বন্দে ভারত এক্সপ্রেসে ফের বিপত্তি। এবার ট্রেনের একাধিক কামরার পাদানি ভাঙা অবস্থায় দেখা গেল। তার জেরেই প্রায় এক ঘণ্টা পূর্ব বর্ধমান জেলার আউশগ্রামের ভেদিয়া স্টেশনে দাঁড়িয়ে রইল আপ হাওড়া-নিউজলপাইগুড়ি বন্দে ভারত এক্সপ্রেস। যাত্রীদের পোহাতে হল দুর্ভোগ। পরে রেলের তৎপরতায় ঘণ্টাখানেকের মধ্যে তা মেরামত করা হয় এবং তারপর ট্রেনটি ছাড়ে।
কীভাবে এই পাদানি ভাঙল, তা এখনও নিশ্চিতভাবে জানা যায়নি। তবে মনে করা হচ্ছে, কোনওভাবে প্লাটফর্মের সঙ্গে ধাক্কা লাগার কারণেই একাধিক কামরার এই পাদানি ভেঙে যায়। আর এর জেরেই সকাল ৭.৩৫ মিনিটে ভেদিয়ে স্টেশনে দাঁড়িয়ে যায় সুপারফাস্ট বন্দে ভারত এক্সপ্রেস। ঘটনার পরই রেলকর্মীদের মধ্যে তৎপরতা শুরু হয়। প্রায় এক ঘণ্টা ধরে চলে মেরামতির কাজ। সকাল ৮.৩৭ মিনিট নাগাদ আবার ট্রেন ছাড়ে।
তবে এই ধরনের ঘটনায় আতঙ্কিত হয়ে পড়েন যাত্রীরা। এখনও পর্যন্ত রেলের উচ্চ পদস্থ কর্তাদের তরফে কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।
বর্ধমান স্টেশনে জলের ট্যাঙ্ক ভেঙে বড়সড় বিপত্তি। জানা গিয়েছে, স্টেশনের ২ ও ৩ নম্বর প্ল্যাটফর্মের মাঝে দুর্ঘটনাটি ঘটেছে। এখনও পর্যন্ত ঘটনায় ৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। আহত বহু। এর আগে এই স্টেশনের প্ল্যাটফর্ম ভেঙে পড়ে আহত হয়েছিলেন কয়েকজন। এবার জলের ট্যাঙ্ক ভেঙে পড়ে আহত একাধিক।
উল্লেখ্য, এই ঘটনার জেরে বন্ধ রয়েছে বর্ধমান শাখার আপ-ডাউন ট্রেন চলাচল। দ্রুত উদ্ধারকাজে নেমেছে আরপিএফ (RPF) ও জিআরপি(GRP)। ঘটনাস্থলে রয়েছেন রেলের শীর্ষ আধিকারিকরা।
জানা গিয়েছে, ১৫ হাজার ৮০০ গ্যালনের বিশাল জলের ট্যাঙ্কটি রাখা ছিল বর্ধমান স্টেশনের ২ এবং ৩ নম্বর প্ল্যাটফর্মের উপরে। কোনও কিছু বুঝে ওঠার আগেই আচমকাই ভেঙে পড়ে ট্যাঙ্কটি। এদিকে প্ল্যাটফর্মে সেই সময় বেশ কয়েকজন যাত্রী ছিলেন। তাঁদের গায়ের উপরই গিয়ে পড়ে সেটি। স্বাভাবিকভাবেই বর্ধমান স্টেশনের পরিকাঠামো নিয়ে উঠছে প্রশ্ন।
মাথায় ভেঙে পড়ল সিলিং ফ্যান (Ceiling fan)। মুখে দগদগে ক্ষত। গোটা রাত যন্ত্রণায় কাতরেছে আহত ছাত্রী। যতবার মুখের ক্ষতটা চোখে পড়ছে তত যেন আতঙ্ক আরও বাড়ছে। বুধবার ঘটনাটি ঘটেছিল কোচবিহার (Cooch Behar) মেখলিগঞ্জের (Mekliganj) উচলপুকুরী কৃষক উদ্যোগ উচ্চ বিদ্যালয় এখন আতঙ্কের অপর নাম। জানা গিয়েছে, বুধবার ক্লাস চলাকালীনই আচমকা সিলিং ফ্যান ভেঙে পড়ে একাদশ শ্রেণির দুই ছাত্রীর মাথায় (Injured Students)। আহত দুই ছাত্রীর নাম কৃত্তিকা বর্মন ও বর্ণালি রায়।
আহত ছাত্রী বর্ণালি রায় বলে, বিদ্যালয়ের ভঙ্গুর পরিকাঠামো। ক্লাসরুমে দীর্ঘদিন ধরে খারাপ অবস্থায় রয়েছে ফ্যান গুলো। স্কুল কর্তৃপক্ষকে বলেও কোনও লাভ হয়নি। এই দুর্ঘটনা আবারও ঘটতে পারে, যদি পরিচর্যা সঠিকভাবে না হয়। বর্ণালির প্রশ্ন, তার মুখের ক্ষতের দায় নেবে কে?
