Breaking News
Abhishek Banerjee: বিজেপি নেত্রীকে নিয়ে ‘আপত্তিকর’ মন্তব্যের অভিযোগ, প্রশাসনিক পদক্ষেপের দাবি জাতীয় মহিলা কমিশনের      Convocation: যাদবপুরের পর এবার রাষ্ট্রীয় বিশ্ববিদ্যালয়, সমাবর্তনে স্থগিতাদেশ রাজভবনের      Sandeshkhali: স্ত্রীকে কাঁদতে দেখে কান্নায় ভেঙে পড়লেন 'সন্দেশখালির বাঘ'...      High Court: নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় প্রায় ২৬ হাজার চাকরি বাতিল, সুদ সহ বেতন ফেরতের নির্দেশ হাইকোর্টের      Sandeshkhali: সন্দেশখালিতে জমি দখল তদন্তে সক্রিয় সিবিআই, বয়ান রেকর্ড অভিযোগকারীদের      CBI: শাহজাহান বাহিনীর বিরুদ্ধে জমি দখলের অভিযোগ! তদন্তে সিবিআই      Vote: জীবিত অথচ ভোটার তালিকায় মৃত! ভোটাধিকার থেকে বঞ্চিত ধূপগুড়ির ১২ জন ভোটার      ED: মিলে গেল কালীঘাটের কাকুর কণ্ঠস্বর, শ্রীঘই হাইকোর্টে রিপোর্ট পেশ ইডির      Ram Navami: রামনবমীর আনন্দে মেতেছে অযোধ্যা, রামলালার কপালে প্রথম সূর্যতিলক      Train: দমদমে ২১ দিনের ট্রাফিক ব্লক, বাতিল একগুচ্ছ ট্রেন, প্রভাবিত কোন কোন রুট?     

CPM

CPM: কেন্দ্র বদল সুজনের, যাদবপুরে সৃজন, একনজরে বামেদের প্রার্থী তালিকা

সামনেই লোকসভা নির্বাচন। ভোটের দিন ঘোষণা হয়নি এখনও। তৃণমূল, বিজেপির পর এবার প্রার্থী তালিকা প্রকাশ করল বামফ্রন্ট। প্রার্থী নিয়ে দীর্ঘদিন ধরেইন শরিকদের মধ্যে আলোচনা চলছিল। বামফ্রন্ট চেয়ারম্যান বিমান বসু বৃহস্পতিবার বিকেলে আলিমুদ্দিন স্ট্রিটে সাংবাদিক বৈঠক করে ১৬ জন প্রার্থীর নাম ঘোষণা করলেন। তাঁদের মধ্যে সিপিএমের ১৩ জন এবং বাকি ৩ প্রার্থী শরিকদের। একনজরে দেখে নিন প্রার্থীতালিকা।

কোচবিহার: নীতীশচন্দ্র রায় (ফরওয়ার্ড ব্লক)

জলপাইগুড়ি: দেবরাজ বর্মন (সিপিএম)

বালুরঘাট: জয়দেব সিদ্ধান্ত (আরএসপি)

কৃষ্ণনগর: এস এম শাদি (সিপিএম) 

দমদম: সুজন চক্রবর্তী (সিপিএম)

যাদবপুর: সৃজন ভট্টাচার্য (সিপিএম)

কলকাতা দক্ষিণ: সায়েরা শাহ হালিম (সিপিএম)

হাওড়া: সব্যসাচী চট্টোপাধ্যায় (সিপিএম)

শ্রীরামপুর: দীপ্সিতা ধর (সিপিএম)

হুগলি: মনোজিৎ ঘোষ (সিপিএম)

তমলুক: সায়ন বন্দ্যোপাধ্যায় (সিপিএম)

মেদিনীপুর: বিপ্লব ভট্ট (সিপিআই)

বাঁকুড়া: নীলাঞ্জন দাশগুপ্ত (সিপিএম)

বিষ্ণুপুর: শীতল কৈবর্ত (সিপিএম)

বর্ধমান পূর্ব: নীরব খান (সিপিএম)

আসানসোল: জাহানারা খান (সিপিএম)

তবে এদিন যে ১৬ টি আসনে প্রার্থী তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে সেখানের ১৪ জনই ওনতুন মুখ। ভোট বৈতরণী পার হতেই তরুণ মুখেদের উপরেই ভরসা রেখেছেন আলিমুদ্দিন স্ট্রিটের ম্যানেজাররা। তবে কয়েকটি আসন নিয়ে রীতিমত চাপের মুখে পড়তে হয়েছে বামফ্রন্টকে।

তবে এদিন ডায়মণ্ডহারবার কেন্দ্রের জন্য কোনও প্রার্থীর নাম ঘোষণা করা হয়নি। ওই কেন্দ্র থেকে নওশাদ দাঁড়াতে পারে বলে জোর জল্পনা চলছে। তবে এই বিষয়ে আলোচনা চলতেই পারে বলে দাবি বিমান বসুর। তবে জোট নয়, আসন সমঝোতার উল্লেখ করেন তিনি।  বলেন, “বামফ্রন্টের শরিকদলগুলি ছাড়া অন্য কারও সঙ্গে কোনওদিনই জোট ছিল না। ভোটে লড়ার জন্য আসন সমঝোতা হয়েছিল। এবারেও হতে পারে।”

2 months ago
CPM: সিপিএমের সাধারণ সম্পাদক ইয়েচুরির বাড়িতে তল্লাশি দিল্লি পুলিসের, কারণ!

এক সংবাদমাধ্যমের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগের ভিত্তিতে সিপিএম-এর সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক সীতারাম ইয়েচুরির বাড়িতে পৌঁছল দিল্লি পুলিস। সূত্রের খবর, মঙ্গলবার সকাল থেকেই তাঁর বাড়িতে তল্লাশি চালানো হয়েছে বলে সূত্রের খবর। 

মঙ্গলবার দিল্লির বহু জায়গায় তল্লাশি চালানো হচ্ছে দিল্লি পুলিসের তরফে। সেই সূত্রেই, এদিন ইয়েচুরির বাড়িতে পৌঁছে যায় দিল্লি পুলিসের একটি টিম। সিপিএম নেতা জানিয়েছেন, তাঁর বাড়িতে থাকেন এমন এক কর্মীকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে পুলিস। বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে তাঁর ল্যাপটপ ও মোবাইল। এই ঘটনার প্রতিবাদ করে ইয়েচুরি জানিয়েছেন, সংবাদমাধ্যমের মুখ বন্ধ করে দিতেই এই ধরনের তল্লাশি চালানো হচ্ছে। কী কারণে এই তল্লাশি, তা স্পষ্টভাবে জানানোর দাবি জানিয়েছেন সিপিএম নেতা।

