এক-দুটো নয়, পরপর সাত নবজাতক (New Born) শিশুকে হত্যা করার অভিযোগ উঠেছে এক নার্সের (Nurse) বিরুদ্ধে। এখানেই শেষ নয়, পরে আরও ছয় নবজাতক শিশুকে হত্যা করার চেষ্টা করারও অভিযোগ উঠেছিল। তাকেই এবারে দোষী সাব্যস্ত করল আদালত। আগামী সোমবার তার সাজা ঘোষণা করা হবে। জানা গিয়েছে, ঘটনাটি ব্রিটেনের (Britain) এক হাসপাতালের। সূত্রের খবর, সেই নার্সকে ধরিয়ে দিতে সাহায্য় করেছেন ভারতীয় বংশোদ্ভূত এক চিকিৎসক।
সূত্রের খবর, ৩৩ বছর বয়সী অভিযুক্ত নার্সের নাম লুসি লেটবি (Lucy Letby)। সে উত্তর-পশ্চিম ইংল্য়ান্ডের চেস্টার হাসপাতালে কাজ করত। ২০১৫ সালের জুন মাস থেকে ২০১৬ সালের জুন মাসের মধ্য়ে একাধিক শিশুর মৃত্যুর ঘটনা প্রকাশ্যে আসে। তখন ভারতীয় বংশোদ্ভূত এক চিকিৎসকই লুসির উপর প্রথমে সন্দেহ করেন। সেই সময়ে তার বিরুদ্ধে উপযুক্ত প্রমাণ না থাকায় তাকে গ্রেফতার করা হয়নি। কিন্তু ২০১৮ সালে তার বাড়ি থেকে কিছু চিঠি পাওয়ার পরে লুসি লেটবিকে গ্রেফতার করা হয়।
জানা গিয়েছিল, লুসি নবজাতকদের হাওয়া ভরা ইনজেকশন, বেশি করে দুধ খাইয়ে ও ইনসুলিন দিয়ে হত্যা করত। কিন্তু তার বিরুদ্ধে শিশু হত্যার অভিযোগ আনা হলেও সে সবকিছুই অস্বীকার করে। তবে তার বাড়ি থেকে যে চিঠিগুলো উদ্ধার করা হয়েছিল, সেখানে লেখান ছিল, 'আমিই শয়তান, আমিই সবকিছু করেছি।' ফলে সেই সময় থেকে এই মামলা চলছে। অবশেষে শুক্রবার তাকে দোষী সাব্যস্ত করা হয় ও সোমবার তার সাজাও ঘোষণা করা হবে।
২০ লক্ষ টাকার মুক্তিপণের লোভে এক ব্যবসায়ীকে অপহরণ (Kidnap)। ঘটনাটি ঘটেছে ব্রিটেনে (Britain)। ইতিমধ্যেই অপহরণকারী তিন জনকে আটক করে পুলিস (Police)। তারপরেই অপহরণের দায়ে ওই তিন জনকে দোষী সাব্যস্ত করে উলভারহ্যাম্পটন ক্রাউন কোর্ট। সবমিলিয়ে তাদের ৪৫ বছরের কারাদণ্ড দেয় কোর্ট। এক সংবাদ সংস্থা সূত্রে খবর, ওই তিন জন অপরাধীর নাম বলজিৎ বাঘরল (৩৩), ডেভিড বাঘরল (২৮) এবং শানু (২২) নামের যুবক।
পুলিস সূত্রে খবর, কাজ সেরে নিজের গাড়িতে ওঠার সময়ই ওই ব্যবসায়ীকে অপহরণ করেছিলেন বাঘরলেরা। ভুয়ো আগ্নেয়াস্ত্র দিয়ে ভয় দেখিয়ে ওই ব্যবসায়ীকে একটি ভ্যানে তোলেন তাঁরা। এর পর তাঁর চোখে কাপড় বেঁধে একটি দোকানে নিয়ে তোলেন। সেখানে তাঁকে হুমকিও দেওয়া হয়। তারপর ওই ব্যবসায়ীকে আটক করেও রাখা হয়। তারপরেই ওই ব্যবসায়ীর বাড়ির লোকের থেকে ১৯,০০০ পাউন্ড মুক্তিপণ নেয়। যা ভারতীয় মুদ্রায় প্রায় ২০ লক্ষ ৪২ হাজার টাকা। তারপরেই ওই ব্যবসায়ীকে ছাড়েন অভিযুক্তরা। এরপরেই অভিযোগ করা হয় থানায়। আর অভিযোগের পর থেকেই তদন্ত শুরু করেছিল পুলিস। রাস্তার সিসিটিভি ফুটেজও খতিয়ে দেখে অপরাধীদের গ্রেফতার করে পুলিস।
