হাড়োয়ায় গ্রাম দখলের চেষ্টা। পরপর বোমাবাজি, (Bombing) শূন্যে গুলি চালানোর অভিযোগে তিন আইএসএফ (ISF) নেতা গ্রেফতার (Arrest) হয়েছে। বসিরহাটের (Basirhat) হাড়োয়া থানার বকজুঁড়ি গ্রাম পঞ্চায়েতের মথুরা গ্রামের ঘটনা।
মঙ্গলবার, রাতে একদল আইএসএফ নেতাকর্মী বোমা ও গুলি চালিয়ে গ্রামে সন্ত্রাসের বাতাবরণ তৈরি করার চেষ্টা করে। সেই কারণে ওই গ্রামের বাসিন্দারা তিন আইএসএফ নেতা মসিদুল মল্লিক, নাসিরউদ্দিন সর্দার ও শারিফুল শেখের বিরুদ্ধে হাড়োয়া থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযোগ, তৃণমূল কর্মীদের পরিবার ও গ্রামের মানুষকে ভয় দেখিয়ে নিজেদের দখলে আনার জন্য, পরিকল্পনা করে রাতের অন্ধকারে বোমা ও গুলি চালিয়ে এলাকা সন্ত্রস্ত করে রাখার চেষ্টা করছে আইএসএফ নেতা-কর্মী-সমর্থকরা।
অভিযোগের ভিত্তিতে বুধবার ওই তিন আইএসএফ নেতাকে গ্রেফতার করেছে পুলিস। ধৃত তিন নেতাকে এদিন বসিরহাট মহকুমা আদালতে তোলা হয়েছে। তৃণমূল কংগ্রেসের হাড়োয়া দু'নম্বর ব্লকের সভাপতি বলেন, "বেশ কয়েকদিন আগে আইএসএফ বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকী ওই গ্রামে গিয়ে সভা করে গিয়েছেন। প্রকাশ্যে হুমকি দিয়েছেন, তারই ফলশ্রুতিতে আইএসএফ নেতাকর্মী সমর্থকরা এলাকায় আতঙ্ক, ভয় ও সন্ত্রাসের সৃষ্টি করছে পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে।
ক্যানিং থানার (Canning PS) অন্তর্গত গোলাবাড়ি বাজার এলাকা থেকে বোমা উদ্ধারকে কেন্দ্র করে প্রবল উত্তেজনা। শুক্রবার রাতে দক্ষিণ ২৪ পরগণার (South 24 Pargana) এই এলাকা দখলকে কেন্দ্র করে বোমাবাজি (Bombing and Firing) এবং শনিবার সকালেই উদ্ধার করা হয়েছে বোমা। এমনটাই স্থানীয়দের অভিযোগ।
স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, গতকাল ব্লক সভাপতি শানু, অঞ্চল দেখাশোনার জন্য আসলে, ইটখোলা অঞ্চল উপপ্রধান খতিব সরদারের লোকজন এসে আচমকাই সেখানে বোমাবাজি করে ও গুলি চালায়। আর সকাল হতে না হতেই এখান থেকে উদ্ধার করা হয় তাজা বোমা। স্থানীয় লোকজন ক্যানিং থানায় খবর দিলে, পুলিস এসে বোমা উদ্ধার করেছে।
তবে খতিব সরদারের দাবি, 'তাঁর লোকজন এ কাজ করেনি, কারা করেছে তা তিনি জানেন না। গোলাবাড়ি এলাকায় এরকম বোমাবাজি নিয়ে তিনিও খুব আতঙ্কিত।' এই ঘটনায় ৬ জনকে আটক করেছে পুলিস। এছাড়াও এলাকা থেকে উদ্ধার হয়েছে একটি আগ্নেয়াস্ত্র ও কার্তুজ। ঠিক কী কারণে এই ঘটনা এবং কারা জড়িত আছে ঘটনার সঙ্গে তা খতিয়ে দেখছে পুলিস।
