Breaking News
Anubrata: পিছল ইডির করা মামলা, মেয়ের মত অনুব্রতরও পুজো কাটতে চলেছে তিহারে      Court: আদালতে কিছুটা স্বস্তি রাজ্যের, সমবায় দুর্নীতির তদন্ত সিবিআইয়ে আস্থা সার্কিট বেঞ্চের      Nipah virus: নিপা আতঙ্ক এবার বাংলাতেও, বেলেঘাটা আইডিতে ভর্তি কেরল ফেরত পরিযায়ী শ্রমিক      Abhishek: ফের আদালতে ধাক্কা অভিষেকের, লিপস অ্যান্ড বাউন্ডস মামলায় মিলল না বাড়তি সময়      Supreme Court: কেষ্টর জামিনের মামলায় সিবিআই-কে নোটিস দিল শীর্ষ আদালত      Siraj: সি...রাজই রাজা      Showcause: কলকাতা পুরনিগমে হাতাহাতিতে জড়িয়ে পড়া দুই কাউন্সিলরকে শোকজ      Justice Ganguly: 'দুর্গা' বানান ভুল, অথচ চাকরি পেতে আইনি লড়াই জাস্টিস গাঙ্গুলির বেঞ্চে, এরপর...      Mamata: স্পেন সফরে মাদ্রিদের রাস্তায় মুখ্যমন্ত্রী বাজালেন পিয়ানো, করলেন মর্নিং ওয়াকও      Abhishek: 'নির্যাস শূন্য নয়, মাইনাস ২', প্রায় সাড়ে ৯ ঘণ্টা পর সিজিও থেকে বেরিয়ে বললেন অভিষেক     

CPIM

CPIM: বিরোধী জোটের সমন্বয় কমিটিতে থাকছে না কেন সিপিএম?

প্রসূন গুপ্তঃ এতো ঘটা করে সিপিএমের দেশজ সম্পাদক সীতারাম ইয়েচুরি বিরোধী জোট 'ইন্ডিয়া'তে উপস্থিত থেকে অনেক উপদেশ দিলেন। কংগ্রেস থেকে তৃণমূলের প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠক করলেন সীতারাম, তারপরেই যখন সমন্বয় কমিটি হলো তখনই সেই কমিটি থেকে নিজেদের সরিয়ে নিলো সিপিএম। এখন শুধু এই নিয়ে প্রশ্ন নয় বিতর্ক হচ্ছে বিস্তর। তাদের ইঙ্গিত কেরালায় তারা কংগ্রেসের এবং বাংলায় তৃণমূলের বিরোধী কাজেই ওই সমন্বয় কমিটিতে নাকি তাদের প্রতিনিধি থাকলে জনতার কাছে ভুল বার্তা যাবে। কিন্তু এসব তো জোট গড়ার আগেই ভাবনার মধ্যে ছিল তবে এই জোট বৈঠকে যাওয়ার দরকার কি ছিল, উঠছে এমন প্রশ্ন।

এই মুহূর্তে পশ্চিমবঙ্গে সিপিএমের শক্তি বিলীন হয়ে গিয়েছে। ৩৪ বছর শাসনের পরে ১০ বছরের মাথায় বিধানসভা ভোটে তাদের অবস্থান শূন্য। লোকসভাতে এই রাজ্য থেকে বামেদের একজনও সাংসদ নেই। অন্যদিকে প্রায় একই অবস্থা অন্য প্রাক্তন বামদুর্গ ত্রিপুরাতেও। সেখানেও গত ভোটে বিরোধী হওয়ার যোগ্যতাও হারিয়েছে তারা। টিকে আছে কেরালাতে। আপাতত ওই রাজ্যের ক্ষমতায় বামেরা। বামেদের বিভিন্ন রাজ্যে প্রধান প্রতিপক্ষ একমাত্র ত্রিপুরায় বিজেপি। বাকি বাংলায় তৃণমূল এবং কেরালায় কংগ্রেস। সমস্যা তাদের এই দুই রাজ্য নিয়েই। কেরালাতে তাদের কংগ্রেসের সঙ্গে জোট মোটেই মেনে নেবে না সমর্থকরা। একই কথা বাংলাতেও। মূলত সিপিএমের বিরোধিতার জন্যই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তথা তৃণমূলের উত্থান কাজেই তৃণমূলের আদি কর্মীরা যেমন মেনে নেবে না সিপিএমের সঙ্গে জোট, তেমনই সিপিএমের টিকে থাকা ভোটাররাও মেনে নেবে না তৃণমূলের সঙ্গে জোট। এই দুই রাজ্যেই জোট করলে আখেরে ক্ষতি সিপিএমের।

অবিশ্যি ব্যঙ্গক্তি আসছে তৃণমূলের তরফ থেকে। তাদের বক্তব্য, বিজেপির সঙ্গে আসল সেটিং সিপিএমেরই। আজ বাংলায় বিজেপির ভোট শতাংশের সিংহভাগই সিপিএমের। বিজেপির এই রাজ্যে নাকি কোনও দিনও ৬-৭ % বেশি ভোট ছিল না, তাহলে ৩৭/৩৮% ভোট তাদের বাক্সে পড়ছে কি ভাবে? একই সাথে তারা বলছে এতো কেন্দ্রীয় এজেন্সির চাপ প্রতি বিরোধী দলের উপর অথচ সিপিএমের উপর কোনও চাপই নেই। তাদের বিস্ফোরক বক্তব্য, চিটফান্ডের জন্ম বাম জমানাতে এবং তাদের সেলিম সহ বহু নেতাকে ওই ব্যবসায়ীদের সাথে একই মঞ্চে বা অনুষ্ঠানে দেখা গিয়েছে অথচ কি এমন ঘটনা যে, আজ অবধি সিপিএমের কাউকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ডাকাও হলো না। রহস্যের এই সমস্ত উত্তর একমাত্র সিপিএমই দিতে পারবে।

