
প্যারিসের (Paris) ঐতিহ্যবাহী আইফেল টাওয়ারে (Eiffel tower) বোমা বিস্ফোরণের (Bomb Threat) হুমকি দেওয়ার খবর এবার প্রকাশ্যে এল। আচমকা এমন হুমকি আসায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে প্যারিসে। সূত্রের খবর, শনিবার এই হুমকির খবর প্রকাশ্যে আসতেই তৎক্ষণাৎ সেখান থেকে সরিয়ে ফেলা হয় পর্যটকদের। জানা গিয়েছে, পর্যটকদের নিরাপত্তার জন্য এর তিনটি তলা ও সামনের চত্বর খালি করে ফরাসি পুলিস।
আন্তর্জাতিক সংবাদ সূত্রে খবর, বোমা হামলার আশঙ্কা থাকায় স্থানীয় সময় শনিবার দুপুর দেড়টার পর আইফেল টাওয়ারের নিচ থেকে পর্যটকদের সরিয়ে নেওয়া হয়। টাওয়ারের তিনটি তলায়ও লোকজন ছিল, তাদেরও সরিয়ে নেওয়া হয়। প্যারিসের এই আইফেল টাওয়ারের রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্বে রয়েছে SETE নামের একটি সংস্থা। শনিবার বিস্ফোরণের হুমকি মিলতেই বম্ব স্কোয়াডকে খবর দেয় তারা। এর পরই গোটা এলাকা ঘিরে ফেলে ফরাসি পুলিস। শুরু হয় চিরুনি তল্লাশি। আইফেল টাওয়ার-সংলগ্ন হোটেল, রেস্টুরেন্টও খালি করে তল্লাশি চালায় বম্ব স্কোয়াড ও প্যারিস পুলিস।
SETE সংস্থার মুখপাত্র বলেন, 'এটা একটা অদ্ভুত ঘটনা। এই ধরনের পরিস্থিতির মুখোমুখি আমরা কখনও হইনি।' অন্যদিকে প্যারিস পুলিসের মুখপাত্র জানান, এই ধরনের ঘটনা বিরল। তবে বোমাতঙ্ক কীভাবে ছড়াল, সে ব্যাপারে স্পষ্ট করে কিছু বলেননি তিনি। শেষ পাওয়া খবর পর্যন্ত, আইফেল টাওয়ার বা সংলগ্ন এলাকায় বোমা বা বিস্ফোরক জাতীয় কিছু মেলেনি। তবে এর নেপথ্যে কাদের হাত রয়েছে তা নিয়ে তদন্ত শুরু করেছে ফরাসি পুলিস।
বোমা বিস্ফোরণে (Bomb Blast) গুরুতরভাবে জখম (Ijured) এক ন'বছরের শিশু। জানা গিয়েছে, বিস্ফোরণের জেরে ডান হাতটি ছিন্নভিন্ন হয়ে গিয়েছে। রবিবার সকাল ১১ টা নাগাদ ঘটনাটি ঘটেছে বসিরহাটের (Basirhat) নলকোড়া গোলবাগান এলাকায়। বোমকে বল ভেবে খলতে গিয়েই ঘটে বিস্ফোরণ। ঘটনার পরেই স্থানীয়রা ওই শিশুটিকে উদ্ধার করে তড়িঘড়ি হাসপাতালে নিয়ে যায়। এরপরেই খবর পেয়ে ওই ভাটাতে পৌঁছয় বসিরহাট থানার পুলিস (Police)। বাকি বোমা গুলিও উদ্ধার করে পুলিস। এমনকি কে বা কারা এই ধরনের বোমা মজুত করে রেখেছে তার তদন্ত শুরু করেছে পুলিস। ঘটনাকে ঘিরে বেশ চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এলাকায়।