রবিবার ছিল ব্রিটেনের রাজা তৃতীয় চার্লসের (King Charles III) রাজ্যাভিষেক অনুষ্ঠান। সারা দেশ থেকে একাধিক আমন্ত্রিত অতিথি উপস্থিত ছিলেন এই অনুষ্ঠানে। তবে বলিউড থেকে একমাত্র আমন্ত্রিত ছিলেন বলি অভিনেত্রী সোনম কাপুর (Sonam Kapoor)। শুধুমাত্র তাই নয়, ব্রিটেনের (Britain) রাজার করোনেশন কনসার্টে বক্তব্য রাখতেও দেখা যায় তাঁকে। আর বক্তব্য দিতে গিয়েই প্রথমেই সোনমের মুখে হিন্দিতে শোনা গেল 'নমস্তে'। বিদেশের মাটিতে মঞ্চে উঠে নায়িকা নিজের বক্তব্য শুরু করলেন 'নমস্তে' দিয়ে। মেয়ের সেই ভিডিও শেয়ার করেছেন গর্বিত মা সুনিতা কাপুর। বিদেশের মাটিতে দাঁড়িয়ে বক্তৃতা দেওয়ায় নেটিজেনরা যেমন প্রশংসা করেছেন সোনমের। অন্যদিকে এই বক্তব্যের জন্য ধেয়ে এসেছে কটাক্ষও।
গত বছরের মাঝামাঝি সময়ে প্রয়াত হন ব্রিটেনের রানি এলিজাবেথ। তাঁর পরে রাজা হিসাবে সিংহাসনে বসেন রাজা তৃতীয় চার্লস। ফলে সমস্ত কিছু সামলানোর দায়ভার এখন তাঁর উপর। গতবছর তাঁকে রাজা হিসাবে ঘোষণা করা হলেও ৬ মে আনুষ্ঠানিকভাবে রাজার অভিষেক করা হয়। আর ৭ মে ছিল করোনেশন কনসার্ট। সেখানেই বক্তৃতা রাখেন সোনম কাপুর। তবে তাঁর এই বক্তব্যের ভিডিও সমাজমাধ্যমে ভাইরাল হতেই শুরু হয়েছে সমালোচনা। অনেকে যেমন তাঁর এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত হওয়া ও এমন বক্তব্য রাখার জন্য তাঁকে কটাক্ষ করেছেন। তেমনি অনেকে ভারতীয়দের কাছে এটি 'গর্বের মুহূর্ত' বলে উল্লেখ করেছেন।
লন্ডনে ভারতীয় হাইকমিশনে খালিস্তানপন্থীদের ভাঙচুরের সময় জাতীয় পতাকা অবমাননার অভিযোগ ওঠে। গুরুতর এই অভিযোগের তদন্ত করতে ব্রিটেনের রাজধানীতে যাবে জাতীয় তদন্তকারী সংস্থা (এনআইএ)। গত সপ্তাহে এই ঘটনায় তদন্তভার হাতে নিয়েছিল কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক। সোমবার সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর, ওই হিংসার ঘটনা খতিয়ে দেখতে ব্রিটেনে পাড়ি দেবে এনআইএ-র একটি দল।
সম্প্রতি গ্রেফতার হয়েছে ‘ওয়ারিশ পঞ্জাব দে’ সংগঠনে নেতা অমৃতপাল সিং। তাকে ধরতে যখন তৎপর পঞ্জাব পুলিস, তখন বিশ্বের একাধিক জায়গায় খালিস্তান-পন্থী আন্দোলন মাথাচাড়া দিয়ে ওঠে। সেই আন্দোলনের অংশ হিসেবে লন্ডনে ভারতীয় হাইকমিশনের সামনে জমায়েত করে বিক্ষোভ প্রদর্শন করেন খালিস্তানপন্থীরা। অভিযোগ, খালিস্তানের সমর্থনে স্লোগান দিতে দিতে ইন্ডিয়া হাউসের বারান্দায় ঝোলানো ভারতের জাতীয় পতাকা নামিয়ে ফেলেন তাঁরা। সমাজমাধ্যমে সে ছবি ভাইরাল হতেই নিন্দার ঝড় ওঠে।
মাত্র ৪৫ দিনের মাথায় ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী পদ থেকে ইস্তফা দিলেন লিজ ট্রুস। তাঁর আর্থিক নীতি সমালোচনার মুখে পড়াতেই এই সিদ্ধান্ত। এমনটাই আন্তর্জাতিক সংবাদ মাধ্যম সূত্রে খবর। দেড় মাস আগেই ব্রিটেনের নতুন প্রধানমন্ত্রী হিসাবে দায়িত্ব নিয়েছিলেন তিনি। তবে এই ছ’সপ্তাহের মধ্যে তাঁর অর্থনীতি সংক্রান্ত সিদ্ধান্ত সমালোচনার মুখে পড়ে।