7 months ago
Sujan: 'চিরকুটে চাকরি' চক্করে সুজন, একদা সিপিএম নেতা সমীর পুততুন্ডুর মন্তব্যে ঘৃতাহুতি

প্রসূন গুপ্ত: শিক্ষাক্ষেত্রে চাকরি নিয়ে বিতর্ক তুঙ্গে। নিয়োগ বিতর্ক ঘিরে রাজ্য রাজনীতিতে তুলকালাম চলছে। কেন্দ্রীয় এজেন্সির হাতে বন্দি প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী-সহ আরও অনেক কেষ্টবিষ্টু। নিয়মিত মিডিয়া জগতে এই খবরের প্রাধান্য। এমন অনেককেই গ্রেফতার করা হয়েছে যারা তৃণমূল ঘনিষ্ঠ বা দলের পদাধিকারী। এই ঘটনাবলীকে কেন্দ্র করে বিরোধী বিজেপি-বাম আন্দোলনের পথে। ঠিক এই সময়েই তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ঘোষণা করলেন বাম আমলে কারা চাকরি পেয়েছে এবং তাদের নিয়োগ সঠিক পথে হয়েছে কিনা তা খতিয়ে দেখা হবে। দায়িত্ব বর্তেছে শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসুর উপর। এরপরেই চিত্র পরিবর্তন হয়েছে এবং 'চিরকুটে চাকরি' নামক কটাক্ষ স্থান পেয়েছে বঙ্গ রাজনীতিতে।

এক সময়ে বামফ্রন্টের মন্ত্রী তথা বহু যুদ্ধের নেতা সুভাষ চক্রবর্তী বলেছিলেন, 'ভুকা পেটে বিপ্লব আসে না'। দেখা গিয়েছিলো ১৯৮২-র আগে অবধি যারা কমিউনিস্ট পার্টির সদস্য ছিলেন, তাঁদের লড়াই-সংগ্রামে বামেরা পশ্চিমবঙ্গের ক্ষমতায় এসেছিল। কিন্তু এই পট পরিবর্তিত হতে শুরু হয় দ্বিতীয় বামফ্রন্ট ক্ষমতায় আসার পর ১৯৮২-তে। ক্ষমতায় আসার আগে এক ধরণের আন্দোলনের ভূমিকা থাকে। কিন্তু ক্ষমতায় আসার পর সমস্ত দলের মধ্যে কী দিলাম আর কী পেলামের প্রাবল্য বাড়ে। এরপর সরকারি স্কুল বা কলেজের বেতন বাড়ে কারণ সমস্ত খরচের দায়িত্ব নেয় সরকার নিজেই। অন্য সরকারি বেতন অনেকটাই বেড়ে যায়।

ওই সময় থেকে ২০০৯ অবধি যত সরকারি চাকরি হয়েছে তা পেয়েছে দলের কর্মী নেতা বা তাদের পরিবারের কেউ বলেই তীব্র দাবি তৃণমূলের। অবশ্য এই দাবি এক সময় ছিল কংগ্রেস বা বিজেপিরও। এবার ওই চাকুরিপ্রাপ্তদের নিয়োগের কাগজ খোলা শুরু করেছে বর্তমান সরকার। তাতেই উঠে এসেছে বহু নামের সঙ্গে এক সময়ের সাংসদ-বিধায়ক সুজন চক্রবর্তীর স্ত্রী মিলির নাম। যদিও সিপিএম থেকে বলা হয়েছে তাঁকে সঠিক ভাবে নিয়োগ করা হয়েছে। কিন্তু তিনি নাকি পরীক্ষা দেননি এবং তার কোনও প্রমাণ নেই বলছে তৃণমূল। ইতিমধ্যে এমন অনেক প্রাক্তন বাম নেতা জানাচ্ছেন যে আগে চিরকুট দিয়েই কমরেডরা চাকরি পেয়েছেন। যারা পার্টি হোলটাইমার ছিল তাদের পরিবারের অন্য কেউ চাকরি পেয়েছেন। সুজন তাদের অন্যতম জানাচ্ছেন একদা সিপিএম নেতা তথা পিডিএস প্রধান সমীর পুতুতুণ্ডু।

সমীরবাবু জানাচ্ছেন, তিনি নিজেই নাকি সুজন-মিলির বিয়ের এবং চাকরির সাক্ষী। কার্যত কাঁদা ছোড়াছুড়ি শুরু। এনজয় করছে বিজেপি কারণ সামনেই পঞ্চায়েত ভোট।

one year ago


Samavay: তেহট্ট সমবায় সমিতির ভোটে বামেদের জয়জয়কার, সিপিএম-র পক্ষে ৬৬ ভোট

নদীয়ার (Nadia Samavay Vote) তেহট্ট থানার তেহট্ট সমবায় কৃষি উন্নয়ন সমিতির ভোটে বামেদের জয়জয়কার। রবিবার অনুষ্ঠিত এই ভোটে ভোটার সংখ্যা ছিল প্রায় ১৭০০। সমবায় সমিতির ৭২ জন প্রতিনিধিকে নির্বাচিত করতে হওয়া এই ভোটে বিজেপি শূন্য, তৃণমূল (TMC) ৬ এবং সিপিএম (CPM) ৬৬ ভোট পেয়েছে। অর্থাৎ বিপুল জনসমর্থনে সমবায় বোর্ড নিজেদের দখলে আনল বামেরা।

অন্যদিকে তৃণমূল ২০১৮ সালের এই ভোটে ২১ আসন পেলেও এবারের ভোটে মাত্র ৬টি আসন পেয়েছে। তৃণমূলের ভোটের সংখ্যা কমে,বেড়েছে সিপিএম-র ভোট। ভোট পর্ব শেষ হয় রবিবার রাত সাড়ে ৯টা নাগাদ। তারপরেই জয়যুক্ত ঘোষণা হওয়ার পরই সিপিএম কর্মীরা উচ্ছ্বাস দেখিয়ে দলীয় পতাকা হাতে বিজয় মিছিল করেন।

এই ফল প্রসঙ্গে স্থানীয় সিপিএম নেতা বলেন, 'এই ফলকে আমরা খুব সদর্থকভাবে নিচ্ছি। আমাদের কাছে এই জয় প্রত্যাশিত ছিল। মানুষ এখন তৃণমূল-বিজেপিকে বিশ্বাস করছে না। কেন্দ্রে-রাজ্যে একসঙ্গে চলছে বিজেপি-তৃণমূল। তাঁদের আমানত নিরাপদ এবং সুরক্ষিত করতে মানুষ বামপন্থীদের জিতিয়েছে।'

