জয়নগরের পর এবার আমডাঙ্গা। তৃণমূল প্রধানকে বোমা মেরে খুনের অভিযোগ উঠল। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় আমডাঙ্গা কামদেবপুর এলাকার ঘটনা। পুলিশ জানিয়েছে, আমডাঙার ওই মৃত পঞ্চায়েত প্রধানের নাম রূপচাঁদ মন্ডল। পুলিশ জানিয়েছে, তদন্তে নেমে এখনও অবধি একজন অভিযুক্তকে গ্রেফতার করা হয়েছে, পাশাপাশি আরও দুজনকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ চালানো হচ্ছে। এ ঘটনায় এখনও অবধি মৃত ওই প্রধানের পরিবারের তরফে তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দের দিকেই অভিযোগ তোলা হয়েছে।
সূত্রের খবর, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় কামদেবপুর বাজার এলাকায় রূপচাঁদ মণ্ডলকে লক্ষ্য করে বোমা ছোড়ে দুষ্কৃতীরা। বোমার আঘাতে রূপচাদের দেন হাত উড়ে যায়। এ ঘটনা টের পেতেই তাঁকে উদ্ধার করে বারাসতের একটি বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানেই বৃহস্পতিবার রাতেই মৃত্যু হয় রূপচাঁদের। ঘটনার তদন্তে নেমে পুলিশ এক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করে। বারাসত পুলিশ জেলা সুপার ভাস্কর মুখোপাধ্যায় জানিয়েছেন, যে ব্যক্তিকে গ্রেফতার করা হয়েছে তার নাম আনোয়ার হোসেন। কয়েকদিন আগেই জমি কেনাবেচা নিয়ে তৈয়বের সঙ্গে ঝামেলা হয় রূপচাদের। পাশাপাশি আটক তৈয়ব হোসেন ও সাদ্দাম হোসেন। পুলিশ আরও জানিয়েছে, তৈয়ব হোসেনের দুই ছেলে আনোয়ার ও সাদ্দাম। সম্প্রতি জমি কেনাবেচা নিয়ে তৈয়বের সঙ্গে গন্ডগোল রূপচাঁদ মণ্ডলের। যদিও আমডাঙার বিধায়ক রফিকুর রহমান জানিয়েছেন, তৈয়ব অঞ্চলের তৃণমূল নেতা। কিন্তু এই ঘটনায় তৈয়বের নাম আসলেও, সেটা রাজনীতির কোনো সম্পর্ক নেই। এখানে রাজনৈতিক কোনো গোষ্ঠী নেই। রূপচাঁদের এর সঙ্গে তৈয়বের কোনো ঝামেলা থাকলে অন্য কোনো কারণে হতে পারে। সেটা ব্যাক্তিগত হতে পারে।
এ ঘটনায় রূপচাদের পরিবার ও স্থানীয়দের তরফে তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের দিকেই অভিযোগ তুলেছে। স্থানীয়দের অভিযোগ, যারা খুন করেছে তারা শাসক দলের কর্মী। উনি প্রধান হওয়ায় অনেকে মেনে নিতে পারেন নি। ওদিকে, বেসরকারি হাসপাতাল থেকে পঞ্চায়েত প্রধান রূপচাঁদ মন্ডলের মৃতদেহ বারাসাত মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ময়না তদন্তের জন্য নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
বিভ্রাট পিছু ছাড়ছে না করমণ্ডল এক্সপ্রেসের (Coromandel Express)। শুক্র সন্ধ্যায় উড়িষ্যার বাহানাগা বাজার এলাকায় আপ করমন্ডল এক্সপ্রেস দুর্ঘটনার কবলে পড়ে। এরপর আজ অর্থাৎ বুধবার বিকেল ৩টে ২০ মিনিটে শালিমার স্টেশন থেকে ছাড়ে আপ করমন্ডল এক্সপ্রেস। ছাড়ার কিছুক্ষণের মধ্যেই ফের বিভ্রাটের অভিযোগ করমন্ডল এক্সপ্রেসে। অভিযোগ সাঁতরাগাছি স্টেশনে পৌঁছতে না পৌঁছতেই বাতানুকূল কামরার এসি বন্ধ হয়ে গিয়েছে। ঠিক সাঁতরাগাছিতে পৌঁছে একটি কামরায় এসি বন্ধ হয়ে যায়।
