
জলাশয় থেকে উদ্ধার হল এক সদ্য়োজাতের মৃতদেহ। মঙ্গলবার সকালে এই ঘটনাকে ঘিরে চাঞ্চল্য় ছড়াল মধ্যমগ্রাম সারদাপল্লী এলাকায়। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে মধ্যমগ্রাম থানার পুলিস যায়, এবং সদ্য়োজাতের মৃতদেহটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য় পাঠায়। তবে কে বা কারা এই সদ্য়োজাতকে ফেলে দিয়ে গেছে তা এখনো জানা যায়নি।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, এদিন সকালে ঘুম থেকেই উঠেই একটা পচা দুর্গন্ধ পায় স্থানীয় এক ব্য়ক্তি। এরপর তিনি তাঁর বাড়ির ভিতরে অনেক খোঁজাখুঁজি করেন। কোনও কিছু না পেয়ে তারপর পাশের ওই জলশয়ের দিকে চোখ পড়়তেই দেখেন কিছু একটা জলে ভাসছে, যার উপর মাছিও বসছে। ভালো করে দেখতেই নজরে আসে একটি সদ্য়োজাতের মৃতদেহ জলে ভাসছে। এরপর স্থানীয়রা খবর দেয় মধ্যমগ্রাম থানার পুলিসকে।
পুলিসের প্রাথমিক অনুমান, আশেপাশের কেউ এই বাচ্চাটাকে মৃত বা জীবিত অবস্থায় ফেলে দিয়ে গেছে। তবে এমন ঘটনা আগে কোনদিন এই এলাকাতে হয়নি বলে জানান স্থানীয়রা। গোটা ঘটনার তদন্ত করে দেখছে মধ্যমগ্রাম থানার পুলিস।
দক্ষিণ ২৪ পরগনার ক্যানিং মহকুমা হাসপাতাল চত্বর থেকে উদ্ধার হল দুই সদ্যোজাতের মৃতদেহ। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ক্যানিং থানার পুলিস গিয়ে ওই সদ্য়োজাতের মৃতদেহ দুটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য় পাঠায়। ঘটনাকে কেন্দ্র করে ব্য়াপক চাঞ্চল্য় ছড়িয়েছে এলাকায়।
পুলিস সূত্রে খবর, বুধবার রাতে মেনোকা সর্দার নামে এক মহিলা ওই দুই সন্তানের জন্ম দেন। দুজন শিশুই কন্য়া সন্তান ছিল। ওই দুই সদ্য়োজাতই মৃত অবস্থায় জন্মানোয় মেনোকার শাশুড়ি মুক্ত সর্দার মৃতশিশু দুটিকে হাসপাতালের বাইরে ফেলে দেন। এরপর এদিন সকালে হাসপাতলের পাশ দিয়ে যাওয়ার সময় স্থানীয়দের নজরে পড়ে সদ্য়োজাত মৃত শিশু দুটি রাস্তার ধারে পড়ে রয়েছে। তারপর খবর দেওয়া হয় পুলিসকে।
তবে এই ঘটনায় হাসপাতালের নিরাপত্তা নিয়ে উঠে আসে নানা প্রশ্ন। প্রসবের পর কিভাবে মা তাঁর সন্তানকে রাস্তাতে ফেলে দিল এবং হাসপাতাল থেকেই কি করে সদ্যোজাত মৃতদেহ দুটি বাইরে আনা হল? ইতিমধ্য়ে গোটা ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে ক্যানিং থানার পুলিস।
নার্সিংহোমে সদ্যোজাত শিশুর মৃত্য়ুকে ঘিরে উত্তেজনা। পরিবারের অভিযোগ, নার্সদের গাফিলতির কারণে মৃত্য়ু হয়েছে ওই সদ্যোজাত শিশুর। শুক্রবার ভোরে ঘটনাটি ঘটেছে হাওড়া জগৎবল্লভপুর এর বড়গাছিয়ার একটি বোসরকারী হাসপাতালে। হাসপাতালের বিরুদ্ধে গাফিলতির অভিযোগ তোলে সদ্যোজাত শিশুর আত্মীয়স্বজন। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে জগৎবল্লভপুর থানার পুলিস গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করেন।
