শুক্রবার সকালে তৃণমূল নেতা শেখ শাহজাহানের বাড়িতে তল্লাশি চালাতে গিয়ে আক্রান্ত হয়েছিলেন কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা ইডির আধিকারিকরা। গ্রামবাসীরা তাঁদের ঘিরে ধরে মারধর করেন। জখম হন তিন ইডি আধিকারিক। এমনকি হামলার মুখে পড়তে হয় কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানদেরও। সন্দেশখালির এই ঘটনার জেরে সিআরপিএফের নিরাপত্তায় কড়া পদক্ষেপ করা হল। অভিযানের ক্ষেত্রে মাথায় হেলমেট, হাতে লাঠি, বডি প্রোটেক্টর রাখতে হবে জওয়ানদের।
তৃণমূলের বেতাজ বাদশা শাহজাহান শেখের অনুগামীরা এই হামলা চালায়। ঘটনায় রক্তাক্ত হন ইডি আধিকারিকরা। প্রাণ ভয়ে এলাকা ছেড়ে বেরিয়ে যান কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানরাও। ভেঙে দেওয়া হয় বাহিনীর একের পর এক গাড়ি। এই ঘটনার পরেই নড়েচড়ে বসেছে কেন্দ্রীয় বাহিনী। বিশেষ করে জওয়ানদের নিরাপত্তা নিয়ে নড়েচড়ে বসেছেন শীর্ষ আধিকারিকরা। আর এরপরেই কড়া বার্তা দেওয়া হয়েছে। যেখানে প্রত্যেক জওয়ানকে মাথায় হেলমেট, হাতে লাঠি, বডি প্রোটেক্টর রাখার কথা বলা হয়েছে। বিশেষ করে এমন ধরনের কোনও অভিযানে সামিল হলে এই ব্যবস্থা জওয়ানদের অবশ্যই সঙ্গে রাখতে হবে বলেও জানানো হয়েছে।
এই নির্দেশের পরই দেখা যায় সিআরপিএফ জওয়ানদের বাড়তি সতর্কতা। সোমবার রেশনবণ্টন দুর্নীতি মামলায় গ্রেফতার হওয়া শঙ্কর আঢ্যকে নিয়ে যাওয়া হয় মেডিক্যাল পরীক্ষার জন্য। সেকারণে সকাল থেকেই মোতায়ন রয়েছে অতিরিক্ত সিআরপিএফ। জওয়ানদের সকলকে হেলমেট, লাঠি, ঢাল সব কিছু নিয়ে প্রস্তুত থাকতে দেখা যায়।
ইন্টালিজেন্স ব্যুরো বা আইবি কর্তার সরকারি বাংলোয় আত্মঘাতী এক সিআরপিএফ জওয়ান। তুঘলক রোডের এই ঘটনা শুক্রবার সন্ধ্যার বলে জানিয়েছে দিল্লি পুলিস। প্রাথমিক তদন্তে জানা গিয়েছে, আত্মঘাতী ৫৩ বছরের রাজবীর কুমার সিআরপিএফের এএসআই পদে কর্মরত ছিলেন। আইবি ডিরেক্টরের বাড়ির নিরাপত্তার দায়িত্বপ্রাপ্ত বাহিনীতে ছিলেন তিনি। নিজের সার্ভিস রাইফেল কালাশনিকভ থেকে গুলি চালিয়ে আত্মহত্যা করেছেন রাজবীর।
জানা গিয়েছে, কয়েক দিনের ছুটি কাটিয়ে শুক্রবারই বাড়ি থেকে ফিরেছেন রাজবীর। যোগ দেন কাজেও। তাই পারিবারিক কারণে মানসিক অবসাদে ভুগে তিনি আত্মহত্যা করতে পারেন বলে প্রাথমিক ভাবে ধারণা। আইপিসির ১৭৪ ধারায় মামলা রুজু করে ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে দিল্লি পুলিস।
যদিও এই ঘটনার পরে আইবি কর্তার নিরাপত্তা সুরক্ষিত, এমনটাই কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক সূত্রে খবর।
