এবার শহরের জাদুঘরে বোমাতঙ্ক ঘিরে চাঞ্চল্য। ইমেইল মারফত বার্তা আসে জাদুঘরে একাধিক বোমা রয়েছে। এরপরেই তৎপর হয় পুলিস এবং বম্ব স্কোয়াড। তড়িঘড়ি বের করে দেওয়া হয় দর্শনার্থীদের।
শুক্রবার সকাল থেকেই শহরের জাদুঘরে বোমাতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ায় চাঞ্চল্য ছড়াল এলাকায়। জানা গিয়েছে শুক্রবার ভোরে একটি ইমেলে বোমা থাকার বিষয়টি পাঠানো হয়। ওই ইমেইলে বলা হয়েছে, কলকাতা জাদুঘরে রাখা আছে একাধিক বোমা। ইমেইল এসেছে 'টেরোরাইজার ১১১' নামে, যারা নিজেদের জঙ্গি সংগঠন বলে দাবি করেছে ৷ পাশাপাশি ওই ইমেলে লেখা আছে, তাদের সংগঠনকে প্রচারের আলোয় না আনলে, তারা জাদুঘরে বিস্ফোরণ ঘটাবে।
শুক্রবার সকালে ওই ইমেল বার্তার পরেই তড়িঘড়ি জাদুঘরে উপস্থিত হন বোম্ব স্কোয়াড, ডগ স্কোয়াড সহ পুলিসের একাধিক শীর্ষ আধিকারিকরা। এছাড়াও উপস্থিত হন গোয়েন্দা দফতরের অধিকারিকরাও। বোমা থাকার হুমকি বার্তা আসার পর থেকেই খালি করে দেওয়া হয়েছে ভারতীয় জাদুঘর। পাশাপাশি কয়েক ঘন্টা বন্ধ রাখার বিজ্ঞপ্তিও জারি করেছে মিউজিয়াম কর্তৃপক্ষ। এছাড়াও জাদুঘরের ভেতরের প্রতিটি কক্ষে চালানো হচ্ছে তল্লাশি।
তবে আদৌ মিউজিয়ামে বোম্ব রাখা আছে, না কি নিছক আতঙ্ক ছড়ানোর কারণে এই ঘটনা উদ্দেশপ্রণোদিত করা হয়েছে, তা স্পষ্ট নয়। এছাড়া কে বা কারা আসলে এই ইমেইল বার্তা পাঠিয়ে বোমাতঙ্ক তৈরির চেষ্টা করছে সেই বিষয়টিও এই মুহূর্তে স্পষ্ট নয়। তবে জাদুঘরে হুমকি বার্তা আসার পর সমস্ত বিষয় খুঁজে বার করতে ইতিমধ্যেই তদন্ত শুরু করেছে পুলিস।
দিল্লি-পুণে বিমানে বোমা হামলার (Bomb Threat) হুমকি। এই খবর বিমানযাত্রীদের কানে যেতেই আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে বিমানযাত্রীদের মধ্যে। সূত্রের খবর, শুক্রবার সাত-সকালে ভিস্তারা বিমান (Vistara Flight) সংস্থার বিমানে বোমা রয়েছে বলে হুমকি ফোন আসে। জানা গিয়েছে, বিমানটি দিল্লি থেকে পুণে যাওয়ার কথা ছিল। কিন্তু তার আগেই এমন খবর আসায় বিমানটি সেই সময়ের জন্য বাতিল করা হয়। এই ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে দিল্লি বিমানবন্দরে (Delhi Airport)। এরপর যাত্রীদের নিরাপদে বিমান থেকে নামিয়ে তল্লাশি চালানো হচ্ছে বলে খবর।
সূত্রের খবর, আজ অর্থাৎ ১৮ অগাস্ট সকাল সাড়ে ৭টা নাগাদ জিমএমআর কল সেন্টারে ফোন আসে। ফোন করে বলা হয় যে, 'দিল্লি থেকে পুণে যাওয়ার বিমানে বোমা রাখা রয়েছে'। অন্যদিকে আগে থেকেই যাত্রীরা নিজেদের সিটে বসে গিয়েছিলেন। কিন্তু বোমার ব্যাপারে জানতেই তৎক্ষণাৎ যাত্রীদের বিমান থেকে বের করে আনা হয় ও তাঁদের ফের দিল্লির বিমানবন্দরে নিরাপদে নিয়ে আসা হয়।
