মধ্যরাতে সিপিআইএমের প্রাক্তন প্রধানের বাড়িতে দুষ্কৃতী হামলা। সিসিটিভি ফুটেজে ধরা পড়লো ঘটনার বৃত্তান্ত। চাঞ্চল্য দুর্গাপুরের কাঁকসা অঞ্চলের পানাগড় এলাকায়। পুলিসের ভূমিকা নিয়ে উঠছে প্রশ্ন।
রাত তখন ২ টো বেজে ৭ মিনিট। হঠাৎই বাড়ির ভারী লোহার গেট ভাঙার শব্দে ঘুম ভাঙলো সিপিআইএম নেতা তথা কাঁকসা পঞ্চায়েতের প্রাক্তন প্রধান সহ পরিবারের সদস্যদের। এরপর ফের রাত ২ টো বেজে ১৫ মিনিটে দ্বিতীয় দরজা ভাঙার চেষ্টা করে দুষ্কৃতীরা। শনিবার গভীর রাতের এই ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়ায় দুর্গাপুরের কাঁকসা অঞ্চলের পানাগড় এলাকায়।
জানা গিয়েছে, কাঁকসার গুরুদ্বারা রোডে মধ্যরাতে সিপিআইএম নেতা তথা কাঁকসা পঞ্চায়েতের প্রাক্তন প্রধানের বাড়িতে ঢোকে দুষ্কৃতীরা। দরজা ভেঙে ওপরে উঠে আরও একটি দরজা ভাঙার চেষ্টা করলে পরিবারের সদস্যদের চিৎকার চেঁচামেচিতে চম্পট দেয় দুষ্কৃতীরা। প্রায় দশ মিনিট ধরে এই তাণ্ডব চলে যদিও কিছু নিতে পারেনি দুষ্কৃতী দল। কিন্তু সশস্ত্র এই দুষ্কৃতী দল কি কারণে এসেছিলো? তা নিয়ে ধন্দে পরিবারের সদস্যরা।
সম্ভবত খুনের উদ্দেশেই ৯ জন দুষ্কৃতী তাঁর বাড়িতে তাণ্ডব চালায় বলে অভিযোগ করেন সিপিআইএম নেতা তথা কাঁকসা পঞ্চায়েতের প্রাক্তন প্রধান ওমপ্রকাশ আগরওয়াল।
দুষ্কৃতী তাণ্ডবের এই ঘটনার সিসিটিভি ফুটেজ সামনে আসায় তোলপাড় কাঁকসা অঞ্চল জুড়ে। গোটা ঘটনায় আতঙ্কে পানাগড় চেম্বার অফ কমার্সের চিফ অ্যাডভাইজার সহ বাম নেতারা।
প্রকাশ্য দিবালোকে শুটআউট (Shoot Out)। পেট্রোল পাম্পের এক মহিলা কর্মীকে লক্ষ্য করে গুলি চালানোর অভিযোগ উঠল এক যুবকের বিরুদ্ধে। ঘটনাটি ঘটেছে আসানসোলের (Asansol) সালানপুর থানার (Salanpur Police Station) অন্তর্গত জেমারী এলাকায়। ঘটনায় ব্যাপক আতঙ্ক ছড়িয়েছে এলাকায়। ঘটনাস্থলে বিশাল পুলিস বাহিনী। ইতিমধ্যে ভাইরাল ঘটনার সিসিটিভি ফুটেজ।
যদিও ভাগ্যক্রমে বেঁচে যান ওই মহিলা কর্মী মঞ্জু মারান্ডি। তিনি জানান, একটি স্কুটি করে তিন যুবক তেল ভরতে এসেছিল। ৫৫ টাকার তেল ভরে গাড়িতে। তারপর তাঁর চুলের মুঠি ধরে টেনে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। আর তাঁকে লক্ষ্য করে গুলি চালায়। কিন্তু মিস ফায়ার হয়ে যায়। এরপর মহিলা কর্মী সহ পেট্রোল পাম্পের কর্মীরা ছুটে পালাতে শুরু করে। অপরদিকে স্কুটিতে আসা ওই তিনজনও পালিয়ে যায়। তবে পালানোর আগে আরও একবার গুলি করে জানান মঞ্জু।
ঘটনার খবর পেয়েই ছুটে আসে সালানপুর থানার বিশাল পুলিস বাহিনী। খতিয়ে দেখা হচ্ছে সিসিটিভি ফুটেজ।
সিসিটিভির সূত্র ধরে সোনারপুরে (Sonarpur) বাইক চুরি (Bike Theft) চক্রের হদিশ পেল সোনারপুর থানার পুলিস। ঘটনায় ইতিমধ্যে দু'জনকে গ্রেফতার (Arrest) করা হয়েছে। তাদেরকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। পুলিস সূত্রে খবর, তাদের কাছ থেকে উদ্ধার হয়েছে একটি বাইক। ধৃতরা বাইক চুরি চক্রের সঙ্গে জড়িত থাকতে পারে বলে অনুমান পুলিসের। বৃহস্পতিবার ধৃতদের আদালতে তোলা হলে তাদের জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নিজেদের হেফাজতে নেওয়ার আবেদন জানানো হবে বলে সোনারপুর থানার পুলিস জানিয়েছে।