শাসক দলের এক নেতা জানান, 'সমবায়ে যারা নেতৃত্ব দিয়েছে, তাঁরা কিছুই জানে না। দলীয় কর্মীরা ভোট করিয়েছে এবং গণতান্ত্রিক ভাবে রেজাল্ট বেড়িয়েছে। উচ্চ নেতৃত্ব এখনই তেহট্ট বিধানসভায় সংগঠন আরও মজবুত করুক। পাশাপাশি নেতৃত্বের মধ্যে বোঝাপড়া আরও বাড়াক। পঞ্চায়েত ভোটের আগে ত্রুটি-বিচ্যুতি শুধরে ফেলা উচিৎ।'

one year ago
Tripura: ৪টে পর্যন্ত ৮০%-র বেশি ভোট ত্রিপুরায়, বিকেলের পরেও লম্বা লাইন ভোটারদের

ববছরের প্রথম ভোট উৎসবে কড়া নিরাপত্তায় অনুষ্ঠিত ত্রিপুরায় বিধানসভা ভোট গ্রহণ (Tripura Poll)। ৬০ আসনের ত্রিপুরা বিধানসভায় (Assembly Election 2023) বিকেল ৪টে পর্যন্ত পর্যন্ত ভোট পড়ে ৮১%-র কিছু বেশি। জানা গিয়েছে, ভোট উৎসবের শরিক হতে বৃহস্পতিবার সকাল ৬টা থেকেই ভোট কেন্দ্রের বাইরে ভোটারদের (Voters) ভিড় চোখে পড়েছে। সকাল ৭টা থেকে শুরু হওয়া ভোট গ্রহণ পর্ব বিকেল সাড়ে ৪টে পর্যন্ত হওয়ার কথা। কিন্তু বিকেল গড়িয়ে সন্ধ্যার পরেও একাধিক বুথের বাইরে ভোটারদের লম্বা লাইন দেখা গিয়েছে। এই ভোটদানের শতাংশ জুড়লে আরও বাড়বে ভোট গ্রহণের শতাংশ। 

এদিকে, অবাধ ও শান্তিপূর্ণ ভোট গ্রহণের লক্ষে কড়া নিরাপত্তায় মোড়া হয়েছে রাজ্যের সবকটি বুথ। এদিন ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী মানিক সাহাও ভোট দেন। টাউন বরদোয়ালি আসনের এই বিজেপি প্রার্থী ভোট দিয়ে বেড়িয়ে জানান, '২০১৮ সালের আগে এখানে কখনও শান্তিপূর্ণ ভোট হয়নি। সায়েন্টিফিক রিগিংয়ের নাম শুনতাম। সেই দু'জন (পড়ুন বাম-কংগ্রেস) আবার হাত মিলিয়েছে। এবার কোথাও কোনও বোমাবাজি হচ্ছে না। গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। আমাদের কর্মী-সমর্থকরা অশান্তি, বোমাবাজির শিক্ষা পায়নি।'

নাম না করে বাম-কংগ্রেস জোটকে কটাক্ষের সুরে বিধে ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী বলেন, 'মানুষ সাড়া দিয়েছে। রেজাল্টের দিন সেই সাড়া কেমন বুঝতে পারবেন। আমাদের এবারের চ্যালেঞ্জ অশুভ জোটকে প্রতিরোধ করা।' তিনি জানান, 'বিরোধীরা অশান্তি তৈরি চেষ্টা করছে। ওদের সংস্কৃতি সম্বন্ধে সবাই জানে। প্রশাসন, নির্বাচন কমিশন নিশ্চয় ব্যবস্থা নেবে। ত্রিপুরায় উন্নয়নের ধারা বজায় থাকবে। এক ত্রিপুরা শ্রেষ্ঠ ত্রিপুরা গড়বোই। আগেরবারের চেয়ে আসন সংখ্যা বিজেপির আরও বাড়বে।' 


পাশাপাশি আগরতলা বিধানসভা কেন্দ্রে ভোট দেন কংগ্রেস প্রার্থী সুদীপ রায় বর্মণ। এদিন ভোট দিয়ে বেড়িয়ে কংগ্রেস প্রার্থী জানান, 'দু'দিন ধরে ভোটারদের হুমকি দেওয়া হচ্ছে। কিন্তু এদিন ভোর থেকেই মানুষের লাইন ভোট কেন্দ্রের বাইরে দেখা গিয়েছে। যা আশাব্যাঞ্জক, গণতন্ত্রকে বাঁচিয়ে রাখতে এই উৎসাহ।'

অপরদিকে নির্বাচন কমিশন সূত্রে খবর, ভোট শুরুর পর থেকে এখনও পর্যন্ত কোনও অপ্রীতিকর ঘটনা বা ইভিএম ত্রুটির খবর আসেনি। ভোট প্রক্রিয়া চলাকালীন বহিরাগত প্রবেশ রুখতে সীমান্ত এলাকাগুলি ঘিরে ফেলা হয়েছে। জানা গিয়েছে, এই ভোট মূলত ত্রিমুখী লড়াই। ৬০ আসনের বিধানসভায় বিজেপি ৫৫টি আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছে। জোটসঙ্গী আইপিএফটি বাকি আসনে লড়ছে। বাম-কংগ্রেসের জোট প্রার্থী দিয়েছে ৪৭টি এবং ১৩টি আসনে। পাশাপাশি ত্রিপুরায় ভাগ্য পরীক্ষা করতে নামা তৃণমূল ২৮টি আসনে প্রার্থী দিয়েছে। এমনকি এই ভোটে সম্ভাব্য 'কিং মেকার' হিসেবে তুলে ধরা হচ্ছে তিপ্রা মোথা দলকে। তারা প্রার্থী দিয়েছে ৪২ আসনে।

one year ago


Reaction: মুখ্যমন্ত্রীর গলায় রাম-বাম-শ্যাম জোট! মমতাকে পাল্টা আক্রমণে বাম-বিজেপি

মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (CM Mamata) সোমবার সাগরদিঘিতে রাম-বাম-শ্যাম জোটের প্রসঙ্গ তুলে বাম-বিজেপিকে (CPM BJP) কড়া ভাষায় আক্রমণ করেছেন। সেই আক্রমণের পাল্টা ফিরিয়ে দিয়েছেন বিজেপি বিধায়ক অগ্নিমিত্রা পল (BJP MLA Agnimitra Pal) এবং সিপিএম নেতা সুজন চক্রবর্তী (CPM Leader Sujan Chakraborty)। রাম-বাম-শ্যাম জোট প্রসঙ্গে অগ্নিমিত্রা বলেন, 'কে এক হয়েছে আমরা খুব ভালো করে জানি। বামফ্রন্টকে হটিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মুখ্যমন্ত্রী হয়েছিলেন। তারপর ১৮টি কমিশন বসেছিল, সাঁইবাড়ি, আনন্দমার্গী হত্যা প্রসঙ্গে। ক'টা কমিশনের রিপোর্ট বাইরে এসেছে। রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের সময় মাননীয়া দ্রৌপদী মুর্মুর মনোনয়নের বিরোধিতায় দিল্লির কনস্টিটিউশন ক্লাবে আপনারা এবং বামফ্রন্ট বৈঠক করেন? তাহলে রাম-বামের জোট, না কার জোট? মানুষ ভালোই বুঝতে পারছে।'