সাতসকালে বোমা উদ্ধারকে ঘিরে চাঞ্চল্য এলাকায়। ঘটনাটি বাসন্তী থানার (Basanti PS) আমঝাড়া গ্রাম পঞ্চায়েতের (Panchayat) নিতাইপাড়ার। অভিযোগ, গভীর রাতে দুষ্কৃতীরা এলাকায় বোমাবাজি করে। বুধবার সকালে ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখা যায় প্রাক্তন পঞ্চায়েত সদস্য তথা শিক্ষক সুনীল নস্করের বাড়ির সামনে রাস্তার উপরে বোমাবাজির দাগ। পড়ে ছিল একটি তাজা বোমাও (Bombing)।
এমনকি ঢিল ছোঁড়া দূরত্বে কালী মন্দিরের সামনেও বোমাবাজির দাগ এবং সুতুলি পড়ে থাকতে দেখা গিয়েছে। এমএসকে শিক্ষাকেন্দ্রের সামনেও বোমার দাগ দেখেন স্থানীয়রা। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে যথেষ্ট চাঞ্চল্য় এলাকায়। ঘটনার খবর পেয়ে বাসন্তী থানার পুলিস এসে বোমা উদ্ধার করে বম্ব স্কোয়াডে খবর দেয়। তদন্ত শুরু করেছে বাসন্তী থানার পুলিস।
এক স্থানীয় জানান, 'সকালে উঠে বোমা পড়ে থাকতে দেখে প্রশাসনকে জানাই। রাতে বোমাবাজির ঘটনায় যথেষ্ট আতঙ্কে ছিলাম।' স্পষ্টতই পঞ্চায়েত ভোটের আগে এভাবে বোমাবাজির ঘটনায় চাপা আতঙ্কে গ্রাম।
বীরভূম (Birbhum) লাভপুরের দরবারপুরে পুলিসকে লক্ষ্য করে দুষ্কৃতীদের বোমাবাজি (Bombing)। একটি মেলাকে ঘিরে এই উত্তেজনা, এমনটাই পুলিস সূত্রে খবর। দরবারপুর থানার আধিকারিক পার্থসারথী সাহার নেতৃত্বে পুলিসের (Police) একটি দল মেলায় অভিযানে যায়। তাঁদের কাছে খবর ছিল মেলায় অসামাজিক কাজকর্ম চলছে। তাই পুলিসের উপস্থিতি দেখে মেলায় জমায়েত করা দুষ্কৃতীরা পুলিসের উদ্দেশে বোমা ছোড়ে। এই বোমাবাজিতে আহত এক পুলিসকর্মীকে প্রাথমিক চিকিৎসার পর ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।
তবে স্থানীয়দের মনে প্রশ্ন, এভাবে পুলিসকে উদ্দেশ্য করে বোমাবাজি করলে নাগরিক নিরাপত্তা কোথায়? স্বাভাবিকভাবে প্রশ্ন উঠছে পুলিসি ভূমিকা নিয়েও। অতীতেও বালি খাদানের দখলদারি ঘিরে এই দরবারপুরে বোমাবাজির ঘটনায় প্রাণহানি ঘটেছে। এই ঘটনায় মেলায় স্টল দেওয়া স্থানীয় এক দোকানদার জানান, 'বোমাবাজির শব্দ শুনে ভয়ে দোকান বন্ধ করে পালাই। তারপর কী হয়েছে জানি না।'
তবে এই ঘটনায় পুলিসের তরফে কোনও প্রতিক্রিয়া মেলেনি।
আবারও বোমা বিস্ফোরণের ঘটনা। এবার জগদ্দলের (Jagaddal) মমিনপারা অঞ্চলে বিয়ে বাড়িতে মাইক বাজানো ঘিরে বচসা। এরপরই চলে বোমাবাজি (bombing)। ঘটনায় আহত (injured) হন ৪ জন। আহতদের হাসপাতালে (hospital) নিয়ে গেলে সেখানে চিকিত্সার পর ৩ জনকে ছেড়ে দেওয়া হয়। বাকি ১ জন এখনও চিকিত্সাধীন। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে মোতায়েন বিশাল পুলিসবাহিনী (police)। আতঙ্কে স্থানীয়রা। দুষ্কৃতীদের শাস্তির দাবি জানিয়েছে এলাকাবাসী। এদিকে, ঘটনার পরই পুলিস তদন্তে নামে এবং ওই বাড়ির আশপাশে তল্লাসি চালায়। এরপরই ওই অনুষ্ঠান বাড়ির ৩০ মিটার দূরে একটি ব্যাগ পড়ে থাকতে দেখা যায়। সেই ব্যাগের মধ্যেও উদ্ধার হয় বোমা। ঘটনাস্থলে একটি বোমা বিস্ফোরণ হলেও বাকি দুটি বোমা উদ্ধার করা হয়েছে, এমনই পুলিস সূত্রে খবর।
