আবারও খবরের শিরোনামে কলকাতা বিমানবন্দর। এবার সিআইএসএফ জওয়ানের সার্ভিস রাইফেল থেকে চলল গুলি। বিমানবন্দরের ৫ নম্বর গেটের কাছে ওয়াচ টাওয়ারে ঘটেছে ঘটনাটি। পুলিসের প্রাথমিক অনুমান, আত্মহত্যার উদ্দেশ্যেই নিজের সার্ভিস রাইফেল থেকে গুলি চালিয়েছেন কর্তব্যরত সিআইএসএফ জওয়ান। পরবর্তীতে বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল ওই জওয়ানকে। তবে শেষরক্ষা হল না। মৃত বলে ঘোষণা করেন চিকিৎসকরা। ঘটনাস্থলে যায় সিআইএসএফের উচ্চপদস্থ আধিকারিক ও বিমানবন্দর থানার পুলিস। গোটা বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। ঘটনার জেরে বিমানবন্দরজুড়ে ছড়িয়েছে চাঞ্চল্য।
জানা গিয়েছে, বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে পাঁচটা নাগাদ হঠাৎই বিমানবন্দর ৫ নম্বর গেটে গুলির আওয়াজ পাওয়া যায়। তাতেই কর্তব্যরত অন্যান্য সিআইএসএফ থেকে শুরু করে সকলে সতর্ক হয়ে যান। তারপর জানা যায় ৫ নম্বর গেটের যে টাওয়ার, সেখান থেকেই গুলির আওয়াজ এসেছে। এরপর অন্যান্য কর্মীরা টাওয়ারের উপর ওঠেন। ততক্ষণে লুটিয়ে পড়েছেন ওই সিআইএসএফ কর্মী। নিজের এসএলআর রাইফেল থেকে নিজেকেই গুলি চালিয়ে আত্মঘাতী হয়েছেন সিআইএসএফ জওয়ান।
পুলিস সূত্রে খবর, কী কারণে আত্মহত্যা করেছেন তা খতিয়ে দেখছে পুলিস। ২০২২ থেকে সিআইএসএফ-এ কর্মরত ছিলেন ওই জওয়ান।
বিরোধী শিবিরের সভা-অনুষ্ঠানে শাসকদলের বাধা এই রাজ্যে নতুন কিছু নয়। এবারও হয়নি তার অন্যথা। হলদিয়ায় বিপ্লবীর সতীশ সামন্তের জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষ্যে আয়োজিত সভাতেও বাধা শাসকদলের কর্মী সদস্যের।সভায় থাকবেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীও। পুলিস সেই সভার অনুমতি দিয়েছে। আবার ওই সভায় ঢোকার মূল ফটকের বাইরে তৃণমূলকে ধরনা করারও অনুমতি দিয়েছিল পুলিস। এমনকি বিজেপির ফ্ল্যাগ, ফেস্টুন ছিঁড়ে দিয়েছে বলেও তাদের বিরুদ্ধে উঠেছিল অভিযোগ।সভাকে কেন্দ্র করে তৈরি জটিলতা সম্পর্কিত সেই মামলায় শুক্রবার বিরোধী দলনেতাকে সভা করার অনুমতি দিল উচ্চ আদালত। আদালতের নির্দেশ মাফিক সভাস্থলে মোতায়েন থাকবে পুলিস। বিরোধী দলনেতার নিরাপত্তা দায়িত্বে থাকবে সিআইএসএফ। বিচারপতি জয় সেনগুপ্ত উপস্থিত না থাকায় বিচারপতি রাজা শেখর মান্থার এজলাসেই হল এই মামলার শুনানি।
