটাই সূত্রের খবর। পাশাপাশি রাজ্যে আগামি দিনে ১৮টি ইন্ডাস্ট্রিয়াল ইউনিট ও ৫টি ইন্ডাস্ট্রিয়াল পার্ক হবে।
৬০০ কোটি টাকা বিনিয়োগে ৪০০০ কর্মসংস্থান হবে রাজ্যে। নবান্নের মন্ত্রিসভার বৈঠকে এই সিদ্ধান্তই হয়েছে। বৃহস্পতিবার নবান্নে জানান অর্থমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য। পাশাপাশি সিদ্ধান্ত হয়েছে, ২১ হাজার রেশন ডিলারেরর সহযোগিতায় ৯.২৫ কোটি মানুষকে পরিষেবা দিতে পারছে সরকার। আগে তাই দুয়ারে রেশন প্রকল্পে ৭৫ টাকা প্রতি কুইন্টাল কমিশন দেওয়া হতো। সরকার সন্তুষ্ট হয়ে এবার ৫০০০টাকা করে প্রতি মাসে কমিশন দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
আজ নবান্নে (Nabanna) মন্ত্রিসভার বৈঠক (cabinet meet)। নতুন মন্ত্রীরা (new ministers) শপথ (oath) নেওয়ার পর আজ মন্ত্রিসভার প্রথম বৈঠক নবান্নে। মন্ত্রিসভার বৈঠকে নতুন মন্ত্রীদের উপস্থিত থাকার জন্য দেওয়া হয়েছে নির্দেশিকা। নতুন মন্ত্রীরা হলেন বাবুল সুপ্রিয়, সত্যজিৎ বর্মণ, প্রদীপ মজুমদার, স্নেহাশিস চক্রবর্তী, পার্থ ভৌমিক, উদয়ন গুহ, সত্যজিৎ বর্মন, তাজমুল হোসেন, বিপ্লব রায় চৌধুরী। মন্ত্রিসভার বৈঠকে দফতরগুলির সঠিক রূপরেখা ঠিক করে দিতে পারেন মুখ্যমন্ত্রী, এমনটাই সূত্রের খবর।
নবান্ন সূত্রে খবর, মন্ত্রীদের আরও বেশি করে কাজ করার কথা বলতে পারেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সুূত্রের খবর, কোনও দুর্নীতির (corruption) সঙ্গে নিজেকে জড়ানো যাবে না বলেও বার্তা দিতে পারেন তিনি। মন্ত্রিসভাকে অসম্মান নয়, দলকেও অসম্মান নয়। একথা আগেই বলেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী।
আজকের মন্ত্রিসভার বৈঠকে গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত (decision) নেওয়া হতে পারে বলে জানা যাচ্ছে। ইতিমধ্যেই প্রধান শিক্ষক নিয়োগের বিধিতে মিলেছে আইন দফতরের সম্মতি। অর্থ দফতরও ছাড়পত্র দিয়েছে। তাই মন্ত্রিসভার বৈঠকে প্রধান শিক্ষক নিয়োগের(recruitment) বিধি অনুমোদন পেতে পারে বলে সূত্রের খবর।
এখন আজকের বৈঠকে আর কী বার্তা দেবেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, সেদিকেই তাকিয়ে মন্ত্রীরা।
মন্ত্রিসভা সম্প্রসারণের (Maharashtra Cabinet) এক সপ্তাহের মধ্যেই দফতর বণ্টন করলেন মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী একনাথ শিন্ডে (CM Shinde)। গুরুত্বপূর্ণ অর্থ এবং স্বরাষ্ট্র দফতরের দায়িত্ব পেলেন মুখ্যমন্ত্রী শিন্ডের ডেপুটি দেবেন্দ্র ফড়নবিস (Devendra Fadanvis)। গত মঙ্গলবার শিন্ডে মন্ত্রিসভার জন্য ১৮ জন বিধায়ক শপথ নিয়েছিলেন। শিন্ডে ক্যাম্পের ৯ জন এবং বিজেপির ৯ জন বিধায়ককে শপথবাক্য পাঠ করানো হয়েছিল।