বিমান সংস্থার তরফে এক বিবৃতি দিয়ে জানানো হয়েছে, 'আমরা নিশ্চিত করছি যে, ইউকে৯৭১ নম্বর বিমানটি দিল্লি থেকে পুণে যাওয়ার কথা ছিল। কিন্তু নিরাপত্তা খতিয়ে দেখার জন্য বিমানের উড়ানে কিছুক্ষণের জন্য দেরী হতে পারে। আমারা খুব শীঘ্রই পরিস্থিতি ঠিক করার ব্যবস্থা নিচ্ছি।' সূত্রের খবর, বিমানযাত্রী ও তাঁদের ব্যাগ সহ নিরাপদে সরিয়ে আনা হয়েছে ও বিমানে আদৌ কিছু রয়েছে কিনা, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসলেই যাত্রা শুরু করবে বিমানটি।
প্যারিসের (Paris) ঐতিহ্যবাহী আইফেল টাওয়ারে (Eiffel tower) বোমা বিস্ফোরণের (Bomb Threat) হুমকি দেওয়ার খবর এবার প্রকাশ্যে এল। আচমকা এমন হুমকি আসায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে প্যারিসে। সূত্রের খবর, শনিবার এই হুমকির খবর প্রকাশ্যে আসতেই তৎক্ষণাৎ সেখান থেকে সরিয়ে ফেলা হয় পর্যটকদের। জানা গিয়েছে, পর্যটকদের নিরাপত্তার জন্য এর তিনটি তলা ও সামনের চত্বর খালি করে ফরাসি পুলিস।
আন্তর্জাতিক সংবাদ সূত্রে খবর, বোমা হামলার আশঙ্কা থাকায় স্থানীয় সময় শনিবার দুপুর দেড়টার পর আইফেল টাওয়ারের নিচ থেকে পর্যটকদের সরিয়ে নেওয়া হয়। টাওয়ারের তিনটি তলায়ও লোকজন ছিল, তাদেরও সরিয়ে নেওয়া হয়। প্যারিসের এই আইফেল টাওয়ারের রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্বে রয়েছে SETE নামের একটি সংস্থা। শনিবার বিস্ফোরণের হুমকি মিলতেই বম্ব স্কোয়াডকে খবর দেয় তারা। এর পরই গোটা এলাকা ঘিরে ফেলে ফরাসি পুলিস। শুরু হয় চিরুনি তল্লাশি। আইফেল টাওয়ার-সংলগ্ন হোটেল, রেস্টুরেন্টও খালি করে তল্লাশি চালায় বম্ব স্কোয়াড ও প্যারিস পুলিস।
SETE সংস্থার মুখপাত্র বলেন, 'এটা একটা অদ্ভুত ঘটনা। এই ধরনের পরিস্থিতির মুখোমুখি আমরা কখনও হইনি।' অন্যদিকে প্যারিস পুলিসের মুখপাত্র জানান, এই ধরনের ঘটনা বিরল। তবে বোমাতঙ্ক কীভাবে ছড়াল, সে ব্যাপারে স্পষ্ট করে কিছু বলেননি তিনি। শেষ পাওয়া খবর পর্যন্ত, আইফেল টাওয়ার বা সংলগ্ন এলাকায় বোমা বা বিস্ফোরক জাতীয় কিছু মেলেনি। তবে এর নেপথ্যে কাদের হাত রয়েছে তা নিয়ে তদন্ত শুরু করেছে ফরাসি পুলিস।
ফের সকাল সকাল বোমা হামলার (Bomb Threat) হুমকি! সূত্রের খবর, সাউথ দিল্লির (South Delhi) এক বেসরকারি স্কুলে ইমেল মারফত হুমকি পাঠানো হয়েছে। মঙ্গলবার সকালে সাউথ দিল্লির পুষ্প বিহারের অমৃতা নামক এক বেসরকারি স্কুলের ইমেলে এই হুমকি পাঠানো হয়েছে। এরপর সঙ্গে সঙ্গে স্কুল কর্তৃপক্ষ এই খবর পুলিসকে জানাতেই সেখানে উপস্থিত হয় দিল্লি পুলিস। ইতিমধ্যেই এই ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিস। এই হুমকি পাঠানোর পিছনে কে রয়েছে, কী তার কারণ, এই নিয়ে তদন্ত করছে দিল্লি পুলিস (Delhi Police)।