সূত্রের খবর, আহত ওই শিশুটির নাম ইউসুফ মণ্ডল (৯)। বাড়ি উত্তর ২৪ পরগনার বসিরহাট পৌরসভার ২ নম্বর ওয়ার্ডের অন্তর্গত গোলবাগান এলাকায়। এই ঘটনায় স্থানীয় প্রতিবেশীরা ইউসুফকে উদ্ধার করে প্রথমে বসিরহাট জেলা হাসপাতালে নিয়ে যায়। তবে ওই শিশুটির অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাকে কলকাতা আরজিকর হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়েছে। পরিবার সূত্রে খবর, ইতিমধ্যেই জ্ঞান ফিরেছে ইউসুফের। একটু একটু করে কথাও বলছে সে। তবে ওই শিশুটির ডান হাতের কবজি থেকে বাকিটা বাদ দিতে হয়েছে। পরিবারের দাবি, যে বা যারা এই বোমাগুলি মজুত করছিল পুলিস তাদের খুঁজে বের করে কঠোর শাস্তি দিক।
যদিও এই ঘটনায় ভাটার মালিক হাজী মোহাম্মদ মসিবর বৈদ্য বলেন, "ভাটাটি দীর্ঘদিন ধরে বন্ধ ছিল। কে বা কারা এসে বোমাগুলি রেখেছে তা জানা যায়নি। তবে এই ধরনের ঘটনা যারা ঘটিয়েছে তাদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি হওয়া উচিত।"
আচমকা বোমা বিস্ফোরণে (Bomb Blast) গুরুতর জখম (Injured) এক নাবালক। রবিবার ঘটনাটি ঘটেছে মালদহের (Malda) মানিকচক থানার নারায়ণপুর চর এলাকায়। বোমা বিস্ফোরণের জেরে আহত নাবালক বর্তমানে মালদহের মানিকচক গ্রামীণ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। রবিবারই তাকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। ইতিমধ্যেই এই ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিস (Police)। এমনকি ঘটনাস্থলটি ঝাড়খন্ড সংলগ্ন হওয়ায় পৃথকভাবে এই ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে ঝাড়খণ্ড পুলিসও। ঘটনাকে ঘিরে বেশ চাঞ্চল্য ওই এলাকায়।
এই বিষয়ে আহত নাবালক বলে, রবিবার মহিষ চরাতে মাঠে গিয়েছিল সে। তারপর কিছুক্ষণ মাঠে খেলাধুলোও করে। এরপরেই প্রচণ্ড রোদের কারণে সামনে থাকা একটি বাঁশ বাগানে গিয়ে বসে আরাম করে জল খায়। তারপরেই বাঁশ বাগানের মধ্যে একটি ব্যাগ পড়ে থাকতে দেখে। ওই নাবালকের দাবি, সে বাঁশ বাগান থেকে ব্যাগটি তুলে দেখে তার মধ্যে একটি বোমা। তারপরেই ভয়ে সে ব্যাগটিকে মাটিতে ফেলে দেয়। আর তারপরেই ঘটে ওই বিস্ফোরণ। আহতর পরিবারের দাবি, যে বা যারা এলাকার মধ্যে বোমা মজুত করছে, যার জেরে বারবার বিস্ফোরণ ঘটে চলেছে, পুলিস তাদের গ্রেফতার করে।
পঞ্চায়েত নির্বাচন মিটলেও রাজ্যের জেলায় জেলায় উদ্ধার (Recovery) হয়ে চলেছে বোমা (Bomb)। শনিবার মুর্শিদাবাদের সালার (Salar) থানার অন্তর্গত খাঁড়েরা গ্রামে এই ঘটনাটি ঘটেছে। খাঁড়েরা গ্রামের ক্যানেল পাড় ও উপসাস্থ্য কেন্দ্র থেকে মোট ১৪ টি বোমা উদ্ধার করেছে সালার থানার পুলিস। বোমাগুলিকে উদ্ধার করে তা নিষ্ক্রিয় করার জন্য পুলিস খবর দেয় বোম স্কোয়াডকে। কিছুক্ষণ পর ঘটনাস্থলে পৌঁছয় বোম স্কোয়াডের আধিকারিরা এবং উদ্ধার করা বোমাগুলিকে নিষ্ক্রিয় করে। ইতিমধ্যেই এই ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিস। কে বা কারা এই বোমা গুলি মজুত করেছে তাও খতিয়ে দেখছে পুলিস (Police)।