সূত্রের খবর, প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পর থেকে লিজকে তাঁর দল কনজার্ভেটিভ অন্দরেই সমালোচনার মুখে পড়েছেন। অবশেষে বৃহস্পতিবার ইস্তফা দিলেন তিনি। উল্লেখ্য, ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী হওয়ার দৌড়ে লিজের প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন ভারতীয় বংশোদ্ভূত ঋষি সুনক। কিন্তু দলীয় নির্বাচনে তাঁকে হারিয়ে ১০ ডাউনিং স্ট্রিটের সদস্য হয়েছিলেন লিজ।
বৃহস্পতিবার প্রধানমন্ত্রীর বাসভবনের সামনে দাঁড়িয়ে ট্রুস বলেন, পরবর্তী নেতৃত্ব বেছে নেওয়ার আগে পর্যন্ত তিনিই দায়িত্ব সামলাবেন। আজ সকালেই পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী বেছে নেওয়ার ব্যাপারে আমার কথা হয়েছে। ১৯২২ কমিটির চেয়ারম্যান স্যার গ্রাহাম ব্র্যাডির সঙ্গে। পরবর্তী নেতৃত্ব বেছে নেওয়ার জন্য আগামী সপ্তাহেই একটি নির্বাচন হতে চলেছে। দেশের নিরাপত্তা যাতে কোনও ভাবেই বিঘ্নিত না হয় তা নিশ্চিত করবে ওই নির্বাচনে জয়ী হয়ে আসা পরবর্তী নেতৃত্ব।'
সোমবার সদ্য প্রয়াত রানী এলিজাবেথের (Queen Elizabeth II) শেষকৃত্য অনুষ্ঠান। শনিবার সেই অনুষ্ঠানে (Funeral) যোগ দিতে ব্রিটেন (Britain) যাবেন রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু (President Draupadi Murmu)। বুধবার এই তথ্য দিয়েছে কেন্দ্রীয় বিদেশ মন্ত্রক। মন্ত্রকের বিবৃতিতে বলা, 'রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথের রাজত্বের ৭০ বছরে ভারত-ব্রিটেন সম্পর্ক নিবিড় এবং দৃঢ় হয়েছে। ভারতের তরফে প্রয়াত রানির প্রতি শ্রদ্ধা দেখাতে যাবেন রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু। গত ৮ সেপ্টেম্বর স্কটল্যান্ডের বালমোরাল প্রাসাদে প্রয়াত হয়েছেন নবতিপর রানী। তাঁর প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে গত ১১ সেপ্টেম্বর জাতীয় শোক পালিত হয়েছে ভারতে।'
জানা গিয়েছে, রানির শেষকৃত্যে যোগ দিতে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীও আমন্ত্রণ পত্র পেয়েছেন। ১০ ডাউনিং স্ট্রিট থেকে এসেছে সেই আমন্ত্রণ পত্র। তবে সূত্রের খবর, এই অনুষ্ঠানে যোগ দিতে প্রধানমন্ত্রীর ব্রিটেন সফরের সম্ভাবনা কম। তিনি সে সময়ে এসসিও বৈঠকে যোগ দিতে উজবেকিস্তানের সমরখণ্ডে থাকবেন। রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন ও চিনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের সঙ্গে সেখানে গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক রয়েছে প্রধানমন্ত্রীর। তবে ২৭ সেপ্টেম্বর জাপানের প্রয়াত প্রধানমন্ত্রী শিনজো আবের শেষকৃত্যে যোগ দিতে পারেন প্রধানমন্ত্রী।