একইভাবে মুখ্যমন্ত্রীর জাকির হোসেনের পাশে দাঁড়ানোকে কটাক্ষ করেন বিজেপি বিধায়ক। তাঁর চ্যালেঞ্জ, 'বিজেপি নেতাদের পিছনে সিআইডি লাগান, মানুষকে ভুল না বুঝিয়ে। আপনি জানেন কিছুই পাবেন না। জাকির হোসেনের বাড়িতে কোটি কোটি টাকা কি বিজেপি গিয়ে রেখে দিয়ে এসেছে।' এমনকি, তৃণমূল দলের সবাই খারাপ না, দলের সুপ্রিমোর এই দাবিকে কটাক্ষের সুরে বিঁধেছেন অগ্নিমিত্রা পল। তাঁর খোঁচা, 'আপনি অকর্মণ্য। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী হয়ে কিছুই জানতেন না? বিনয় মিশ্রকে পদ থেকে সরিয়েছেন? হুগলির যুব তৃণমূল নেতাকে আপনি পদ থেকে সরিয়েছেন? আপনি জানেন এঁদের পদ থেকে সরালে আপনি বিপদে পড়বেন।' 

সোমবার মুখ্যমন্ত্রীর দাবি প্রসঙ্গে সিপিএম নেতা সুজন চক্রবর্তী আবার জানান, 'সাগরদিঘিতে সরকারি অনুষ্ঠানে রাজনৈতিক ভাষণ দিচ্ছেন মুখ্যমন্ত্রী। বাংলায় যতদিন বামপন্থীরা ছিল, বিজেপি সুযোগ পায়নি। আর মুখ্যমন্ত্রী আরএসএস-র সংগঠন বাড়াতে সাহায্য করছেন। আরএসএস চায় কেউ সরাসরি বিজেপি করুক, কেউ ঘুরিয়ে বিজেপি করুক।' জাকির হোসেন প্রসঙ্গে সুজনের খোঁচা, 'আপনি বলছেন জাকির হোসেন ভালো, তাহলে তাঁকে মন্ত্রিত্ব থেকে বাদ কেন দিয়েছেন? কোনও উত্তর নেই, যখন যেরকম দরকার বলে চলেছেন মুখ্যমন্ত্রী।'     

one year ago
Vote: ত্রিপুরায় ভোট, কে কোথায় দাঁড়িয়ে (পর্ব-৩)

প্রসূন গুপ্ত: ত্রিপুরায় যত বাঙালি থাকে এখন তাদের মধ্যে ৯০% ওপার বাংলার, মূলত কুমিল্লার। একটা সময়ে কুমিল্লার মধ্যেই ত্রিপুরার অবস্থান ছিল অথবা ত্রিপুরা কুমিল্লার সমগোত্রীয় ছিল। এবারে প্রশ্ন থাকছে ত্রিপুরায় মুসলিম ভোটাররা এল কোথা থেকে, যাদের একটা সামান্য ভোট শতাংশ আছে। এটা বিভিন্ন মত আছে, কেউ বলে বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পর ওদেশ থেকে মুজিব-বিরোধী একটি সংখ্যা ত্রিপুরায় আসে। আবার অনেকেই বলে পশ্চিমবঙ্গ থেকে অনেকে বাণিজ্য করতে ওই রাজ্যে গিয়ে থেকেছে। এটাও সত্যি ত্রিপুরার আদিবাসীদের মধ্যেও অনেক মুসলিম ভোটারও আছে। তবে এদের ভোটের উপর ভরসা করে কোনও দলই ভোটের হাওয়া ধরে না, পশ্চিমবঙ্গের ক্ষেত্রে এই মুসলিম ভোটাররাই আবার রাজনৈতিক দলের ভরসা।

আদিবাসী ত্রিপুরীদের বাঙালিদের উপর চিরকাল একটা বিদ্বেষ আছে। ফলে উপজাতি নেতা বিভিন্ন দলে রাখতেই হচ্ছে। উপজাতি ভোটের সহযোগিতা না পেলে ত্রিপুরা দখল কঠিন। এটা মানেন ডান, বাম সবপক্ষ। বাম বা সিপিএম আমলে এদেরকে অনেকটাই বশে আনতে পেরেছিলেন তৎকালীন মুখ্যমন্ত্রী মানিক সরকার। পরে বিজেপি ক্ষমতায় আসার পরও বামেরা কিন্তু আদিবাসী ভোট পেয়েছিল। কিন্তু মূল ভোট টেনে নিয়ে যায় বিজেপির জোট সঙ্গী আইপিএফটি। এবার ভোটে ওই আইপিএফটি ভোটে থাবা বসাবে নতুন দল টিপরা মোথা। এই উপজাতিরা, শেষ খবর অবধি যা জানা যাচ্ছে যে, তারা ত্রিপুরার বিভিন্ন অঞ্চলে ছড়িয়ে আছে। যে ভাবে উত্তরবঙ্গজুড়ে ছড়িয়ে নেপালি বা গোর্খা ভোট। বর্তমান বিজেপি সরকারে এই উপজাতির পক্ষে মন্ত্রী রয়েছে। তাই এঁদের উপর অনেকটাই নির্ভর করবে রাজ্য বিজেপি।

অন্যদিকে কংগ্রেসের সুদীপ রায়বর্মন ত্রিপুরী উপজাতির সঙ্গে অনেকটা সম্পৃক্ত। তিনি তাঁদের ভাষা অনর্গল বলতে পারেন। সুদীপ বিজেপিতে যাওয়ায় গেরুয়া শিবিরের গত নির্বাচনে ভোট বেড়েছিল। এবার সুদীপ কংগ্রেসের মুখ ফলে এই দিকটা রাজ্য বিজেপির একটা চিন্তা। (পরের পর্ব)

 

one year ago
Vote: ত্রিপুরায় ভোট, কে কোথায় দাঁড়িয়ে (পর্ব ১)