একইভাবে শনিবার উত্তর ২৪ পরগণার দেগঙ্গা (Deganga) হরিণখোলার একটি পরিত্যাক্ত দোকানেও উদ্ধার হয়েছে একটি তাজা বোমা। বোমাটি উদ্ধার করে দেগঙ্গা থানার পুলিস। বোম স্কোয়াডের পক্ষ থেকে ওই বেমাটিকেও ইতিমধ্যেই নিষ্ক্রিয় করা হয়েছে। তবে কে বা কারা বারবার এই ধরনের বোমা মজুত করে চলেছে তার তদন্ত শুরু করেছে দেগঙ্গা থানার পুলিস। ঘটনাকে ঘিরে বেশ চাঞ্চল্য এলাকায়।
আগ্নেয়াস্ত্র (Firearm) সহ গ্রেফতার (Arrest) হল দুই দুষ্কৃতী। রবিবার, বীরভূমের তারাপীঠ বীরচন্দ্রপুর রাজ্য় সড়কের কাছে ঘটনাটি ঘটে। পুলিস সূত্রে খবর, ধৃতদের নাম সুরজ শেখ ও ভিক্টর শেখ। তাদের দুজনেরই বাড়ি তারাপীঠ থানার সন্ধ্যাজল গ্রামে। এই পুরো ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিস।
পুলিস সূত্রে খবর, রবিবার মল্লারপুর থানার পুলিস গোপন সূত্রে খবর পেয়ে তারাপীঠ বীরচন্দ্রপুর রাজ্য সড়কের গ্যাস গোডাউনের কাছে দশ বারো জনের একটি দল ডাকাতির উদ্দেশ্য়ে জড়ো হয়েছিল। তাদেরকে ধরতে গেলে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। সেই সময় তাদের মধ্যে থেকে দু জনকে আটক করতেই তাদের কাছ থেকে গুলি ভর্তি একটি আগ্নেয়াস্ত্র ও একটি ভোজালি উদ্ধার করে মল্লারপুর থানার পুলিস। এই আগ্নেয়াস্ত্র কোথা থেকে কি উদ্দেশ্য়ে তারা রেখেছে তার তদন্ত শুরু করেছে।
অন্য়দিকে, ফের মুর্শিদাবাদে বিপুল পরিমাণে বোমা সহ বোমা তৈরীর মশলা উদ্ধার করল সিআরপিএফ-এর ৩১০ ব্যাটেলিয়ান সি/২৩৪ কমান্ড্যান্ট আশিস বিশ্বকর্মা ও ফরাক্কা থানার পুলিস। ঘটনাটি ঘটেছে মুর্শিদাবাদের ফরাক্কা মহেশপুর পঞ্চায়েতের অন্তর্গত শিবতলা এলাকায়। এই পুরো এলাকার সিআরপিএফ জওয়ান এবং ফারাক্কা থানার পুলিস প্রশাসনের তরফ থেকে মুড়ে ফেলা হয়েছে।
দুই মহিলাকে বিবস্ত্র করে মারধরের ঘটনায় ইতিমধ্যেই উত্তেজনা ছড়িয়েছে মালদহে। আর এই ঘটনার মধ্যেই মালদহের (Malda) হরিশচন্দ্রপুর হাসপাতাল এলাকার পিছনদিকে একটি ইটভাটা সংলগ্ন ধানক্ষেত থেকে তিনটি তাজা বোমা (Bomb) উদ্ধার হয়েছে। যদিও বোমাগুলি উদ্ধার করেছে হরিশচন্দ্রপুর থানার পুলিস (Police)। এমনকি ওই ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়েছে বোম স্কোয়াডের আধিকারিকরাও। উদ্ধার হওয়া বোমাগুলি নিষ্ক্রিয় করা হবে। বর্তমানে ওই এলাকা পুলিসের কড়া নজরদারিতে রয়েছে। এমনকি কে বা কারা বোমাগুলি ওই এলাকায় রেখেছে তার তদন্ত শুরু করেছে পুলিস।
