গ্রামের লোকজনকে মারধর (Beaten) করে এক মহিলাকে তুলে নিয়ে যাওয়ার অভিযোগ। মঙ্গলবার চারজনকে গ্রেফতার (Arrest) করেছে পুলিস। ঘটনাটি ঘটেছিল বাগদা (North 24 Parganas) থানার সিন্দ্রানী গ্রাম পঞ্চায়েতের হরিনগর এলাকায়।অভিযুক্তদের মঙ্গলবার বনগাঁ মহকুমা আদালতে তোলা হলে বিচারক তাদের জেল হেফাজতে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন৷জানা গিয়েছে, ধৃত ওই চারজনের নাম গিতু রায়, ঝর্ণা রায়, তপতী রায় ও বন্দনা বিশ্বাস৷
জানা গিয়েছে, বাগদার কনিয়াড়া-২ গ্রাম পঞ্চায়েতের তেঘরিয়া গ্রামের বাসিন্দ পাপিয়া রায়ের সঙ্গে কয়েক বছর আগে পাশের বেলেটারা গ্রামের এক ব্যক্তির বিয়ে হয়৷যদিও বিয়ের আগে থেকেই হরিনগর গ্রামের বাসিন্দা অনুপম বাগচীর সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক ছিল পাপিয়ার। এমনকি ওই মহিলার পরিবারের লোকজন তাঁর অমতেই বিয়ে দিয়েছিল৷ বিয়ের পর পাপিয়া প্রেমিক অনুপমের সঙ্গে পালিয়েও যায় একবার৷ তখন পুলিসই তাঁকে উদ্ধার করে নিয় আসে৷ তবে মাস দুয়েক আগে পাপিয়া ফের অনুপমের বাড়িতে গিয়ে থাকতে শুরু করে৷ এমনকি দুজনে মন্দিরে গিয়ে বিয়েও করেছিল। বিবাহিত স্বামীকে ছেড়ে ওই মহিলা প্রেমিকের বাড়িতে এসে প্রায় দুমাস ধরে ঘর-সংসার করছিল। সেই কথা জানতে পেরেই মহিলার শ্বশুরবাড়ির এলাকার লোকজন গাড়ি করে এসে ওই মহিলাকে তুলে নিয়ে যায়। এমনকি স্থানীয়রা বাধা দিলে তাঁদেরকেও মারধর করা হয়।
অভিযোগ, ৯ই এপ্রিল তেঘরিয়া ও বেলেডাঙ্গা গ্রামের লোকজন লাঠিসোটা নিয়ে গাড়িতে করে প্রেমিক অনুপমের বাড়িতে চড়াও হয়। স্নান করা অবস্থায় ওই মহিলাকে টেনে হিচড়ে গাড়িতে তোলার চেষ্টা করা হয়। এই ঘটনায় হরিনগর গ্রামের লোকজন প্রতিবাদ জানান। এর পরেই তেঘরিয়া ও বেলেডাঙ্গার লোকজন হরিনগর গ্রামের লোকজনের উপর হামলা চালায় ও তাঁদের ব্যাপক মারধর করে। অভিযোগ, এই ঘটনায় ৭ জন মহিলা জখম হয়৷ যার ফলে হরিনগর বাওড়ের ধার পল্লী যুব সংঘের সম্পাদক বিপ্রজিত দাস থানায় অভিযোগ দায়ের করেন৷ তবে অভিযোগ দায়ের করা হলেও পুলিসের ভূমিকা ছিল নিষ্ক্রিয়, এমনই অভিযোগ উঠছে।
স্থানীয়দের দাবি, এই ঘটনায় হরিনগর গ্রামের লোকজন দল বেঁধে বাগদার বিধায়ক বিশ্বজিৎ দাসের দারস্থ হন৷ এই বিষয়ে বিশ্বজিৎবাবু কথা বলেন পুলিসের সঙ্গে৷ এরপরই কিছুটা নড়েচড়ে ওঠে বাগদা থানার পুলিস৷ পুলিস সূত্রে খবর, অভিযুক্ত চার জনকে ইতিমধ্যেই গ্রেফতার করা হয়েছে। তবে বাকি অভিযুক্তদের খোঁজে তল্লাশি চলছে৷
তরুণীর গায়ে কেরোসিন ঢেলে আগুন ধরিয়ে দেওয়ার চেষ্টার অভিযোগ। অভিযোগ উঠেছে ৩ জন যুবকের বিরুদ্ধে। উত্তর ২৪ পরগনার (North 24 Parganas) বনগাঁ থানার রামকৃষ্ণপল্লীর ঘটনা। ইতিমধ্যেই অভিযুক্তদের গ্রেফতার করেছে বনগাঁ থানার (Bangaon Police) পুলিস। অভিযুক্তদের সোমবার বনগাঁ মহকুমা আদালতে পেশ করা হবে। জানা গিয়েছে, নির্যাতিতা তরুণী উত্তর ২৪ পরগনার বনগাঁ থানার রামকৃষ্ণপল্লীর বাসিন্দা। তিনি রবিবার রাত আটটা নাগাদ বনগাঁ শহর থেকে স্কুটি করে বাড়িতে ফিরছিলেন। সেই সময়ই এমন ঘটনা ঘটে।
ওই তরুণীর অভিযোগ, তাঁকে বেশ কয়েক দিন ধরেই ফলো করছিল এক যুবক। তাঁর রেজিস্ট্রি ম্যারেজ হয়েছে তাও ওই যুবক খুব উত্তপ্ত করত তাঁকে। তবে রবিবার রাত আটটা নাগাদ তিন অভিযুক্ত মুখে গামছা বেঁধে এসে তরুণীর পথ আটকায়। তারপরই অভিযুক্তরা তরুণীর গাঁয়ে কেরোসিন তেল ছিটিয়ে আগুন ধরিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করে৷ তবে ঘটনাস্থল থেকে কোনওরকমে পালিয়ে যান ওই তরুণী৷ তারপরই তিনি বনগাঁ থানায় এসে অভিযোগ দায়ের করেন।
এমনকি এই ঘটনায় অভিযুক্তদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির আবেদন করেছেন ওই তরুণী।