জানা যায়, জগদ্দল ভাটপাড়া (Bhatpara) পুরসভা ১৭ নম্বর ওয়ার্ড মমিনপারা এলাকায় শনিবার রাতে পরপর তিনটি বোমা মারে দুষ্কৃতীরা। স্থানীয় বাসিন্দা সুরেশ মাহাতোর বাড়িতে বিয়ের অনুষ্ঠান চলছিল। সেই সময় দুষ্কৃতীরা এসে বোমা মারে বলে অভিযোগ। ঘটনায় আহত হন ৪ জন। আহতদের নাম সঞ্জয় সিং, মহম্মদ আসিফ, মহম্মদ ওয়াসিম আকরম, রাজা আনসারী। আহতদের মধ্যে ওয়াসিম আকরম গুরুতর আহত হয়েছেন। তাঁকে কলকাতার আরজিকর হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়েছে। স্থানীয় সূত্রে আরও খবর, বচসার জেরে দুষ্কৃতীরা এসে পরপর তিনটি বোমা মারে বিয়ে বাড়ি লক্ষ্য করে। একটি বোমা বিয়ে বাড়ির দেওয়ালে ফাটে। পুরনো শত্রুতার জেরে এমন ঘটনা মনে করছেন স্থানীয় বাসিন্দারা।
যদিও এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে জগদ্দল থানার পুলিস এখনও কাউকে গ্রেফতার করতে পারেনি।
পঞ্চায়েত ভোটের আগেই ফের রাজ্যে দুষ্কৃতী তাণ্ডব। এবার ঘটনাস্থল নদিয়ার কৃষ্ণনগরের (Krishnanagar) নগেন্দ্রনগর। শুক্রবার রাতে দুষ্কৃতী তাণ্ডব ও বোমাবাজির (bombing) জেরে ব্যাপক আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে এলাকায়। স্থানীয়দের অভিযোগ, শুক্রবার রাত ১০টা নাগাদ একদল দুষ্কৃতী ওই এলাকায় বোমাবাজি করে ও বেশ কয়েকটি বাইক ভাঙচুর চালায়। যার জেরে ব্যাপক আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে ওই এলাকায়। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যায় কোতয়ালী থানার পুলিস (police)। অভিযোগ, পুলিসের সামনেও চলে বোমাবাজি। পরে বিশাল পুলিসবাহিনী এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। অন্যদিকে, ঘটনার পরেও এলাকায় তাজা বোমা (bomb) পড়ে থাকতে দেখা যায়। উদ্ধার ৩টি তাজা বোমা।
কৃষ্ণনগর শহর যুব তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি কৌশিক বিশ্বাসের দাবি, শুক্রবার এক দলীয় কর্মীর বাড়িতে জন্মদিনের অনুষ্ঠান চলছিল। সেই সময় বেশকিছু দুষ্কৃতী তাঁর বাড়িতে হামলা চালায় ও বোমাবাজি করে বলে অভিযোগ। অবশ্য পাল্টা হামলা চালানোর অভিযোগ উঠেছে ওই তৃণমূল নেতা আশ্রিত দুষ্কৃতীদের দিকে। উভয়পক্ষের সংঘর্ষের জেরে মাঝে পড়ে আতঙ্কিত এলকাবাসী। পুলিসি নিরাপত্তার দাবি জানিয়েছেন স্থানীয়রা।