অন্যদিকে, উত্তর ২৪ পরগনার দেগঙ্গায় (Deganga) উদ্ধার হয়েছে তাজা বোমা। জনবহুল এলাকায় রাস্তার পাশেই পড়েছিল বোমাটি। ঘটনার চাঞ্চল্য এলাকায়। এই ঘটনায় প্রত্যক্ষদর্শী এক স্থানীয়র দাবি, তিনি শনিবার সকালে ওই রাস্তা দিয়ে যাচ্ছিলেন। ঠিক সেই সময়ই তিনি এই বোমাটিকে দেখতে পান। তবে বেমাটিকে প্রথমে দেখে তাঁর দড়ির বাণ্ডিল মনে হলেও পরে তিনি বুঝতে পারেন ওটা বোম। আর তারপরেই তড়িঘড়ি করে বাকি এলাকাবাসীদের খবর দেন এবং পুলিসকেও জানান।
ইউক্রেনের (Ukraine) ক্ষেপণাস্ত্র হানা (War)। রুশ (Russia) বাহিনীকে ছত্রভঙ্গ করতে আমেরিকার দেওয়া ক্লাস্টার বোমা (Cluster Bomb) ব্যবহার করেছে ইউক্রেন। আর সেই বোমা ফেটে তার থেকে আরও অনেক ছোটো ছোটো বোমা বেরিয়ে আসছে। পরে আবার সেই ছোটো ছোটো বোমাগুলিই বিস্ফোরণ ঘটাচ্ছে। ফলে সাধারণ মানুষের প্রাণহানির শঙ্কা বেড়েই চলেছে। এই বোমা ব্যবহার একরকম প্রায় নিষিদ্ধ। একটি রিপোর্টে ইউক্রেনীয় কর্তাদের দাবি, শুধুমাত্র শত্রুদের হামলার জবাব দিতেই ক্লাস্টার বোমা ব্যবহার করা হবে।
অন্যথায় এই অস্ত্রের ব্যবহার নিষিদ্ধ জেনেও ইউক্রেনে এই অস্ত্রটি পাঠানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছেন আমেরিকার প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন (Joe Biden)। যার ফলে আমেরিকার প্রেসিডেন্টের এই সিদ্ধান্তে ক্ষুব্ধ সবাই। এমনকি ক্ষোভ প্রকাশ করেছে মানবাধিকার সংগঠনগুলিও। ইউরোপের কিছু মিত্র দেশও বাদ পড়েনি বাইডেনের এই সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করতে।
তৃণমূলের 'শহীদ দিবস'-এর দিনও রাজ্যের একাধিক জেলা থেকে উদ্ধার (Rescue) তাজা বোমা (Bomb)। শুক্রবার, বীরভূমের (Birbhum) মুরারই থানার আবদুল্লাপুর গ্রামের শিশু শিক্ষা কেন্দ্রে পাশ থেকে উদ্ধার হলো বালতি ভর্তি তাজা বোমা। ঘটনার খবর পেয়ে মুরারই থানার পুলিস এসে ঘটনাস্থলটিকে ঘিরে রাখে। খবর দেওয়া হয় সিআইডির বম্ব স্কোয়াডকে। শিশু শিক্ষা কেন্দ্রের পাশে বালতি ভর্তি বোমা উদ্ধার হওয়ায় গোটা এলাকায় যথেষ্ট চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে।
স্থানীয় সূত্রে খবর, এদিন সকালে রাস্তা দিয়ে যাওয়ার সময় বোমা ভর্তি বালতি দেখতে পান কয়েকজন। এরপর স্থানীয়রা পুলিসে খবর দিলে মুরারই থানার পুলিস ঘটনাস্থলে গিয়ে এলাকাটিকে ঘিরে রাখে। এই পুরো ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে মুরারই থানার পুলিস।
