রাস্তা (Road) না হলে ভোট (Vote Boycott) বয়কট! রাস্তার দাবিতে সরব এবার জন সাধারণ। এই উত্তপ্ত জন সাধরণের ছবিটা পশ্চিম মেদিনীপুর (Paschim Medinipur) জেলার কেশিয়াড়ী ব্লকের নছিপুর অঞ্চল এলাকার। এলাকাবাসীদের অভিযোগ, এই বেহাল রাস্তার কথা বারাবার প্রশাসনকে জানিয়েও কোনও সুরাহা মেলেনি। দীর্ঘ ১০ বছর ধরে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে দিনের পর দিন যাতায়াত করতে হয় ওই বেহাল রাস্তার ওপর দিয়ে। শুধু তাই নয় বর্ষার সময় রাস্তার উপরে জল উঠে আসে। ফলে স্কুলে যেতেও অসুবিধা হয় ছাত্রছাত্রীদের।
এলাকাবাসীদের দাবি, ওই রাস্তার উপর দিয়ে যাতায়াত করে পাঁচটি গ্ৰামের মানুষজন। প্রায় ৭০০ টি পরিবারের বসবাস। গ্ৰাম থেকে ৩ কিমি দূরত্বে রয়েছে নছিপুর আদিবাসী উচ্চমাধ্যমিক হাইস্কুল। পড়ুয়াদের প্রতিনিয়ত ওই বেহাল রাস্তার ওপর দিয়েই যাতায়াত করতে হয়। এমনকি রাস্তার বেহাল দশার কারণে এলাকার অসুস্থ রোগীদের জন্যেও এলাকায় প্রবেশ করতে পারেনা আ্যম্বুলেন্স থেকে শুরু করে বড় গাড়ি। তাই তাঁরা এই রাস্তার দাবিতে ভোট বয়কটের ডাক দিয়েছেন, এমনটাই দাবি এলাকাবাসীর।
২০২২ সালে প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পেয়েছিল আমির খান (Aamir Khan) অভিনীত ছবি 'লাল সিং চাড্ডা' (Laal Singh Chadda)। বক্স অফিসে মুখ থুবড়ে পড়েছিল এই ছবি। একেবারেই ব্যবসা করতে পারেনি আমিরে খানের এই ছবি। এটা তেমনভাবে দর্শকদের নজর কাড়তে না পারলে একাধিক সমালোচনার মুখেও পড়তে হয় আমিরকে। আর এবারে এই নিয়ে মুখ খুললেন অভিনেতা অনুপম খের (Anupam Kher)। তিনি বলেন, এই ছবি একেবারেই ভালো ছবি ছিল না। তবে হঠাৎ তাঁর মুখে এমন কথা কেন?
সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে অনুপম খের বলিউডে বয়কট ট্রেন্ড নিয়ে বলেন। তখন তিনি বলেন, 'লাল সিং চাড্ডা ছবি ভালো ছিল না। যদি এই ছবি ভালো হত, তবে কোনও শক্তি এটিকে হিট করা থেকে আটকাতে পারত না। আমিরের পিকে সত্যিই ভালো কাজ করেছে। মূল বিষয় হল আপনাকে সত্যটাকে মানতে হবে।' তিনি আরও বলেন, 'আমি বয়কট ট্রেন্ড্রের পক্ষে নয়। যদি আপনার ছবি ভালো হয়, তবে তা দেখার জন্য দর্শক আসবেই। আপনার ছবি ভালো হলে চলবে কিন্তু খারাপ হলে সেটা নিশ্চয়ই প্রভাবিত করবে কিন্তু তা ট্রেন্ডের কারণে নয়। সবার মত প্রকাশের স্বাধীনতা আছে। তবে সমস্ত রকমের ট্রেন্ড নষ্ট করার একটাই উপায় দুর্দান্ত ছবি তৈরি করা।'