নরেন্দ্রপুর বোমাবাজি (Narendrpur Incident)-কাণ্ডে গ্রেফতার ৭। তাদের বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির (IPC) একাধিক ধারায় মামলা রুজু হয়েছে। ইতিমধ্যে রাজ্য শিশু সুরক্ষা কমিশন এই ঘটনায় জেলা পুলিসের রিপোর্ট তলব করেছে। ঘটনার একদিন পরেও নরেন্দ্রপুরের দাসপাড়া শান্তিপার্ক এলাকায় আতঙ্ক। অবিলম্বে অভিশপ্ত মাঠে দুষ্কৃতী দৌরাত্ম্য এবং অসামাজিক কার্যকলাপ বন্ধ হোক। শিশুদের (Minor Injured) উপর যারা অত্যাচার করেছে তাদের উপযুক্ত শাস্তি হোক।
জানা গিয়েছে, শুক্রবার দুপুরে শান্তিপার্ক এলাকার শুনশান মাঠে যখন ওই ৫ বাচ্চা খেলছিল, তখন ৪-৫ জন বাইকে আসে। তারা মাঠের একটা টিনের শেড দেওয়া ঘরের তালা ভাঙার চেষ্টা করে। নাবালকদের উৎসুক মুখ তালা ভাঙার কারণ জিজ্ঞাসা করলেই হুমকির মুখে পড়তে হয়। ওই ৫ নাবালক দেখে ফেলে ঘরের ভিতর বোমা মজুত করা। তখনই একটা বোমা তাদের দিকে ছোড়া হয়। সেটা লক্ষ্যভ্রষ্ট হলে, আরও একটা বোমা ছোড়া হয়। দ্বিতীয় বোমার স্প্লিন্টারের ঘায়ে রক্তাক্ত ওই পাঁচ নাবালক। শুক্রবার তাদের বাঘাযতীন স্টেট জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল। প্রাথমিক চিকিৎসার পর ছেড়ে দেওয়া হয়েছে ওই পাঁচ নাবালককে।
এই ঘটনার পিছনে এবং বেপরোয়া দুষ্কৃতী দৌরাত্ম্যের পিছনে কোনও প্রভাবশালী যোগ রয়েছে কিনা, খতিয়ে দেখতে পুলিসকে আর্জি জানান স্থানীয়রা।
কাকিনাড়ার পর এবার নরেন্দ্রপুর (Naredrapur Inicdent)। দুষ্কৃতী দৌরাত্ম্যে বোমাবাজিতে (Bomb Hurled) আহত পাঁচ নাবালক। জানা গিয়েছে, নরেন্দ্রপুর থানা এলাকার দাসপাড়ায় দুষ্কৃতীদের ছোঁড়া বোমার আঘাতে আহত ৫ নাবালক (Minor Injured)। তাঁদের বয়স ১০-১২ বছর। ওই পাঁচ নাবালক এলাকারই একটি মাঠে খেলতে গিয়েছিল। সেই সময় ওই মাঠে উপস্থিত দুষ্কৃতীরা তাদের মাঠ ছাড়তে বলে। কথা না শুনলে ওদের লক্ষ্য করে দুটি বোমা ছোড়া হয়। একটি বোমা না ফাটলেও, আরও একটি বোমার আঘাতে পায়ে চোট পান ওই পাঁচ জন।
রক্তাক্ত অবস্থায় তারা পালিয়ে বাড়ি চলে আসে এবং পরিবারকে সব জানায়। বাড়িতেই তাদের প্রাথমিক চিকিৎসা করা হয় পরে হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়। এদিকে, এই খবর চাউর হতেই ঘটনাস্থলে পৌছয় নরেন্দ্রপুর থানা পুলিস। যদিও তার আগেই চম্পট দেয় দুষ্কৃতীরা। ঘটনাস্থল থেকে পুলিস একটি ড্রাম এবং বাইক উদ্ধার করেছে। যেহেতু এই বোমাবাজির ঘটনায় আক্রান্ত নাবালক, তাই স্পষ্টতই এলাকায় উত্তেজনা। অপ্রীতিকর পরিস্থিতি এড়াতে মোতায়েন করা হয়েছে বিশাল পুলিসবাহিনী।