অন্য়দিকে, তৃণমূলের পরাজিত পঞ্চায়েত প্রার্থীর বাড়ির সামনের রাস্তার ধার থেকে দুটি তাজা বোমা উদ্ধার ঘিরে এলাকায় চাঞ্চল্য। এদিন ঘটনাটি ঘটেছে আমডাঙ্গা গ্রাম পঞ্চায়েতের আমডাঙ্গা উত্তর পাড়ায়। বোমা উদ্ধারের ঘটনায় ব্য়পক বোমাতঙ্ক ছড়িয়েছে এলাকাবাসীদের মধ্য়ে।
গ্রাম পঞ্চয়েতের পরাজিত তৃণমূল প্রার্থী টুম্পা বিবির দাবি, তাঁকে ফাঁসানোর জন্য বিরোধী রাজনৈতিক দলের কেউ বা কারা এই বোমা দুটি রেখে গিয়েছে। এরপর খবর পেয়ে আমডাঙ্গা থানার পুলিস বোমা দুটি উদ্ধার করে। এই ঘটনাকে ঘিরে এলাকায় চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়েছে।
ভোটের পরেও জেলায় জেলায় বোমা বিস্ফোরণ (Bomb Blust)। আর সেই বিস্ফোরণের জেরে আহত (Injured) হচ্ছে সাধারণ মানুষ। বোমা বিস্ফোরণের আঘাতে আহত হয়েছে দুই শিশু। শনিবার সকালে ঘটনাটি ঘটেছে মুর্শিদাবাদের (Murshidabad) সালারের ভাষা দিবসে শহীদ আবুল বরকতের গ্রাম কাগ্রামে। আহত শিশুদের উদ্ধার করে সালার প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্রে ভর্তি করা হয়েছে। ইতিমধ্যেই এই ঘটনাস্থলে সালার থানার বিশাল পুলিস বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে। সূত্রের খবর, সকালে ওই দুই শিশু পাড়ার একটি বাগানের মধ্যে খেলা করছিল। সেই সময় বল ভেবে বোমাটি হাতে নিলেই বিকট শব্দে কেঁপে ওঠে পুরো এলাকা। তারপরেই আহত ওই দুটি শিশুকে স্থানীয়রা উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যায়।
প্রসঙ্গত, মুর্শিদাবাদের রেজিনগর সহ বেশ কিছু জায়গায় তাজা বোমা উদ্ধার হয়েছে। কোথায় ব্যাগে আবার কোথাও জারের মধ্যে থেকে উদ্ধার করা হয়েছে ভর্তি ভর্তি বোমা। রেজিনগর থানার অন্তর্গত একডালা মধুপুর, নাজিরপুর, জানপুর ও ছেতিয়ানিতে উদ্ধার করা হয়েছে বোমাগুলি। বোমা উদ্ধারের ঘটনায় ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়েছে রেজিনগর থানার পুলিস। এমনকি বোম স্কোয়াডে খবর দেওয়া হয়েছে বোম গুলিকে নিষ্ক্রিয় করার জন্য। এমনকি বিশাল পরিমাণে বোমা উদ্ধারের ঘটনায় ওই এলাকাগুলিতে পুলিস মোতায়েন করা হয়েছে। যদিও এই ঘটনায় এখনও পর্যন্ত কাউকে আটক করা হয়নি। তবে কে বা কারা এই বোমাগুলি মজুত করে চলেছে তার তদন্ত শুরু করেছে পুলিস।
পঞ্চায়েত নির্বাচনে বোমার আঘাতে মৃত্যু হয়েছে বেশ কিছু মানুষের, সেসময় গোটা রাজ্য অর্থাৎ পশ্চিমবঙ্গ বারুদের তলায় ছিল, এ বললেও ভুল বলা হবে না। নির্বাচন ঘোষণার আগে থেকেই গোটা রাজ্য জুড়ে দফায় দফায় বোমা উদ্ধার হয়েছে। পঞ্চায়েত ভোট মিটলেও পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন জেলার বিভিন্ন প্রান্ত থেকে উদ্ধার হচ্ছে মজুত রাখা তাজা বোমা। তেমনই শুক্রবারও রাজ্যের দুটি জেলায় পৃথক ভাবে বহু বোমা উদ্ধার হয়। সূত্রের খবর, বীরভূমের দুটি পৃথক জায়গা এবং উত্তর ২৪ পরগনার দেগঙ্গা থেকে বহু বোমা উদ্ধার করে স্থানীয় প্রশাসন।