সোনারপুর থানা এলাকার হরিনাভীর বাসিন্দা বিধান দেবনাথ। তিনি একজন ব্যবসায়ী। তাঁর দোকানের সামনে রাখা বাইক চুরি হয়ে যায়। ঘটনায় সোনারপুর থানায় অভিযোগ দায়ের করেন তিনি। বিষয়টি সিসিটিভি ক্যামেরাতে ধরাও পড়ে। তিনি চোরকে চিনহিত করতে পারেন। এরপর রাতে দোকান বন্ধ করার পর সেই চোরকে রাস্তায় ঘুরতে দেখে বুধবার পাকড়াও করে থানায় খবর দেন। এরপর পুলিস এসে তাকে তুলে নিয়ে চলে যায়। জানা গিয়েছে, ধৃত ওই ব্যক্তির নাম শানু দেবনাথ। তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করে রাতে বিষ্ণুপুর থানা এলাকা থেকে মিলন মাঝি নামে আরও একজনকে গ্রেফতার করা হয়।
বারুইপুর পুলিস জেলার ডিএসপি মোহিত মোল্লা জানান, পুলিস ধৃতদের জিজ্ঞাসাবাদ করছে। এই ঘটনায় আর কেউ জড়িত আছে কিনা তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে জানান তিনি।
সিসিক্যামেরা (CCTV Camera) বসানোর প্রক্রিয়া শুরু হল যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে (Jadavpur University)। ইতিমধ্যে একাধিক স্ট্র্যাটেজিক পয়েন্ট চিহ্নিত করা হয়েছে। সেখানেই সিসিটিভি ক্যামেরা লাগানো হবে বলে জানিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের নয়া অস্থায়ী উপাচার্য বুদ্ধদেব সাউ।
এবিষয়ে বুদ্ধদেববাবু জানিয়েছেন, মেইন হস্টেল এবং অন্য হস্টেলেও সিসিটিভি ক্যামেরা লাগানো হবে। তার জন্য একাধিক পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। ওয়েবেল-এর সহায়তায় পুরো কাজটি করা হবে বলে জানা গিয়েছে। তবে বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরে সিসিটিভি ক্যামেরা বসানোর বিষয়টি এক্সিকিউটিভ কাউন্সিলের বৈঠকের পরেই সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
ইউজিসির-র নিয়ম অনুযায়ী প্রতিটি বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরে সিসিটিভি ক্যামেরা বসানো বাধ্যতামূলক। কিন্তু বহু চেষ্টা করেও যাদবপুরে সিসি ক্যামেরা লাগানো সম্ভব হয়নি। মঙ্গলবারও কলেজ কর্তৃপক্ষের সঙ্গে বৈঠক করে ছাত্র সংগঠনগুলি। সূত্রের খবর, সেখানে সিসি ক্যামেরা-বসানোর বিষয়টি কোনও ভাবেই মেনে নেবেনা ছাত্র সংগঠনগুলি।
ছাত্র মৃত্যুর ঘটনার পর কলেজ কর্তৃপক্ষকে একাধিক প্রশ্নের সম্মুখীন হতে হয়। তার মধ্যে যেমন ছিল বহিরাগত পড়ুয়াদের বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে আনাগোনা তেমনই ছিল সিসি ক্যামেরা না বসানোর বিষয়টি। তারপরেই কর্তৃপক্ষের তরফে দ্রুত সেই সমস্যা সমাধানে উদ্যোগী হয়।
রবিবার ভোর রাতে যোধপুরের (Jodhpur Park) এক ক্যাফেতে দুঃসাহসিক চুরি (Theft in Cafe)। সিসিটিভি ক্যামেরায় (CCTV Camera) গোটা পড়েছে গোটা কীর্তি। লেক থানায় অভিযোগ দায়ের ক্যাফে মালিকে। জানা গিয়েছে, ওয়াশরুম হয়ে কিচেন দিয়ে ঢুকে ক্যাশ কাউন্টারে প্রবেশ করে সেই চোর (Thief)। এমনকি, সেই সময় ক্যাফেতেই ঘুমোচ্ছিলেন চার কর্মী। সেই তোয়াক্কা না করে ক্যাশ কাউন্টার ভেঙে নগদ প্রায় ২ লক্ষ টাকা নিয়ে চম্পট দেয় অভিযুক্ত।
ক্যাফে মালিকের দাবি, যেহেতু অভিযুক্ত মাস্ক পরে ছিল, তাই তাকে চিহ্নিত করা যায়নি। তবে ক্যাফে সম্বন্ধে পড়াশোনা করেই সে চুরি করতে ঢুকেছিল। পরিচিত কেউ না হলে এভাবে ঢোকা-বেরনোর রাস্তা সম্বন্ধে অবগত থাকা সম্ভব নয়।
তিনি জানান, পুলিস এসে সিসিটিভি চেক করে ফুটেজ নিয়ে গিয়েছে। অভিযোগও লিখে নিয়েছে। চুরির সময়ে সিসিটিভি ফুটেজে দেখা গিয়েছে অভিযুক্তর বেশভূষা সম্পন্ন। তবে পরিকল্পনা করেই এই কাণ্ড ঘটিয়েছে।