বাড়িতে ভাড়াটে দিয়েছেন? তাহলে এখনই সতর্ক হয়ে যান। ভালো করে যাচাই বাছাই করে তারপরই ভাড়া দিন। নাহলে ভাড়াটের অপরাধমূলক কার্যকলাপের দায়ভার আপনার উপরই বর্তাবে। বুধবার বম্বে হাইকোর্ট(Bombay High Court) একটি মামলার রায়ে এই নির্দেশ দিয়েছে। এমনকি ওই মামলায় বাড়ির মালিকের (landlord) আবেদনও খারিজ করে দেয় আদালত। রায়ে জানায়, ভাড়াবাড়ির মধ্যে যা হবে তার দায়িত্ব বাড়ির মালিকেরও।
মহারাষ্ট্রের (Maharastra) পিম্পরি-ছিন্দওয়াড় শহরে বাড়ি ভাড়া নিয়ে বেআইনি ভাবে স্পা-এর (Spa) আড়ালে দেহব্যবসা চালানোর অভিযোগ জানিয়ে আদালতে একটি মামলা দায়ের করেন ওই বাড়ির মালিক। সে অভিযোগের প্রেক্ষিতেই এ কথা জানায় আদালত। হাইকোর্ট তার পর্যবেক্ষণে বলেছে, ভাড়াটে বাড়ির ভিতরে কোনও অপরাধমূলক কার্যকলাপ চালাচ্ছেন কিনা, সে বিষয়ে মালিকের কোনও ধারণাই নেই, এমন যুক্তি বিশ্বাসযোগ্য নয়।
পুলিস এই কুকর্ম ধরার পর বাড়ির মালিকের নামেও অভিযোগ করেছিল। সেই অভিযোগ মিথ্যা বলে আদালতের দারস্থ হয়েছিলেন বাড়ি মালিক। তাঁর যুক্তি ছিল, বাড়ি ভাড়া সংক্রান্ত বিধি মেনেই চুক্তি করে তিনি ভাড়া দিয়েছিলেন। কিন্তু সেখানে ভাড়াটে কী করছেন তা তিনি দেখতে পারেন না। তাই পুলিসের দায়ের করা এফআইআর থেকে তাঁর নাম বাদ দেওয়ার জন্যও আবেদন জানিয়েছিলেন ওই বাড়ি মালিক। কিন্তু সেই আবেদন খারিজ করে দিয়েছে আদালত।
অভিযোগ, কোভিশিল্ড টিকা (Covishield Vaccine) নেওয়ার পর তাঁর মেয়ের মৃত্যু হয়েছে। তাই এক হাজার কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ চেয়ে বম্বে হাইকোর্টে (Bombay High Court) মামলা করেন এক ব্যক্তি। সেই মামলায় হাইকোর্ট সেরাম ইনস্টিটিউট অফ ইন্ডিয়া (Serum Institute of India) এবং মাইক্রোসফটের প্রতিষ্ঠাতা বিল গেটস (Bill Gates), এইমস-র ডিরেক্টর রণদীপ গুলেরিয়া (Randeep Guleria), ড্রাগ কন্ট্রোলার জেনারেল অফ ইন্ডিয়ার (DCGI) প্রধান ভিজি সোমানি (VG Somani) এবং অন্যদের নোটিশ পাঠাল।
অভিযোগকারী দিলীপ লুনাওয়াত নামের ওই ব্যক্তি ঔরঙ্গাবাদের বাসিন্দা। তিনি আদালতে অভিযোগ করেন, কোভিশিল্ড টিকা নেওয়ার পরই নানা পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা গিয়েছে পেশায় চিকিৎসক তাঁর মেয়ের। সে কারণেই মেয়ে স্নেহাল লুনাওয়াতের মৃত্যু হয়েছে বলেও কোর্টে দাবি করেন তিনি।
দিলীপ বাবু জানান, তাঁর মেয়ে ধামনগাঁওয়ের এসএমবিটি ডেন্টাল কলেজ ও হাসপাতালে শিক্ষকতা করতেন। আর ওই হাসপাতালে যাঁরা পড়াতেন তাঁদের সকলকে টিকা নিতে একপ্রকার বাধ্য করা হয়। যে কারণে টিকা নিয়েছিলেন স্নেহালও।