2 days ago
CPIM: ইন্ডিয়ায় আছে, কিন্তু অভিষেকের সমন্বয় কমিটিতে নয়, সিদ্ধান্ত সিপিএমের পলিটব্যুরোর

শিয়রে লোকসভা ভোট। তার আগে পাঁচ রাজ্যে বিধানসভা ভোট। কেন্দ্রীয় রাজনীতি থেকে বিজেপিকে হঠাতে এখন আদা-জল খেয়ে ময়দানে বিরোধী জোট ইন্ডিয়া। এই অবস্থায় রবিবার সিপিএম পলিটব্যুরো জানিয়ে দিল, তারা ইন্ডিয়ায় আছে। কিন্তু সমন্বয় কমিটিতে থাকবে না। রাজনৈতিক মহলের মতে, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের এই কমিটি থেকে নিজেদের সরিয়ে রাখার ব্যাপারেই সিদ্ধান্ত হল দু দিনের সিপিএম পলিটব্যুরোর বৈঠকে।

সম্প্রতি ইন্ডিয়া জোটের বৈঠকে ঠিক হয়েছিল, ১৪ নম্বর জায়গাটি ফাঁকা রাখা হয়েছে সিপিএমের জন্য। তা নিয়েই সিপিএমের অন্দরে বিস্তর আলোচনা হয়েছে বলেই খবর। দিল্লিতে এদিনের বৈঠক শেষে সিপিএম স্পষ্ট করেছে, জোট শক্তিশালী হোক তারা চায়। বিজেপি হঠাও লড়াইতেও তারা সামিল হবে। তার জন্য জোটকে আরও ঐক্যবদ্ধ করতে হবে। তবে সিপিএমের আপত্তি জোটে সাংগঠনিক কাঠামোকে কেন্দ্র করে। সিপিএম মনে করে, তা সিদ্ধান্তের ক্ষেত্রে অন্তরায় হতে পারে।

জোটে থাকলেও শুরু থেকেই অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সমন্বয় কমিটিতে সিপিএমের থেকে কেউ থাকুক, তাতে আপত্তির কথা জানিয়েছিল কেন্দ্রীয় কমিটি। পলিটব্যুরোতেও তার ভিন্নমত হল না। এমনিতেই আসন রফা নিয়ে নিজেদের আপত্তির কথা তুলেছেন সিপিএমের সাধারণ সম্পাদক সীতারাম ইয়েচুরি। এর আগেই তিনি জানিয়েছেন, সিপিএম চায় কেন্দ্রীয় ভাবে নয়, আসন সমঝোতা হোক রাজ্য ভিত্তিক।

4 days ago
CPIM: বছরের শুরুতে ব্রিগেডের ডাক, ধুপগুড়ির ব্যর্থতার পর কি ঘুরে দাঁড়াতে মরিয়া বামেরা!

সামনেই লোকসভা ভোট। ধুপগুড়িতে চূড়ান্ত ব্যর্থতা থাকলেও, হাল ছাড়তে নারাজ বামেদের যুব ব্রিগেড। লোকসভার আগে ঘুরে দাঁড়াতে মরিয়া লাল ব্রিগেড। লোকসভার আগে আগামী বছরের শুরুতেই তাই শক্তি প্রদর্শনের জন্য কোমর বাঁধছেন মীনাক্ষী মুখোপাধ্যায়রা। টার্গেট ব্রিগেডে শ্বেত পতাকার ভিড় জমানো। আগামী ৭ জানুয়ারি ব্রিগেড সমাবেশের ডাক দিয়েছে সিপিএমের যুব সংগঠন ডিওয়াইএফআই।

হাতিয়ার বেকারত্ব দূরীকরণ, কর্মসংস্থান, শিল্প-কারখানা, কাজে স্থায়ীকরণের দাবি। এই সব ইস্যুগুলিকে সামনে রেখেই মাঠে ময়দানে বিজেপি ও তৃণমূলের বিরুদ্ধে আন্দোলনের ঝাঁঝ বাড়াতে মরিয়া বামেদের যুব শিবিরে শ্বেত পতাকার ধারক-বাহকরা। জানুয়ারিতে ব্রিগেড। তার আগেও থাকছে একগুচ্ছ কর্মসূচি। আগামী দু’মাস ধরে টানা রাস্তায় নেমে প্রচার চালাবে ডিওয়াইএফআই। জেলায় জেলায় চলবে প্রচার। এরপর আগামী ৩ নভেম্বর ডিওয়াইএফআই প্রতিষ্ঠা দিবসে রাজ্যজুড়ে পদযাত্রার ডাক দিয়েছেন মীনাক্ষী মুখোপাধ্যায়রা। ডিওয়াইএফআই রাজ্য সভানেত্রী মীনাক্ষী বলছেন, ‘আমাদের তো সরকারি বদান্যতায় পদযাত্রা নয়। আমাদের পদযাত্রায় শিক্ষিত বেকার যুবরা থাকবেন। যাঁরা বেকারত্বের মধ্যে পরিবারকে টেনে নিয়ে যাচ্ছেন, তাঁরা আসবেন। আমরা তাঁবুর লড়াইয়ে নেই। রাস্তার লড়াইয়ে আছি। খোলা আকাশের নীচে আমাদের লড়াই।

2 weeks ago


Cpim: পশ্চিমে ঢলে পরা বামেদের ভবিষ্যৎ কি?