সেতু ও রাস্তার (Road-Bridge) দাবিতে ভোট বয়কটের ডাক গ্রামবাসীদের। পাকা সেতুর দাবিতে রীতিমতো ব্যানার টাঙিয়ে ভোট বয়কটের (Vote Boycott) ঘোষণা। বালুরঘাট (Balurghat Block) ব্লকের জলঘর গ্রাম পঞ্চায়েতের ছোট দেউড়া গ্রামের ঘটনা। আসন্ন পঞ্চায়েত ভোটের আগেই ভোট বয়কটের ডাক ছোট দেউড়া গ্রামের বাসিন্দাদের।
জানা গিয়েছে, গত বিধানসভা ভোটেও সেতু-রাস্তার দাবিতে ভোট বয়কট করেছিল ছোট দেউড়া গ্রামের বাসিন্দারা। গ্রামবাসীদের দাবি, গত বিধানসভা ভোটে প্রশাসন পাকা সেতু ও রাস্তা নির্মাণের আশ্বাস দিয়েছিল। তবে সেই প্রতিশ্রুতি আজও পূরণ করেনি প্রশাসন। তাই এবার পঞ্চায়েত ভোটের আগেই ফের ভোট বয়কটের পথে নেমেছেন গ্রামবাসীরা। অভিযোগ, সেতু ও রাস্তা না থাকায় প্রতিনিয়ত সমস্যায় পড়তে হচ্ছে সাধারণ মানুষকে। তাদের দাবি, এখন খাড়িতে জল কম থাকায় বাঁশের সেতু দিয়েই চলাচল করতে হয়। তবে বর্ষাকালে তাতে জল ভরে গেলে খাড়ি পারাপার করতে সমস্যায় পড়তে হয়। যার জেরে বন্ধ হয়ে যায় গ্রামের বাচ্চাদের স্কুলে যাওয়া।
এমনকি বর্ষাতে সেতু না থাকায় সমস্যায় পড়তে হয় অসুস্থ রোগীদেরও। অভিযোগ, বারবার বি়ডিও-র দারস্থ হয়েও মেলেনি কোনও সুরাহা। এমনকি বারবার বিডিও গ্রামবাসীদের মিথ্যে প্রতিশ্রুতি দিয়ে সেতু-রাস্তার কাজ শুরু করার আশ্বাস দিয়েছেন। তবে এখনও তৈরি হয়নি কোনও রাস্তা-সেতু।
এলাকার বিজেপি নেতা বুধন মার্ডি জানান, আমরা রাজনৈতিক দল হিসেবে ভোট বয়কটকে সমর্থন করি না। তবে গ্রামবাসীদের রাস্তা ও সেতুর দাবি ন্যায্য। বিজেপির পক্ষ থেকে প্রশাসনের কাছে অনুরোধ গ্রামবাসীদের দাবি মেনে এলাকার রাস্তা ও ব্রিজের কাজ দ্রুত শুরু করা।
জলঘর গ্রাম পঞ্চায়েতের তৃণমূলের প্রধান গোপাল মুর্মু জানান, 'পঞ্চায়েত থেকে ঢালাই রাস্তা করে দেওয়ার কথা হয়েছিল। তবে গ্রামবাসীরা পিচ রাস্তার দাবি জানায়। যার জেরেই রাস্তার কাজ হয়নি। বর্তমানে রাস্তা ও ব্রিজের জন্য ওই তহবিলে টাকা ঢোকার কথা আছে, টাকা এলেই দ্রুত কাজ শুরু করে দেওয়া হবে।'
বক্স অফিসে সফল পাঠান। একশো, পাঁচশোর গণ্ডি পেরিয়ে হাজার কোটি বক্স অফিস সংগ্রহের মুখে দাঁড়িয়ে এই ছবি। এবার পাঠানের প্রশংসা পরিচালক বিবেক অগ্নিহোত্রীর মুখে। পাঠানের সাফল্যকে তিনি বলেন পুরোটাই শাহরুখের কৃত্বিত্ব। তবে শুধু একা শাহরুখ নয়, এই ছবির সাফল্যের পিছনে ‘বয়কট গ্যাং’-এর ভূমিকা রয়েছে, জানান বিবেক।