জানা গিয়েছে, স্নেহাল গত বছর ২৮ জানুয়ারি টিকা নিলেও পয়লা মার্চ টিকার পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার কারণে মৃত্যু হয় বলে দাবি করেন তাঁর বাবা। দিলীপের আরও দাবি, সরকারের পক্ষ থেকে জনগণকে আশ্বস্ত করা হয়েছিল যে টিকাগুলি নিরাপদ। কিন্তু তার পরেও তাঁর মেয়ে মারা গিয়েছেন।
ফের আক্রান্ত বিজেপি। উত্তর ২৪ পরগনার কাঁচড়াপাড়ায় বিজেপির যুব জেলা সভাপতি বিমলেশ তেওয়ারির বাড়িতে বোমাবাজি। অভিযোগের তির রাজ্যের শাসকদলের দিকে। ২৬ জুলাই ব্যারাকপুরে বিজেপির আইন অমান্য আন্দোলনে আহত হয়েছিলেন বিমলেশ। তাঁকে দেখতে বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার এসেছিলেন। সুকান্ত মজুমদার এলাকা ছাড়ার পর গভীর রাতে বিমলেশ তেওয়ারির বাড়িতে বোমাবাজি শুরু হয়। বিরোধীদের অভিযোগ, কাঁচড়াপাড়া এমনিতে অশান্ত থাকে বোমা বারুদের গন্ধে। এক্ষেত্রে এই বোমাবাজির উদ্দেশ্য কী তা এখনও স্পষ্ট হয়নি।
অপরদিকে তৃণমূল নেতৃত্বের দাবি, কোনওরকম ভাবে জড়িত নয় শাসক দল। এর পিছনে রয়েছে বিজেপির দলীয় কোন্দল। কিন্তু এক্ষেত্রে কয়েকটি প্রশ্ন তুলেছে ওয়াকিবহাল মহল।
শুনুন কী বলছে বিজেপি-তৃণমূল?
যদিও বোমাবাজির পিছনে কারা রয়েছে তা তদন্ত সাপেক্ষ। কিন্তু বগটুই কাণ্ডের পর মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশ ছিল রাজ্যের আনাচ কানাচ থেকে অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার। নির্দেশ মেনে পুলিসি তত্পরতা ছিল চোখে পড়ার মত। বোমা, গুলি, বন্ধুক উদ্ধারও হয়েছিল বেশ কিছু।
কিন্তু তারপরেও মুদিখানার দোকানের হজমিগুলির মত কীভাবে মিলছে এই সব অস্ত্র? তবে কি মুখ্যমন্ত্রী নির্দেশ থেকে গেল শুধুমাত্র ফাইলবন্দী হয়ে? তবে কি ভোট সমীকরণ বদলাতে শাসক দলের নীল নকশা এখন ফ্র্যাঙ্কেস্টাইনের গল্প হয়ে দাঁড়িয়েছে? কিছুতেই নিয়ন্ত্রণে রাখা যাচ্ছে না মোড়ে মোড়ে জন্ম নেওয়া বাহুবলীদের। রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্ত ক্রমশ অস্ত্রাগারে পরিণত হচ্ছে। কোনও দায় নেই প্রশাসনের? প্রশ্নটা ক্রমেই জমাট বাঁধছে। এর আগেও উত্তর ২৪ পরগনার শিল্পতালুকে একাধিক বার উদ্ধার হয়েছে বোমা। বিভিন্ন ক্ষেত্রে ক্ষমতা প্রদর্শনের ইঙ্গিতও মিলেছে। এবার বোমাবাজি কাঁচড়াপাড়ায়। কারণ যাই হোক না কেন? এই ঘটনায় এলাকায় ছড়িয়েছে চাঞ্চল্য। কীভাবে ফিরবে শান্তি? সেটাই এখন লাখ টাকার প্রশ্ন।
শহর কলকাতায় ভর দুপুরেই বোমা বিস্ফোরণের (bomb blust) ঘটনায় আতঙ্কিত বেলেঘাটাবাসী। ঘটনায় গুরুতর আহত (injured) হন দুজন। তাঁদের মধ্যে একজন লোকমান মোল্লা, ও অন্যজন বীরেন দাস। তবে ঘটনার পর থেকেই চিকিৎসায় গাফিলতির অভিযোগ উঠে আসছে। মঙ্গলবার বোমা কাণ্ডে আহত মিস্ত্রি লোকমান মোল্লাকে এনআরএস (NRS) হাসপাতাল থেকে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়। এরপর তাঁকে দঃ২৪ পরগনার একটি বেসরকারি নার্সিংহোমে ভর্তি করা হয়। অন্যদিকে প্রোমোটার বীরেন দাসকে টাকা দিয়ে এনআরএস হাসপাতাল (hospital) থেকে নার্সিং হোমে নিয়ে গিয়েছে পরিবার বলে জানিয়েছে, পরিবারের সদস্যরা।
