
অন্তঃসত্ত্বা অবস্থায় গর্ভস্থ ভ্রূণে নানারকম ত্রুটি দেখা দিলে, সেই অবস্থায় সন্তান রাখা বা না রাখার সিদ্ধান্ত একান্তই মায়ের উপর। এমনই ঐতিহাসিক রায় বম্বে হাইকোর্টের। সেই মোতাবেক ৩৩ সপ্তাহ বা ৮ মাসের এক অন্তঃসত্ত্বা মহিলাকে গর্ভপাত করানোর অনুমতি দিয়েছে হাইকোর্ট। কোর্টের পর্যবেক্ষণ,'এই ধরনের আবেদন খারিজ করে দেওয়া মানে আবেদনকারীর থেকে মা এবং নারীত্বের সত্ত্বাটুকু ছিনিয়ে নেওয়া।'
গত বছর ২২ ডিসেম্বর আবেদনকারী যখন ২৯ সপ্তাহের প্রসূতি, তখন মেডিক্যাল পরীক্ষায় ধরা পড়ে, ভ্রুণে নানা ধরনের জিনগত সমস্যা তৈরি হয়েছে। সন্তানের মাথার আকার অত্যন্ত ছোট হতে চলেছে এবং তার ব্রেন স্বাভাবিকের তুলনায় ছোট। মাইক্রোসেফালি (স্বাভাবিকের তুলনায় মাথা-মস্তিষ্কের আকার ছোট) ও লিসেনসেফালির (অত্যধিক মসৃণ মস্তিষ্ক) মতো জিনগত রোগের আভাস অগ্রিম লক্ষ্য করা গিয়েছে। এই পরীক্ষার পর মহিলা গর্ভপাতের সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন।
যেহেতু ওই মহিলা ২৪ সপ্তাহের বেশি গর্ভবতী, তাই মেডিক্যাল বোর্ড তার আবেদন খারিজ করে দেয়। তারা জানায়, যেকোনও সরকারি হাসপাতালে ওই শিশুর চিকিৎসা বিনামূল্যে হয়ে যাবে। এরপর গর্ভপাতের আবেদন জানিয়ে ওই মহিলা বম্বে হাইকোর্টের দারস্থ হয়েছিলেন। ২০ জানুয়ারী হাইকোর্ট তাঁর আবেদন বিবেচনা করে সেই অনুমতি দিয়েছে।
বাড়িতে ভাড়াটে দিয়েছেন? তাহলে এখনই সতর্ক হয়ে যান। ভালো করে যাচাই বাছাই করে তারপরই ভাড়া দিন। নাহলে ভাড়াটের অপরাধমূলক কার্যকলাপের দায়ভার আপনার উপরই বর্তাবে। বুধবার বম্বে হাইকোর্ট(Bombay High Court) একটি মামলার রায়ে এই নির্দেশ দিয়েছে। এমনকি ওই মামলায় বাড়ির মালিকের (landlord) আবেদনও খারিজ করে দেয় আদালত। রায়ে জানায়, ভাড়াবাড়ির মধ্যে যা হবে তার দায়িত্ব বাড়ির মালিকেরও।
মহারাষ্ট্রের (Maharastra) পিম্পরি-ছিন্দওয়াড় শহরে বাড়ি ভাড়া নিয়ে বেআইনি ভাবে স্পা-এর (Spa) আড়ালে দেহব্যবসা চালানোর অভিযোগ জানিয়ে আদালতে একটি মামলা দায়ের করেন ওই বাড়ির মালিক। সে অভিযোগের প্রেক্ষিতেই এ কথা জানায় আদালত। হাইকোর্ট তার পর্যবেক্ষণে বলেছে, ভাড়াটে বাড়ির ভিতরে কোনও অপরাধমূলক কার্যকলাপ চালাচ্ছেন কিনা, সে বিষয়ে মালিকের কোনও ধারণাই নেই, এমন যুক্তি বিশ্বাসযোগ্য নয়।
পুলিস এই কুকর্ম ধরার পর বাড়ির মালিকের নামেও অভিযোগ করেছিল। সেই অভিযোগ মিথ্যা বলে আদালতের দারস্থ হয়েছিলেন বাড়ি মালিক। তাঁর যুক্তি ছিল, বাড়ি ভাড়া সংক্রান্ত বিধি মেনেই চুক্তি করে তিনি ভাড়া দিয়েছিলেন। কিন্তু সেখানে ভাড়াটে কী করছেন তা তিনি দেখতে পারেন না। তাই পুলিসের দায়ের করা এফআইআর থেকে তাঁর নাম বাদ দেওয়ার জন্যও আবেদন জানিয়েছিলেন ওই বাড়ি মালিক। কিন্তু সেই আবেদন খারিজ করে দিয়েছে আদালত।
অভিযোগ, কোভিশিল্ড টিকা (Covishield Vaccine) নেওয়ার পর তাঁর মেয়ের মৃত্যু হয়েছে। তাই এক হাজার কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ চেয়ে বম্বে হাইকোর্টে (Bombay High Court) মামলা করেন এক ব্যক্তি। সেই মামলায় হাইকোর্ট সেরাম ইনস্টিটিউট অফ ইন্ডিয়া (Serum Institute of India) এবং মাইক্রোসফটের প্রতিষ্ঠাতা বিল গেটস (Bill Gates), এইমস-র ডিরেক্টর রণদীপ গুলেরিয়া (Randeep Guleria), ড্রাগ কন্ট্রোলার জেনারেল অফ ইন্ডিয়ার (DCGI) প্রধান ভিজি সোমানি (VG Somani) এবং অন্যদের নোটিশ পাঠাল।
অভিযোগকারী দিলীপ লুনাওয়াত নামের ওই ব্যক্তি ঔরঙ্গাবাদের বাসিন্দা। তিনি আদালতে অভিযোগ করেন, কোভিশিল্ড টিকা নেওয়ার পরই নানা পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা গিয়েছে পেশায় চিকিৎসক তাঁর মেয়ের। সে কারণেই মেয়ে স্নেহাল লুনাওয়াতের মৃত্যু হয়েছে বলেও কোর্টে দাবি করেন তিনি।
দিলীপ বাবু জানান, তাঁর মেয়ে ধামনগাঁওয়ের এসএমবিটি ডেন্টাল কলেজ ও হাসপাতালে শিক্ষকতা করতেন। আর ওই হাসপাতালে যাঁরা পড়াতেন তাঁদের সকলকে টিকা নিতে একপ্রকার বাধ্য করা হয়। যে কারণে টিকা নিয়েছিলেন স্নেহালও।
জানা গিয়েছে, স্নেহাল গত বছর ২৮ জানুয়ারি টিকা নিলেও পয়লা মার্চ টিকার পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার কারণে মৃত্যু হয় বলে দাবি করেন তাঁর বাবা। দিলীপের আরও দাবি, সরকারের পক্ষ থেকে জনগণকে আশ্বস্ত করা হয়েছিল যে টিকাগুলি নিরাপদ। কিন্তু তার পরেও তাঁর মেয়ে মারা গিয়েছেন।