Breaking News
Abhishek Banerjee: বিজেপি নেত্রীকে নিয়ে ‘আপত্তিকর’ মন্তব্যের অভিযোগ, প্রশাসনিক পদক্ষেপের দাবি জাতীয় মহিলা কমিশনের      Convocation: যাদবপুরের পর এবার রাষ্ট্রীয় বিশ্ববিদ্যালয়, সমাবর্তনে স্থগিতাদেশ রাজভবনের      Sandeshkhali: স্ত্রীকে কাঁদতে দেখে কান্নায় ভেঙে পড়লেন 'সন্দেশখালির বাঘ'...      High Court: নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় প্রায় ২৬ হাজার চাকরি বাতিল, সুদ সহ বেতন ফেরতের নির্দেশ হাইকোর্টের      Sandeshkhali: সন্দেশখালিতে জমি দখল তদন্তে সক্রিয় সিবিআই, বয়ান রেকর্ড অভিযোগকারীদের      CBI: শাহজাহান বাহিনীর বিরুদ্ধে জমি দখলের অভিযোগ! তদন্তে সিবিআই      Vote: জীবিত অথচ ভোটার তালিকায় মৃত! ভোটাধিকার থেকে বঞ্চিত ধূপগুড়ির ১২ জন ভোটার      ED: মিলে গেল কালীঘাটের কাকুর কণ্ঠস্বর, শ্রীঘই হাইকোর্টে রিপোর্ট পেশ ইডির      Ram Navami: রামনবমীর আনন্দে মেতেছে অযোধ্যা, রামলালার কপালে প্রথম সূর্যতিলক      Train: দমদমে ২১ দিনের ট্রাফিক ব্লক, বাতিল একগুচ্ছ ট্রেন, প্রভাবিত কোন কোন রুট?     

ByePoll

Sagardighi: সাগরদিঘিতে ভোট কমল কেন, প্রশ্ন মমতার

প্রসূন গুপ্ত: সাগরদিঘির ভোটের (Sagardighi Bye Poll) ফল দেখে ক্ষুব্ধ মুখ্যমন্ত্রী। ভোটের ফলের পর মেজাজও ঠিক ছিল না তাঁর। মহাজোট নিয়ে ব্যক্ত করেন তাঁর বক্তব্য এবং অধীর চৌধুরীকে (Adhir Chowdhury) আক্রমণ করেন তিনি। এরপর থেকেই শুরু নানা বিতর্ক। প্রথমত কংগ্রেসের নেতা এবং মুখপাত্র কৌস্তভ বাগচী মমতার ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে আক্রমণ করে গ্রেফতার হয়েছিলেন। গ্রেফতারির দিনেই ছাড়া পেয়ে তিনি মাথা মুড়িয়ে প্রতিজ্ঞা করেন মমতা সরকারকে (Mamata Government) উৎখাত না করা পর্যন্ত তিনি মাথায় চুল গজাতে দেবেন না।

অর্থাৎ রাজ্য রাজনীতিতে নাটক তুঙ্গে। এরপরই ক্ষুব্ধ মুখ্যমন্ত্রী, মন্ত্রিসভার বৈঠকে সরাসরি সহকর্মীদের প্রশ্ন করেন যে, সাগরদিঘিতে সংখ্যালঘু ভোট কমল কেন? তাতে অনেকেই অনেক উত্তর দেন। কেউ বলেন, প্রার্থী পছন্দ হয়নি এলাকার মানুষের। এই উত্তরে মোটেই খুশি হননি মুখ্যমন্ত্রী। তিনি দলের সংখ্যালঘু মন্ত্রীদের নির্দেশ দেন, যে সংখ্যালঘু এলাকাগুলিতে গিয়ে সঠিক তথ্য নিয়ে আসতে।