প্রসূন গুপ্ত: কেন্দ্রীয় বিজেপির আপাতত পশ্চিমবঙ্গের পঞ্চায়েত ভোট নিয়ে কোনও ভাবনা নেই বলেই খবর। সূত্র মারফত জানা যাচ্ছে, পদ্ম শিবিরের জাতীয় সভাপতি নাড্ডা, অমিত শাহ এবং স্বয়ং প্রধানমন্ত্রীর এ রাজ্যে পঞ্চায়েত ভোট উপলক্ষে প্রচার প্রস্তুতির যে খবর ছিল, সে নিয়ে চূড়ান্ত কোনও খবর এই মুহূর্তে নেই। বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব এখন আসন্ন ত্রিপুরা, মেঘালয়-সহ উত্তর পূর্ব ভারতের বিধানসভা ভোটের দিকেই জোর দেবেন বলেই খবর। কিন্তু কী অবস্থা ওই রাজ্যগুলির? ধরা যাক ত্রিপুরার রাজনৈতিক অবস্থান।

ত্রিপুরাকে মিনি পশ্চিমবঙ্গ হিসাবে অনেকেই বলে থাকে। পশ্চিমবঙ্গের মতোই সেখানেও কংগ্রেসের হাত থেকে ক্ষমতা কেড়ে নিয়ে দীর্ঘদিন বামফ্রন্ট রাজ করেছে। একইসঙ্গে এও বলা যেতে পারে যে অনেক মিল বাংলার সঙ্গে ত্রিপুরার থাকলেও, অমিলও প্রচুর। এ রাজ্যে বাঙালি প্রধান হলেও, আদি ত্রিপুরা উপজাতির বাস রয়েছে। ত্রিপুরী নামে তারা পরিচিত এবং অসমের মতোই এই উপজাতিদের বাঙালিদের উপর প্রবল ক্রোধ। এই নিয়ে শহরতলীর অদূরে একদা বহু হত্যালীলা চলেছিল। এই সমস্যার সমাধান অনেকটাই করেছিলেন প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী মানিক সরকার। এ সত্বেও বামেদের উপর স্থানীয় বাঙালি ও উপজাতিদের প্রচণ্ড ক্ষোভ ছিল, তারাও চেয়েছিল রাজ্যে পরিবর্তন।

মনে রাখতে হবে ওই রাজ্যে কিন্তু কোনও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ছিলেন না। তাই বামেদের বিরুদ্ধে ক্ষোভের কোনও গণআন্দোলন ঘটেনি। জানা যায় যে এ রাজ্যের মতোই ওই রাজ্যেও বামেরা একেবারেই প্রশাসন ও সংগঠনকে পুরোপুরি নিজেদের হাতেই কুক্ষিগত করে রেখেছিল। দল করলে চাকরি বা ব্যবসা পেতে অসুবিধা হয়নি। কিন্তু ত্রিপুরায় হাতে গোনা সরকারি চাকরি ফলে অনেকেই কর্মহীন হয়েই ছিল। আর ওই রাজ্যে কোনও বাণিজ্যও নেই, যা আছে তা ফ্র্যাঞ্চাইজি এবং ট্রেডিং ব্যবসা। ফলে এক শ্রেণীর মানুষ করে-কম্মে ছিল আর বেকার ও কর্মহীনের সংখ্যা ক্রমশই বেড়ে চলেছিল। এখান থেকেই পরিবর্তন। এই পরিবর্তনের হাওয়া ধরতে তৃণমূল ঝাঁপিয়ে পড়েছিল কারণ তখন প্রধান বিরোধী দল কংগ্রেস ভেঙে গিয়েছিল। ভাঙার কারণ কেন্দ্রে রাহুল গান্ধী ও সিপিএমের বন্ধুত্ব। তৃণমূল কিন্তু ভালোভাবেই এগিয়েও সংগঠন ধরে রাখতে পারেনি। স্থানীয় মানুষের বক্তব্য মুকুল রায় ও সব্যসাচী দত্তর অযোগ্যতা। ( পরের পর্বে বাকি অংশ)


one year ago


Vote: এখনও চূড়ান্ত নয় পঞ্চায়েত নির্ঘণ্ট, আগাম প্রস্তুতি কতটা রাজনৈতিক দলগুলির?

প্রসূন গুপ্ত: পঞ্চায়েত ভোট কবে হবে এখনও দিনক্ষণ ঠিক হয়নি। প্রথমে শোনা গিয়েছিল জানুয়ারী বা ফেব্রুয়ারিতে ভোট। কিন্তু নতুন বছর তো পড়ে গেল, কাজেই এই দুই মাসে ভোট যে হবে না তার কিছু আভাস পাওয়া গেল। সম্প্রতি দক্ষিণ কলকাতার নজরুল মঞ্চে তৃণমূল দলের বৈঠক ছিল। যেখানে বক্তব্য রাখতে গিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, বাংলা ঘুরে মানুষের বাড়ি বাড়ি যেতে হবে। সেখানে প্রচার করতে হবে তৃণমূল সরকারের কাজকর্ম। প্রচারের স্লোগান হবে 'দিদির সুরক্ষা কবজ'। কাজেই বোঝা যাচ্ছে এই কাজ যেহেতু বেশ সময়সাপেক্ষ, অতএব আপাতত ভোট হয়তে পারে ওই মে মাস নাগাদ।

এদিকে মার্চ-এপ্রিলে মাধ্যমিক, উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষা রয়েছে। তেমন দিল্লি বোর্ডগুলির পরীক্ষাও সময় মতোই হবে। নিয়ম বলছে, পরীক্ষার আগে মাইকে এবং প্রকাশ্যে প্রচার করা চলবে না। ফলে ধরে নিতেই হচ্ছে পরীক্ষার শেষেই পঞ্চায়েত ভোট। কিন্তু তৃণমূল যেমন ভোটযুদ্ধে ঝাঁপাবে তেমন বসে থাকবে না বিরোধী দলগুলি।

বাম বিশেষ করে সিপিএমের সেই সাংগঠনিক শক্তি আর আগের মতো নেই। কিন্তু তবুও তারা এখনও প্রতিটি কেন্দ্রে প্রার্থী দেওয়ার ক্ষমতা রাখে। কংগ্রেসের অবস্থান মুর্শিদাবাদ, মালদহ এবং পুরুলিয়া ছাড়া বাকি জেলাগুলোতে তথৈবচ। এই দুটি বিরোধী শক্তির বাইরে রয়েছে রাজ্যের প্রধান বিরোধী দল বিজেপি।

এখন তৃণমূলের অন্দর থেকেই প্রশ্ন, বাংলাব্যাপী ৬০-৭০ হাজার বুথে কী পদ্মশিবির প্রার্থী দিতে পারবে। সেভাবে প্রার্থী দিলেও কি বুথে এজেন্ট বসাতে পারবে? শাসক শিবিরে জোর চর্চা খুবই কঠিন কাজ। সে কারণেই দিল্লি থেকে নেতারা আসছেন সংগঠন দেখতে।

এদিকে পূর্ব মেদিনীপুরে শনিবার শুভেন্দু অধিকারী হুংকার ছেড়েছেন, পঞ্চায়েতে ডু অর ডাই লড়াই করতে হবে। পাশাপাশি মনে রাখা দরকার এই ভোটের কন্ট্রোল থাকবে কিন্তু রাজ্য পুলিশের হাতে, স্বচ্ছ ভোট পরিচালনার কাজ কতটা কঠিন হবে, সেটা ভোটের দিনক্ষণ ঘোষণা হলেও বোঝা যাবে।

one year ago
Left: সামনে পঞ্চায়েত ভোট, কি ভাবছে বাম শরিকরা?