স্বাধীনতা উত্তর যুগ থেকেই বামেদের উত্থান। আগে একটি দল সিপিআই ছিল পরে ভেঙে বহু দলে বিভক্ত হয়েছে তারা যদিও এসইউসি ছাড়া বাকি তথাকথিত কমিউনিস্টরা একত্রে বামফ্রন্ট গড়েছিল বা কোথাও এলডিএফ বা লেফট ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট।  ২০১১ তে পশ্চিমবঙ্গ হাতছাড়া হয় তারও কয়েক বছর পরে হাতছাড়া হয় ত্রিপুরাও। থাকার মধ্যে রয়েছে শুধু কেরালা। এই বঙ্গে ১২ বছর আগে বাম বিশেষ করে সিপিএম বিদায় নেওয়ার পরে এমন কোনও ভোটের ফল দেখা যায় নি যেখানে আদপে তাদের ফিরে আসার সম্ভবনা রয়েছে। ইতিমধ্যে তারা চির রাজনৈতিক শত্রু কংগ্রেসের সঙ্গে কোথাও কোথাও হাত মিলিয়ে ভোট লড়েছে বটে কিন্তু সিপিএমের দিকে সুবিধা এসেছে এমন তথ্য নেই। কাজেই প্রশ্ন থেকে যায় বাম সূর্য কি পশ্চিম আকাশে চলে যাচ্ছে?

২০২১ এর বাংলার বিধানসভা ভোটে তারা শূন্যতে পৌঁছিয়েছে। দশা একই কংগ্রেসেরও কিন্তু কংগ্রেসের এ রাজ্য থেকে লোকসভায় দুই প্রতিনিধি রয়েছে যা সিপিএম বা বামেদের নেই। বিগত বিধানসভা নির্বাচনের পর ৫টি উপনির্বাচন হয়েছে এবং পৌরসভা পঞ্চায়েত ইত্যাদি নির্বাচন হয়েছে। প্রাথমিক ভাবে উপনির্বাচনগুলিতে দক্ষিণবঙ্গে সিপিএম কিছু ভোট পেয়েছিলো, বিশেষ করে বালিগঞ্জ উপনির্বাচনে দ্বিতীয় স্থানে বেশ কিছু ভোট পেয়েছিলো। এরপর পৌরসভা নির্বাচনে মধ্য বাংলার একটি পৌরসভা দখলও করেছিল। পরে পঞ্চায়েত নির্বাচনে কিছু আসন পেয়েছিলো বটে কিন্তু তা বুক ফুলিয়ে বলার মতো জায়গায় নেই বরং সেই বিজেপি দ্বিতীয় স্থানেই রয়েছে।

আসলে তৃণমূল বিরোধী বা বলা ভালো মমতা বিরোধী ভোটাররা আর বামেদের উপর আস্থা না রেখে সবেগে বিজেপির দিকেই চলে গিয়েছে। শুক্রবার প্রকাশিত ধূপগুড়ির নির্বাচনে লালদুর্গতে তাদের নির্মম পতন হয়েছে , জামানত জব্দ হয়েছে ফের। সম্প্রতি হয় যাওয়া দেশের বিভিন্ন প্রান্তের উপনির্বাচন হয় এবং শুক্রবার তার ফল প্রকাশিত হয়েছে। দেখা গেলো ৭টি আসনে বিজেপি এবং তাদের জোট সঙ্গী ৪টি আসনে পরাজিত এবং একই ভাবে সিপিএমও চারটি আসনে জমি খুঁজে পায় নি। সর্বত্রই পরাজয় এমনকি তাদের দখলে থাকা কেরালাতেও পরাজিত 'বন্ধু' কংগ্রেসের কাছে। রাজ্য কংগ্রেসের মধ্যে এই অবস্থান দেখে গুঞ্জন শুরু হয়েছে যে এই সিপিএমের সাথে জোট বেঁধে লড়লে আখেরে তাদের ক্ষতি কাজেই ধীরে ধীরে তৃণমূলের দিকে তারা অবস্থান বদলাতে চাইছে। তাহলে বামেদের কি হবে ? বিশেষজ্ঞরা বলছেন, মা গঙ্গাই জানেন। গঙ্গা প্রাপ্তির আগে পারবে কি বামেরা কিছু করতে, লক্ষ টাকার প্রশ্ন। 

2 weeks ago
Bengal: পশ্চিমবঙ্গে বিরোধী জোট হওয়া কঠিন

প্রসূন গুপ্তঃ সারা ভারতের রাজনৈতিক অবস্থান বদলে বিজেপি বিরোধী দলগুলি ইতিমধ্যেই এক ছাতার তলায় এসেছে। যদিও এখনও লোকসভা ভোটের বিস্তর দেরি আছে, কিন্তু এর আগেও এ ধরনের জোট করতে গিয়ে অবশেষে ব্যর্থতাই এসেছিলো। এই জোটের আপাতত নাম " ইন্ডিয়া "। মঙ্গলবার দেশের ৭টি কেন্দ্রে বিধানসভার উপনির্বাচন হয়ে গেলেও সর্বক্ষেত্রে জোট হয়নি। উত্তরপ্রদেশ, ঝাড়খণ্ডে জোট যেমন হয়েছে, তেমন ত্রিপুরার দুটি কেন্দ্রে কংগ্রেস/সিপিএম জোট হলেও তিপ্রা মোথা জোটে যায়নি।

আবার উত্তরাখণ্ডে বিজেপির বিরুদ্ধে কংগ্রেস এবং এসপি প্রার্থী দিয়েছে এবং কেরালায় কংগ্রেসের অন্যতম বন্ধু সিপিএমের বিরুদ্ধেই লড়তে হচ্ছে রাহুলের দলকে। পশ্চিমবঙ্গে তো জোট আদপে কোনও দিন হবে বলে তো আশা রাখে না তিনটি দলই। সদ্য শেষ হওয়া ধূপগুড়ি উপনির্বাচনে বিজেপির বিরুদ্ধে প্রার্থী দিয়েছে সিপিএম ও তৃণমূল কংগ্রেস। আসনটি জিততে মরিয়া তিন দলই। এবারে প্রশ্ন উঠছে যে, যেখানে খোদ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় চাইছেন দ্রুত বাম অথবা কংগ্রেসের সঙ্গে আসন রফা হোক নতুবা তারা পরিষ্কার বার্তা দিক, তা কি সম্ভব?