চোর পালালে বুদ্ধি বাড়ার মতো স্কুল কর্তৃপক্ষের টনক নড়েছে। আগে তো লিখিত অভিযোগ পাননি। এখন খারাপ ফ্যানগুলি সরিয়ে নেওয়া হচ্ছে। এ ঘটনায় সাফাই দিতেই ব্যস্ত স্কুল ইনচার্জ সুশান্ত কুমার দে।
উল্লেখ্য, ঘটনার পর আহত দুই ছাত্রীকে উদ্ধার করে সঙ্গে সঙ্গে জামলদাহা প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া হয়। যেখানে বর্ণালিকে প্রাথমিক চিকিৎসার পর ছেড়ে দেওয়া হয়। বর্তমানে বাড়িতে রয়েছে বর্ণালি। তবে কৃত্তিকা বর্মন গুরুতর আহত হওয়ায় জলপাইগুড়ি সুপার স্পেশালিস্ট হাসপাতালে ভর্তি রয়েছে।
কার গাফিলতির মাসুল গুনছে পড়ুয়ারা? একের পর এক দুর্ঘটনা, একের পর এক ক্ষত! আর কবে হুঁশ ফিরবে স্কুল কর্তৃপক্ষের?
ভালো খেলেও শেষমেশ বাংলাদেশ ও ভারতীয় মহিলা দলের ম্যাচ টাই হয়েছে শনিবার। তবে অধিনায়ক হরমনপ্রীত কৌরের আচরণ নিয়ে শুরু হয়েছে তীব্র বিতর্ক। আম্পায়ারের সিদ্ধান্তের বিরোধিতার পাশাপাশি ব্যাট দিয়ে স্টাম্প ভেঙে দেন তিনি। ফলে শাস্তি পেতে হতে পারে হরমনকে।
বাংলাদেশের বিরুদ্ধে ২২৫ রানের টার্গেট নিয়ে নামে ভারতীয় মহিলা দল। স্মৃতি মান্ধানা এবং হারলিন দেওলের জুটি জয়ী হওয়ার দোরগোড়ায় এনে দিলেও আউট হয়ে যান স্মৃতি। তারপর ব্যাট করতে মানেম হরমন। ৩৪ ওভারের মাথায় আউট হন তিনি। এরপরেই আউট হওয়ার পর স্ট্যাম্প ভাঙেন এবং অ্য়াম্পায়ারদের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে সরব হন।
মনে করা হচ্ছে হরমনকে নির্বাসিত করা হতে পারে। সঙ্গে ডিমেরিট পয়েন্টও যেগ হতে পারে। অতীতে একই শাস্তি পেতে হতে হয়েছে শাকিব আল হাসানকে। সেই একই পথে হাঁটতে হবে হরমনকেও।
ফের বড়সড় দুর্ঘটনার হাত থেকে রক্ষা পেল ট্রেন (Train)। সূত্রের খবর, মুম্বইগামী পবন এক্সপ্রেসের (Pawan Express) একটি চাকা ভাঙা অবস্থায় প্রায় ১০ কিমি রাস্তা ছুটেছে। এরপর বিকট আওয়াজ শুনতে পেয়ে চেন টেনে ট্রেন থামালেন যাত্রীরা। ঘটনাটি রবিরার রাতে বিহারের (Bihar) মুজফফরপুরে ঘটেছে বলে সূত্রের খবর।
সূত্রের খবর, রবিবার রাতে মুজফফরপুর থেকে মুম্বইগামী পবন এক্সপ্রেস ট্রেনটি ছাড়ার পর থেকেই হঠাৎ একটা বিকট আওয়াজ শুনতে পান যাত্রীরা। কিন্তু এই বিকট আওয়াজের পরও ট্রেনটি দ্রুতগতিতে ছুটতে থাকে। আর এভাবেই ট্রেনটি ১০ কিমি পথ আরও যাত্রা করে। পরে ভগবানপুর রেলওয়ে স্টেশনে ট্রেনটি পৌঁছলে সেখানে যাত্রীরা ট্রেনের চেন টেনে থামিয়ে দেন। এরপরই ট্রেনের সেই আওয়াজের কথা ট্রেন চালককে জানানো হলে ব্যাপারটি খতিয়ে দেখা হয়।