সূত্রের খবর, শুক্রবার গোপন সূত্রের থেকে খবর পেয়ে নানুরের ব্রাহ্মণখণ্ড গ্রামের একটি পুকুর পাড় থেকে দু ড্রাম বোমা উদ্ধার করে নানুর থানার পুলিস। ওই একই দিনে বীরভূমের তারাপীঠ থানার পরুন গ্রামে লাহা নিস্পরুন হাইস্কুলের পাশে একটি পুকুরপাড় থেকে ১১ টা ৩৫ মিনিটে উদ্ধার হয় ব্যাগ ভর্তি তাজা বোমা। শুক্রবার সকালে ওই এলাকার বাসিন্দারা বোমা ভর্তি দুটি ব্যাগ পড়ে থাকতে দেখেন। এরপর পুলিসে খবর দিলে তারাপীঠ থানার পুলিস ঘটনাস্থলে গিয়ে বোমা উদ্ধার করে ও জায়গাটিকে ঘিরে রাখে। পুলিশের অনুমান দুটি ব্যাগে ১২-১৫ টি বোমা রয়েছে। খবর দেওয়া হয় বোম্ব স্কোয়াডে। কে বা কারা স্কুলের পাশে বোমা গুলি মজুত করে রেখেছে সেই বিষয়টি নিয়ে তদন্ত করছে তারাপীঠ থানার পুলিস।
একই দিনে উত্তর ২৪ পরগনার দেগঙ্গার কলসুর সরদার পাড়ার জনবহুল এলাকার একটি পুকুর থেকে শুক্রবার দুপুরে দুটি তাজা বোমা উদ্ধার করল দেগঙ্গা থানার। পুলিস ও স্থানীয় সূত্রে খবর, এদিন দুপুরে স্থানীয়রা পুকুরে স্নান করতে গিয়ে দেখেন একটি ব্যাগে পলিথিনে মোড়া দুটি তাজা বোমা, পুকুরের জলে ভাসতে দেখে তাঁরা পুলিসকে খবর দেয়। পঞ্চায়েত নির্বাচন মিটলেও জনবহুল এলাকায় বোমা উদ্ধারে আতঙ্ক ছড়ায় এলাকায়।
পঞ্চায়েত ভোট সবেমাত্র শেষ। এরই মধ্যে ফের বোমা (bomb) বাধার সময় বিস্ফোরণে (explosion) মৃত্যু (Death) হল এক ব্যক্তির। ঘটনায় আহত হয়েছে আরও বেশ কয়েকজন। শুক্রবার ঘটনাটি ঘটেছে মালদহের (Maldah) কালিয়াচক থানার অন্তর্গত কালিয়াচক পুরনো সিকোস্তি গ্রাম ও করারি চাঁদপুরের মাঝে পাগলা নদীর ধারে লিচু বাগানে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় কালিয়াচক ও বৈষ্ণবনগর থানার পুলিস। বোমা উদ্ধারের পর এলাকা ঘিরে রয়েছে পুলিস ও কেন্দ্রীয় বাহিনী। এরপর খবর দেওয়া হয় বম্ব স্কোয়াডকে। পুলিস জানিয়েছে, এই ঘটনায় তল্লাশি চালাচ্ছে কালিয়াচক থানার পুলিস। এছাড়া সূত্রের খবর, এখনও ওই ব্যক্তির পরিচয় জানা যায়নি।
পুলিস সূত্রে খবর, বোমা বাধার সময় তখনই বিস্ফোরণ ঘটে। ফলে ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় একজনের। পুলিস জানিয়েছে, বিস্ফোরণের ঘটনাস্থলেই ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে বোমার টুকরো। বোমা উদ্ধারের পর ঘটনাস্থলটি ঘিরে রয়েছে পুলিস। বোমা উদ্ধার ও বিস্ফোরণকাণ্ডে ব্যাপক চাঞ্চল্য় ছড়িয়েছে গোটা এলাকায়। কে বা কারা এই বোমা বাঁধতে চেয়েছিল তা জানতে তদন্তে শুরু করেছে পুলিস প্রশাসন।