তৃণমূলের সঙ্গে পশ্চিমবঙ্গে জোট হওয়া এক প্রকার অসম্ভব কারণ সিপিএম বিরোধিতা করেই ক্ষমতায় এসেছে তারা। এই একই মনোভাব সিপিএমের যদিও বামফ্রন্টের সকলেই তা মনে করে না তবুও সিপিএমে শূন্যে চলে যাওয়ার পরেও তারাই ফ্রন্টের প্রধান শক্তি। ধূপগুড়ি নির্বাচনের প্রচারে গিয়ে তৃণমূলকে তুলোধোনা করেছেন সম্পাদক সেলিম শুরু করে বাকি বাম নেতারা। পক্ষন্তরে তাদের জোটসঙ্গী কংগ্রেস অপেক্ষাকৃত অনেকটাই নরম।সিপিএমের বার্তা পরিষ্কার বাংলা বা কেরলে জোটের অন্য দলগুলির সঙ্গে আসন রফা করা কঠিন। অবিশ্যি এদের মুম্বই বৈঠকে ঠিক হয়েছে পারদপক্ষে চেষ্টা করতে হবে জোট করার নতুবা বন্ধুত্বপূর্ণ লড়াই।

কংগ্রেসের প্রবীণ নেতা প্রদীপ ভট্টাচার্য মনে করেন তিন দল এক হলে বিরোধী সমস্ত ভোট বিজেপি নিয়ে যাবে। শোনা গিয়েছে প্রদীপবাবুকে হয়তো ফের দলের দায়িত্ব দেওয়া হতে পারে। কোনও দায়িত্ব পাওয়ার আগেই যদি এই মনোভাব হয় তবে ভবিষ্যৎ কি তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না।

2 weeks ago


By Election: বিক্ষিপ্ত কয়েকটি অভিযোগ ছাড়া শান্তিপূর্ন ধুপগুড়ি বিধানসভার উপনির্বাচন

দু একটি বিক্ষিপ্ত অভিযোগ ছাড়া সকাল থেকেই শান্তিতে রাজ্যের ধূপগুড়ি বিধানসভার উপনির্বাচন। সম্প্রতি কলকাতার মৃত্যু হয়েছিল এই কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী বিষ্ণুপদ রায়ের। সেই কারণেই মঙ্গলবার এই কেন্দ্রে ভোট নেওয়া হচ্ছে।


সকাল থেকে ইভিএম বিকলের অভিযোগের পাশাপাশি, বুথের কেন পুলিশ, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। কারণ, রাজ্যের এই একমাত্র বিধানসভার উপনির্বাচনে প্রচুর পরিমাণে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে। কর্মব্যস্ত দিন হলেও সকাল থেকে প্রতিটি বুথের সামনে লম্বা লাইন দেখা গিয়েছে।

দু বছর আগে রাজ্যে বিধানসভা ভোটে উত্তরবঙ্গে যে আসনগুলিতে শাসক তৃণমূলের রক্তক্ষরণ হয়েছিল, ধূপগুড়ি ছিল তাদের অন্যতম। তৃণমূলের মিতালি রায়কে হারিয়ে এই কেন্দ্র থেকে বিধানসভায় গিয়েছিলেন গেরুয়া শিবিরের বিষ্ণুপদ রায়। তাই এই নির্বাচন দুই রাজনৈতিক দলের কাছেই কার্যত চ্যালেঞ্জ। বিশেষ করে বিজেপির কাছে।

কারণ, গত পঞ্চায়েত ভোটে উত্তরবঙ্গে গেরুয়া শিবিরের ভরাডুবি হয়েছে। বিধানসভায় হারানো ক্ষমতা ফের নিজেদের পালে টানতে সক্ষম হয়েছে শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেস। রাজনৈতিক মহলের মতে, আগামী লোকসভা ভোটের আগে এই ধূপগুড়ি ধরে রাখা এখন সরাসরি চ্যালেঞ্জ সুকান্ত মজুমদার এবং শুভেন্দু অধিকারীর কাছে।

গত প্রতিটি নির্বাচনেই এই রাজ্যে তাঁদের সামনে রেখেই ভোটে লড়াই করছে বিজেপি। আর প্রতিটি ক্ষেত্রেই বিপর্যয়ের সম্মুখীন হতে হয়েছে। গত উপনির্বাচনেও নিজেদের জয়ী আসন হারিয়েছে বিজেপি। দিল্লি থেকেও কার্যত ধূপগুড়ি ধরে রাখার চ্যালেঞ্জ দেওয়া হয়েছে সুকান্ত-শুভেন্দুকে।

গত শনিবার এই কেন্দ্রে প্রচারে এসেছিলেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। নির্বাচনে প্রচারে ধূপগুড়িকে আলাদা মহকুমা তৈরির আশ্বাস দিয়েছেন তিনি। ওই সভায় হাজির থাকা প্রাক্তন বিধায়ক মিতালি রায়, পরের দিনেই যোগ দিয়েছেন বিজেপিতে। রাজনৈতিক মহলের মতে, মিতালির এই দলবদল কোনও ফ্যাক্টর হল কীনা, তা বোঝা যাবে ভোট শতাংশের উপরেই।

2 weeks ago
Derby And Election: ডার্বি থেকে ধূপগুড়ি, প্রেস্টিজ গেমের মুখে ফুটবল ও রাজনীতি