যাত্রা শুরুর সময় এসি বন্ধই ছিল। কিছু ক্ষণ পরে ট্রেনে বাতানুকূল যন্ত্র চালু হলেও সাঁতরাগাছিতে পৌঁছেই বন্ধ হয়ে যায় এসি। সাঁতরাগাছিতে বেশ কিছু ক্ষণ দাঁড়িয়ে যায় করমণ্ডল এক্সপ্রেস। পরে বি-১ এবং বি-২ কোচে এসি চালু হলেও বি-৩ কোচে বন্ধই থাকে এসি।
এ নিয়ে দক্ষিণ-পূর্ব রেলের মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক আদিত্য চৌধুরি জানিয়েছেন, এ রকম কোনও অভিযোগ এখনও পর্যন্ত জানা নেই। এমন যদি হয়ে থাকে নিশ্চয়ই দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
শুক্রবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টা নাগাদ ওড়িশার বালেশ্বরের কাছে বাহানগা বাজার স্টেশনের কাছ দুর্ঘটনার কবলে পড়েছিল চেন্নাইমুখী করমণ্ডল এক্সপ্রেস। সময় যত গিয়েছে, ততই বেড়েছে মৃত নিহত এবং আহতের সংখ্যা। রেলের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী মঙ্গলবার পর্যন্ত মৃত্যুর সংখ্যা এসে ঠেকেছে ২৮৮-তে। বুধবার বিকেল পর্যন্ত সেই সংখ্যা আর বাড়েনি। তবে উদ্ধারকাজের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে চলছিল রেললাইন ঠিক করার কাজ। এর পর মঙ্গলবার রেল জানায় আবার চলবে আপ করমণ্ডল এক্সপ্রেস। প্রায় ১১৬ ঘণ্টা পর, বুধবার দুপুর ৩টে ২০ মিনিটে শালিমার থেকে ছাড়ার কথা ছিল আপ করমণ্ডল এক্সপ্রেসের। তবে ৬ মিনিট দেরিতে যাত্রা শুরু করে ট্রেনটি।
বিদ্যুৎহীন (Electric Problem) সরকারি গ্রামীণ হাসপাতাল (Hospital)। ফলে সমস্যায় পড়েছেন হাসপাতালের রোগীরা। ঘটনাটি ঘটেছে নদীয়ার (Nadia) কৃষ্ণগঞ্জের গ্রামীণ হাসপাতালে। হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছ, ঝড়ের দাপটে মেইন লাইনে ফল্ট হয়ে গিয়েছে। সেই জন্যই এলাকায় বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন রয়েছে। এছাড়াও হাসপাতালের নিজস্ব জেনেরেটার বেশ কিছুদিন ধরেই খারাপ হয়ে পড়ে থাকায় মাঝে মধ্যেই বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন হয়ে যাওয়ার মতো সমস্যায় ভুগছেন রোগীরা।
বিদ্যুৎ না থাকলেই একেবারে অন্ধকার হয়ে পড়ছে হাসপাতাল। তবে এই বিষয়ে নজর নেই প্রশাসনের। সীমান্তবর্তী গুরুত্বপূর্ণ গ্রামীণ হাসপাতালের এমনই দশা। কিন্তু এই হাসপাতালের উপর নির্ভরশীল হাঁসখালি,ভীমপুর ও চাপড়ার বেশ কিছু জায়গার রোগীরা। বাংলাদেশ লাগোয়া সীমান্তবর্তী রোগীরাও এখানে আসেন চিকিৎসা করাতে। তাই হাসপাতালের এই অবস্থা দেখে আতঙ্কিত রয়েছেন রোগী ও রোগীর পরিবারের সদস্যরা। তবে এই বিষয়ে হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসককে জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি ক্যামেরার সামনে কোনও মন্তব্য করতে চাননি।