মূলত হলদিয়া হেলিপ্যাড গ্রাউন্ডে আয়োজিত এই সভার আগেই অনুমতি দিয়েছিল পুলিস। হলদিয়া বন্দর এলাকায় রয়েছে এই সভাস্থল। শহীদ স্মরণে আয়োজিত সভা প্রতিবছরই হয়। এবছরও অনুষ্ঠিত হবে। মামলার শুনানি চলাকালীন এমনটাই জানান, আবেদনকারী আইনজীবী রাজদীপ মজুমদার। অন্যদিকে রাজ্যের আইনজীবীর দাবি, সভায় যেমন পুলিসি অনুমতি আছে ঠিক তেমনই অনুমতি আছে তৃণমূলের ধরনা কর্মসূচিতেও। তবে পরিস্থিতি বিচার বিশ্লেষণ করে নিরাপত্তা দেবে পুলিস। বিরোধী দলনেতার নিরাপত্তায় থাকবে সিআইএসএফ।
ধরণা, সভা উভয়ই মানুষেরর গণতান্ত্রিক অধিকার। সেখানে হস্তক্ষেপ করতে পারে না আদালত।তবে পুলিসের ভূমিকায় খুশি বিচারপতি মান্থা। এতদিনে পুলিস বিরোধীদেরও সাহায্য করছে বলেও মন্তব্য বিচারপতির। আদালতের নির্দেশে হলদিয়া বন্দর এলাকায় বিজেপির এই সভায় শান্তি বজায় থাকে কিনা এখন সেটাই দেখার।
কয়লা পাচারকাণ্ডে (Coal Smuggling) ২ অভিযুক্তকে বৃহস্পতিবার গ্রেফতার করে সিবিআই (CBI)। শুক্রবার তাঁদের আদালতে তোলা হলে আদালত তাঁদের ৪ দিনের সিবিআই হেফাজতের নির্দেশ দেয়।
কয়লা পাচার কাণ্ডে গ্রেফতার হওয়া ইসিএলের প্রাক্তন ডিরেক্টর টেকনিক্যাল অপারেশন সুনীল কুমার ঝাঁ ও সিআইএসএফ ইন্সপেক্টর আনন্দ কুমার সিং-কে হেফাজতে নেওয়ার পর ধৃতদের জিজ্ঞাসাবাদ করে কয়লা পাচার নিয়ে একাধিক তথ্য উঠে আসবে বলে মনে করছেন সিবিআই আধিকারিকরা। আগামী ১৬ মে এই মামলার পরবর্তী শুনানি রয়েছে। অন্যদিকে, সিবিআই এদিন হেফাজতে পায় বিনয় মিশ্রকেও। চারদিনের সিবিআই হেফাজত দেওয়া হয়েছে বিনয় মিশ্রকে।
কয়লা পাচার কাণ্ডে অভিযুক্ত অনুপ মাঝি ওরফে লালার সঙ্গে ধৃত ইসিএলের প্রাক্তন কর্তা ও সিআইএসএফ ইন্সপেক্টরের আর্থিক লেনদেন ছিল বলে সিবিআইয়ের তদন্তে উঠে এসেছে। বৃহস্পতিবার ধৃত দু’জনকেই ম্যারাথন জিজ্ঞাসাবাদ করে সিবিআই আধিকারিকরা। এরপরেই তাদের গ্রেফতার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। কয়লা পাচার কাণ্ডে তদন্ত চলাকালীন এই প্রথম কোনও সিআইএসএফ কর্তাকে গ্রেফতার করা হল।
মৃত বিজেপির (BJP) বুথ সভাপতির বাড়িতে কেন্দ্রীয় সুরক্ষা বাহিনী (CISF)। আদালত পূর্বেই মৃত বিজয়কৃষ্ণের (BijayKrishna) বাড়িতে কেন্দ্রীয় নিরাপত্তা দেওয়ার নির্দেশ দেয়। আজ অর্থাৎ বৃহস্পতিবার থেকে বিজয়কৃষ্ণ ভূঁইয়ার বাড়িতে সিআইএসএফ নিরাপত্তা রক্ষীদের মোতায়েন করা হয়।
সম্প্রতি পূর্ব মেদিনীপুরের ময়নায় বিজেপির বুথ সভাপতি বিজয়কৃষ্ণ ভূঁইয়া খুন হয়। অভিযোগ ওঠে তৃণমূলের বিরুদ্ধে। তৃণমূলের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলে, দোষীদের শাস্তির দাবিতে বনধ ও প্রতিবাদ করে বিজেপি। এই জল গড়ায় আদালতে। আদালতে পরিবারের দাবিতে মৃত ওই ব্যক্তির পুনরায় ময়নাতদন্তের নির্দেশ দেয় আদালত। সেইমতো ময়নাতদন্ত হয়।