এই বোমাবাজির ঘটনায় আহত এক নাবালকের বাবা জানান, আমি ছেলের উপর হওয়া অত্যাচারের ন্যায়বিচার ছাই। বাচ্চাদের সঙ্গে ওদের কী শত্রুতা জানি না। তিনি জানান, বাচ্চাদের হুমকি দেওয়া হয়েছে, মাঠে আবার দেখা গেলে লাশ ফেলে দেবে। তবে ঠিক কারা এই ঘটনার পিছনে, সে বিষয়ে মুখ খুলতে চাননি তিনি।
শনিবার ক্লাস চলাকালীন টিটাগড়ের (Titagarh Bombing) এক স্কুলে বোমা বিস্ফোরণের ঘটনায় আতঙ্ক ছড়িয়েছিল এলাকায়। বিকট শব্দে কেঁপে উঠেছিল স্কুল চত্বর। জানা গিয়েছে, টিটাগড় স্টেশন রোড এলাকার ফ্রি ইন্ডিয়া হাইস্কুলের (High School) ছাদে প্রচণ্ড শব্দে এই বিস্ফোরণ ঘটে। ঘটনায় ইতিমধ্যে চারজনকে আটক করেছে টিটাগড় থানার পুলিস (Titagarh Police Station)। অভিযুক্তদের দফায় দফায় জিজ্ঞাসাবাদ চলছে। ধৃতদের নাম মহঃ আয়রন, শেখ বাবলু, মহঃ সাদিক এবং রোহান। পুলিস সূত্রে খবর, এঁদের প্রত্যাকের বয়স ১৮-১৯ এর মধ্যে।
জানা গিয়েছে, বিস্ফোরণের তীব্রতা এতটাই ছিল যে অনেক দূর পর্যন্ত শব্দ পাওয়া গিয়েছে। সঙ্গে সঙ্গে বিস্ফোরণের সূত্র খুঁজতে স্কুল কর্তৃপক্ষ ছাদে উঠলেই দেখা যায় ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে বোমার সুতলি।
আতঙ্কে পড়ুয়া এবং শিক্ষকদের মধ্যে হুড়োহুড়ি পড়ে যায়। স্থানীয় এবং পুলিসের হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে। স্কুলেই বোমা মজুত ছিল না বাইরে থেকে ছুঁড়েছে তা খতিয়ে দেখছে পুলিস। তবে এদিনের ঘটনায় হতাহতের কোনও খবর নেই।
স্কুলের এক শিক্ষক বলেন,'বিকট শব্দে বাইরে বেরিয়ে উপরে ধোঁয়া দেখে ছাদে আসতেই দেখি এই অবস্থা। এই বোমা ছাদে না পড়ে স্কুলমাঠে বা অন্য কোথাও পড়লে শিশুদের আহত হওয়ার সম্ভাবনা ছিল।'
স্থানীয় এক বাসিন্দা জানিয়েছেন, তাঁরা সেই সময় পাড়ায় ছিলেন। বিকট শব্দ শুনে খোঁজ নিতেই জানা যায় এই অবস্থা। এই ঘটনায় যথেষ্ট আতঙ্ক তৈরি হয়েছে এলাকায়।
ক্লাস চলাকালীন টিটাগড়ের (Titagarh Bombing) এক স্কুলে বোমা বিস্ফোরণ। শনিবারের বারবেলার বিকট এই শব্দে এলাকায় উত্তেজনা। জানা গিয়েছে, টিটাগড় স্টেশন রোড এলাকার ফ্রি ইন্ডিয়া হাইস্কুলের (High School) ছাদে প্রচণ্ড শব্দে এই বিস্ফোরণ। জানা গিয়েছে, বিস্ফোরণের তীব্রতা এতটাই ছিল যে অনেক দূর পর্যন্ত শব্দ পাওয়া গিয়েছে। সঙ্গে সঙ্গে বিস্ফোরণের সূত্র খুঁজতে স্কুল কর্তৃপক্ষ ছাদে উঠলেই দেখা যায় ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে বোমার সুতলি।
আতঙ্কে পড়ুয়া এবং শিক্ষকদের মধ্যে হুড়োহুড়ি পড়ে যায়। স্থানীয় এবং পুলিসের হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে। স্কুলেই বোমা মজুত ছিল না বাইরে থেকে কেউ ছুড়েছে খতিয়ে দেকছে পুলিস। এই বিস্ফোরণ প্রসঙ্গে এক পুলিস কর্তা জানান, ফরনেসিক দিয়ে খতিয়ে দেখা ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এখনই এই বিস্ফোরণের কারণ জানানো অসম্ভব। তবে হতাহতের কোনও খবর নেই।