যাত্রীসংখ্যা বাড়ার কারণে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে জোকা-তারাতলা রুটে মেট্রো পরিষেবা (Kolkata Metro)। বুধবার জানিয়েছেন কলকাতা মেট্রোর সিপিআরও (CPRO) কৌশিক মিত্র। কলকাতা মেট্রোর মানচিত্রে এই রুট পার্পল লাইন নামে পরিচিত। এই রুটে মেট্রো চলাচল শুরু হওয়া ইস্তক আপ-ডাউন মিলিয়ে মোট ১২টি মেট্রো চলেছে। কিন্তু আগামী পয়লা থেকে অতিরিক্ত ১২টি মেট্রো চলবে পার্পল লাইনে। অর্থাৎ যাত্রীদের সুবিধার্থে আরও পরিষেবা দেবে মোট ২৪টি মেট্রো। চালু হওয়ার পর থেকে এই রুটে ২টি মেট্রোর মধ্যে সময়ের ব্যবধান ছিল ৬০ মিনিট। ১ ঘণ্টা অন্তর মেট্রো পেতেন যাত্রীরা। পয়লা মে থেকে সময় কমিয়ে ৪০ মিনিট অন্তর মেট্রো পাবেন যাত্রীরা। এতদিন দুপুর ১২টা-৩টে পর্যন্ত এই রুটে কোনও মেট্রো চলত না। তবে পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে এই সময়ের মধ্যেও মেট্রো পরিষেবা পাওয়া যাবে।
জানা গিয়েছে, জোকা স্টেশন থেকে দিনের প্রথম মেট্রো ছাড়বে সকাল ৮টা ৫৫ মিনিটে। এদিকে তারাতলা থেকে দিনের প্রথম মেট্রো ছাড়বে সকাল ৯টা ২০ মিনিটে। জোকা-তারাতলায় দিনের শেষ মেট্রো ছাড়বে যথাক্রমে বিকেল ৪টে ২০ এবং বিকেল ৪টে ৪০ মিনিটে। এই প্রসঙ্গে মেট্রো রেলের মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক কৌশিক মিত্র জানান, 'অফিসযাত্রী এবং পড়ুয়াদের সুবিধার্থেই দৈনিক মেট্রোর সংখ্যা বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।'
পুত্রবধূকে প্রকাশ্য রাস্তায় ইট দিয়ে মাথা ফাটিয়ে দেওয়ার অভিযোগ। অভিযোগ উঠেছে শ্বশুরের বিরুদ্ধে। ঘটনাটি ঘটেছে দিল্লির প্রেমনগর এলাকায়। স্থানীয়রা কাজলকে উদ্ধার করলে তাঁর স্বামী প্রবীণ বধূকে হাসপাতালে ভর্তি করেন। হাসপাতাল সূত্রে খবর, কাজলের মাথায় মোট ১৭টি সেলাই করা হয়েছে। ঘটনায় কাজলের বাবা-মা শ্বশুরের বিরুদ্ধে বধূ নির্যাতনের অভিযোগ দায়ের করেছেন।
জানা গিয়েছে, মঙ্গলবার একটি ইন্টারভিউ দিতে যাওয়ার কথা ছিল কাজলের। ইন্টারভিউর জন্য রাস্তা দিয়ে হেঁটে যাওয়ার সময়ই পথ আটকে দাঁড়ান শ্বশুর। এই নিয়ে সামান্য কথা কাটাকাটিও হয় দু’জনের মধ্যে। এরপরই কাজল শ্বশুরকে পাশ কাটিয়ে চলে যাওয়ার চেষ্টা করলে তাঁর শ্বশুর ইট দিয়ে কাজলের মাথায় একের পর এক আঘাত করে, এমনটাই অভিযোগ।