জানা গিয়েছে, বুধবার মনীষা ঘোড়া নামের মহিলা ওই বেসরকারী নার্সিংহোমে ভর্তি হন। বুধবার সন্ধ্য়ে ছয়টা নাগাদ এক কন্যা সন্তানের জন্ম দেন। রোগীর পরিবারের দাবি, গতকাল অর্থাৎ বৃহস্পতিবার রাতে পরিবারের লোকজন রোগীকে এবং তাঁর বাচ্চাকে সুস্থ দেখেই বাড়ি গিয়েছিলেন।
এরপর এদিন ভোরে রোগীর বাড়িতে ওই নার্সিংহোম থেকে ফোন করে বলা হয় শিশুটি অসুস্থ হয়ে পড়েছে। তারপরেই পরিবারের লোকজন তড়িঘড়ি নার্সিংহোমে আসতেই দেখে ওই সদ্যোজাত শিশুটি মারা গিয়েছে। এই ঘটনার পরেও উত্তেজনায় রোগীর আত্মীয়স্বজন ও পরিবারের লোকজন নার্সিংহোম ভাঙচুর করেন। রোগীর পরিবারের অভিযোগ, নার্সরা বাচ্চাকে ফেলে মেরে দিয়েছে।
সদ্যোজাত শিশুকে পাচার। এমন গুরুতর অভিযোগ উঠেছে নার্সিং হোমের বিরুদ্ধে। অপারেশন থিয়েটার থেকে দুই টেকনিসিয়ান সহ ৮ জনকে গ্রেফতার করে লাভপুর থানার পুলিস। মাত্র ২০ হাজার টাকার বিনিময়ে সদ্যোজাত শিশুকে বিক্রি করতে গিয়ে ধরা পড়েছে পাচারকারীরা৷ ঘটনাটি ঘটেছে বোলপুরের একটি নার্সিংহোমে। প্রাথমিক তদন্তে তথ্য মেলে পুলিসের হাতে৷
জানা গিয়েছে, গত ২০ সেপ্টেম্বর লাভপুরের বাসিন্দা এক প্রসূতিকে বোলপুরের ওই নার্সিংহোমে ভর্তি করেছিল৷ সেদিনই একটি শিশুর জন্ম হয়। পুলিস সূত্রে খবর, অপারেশন থিয়েটার থেকেই সদ্যোজাতকে মাত্র ২০ হাজার টাকায় লাভপুরের কুর্ণাহারে বিক্রি করা হয় সদ্যজাত শিশুটিকে। পরে ফের ৭৫ হাজার টাকায় ওই সদ্যোজাত শিশুকে বিক্রি করা হয়৷ এই গোটা বিষয়টি সূত্রের মাধ্য়মে জানতে পেরে তদন্তে নামে লাভপুর থানার পুলিস।
সদ্যোজাত শিশু পাচার চক্রের ঘটনায় ৮ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিস। তাদের মধ্যে হেমন্ত মাজি ও সরূপ দাঁ দুজন আদ্যাশক্তি নার্সিংহোমের অপারেশন থিয়েটারের টেকনিসিয়ান৷ প্রাথমিক তদন্তে পুলিস জানতে পারে নার্সিংহোমের এই দুই কর্মীর প্রত্যক্ষযোগে রমরমিয়ে চলত শিশু পাচার৷ অপারেশন থিয়েটারে শিশু জন্মানোর পরেই সুযোগ বুঝে দরদাম ঠিক হয়ে যেত। কখনও পরিবারকে রাজি করিয়ে চলত শিশু পাচার, আবার কখনও সন্তান জীবিত নেই বলে পাচার করে দেওয়া হত৷
সোমবার ধৃতদের বোলপুর মহকুমা আদালতে তোলা হয়৷ বিচারক ৭ দিন পুলিসি হেফাজতের নির্দেশ দেন। ঘটনার পর থেকে নার্সিংহোমের অফিসে ঝুলছে তালা। হাসপাতালে নেই চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মীরা। শুধুমাত্র হাসপাতালের কর্তৃপক্ষের তরফে একজন ছিল। কিন্তু তাঁকে প্রশ্ন করা হলেও তিনি মুখ লুকিয়ে পালিয়ে যান৷