গত এক বছরে উপত্যকাজুড়ে কাশ্মীরি পণ্ডিত এবং পরিযায়ী শ্রমিকরা জঙ্গি নিশানায়। সম্প্রতি রাজৌরি সেক্টরে (Jammu Rajouri) জঙ্গি হামলায় ৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। আর এই নাশকতার পর নড়েচড়ে বসেছে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক। সন্ত্রাস দমন অভিযানে গতি আনতে পুঞ্চ এবং রাজৌরি সেক্টরে অতিরিক্ত ১,৮০০ জনের একটি সিআরপিএফের দল পাঠানোর সিদ্ধান্ত নিল মোদী সরকার। ইতিমধ্যেই ৯ কোম্পানি সেনা এই দুই সেক্টরে পৌঁছে গিয়েছে। বুধবার রাতের মধ্যে আরও সেনা পৌঁছবে।
সংশ্লিষ্ট মহল সূত্রে জানা গিয়েছে, সিআরপিএফের এই দলটি সন্ত্রাসবাদ দমনে বিশেষ অভিযানে নামবে। সোমবার সকালেও জম্মুর রাজৌরি এলাকায় একটি বাড়ি লক্ষ্য করে আক্রমণ চালায় জঙ্গিরা। বিস্ফোরণের ফলে এক শিশু-সহ ৫ জন নিহত হয়েছেন।
জম্মু ও কাশ্মীরের লেফটেন্যান্ট গভর্নর মনোজ সিনহা টুইটে জানান, 'বিস্ফোরণের ঘটনায় যাঁরা মারা গিয়েছেন, তাঁদের পরিবারকে দশ লক্ষ টাকা এবং পরিবারের এক সদস্যকে সরকারি চাকরি দেওয়া হবে। যে সব পরিবারের সদস্য গুরুতর আহত হয়েছেন, তাঁদের সরকারের তরফে ১ লক্ষ টাকা দেওয়া হবে।'
‘রং দে বসন্তী’ খ্যাত অভিনেতা সিদ্ধার্থ সূর্যনারায়ণ বিমানবন্দরের নিরাপত্তা কর্মীদের বিরুদ্ধে 'হেনস্থা'র অভিযোগ তোলেন। ইনস্টাগ্রাম স্টোরিতে পোস্ট করে অভিযোগ করেছেন সিদ্ধার্থ। ঘটনাটি ঘটেছে মঙ্গলবার তামিলনাড়ুর মাদুরাই বিমানবন্দরে। সিদ্ধার্থের অভিযোগ, সিআরপিএফ ২০ মিনিটের বেশি সময় ধরে তাঁর বাবা-মাকে হয়রানি করেছিল এবং তাঁদের ব্যাগ থেকে কয়েন সরাতে বলেছিল। আরও অভিযোগ, নিরাপত্তা কর্মীরা তাঁর বাবা-মায়ের সঙ্গে হিন্দিতে কথা বলেছিলেন। তাঁর বাবা-মা বারবার ইংরেজিতে কথা বলার জন্য অনুরোধ করা সত্ত্বেও নিরাপত্তা কর্মীরা তা শোনেননি। দেখুন অভিনেতার সেই পোস্ট।
অভিনেতা আরও লিখেছেন, ‘রাগ হচ্ছে। আমরা প্রতিবাদ করা সত্ত্বেও ওরা বলে বসে, ভারতে এভাবেই চলে। বেকার মানুষেরা নিজেদের ক্ষমতা প্রদর্শন করছে।’
অভিনেতা এই ঘটনায় সিআরপিএফ বা সেন্ট্রাল রিজার্ভ পুলিস ফোর্সের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলেছেন। প্রায় দুই দশকের উপর হিন্দি, তেলুগু এবং একাধিক বলিউড ছবিতে কাজ করছেন অভিনেতা। তাঁর এই ইনস্টাগ্রাম পোস্টে অভিযোগ ঝড়ের গতিতে ভাইরাল হয়েছে। ভক্তরা ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন বিমানবন্দরের পরিষেবা ও ভাষা সমস্যার বিরুদ্ধে। যদিও এক নেটিজেন সিদ্ধার্থকে পাল্টা নিশানা করেছে। অভিনেতার ইনস্টাগ্রাম পোস্টকে নিজের ট্যুইটে শেয়ার করে সেই নেটিজেন বলেছেন, 'এই অভিনেতাকে কেউ শেখান,
১) হিন্দিতে কথা বলা হেনস্থা নয় ২) বিমান বন্দরের নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকে সিআইএসএফ, সিআরপিএফ নয় ৩) বিমান বন্দরের নিরাপত্তার দায়িত্বে যারা থাকে, তাদের কেন্দ্র নিয়োগ করে। সেই নিরাপত্তা কর্মীরা অভিনেতার মতো বেকার নয়।