পুলিস সূত্রে খবর, স্বামীকে আর্থিকভাবে সহযোগিতা করতে চাকরির সিদ্ধান্ত নেন কাজল। এমনকি বিভিন্ন জায়গায় চাকরির আবেদনও করেছিলেন তিনি। এই বিষয়ে কোনও আপত্তি ছিল না স্বামী প্রবীণ কুমারেরও। কিন্তু এই কথা কাজলের শ্বশুর জানতে পেরেই পুত্রবধূকে প্রকাশ্য রাস্তায় ইট দিয়ে একের পর এক আঘাত করে মাথা ফাটিয়ে দেন। শ্বশুরের হাতে আক্রান্ত হয়ে কাজল পালানোর চেষ্টা করলে তাঁর পিছু পিছু ধাওয়া করেন শ্বশুর। স্থানীয় বাসিন্দারা কাজলকে উদ্ধার করে।
স্বামীর আচরণে (Domestic Problem) যদি এক ছাদের তলায় থাকা অসম্ভব হয়, তাহলে খোরপোশ (Alimony) দাবি করতেই পারে স্ত্রী। তবে তথ্য প্রমাণের সাপেক্ষে স্ত্রীয়ের অভিযোগ প্রমাণ করতে হবে। আর সেই অভিযোগ প্রমাণিত হলে খোরপোশ দিতে অস্বীকার করতে পারবেন না স্বামী। এক মামলার পর্যবেক্ষণে জানিয়ে দিল দিল্লি হাইকোর্ট (Delhi High Court)।
জানা গিয়েছে, নিম্ন আদালতের এক রায়কে চ্যালেঞ্জ করে দিল্লি হাইকোর্টে যান এক মহিলা। সেই মামলার শুনানিতে সম্প্রতি এই মন্তব্য হাইকোর্টের। নিম্ন আদালত জানিয়ে দিয়েছিল, দায়রা আদালতের আদেশের প্রেক্ষিতে তিনি খোরপোশ দাবি করার অধিকারী নয়। কিন্তু দিল্লি হাইকোর্ট এই পর্যবেক্ষণ ভুল বলে জানিয়েছে।
দিল্লি হাইকোর্টের মন্তব্য, প্রত্যেকের মর্যাদাপূর্ণ জীবনযাপন নিশ্চিত করার প্রয়োজনীয়তা রয়েছে। যাঁদের ভরণপোষণ প্রয়োজন, তাঁদের ক্ষেত্রেও বিচারকদের এ কথা মাথায় রাখতে হবে। খোরপোশ সংক্রান্ত প্রতিটি মামলা ভিন্ন। বিচারপতি শর্মা জানান, যদি আদালতগ্রাহ্য তথ্যপ্রমাণে দেখা যায় যে স্বামীর আচরণের কারণেই স্ত্রী তাঁর সঙ্গে থাকতে পারছেন না। তা হলে স্ত্রী ও নাবালক সন্তানদের খোরপোশ দিতে স্বামী কখনই অস্বীকার করতে পারেন না।
এবার চাকরি (job) দেওয়ার নামে টাকা নেওয়ার অভিযোগ উঠল চাঁচল (Chachal) মহকুমা আদালতের এক সরকারি আইনজীবীর (lawyer) বিরুদ্ধে। এমনকি ১৮ লক্ষ টাকা নিয়ে ভুয়ো নিয়োগপত্রও দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। অভিযোগ পেয়েই প্রতারণার মামলা করেছে পুলিস (police)। শুরু হয়েছে তদন্ত, ঘটনায় চাঞ্চল্য মালদহের চাঁচলে।
পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, চাঁচল মহকুমা আদালতের এক সরকারি আইনজীবী মোতাসির আলম চাকরি দেওয়ার নামে ১৮ লক্ষ টাকা নিয়েছেন। এমনই অভিযোগ করেন চাঁচলেরই শীতলপুর এলাকার বাসিন্দা আসিরুদ্দিন। সরকারি আইনজীবি মোতাসিরকে তিন দফায় নগদ ১৮ লক্ষ টাকা দিয়েছেন বলে তাঁর অভিযোগ। আরও অভিযোগ, চাঁচল আদালতে তাঁর পরিবারের তিনজন সদস্যকে চাকরি দেবেন বলে ওই টাকা দিয়েছিলেন। সরকারি আইনজীবী হওয়ায় আদালতে তাঁর চাকরি দেওয়ার ক্ষমতা রয়েছে, এমন ভাবনা থেকেই সরকারি আইনজীবীর ফাঁদে পা দেন তিনি।