প্রসূন গুপ্ত: একটা সময়ে কথাই ছিল পশ্চিমবঙ্গে নাকি বাম মনোভাবাপন্ন মানুষের বাস। একটি অঙ্গরাজ্যে এমনটি কি হতে পারে, যুক্তিতে আসে না। কিন্তু বাস্তবে দেখা গিয়েছে ১৯৭৭ থেকে এ রাজ্যে বামফ্রন্ট ক্ষমতায় আসার পর দীর্ঘ ৩৪ বছর তারা ক্ষমতা উপভোগ করছে। তারপর সেই যে তারা ক্ষমতা হারালো এবং দিনের পর দিন ক্ষয়িষ্ণু হলো, তা এখনও পর্যন্ত ফেরত পাওয়ার আশা কোথায়? এখন এই মুহূর্তে সরকারিভাবে বিরোধী দল বিজেপি, যাদের ২০১১-তে কোনও অস্তিত্ব ছিল না এই রাজ্যে। বিধানসভায় একটিও আসন তারা পায়নি। আর আজকে সেই বামেদের বিধানসভায় শূন্য আসন এবং এই রাজ্য থেকে লোকসভাতেও শূন্য। রাজ্যসভায় সবেধন একটি আসন তাও আগামীতে শূন্য হয়ে যাবে, সাংসদ হিসেবে বিকাশ ভট্টাচার্যের মেয়াদ শেষ হবে।

কিন্তু তাই বলে কি দীর্ঘদিনের একদল বামপন্থী দল শেষ হয়ে যায়? এ দেশে বিপ্লব হয়নি। সংসদীয় গণতন্ত্রে সিপিএম থেকে বাকি দলগুলি লড়াই করেছে। কমিউনিজম নামেই, মার্ক্সবাদ কথাতে রয়ে গিয়েছে। ৭০ দশকে যারা বন্দুক হাতে নিয়েছিল তারা আজ ইতিহাসের পাতায়। কিন্তু এই রক্তক্ষয়ী অবস্থায় বামেরা কতদিন অপেক্ষা করবে সুসময়ের জন্য?

একসময়ের তাবড় বাম নেতাদের অধিকাংশই প্রয়াত, রয়েছেন বিমান বসু। একা বিমান বসু যে দলকে তুলে ধরবেন সেই বয়স বা শক্তি তাঁর এখন আছে কি? অন্যদিকে অন্য বাম দলগুলির কী অবস্থান সেটাও মস্ত প্রশ্ন। কোথায় আজ আরএসপি, ফরোয়ার্ড ব্লক, সিপিআই বা এসইউসি? এই দলগুলিকে নিজ শক্তিতে কোনও আন্দোলন বা সভা-সমিতি করতে দেখা যায় না। বৃস্পতিবার সন্ধ্যায় আরএসপির দীর্ঘদিনের নেতা অশোক ঘোষকে দেখা গেলো বিরাটি অটো স্ট্যান্ডের সামনে।

কোনও এক অটোচালকের সঙ্গে অনেক্ষণ কথা বলছিলেন। কিছুক্ষণ বাদে অটো চালক অবশেষে প্রশ্ন করলো, সে তো বুঝলাম কিন্তু দাদার নামটা কি? হতাশ হয়ে নেতা জানালেন, অশোক ঘোষ। এই তো অবস্থা, সিপিএম নেতা একসময় জানিয়েছিলেন, নব্য যুবারা এবারে নেতৃত্বে এসেছে কাজ করবে ওরা। সোশাল নেটের যুগে রাজ্যের যুব মহল সকলেই নিজের নিজের কেরিয়ারে ব্যস্ত, এখান থেকে নব্য বিপ্লব সম্ভব কি?

one year ago


Manab: প্রয়াত সিপিএম নেতা এবং রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী মানব মুখোপাধ্যায়

দীর্ঘ রোগভোগের পর মল্লিক বাজারের এক নার্সিংহোমে প্রয়াত রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী মানব মুখোপাধ্যায় (Manab Mukherjee Death)। মঙ্গলবার সকাল পৌনে ১১টা নাগাদ হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয়েছে এই সিপিএম নেতার (CPM Leader)। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৬৭ বছর। সম্প্রতি দু'বার সেরিব্রাল স্ট্রোকের আক্রান্ত হয়েছিলেন বামফ্রন্ট আমলের (Left Front Government) এই মন্ত্রী এবং বেলেঘাটার প্রাক্তন বিধায়ক (former Beleghata MLA)।

জানা গিয়েছে মঙ্গলবার চক্ষুদানের পর পিস হেভেনে শায়িত থাকবেন মানব মুখোপাধ্যায়ের মরদেহ। বুধবার অর্থাৎ ৩০ নভেম্বর সেখান থেকে দেহ বের করে প্রথমে বেলেঘাটা পার্টি অফিস, সেখান থেকে আলিমুদ্দিন স্ট্রিট এবং জেলা অফিস হয়ে মেডিক্যাল কলেজে নিয়ে যাওয়া হবে। সেখানেই হবে প্রাক্তন পর্যটন মন্ত্রীর দেহদান। ২০১১ সাল পর্যন্ত সিপিএম-র বিধায়ক ছিলেন মানব মুখোপাধ্যায়। বামফ্রন্ট সরকারের আমলে একাধিক দফতরের দায়িত্ব সামলেছেন তিনি। পর্যটন, তথ্য-প্রযুক্তির মতো গুরুত্বপূর্ণ দফতরের মন্ত্রিত্ব সামলেছেন রাজ্য রাজনীতিতে সুবক্তা হিসেবে পরিচিত এই সিপিএম নেতা।

১৯৫৫-র ২৪ অগাস্ট টালিগঞ্জের হরিপদ দত্ত লেনে জন্ম মানব মুখোপাধ্যায়ের। যোধপুর পার্ক বয়েজ হাইস্কুলের প্রাক্তনী, সেন্ট জেভিয়ার্স কলেজ থেকে স্নাতক এবং কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতকোত্তর স্তরে পড়াশোনা করেন। ১৯৮৪ সালে ভারতের ছাত্র ফেডারেশন বা এসএফআইয়ের জেলা সভাপতি নিযুক্ত হয়েছিলেন তিনি। ১৯৯১ সালে ভারতের যুব ফেডারেশন বা ডিওয়াইএফআআই-র রাজ্য সম্পাদক নিযুক্ত হন প্রয়াত এই বাম নেতা।