দা কাশ্মীর ফাইলসের পরিচালক বলেন, 'আমার মনে হয়, একা শাহরুখ নয়, এই ছবি সফল হওয়ার পিছনে বয়কট গ্যাংয়েরও কৃতিত্ব প্রাপ্য। এই ছবি ঘিরে এরা বোকা বোকা মন্তব্য করেছে শুধু। আসলে এটা পুরানো বয়কট গ্যাংয়ের মতো নয়। এরা শুধুই বলিউডের সব কিছু বয়কট করতে চায়, এমনটা নয়। এবার যাদের দেখলাম তারা নতুন। এরা ভাঙচুর, পোস্টার পুড়িয়ে ফেলা এই ধরনের কাজে মন দেয় বেশি। আমার মনে হয়, এই ধরনের কীর্তিগুলোই প্রচারের কাজ করেছে। তাই ছবিও বেশি সফল।'
পাঠানের ব্যাপক সাফল্যে জব্দ বয়কট গ্যাং (Boycott Gang)। এই কানাঘুষো টিনসেল টাউনে কান পাতলেই শোনা যাচ্ছে। পাঠান (Pathaan Movie) মুক্তির আগে মুম্বইতে বলিউডের তাবড় ব্যক্তিদের সঙ্গে বৈঠক করেছিলেন যোগী আদিত্যনাথ। উত্তর প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রীর কাছে আবেদন রাখা হয়েছিল, বয়কট গ্যাংয়ের সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে। সে সময় কোনও প্রতিক্রিয়া মেলেনি যোগীর তরফে। কিন্তু পাঠান যখন সব বক্স অফিস রেকর্ড ভেঙেছে, তখন নীরবতা ভাঙলেন উত্তর প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ (Yogi Adityanath)।
সাম্প্রতিক এক সাক্ষাৎকারে উত্তরপ্রদেশের মু্খ্যমন্ত্রী বলেন, 'সিনেমা নির্মাণের সময় পরিচালকদের সচেতন থাকা উচিত। শিল্পীকে সবসময় সম্মান দেওয়া উচিত। তবে ছবি নির্মাণের প্রযোজক-পরিচালকদেরও সাবধানী হওয়া কাম্য। এমন কোনও ছবি বা দৃশ্য ব্যবহার করা উচিত নয়, যা সাধারণ মানুষের ভাবাবেগে আঘাত করে।'
জানা গিয়েছে, উত্তরপ্রদেশের ছবি নির্মাণের ক্ষেত্রে বেশ কিছু নয়া নির্দেশিকা আনতে চলেছে যোগী সরকার।
পাকিস্তানী শিল্পীদের (Pakistan Artist) উপর থেকে নিষেধাজ্ঞা উঠবে? মুম্বইয়ে সম্প্রতি কেন্দ্রীয় তথ্য-সম্প্রচার মন্ত্রী (Union Minister) অনুরাগ ঠাকুরকে এই প্রশ্ন করা হয়েছিল। সেভাবে কোনও প্রত্যক্ষ জবাব দেননি মন্ত্রী। এ প্রসঙ্গে উল্লেখ্য, মুম্বইয়ে শুরু হয়েছে সাংহাই সহযোগিতা সংস্থা চলচ্চিত্র উৎসব। এই উৎসবের উদ্বোধনে উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় তথ্য-সম্প্রচার মন্ত্রী (Anurag Thakur)। এছাড়াও ছিলেন অক্ষয় কুমার, হেমা মালিনী, টাইগার শ্রফ, পুনম ধিলো প্রমুখ।