সম্প্রতি মোতাসির ভুয়ো সিল, সই করা তিনটি অ্যাপয়েন্টমেন্ট লেটারও তাঁদের হাতে দিয়েছেন। কিন্তু ওই অ্যাপয়েন্টমেন্ট লেটারগুলি দেখে তাঁর সন্দেহ হয়। আদালতে গিয়ে নিয়োগপত্রগুলির সত্যতা যাচাই করেন। তখন তিনি জানতে পারেন নিয়োগপত্রগুলি ভুয়ো।
এরপর সরকারি আইনজীবী মোতাসির আলমকে ফোন করেন, তাঁর বাড়িতেও যান। কিন্তু তিনি বাড়িতে অভিযুক্তকে দেখতে না পেয়ে পুলিসের দ্বারস্থ হন। অভিযোগ পেয়েই নির্দিষ্ট ধারায় মামলা শুরু হয়েছে বলে পুলিস জানিয়েছে। চাকরি দেওয়ার নামে সরকারি আইনজীবীর বিরুদ্ধে টাকা নেওয়ার বিষয়টি সামনে আসতেই ক্ষুব্ধ আদালতের আইনজীবীদের অনেকেই।
এই নিয়ে চাঁচোল আদালতের বার অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি গোলাম মোস্তফা কামাল জানান, বিষয়টি তাঁদের নজরে এসেছে। প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে। কী করে মোতাসির আলমের মতো ব্যক্তি সরকারি আইনজীবী হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন, তাও জানা নেই।
বিষয়টি নিয়ে অভিযুক্ত সরকারি আইনজীবী মোতাসির আলমের প্রতিক্রিয়া জানতে গেলে তিনি ও তাঁর দলবল সংবাদমাধ্যমের কর্মীর উপর চড়াও হন। অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করেন।
খুব অল্প সময়ের মধ্যে রাজ্যের অন্তত ১৯ জন জনপ্রতিনিধির সম্পত্তি বেড়েছে কয়েকগুণ। হাইকোর্টে দায়ের করা মামলায় ১৯ জনের তালিকা জমা পড়ে। তাতে নাম রয়েছে ফিরহাদ হাকিম, অরূপ রায়, জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক এমনকী অমিত মিত্রর মতো মন্ত্রীদের। সম্পত্তি অর্থাৎ আর্থিক বিষয়ে মামলা বলে গত ৮ আগস্ট ইডিকে যুক্ত করার নির্দেশ দেয় উচ্চ আদালত।
নেতাদের সম্পত্তি কীভাবে ক্রমশ ফুলেফেঁপে উঠছে, সেই প্রশ্ন তুলে সেই মামলায় ইডিকে পার্টি করার নির্দেশ দিয়েছে আদালত। এবার নির্দেশ পুনর্বিবেচনার আর্জি জানিয়ে আবেদন রাজ্যের তিন মন্ত্রীর। মন্ত্রীরা হলেন, ফিরহাদ হাকিম, অরূপ রায়, ও জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক। আবেদনকারী মন্ত্রীদের দাবি, এই মামলার বিচার লোক আয়োগে হওয়া উচিত। তাঁদের দাবি, জনপ্রতিনিধিদের মামলা শোনার জন্য রয়েছে লোকায়ুক্ত। তাই হাইকোর্ট এই মামলায় ইডি-কে যুক্ত করার নির্দেশ দিতে পারে না বলেই দাবি তিন মন্ত্রীর। প্রধান বিচারপতি প্রকাশ শ্রীবাস্তব যে নির্দেশ দিয়েছেন, তা পুনর্বিবেচনার আর্জি জানিয়েছেন তাঁরা। পাশাপাশি এদিন সম্পত্তি বৃদ্ধির মামলায় হাইকোর্টে দ্রুত শুনানির আর্জি করেছেন তিন মন্ত্রী। প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চে এই আবেদন করেন তাঁরা।
তবে সেই আবেদন মঞ্জুর হয়েছে বলে আদালত সূত্রে খবর। আগামী সপ্তাহেই শুনানির সম্ভাবনা।