নদী থেকে উদ্ধার হল এক সদ্যোজাতের মৃতদেহ। বুধাবার নকশালবাড়ির বাবু পাড়ার খেমচী নদীতে দেখতে পাওয়া যায় ওই সদ্যোজাতকে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে নকশালবাড়ি থানার পুলিস এসে মৃতদেহটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য় নিয়ে যায়। যদিও এখনও ওই সদ্য়জাতের পরিবারের কোনও খোঁজ পাওয়া যায়নি। পুলিসের অনুমান, ওই মৃত সদ্যোজাতের বয়স ৪ থেকে ৫ মাস হতে পারে। তবে সদ্য়জাতের মৃতদেহ উদ্ধার ঘিরে চাঞ্চল্য় ছড়িয়েছে।
জানা গিয়েছে, এদিন সকালে বাবু পাড়ার খেমচী নদীতে স্থানীয়রা একটি সদ্যোজাত পুত্র সন্তানের মৃতদেহ দেখতে পান। এরপর ঘটনার খবর দেওয়া হয় নকশালবাড়ি থানায়। নকশাল বাড়ি থানার পুলিস ঘটনাস্থলে পৌঁছে প্রথমে মৃতদেহটি উদ্ধার করে নকশালবাড়ি গ্রামীন হাসপাতালে নিয়ে যায়। তারপর মৃতদেহটিকে ময়না তদন্তের জন্য উত্তরবঙ্গ মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে পাঠানো হয়। তবে কিভাবে ওই সদ্যোজাতের মৃত্যু হল এবং কি করে নদীতে এসে পড়ল তা নিয়ে তদন্তে নেমেছে নকশাল বাড়ি থানার পুলিস।
অমানবিক, মর্মান্তিক বললেও কম বলা হবে। বৃহস্পতিবার সাতসকালে এক নৃশংস ঘটনার সাক্ষী থাকল বাগুইহাটি। বাড়ির নর্দমা থেকে উদ্ধার সদ্যোজাত শিশুর পচাগলা মৃতদেহ। স্বাভাবিকভাবেই যা ঘিরে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এলাকায়। বিধাননগর পুরনিগমের ১৮ নম্বর ওয়ার্ড উদয়ন পল্লী এলাকার দুটি বাড়ির মধ্যেকার নালা থেকে উদ্ধার হয় ওই সদ্যোজাতের দেহ।
স্থানীয় বাসিন্দা রেনুকা বিশ্বাস জানিয়েছেন, বৃহস্পতিবার সকালে বাড়ির নালা থেকে দুর্গন্ধ বেরোলে তিনি নর্দমা পরিষ্কার করতে যান। তখনই একটা ছোট লাঠি দিয়ে নর্দমার মধ্যে কী রয়েছে তা দেখতে গিয়ে আঁতকে ওঠেন। ভেসে ওঠে শিশুর পা।। দ্রুত তিনি খবর দেন প্রতিবেশীদের, খবর দেওয়া হয় ক্লাবেও। খবর যায় বাগুইআটি থানায়। পুলিস এসে সদ্যোজাতের দেহ উদ্ধার করে।
শিশুর দেহটিকে উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য নিয়ে যাওয়া হয়েছে হাসপাতালে। তবে কোথা থেকে কীভাবে ওই নর্দমার মধ্যে সদ্যোজাতের দেহ এলো? কে বা কারা এই ঘটনার সঙ্গে জড়িত তা এখনও জানতে পারা যায়নি। গোটা ঘটনার তদন্তের স্বার্থে সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখা হয়েছে। গোটা ঘটনার তদন্ত করছে বাগুইহাটি থানার পুলিস।
পুলিস সূত্রে আরও জানা গিয়েছে, উদ্ধার হওয়া সদ্যোজাত শিশুটি কন্যাসন্তান। আর সেখানেই উঠছে প্রশ্ন, ঘন জনবসতি এলাকায় কে বা কারা এই শিশুকে ফেলে দিল নর্দমায়। কন্যাসন্তান বলেই পৃথিবীর আলো দেখার সঙ্গে সঙ্গে, তার এই পরিণতি? সবার মুখে শোনা যায় অনেক উন্নত আমরা, এটাই কি উন্নতির পরিণতি?