আজীবন বামপন্থী এই নেতার মৃত্যুর খবর নিশ্চিত হতেই মল্লিকবাজারের নার্সিংহোমে জড়ো হয়েছিলেন প্রাক্তন বিধায়ক তন্ময় ভট্টাচার্য, রবীন দেব এবং সিপিএম জেলা কমিটির সম্পাদক প্রমুখরা।

one year ago
Siliguri: অশোকের বাড়িতে বিজেপির রাজু বিস্ত-শঙ্কর ঘোষ! বিজেপি যোগ নিয়ে কী বললেন বাম নেতা

প্রসূন গুপ্ত: স্কুলজীবন থেকেই বামপন্থার দিকে আকর্ষণ, পরে ছাত্র রাজনীতি শেষে পার্টি সদস্য হওয়া। এবং অনেক দায়িত্ব পার করে বামফ্রন্টের মন্ত্রী হয়েছিলেন আজকের মিডিয়ার প্রবল চর্চিত চরিত্র অশোক ভট্টাচার্য। অশোকবাবু বৃহস্পতিবার এই প্রতিবেদকের কাছে ক্ষিপ্তভাবে উগড়ে দিলেন সম্প্রতি তাঁর বাড়িতে বিজেপির নেতাদের আগমনের কাহিনী। কাহিনীই বটে, অশোকবাবুর স্ত্রী প্রয়াত হয়েছেন এক বছর পূর্ণ হল।  দীর্ঘদিনের কমিউনিস্ট আন্দোলনের সঙ্গে তিনি যুক্ত ছিলেন। ব্যক্তিগত জীবন বলতে বাম আন্দোলনের সঙ্গে যুক্ত মনেপ্রাণে এক বামপন্থী মহিলাকে বিয়ে।

কোনও সন্তানাদি নেই। অবসরের সঙ্গী ছিলেন তাঁর স্ত্রী-ই। কর্তা-গিন্নির পরস্পরের প্রতি ভালোবাসা ছিল প্রবল। সেই স্ত্রী যখন হঠাৎ চলে গেলেন একেবারেই একা বাম আমলের পুর ও নগরোন্নয়ন মন্ত্রী। যতই রাজনীতি করুন না কেন, মনের দিক থেকে একেবারেই ভেঙে পড়েছিলেন অশোক ভট্টাচার্য। এই প্রতিবেদককে সেসব কথা অকপট ভাবে  জানিয়েছিলেন প্রবীণ এই রাজনীতিবিদ।

এরপর একুশের ভোটে পরাজয় তাঁরই একদা ছায়াসঙ্গী শংকর ঘোষের কাছে। তারপর আর ভোটের রাজনীতি করতে চাননি তিনি। কিন্তু দলের নির্দেশে ফের শিলিগুড়ি পুরসভায় দাঁড়ান এবং ফের পরাজিত হন অশোক ভট্টাচার্য। এখন অশোকবাবুর সময়ে কাটে কিছুটা পার্টি অফিসে, কিছুটা বাড়িতে বই পড়ে। সেই প্রসঙ্গে অশোকবাবু জানালেন, কোনও সাচ্চা কমিউনিস্ট কোনও দিন পার্টি ছেড়ে দক্ষিণপন্থী দলের সঙ্গে সখ্যতা করে? প্রশ্ন করা হল কি এমন ঘটলো যে, মিডিয়া আপনাকে নিয়ে বিজেপির সঙ্গে একটা গল্প তৈরি করছে?

তিনি বলেন, 'বিজেপির সাংসদ রাজু বিস্ত আমার বাড়ির সামনে একজনের বাড়িতে এসেছিল। ওখান থেকেই আমাকে ফোন করে বলে হামলোগ দিওয়ালি কে লিয়ে বাধাই দেনা চাহাতা হুঁ। সৌহার্দ্যর খাতিরে তিনি, তাঁদের বাড়ি আসতে বলেন।' এরপর নাকি প্রায় ৮-১০ জন কর্মী নিয়ে এবং সঙ্গে একডজন সংবাদ মাধ্যম নিয়ে তাঁর বাড়িতে আসেন রাজু এবং শঙ্কর ঘোষ। মিনিট দশেক ছিলেন তাঁরা, এর মধ্যে ৩০ অক্টোবর এক অনুষ্ঠানের জন্য আমন্ত্রণ করেন রাজু। ব্যস ওটুকু, এরপর অশোকবাবু তাঁদের চা খাওয়ান। রাজু বিস্ত, অশোকবাবুর প্রয়াত স্ত্রীয়ের বিষয়ে নানা কথা বলেন এবং তাঁরা চলে যান। এর বেশি কিছু হয়নি, বাকি শুধু মিডিয়া এবং কুণাল ঘোষের তৈরি করা গল্প।

2 years ago
Bhaifonta: মেয়ো রোডে চাকরিপ্রার্থীদের থেকে ফোঁটা সেলিমের, উচ্চ প্রাথমিক ধর্নামঞ্চে দিলীপ

উৎসব আবহে এবার ধর্নাস্থলে (Sit in protest) ভাইফোঁটা (Bhai Phota) পালন স্কুল সার্ভিস কমিশন (এসএসসি)-র চাকরিপ্রার্থীদের। বুধবার কলকাতার মেয়ো রোডে ভাইফোঁটা পালন করেন তাঁরা। চাকরিপ্রার্থীদের (SSC Candidate) থেকে ফোঁটা নিয়েছেন সিপিএম (CPM) রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম। ধর্নাস্থল থেকে স্বচ্ছ নিয়োগের দাবিতে সরব তিনি। অন্য দিকে, মাতঙ্গিনী হাজরার পাদদেশে ধর্নাস্থলে যান বিজেপি সাংসদ দিলীপ ঘোষ। তিনি চাকরিপ্রার্থীদের মিষ্টি এবং বস্ত্র বিতরণ করেছেন।

স্কুলে চাকরির দাবিতে এসএসসি চাকরিপ্রার্থীদের ধর্না বুধবার ৫৯১ দিনে পড়ল। রাজ্যজুড়ে এখন উৎসবের মরশুম। দুর্গাপুজো, লক্ষ্মীপুজো পেরিয়ে কালীপুজো এবং দীপাবলি, ভাইফোঁটা। কিন্তু গত দেড় বছরের বেশি সময় ধরে রাজপথে ধর্নায় চাকরিপ্রার্থীরা।

