Breaking News
Abhishek Banerjee: বিজেপি নেত্রীকে নিয়ে ‘আপত্তিকর’ মন্তব্যের অভিযোগ, প্রশাসনিক পদক্ষেপের দাবি জাতীয় মহিলা কমিশনের      Convocation: যাদবপুরের পর এবার রাষ্ট্রীয় বিশ্ববিদ্যালয়, সমাবর্তনে স্থগিতাদেশ রাজভবনের      Sandeshkhali: স্ত্রীকে কাঁদতে দেখে কান্নায় ভেঙে পড়লেন 'সন্দেশখালির বাঘ'...      High Court: নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় প্রায় ২৬ হাজার চাকরি বাতিল, সুদ সহ বেতন ফেরতের নির্দেশ হাইকোর্টের      Sandeshkhali: সন্দেশখালিতে জমি দখল তদন্তে সক্রিয় সিবিআই, বয়ান রেকর্ড অভিযোগকারীদের      CBI: শাহজাহান বাহিনীর বিরুদ্ধে জমি দখলের অভিযোগ! তদন্তে সিবিআই      Vote: জীবিত অথচ ভোটার তালিকায় মৃত! ভোটাধিকার থেকে বঞ্চিত ধূপগুড়ির ১২ জন ভোটার      ED: মিলে গেল কালীঘাটের কাকুর কণ্ঠস্বর, শ্রীঘই হাইকোর্টে রিপোর্ট পেশ ইডির      Ram Navami: রামনবমীর আনন্দে মেতেছে অযোধ্যা, রামলালার কপালে প্রথম সূর্যতিলক      Train: দমদমে ২১ দিনের ট্রাফিক ব্লক, বাতিল একগুচ্ছ ট্রেন, প্রভাবিত কোন কোন রুট?     

Bookfair

Spain: স্পেনের বইমেলায় এবার বাংলার বই, 'মউ' চুক্তি স্বাক্ষর দুই দেশের

স্পেনের বইমেলায় থাকবে এবার বাংলার বুকস্টল। বাংলার লেখক-প্রকাশকদের জন্য আলাদা স্টল দেবে স্পেনের বইমেলা কর্তপক্ষ। বৃহস্পতিবার মাদ্রিদে ‘পাবলিশার্স অ্যান্ড বুকসেলার্স গিল্ড’ (কলকাতা বইমেলার আয়োজক) এবং মাদ্রিদ বইমেলার মধ্যে ‘মউ’ স্বাক্ষরিত হল। এর ফলে বাংলা-স্পেনের সাংস্কৃতিক সম্পর্ক আরও প্রশস্ত হতে চলেছে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। শুধু তাই নয়, প্রকাশনাকে বাণিজ্যের আওতায় নিয়ে আসতে চাইছেন মুখ্যমন্ত্রী।

এদিন, দুই বইমেলার আয়োজকদের বৈঠক ছিল স্পেনে। কলকাতা বইমেলা অর্থাৎ ‘পাবলিশার্স অ্যান্ড বুকসেলার্স গিল্ড’-এর তরফে সেখানে উপস্থিত ছিলেন ত্রিদিব চট্টোপাধ্যায় এবং সুধাংশু দে। তাঁদের কথায়, বইজগৎকে এই সম্মান কেউ দেননি, যেটা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দিচ্ছেন। তাঁদের কথায়, প্রকাশনাকে যে বাণিজ্যের মধ্যে আনা যায়, সেই ধারণা আগে কারও হয়নি  দুই পক্ষের মধ্যে বেশ কিছুক্ষণ এই বিষয়ে আলোচনা হয়, তারপর মউ চুক্তি সাক্ষরিত হয়।

রাজ্য সরকারের তরফে জানানো হয়েছে, বইয়ের প্রচার, প্রসার, বিপণনের ক্ষেত্রে যৌথ কমিটিও গঠন করা হবে। উল্লেখ্য, গত বছরই কলকাতা বইমেলার থ্রিম কান্ট্রি ছিল স্পেন। বৃহস্পতিবার মাদ্রিদেই লা লিগার প্রেসিডেন্টের সঙ্গে বৈঠক ছিল মমতার। ওই বৈঠকে ছিলেন সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ও। তার আগে গায়ে শাল জড়িয়ে প্রাতঃভ্রমণে বেরোতে দেখা যায় মুখ্যমন্ত্রীকে। ইতিমধ্যেই সেই ঘটনার ভিডিও ভাইরাল সোশ্যাল মিডিয়ায়।