কিছুদিন আগেই ধুমধাম করে মেয়ের জন্মদিন পালন করেছিলেন অনীক ধর (Aneek Dhar)। সোমবার বাড়িতে নতুন সদস্যের আগমনের খবর দিলেন গায়ক। তাঁর স্ত্রী দেবলীনা পুত্র সন্তানের জন্ম দিয়েছেন। সামাজিক মাধ্যমে একটি ছবি আপলোড করে অনীক লিখেছেন, 'আজ ঈশ্বর আমাকে, দেবলীনাকে ও আমাদের পরিবারকে একটি সুস্বাস্থ্য সম্পন্ন পুত্র সন্তান উপহার দিয়ে আশীর্বাদ করেছেন।' জানা গিয়েছে, অনীকের স্ত্রী ও সন্তান দুজনেই সুস্থ রয়েছেন।
কিছুদিন আগেই দেবলীনার সাধের অনুষ্ঠান হয়েছিল বড় করে। এরপরেই জীবনে এল নতুন অধ্যায়। কেরিয়ার জীবনেও বেশ সফল অনীক। সারেগামাপা এর মঞ্চ থেকে গান গেয়ে জনপ্রিয়তা পেয়েছিলেন গায়ক। বহু অনুষ্ঠানে গান গেয়ে দর্শকদের মন জিতেছেন। ব্যক্তিগত জীবনও এবার জমজমাট হল সন্তানের আগমনে।
সদ্যোজাত সন্তানের খবর প্রকাশ্যে আসে একদিন পরে। রবিবার রাতে সোশ্যাল মিডিয়ায় সন্তানের ছবি প্রকাশ্যে আনলেন ভারত অধিনায়ক সুনীল ছেত্রী। মুখ না দেখালেও অনুগামীদের জন্য জানিয়ে দিলেন নাম।
গত ৩০ অগাস্ট পুত্র সন্তানের বাবা হন সুনীল ছেত্রী। ভারতীয় দল থেকে আগে ভাগেই ছুটি নিয়ে রেখেছিলেন। জানা যায়, বেঙ্গালুরুর এক নার্সিংহোমে সন্তানের জন্ম দেন সুনীল জায়া সোনম। রবিবার সুনীল জানালেন, তাঁর সন্তানের নাম রাখা হয়েছে ধ্রুব।
পাশাপাশি এই বাবা হওয়ার অভিজ্ঞতা ও গোটা সফরের কী লড়াই, তাও শেয়ার করলেন ভারত অধিনায়ক। সোশ্যাল মিডিয়ায় লিখলেন, "৩০ অগাস্ট রাতে সন্তানের বাবা হয়েছি। জীবনে আজ পর্যন্ত যা যা হয়েছে, সেগুলির মধ্যে সব থেকে গুরুত্বপূর্ণ সময়। কিন্তু এই পথ এত সহজ ছিল না। প্রত্যেক সময় মনে হয়েছে, এতটা পথ পেরিয়েছি। আবার নতুন করে শুরু করেছি। কিন্তু মন থেকে বিশ্বাস হারাইনি কোনও দিন। এখন আমরা তিনজন এখানে একসঙ্গে।" সুনীল সবাইকে ধন্যবাদ জানিয়ে লেখেন, "আপনাদের অজস্র শুভেচ্ছাবার্তা পেয়েছি। এই ভালবাসা কখনও ভুলতে পারব না। মন থেকে আপনাদের সবাইকে ধন্যবাদ। আমরা সময় নিয়েছি। বিশ্বের কাছে পরিচয় করানোর জন্য অনেকটা সময়। এই আমাদের সন্তান। নাম ধ্রুব।"
সদ্যোজাতের মৃত্যু (Newborn death) ঘিরে ব্যাপক উত্তেজনা। চিকিৎসায় গাফিলতির (medical negligence) অভিযোগ উঠেছে হাওড়া (Howrah) শিবপুরের একটি বেসরকারি নার্সিংহোমের বিরুদ্ধে। প্রতিবাদে নার্সিংহোম চত্বরে বিক্ষোভ দেখান শিশুর পরিবারের সদস্যরা।