সেলিমকে ফোঁটা দিয়ে এক চাকরিপ্রার্থী বলেন, 'চাকরি পেয়ে আমাদের এখন বাড়িতে থাকার কথা। নিজের দাদা ও ভাইকে ফোঁটা দিতাম। কিন্তু এই অপদার্থ সরকারের জন্য তা সম্ভবপর হল না। তবে এত দিনের এই লড়াইয়ে আমরা অনেকের সাহায্য পেয়েছি। তাঁরা আমাদের দাদা-ভাইয়ের মতো। সেলিমদাও সে রকম এক জন। তিনি বহু বার চাকরিপ্রার্থীদের পাশে থেকেছেন। ভাইফোঁটার দিনেও তিনি আমাদের সঙ্গে সময় কাটাতে এসেছেন। আমরা তাঁকে ফোঁটা দিলাম।'

সিপিএম রাজ্য সম্পাদক বলেন, 'এটা একটা মিষ্টি অনুষ্ঠান। যারা যোগ্য প্রমাণ করে হকের লড়াই লড়ছে, এঁদের সকলের নিয়োগ হোক। কোনও বাহানা চাই না। আর যাঁদের জন্য এই চাকরিপ্রার্থীরা বঞ্চিত, তাঁদের শাস্তি হোক।'

মেয়ো রোডে এসএসসি চাকরিপ্রার্থীদের হাতে সেলিম যখন ভাইফোঁটা নিচ্ছেন, সেই একই সময়ে মাতঙ্গিনী হাজরার পাদদেশের ধর্না-অবস্থানে বিজেপির কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি। সেখানে আবার উচ্চ প্রথামিকে নিয়োগের দাবিতে ধর্না। দিলীপ অবস্থানকারীদের মধ্যে মিষ্টি এবং জামাকাপড় বিতরণ করে বলেন, 'সরকার ৮ বছর ধরে স্বচ্ছ নিয়োগ করতে পারেনি। ভাইফোঁটার দিনেও ছেলেমেয়েদের রাস্তায় বসিয়ে দিয়েছেন। তাঁদের পাশে একটু সময় কাটাতে এলাম।'

2 years ago


Singur: 'আমি নই, টাটাকে সিপিএম তাড়িয়েছে', উত্তরবঙ্গে দাবি মমতার, 'মিথ্যা কথা', আক্রমণে বাম-বিজেপি

প্রায় একযুগের বেশি সময় পর বঙ্গ রাজনীতিতে ফের চর্চায় সিঙ্গুর প্রসঙ্গ (Singur Issue)। বুধবার উত্তরবঙ্গে (North Bengal) বিজয়া সম্মিলনী অনুষ্ঠানে মুখ্যমন্ত্রী (CM Mamata) দাবি করেন, 'টাটাকে আমি তাড়াইনি, তাড়িয়েছে সিপিএম। আমরা তো জমি ফেরত দিয়েছি। আপনারা লোকের জমি জোর করে দখল করতে গিয়েছিলেন। জমির তো অভাব নেই, জোর করে কেন জমি নেবো। আমরাও প্রজেক্ট করেছি।' জোর গলায় তিনি জানান, কেউ কেউ বাজে কথা বলছে আমি টাটাকে তাড়িয়েছি।

মুখ্যমন্ত্রীর এই দাবির প্রেক্ষিতে তুঙ্গে রাজনৈতিক তরজা। বিজেপি রাজ্য সভাপতি তথা সাংসদ সুকান্ত মজুমদারের কটাক্ষ, 'মুখ্যমন্ত্রী মাঝে মধ্যেই মিথ্যা কথা বলেন। আজকেও বললেন।' সিপিএম নেতা বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য জানান, উনি কখনও জীবনে সত্যি কথা বলেছেন? ওর রাজনৈতিক উত্থান মিথ্যা কথা বলেই। টাটার কারখানাকে বুলডোজার দিয়ে ভাঙিয়ে এখন মানুষকে বিভ্রান্ত করতে মিথ্যা বলছেন এবং অনবরত মিথ্যা বলে চলেছেন।

এদিকে, শুধু সিঙ্গুর প্রসঙ্গ নয় উত্তরবঙ্গ বাংলারই অঙ্গ কোনও রাজ্য ভাগ নয়। এই ইঙ্গিতও ঠারেঠরে দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। তাঁর আবেদন, কোনও প্ররোচনা ভাগভাগিতে পা দেবেন না। বঙ্গভঙ্গ নয় আমরা চাই সঙ্গ।

2 years ago
Sovondeb: 'যে চোর, সে চোর দল তাঁকে স্বীকার করবে না', দুর্নীতি প্রশ্নে বিস্ফোরক শোভনদেব

দুর্নীতির বিরুদ্ধে ফের সরব রাজ্যের মন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায় (Sovondeb Chatterjee)। তাঁর বিধানসভা আসন খড়দহের (Khardaha) এক অনুষ্ঠানে পরিষদীয় মন্ত্রী জানান, যে চোর, সে চোর। দল (TMC) তাঁকে স্বীকার করবে না। সে যে-ই হোক। তাঁকে আদালত থেকে পরিষ্কার হয়ে আসতে হবে। এমনটাই বলেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee) এবং অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। তার মানে এই নয় সবাই চোর মুখ্যমন্ত্রী এখনও নিজের টাকায় চলেন। তাঁকে টাকা নিতে হয় না। তিনি যদিও এখন কেন্দ্রীয় মন্ত্রিত্বের টাকা, মুখ্যমন্ত্রিত্বের টাকা নিতেন, তাহলে কত কোটি টাকা হত ভাবুন তো। মানে এই নয় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রাজ্যের কোনও উন্নতি করেনি। এভাবেই দলীয় সভায় সরব ছিলেন শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়।

যদিও শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়ের এই মন্তব্যকে গুরত্ব দিতে নারাজ বিজেপি। দলের সভাপতি সুকান্ত মজুমদার বলেন, 'শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়ের কথায় অতো গুরুত্ব দেওয়ার দরকার নেই। কারণ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যখন বলেছেন কী এমন করেছে কেষ্ট? তখন তাঁর দলের বিধায়কের কথায় গুরুত্ব দেওয়ার দরকার নেই। মাননীয় মুখ্যমন্ত্রীই যাত্রার বিবেকের মতো কয়েকজনকে চাবি দিয়ে ছেড়ে দিয়েছেন। যারা মঞ্চে উঠে এসব কথা বলছেন।'

সিপিএম নেতা সুজন চক্রবর্তী জানান, একদিন শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়, একদিন তাপস রায় নানাভাবে বেফাঁস কথা বলে আসছেন। শোভনদেব চট্টোপাধ্যায় বলেছেন যারা অভিযুক্ত তারা কোর্টের মাধ্যমে ক্লিয়ার হয়ে আসতে হবে। দম আছে? এসব ফালতু কথা। তৃণমূলে থাকবেন অথচ অভিযুক্ত হবেন না? এটাও সম্ভব। এভাবেও খোঁচা দিয়েছেন তিনি।

2 years ago