এবার শপথ নেওয়া মন্ত্রীদের দফতর বণ্টন করলেন মুখ্যমন্ত্রী। বিজেপি বিধায়ক রাধাকৃষ্ণ পাটিলের পেয়েছেন রাজস্ব দফতর। চন্দ্রকান্ত পাটিল পেয়েছেন উচ্চশিক্ষা দফতর। এদিকে, মহারাষ্ট্রে পালাবদল একমাস পেরিয়েছে। উদ্ধবের জায়গায় খানিকটা নাটকীয় পরিস্থিতিতে মুখ্যমন্ত্রী হয়েছেন একনাথ শিন্ডে। তাঁর ডেপুটি সে রাজ্যের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী দেবেন্দ্র ফড়নবিস। পাশাপাশি শিন্ডে সেনা এবং বিজেপি জোট সরকারের ৪০দিনের মাথায় মহারাষ্ট্র মন্ত্রিসভার সম্প্রসারণ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। গত মঙ্গলবার এই জোট সরকারের মন্ত্রিসভায় ১৮ জন শপথ নিয়েছেন। তাঁদের মধ্যে ১৭ জনই আগেও কোনও না কোনও আমলে ক্যাবিনেট মন্ত্রী ছিলেন। তবে সবপক্ষকে হতাশ করে এই মন্ত্রিসভায় নেই কোনও মহিলা প্রতিনিধি।
সেদিন সকাল ১১টায় রাজ্যপাল ভগৎ সিংহ কোশিয়ারির কাছে শপথ নিয়েছেন শিন্ডে সেনার ৯ জন এবং বিজেপির ৯ জন বিধায়ক। এই তালিকায় রয়েছেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি চন্দ্রকান্ত পাটিল, প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি সুধীর মুঙ্গনতিওয়ার প্রমুখ। রয়েছেন সদ্য কংগ্রেস থেকে বিজেপিতে আসা মহারাষ্ট্রের প্রাক্তন বিরোধী দলনেতা রাধাকৃষ্ণ ভিকে পাতিলও।
মহারাষ্ট্রের ধনীতম বিধায়ক তথা মুম্বই শহর বিজেপির সভাপতি এমপি লোঢাও এই জোট সরকারের ক্যাবিনেটে জায়গা পেয়েছেন। এছাড়াও আছেন বিজেপি বিধায়ক, তফসিলি নেতা বিজয়কুমার গাভিট, সুরেশ খারে, অতুল সাভের মতো গেরুয়া শিবির প্রভাবশালী নেতারাও। অন্য দিকে, শিন্ডে ঘনিষ্ঠ দীপক কেসরকর, তানাজি সামন্ত, গুলাবরাও পাটিল, উদয় সাবন্তরা ঠাঁই পেয়েছেন মন্ত্রিসভায়। ২০১৯-এর বিধানসভা ভোটের আগে কংগ্রেস ছেড়ে শিবসেনায় যোগ দিয়ে জিতেছিলেন আব্দুল সাত্তার। শিন্ডে শিবিরে যোগ দিয়ে এবার মন্ত্রী তিনিও।
এসএসসি (SSC) নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডে প্রেসিডেন্সি সংশোধনাগারে (Presidency jail) এখন রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়। সূত্রের খবর, উদ্ভুত পরিস্থিতিতে আগামী বৃহস্পতিবার রাজ্য মন্ত্রিসভার (Cabinet meet) বৈঠকে শিক্ষক নিয়োগ (teacher recruitment) নিয়ে বড় সিদ্ধান্ত হওয়ার সম্ভাবনা। ইতিমধ্যেই শিক্ষক নিয়োগের জন্য স্কুলশিক্ষা দফতরকে সম্মতি দিয়েছে রাজ্যের অর্থ দফতর (state finance ministry)। শিক্ষক নিয়োগ-দুর্নীতির তদন্তের মধ্যেই শূন্য পদে নিয়োগ প্রক্রিয়া নিয়ে তৎপর রাজ্য সরকার।