জানা গিয়েছে, শনিবার সকালে প্রসব যন্ত্রণা নিয়ে ভর্তি হন বি গার্ডেন থানা এলাকার বাসিন্দা সমিতা মিত্র। দুপুরে কন্যা সন্তানের জন্ম দেন। এরপর বিকেল থেকে শারীরিক অবস্থার অবনতি হতে থাকে সদ্যোজাতের। অভিযোগ, নার্সিংহোম থেকে দেরিতে খবর দেওয়া হয় পরিবারকে। সেখানে থেকে হাওড়া হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে সদ্যোজাতকে মৃত বলে ঘোষণা করেন চিকিৎসকেরা।
খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় শিবপুর থানার পুলিস। অভিযুক্ত চিকিৎসকের শাস্তির দাবিতে সরব হন শিশুর পরিবার। এখন দেখার, হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ ও পুলিস কী পদক্ষেপ নেয়।
এক-দুটো নয়, পরপর সাত নবজাতক (New Born) শিশুকে হত্যা করার অভিযোগ উঠেছে এক নার্সের (Nurse) বিরুদ্ধে। এখানেই শেষ নয়, পরে আরও ছয় নবজাতক শিশুকে হত্যা করার চেষ্টা করারও অভিযোগ উঠেছিল। তাকেই এবারে দোষী সাব্যস্ত করল আদালত। আগামী সোমবার তার সাজা ঘোষণা করা হবে। জানা গিয়েছে, ঘটনাটি ব্রিটেনের (Britain) এক হাসপাতালের। সূত্রের খবর, সেই নার্সকে ধরিয়ে দিতে সাহায্য় করেছেন ভারতীয় বংশোদ্ভূত এক চিকিৎসক।
সূত্রের খবর, ৩৩ বছর বয়সী অভিযুক্ত নার্সের নাম লুসি লেটবি (Lucy Letby)। সে উত্তর-পশ্চিম ইংল্য়ান্ডের চেস্টার হাসপাতালে কাজ করত। ২০১৫ সালের জুন মাস থেকে ২০১৬ সালের জুন মাসের মধ্য়ে একাধিক শিশুর মৃত্যুর ঘটনা প্রকাশ্যে আসে। তখন ভারতীয় বংশোদ্ভূত এক চিকিৎসকই লুসির উপর প্রথমে সন্দেহ করেন। সেই সময়ে তার বিরুদ্ধে উপযুক্ত প্রমাণ না থাকায় তাকে গ্রেফতার করা হয়নি। কিন্তু ২০১৮ সালে তার বাড়ি থেকে কিছু চিঠি পাওয়ার পরে লুসি লেটবিকে গ্রেফতার করা হয়।
জানা গিয়েছিল, লুসি নবজাতকদের হাওয়া ভরা ইনজেকশন, বেশি করে দুধ খাইয়ে ও ইনসুলিন দিয়ে হত্যা করত। কিন্তু তার বিরুদ্ধে শিশু হত্যার অভিযোগ আনা হলেও সে সবকিছুই অস্বীকার করে। তবে তার বাড়ি থেকে যে চিঠিগুলো উদ্ধার করা হয়েছিল, সেখানে লেখান ছিল, 'আমিই শয়তান, আমিই সবকিছু করেছি।' ফলে সেই সময় থেকে এই মামলা চলছে। অবশেষে শুক্রবার তাকে দোষী সাব্যস্ত করা হয় ও সোমবার তার সাজাও ঘোষণা করা হবে।