জল গড়ায় অনেক দূর। এ ঘটনায় বিজেপির তরফে ও মৃত বিজেপি কর্মীর ছেলে সিবিআই তদন্তের দাবি করে। পাশাপাশি এই ঘটনায় পরিবারের তরফে ৩৪ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করা হয়। ঘটনার তদন্তে নেমে ৭ জনকে গ্রেফতার করে পুলিস, তাঁদের মধ্যে ৪ জন তৃণমূল কর্মী।
কলকাতা বিমানবন্দরে (Kolkata Airport) বৈদেশিক মুদ্রা-সহ আটক তিন। মঙ্গলবার সকালে শফিকুল ইসলাম নামে এক ব্যক্তি কলকাতা থেকে বাংলাদেশের উদ্দেশে বিমান বাংলাদেশের বিমানে যাচ্ছিলেন। কলকাতা বিমানবন্দরে লাগেজ চেকিংয়ের সময় CISF আধিকারিকরা তাঁর ব্যাগের ভিতর সন্দেহজনক কিছু দেখতে পান। তাঁকে আটক করে ব্যাগ তল্লাশি করা হলে, ব্যাগ থেকে উদ্ধার হয়েছে প্রায় ৩০ হাজার ইউএস ডলার (US Dollar)। এরপরেই তাঁকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করে আরও দুই ব্যক্তির হদিশ পান CISF আধিকারিকরা।
একজন মোল্লা মহম্মদ নাসিরউদ্দিন, অপরজন মহম্মদ ফিরোজ আলম, এঁরা তিন জনেই বাংলাদেশী। যে দু'জন পরে গ্রেপ্তার হয়েছে, তাঁদের মধ্যে মোল্লা মহম্মদ নাসিরউদ্দিনের থেকে ১৯ হাজার কানাডিয়ান ডলার উদ্ধার হয়েছে। যা তার জ্যাকেটের ভিতরের পকেটে ছিল। অপরজন মহম্মদ ফিরোজ আলম, তাঁর কাছ থেকে ৩৫ হাজার ইউএস ডলার উদ্ধার হয়। এরপরই সিআইএসএফের পক্ষ থেকে তিন জনকে তুলে দেওয়া হয় এয়ারপোর্ট শুল্ক দফতরের হাতে। ইতিমধ্যেই তিনজনকে আটক করে শুল্ক দফতর জিজ্ঞাসাবাদ করছে।
এই বিপুল পরিমাণ বৈদেশিক মুদ্রা, যার মূল্য ভারতীয় মুদ্রায় প্রায় ৬৬ লক্ষ টাকা, কী কারণে তারা নিয়ে যাচ্ছিল সেটাই জানতে চাইছে শুল্ক দফতরের আধিকারিকরা।
কলকাতা বিমানবন্দরে (Kolkata Airport) হ্যান্ড ব্যাগেজের মধ্যে ৪ রাউন্ড গুলি-সহ ধৃত এক। কলকাতা বিমানবন্দরে সিকিউরিটি চেকিংয়ের সময় সিআইএসএফ-র (CISF) কাছে ধরা পড়ে ওই ব্যক্তি। জিজ্ঞাসাবাদে বৈধ কাগজ দাখিল করতে না পারায় পরবর্তীতে ওই ব্যক্তিকে এনএসসিবিআই থানার পুলিসের হাতে তুলে দেওয়া হয়। ধৃতকে শনিবার ব্যারাকপুর আদালতে পেশ করা হয়েছে।
জানা গিয়েছে, ধৃত ব্যক্তির নাম মহম্মদ গালিব। বিহার থেকে থেকে মায়ের সঙ্গে কলকাতায় এসেছিল ধৃত গালিব। শুক্রবার সন্ধ্যায় এয়ার এশিয়ার বিমানে বেঙ্গালুরু যাওয়ার জন্য কলকাতা বিমানবন্দরে পৌঁছয় তাঁরা।