এদিকে, দ্বিতীয় এলিজাবেথকে শেষ বিদায় জানাতে সোমবার লন্ডনে হাজির থাকছেন প্রায় ১০০ জন রাজা-রানি এবং রাষ্ট্রনেতা। পশ্চিম লন্ডনের এক অজ্ঞাত স্থান থেকে তাঁদের ওয়েস্টমিনস্টার অ্যাবেতে আনতে করা হয়েছে বিশেষ বাসের ব্যবস্থা। কেবল মাত্র নিরাপত্তার কারণে আমেরিকার প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন, ফরাসি প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল মাকরঁ, ইজরায়েলি প্রেসিডেন্ট আইজ্যাক হারজগ এবং জাপানের সম্রাট নারুহিতোর জন্য আলাদা গাড়ির ব্যবস্থা থাকবে। এমনটাই ব্রিটেন সরকারকে উদ্ধৃত করে জানিয়েছে সে দেশের একাধিক সংবাদ মাধ্যম।
গুরুতর অসুস্থ রানী এলিজাবেথ? অন্তত ব্রিটেন এবং স্কটল্যান্ডের অন্দরে তেমনটাই খবর। শারীরিক অসুস্থতার কারণেই নাকি প্রিভি কাউন্সিলের বৈঠকে অনুপস্থিত রানী। এই বৈঠক থেকেই প্রধানমন্ত্রী পদে শপথ নেবেন লিজ ট্রাসের। গুরুত্বপূর্ণ এহেন বৈঠকে এলিজাবেথের অনুপস্থিতি তাই ভাবাচ্ছে বাকিংহাম প্যালেসকে। যদিও প্যালেস বিবৃতি দিয়ে জানিয়েছে, চিকিৎসকের পরামর্শে বিশ্রামে রানী। তাই প্রিভি কাউন্সিলের বৈঠকের দিনক্ষণ অন্যদিন জানানো হবে।
এদিকে, গত জুলাই থেকে গরমের ছুটি কাটাতে স্কটল্যান্ডের বালমোরাল দুর্গে বিশ্রামে রানী। এরপরেই রানীর অসুস্থতা নিয়ে জল্পনা তৈরি হয়েছে। বাকিংহাম প্যালেসের তরফে জানানো হয়েছে, 'বৃহস্পতিবার সকালেও চিকিৎসকরা রানির স্বাস্থ্যপরীক্ষা করেন। তাঁর শারীরিক অবস্থার বিষয়ে চিকিৎসকরা অবগত। তাঁরা রানিকে পর্যবেক্ষণে রাখার পরামর্শ দিয়েছেন তাঁরা।’
তবে বিশ্বকে ভাবাচ্ছে প্রিন্স চার্লস-সহ ডাচেস অফ কেমব্রিজ এবং ডিউক অফ কেমব্রিজের স্কটল্যান্ড যাত্রা। রানীর বয়স ৯৬, তাঁর শারীরিক অবস্থা নিয়ে উদ্বিগ্ন সে দেশের সকলে। প্রধানমন্ত্রী লিজ ট্রাস জানান, গোটা দেশ রানীর স্বাস্থ্য নিয়ে গভীরভাবে উদ্বিগ্ন।
বুধবারের প্রিভি কাউন্সিলের বৈঠকে ব্রিটেনের নতুন প্রধানমন্ত্রী হিসাবে শপথ নেওয়ার কথা ছিল লিজ ট্রাসের। তার সঙ্গে নতুন মন্ত্রিসভার সদস্যদেরও শপথগ্রহণ হওয়ার কথা ছিল। এই প্রসঙ্গে বাকিংহাম প্রাসাদের তরফে একটি বিবৃতি দিয়ে জানানো হয়, চিকিৎসকদের পরামর্শে বিশ্রামে রয়েছেন রানি। তাই সন্ধ্যাবেলার প্রিভি কাউন্সিলের বৈঠকের দিনক্ষণ নতুন করে জানানো হবে।
এবার প্রধানমন্ত্রী পদের ভোটের ফল প্রকাশ হল ব্রিটেনে। মোট ১,৭২,৪৩৭ ভোটারের মধ্যে লিজ ৮১,৩২৬ (৫৭.৪ শতাংশ) এবং সুনক ৬০,৩৯৯ (৪২.৬ শতাংশ) ভোট পেয়েছেন, বাতিল হয় ৬৫৪টি ভোট।
ব্রিটেনের নবনির্বাচিত প্রধানমন্ত্রী লিজ ট্রাসকে (Liz Truss) শুভেচ্ছা জানিয়ে টুইট করলেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। ব্রিটেনের রক্ষণশীল দলের নেতা নির্বাচনের ভোটাভুটিতে জয়ী লিজ ট্রাস।
Congratulations @trussliz for being chosen to be the next PM of the UK. Confident that under your leadership, the India-UK Comprehensive Strategic Partnership will be further strengthened. Wish you the very best for your new role and responsibilities.