প্রসূন গুপ্ত: মাঝে মাঝে জমজমাট খবর উধাও হয়ে যায় আবার এমন ভাবে কখনও ফিরে আসে যার দিশা পাওয়া মুশকিল হয়ে যায়। এখন বার্তা হলো, দুটি বড় প্রেস্টিজ গেম রয়েছে, ধূপগুড়ি এবং রবিবারের সন্ধ্যায় ইস্টবেঙ্গল মোহনবাগানের ডুরান্ড কাপ ফাইনাল। যদিও দুটিকেই খেলা বলা উচিত নয়, বিশেষ করে ধূপগুড়ি উপনির্বাচন। তবে বলতেই হয় ১৯৬৬ অবধি পশ্চিমবঙ্গের যে কোনও ভোট ছিল খুবই স্পোর্টিং অর্থাৎ ভোটে হারজিত তো থাকেই কিন্তু তা বলে ভোট কেন্দ্রে লড়াই গন্ডগোল বা জিতে দেখে নেওয়ার আক্রোশ কোনও দলের ছিল না। বরং দেখা যেত ভোটের দিন সকাল থেকে যে যার টেন্টে গিয়ে বসতো এবং যারা বুথ এজেন্ট তারা বুথে ঢুকে পাশাপাশি বসে এক প্রকার গল্পগুজব করতো। সময়ে চা আসলে বা খাবার আসলে একেবারে ভাগাভাগি করে খেত। পরে ভোটের ফল বেরোলে জয়ী প্রার্থী পরাজিতের বাড়িতে গিয়ে চা খেয়ে আসত। সেসব দিন স্বপ্নের। অন্যদিকে ৬০, ৭০ বা ৮০র দশকের দর্শক মানেই ভয়ঙ্কর উগ্র বিশেষ করে ইস্টবেঙ্গলের। খেলা শুরু থেকেই উত্তেজনা এবং খেলা শেষে 'বাড়ি যাবো কি করে' পরিস্থিতি দাঁড়াতো। ব্যাপারটা যেন দুই দেশের যুদ্ধ। 

আজ সেই দিন গিয়েছে। আজকের ভোট মানেই জিততেই হবে। প্রচার ইত্যাদির উপর ভরসা না  রেখে যে ভাবেই হোক প্রার্থীকে জেতাও। আর ভাগাভাগি করে খাওয়া দাওয়া তো কবেই বিদায় নিয়েছে। দুপুরে কোনও বুথে ঢুকলে দেখা যায় যে কোনও একটি দলের এজেন্ট লাঞ্চ সারছে অন্য জনের দেখাই নেই। এই সংস্কৃতি জোরদার হয় বাম আমলে। আজকে তার কপি বিদ্যমান। পক্ষান্তরে ইস্টমোহনের সেই উগ্র দর্শক আজ আর নেই। তবে এটা ঠিক যে আজকের দিনেও ট্রাক বা বাস ভাড়া করে দলীয় পতাকা লাগিয়ে মাঠে আসে দর্শকরা। খেলা চলাকালীন হৈচৈও রয়েছে কিন্তু খেলা শেষে দেখা যায় যে যার মতো বাড়ি চলে যাচ্ছে এবং এলাকায় এলাকায় ইলিশ চিংড়ির দেখাও পাওয়া যায় না। কর্পোরেট যুগ, টিভি বা ইন্টারনেট খুললেই বিদেশী খেলা দেখা যায়, কাজেই সময় কোথায় ? 

3 weeks ago
DhupGuri: অ্যাসিড টেস্টের মুখে ধূপগুড়ি উপনির্বাচন ( শেষ পর্ব )

প্রসূন গুপ্ত: আর হাতে শনিবার এবং রবিবার বিকেল অবধি প্রচারের সময়সীমা ধার্য রয়েছে, কাজেই শেষ লগ্নে লড়ে যাচ্ছে তিন দল। ধূপগুড়ির মতো প্রায় অনিয়মিত প্রকাশের বিধানসভায় এতো কোমর কষে ভোট প্রচার এর আগে বোধকরি হয় নি। আর হবেই বা না কেন, এই কেন্দ্রের ভোটের ফল তৃণমূল বিজেপি বা কংগ্রেস/সিপিএম জোটের উত্তরবঙ্গের ভবিষ্যৎ নির্ভর করছে।

প্রচারে সব থেকে এগিয়ে নিঃসন্দেহে বিজেপি। ওই এলাকার সমস্ত হোটেল বা গেস্ট হাউস দখল করে রেখে প্রচার চালাচ্ছে তারা বলে দাবি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। এই কেন্দ্রে জিততেই হবে বিজেপিকে কারণ বিগত বিধানসভা ভোটে জয় তাদেরই হয়েছিল। দেখা গেলো রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদা, শুভেন্দু অধিকারী, দিলীপ ঘোষ সহ প্রথম শ্রেণীর তাবড় তাবড় নেতারা মাটি কামড়ে পরে রয়েছেন ধুপগুড়িতে। কেন্দ্রের নাকি কড়া নির্দেশিকা রয়েছে গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব ভুলে এই কেন্দ্রে জয় আনতেই হবে নতুবা নাকি আসন্ন লোকসভায় এর প্রতিচ্ছবি দেখা যাবে। প্রায় প্রতিদিন সুকান্তবাবু ওখানে থাকাকালীন প্রচার এবং ভোটারদের সঙ্গে কথা চালাচ্ছেন।

প্রচারে পিছিয়ে নেই তৃণমূলও। রাজ্যের মন্ত্রী বিরবাহা হাঁসদা, যুব তৃণমূল সভাপতি সায়নী ঘোষ সহ উত্তরবঙ্গের বিভিন্ন নেতা ঘরে ঘরে গিয়ে প্রচার করছেন। জনসভা বা পথসভা তো আছেই। শনিবার প্রায় শেষ লগ্নে যাচ্ছেন সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। বালিগঞ্জ থেকে আসানসোল ইত্যাদি বিভিন্ন উপনির্বাচনে শেষ লগ্নে প্রচার করে অভিষেক বাজিমাত করেছিলেন। এবারেও তার ব্যতিক্রম নেই। 

ঘরে ঘরে প্রচার করছে সিপিএমের যুব কর্মী নেতারা। অবিশ্যি তাদের দলে সেলিম বা সুজন চক্রবর্তী ছাড়া তেমন প্রচারের বড় মুখ কোথায়? যদিও শুক্রবার অধীররঞ্জনকে নিয়ে বেশ বড়োসড়ো প্রচার করলো বাম/কং জোট। এই কেন্দ্রে একসময় সিপিএমের দাপট থাকলেও আজ সেই সংগঠন হারিয়েছে সিপিএম। এবারে বাস্তব হচ্ছে এই যে সিপিএম যদি ১০/১৫% ভোট বাক্সবন্দি করতে পারে তবে আখেরে সুবিধা হবে তাদের "ইন্ডিয়া" জোটসঙ্গী তৃণমূলের। মজার বিষয় সারা ভারতের রাজনৈতিক দলগুলির নজর কিন্তু এই কেন্দ্রে। ধূপগুড়ি বিখ্যাত হতে চলেছে।