রাস্তার পাশ থেকে উদ্ধার (Rescue) হল একটি সদ্যোজাত (Newborn) শিশুকন্য়া। মঙ্গলবার, রাতে ফাঁসিদেওয়ার (Phansidewa) ফৌজিজোতে এই অমানবিক ঘটনাটি ঘটেছে। খবর পেয়ে ঘোষপুকুর ফাঁড়ির পুলিস ঘটনাস্থলে এসে সদ্যোজাত ওই শিশুটিকে উদ্ধার করে ফাঁসিদেওয়া হাসপাতালে নিয়ে আসে। এই ঘটনাকে ঘিরে শোরগোল পড়ে গিয়েছে গোটা হাসপাতাল চত্বরে।
জানা গিয়েছে, মঙ্গলবার রাত ৮ টা নাগাদ ফৌজিজোতের বাসিন্দা নন্দীলাল সিংহ বাড়িতে থেকে বেরিয়ে দেখতে পান, তাঁর বাড়ির সামনে চাদরে মোড়া অবস্থায় একটি সদ্য়োজাত শিশু পড়ে রয়েছে। সঙ্গে সঙ্গে ফাঁসিদেওয়ার থানার ঘোষপুকুর ফাঁড়ির পুলিসকে খবর দেয় গ্রামবাসীরা। ঘটনার খবর পেয়ে ঘোষপুকুর ফাঁড়ির পুলিস তড়িঘড়ি ঘটনাস্থলে পৌঁছে সদ্যোজাত শিশুটিকে উদ্ধার করে ফাঁসিদেওয়া হাসপাতালে নিয়ে যায়। চিকিৎসকরা জানিয়েছে, মাত্র দুই দিন বয়স এই সদ্য়োজাত শিশুটির।
স্থানীয় সূত্রে খবর, মঙ্গলবার রাতে আচমকা ঘরের বারান্দায় শিশুর কান্নার আওয়াজ শুনে বাইরে বেরিয়ে সদ্য়োজাত একটি কন্যাসন্তানকে রাস্তায় পড়ে থাকতে দেখা যায়। স্থানীয়দের ধারণা, শিশুটি কন্যাসন্তান হওয়ায় কারণেই তাঁর বাবা-মা হয়ত তাঁকে এভাবে ফেলে পালিয়ে গিয়েছে। তবে শিশুটি সুস্থ রয়েছে এবং হাসপাতালে পাঠানোর পর নজরদারিতে রাখা হয়েছে। কে বা কারা এই সদ্যোজাত শিশুটিকে ফেলে গিয়েছে তা জানতে তদন্তে নেমেছে পুলিস প্রশাসন।
পুলিস অফিসাররাও চমকে গিয়েছিলেন। এমনও সম্ভব। শখ মেটানোর জন্য নিজের একরত্তি সন্তানকে বিক্রি করলেন এক দম্পতি! পুলিস জানতে পারে আইফোন ১৪ কিনবে বলে আট মাসের সন্তানকে বিক্রি করে দিয়েছেন সদ্যোজাতের বাবা ও মা। পুলিস সূত্রে খবর, উত্তর ২৪ পরগনা জেলার।
পুলিস জানিয়েছে, সাথী নামে এক মহিলাকে গ্রেফতার করা হয়েছে। জেরায় তিনি জানিয়েছেন, যে প্রতিবেশী এক মহিলার কাছে সন্তানকে বিক্রি করে দিয়েছেন তিনি। মহিলার কাছে সন্তানকে বিক্রি করে দিয়েছে। ওই মহিলার স্বামী জয়দেবকেও গ্রেফতার করেছে পুলিস। প্রিয়াঙ্কা নামে এক মহিলাকে ওই বাচ্চাকে বিক্রি করা হয়েছে। আট মাসের ওই শিশুটিকে কিনতে ভালোই দাম দিয়েছেন তিনি।
এক প্রতিবেশী পুলিসকে জানাবার পরই পদক্ষেপ করে পুলিস। প্রতিবেশীরা পুলিসকে জানান, ওই দম্পতির অর্থাভাব ছিল। বাচ্চা হওয়ার পরেও তাঁদের অর্থাভাব ছিল। গত কয়েকদিন ধরে তাঁদের হাবভাবে বদল আসে। তাঁদের হাতে আইফোন হাতে ঘুরছিলেন তাঁরা। পোশাকেও পরিবর্তন এসেছিল। এরপরই পুলিসকে জানায় প্রতিবেশীরা। তদন্তে নেমে পুলিস সবটা জানতে পেরে ওই দুই অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে।