এরপর তদন্ত করার পর দেখা যায়, ট্রেনের এস ১১ নম্বর কোচের একটি চাকা ভাঙা ছিল। আর এর জন্যই বিকট আওয়াজ হচ্ছিল। এরপর সেই রেলওয়ে স্টেশনে পৌঁছে যান রেলওয়ে ইঞ্জিনিয়ার ও রেলকর্মীরা। চাকায় ফাটল ধরার পরার পরেই সেটিকে বদল করা হয়। এরপর সমস্ত বিষয় ভালোভাবে চেক করার পর ফের যাত্রা শুরু করে ট্রেনটি।
একজন পুরুষের ভালোবাসার আলিঙ্গন (Hug) তাঁর মহিলা সহকর্মীর কাছে যে কতখানি মর্মান্তিক এবং বেদনাদায়ক হতে পারে, তারই উদাহরণ মিলল চিনে (China)। ঘটনার বিবরণে জানা যাচ্ছে, অফিসের মধ্যে এক ব্যক্তি তাঁর মহিলা সহকর্মীকে (Co Worker) এতটাই জোরে আলিঙ্গন করেছিলেন যে, তাঁর পাঁজরের তিনটি হাড়ে (Ribs) চিড় ধরে যায়।
কী বলবেন একে? হাড়ভাঙা আলিঙ্গন? সে যাই হোক, ওই মহিলা সোজা অভিযোগ জানালেন আদালতে। আর আদালত প্রাথমিকভাবে ক্ষতিপূরণ দেওয়ারও নির্দেশ দিয়েছে।
হুনান প্রদেশের মহিলার অভিযোগ, পাঁজরের হাড় ভেঙে যাওয়ায় প্রচণ্ড যন্ত্রণার জন্য তাঁকে অফিস থেকে ছুটি নিতে হয়েছে। চিকিত্সা বাবদও তাঁর অনেক টাকা বেরিয়ে গিয়েছে। তাই তাঁকে এর উপযুক্ত ক্ষতিপূরণ দেওয়া হোক। বিচারক যে ক্ষতিপূরণের অঙ্ক নির্ধারণ করে দিয়েছেন, তা হল দেড় হাজার ডলার।
ওই মহিলা জানিয়েছেন, অফিসে কাজ করার সময় ওই সহকর্মী তাঁর দিকে এগিয়ে আসেন এবং তাঁকে প্রবল জোরে আলিঙ্গন করে বসেন। আর ঠিক তারপরই তিনি বুকে অসহ্য ব্যথা অনুভব করেন। বাড়ি ফিরে নিজেই কিছু যন্ত্রণা নিবারক ওষুধ খেয়েছিলেন। কিন্তু তাতে যন্ত্রণা কমেনি। ফলে তিনি ছুটে যান হাসপাতালে। সেখানে স্বাভাবিকভাবেই এক্স-রে করা হয়। আর তা দেখেই মহিলা অবাক হয়ে যান। তাঁর পাঁজরের তিনটি হাড় ভেঙে গিয়েছে, দুটি ডানদিকের এবং একটি বাঁদিকের। ফলে তাঁকে ছুটি নিতে হয়। এর ফলে একদিকে যেমন তিনি বেতন পাননি, অন্যদিকে, চিকিত্সার খরচের বোঝাও বইতে হয়।
যদিও ওই সহকর্মী তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা এই অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। তাঁর বক্তব্য, এমন কোনও প্রমাণ নেই যে, তাঁরই আলিঙ্গনে মহিলার পাঁজর ভেঙেছে।