8 months ago
Book Fair: মেলায় ভিড় বেশি, বিক্রি কম! ক্রমেই কি ঐতিহ্য হারাচ্ছে আন্তর্জাতিক পুস্তক মেলা

প্রসূন গুপ্ত: কলকাতা বইমেলাকে নিঃসন্দেহে ফ্র্যাঙ্কফুর্ট বইমেলার পরই নাকি রাখা যেতে পারে। এই প্রতিবেদককে একসময় প্রয়াত সাহিত্যিক মহাশ্বেতা দেবী জানিয়েছিলেন যে, ফ্র্যাঙ্কফুর্ট বইমেলা বিক্রিবাট্টা বা ব্যবসার জন্য নয়। জার্মানির কাছে এই মেলা একটা ঐতিহ্য। সারা বিশ্বের লেখক পাঠকরা হাজির হন জার্মানিতে। সেখানে অবশ্যই বই ডিসপ্লে করা হয়ে থাকে। কেনাকাটাও হয়, তবে ফারাক এই যে ওই বইমেলা ঠিক ব্যবসার জন্য নয়। নিয়মিত আলোচনা চক্র থাকে। লেখকরা নিজের ভাষায় তাঁদের বক্তব্য রাখেন, সেই ভাষণ অনূদিত হয়। মহাশ্বেতা দেবীও বক্তব্য রেখেছিলেন।

মিলনক্ষেত্র জার্মানির বইমেলা। এদিকে কলকাতায় বইমেলা শুরু বাম আমলে। কলকাতা ময়দানে আয়োজন করা হতো ধুমধাম করে। ভিড় যেমন থাকতো তেমন বিক্রিবাট্টাও ছিল। সংস্কৃতি মন্ত্রী থাকার সময় থেকে বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য নিয়মিত উপস্থিত থাকতেন বইমেলায়। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আমলেও আরও ঘটা করে এই মেলা হচ্ছে। দেশি-বিদেশিদের ভিড়ে রমরমা ব্যাপার। কিন্তু বই বিক্রি এবং বইয়ের জন্য হা-হুতাশ পুরোনো দিনের মতো নেই। সোশাল নেটওয়ার্কের যুগে বই পড়ার সংস্কৃতি কমেছে ভীষণ ভাবে।

শুধু বাংলা বা ভারতে নয়, সারা বিশ্বে এই অবস্থা। বাম আমলে প্রথমে শুধু মাত্র বইয়ের স্টল থাকতো, কিন্তু দ্রুত সেই নিয়মের পরিবর্তন হয়েছে। ৯০-এর শেষে কলকাতায় ধীরে ধীরে প্রচুর টিভি চ্যানেল আসতে শুরু করে, যা এখন কয়েক ডজনে পরিণত হয়েছে। 

তারাও স্টল দিচ্ছে, এছাড়া খাবারের প্রচুর দোকান। এছাড়া ক্যুইজ ইত্যাদি লোভনীয় পুরস্কার যুক্ত প্রতিযোগিতা রয়েছে। কাজেই বইমেলাতে ঢুকলে এমনিই সময় কেটে যায়। বইমেলা বাম জমানাতেই একটা মিনি পিকনিকক্ষেত্র হয় গিয়েছিলো। যুগলের প্রেমকেন্দ্রের পাশাপাশি গান-বাজনা ইত্যাদি ইত্যাদি।