মমতা কেন বাংলার সব রাজনৈতিক দলই জানে বর্তমানে পশ্চিমবঙ্গে সংখ্যালঘু ভোট প্রায় ৩২% কাজেই এই ভোটকে অগ্রাহ্য করা যায় না। একসময়ে বামেরা এই ভোটের সিংহভাগ পেত। এরপর নন্দীগ্রাম-কাণ্ডের পর এই ভোট ক্রমশই তৃণমূলে চলে যায়। ২০১৯-এর লোকসভা নির্বাচনে তৃণমূল বহু আসন বিজেপির কাছে হারায়। কিন্তু দেখা গিয়েছে, যেখানে মুসলিম ভোট সেখানেই তৃণমূল জিতেছে।

মোদী ঝড়ে এই নির্বাচনে দক্ষিণ ভারত ছাড়া এক বাংলার বিজেপির থেকে তৃণমূল ৪টি আসন বেশি পেয়েছিলো। ২১-এর নির্বাচনে একবগ্গা মুসলিম ভোট পেয়েছিলো মমতা। কাজেই তিনি সাগরদিঘির ফলাফলে ক্ষুব্ধ হবেন তাতে আর আশ্চর্যের কী আছে। তিনি জানেন ফের নন্দীগ্রাম ফর্মুলা যদি ফের পশ্চিমবঙ্গে সাগরদিঘির রূপ নিয়ে আসে তবে সর্বনাশ অনিবার্য। কাজেই তৃণমূল সুপ্রিমো যেভাবেই হোক সংখ্যালঘু ভোট ফিরে পেতে মরিয়া।

আগামী পঞ্চায়েত ভোটের আগে তাই ড্যামেজ কন্ট্রোলে নামিয়েছেন নেতাদের এবং পাক্কা খবরের অপেক্ষায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

one year ago
TMC: কেন সাগরদিঘিতে তৃণমূলের পরাজয়

প্রসূন গুপ্ত: একুশের ভোটে ৫০ হাজারে জেতা আসনে পরাজিত তৃণমূল। ক্ষমতায় থাকা তৃণমূল কেন পারলো না সাগরদিঘি ধরে রাখতে? কেনই বা কংগ্রেসের বাইরন বিশ্বাস জিতলো? এই আসনে বাম সমর্থিত কংগ্রেস প্রার্থী জিতবে, তা আগেই পরম দর্পে প্রকাশ করেছিলেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরী। সিএন পোর্টালের বিশ্লেষণে কী উঠে আসে, তাই ব্যক্ত করি।

১) সাম্প্রতিক ঘটে যাওয়া শিক্ষাক্ষেত্রের কেলেঙ্কারি কিন্তু কিছুটা ছাপ নিশ্চিত ফেলেছে কিন্তু এই ইস্যুর উপর ভোট হয়নি।

২) সাগরদিঘি মুলসিম অধ্যুষিত বিধানসভা। ৬৮ শতাংশ সংখ্যালঘুর বাস। কংগ্রেসের গড় ছিল একসময়। কিন্তু এখন থেকে সুব্রত বিশ্বাসের জেতার কারণ তিনি ছিলেন মুসলিমদের "মসীহা"। 

৩) কংগ্রেস এখানে প্রার্থী করে একেবারে নতুন মুখ ব্যবসায়ী বাইরন বিশ্বাসকে।  অন্যদিকে তৃণমূল প্রার্থী দেবাশীষ বন্দ্যোপাধ্যায় কিন্তু এলাকায় তেমন জনপ্রিয় ছিলেন না।

৪) অন্যদিকে বিজেপি এখানে জিততো না কোনওসময়েই। কাজেই ব্যবসায়ী দিলীপ সাহাকে প্রার্থী করে পদ্ম শিবির।

৫) প্রচারের মূল দায়িত্বে ছিল কংগ্রেসের জোট সঙ্গী সিপিএম। রেজিমেন্টেড দল সিপিএম। কাজেই তারা জানে কোথায় কোন তাস খেলতে হয়। এলাকায় এলাকায় তারা প্রচার করেছে। গুঞ্জন প্রচারে তারা বলেছে, তৃণমূল-বিজেপির মধ্যে একটা সমঝোতা আছে। জনতা দেখুক ত্রিপুরায় তৃণমূল প্রার্থী দিয়েছে শুধুমাত্র বিজেপিকে জেতানোর জন্য। দ্বিতীয় তাস পড়েছে এই যে, সংখ্যালঘু এলাকায় কেন এক ব্রাহ্মণকে প্রার্থী করা হলো? তৃতীয় তাস মমতা আজকাল আর গরিবের দুঃখ বোঝে না, নেতারা বিশাল বড়োলোক অতএব এদের ভোট নয়। এই প্রচার কিন্তু সুনামির মতো ছড়িয়ে গিয়েছিল।