একটি কাঠের পুলের নিচ থেকে উদ্ধার হল (Rescue) দুটি সদ্যজাত (Newborn) শিশুর (Child) মৃতদেহ। শুক্রবার, দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলার সাগর ব্লকের নরহরিপুর এলাকায় এই ঘটনাটি ঘটেছে। ঘটনার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে সাগর থানার পুলিস এসে মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য় পাঠায়। এই মৃতদেহ উদ্ধার ঘিরে ব্য়পক চাঞ্চল্য় ছড়িয়েছে গোটা এলাকায়।
স্থানীয় ও পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, শুক্রবার সকালে দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলার সাগর ব্লকের নরহরিপুর এলাকায় একটি কাঠের পুলের নিচে প্রথমে একটি সদ্যজাত শিশুর মৃত দেহ দেখতে পায় স্থানীয় বাসিন্দারা। এরপর খবর দেওয়া হয় সাগর থানায়৷ খবর পেয়ে তড়িঘড়ি সাগর থানার পুলিস ঘটনাস্থলে এসে মৃত ওই শিশুটিকে উদ্ধার করতে গিয়ে ওই মৃত শিশুটির পাশে পড়ে থাকা একটি ব্যাগের ভেতর থেকে আরও একটি সদ্যজাত শিশুর মৃতদেহ উদ্ধার করে।
ওই দুই সদ্যজাত শিশুর মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য কাকদ্বীপ সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়। কে বা কারা ওই দুই সদ্যজাতকে এভাবে রেখে গিয়েছে তা জানতে এই পুরো ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে সাগর থানার পুলিস।
পথে চলতে চলতেই সন্তানের জন্ম (Born) দিলেন এক তরুণী। এর আগেও চলতি পথে কিংবা ট্রেনে-বাসে হঠাৎ প্রসববেদনা উঠে সন্তানের জন্ম দেওয়ার কথা শোনা গিয়েছে। তবে পথে হাঁটতে হাঁটতে সন্তান জন্ম দেওয়া ঘটনা কিন্তু তেমন শোনা যায় নি। এমনি এক ভিডিও সমাজমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে।
ভিডিয়োটিতে দেখা গিয়েছে, আমেরিকার কোনও একটি শহরের ইউনিয়ন স্কোয়্যারের রাস্তা দিয়ে হেঁটে যাচ্ছিলেন এক অন্তঃসত্ত্বা (Pregnent) তরুণী। কিন্তু সেই মুহূর্তে সন্তান প্রসব করার মতো অবস্থা ছিল না তাঁর। তবে সব কিছু সময় দিনক্ষণ দেখে তো আর হয় না। পথে হাঁটতে হাঁটতে হঠাৎ থমকে গিয়ে রাস্তার উপর শুয়ে পড়েন ওই তরুণী। তাঁকে দেখে আশপাশ থেকে ছুটে আসেন পথচারীরা। তাড়াতাড়ি করে সদ্যোজাত এবং ওই তরুণীকে হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। কিন্তু চিকিৎসকরা ওই তরুণীকে পরীক্ষা করে জানিয়েছেন, তিনি মাদকাসক্ত ছিলেন। তার প্রভাবেই এমন অসাবধানতায় সন্তান প্রসব করেন তিনি। জানা গিয়েছে, এখন মা ও শিশু দু’জনেই সুস্থ আছে।