দিল্লি পুলিসের ডিসিপি সংবাদমাধ্যমে জানিয়েছেন, ১৬ মে, মঙ্গলবার সকাল ৬টা ৩৩ মিনিট নাগাদ এই হুমকি মেল স্কুলের ইমেলে পাঠানো হয়েছে। সেখানে উল্লেখ রয়েছে, বোমা বিস্ফোরণে উড়িয়ে দেওয়া হবে স্কুল। এই ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে এলাকায়। ডিসিপি জানিয়েছেন, এই ঘটনার পরই স্কুলে বম্ব ডিসপোজাল টিম পাঠানো হয়েছে। পুরো স্কুল খতিয়ে দেখা হচ্ছে। তবে এখন পর্যন্ত তেমন কোনও সন্দেহজনক বস্তুর সন্ধান পাওয়া যায়নি।
উল্লেখ্য, স্কুলে বোমা হামলার হুমকি দেওয়ার মতো ঘটনা এই প্রথম নয়। এর আগে ১২ মে-তেই দিল্লির মথুরা রোডে দিল্লি পাবলিক স্কুলেও বোমা বিস্ফোরণ করার হুমকি দেওয়া হয়েছিল। বলা হয়েছিল, ১২ মে ১১ টার মধ্যে সেই স্কুলে বিস্ফোরণ হবে। যদিও পরে জানা যায়, পুরো বিষয়টি ভুয়ো ছিল। এরপর জানা গিয়েছিল, সেই স্কুলেরই এক ছাত্রের ইমেল থেকে হুমকিতে ভরা মেল পাঠানো হয়েছিল। কিন্তু পড়ুয়া এই ঘটনা অস্বীকার করে। তবে বারবার এমন বোমা বিস্ফোরণের হুমকির নেপথ্যে কার হাত রয়েছে ও আগের ঘটনার সঙ্গে এই ঘটনার কোনও যোগ রয়েছে কিনা তা খুঁজে বের করতে তৎপর দিল্লি পুলিস।
মজার ছলেই স্কুলে (School) বোমাতঙ্ক (bomb threat) ছড়াল এক ছাত্র (Student)। এই ঘটনাটি ঘটেছে দিল্লির (Delhi) মথুরা রোড এলাকায় একটি স্কুলে। ইমেলের মাধ্যমে বোমাতঙ্ক ছড়ায় ওই ছাত্র। তদন্তে নেমে পুলিস (Police) জানায়, ইমেলটি পাঠিয়েছিল ওই স্কুলেরই ১৬ বছরের এক পড়ুয়া। মজা করতেই ওই ছাত্র এমন কাণ্ড ঘটিয়েছে বলে সে জেরায় জানিয়েছে।
বুধবার, দিল্লির একটি স্কুলে ইমেলের মাধ্যমে বোমা আতঙ্ক ছড়ানো হয়েছে। ইমেলটি স্কুল কর্তৃপক্ষের নজরে আসার সঙ্গে সঙ্গেই পুলিসে খবর দেওয়া হয়। খবর পেয়ে পুলিস এসে পৌঁছয়। তড়িঘড়ি স্কুলের প্রায় ৪ হাজার পড়ুয়াকে নিরাপদ স্থানে সরানো হয়। স্কুলে চিরুনি তল্লাশি শুরু করে পুলিস, তবে কিছুই পাওয়া যায়নি। পুলিস বুঝতে পারে যে, ভুয়ো বোমাতঙ্ক ছড়ানো হয়েছে। তদন্তে নেমে স্কুলের ওই ছাত্রকে জিজ্ঞাসাবাদ করেন পুলিস। তখন সেই সময়ই ওই ছাত্র জানায় যে, গোটাটাই তার পরিকল্পনা মাফিক। মজা করার জন্য সে এই কাণ্ডটি ঘটিয়েছে। এর আগে এমন ভুয়ো বোমাতঙ্ক ছড়ানোর ঘটনা ঘটেছে বহুবার। আগে দিল্লি আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে ভুয়ো বোমাতঙ্ক ছড়ানোর অভিযোগ উঠেছিল।