এদের হয়তো অনেকেই জীবনে গল্পের বই পড়েনি। আজকাল মোবাইলের মধ্যেই বিশ্ব ঢুকে রয়েছে। আজকের সিনেমা স্বল্প সময়ের যেখানে উপন্যাসের বালাই নেই, মানুষের ধৈর্য কমেছে, চটজলদি সবকিছু পেতে চায়। কাজেই বই পড়ার মতো আদ্যিকালের ভাবনাকে পাত্তা দিচ্ছে না আজকালকার ছেলেমেয়েরা। বইমেলায় প্রকাশকরা এক সময় বই বিক্রি করে দারুণ লাভবান হতেন। সারা বছরের বিক্রি এই কয়েকদিনেই উঠে আসতো। লেখকরা নতুন লেখার অনুপ্রেরণা পেতেন। কিন্তু আজ সেসব ধীরে ধীরে বিদায়ের পথে। প্রশ্ন থাকছে  ইন্টারনেটের কাছে কি বই হেরে গেলো? উত্তর শুধু আজকের পড়ুয়াদের কাছে।


one year ago
Book fair: মমতার কবিতা বিতানের ইংরাজি অনুবাদ, 'সমালোচনা ভালবাসেন', বইমেলায় দাবি মুখ্যমন্ত্রীর

প্রথমবার সল্টলেকের (Saltlake) বইমেলা(Kolkata Book fair) প্রাঙ্গণে বসল মেলা। সোমবার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এসেছিলেন বইমেলার উদ্বোধন করতে। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে ছিলেন স্পেনের মন্ত্রী মাকিয়া খোসে গালভেজ সালভাদোর, সাহিত্যিক শীর্ষেন্দু মুখোপাধ্যায় প্রমুখ। সমালোচনা শুনতে তাঁর কেমন লাগে সেই প্রসঙ্গে তিনি বলেন, 'আমি সমালোচনার উর্ধ্বে নই। সমালোচনা করলে খুশি হই, যে তোমায় খারাপ বলে বলুক তুমি খারাপ বলো না।'

এই মুহুর্তে নানা কারনে বিরোধীদের সমালোচনার মুখে রাজ্য সরকার। শিক্ষক দুর্নীতি থেকে শুরু করে জেলায় জেলায় বিক্ষোভের মুখে পড়ছেন ‘দিদির দূত’-রা। এমন সময় মুখ্যমন্ত্রীর মন্তব্য খুবই গুরুত্বপুর্ন। তিনি বলেন,"কুৎসার আঙিনায়, অপপ্রচারের আলিঙ্গনে কারো কারো পছন্দ নাও হতে পারে। আমি সমালোচনার উর্ধ্বে নই। সমালোচনা করলে খুশি হই, যে তোমায় খারাপ বলে বলুক তুমি খারাপ বলো না। এটাই আমাদের শিক্ষা।" 

এই প্রথম নির্ধারিত জায়গায় বসল মেলা। মমতা জানান, একটু জায়গা চেয়ে সবার কাছে ঘুরে বেড়িয়েছেন। আজ স্বার্থকতা পেয়েছেন। তিনি বলেন," আমি দেখতে গেলাম কয়েকটা স্টল, একটা জিনিসই মনে হল প্রথমে। এখানে করার ফলে আকর্ষণ যেমন বেড়েছে, জায়গাও বেড়েছে। এটা কিন্তু বড় কৃতিত্ব।" গত বছর ২৪ কোটি টাকার ব্যবসা হয়েছিল। ২৩ লক্ষ্ মানুষ এসেছিলেন মেলায়। বিভিন্ন রাজ্য থেকে বইপ্রেমীরা আসেন এই মেলায়।

বেলা ১২ টা থেকে রাত ৮ টা পর্যন্ত মেলা চলবে। যাতায়াতের সুবিধের জন্য পরিবহন মন্ত্রী স্নেহাশীষ চক্রবর্তীকে বেশি করে বাস দেওয়ার অনুরোধও করেন মুখ্যমন্ত্রী। দিল্লিতে হবে বাংলা বই মেলা।প্রতিটি জেলা সেখানে অংশগ্রহণ করবে। ২০২৪-র আগে বাংলা বই মেলা হবে দিল্লিতে, পাবলিশার্স এন্ড বুক সেলার্স গিল্ডকে এমন নির্দেশ দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের 'কবিতা বিতান' বই ইংরেজিতে অনুবাদ করা হয়েছে। বইটি মেলায় নিজেই উদ্বোধন করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। তাঁর লেখা ছোটদের জন্য লেখা বই এবং সমকালীন বেশ কিছু বিষয়ের উপরে রাজনৈতিক প্রবন্ধের বইও প্রকাশিত হবে। এখনও পর্যন্ত মুখ্যমন্ত্রীর শতাধিক বই প্রকাশিত হয়েছে। বইমেলার উদ্বোধনের পরে বীরভূম সফরে গিয়ে অমর্ত্য সেনের সঙ্গে দেখা করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