জানা যায়, সোমবারের বোমা বিস্ফোরণের ঘটনায় গুরুতর আহত হয়েছিলেন লোকমান মোল্লা, কিন্তু তাঁকে এনআরএস হাসপাতালে চিকিৎসা পরিষেবা সঠিক দেওয়া হচ্ছিল না। যে কারণের দীর্ঘক্ষণ ধরে হাসপাতালের বারান্দার ট্রলির উপরেই পড়েছিলেন লোকমান মোল্লা। অবশেষে সরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা পরিষেবা না পাওয়ার কারণের জন্য মধ্যরাতেই তাঁর পরিবার হাসপাতাল থেকে চিকিৎসার জন্য একটি বেসরকারি নার্সিংহোমে স্থানান্তরিত করে।
তবে এই ঘটনার পর প্রশ্ন উঠছে একটাই, কীভাবে সরকারি হাসপাতালে ক্রিটিক্যাল কন্ডিশনের এই রোগীকে দীর্ঘক্ষণ ধরে হাসপাতালের বারান্দায় এক কোণে টলির মধ্যেই রক্তক্ষরণ অবস্থায় ফেলে রাখা হল? হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ এবং চিকিৎসকরা কেন লোকমান মোল্লার অস্ত্র প্রচার করার ব্যবস্থা করলেন না।
এবার খাস কলকাতায় বোমা বিস্ফোরণের (Bomb Blast) ঘটনা। প্রাথমিক অনুমান, সকেট বোমা ফেটেই ঘটেছে এই বিপত্তি। ঘটনায় গুরুতর জখম (injured) হয়েছেন দুজন। আহতদের মধ্যে একজন শ্রমিক ও অপরজন এলাকারই বাসিন্দা। জানা যায়, ঘটনায় হাত উড়ে গিয়েছে শ্রমিকের। জখম দুজনকে এনআরএস (NRS) হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। মর্মান্তিক এই ঘটনাটি বেলেঘাটা (Beleghata) থানা এলাকার।
জানা গিয়েছে, এই এলাকায় একটি নির্মাণের কাজ চলছিল৷ সেখানে শ্রমিকরা মাটি খুঁড়তেই আচমকা বিকট একটি শব্দ শুনতে পান। সঙ্গে সঙ্গে স্থানীয়রা ঘটনাস্থলে ছুটে গিয়ে দেখেন, দুজন রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে রয়েছেন। তাঁদের একজন শ্রমিক, যার ডান হাত উড়ে গিয়েছে। খবর পেয়েই ঘটনাস্থলে হাজির হয় বেলেঘাটা থানা এবং কলকাতা পুলিসের গুন্ডা দমন শাখার গোয়েন্দারা এবং ফরেন্সিক বিশেষজ্ঞরা। গোয়েন্দাদের অনুমান, রাতের অন্ধকারে কোনও দুষ্কৃতী ওই জায়গায় সকেট বোমাগুলি মাটি চাপা দিয়ে রেখে গিয়েছিল। নির্মাণের কাজ চলাকালীন এদিন শ্রমিকরা মাটি খুঁড়তেই সেখানে চাপ পড়ে সকেট বোমাগুলি ফেটে যায়।
