স্পেন ও দুবাই সফর শেষ করে কলকাতায় ফিরলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। শনিবার ৭টা ১৫ নাগাদ কলকাতায় নামেন তিনি। এরপর সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি জানান, বাংলার জন্য অনেক কাজ করতে পেরেছি।
১২ সেপ্টেম্বর সকালে কলকাতা থেকে স্পেন ও দুবাই সফরের জন্য উড়ে যান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর সঙ্গে গিয়েছিলেন মোহনবাগান, ইস্টবেঙ্গল এবং মোহমেডান স্পোর্টিংয়ের কর্তারা। এছাড়া একাধিক শিল্পপতি তাঁর সফর সঙ্গী হয়েছিলেন। অন্যদিকে লন্ডন থেকে মুখ্যমন্ত্রীর কাছে গিয়ে পৌঁছেছিলেন সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়।
কলকাতা বিমানবন্দরে নেমে সাংবাদিকরা তাঁকে এবিষয়ে প্রশ্ন করলে তিনি বলেন, 'বাংলার জন্য অনেকটা কাজ করতে পেরেছি। বড় বড় চুক্তিও হয়েছে। খুব ভালো মিটিং হয়েছে। FICCI এবং ICC মিটিংগুলি আয়োজন করেছিল। এত সাকসেসফুল প্রোগ্রাম খুব কম দেখেছি। যাঁরা প্রবাসী ভারতীয় বা বাঙালিরা আছেন তাঁরা খুব খুশি।'
দুবাইয়ে প্রবাসী বাঙালিদের সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের মঞ্চে সম্প্রীতির বার্তা দিলেন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। দুবাইয়ের অনুষ্ঠান মঞ্চ থেকে তিনি বলেন, "সারে জাহা সে আচ্ছা, হিন্দুস্তা হামারা।"
শুক্রবার দুবাইয়ের হোটেলেও মাদ্রিদ ও বার্সেলোনার মতো তাঁর রাজ্যে বিনিয়োগের আবেদন করলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। পশ্চিমবঙ্গে বিনিয়োগ করলে, তা উত্তর পূর্ব রাজ্য ও বাংলাদেশের দরজাও খুলে যাবে, এমনই জানান মুখ্যমন্ত্রী। তিনি ওই বক্তৃতায় জানান, রাজ্যে সব পরিকাঠামো তৈরি। বিশ্ব বাংলা বাণিজ্য সম্মেলনে আমিরশাহির মন্ত্রীদের আমন্ত্রণও করলেন মুখ্যমন্ত্রী।
আমিরশাহির মন্ত্রী থানি এই সম্মেলনে এসে বলেন, "পশ্চিমবঙ্গ জনসংখ্যার নিরিখে দেশের চতুর্থ বৃহত্তম রাজ্য।" বাংলার সঙ্গে দুবাইয়ের নতুন সম্পর্ক তৈরি হবে বলেও আশাবাদী তিনি।
কে এই কেরামত আলি ? রবিবার দত্তপুকুরে বাজি কারখানায় বিস্ফোরণের পর কারখানার মালিকের খোঁজেই এখন জোর তল্লাশি চলছে। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশ দাবি করেছে, এগরার ঘটনার পর বেআইনি বাজি তৈরির অভিযোগে গ্রেফতার করা হয়েছিল কেরামতকে। কিন্তু জামিন হয়ে যায়।
গত মে মাসে পূর্ব মেদিনীপুরের এগরার ঘটনার পর মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে ছ দফা নির্দেশিকা জারি করা হয়েছিল। পাঠানো হয়েছিল রাজ্যের ১৮ জেলায়। নির্দেশিকা তৈরির পাশাপাশি পুলিশকে আরও সতর্ক হতেও নির্দেশ দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। কিন্তু রবিবারের দত্তপুকুর ফের তা ভুল প্রমাণ করল।
স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি, আলুবোম তৈরির জন্য বিখ্যাত ছিল নীলগঞ্জের এই বাজি কারখানা। জেল থেকে ছাড়া পাওয়ার পর কেরামত তাঁর ব্যবসার বৃদ্ধি করেছিল। প্রথমে একটি বাড়িতে কাজ হত। পরে আরও তিন-চারটি বাড়ি নেওয়া হয়েছিল। তাঁদের দাবি, এমন বিস্ফোরণ আগেও হয়েছে। তবে, তা চুপিসারেই রয়ে গিয়েছে।
মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশেই ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে সিআইডি। প্রাথমিক তদন্তে ঘটনাস্থল থেকে বিস্ফোরক মজুতের প্রমাণও পাওয়া গিয়েছে। ঘটনাস্থলে রয়েছে বম্ব স্কোয়াডও। এখনও ঘটনাস্থলে বিস্ফোরক রয়েছে কীনা, তাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।