ফের প্রকাশ্যে এল সরকারি হাসপাতালের দুরাবস্থার চিত্র। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের দায়িত্বজ্ঞানহীনতা। রোগীর পরিবারের অভিযোগ, হাসপাতাল চত্বরে বেড়েছে কুকুরের (Dog) উৎপাত। এমনকি ওয়ার্ডের মধ্যে অবাধে বিচরণ সারমেয়দের। সম্প্রতি সদ্যজাতকে কামড়ে, মুখে করে ওয়ার্ড থেকে নিয়ে চলে গেল কুকুর। মৃত্যু (Death) হয় ওই নবজাতক শিশুর (Newborn)। এমনই ভয়ঙ্কর ঘটনা সামনে আসতে নড়েচড়ে বসেছে প্রশাসন। ঘটনাটি ঘটেছে কর্নাটকের (Karnataka) শিবমোগা জেলায়।
স্বাভাবিকভাবেই ঘটনায় চাঞ্চল্য তৈরি হয়েছে। জানা গিয়েছে, হাসপাতালের কর্মীদের যতক্ষণে নজরে আসে যে, কুকুরটি সদ্য়জাত শিশুকে মুখে নিয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছে, ততক্ষণে অনেকটাই দেরী হয়ে যায়। এরপরই হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। এদিকে, ঘটনার পর থেকে খোঁজ মিলছে না শিশুটির অভিভাবকদেরও। গোটা ঘটনার তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
পুলিস সূত্রে খবর, শনিবার সকালে কর্নাটকের শিবমোগা জেলায় একটি সরকারি হাসপাতালে ঘটনাটি ঘটেছে। হাসপাতালের প্রসূতি বিভাগ থেকে কাপড়ে মোড়া শিশুটিকে মুখে করে নিয়ে হাসপাতালের মধ্যে ঘুরে বেড়ায় কুকুরটি। কিছুক্ষণ বাদে হাসপাতালের নিরাপত্তারক্ষীর নজরে আসে বিষয়টি। তখনই কুকুরটিকে ধাওয়া করে কুকুরটির মুখ থেকে শিশুটিকে উদ্ধার করে। তবে ততক্ষণে শিশুটির মৃত্য়ু হয়েছিল বলেই জানা গিয়েছে। কুকুরের কামড়েই শিশুটির মৃত্যু হয়েছে নাকি আগেই হয়েছিল, তা এখনও জানা যায়নি। বর্তমানে শিশুটির দেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে, রিপোর্ট পাওয়ার পরই মৃত্যুর আসল কারণ জানা যাবে।
উল্লেখ্য, পুলিসের তরফে জানানো হয়েছে মৃত শিশুটির অভিভাবকদের পরিচয় এখনও জানা সম্ভব হয়নি। স্বতঃপ্রণোদিত মামলা করা হয়েছে। কীভাবে হাসপাতলের মধ্যে কুকুর ঢোকে এবং শিশুকে মুখে নিয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছে আর কেউ তা কীভাবে দেখল না তা নিয়ে উঠছে প্রশ্ন।