3 weeks ago


Abhishek: অশ্লীল ভাষায় অভিষেককে আক্রমণ, দলে-বাইরে সমালোচনায় ভুল শুধরোলেন সেলিম

পতিতা মুছে যৌনকর্মী। তৃণমূল সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে সমালোচনা করতে গিয়ে নিজে সমালোচিত হয়েছিলেন সিপিএম রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম। একটি বিশেষ শব্দ ব্যবহার করে অভিষেকের আক্রমণ করার অভিযোগ উঠেছিল তাঁর বিরুদ্ধে। সেই প্রতিক্রিয়ায় সিপিএমের অন্দরেই তাঁকে সমালোচনা করা হয়। সোমবার এই ব্যাপারে ক্ষমা না চাইলেও, মঙ্গলবার ফেসবুক পোস্ট করে টুইটের ভুল শুধরে নেওয়ার দাবি করেছেন।

সম্প্রতি তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে আক্রমণ করতে গিয়ে সিপিএম রাজ্য সম্পাদক টুইটারে লিখেছিলেন, অসাধু সম্পদ রাখার করার জন্য ১৫ জন বিদেশি পতিতার অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করেছিলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। প্রস্টিটিউট এই শব্দটি ব্যবহার করেছিলেন তিনি। আর এখানে তীব্র আপত্তি জানানো হয়েছে মহিলা নেতৃত্বের একাংশ থেকে।

বামপন্থীরা পতিতা শব্দের ব্যবহার করে না। এমনকী বিশ্বাসও করে না। পার্টির মহিলা নেতৃত্বে একাংশের প্রবল সমালোচনা মুখে পড়তে হয় রাজ্য সম্পাদককে। সেই মহিলাদের সম্মানার্থে তাঁদের যৌনকর্মী বলা হয়। যার ইংরেজি সেক্স ওয়ার্কার। এই ঘটনার পরেই মঙ্গলবার ফেসবুকে মহম্মদ সেলিমের একটি পোস্ট দেখা যায়। তাতে একটি অংশে লেখা, ১৫ জন বিদেশি যৌনকর্মীর অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে টাকা পাচারে অভিযুক্ত। তবে এখানে কোনও নাম তিনি উল্লেখ করেননি।

a month ago
Buddhadeb: বুধবারই উডল্যান্ডস থেকে নিজের বাড়িতে ফিরতে পারেন প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব বাবু

সংক্রমণ মুক্ত হয়েছেন রাজ্যের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য। সব ঠিক থাকলে বুধবারেই হাসপাতাল থেকে পাম এভিনিউয়ের বাড়িতে ফিরতে পারেন বুদ্ধবাবু। তবে বাড়ি ফেরার পরেও বেশ কিছু বিধিনিষেধ মেনে চলতে হবে বর্ষীয়ান প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীকে। গত ২৯ জুলাই থেকে আলিপুরের উডল্যান্ড হাসপাতালে ভর্তি তিনি। বুদ্ধবাবু বাড়ি ফেরার আগে জীবাণুমুক্ত করা হবে তাঁর গোটা বাড়ি। অন্যদিকে আপাতত ক'দিন প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীকে খাওয়ানো হবে রাইলস টিউবের মাধ্যমেই। সোমবার মেডিকেল বোর্ডের বৈঠকে এমনই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

বাড়িতেও চিকিৎসকদের চোখে চোখে থাকবেন প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী।  বাড়ি ফেরার পর আগামী বেশ কয়েক সপ্তাহ তাঁকে দেখভাল করবে ‘হোম কেয়ার টিম’।বাইরে থেকে যেন কেউ তাঁর ঘরে না ঢোকেন সে বিষয়েও নজর রাখার নির্দেশ।  চলবে ‘সোয়ালো অ্যাসেসমেন্ট’। বাড়িতেই থাকবে অক্সিজেনের ব্যবস্থাও।

চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের শারীরিক অবস্থা আগের তুলনায় অনেক ভাল। সুস্থ হয়ে উঠছেন দ্রুত। তাই হাসপাতাল থেকে বর্ষীয়ান নেতাকে ছেড়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত প্রায় নিয়ে ফেলেছেন চিকিৎসকরা। সব ঠিক থাকলে ৯ অগাস্ট তাঁর পাম অ্যাভিনিউর বাড়িতে যেতে পারেন। তবে মঙ্গলবার আরও একটা বৈঠকে বসবে মেডিক্যাল বোর্ড। তারপরই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলে জানা গিয়েছে।

a month ago


keshpur : তৃণমূল কর্মীদের মারধরের অভিযোগ সিপিআইএমের বিরুদ্ধে, অভিযোগ অস্বীকার সিপিআইএমের

তৃণমূল কর্মীদের মারধরের অভিযোগ সিপিআইএমের বিরুদ্ধে। বৃহস্পতিবার সকালে  কেশপুরের (KESHPUR) চরকা এলাকার ঘটনা। পুলিস সূত্রে খবর এই  এখনও পর্যন্ত ৩ জন আহত। এ ঘটনায় তৃণমূলের পক্ষ থেকে সিপিআইএমের  বিরুদ্ধে কেশপুর থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।  ওই  লিখিত অভিযোগের ভিত্তিতে ঘটনার তদন্তে নেমেছে পুলিস।  যদিও এই অভিযোগ অস্বীকার করেছে সিপিআইএম। ঘটনায় এখনও অবধি কাউকেই গ্রেফতার করা হয়নি বলেই পুলিস  সূত্রের খবর। 