— Narendra Modi (@narendramodi) September 5, 2022
সেমবার টুইটে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী লিখেছেন, 'ব্রিটেনের পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হওয়ার জন্য লিজ ট্রাসকে অভিনন্দন, আমার বিশ্বাস, আপনার নেতৃত্বে ভারত-ব্রিটেন দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক ও কৌশলগত অংশীদারিত্ব আরও মজবুত হবে।'
লিজ ট্রাস (Liz Truss) জনসনের নেতৃত্বাধীন বৈদেশিক বাণিজ্য সচিব পদে বহাল থেকে নেতৃত্ব দেন। পরে বিদেশ , কমনওয়েলথ ও উন্নয়ন বিষয়ে সেক্রেটারি অব স্টেট পদোন্নতি পান তিনি।
বাণিজ্য সচিব থাকায় ব্রিটেন-ভারতের বাণিজ্যক সম্পর্ক খুবই ভালো ছিল। গত বছর মে মাসে বরিস জনসন সরকারের হয়ে ভারত-ব্রিটেন এনহ্যান্সড পার্টনারশিপে সই করেছিলেন। ভারত ও যুক্তরাজ্যর মধ্যে বাণিজ্যিক সম্পর্ক দৃঢ় করার কথাও তিনি বলেছিলেন।
হাড্ডাহাড্ডি লড়াইটা হয়েছিল ঋষি সুনক ও লিজ ট্রাসের (Liz Truss) মধ্যেই। মার্গারেট থ্যাচার এবং টেরেসা মের পর তৃতীয় মহিলা হিসেবে ১০ ডাউনিং স্ট্রিটের বাসিন্দা হবেন তিনি।
বরিস জনসনের উত্তরসূরি খুঁজে নিল ব্রিটেনের কনজারভেটিভ পার্টি। ব্রিটেনের পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত লিজ ট্রাস। ঋষি সৌনককে ২০ হাজারের বেশি ভোটে হারান তিনি। তবে এই নির্বাচনে ব্রিটেনের জনগণের কোনও ভূমিকা ছিল না। কনজারভেটিভ পার্টির দুই যোগ্য ব্যক্তির মধ্যে একজনকে বেছে নিয়েছেন দলের দেড় লক্ষ সদস্য। লিজের পক্ষে ভোট পড়েছে ৮১ হাজার আর ভারতীয় বংশোদ্ভূত সুনক পেয়েছেন ২০ হাজার ভোট।
তাঁর মন্ত্রিসভার একাধিক সদস্য একাধিক কেলেঙ্কারিতে বিদ্ধ হওয়ায় মাস দুয়েক আগে পদত্যাগ করেন প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন। সেই থেকে শুরু হয়েছিল উত্তরসূরি খোঁজার পালা। অবশেষে সোমবার চূড়ান্ত ফল ঘোষণা কনজারভেটিভ পার্টির। মার্গারেট থেচার এবং থেরেসা মে'র পর তৃতীয় মহিলা হিসেবে ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী পদে বসবেন অক্সফোর্ড প্রাক্তনী লিজ ট্রাস।
এদিকে, ব্রিটেনে ক্ষমতাসীন কনজারভেটিভ দলের নেতৃত্ব নিয়ে লড়াই একসময় জমে উঠেছিল। বরিস জনসন পদত্যাগের পরপরই শূন্যপদ পূরণে প্রথমে ১১ জন প্রার্থী থাকলেও চূড়ান্ত প্রতিযোগিতায় টিকে ছিলেন ৫ শীর্ষ নেতা। সেখান ভোটের প্রতি ধাপ পেরিয়ে চূড়ান্ত যুদ্ধে মুখোমুখি হয়েছিলেন ট্রাস-সুনক।
তবে একটি সূত্রের দাবি, ঋষি সুনকের পরাজয়ের পিছনে একাধিক বিতর্ক কাজ করেছে। করফাঁকি বিতর্ক, সুনকের স্ত্রী অক্ষতার সঙ্গে রাশিয়ার সম্পর্ক সন্দেহে হওয়া তদন্ত ইস্যু ইত্যাদি ইত্যাদি বিরুদ্ধে গিয়েছে। ঘটনাচক্রে ঋষি সুনক ভারতীয় তথ্য-প্রযুক্তি জায়ান্ট ইনফোসিসের কর্ণধার নারায়ণমূর্তির জামাই।