বিমানবন্দর সূত্রে খবর, শুক্রবার সন্ধ্যায় এয়ার এশিয়ার বিমানে বেঙ্গালুরু যাওয়ার জন্য কলকাতা বিমানবন্দরে এসেছিল ধৃত। বিমানবন্দরের এক্স-রে মেশিনে লাগেজ চেকিংয়ের সময় কর্তব্যরত সিআইএসএফ জওয়ান হ্যান্ডব্যাগের মধ্যে ৭.৫৬ ক্যালিবারের কার্তুজ দেখতে পায়। এরপরেই সিআইএসএফ-র পক্ষ থেকে তাঁদের আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। জিজ্ঞাসাবাদে বৈধ কাগজ দাখিল করতে না পারায় পরবর্তীতে তাদেরকে এনএসসিবিআই থানার পুলিসের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে।
পুলিসের জিজ্ঞাসাবাদেও সঠিক উত্তর দিতে না পারায় মহম্মদ গালিবকে গ্রেফতার করে পুলিস।
কলকাতা মিউজিয়ামে (Indian Museum) শুটআউট-কাণ্ডে অভিযুক্ত অক্ষয় কুমার মিশ্রের আগামী ৩সেপ্টেম্বর পর্যন্ত জেল হেফাজত। রবিবার এই নির্দেশ দিল নগর দায়রা আদালত। গত ৬-ই অগাস্ট সন্ধ্যায় ভারতীয় জাদুঘরে সিআইএসএফের (CISF) জওয়ান অক্ষয় মিশ্রের এলোপাথাড়ি গুলিতে (Shootout) মৃত্যু হয়েছিল রঞ্জিত সারেঙ্গির। আহত হয়েছিলেন সুবীর ঘোষ নামে এক জওয়ান। সেদিনই জাদুঘরের সিআইএসএফ ব্যারাক থেকে গ্রেফতার করা হয়েছিল অভিযুক্তকে।
তাঁকে গ্রেফতার করে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল নিউ মার্কেট থানায়। সারারাত জিজ্ঞাসাবাদের পর তাঁকে তোলা হয়েছিল নগর দায়রা আদালতে। ১৪ দিনের পুলিস হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছিল আদালত। এদিকে, জাদুঘরে সিআইএসএফ জওয়ানের তাণ্ডবের ঘটনায় উঠে এসেছে একের পর এক চাঞ্চল্যকর তথ্য। জানা গিয়েছে, পুলিসি জেরায় অভিযুক্ত জওয়ান দাবি করেন যে তাঁর বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করা হচ্ছিল। এই আবহে তিনি আত্মহত্যা করবেন বলেও স্থির করেছিলেন।
পুলিস সূত্রে খবর, সিআইএসএফ-র হেড কনস্টেবল অক্ষয় কুমার মিশ্রর মূলত ক্ষোভ ছিল তাঁর পোস্টিং নিয়ে। অক্ষয় কুমার মিশ্রর পোস্টিং হয়েছিল কাশ্মীরে। বাবার মৃত্যুর পর তাঁকে আচমকাই পোস্টিং দেওয়া হয় কলকাতার এই ভারতীয় জাদুঘরে। সেখানে মূলত অস্ত্র ভান্ডার দেখভালের দায়িত্ব ছিল অক্ষয় কুমার মিশ্রের উপর। বারবার বলা সত্বেও এই পোস্টিং চেঞ্জ করা হয়নি। একাধিকবার তাঁকে ডিউটির সময় ঠাট্টার শিকার হতে হয়। ক্লান্ত সময় চোখ বুজে এলে সেই ছবি তুলে রেখে মানসিকভাবে অত্যাচার করা হত, এমনটাই জানিয়েছেন অক্ষয় মিশ্র। তবে টার্গেট শুধু সুবীর ঘোষ ছিলেন না। ছিলেন আরও দুজন। টার্গেটে ছিলেন কনস্টেবল সোমনাথ দত্ত, অ্যাসিস্ট্যান্ট সাব-ইন্সপেক্টর রঞ্জিত সারেঙ্গিও।