 স্থানীয় সূত্রে খবর, বৃহস্পতিবার সকালে স্থানীয় এক চায়ের দোকানে আড্ডা দিচ্ছিলেন কিছু তৃণমূল কর্মীরা। অভিযোগ সে সময় তাঁদের উপর হামলা করে সিপিআইএম কর্মীরা, অভিযোগ আগ্নেয়াস্ত্র ও লাঠি দিয়ে তৃণমূল কর্মীদের মারধর করা হয়। বেশ গুরুতর যখম অবস্থায় তিনজন তৃণমূল কর্মীকে মেদিনীপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। আক্রান্ত তৃণমূল কর্মীদের মধ্যে একজনের মাথায় গুরুত্বর আঘাত পেয়েছেন বলে হাসপাতাল সূত্রে খবর।  ইতিমধ্যেই ঘটনাস্থলে পৌঁছেছে পুলিশ। এই ঘটনার পর থেকে আতঙ্কিত এলাকাবাসী। যদিও স্থানীয়  সিপিআইএম নেতৃত্বের দাবি, এটা শাসকদলের গোষ্ঠী কোন্দল।

আহত তৃণমূল কর্মী সিম গাজেল জানিয়েছেন, তারা সকালে চায়ের দোকানে বসেছিলেন, এমন সময় সিপিআইএম কর্মীরা ওখানে এসে চড়াও হয়ে তাদের মারতে শুরু করে।  পাশাপাশি সিপিআইএমের রাজ্য কমিটির সদস্য তাপস সিংহ জানিয়েছেন,এই অভিযোগ সম্পূর্ণ ভুয়ো , এটি শাসক দলের গোষ্ঠী কোন্দল, এর সাথে সিপিআইএম বা বামফ্রন্টের কোনো যোগ নেই। গোটা ঘটনাটাই শাসক দলের অন্দরের ব্যাপার। পঞ্চায়েতের বোর্ডে কার গোষ্ঠী থাকবে সেই নিয়েই গোষ্ঠী কোন্দল শাসক দলের মধ্যে। সিপিআইএম এমন হিংসার রাজনীতিতে বিশ্বাস করেনা। এ ঘটনার পর এখনও চাঞ্চল্য কাটেনি এলাকায়। 

2 months ago
Condition: সংক্রমণ ও ক্রিয়েটিনিনের পরিমাণ বাড়লেও চিকিৎসায় সাড়া, স্থিতিশীল বুদ্ধ

নতুন করে শারীরিক অবস্থার অবনতি হয়নি প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের। এখনও ভেন্টিলেশনেই রাখা হয়েছে তাঁকে। পাশাপাশি স্যালাইনের মাধ্যমে কড়া ডোজের অ্যান্টিবায়োটিক দেওয়া হচ্ছে। এছাড়াও বুকের সিটি স্ক্যান করা হবে বলেও জানানো হয়েছে।

রবিবার দুপুরে আলিপুরের বেসরকারি হাসপাতালের তরফে একটি মেডিক্যাল বুলেটিন প্রকাশ করা হয়। সেখানে জানানো হয়েছে, বর্তমানে শারীরিক অবস্থা স্থিতিশীল রয়েছে। প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীর শ্বাসনালীর নিম্নাংশের সংক্রমণ এবং টাইপ ২ রেসপিরেটরি ফেলিওরের উপসর্গ রয়েছে।

ওই বুলেটিনে আরও জানানো হয়েছে, সংক্রমণ কাটাতে স্যালাইনের মাধ্যমে কড়া ডোজের অ্য়ান্টিবায়োটিক দেওয়া হচ্ছে। যার ফলে প্রভাবিত হচ্ছে কিডনি। রক্তে ক্রিয়েটিনিনের মাত্রা অনেকটাই বেড়ে গিয়েছে।

শনিবার বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যকে দেখতে হাসপাতালে গিয়েছিলেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস, বিজেপি রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার, বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। এছাড়াও রবিবার গিয়েছিলেন সুজন চক্রবর্তী, বিমান বসু সহ অনেকেই।

2 months ago
Budha Babu: আপনাকে জিততেই হবে বুদ্ধ বাবু

সৌমেন সুর: একটা সাদা ধুতি-পাঞ্জাবি পরিহিত মানুষ, যাকে দেখলে রাজ্যের সমস্ত বিরোধী দল তো বটেই, সাধারণ মানুষেরও মনে শ্রদ্ধার ভাব ফুটে ওঠে। তিনিই বুদ্ধ বাবু। আমাদের রাজ্যের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী। বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য অপাদমস্তক কমিউনিস্ট শ্রেণীর মানুষ হলেও, তিনি গোটা একজন সংস্কৃত প্রেমী মানুষ। কবি সুকান্ত ভট্টাচার্যের মতো একজন সুজ্জল সূর্য সমান মানুষ ছিলেন ওনার আত্মীয়।

আজ তিনি ফুসফুসের সংক্রমণ জাতীয় রোগ নিয়ে, শ্বাসকষ্টের কারণে অসুস্থ হয়ে উডল্যান্ডস নার্সিংহোমে ভর্তি হয়েছেন। বেসরকারি ওই নার্সিংহোম সূত্রের খবর, তাঁর শরীরে অক্সিজেন কমেছে। শ্বাসকষ্টের জন্য তাঁকে সিপ্যাপ সাপোর্টে রাখা হয়েছে। গত চারদিন ধরে তিনি জ্বরে আক্রান্ত ছিলেন বলেই জানা যায়। ৫ জন চিকিৎসকের মেডিকেল বোর্ড গঠন করে তাঁর চিকিৎসা শুরু হয়েছে।