পঞ্চায়েত নির্বাচনের (Panchayat Elections) ভয়ঙ্কর তাণ্ডবের স্মৃতি এখনও রয়েছে বিদ্যালয়ের ভিতরে। শুক্রবার, মালদহের (Maldah) খরবার গোপালপুর প্রাথমিক বিদ্যালয়ে উদ্ধার (rescue) হয় দুটি বোমা (bomb)। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসে খরবা ফাঁড়ির পুলিস। এই বোমা উদ্ধারকাণ্ডে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িযেছে গোটা স্কুল চত্বর এলাকায়।
পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, এদিন খরবার গোপালপুর প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মাঠের কোণ থেকে উদ্ধার হয়েছে দুটি বোমা। এছাড়াও শৌচালয় থেকে পাওয়া গিয়েছে বাঁশের লাঠি। ভাঙন ধরেছে দেওয়ালে। এমনকি স্কুলের ক্লাসরমের ভিতরে থাকা পাখাগুলিও বাঁকানো অবস্থায় রয়েছে। তবে স্কুলে আরও বোমা থাকতে পারে বলে এমনটাই অনুমান করা হচ্ছে। এরপর খবর দেওয়া হয়েছে বম্ব স্কোয়াডকে।
আপাতত বন্ধ রয়েছে স্কুলের পাঠ্যক্রম ব্যবস্থা। তবে এই বোমা উদ্ধারের ঘটনাকে ঘিরে স্কুলের শিক্ষক শিক্ষিকারা ক্ষুব্ধ রয়েছেন। তাঁদের একটাই দাবি, দিন দিন রাজনৈতিক হিংসার প্রভাব যেন বেড়েই চলেছে। যার ফলে সমস্যায় পড়ছে স্কুল পড়ুয়া থেকে শুরু করে সাধারণ মানুষ।
বাংলায় পঞ্চায়েত ভোটের সন্ত্রাসের বৃত্তান্ত দেখতে এসে, তাঁদের আমলের বিহার, উত্তরপ্রদেশের কথা স্মরণ করলেন বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতা রবি শঙ্কর প্রসাদ। বুধবার কলকাতায় এসে কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর অভিযোগ, বাংলা এখন বোমার রাজ্যে পরিণত হয়েছে। কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর এই অভিযোগকে পাল্টা কটাক্ষ করেছে তৃণমূল কংগ্রেস। রাজ্যের শাসক দলের তরফে দাবি করা হয়েছে, বিহার, উত্তরপ্রদেশের কথা উল্লেখ করে কেন্দ্রীয়মন্ত্রী ঠারেঠোরে স্বীকার করেছেন, তাঁরাও একসময় সন্ত্রাস করেছেন।
এদিন কলকাতায় এসে তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রশংসা করেছেন কেন্দ্রীয়মন্ত্রী। রবি শঙ্কর প্রসাদের দাবি, মমতা মতো একজন বিচক্ষণ নেত্রীর রাজ্যে কেন এই ধরণের ঘটনা বার ঘটতে তা খতিয়ে দেখার সময় এসেছে। পঞ্চায়েত ভোটে বিরাট জয়লাভের পর ফেসবুকে রাজ্যবাসীকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন তৃণমূল নেত্রী। তা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন রবি শঙ্কর প্রসাদ।