স্কুলের এক শিক্ষক বলেন,'বিকট শব্দে বাইরে বেড়িয়ে উপরে ধোঁয়া দেখে ছাদে আসতেই দেখি এই অবস্থা। এই বোমা ছাদে না পড়ে স্কুলমাঠে বা অন্য কোথাও পড়লে শিশুদের আহত হওয়ার সম্ভাবনা ছিল।'
স্থানীয় এক বাসিন্দা জানান, তাঁরা সেই সময় পাড়ায় ছিলেন। বিকট শব্দ শুনে খোঁজ নিতেই জানা যায় এই অবস্থা। এই ঘটনায় যথেষ্ট আতঙ্ক তৈরি হয়েছে এলাকায়।
ফের আক্রান্ত বিজেপি। উত্তর ২৪ পরগনার কাঁচড়াপাড়ায় বিজেপির যুব জেলা সভাপতি বিমলেশ তেওয়ারির বাড়িতে বোমাবাজি। অভিযোগের তির রাজ্যের শাসকদলের দিকে। ২৬ জুলাই ব্যারাকপুরে বিজেপির আইন অমান্য আন্দোলনে আহত হয়েছিলেন বিমলেশ। তাঁকে দেখতে বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার এসেছিলেন। সুকান্ত মজুমদার এলাকা ছাড়ার পর গভীর রাতে বিমলেশ তেওয়ারির বাড়িতে বোমাবাজি শুরু হয়। বিরোধীদের অভিযোগ, কাঁচড়াপাড়া এমনিতে অশান্ত থাকে বোমা বারুদের গন্ধে। এক্ষেত্রে এই বোমাবাজির উদ্দেশ্য কী তা এখনও স্পষ্ট হয়নি।
অপরদিকে তৃণমূল নেতৃত্বের দাবি, কোনওরকম ভাবে জড়িত নয় শাসক দল। এর পিছনে রয়েছে বিজেপির দলীয় কোন্দল। কিন্তু এক্ষেত্রে কয়েকটি প্রশ্ন তুলেছে ওয়াকিবহাল মহল।
শুনুন কী বলছে বিজেপি-তৃণমূল?
যদিও বোমাবাজির পিছনে কারা রয়েছে তা তদন্ত সাপেক্ষ। কিন্তু বগটুই কাণ্ডের পর মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশ ছিল রাজ্যের আনাচ কানাচ থেকে অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার। নির্দেশ মেনে পুলিসি তত্পরতা ছিল চোখে পড়ার মত। বোমা, গুলি, বন্ধুক উদ্ধারও হয়েছিল বেশ কিছু।
কিন্তু তারপরেও মুদিখানার দোকানের হজমিগুলির মত কীভাবে মিলছে এই সব অস্ত্র? তবে কি মুখ্যমন্ত্রী নির্দেশ থেকে গেল শুধুমাত্র ফাইলবন্দী হয়ে? তবে কি ভোট সমীকরণ বদলাতে শাসক দলের নীল নকশা এখন ফ্র্যাঙ্কেস্টাইনের গল্প হয়ে দাঁড়িয়েছে? কিছুতেই নিয়ন্ত্রণে রাখা যাচ্ছে না মোড়ে মোড়ে জন্ম নেওয়া বাহুবলীদের। রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্ত ক্রমশ অস্ত্রাগারে পরিণত হচ্ছে। কোনও দায় নেই প্রশাসনের? প্রশ্নটা ক্রমেই জমাট বাঁধছে। এর আগেও উত্তর ২৪ পরগনার শিল্পতালুকে একাধিক বার উদ্ধার হয়েছে বোমা। বিভিন্ন ক্ষেত্রে ক্ষমতা প্রদর্শনের ইঙ্গিতও মিলেছে। এবার বোমাবাজি কাঁচড়াপাড়ায়। কারণ যাই হোক না কেন? এই ঘটনায় এলাকায় ছড়িয়েছে চাঞ্চল্য। কীভাবে ফিরবে শান্তি? সেটাই এখন লাখ টাকার প্রশ্ন।