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে চলচ্চিত্র উৎসবে পাকিস্তানের অংশগ্রহণ ও পাকিস্তানি শিল্পীদের প্রসঙ্গ উঠলে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী জানান, 'অন্য দেশের মতো পাকিস্তানকেও অংশ নিতে আহ্বান জানানো হয়েছিল, কিন্তু তারা অংশ নেয়নি। যেকোনও বহুদেশীয় উদ্যাপনের ক্ষেত্রে সব দেশকেই অংশগ্রহণ করার জন্য আহ্বান জানানো হয়। অংশ নেওয়া বা না নেওয়া তাদের ব্যাপার। সাংহাই সহযোগিতা সংস্থার সব সদস্যকেই আমাদের তরফে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। আমরা আমাদের পক্ষ থেকে সবার জন্য দরজা খুলে রেখেছি।'
সেখানেই প্রশ্ন ওঠে তবে কি এবার পাকিস্তানি শিল্পীদের উপর থেকে নিষেধাজ্ঞা উঠবে? কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর উত্তর, 'আপাতত সাংহাই সহযোগিতা সংস্থা চলচ্চিত্র উৎসব নিয়েই কথা বলা ভাল।' এ প্রসঙ্গে উল্লেখ্য, ২০১৬-র উড়ি সেক্টরে হামলার পর ভারতে পাকিস্তানি শিল্পীদের উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করে কেন্দ্র।
এই অনুষ্ঠানে বয়কট সংস্কৃতি নিয়েও মুখ খোলেন কেন্দ্রীয় তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী। অনুরাগ ঠাকুর বলেন, 'সেন্সর বোর্ডের থেকে ছাড়পত্র নিয়েই প্রেক্ষাগৃহে ছবি মুক্তি পায়। এর পরেও কারও কোনও অভিযোগ থাকলে তিনি তা জানাতে পারেন, সেন্সর বোর্ডের সঙ্গে তা নিয়ে আলোচনা করা হবে।’
তাঁর সাম্প্রতিক ছবি লাল সিং চাড্ডা বয়কট ট্রেন্ডের (Boycott Bollywood) মুখে পড়েছিল। সেই করিনা কাপুর খান (Kareena Kapoor Khan) এবার বয়কট বলিউড ট্রেন্ডের বিরোধিতায় মুখ খুললেন। বলিউডের বেবো জানান, 'বয়কট শব্দ নিয়ে আমি একেবারে সহমত হতে পারি না। এরকম চলতে থাকলে আমরা আপনাদের আনন্দ দেব কী করে, সিনেমা না থাকলে আপনাদের বিনোদন হবে কী করে?' এভাবেই এক শ্রেণির নেটিজেনদের (Social Media) উদ্দেশে প্রশ্ন ছুড়ে দেন করিনা।
রবিবার কলকাতার এক অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে এভাবে 'বয়কট বলিউড ছবি' প্রসঙ্গে সরব ছিলেন করিনা। ইতিমধ্যে করোনা পরবর্তী সময়ে হিন্দি সিনেমার বিগ বাজেটের অনেক ছবি মুখ থুবড়ে পুড়েছে। সেই তালিকায় যেমন আছে লাল সিং চাড্ডা, তেমন আছে অক্ষয় কুমারের সম্রাট পৃথ্বিরাজের মতো ছবি।
কোনও ছবি অশ্লীল, কোনও ছবি ধর্মীয় ভাবাবেগে আঘাত দিয়েছে ইত্যাদি বিষয়ে নেট মাধ্যমে সরব এক শ্রেণির নেটিজেন। প্রতিবাদ স্বরূপ বয়কট বলিউড ট্রেন্ড চালু করেন তাঁরা। এই মুহূর্তে পাঠান ছবি এই ট্রেন্ডের শিকার। যদিও এই ছবির অগ্রিম টিকিট বিক্রি দেখে কিছুটা আশ্বস্ত প্রযোজনা সংস্থা। প্রথম তিন দিনেই একশো কোটির ব্যবসা করার সম্ভাবনা শাহরুখ খান, দীপিকা পাড়ুকোন, জন আব্রাহাম অভিনীত এই ছবি।