ভয়াবহ গাড়ি বোমা (Car Bomb) বিস্ফোরণে নিহত পুতিন (Vladimir Putin) ঘনিষ্ঠ এক গোয়েন্দা কর্তার মেয়ে। জানা গিয়েছে, মৃতার নাম দারিয়া দুগিন। ইউক্রেন যুদ্ধের (Ukraine War) মাস্টারমাইন্ড আলেকজেন্ডার দুগিনের মেয়ে দারিয়া। স্পষ্টতই এই নাশকতার পিছনে ইউক্রেনীয় জঙ্গিদের হাত দেখছে মস্কো। প্রাথমিক তদন্তে রুশ পুলিস জানতে পেরেছে, মস্কোর অদূরে জাতীয় সড়কের এক ধারে পার্ক ছিল দারিয়ার গাড়ি। রাতের দিকে এক অনুষ্ঠানবাড়ি থেকে ফিরে সেই গাড়িতে উঠতেই ভয়াবহ বিস্ফোরণ। বিস্ফোরণের তীব্রতায় সেই গাড়ি-সহ পাশের একটা ট্রাকেও আগুন ধরে যায়।
পুলিসের সন্দেহ, দারিয়া নয় বরং তাঁর বাবা আলেকজেন্ডার ছিলেন এই নাশকতার লক্ষ্য। কিছু সময়ের গরমিলে প্রাণ হারান দারিয়া দুগিন।
আন্তর্জাতিক গোয়েন্দাদের কাছে অ্যালেকজান্ডার পুতিনের মাথা হিসেবে পরিচিত। ইউক্রেন যুদ্ধ-সহ রাশিয়ার পড়শি দেশগুলোকে ধমকে চমকে রাখা। প্রতি ক্ষেত্রেই রুশ সেনাকে পরিকল্পনা ছকে দেন আলেকজেন্ডার। পুতিন-ঘনিষ্ঠদের দাবি, আলেকজান্ডারকে খুনের এই হামলা লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়েছে। পাল্টা জবাব দেবে রাশিয়া। অধুনা রুশ নিয়ন্ত্রিত ডনেৎস্কের গণপ্রজাতন্ত্রের প্রধান তথা পুতিন-ঘনিষ্ঠ ডেনিস পুশিলিনের দাবি, ইউক্রেনীয় জঙ্গিরাই আলেকজান্ডারের মেয়েকে খুন করেছে।
জমিতে জল দেওয়াকে কেন্দ্র করে পারিবারিক বিবাদ। আর যার জেরে বোমা (bomb) নিয়ে চলল হামলা। ঘটনায় গুরুতর আহত (injured) একই পরিবারের মোট ৫ জন সদস্য। সোমবার রাতে এই মর্মান্তিক ঘটনাটি মুর্শিদাবাদ (Mursidabad) জেলার কান্দি থানার অন্তর্গত কুমারষণ্ড গ্রাম পঞ্চায়েতের দুর্লভপুর গ্রামে ঘটে। আহত অবস্থায় ৫ জনকে চিকিৎসার জন্য ভর্তি করা হয় বহরমপুরে মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে (hospital)। তাঁদের মধ্যে দুজন মহিলা ও একজন শিশু রয়েছে।
জানা গিয়েছে, জমিতে সেচের জল দেওয়াকে কেন্দ্র করেই মূলত পারিবারিক বিবাদ তৈরি হয়। হাবিব সেখের পরিবারের সঙ্গে সরফরাজ সেখের পরিবারের সদস্যদের শুরু হয় প্রথমে কথা কাটাকাটি ও এরপর বিবাদ। ঘটনার জেরে হাবিব সেখের পরিবারের ওপর বোমা নিয়ে হামলা চালানো হয় বলে অভিযোগ। অভিযোগ ওঠে, সারফারাজ সেখ ও তাঁর পরিবারের সদস্যরা হাবিব সেখের বাড়িতে ঢুকে বোমা হামলা চালিয়েছে। ঘটনার জেরে এক শিশু ও দুই মহিলা সহ মোট পাঁচজন গুরুতর আহত হয়। পরিবার সূত্রে জানা যায়, গুরুতর আহত অবস্থায় হাবিব সেখ, দুলাভ সেখ, শাহানা বিবি, আসরাফা বিবি ও এক শিশু আহত হয়েছেন। গুরুতর আহত অবস্থায় সকলকেই মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করেন স্থানীয় বাসিন্দারা। বর্তমানে সেখানেই তাঁরা চিকিৎসাধীন।
অন্যদিকে, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় কান্দি থানার পুলিস। তবে সঠিক কী কারণে এই বোমা নিয়ে হামলা চালানো হয়েছে, তার তদন্ত শুরু করেছে পুলিস। যদিও এই ঘটনায় এখনও পর্যন্ত কাউকে গ্রেফতার করা হয়নি বলে পুলিস জানিয়েছে।