মন্ত্রিসভার বৈঠকে শিক্ষক নিয়োগের বিষয়ে অনুমোদন মিললেই রাজ্যের স্কুলগুলিতে প্রধান শিক্ষক নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি জারি করবে স্কুল সার্ভিস কমিশন। ইতিমধ্যেই গোটা বিষয়টি নিয়ে তৎপর রাজ্যের স্কুল শিক্ষা দফতর। স্কুল শিক্ষা দফতরের তরফে ইতিমধ্যেই হাইকোর্টে জানানো হয়েছে রাজ্যের প্রধান শিক্ষকের পদে প্রায় আড়াই হাজার শূন্য পদে রয়েছে। সেই শূন্য পদগুলিতেই নিয়োগের জন্য তৎপর হয়েছে রাজ্য। যদিও স্কুলভিত্তিক চূড়ান্ত শূন্য পদের তালিকা শীঘ্রই মধ্যশিক্ষা পর্ষদ তৈরি করে তা এসএসসিতে পাঠিয়ে দেবে বলেই সূত্রের খবর।
সূত্রের খবর, হাইকোর্টে দেওয়া তথ্য অনুযায়ী নবম-দশম ও একাদশ-দ্বাদশ মিলিয়ে প্রায় কুড়ি হাজার শিক্ষক পদ রয়েছে। পাশাপাশি, প্রাথমিকভাবে নিয়োগের বিধিতে রাজ্য মন্ত্রিসভা অনুমোদন দিলেই সেপ্টেম্বর মাসের গোড়াতেই প্রধান শিক্ষক নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি দিয়ে দেবে এসএসসি তেমনটাই কমিশনের আধিকারিকরা মনে করছেন।
মহারাষ্ট্রে (Maharashtra) পালাবদল একমাস হয়ে গিয়েছে। উদ্ধবের জায়গায় খানিকটা নাটকীয় পরিস্থিতিতে মুখ্যমন্ত্রী হয়েছেন একনাথ শিন্ডে (CM Eknath Shinde)। তাঁর ডেপুটি সে রাজ্যের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী দেবেন্দ্র ফড়নবিস। এবার শিন্ডে সেনা এবং বিজেপি জোট সরকারের ৪০দিনের মাথায় মহারাষ্ট্র মন্ত্রিসভার সম্প্রসারণ (Cabinet Expansion)। মঙ্গলবার এই জোট সরকারের মন্ত্রিসভায় ১৮ জন শপথ নিয়েছেন। তাঁদের মধ্যে ১৭ জনই আগেও কোনও না কোনও আমলে ক্যাবিনেট মন্ত্রী ছিলেন। তবে সবপক্ষকে হতাশ করে এই মন্ত্রিসভায় নেই কোনও মহিলা প্রতিনিধি।
এদিন সকাল ১১টায় রাজ্যপাল ভগৎ সিংহ কোশিয়ারির কাছে শপথ নিলেন শিন্ডে সেনার ৯ জন এবং বিজেপির ৯ জন বিধায়ক। এই তালিকায় রয়েছেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি চন্দ্রকান্ত পাটিল, প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি সুধীর মুঙ্গনতিওয়ার প্রমুখ। রয়েছেন সদ্য কংগ্রেস থেকে বিজেপিতে আসা মহারাষ্ট্রের প্রাক্তন বিরোধী দলনেতা রাধাকৃষ্ণ ভিকে পাতিলও।
মহারাষ্ট্রের ধনীতম বিধায়ক তথা মুম্বই শহর বিজেপির সভাপতি এমপি লোঢাও এই জোট সরকারের ক্যাবিনেটে জায়গা পেয়েছেন। এছাড়াও আছেন বিজেপি বিধায়ক, তফসিলি নেতা বিজয়কুমার গাভিট, সুরেশ খারে, অতুল সাভের মতো গেরুয়া শিবির প্রভাবশালী নেতারাও। অন্য দিকে, শিন্ডে ঘনিষ্ঠ দীপক কেসরকর, তানাজি সামন্ত, গুলাবরাও পাটিল, উদয় সাবন্তরা ঠাঁই পেয়েছেন মন্ত্রিসভায়। ২০১৯-এর বিধানসভা ভোটের আগে কংগ্রেস ছেড়ে শিবসেনায় যোগ দিয়ে জিতেছিলেন আব্দুল সাত্তার। শিন্ডে শিবিরে যোগ দিয়ে এবার মন্ত্রী তিনিও।