শনিবার ভোর থেকেই শুরু হয়েছে ছত্তিশগড়ের (Chhattisgarh) বিজাপুর জেলায় পুলিস এবং সিআরপিএফের (CRPF) যৌথবাহিনীর সঙ্গে মাওবাদীদের গুলির লড়াই। এনকাউন্টারে (encounter) এক মহিলা-সহ তিন মাওবাদী নিহত হয়েছে বলে জানান এক পুলিসকর্তা।
বস্তার রেঞ্জের আইজি পি সুন্দররাজ সংবাদ সংস্থাকে জানিয়েছেন, গোপন সূত্রে খবর পেয়ে নিরাপত্তা বাহিনীর যৌথ দল মাওবাদী বিরোধী অভিযানে নামে। সকাল ৭.৩০টার দিকে গুলির লড়াই শুরু হয়। রাজধানী রায়পুর থেকে প্রায় ৪০০ কিলোমিটার দূরে মিরতুর থানার পোমরার জঙ্গলে চলে এই গুলির লড়াই।
ডিস্ট্রিক্ট রিজার্ভ গার্ড (ডিআরজি), স্পেশাল টাস্ক ফোর্স (এসটিএফ) এবং সেন্ট্রাল রিজার্ভ পুলিস ফোর্স (সিআরপিএফ)-এর কর্মীরা অভিযানে নামে। মাওবাদীদের বিভাগীয় কমিটির সদস্য মোহন কাদতি এবং সুমিত্রার উপস্থিতির কথা জানতে পেরেছিল বাহিনী। গুলির লড়াইয়ে তিন সঙ্গীর মৃত্যুর পর তাঁদের দেহ ফেলে রেখেই অন্যেরা পালিয়ে যায়। সুন্দররাজ জানিয়েছেন, গোটা এলাকা ঘিরে ফেলে তল্লাশি অভিযান শুরু করেছে যৌথ বাহিনী।
রাজ্যর বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর (Suvendu Adhikary) কনভয় অনুসরণ করার অভিযোগে কাঁথিতে (Contai) আটক ২ যুবক। শান্তিকুঞ্জের সামনে সন্দেহজজনক ওই দু'জনকে আটকায় সিআরপিএফ (CRPF)। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে কনো সদুত্তর দিতে না পাড়ায় খবর দেওয়া হয় কাঁথি থানায়। পুলিস এসে ওই দু'জনকে আটক করে। পাশাপাশি ওই দুই যুবকের সঙ্গে থাকা একটি চার চাকার গাড়ি এবং মোটর বাইক আটক করে পুলিস।
এখনও পর্যন্ত আটক ওই দুই যুবককে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ চলছে। জানা গিয়েছে, মধ্যরাতে প্রায় ২০-২৫ কিমি বিরোধী দলনেতার কনভয় অনুসরণ করে আসার পর শান্তিকুঞ্জ থেকে কিছু দূরে এসে ওই দুই যুবক এসে দাঁড়ায়। এরপরেই তাঁদের এসে আটক করে সিআরপিএফ জওয়ানেরা। এই ঘটনায় স্বাভাবিক ভাবে কাঁথি শহরে চাঞ্চল্য। রাজ্যের বিরোধী দলনেতা হাই সিকিওরিটি প্রাপ্ত এবং একটা রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর সমগোত্রীয় পদ। তাঁর কনভয় এভাবে অনুসরণ করে প্রায় শান্তিকুঞ্জ পর্যন্ত চলে আসা ঘিরে স্পষ্টতই রাজনৈতিক চাপানউতোর তুঙ্গে।
ইতিমধ্যে ৯ নভেম্বর পূর্ব মেদিনীপুরের পটাশপুরের সভায় তৃণমূল কংগ্রেসের মুখপাত্র কুণাল ঘোষ অভিযোগ করেছিলেন, শুভেন্দু অধিকারীর গাড়ি ও তাঁর কেন্দ্রীয় বাহিনী দিয়ে নন্দীগ্রামে অস্ত্র ও টাকা ঢুকছে পঞ্চায়েত ভোটের আগে। এমনকী নদীয়া সভা থেকে রাজ্যের প্রশাসনিক প্রধান মুখ্যমন্ত্রী বিভিন্ন জায়গায় নাকা চেকিং জোরদার করতে তৎপর হয়েছিলেন। তার ১২ ঘন্টা কাটতে না কাটতেই শুভেন্দুর গাড়িকে অনুসরণ করার খবর সামনে চলে এলো!