বুদ্ধবাবু মুখ্যমন্ত্রী থাকাকালীন নানাবিধ গণ-আন্দোলনের একজন মোক্ষ শরীক ছিলেন। যেমন সুন্দর বক্তব্য রাখতেন, তেমনই সুন্দর সাহিত্য প্রেমিক মানুষ তিনি। সাহিত্যের অর্থ হল পারস্পরিক যোগ। একের সঙ্গে বহুর মিলন ঘটিয়ে সাহিত্য আত্মীয়তার সূত্র তৈরি করে। বুদ্ধদেব বাবু আমাদের আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিয়েছিলেন কিভাবে সাহিত্য মানুষের সঙ্গে সখ্যতা করতে পারে। তাঁর আবৃত্তি নাটক আজও মনের অনুরনণে বাজে। বুদ্ধদেব বাবু মাঠটা ভালো চিনতেন তাই মানুষের শান্তির জন্য অনেক আন্দোলন, অনেক চেষ্টা করেছিলেন। এখনও উনার মত স্বচ্ছ ভাব মূর্তির মানুষ এই সমাজে দ্বিতীয়টি পাওয়া দুষ্কর।

ইতিমধ্যেই তাঁর সুস্থতা কামনা করেছেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের কাছে ফোন করে তাঁর স্বাস্থ্যের খোঁজ নিয়েছেন বর্তমান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। পাশাপাশি তাঁর সুস্থতা কামনা করেছেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু ও বিজেপি রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার।

যে মানুষটা আজ অক্সিজেনের অভাবে উডল্যান্ডসের ৫০১ নম্বর বেডে শ্বাসকষ্টে ভুগছেন। বলাই বাহুল্য, সেই মানুষটাই একসময় রাজ্যের বিরোধীদল অর্থাৎ তৎকালীন বামফ্রন্ট দলের অক্সিজেন ছিলেন। এখনও তাঁর হাতে লেখা দলের উদ্দেশে বার্তাবহ একটি চিরকুট জমিয়ে দিতে পারে ব্রিগেডের মঞ্চ। কেবল সিপিআইএম বা বামফ্রন্ট নয়, তৃণমূল, বিজেপি সব দল এবং সাধারণ মানুষও নিশ্চয়ই চাইছেন বুদ্ধবাবু এ লড়াই জিতুক। ফের সুস্থ হয়ে চিরকুটে জমিয়ে দিক আরও একটা ব্রিগেড। গোটা রাজ্য, গোটা দেশের তরফে এটা যদি চিরকুট হয়, তবে এই চিরকুটে লেখা থাকবে, বুদ্ধ বাবু জিতবে, জিতবে ৫০১ নম্বর উডল্যান্ডসের বেড।'

2 months ago


TMC: গুলি লক্ষ্যভ্রষ্ট, কিন্তু তাতে রেহাই নেই, জয়ী তৃণমূল সদস্যকে কুপিয়ে খুনের অভিযোগ
ভোট পরবর্তী হিংসায় উত্তপ্ত মগরাহাট। প্রকাশ্যে কুপিয়ে খুন তৃণমূলের জয়ী পঞ্চায়েত সদস্যকে। নিহতের নাম মইমুর ঘরামি ওরফে ময়না( ৪০)। শনিবার সকালে এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে উত্তপ্ত দক্ষিণ ২৪ পরগনার মগরাহাট। জানা গিয়েছে, ওই ব্যক্তি মগরাহাটের অর্জুনপুরের বাসিন্দা। 
স্থানীয় সূত্রে খবর, মগরাহাটের ২ নম্বর ব্লকের অর্জুনপুরের পূর্বগ্রাম এলাকায় তাঁকে লক্ষ্য করে গুলি গুলি চালায় দুষ্কৃতীরা। গুলি লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়। এরপরই তাঁকে কোপানো হয়। মৃতের পরিবারে তরফে অভিযোগ, এই খুনের পিছনে সিপিআইএমের হাত আছে। বোর্ড গঠন করার জন্যই সিপিআইএম এই কাজ করেছে বলে অভিযোগ মৃতের ছেলের। 
মইমুরের সঙ্গে আক্রান্ত হন তাঁর সঙ্গী শাজাহান মোল্লাকেও। দুজনকেই মগরাহাট প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া হয়। পরিস্থিতির অবনতি হলে ডায়মন্ডহারবারের হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয় তাঁকে। সেখানেই মৃত্যু হয় তৃণমূলের পঞ্চায়েতের সদস্যের।
2 months ago
Selim: জাতীয় স্তরে সিপিআইএম-তৃণমূল এক ছাতার তলায় এলেও, রাজ্যে তৃণমূলই তাদের শত্রু: সেলিম

বেঙ্গালুরুতে যতই তৈরি হোক ইন্ডিয়া জোট, যতই একছাতার তলায় আসুক তৃণমূল-সিপিএম, রাজ্যস্তরে তৃণমূলই যে তাঁদের শত্রু, তা আরও একবার স্পষ্ট করে দিল আলিমুদ্দিন। সেইসঙ্গে তৃণমূল এবং বিজেপির মধ্যে 'সেটিং' তত্ত্বকে আরও একবার উসকে দিলেন সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম।

বুধবার সিপিএমের রাজ্য কমিটির দু’দিনের বৈঠক শেষ হয়ে‌ছে। তারপরেই সাংবাদিক বৈঠক করেন মহম্মদ সেলিম। সেখানেই তিনি বলেন, "বেঙ্গালুরুতে যে প্রস্তাব গৃহীত হয়েছে, তার স্তবক ধরে ধরে দেখিয়ে দেওয়া যাবে, দেশে বিজেপি যা যা করছে, বাংলায় তৃণমূল সেটাই করছে । পঞ্চায়েতে তৃণমূল ভোট লুট করেছে নিজেরা জেতার জন্য এবং বিজেপিকে দ্বিতীয় করার জন্য।"

তৃণমূলকে আক্রমণ করে তিনি আরও বলেন, '২১ জুলাই বিজেপির বিরুদ্ধে কথা বলেছে। এক সপ্তাহও হয়নি। আগে দেখো কী হয়। এর আগে এনআরসি, সিএএ, রাষ্ট্রপতি, উপরাষ্ট্রপতি ভোটে সরে দাঁড়িয়েছে তৃণমূল।'

2 months ago