বিচারপতি রাজাশেখর মান্থার (Justice Mantha) বাড়ির সামনে পোস্টার, তাঁর এজলাসের বাইরে বিক্ষোভ এবং হেনস্থার ঘটনা। এই গোটা কাণ্ডে তদন্ত চেয়ে জনস্বার্থ মামলা (PIL) দায়ের করার আবেদন হাইকোর্টে (Calcutta High Court)। মামলা দায়ের করার অনুমতি দিলেন প্রধান বিচারপতি প্রকাশ শ্রীবাস্তবের ডিভিশন বেঞ্চ। মামলাকারীদের আবেদন, সম্পূর্ণ ঘটনার বিচারবিভাগীয় তদন্ত হোক। অথবা, যেকোনও নিরপেক্ষ তদন্তকারী সংস্থার হাতে তুলে দেওয়া হোক তদন্তভার।
এদিকে, বিচারপতি রাজাশেখর মান্থার এজলাস বয়কট ঘিরে এবার বিভাজন রাজ্য বার কাউন্সিল এবং ভারতীয় বার কাউন্সিলের মধ্যে। ঘটনার পূর্ণ তদন্তের জন্য তিন সদস্যের বার কাউন্সিল অফ ইন্ডিয়ার দল এসেছে কলকাতায়। তারা হাইকোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেলের সঙ্গে দেখা করেন। কয়েকজন প্রত্যক্ষদর্শী আইনজীবীদের সঙ্গেও কথা বলার সম্ভাবনা। পাশাপাশি এই প্রতিনিধি দল রাজ্যের অ্যাটর্নি জেনারেলের সঙ্গে কথা বলবে। এই আবহেই রাজ্যের বার কাউন্সিল সোমবার কালা দিবস পালন করছে।
বুকে ব্যাচ পড়ে কালা দিবস পালন করছেন তারা। আজ সাড়ে দশটা থেকে বিকেল পাঁচটা পর্যন্ত চলবে এই প্রতিবাদ কর্মসূচি। অর্থাৎ একদিকে যেমন ঘটনার পূর্ণ তদন্তের জন্য কেন্দ্রীয় বার কাউন্সিলের টিম কলকাতায়, অন্যদিকে কলকাতার বার কাউন্সিল আইনজীবীদের প্রতিবাদের ভাষা কেড়ে নেওয়া হচ্ছে, এই প্রতিবাদে কালা দিবস পালন করছে। রীতিমতো পোস্টার ছাপিয়ে তাঁদের দাবী, আন্দোলনের অধিকার খর্ব করার অপপ্রচারের বিরুদ্ধে এই প্রতিবাদ।
দরজা বন্ধ করে ১৩ নম্বর (Justice Rajasekhar Mantha) এজলাস বয়কট-কাণ্ডে স্বতঃপ্রণোদিত পদক্ষেপ বিচারপতি রাজাশেখর মান্থার। তৃণমূলপন্থী (TMC) ওই আইনজীবীদের বিক্ষোভ ক্রিমিনাল কন্টেম্পট কিনা, তা ঠিক করবে প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ। এছাড়া এই মামলায় হাইকোর্টের (Calcutta High Court) বার অ্যাসোশিয়েশন ও অ্যাডভোকেট জেনারেলকে যুক্ত করার নির্দেশ দেন বিচারপতি। এদিকে এদিন আবার বিচারপতি রাজাশেখর মান্থার এজলাস বয়কটের ঘটনায় প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চে ক্ষমা চান রাজ্যের অ্যাডভোকেট জেনারেল। প্রধান বিচারপতির এজলাসে অ্যাডভোকেট জেনারেল উপস্থিত হয়ে বলেন, 'যা ঘটেছে তাতে আমি লজ্জিত। এটা দুঃখজনক।'