এদিন কেন্দ্রীয়মন্ত্রী রবি শঙ্কর প্রসাদ ছাড়াও বিজেপির এই প্রতিনিধি দলে কলকাতায় এসেছেন উত্তরপ্রদেশের নেতা সত্যপাল সিং, রাজদীপ রায় এবং রেখা বর্মা। মূলত রাজ্যের সন্ত্রাস কবলিত এলাকা গুলিতেই এই প্রতিনিধি দলের যাওয়ার কথা।
পঞ্চায়েত নির্বাচনের ফলাফলের দিন বোমা (bomb) বিস্ফোরণে (explosion) উড়ল এক ব্যক্তির হাত। পূর্ব মেদিনীপুর (East Medinipur) ময়নায় বাকচা গ্রাম পঞ্চায়েতের অন্তর্গত গোবরদন গ্রামে ঘটনাটি ঘটে। জানা গিয়েছে, ওই ব্যক্তির নাম গুরুপদ ভূঁইয়া (৬৪)।
গুরুপদের পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, এ দিন দুপুরে বাঁশ বাগানে বাঁশ কাটতে গিয়েই এই বিপত্তি। বাঁশ কাটার সময় একটি কাঠ রাখার জায়গায় বিস্ফোরণটি ঘটে। তাতেই গুরুতর আহত হন ওই ব্যক্তি। এই ঘনটায় ওই ব্যক্তির বাম হাতের কব্জি সম্পূর্ণভাবে উড়ে যায়। এছাড়াও সারা শরীরে বোমার আঘাতও পান তিনি। কপাল এবং মাথাতেও আঘাত লেগেছে। গুরুতর আহত অবস্থায় ওই ব্যক্তিকে তাম্রলিপ্ত মেডিকেল কলেজ এন্ড হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়।
বর্তমানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রয়েছে ওই ব্যক্তি। পুলিস ঘটনাস্থলে এসে প্রায় ছয়টি বোমা উদ্ধার করে বালতিতে রেখে জল ঢেলেছে। ভোট গণনার দিনে গ্রামের ভেতরে বোমা বিস্ফোরণের জেরে ব্য়পক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে।
ভোট (Vote) গণনার দিনেও উদ্ধার (rescue) তাজা বোমা (bomb)। মঙ্গলবার, কোচবিহারের তুফানগঞ্জ ১ নম্বর ব্লকের চিলাখানা বাজার থেকে বোমাটি উদ্ধার হয়েছে। বোমা উদ্ধার ঘটনা ঘিরে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে গোটা বাজার চত্বরে।
উল্লেখ্য়ভাবে বিজেপি নাটাবাড়ি বিধানসভা ৩ নং মণ্ডল সভাপতি চিরঞ্জিত দাস বলেন, চিলাখানার মানুষ শান্তি প্রিয় ও গণতন্ত্র প্রিয় মানুষ। ২০১৮ সালের মতো ২০২৩ সালেও সাধারণ মানুষের কাছ থেকে মানুষের ভোটার অধিকার ছিনিয়ে নিয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। তারপরে চিলাখানার বেশ কিছু জায়গায় সাধারণ মানুষ প্রতিবাদ গড়ে তুলেছে। সেই কারণেই বাজার গরম করার জন্য এই সমস্ত ঘটনা ঘটাচ্ছে তৃণমূল কংগ্রেস।
এছাড়াও ভোটগণনা কেন্দ্র থেকে দুই কিলোমিটার অদূরে ছড়িয়েছে বোমাতঙ্ক। চাঁচলের কলি গ্রামে মহারাজ তলায় একটি পোলট্রি ফার্মের পিছন থেকে দুটি ব্যাগকে বোমা উদ্ধার হয়েছে। ঘটনাস্থলে ছিল সিভিক ভলেন্টিয়াররা। পরে খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে এসে পৌছয় চাঁচল থানার পুলিস বা বম্ব স্কোয়াড। বোমা উদ্ধারে আতঙ্কের মধ্যে রয়েছে সাধারণ মানুষ।