Breaking News
Abhishek Banerjee: বিজেপি নেত্রীকে নিয়ে ‘আপত্তিকর’ মন্তব্যের অভিযোগ, প্রশাসনিক পদক্ষেপের দাবি জাতীয় মহিলা কমিশনের      Convocation: যাদবপুরের পর এবার রাষ্ট্রীয় বিশ্ববিদ্যালয়, সমাবর্তনে স্থগিতাদেশ রাজভবনের      Sandeshkhali: স্ত্রীকে কাঁদতে দেখে কান্নায় ভেঙে পড়লেন 'সন্দেশখালির বাঘ'...      High Court: নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় প্রায় ২৬ হাজার চাকরি বাতিল, সুদ সহ বেতন ফেরতের নির্দেশ হাইকোর্টের      Sandeshkhali: সন্দেশখালিতে জমি দখল তদন্তে সক্রিয় সিবিআই, বয়ান রেকর্ড অভিযোগকারীদের      CBI: শাহজাহান বাহিনীর বিরুদ্ধে জমি দখলের অভিযোগ! তদন্তে সিবিআই      Vote: জীবিত অথচ ভোটার তালিকায় মৃত! ভোটাধিকার থেকে বঞ্চিত ধূপগুড়ির ১২ জন ভোটার      ED: মিলে গেল কালীঘাটের কাকুর কণ্ঠস্বর, শ্রীঘই হাইকোর্টে রিপোর্ট পেশ ইডির      Ram Navami: রামনবমীর আনন্দে মেতেছে অযোধ্যা, রামলালার কপালে প্রথম সূর্যতিলক      Train: দমদমে ২১ দিনের ট্রাফিক ব্লক, বাতিল একগুচ্ছ ট্রেন, প্রভাবিত কোন কোন রুট?     

Boroma-Naihati

বড় মা পুজোর মূলমন্ত্র: ধর্ম হোক যার যার, বড় মা সবার

বর্তমানে নৈহাটির "বড়মা"  বিখ্যাত রাজ্য তথা দেশজুড়ে, ২১ ফুট উচ্চতা বিশিষ্ট ঘন কৃষ্ণবর্ণ প্রতিমা স্বর্ণলঙ্কারে ভূষিতা, বড় মা পুজোর মূলমন্ত্র হল "ধর্ম হোক যার যার, বড় মা সবার" , যে যার  আশা বিশ্বাস নিয়ে বড়মার কাছে আসে পূজা দিতে। মায়ের ভক্তরা মানত করেন ও দন্ডি কাটেন, মনের ইচ্ছা পূরন হলেই ভক্তরা আবার মাকে অলঙ্কার গড়িয়ে দেন

উল্লেখ্য, ৯৪ বছর আগে ভবেশ চৌধুরী এবং তার সঙ্গীরা নবদ্বীপ গিয়েছিলেন রাস উৎসব এর দর্শন করতে, সেই স্থানে গিয়ে তিনি রাধাগোবিন্দর বিশাল মূর্তি দেখে তাঁর ও মনের ইচ্ছে জাগে সেও  একটি বড় কালী মূর্তি প্রতিষ্ঠা করে পুজো করবেন।  এখন গোটা রাজ্য তথা রাজ্যের বাইরে থেকেও বড়মার টানে আসেন অনেক ভক্ত এবং তাদের দানের পয়সায় পুজোর আয়োজন করা হয়।  দক্ষিণা কালী রূপে পূজিত হয় মা, তাই বলি দেওয়ার কোনো নিয়ম নেই এখানে।


প্রাচীন রীতি মেনে কোজাগরী পূর্ণিমায় নৈহাটির ঐতিহ্যবাহী বড়মা পুজোর কাঠামো পুজো করা হয় । পুজোর দিন সকাল থেকেই মানুষের ঢল নামে পুজো দেওয়ার জন্য পাশাপাশি গঙ্গাবক্ষ থেকে মানতকারী ভক্তরা দণ্ডি কেটে পুজো দেন। বেলা বাড়তেই পুলিশি পাহারায় মা কে অলঙ্কার পরানো শুরু হয়ে যায়। বর্তমান সময়ে আধুনিকতার ছোঁয়া লেগেছে কিছুটা এই পুজোয় , এখন অনলাইনে পুজো দেখা যায় ঘরে বসে। 

প্রচুর ভক্তের জনসমাগম হয় পুজো দেওয়ার জন্য। সারা রাতই প্রায় চলে পুজো। পরের দিন সকালে সমস্ত প্রসাদ ভক্ত ও দর্শনার্থীদের মাঝে বিতরণ করা হয়। 


ভোগ রান্না করা হয় বড়মা নিবাসে, বড়মার পুজোর সমস্ত রান্না করা হয় গাওয়া ঘি দিয়ে, তাছাড়া ১১ টা অমাবশ্যার রাতে মাকে পুজো করা হয় যেখানে ৭০০ কেজির ভোগ রান্না করা হয়।  প্রতিবার পুজোর সময় পাওয়া শাড়ী বিলি করা হয় দুঃস্থদের মধ্যে এবং বেনারসি শাড়ী থাকলে সেটি গরীব অবিবাহিত মেয়েদের জন্যে দেওয়া হয়। বড়মার কাছে দেওয়া ফল ও ফুল বিতরণ করা হয় হাসপাতালের মানুষদের মধ্যে।


, সর্বোপরি বিসর্জনের দিন মায়ের পরিহিত গহনা খুলে ফুলের অলঙ্কার পরানো হয়। হাতে একটি বৃহৎ মিষ্টান্ন ও এক হাতে ঘট ঝোলানো হয়। এই ভাবে মায়ের কাঠামো ধীরে ধীরে গঙ্গা বক্ষের দিকে নিয়ে যাওয়া হয়। কথিত আছে বড় মা বিসর্জনের আগে নৈহাটিতে কোনো ঠাকুর বিসর্জন হয়না। রাস্তার দু ধারে অগণিত ভক্তের সমাগম , চলে বাতাসালুট। কারোর চোখে অস্রু ধারা , কারোর আবার করজোড়ে একটাই প্রার্থনা "আবার এসো মা"। 


ভিডিও কৃতজ্ঞতা ঃ নৈহাটি বড় কালী পূজা সমিতি

2 years ago