অপরদিকে, আইনজীবীদের একাংশের বিচারপতি রাজাশেখর মান্থার এজলাস বয়কটে বড়সড় সিদ্ধান্ত কলকাতা হাইকোর্টের। এদিন হাইকোর্টের রেজিস্টার জেনারেলকে তলব করে প্রয়োজনীয় নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। সবরকম পদক্ষেপ গ্রহণের অধিকার তাঁর হাতে তুলে দিয়েছে আদালত। কোর্টের বাইরে কোনও আইনজীবী যাতে বাধাপ্রাপ্ত না হন, তা নিশ্চিত করবেন রেজিস্টার জেনারেল। এমনটাই আদালত সূত্রে নির্দেশ গিয়েছে। পাশাপাশি নিরাপত্তার দায়িত্ব গিয়েছে হাইকোর্ট ওসির ঘাড়ে। ঢেলে সাজানো হবে এজলাসের বাইরে নিরাপত্তা, এমনটাই আদালত সূত্রে খবর।
আইনজীবীদের একাংশের বিচারপতি রাজাশেখর মান্থার (Justice Mantha) এজলাস বয়কট প্রসঙ্গে বড়সড় সিদ্ধান্ত কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court)। মঙ্গলবার হাইকোর্টের রেজিস্টার জেনারেলকে তলব করে প্রয়োজনীয় নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। সবরকম পদক্ষেপ গ্রহণের অধিকার তাঁর হাতে তুলে দিয়েছে আদালত। কোর্টের বাইরে কোন আইনজীবী যাতে বাধাপ্রাপ্ত না হন, তা নিশ্চিত করবেন রেজিস্টার জেনারেল। এমনটাই আদালত সূত্রে নির্দেশ গিয়েছে।
পাশাপাশি যারা মামলা করতে ইচ্ছুক, তাঁদেরকে যদি কোন আইনজীবী বাধা দেয় তাহলে তাদের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপের নির্দেশ দেন বিচারপতি রাজাশেখর মান্থা। এ প্রসঙ্গে উল্লেখ্য হাইকোর্টের ১৩ নম্বর এজলাস অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এই এজলাসে অনেক গুরুত্বপূর্ণ মামলার শুনানি চলছে। তাই যে সমস্ত আইনজীবী মামলা করতে ইচ্ছুক, তাঁদের যাতে কোনওভাবেই বাধা দেওয়া না হয়। এটাই নিশ্চিত করবেন রেজিস্টার জেনারেল এবং কলকাতা হাইকোর্টের ওসি। এই নির্দেশ মঙ্গলবার দেন বিচারপতি রাজাশেখর মান্থা। তাঁর স্পষ্ট নির্দেশ, 'প্রয়োজনীয় এজলাসের বাইরের নিরাপত্তা বাড়াতে হবে। যারা আসতে চান না, অসুবিধা নেই। কিন্তু যারা মামলা করতে চান তাদের বাধা দেওয়া যাবে না।'
এদিকে, মঙ্গলবার বিচারপতি রাজাশেখর মান্থার এজলাসের মধ্যেই বাকবিতণ্ডায় জড়ান আইনজীবীরা। পাশাপাশি বিচারপতি মান্থার এজলাস বয়কটের সিদ্ধান্ত ঘিরে তৈরি হয়েছে বিতর্ক। বার অ্যাসোসিয়েশনের একটি অংশের দাবি, 'সাধারণ সভার মাধ্যমে সিদ্ধান্ত হয়েছে, তাঁরা বিচারপতি মান্থার এজলাস বয়কট করবে।' অপর অংশের বক্তব্য, 'এই সাধারণ সভায় সভাপতি, সহ-সভাপতি ছিলেন না। তাই সাধারণ সভাই অবৈধ।' দু'পক্ষের বক্তব্যই জানানো হয়েছে প্রধান বিচারপতি প্রকাশ শ্রীবাস্তবকে।