one year ago


Book Fair: আসছে বইমেলা, কিন্তু পড়বে-কিনবে ক'জন!

প্রসূন গুপ্ত: নিয়ম মাফিক কলকাতা বইমেলা আগামী সপ্তাহান্তে শুরু হতে চলেছে। বাম জমানায় কলকাতার ময়দানে বইমেলা হতো। পরে তৃণমূল আমলেও ব্যতিক্রম হয়নি। মাঝে বন্ধ ছিল করোনা আবহে। কিন্তু ফের পূর্ণোদ্যমে শুরু হবে। বিভিন্ন পূজাপার্বনের সাথে বাংলায় বইমেলাও একটি পার্বন নিশ্চিত। কিন্তু আজকের দিনে বই পড়ে কি কেউ? বই অবশ্যই পড়ে আজকালকার ছেলেমেয়েরা কিন্তু তা পাঠ্যপুস্তক। বইমেলা সাধারণত পাঠ্যপুস্তকের বাইরেই থাকে। বিভিন্ন দেশের বই ভ্রমণ কাহিনী থেকে উপন্যাস। এমনকি অজানা বিষয়ের বই পাওয়া যায় বইমেলাতে।

আজকাল ইন্টারনেটের যুগ , কোনও বিষয়ে জ্ঞান দরকার হলে লোকে ইন্টারনেট থেকেই পেয়ে যায়।কয়েক বছর আগেও টেলিভিশন থেকে পত্রপত্রিকা পড়ার ঝোঁক আম জনগণের ছিল। কিন্তু আজকে সকালের খবরের কাগজ পর্যন্ত পড়তে চাই না কেউই। একটু চোখ বুলিয়ে নেওয়া মাত্র। প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী থেকে আজকের মুখ্যমন্ত্রীর লেখা বই পর্যন্ত বই মেলায় আছে, হয়তো কেনেও মানুষ কিন্তু ওই লোক দেখাবার জন্য বলেই দাবি আজকের লেখক সমাজের।

সাহিত্যচর্চার সাহিত্যিকরা একে একে চলে গিয়েছেন, রয়ে গিয়েছেন শীর্ষেন্দু মুখোপাধ্যায় প্রমুখ। তাঁরাও কি আশাবাদী? পাশাপাশি ওপর বাংলার ছবিটি কিন্তু সম্পূর্ণ অন্যরকম। আজকেও বাংলাদেশে নিয়মিত লেখালিখি রয়েছে, পাঠক তো ঘরে ঘরে। সেখানে আজকেও সাহিত্য সভা হয়। আজকেও রবীন্দ্রনাথকে না জানাটা ওদেশে প্রায় অপরাধ। সংস্কৃতিক অনুষ্ঠান হয় নিয়মিত। কাজেই বই পড়ার অভ্যাসটি থেকেই গিয়েছে। ওদেশেও বইমেলাকে প্রাধান্য দেওয়া হয়।আমাদের রাজ্যে বিভিন্ন জেলায় বইমেলা হয় ঠিকই কিন্তু ওই মেলায় গানের জলসা বেশি আকর্ষিত করে। ও দেশে তা নয়।

আমাদের বাংলায় আজকাল যে সিনেমা হয় তার বেশিটি তাৎক্ষণিক গল্প নির্ভর, উপন্যাসধর্মী নয়। এটাও কিন্তু বইয়ের থেকে মুখ ঘুরিয়ে নেওয়ার অন্যতম কারণ। অবশ্যই বইয়ের দাম আকাশচুম্বী কিনবে কজন ? তবুও আসছে বইমেলা।

one year ago