৬) বিজেপি নেতা শুভেন্দু অধিকারী পরিষ্কার প্রচারে বলেছিলেন, সনাতনী ভোট বিজেপিতে পড়ুক এবং সংখ্যালঘু ভোটার জন্য অন্য ব্যবস্থা আছে। প্রশ্ন সেই অন্য ব্যাপারটি কী? দিন শেষে দেখা গেলে সংখ্যালঘু ভোটের ৬০ শতাংশ পড়েছে কংগ্রেসের বাক্সে এবং ৩৪ শতাংশ অন্য ভোটের প্রায় ২৫ হাজার ভোট বিজেপিতে পড়েনি, যা কিনা গত ২০২১ এর নির্বাচনে পড়েছিল। এই প্রক্রিয়া অনুসরণ করে তৃণমূলকে সাগরদিঘিতে পরাজিত করেছে। 


one year ago
Bye Poll:'মমতাকে পরাজিত করা সম্ভব', দাবি অধীরের! মুখ্যমন্ত্রীর 'অনৈতিক জোট',খোঁচা

মানুষ জোটকে ভরসা করে ভয় কাটিয়ে ভোট দিয়েছে। প্রমাণ হয়েছে বাংলায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় অপরাজেয় নয়। তাঁকে পরাজিত করা সম্ভব। আমাদের জয়ের অঙ্ক বিশাল। সাগরদিঘি উপনির্বাচনের ফল বিশ্লেষণে এই মন্তব্য করেন কংগ্রেস সাংসদ অধীর চৌধুরী। বৃহস্পতিবার উপনির্বাচনের ফল নিশ্চিত হতেই কেন্দ্রীয় বাহিনীর তৎপরতাকে কুর্নিশ জানান অধীর চৌধুরী। তিনি বলেন, 'কেন্দ্রীয় বাহিনীর নিরপেক্ষতায় সাধারণ মানুষ ভোট দিতে বেরোতে পেরেছে। শাসক দল ছাপ্পা ভোটের প্রস্তুতি নিলেও, কেন্দ্রীয় বাহিনী সেই উদ্যোগ ব্যর্থ করে দিয়েছে।'  

এদিকে, সাগরদিঘি উপনির্বাচন প্রসঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় অনৈতিক জোটকে কাঠগড়ায় তুলেছে। তিনি বলেছেন, 'সাগরদিঘিতে অনৈতিক জোটের তীব্র নিন্দা করছি। বিজেপির ভোট কংগ্রেসে গিয়েছে, সিপিএম-র ভোটও কংগ্রেসে গিয়েছে। তবে গণতন্ত্রে হারজিত থাকবেই। এই ফলকে স্বাগত জানাই।' বিরোধী দলগুলো সাম্প্রদায়িক রাজনীতি করেছে। তাই এই ঘটনা অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনক, এভাবেও সুর চড়ান মুখ্যমন্ত্রী।

তাঁর দাবি, 'তৃণমূল কংগ্রেস এই তিন শক্তিকে একাই পর্যুদস্ত করবে। যেভাবে একুশের ভোটে করেছে, আগামি দিনেও করবে। উদ্বেগের কোনও কারণ নেই।' 

এই দুই দলের পাশাপাশি সাগরদিঘি উপনির্বাচনের তৃতীয় শক্তি বিজেপির দাবি, 'আমরা সাংগঠনিকভাবে ওখানে দুর্বল। বিজেপির প্রাপ্ত ভোটের শতাংশ সাংগঠনিক শক্তির নিরিখে আশানুরূপ। গতবার যে বুথে বিজেপি ঢুকতে পারেনি, এবার সেই বুথে দলের পোলিং এজেন্ট ছিল।'   

one year ago