
ফের বোমা বিস্ফোরণ। দেগঙ্গার পর এবার কদম্বগাছিতে বোমা বিস্ফোরণে আহত এক যুবক। মঙ্গলবার সকালে ঘটনাটি ঘটেছে উত্তর ২৪ পরগনার কদম্বগাছিতে। জানা গিয়েছে, আহত যুবকের নাম কারিবুল ইসলাম।
আহত যুবক জানিয়েছে, এদিন সকাল দশটা নাগাদ কারিবুল ইসলাম তাঁর শাশুড়ির সঙ্গে কাঠ কাটতে গিয়েছিলেন। সেই সময় হঠাৎ একটা বিকট শব্দতে কেঁপে ওঠেন তাঁরা। সঙ্গে সঙ্গে গোটা এলাকা ধোঁয়া ধোঁয়া হয়ে যায়। তারপরেই জানা যায় যে ওই কাঠের নিচে বোমা ছিল। আর সেই বোমা ফেটে জখম হয়েছেন কারিবুল ইসলাম। তাঁর হাতে আঘাত লেগেছে বলে জানা যায়। এরপর বোমা বিস্ফোরণের শব্দ শুনে স্থানীয়রা গিয়ে তড়িঘড়ি আহত ওই যুবককে উদ্ধার করে বারাসত জেলা হাসপাতালে নিয়ে যায়। এখন সেখানেই চিকিৎসাধীন রয়েছেন বলে হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে।
উল্লেখ্য, গত রবিবার দেগঙ্গায় বলকে বোমা ভেবে খেলতে গিয়ে বোমা বিস্ফোরণে আহত হয় এক কিশোর। জানা গিয়েছে, তৃণমূল পার্টি অফিসের পিছনে পড়ে ছিল একটি ব্যাগ। আর সেই ব্যাগ খুলতেই বের হয় বোমা। সেই বোমাকে বল ভেবে খেলতে গিয়ে জখম হয় ওই কিশোর। রাজ্যে একাধিকবার বোমা বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটায় আতঙ্ক ছড়িয়েছে মানুষের মধ্য়ে।
এক সপ্তাহে দু'বার। ফরাক্কার পর এবার উত্তর ২৪ পরগনার দেগঙ্গায় বোমা বিস্ফোরণ। ঘটনায় আহত এক কিশোর। জানা গিয়েছে, তৃণমূল পার্টি অফিসের পিছনে পড়ে ছিল একটি ব্যাগ। সেই ব্যাগ খুলতেই বের হয় বোমা। আর সেই বোমাকে বল ভেবে খেলতে গিয়ে জখম হয় ওই কিশোর। রবিবার সকালে এই চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটেছে দেগঙ্গার কলসুরে।
পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, আহত কিশোরের নাম আরমান গাজী (১২)। এদিন সকালে তৃণমূলের পার্টি অফিসের পিছনের রাস্তা দিয়ে যাচ্ছিল আরমান। সেই সময় তার নজরে আসে একটি ব্যাগ। সেই ব্যাগ খুলে বোমা হাতে নিয়ে বল ভেবে খেলতে শুরু করে। আর সেই বোমা ফেটেই জখম হয় কিশোর। বোমা বিস্ফোরণের শব্দ পেয়ে স্থানীয়রা ছুটে এসে দেখেন আহত অবস্থায় আরমান মাটিতে পড়ে রয়েছে। এরপর তাকে তড়িঘড়ি উদ্ধার করে নিয়ে যাওয়া হয় বাদুড়িয়া ব্লকের রুদ্রপুর হাসপাতালে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যায় পুলিস।
পুলিস সূত্রে খবর, তৃণমূলের পার্টি অফিসের পিছনের বাগান থেকে আরও তিনটে তাজা বোমা উদ্ধার করা হয়েছে। তবে রাজ্যে একের পর এক বোমা বিস্ফোরণে শিশুর আহত হওয়ার ঘটনায় বেশ আতঙ্কিত রয়েছেন সাধারণ মানুষ।
রাস্তায় পড়ে ছিল বোমা। বল ভেবে বোমা নিয়ে খেলতে গিয়ে বোমা বিস্ফোরণে আহত তিন শিশু। বুধবার এই ঘটনাটি ঘটেছে মুর্শিদাবাদের ফরাক্কা ব্লকে শঙ্করপুর হাউসনগরে। তড়িঘড়ি ওই তিন শিশুকে উদ্ধার করে জঙ্গিপুর মহকুমা হাসপাতালে পাঠানো হয়। এরপর খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যায় ফরাক্কা থানার পুলিস।
জানা গিয়েছে, প্রতিদিনের মতো এদিন সকালেও ওই তিন শিশু অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রে খাবার নেওয়ার জন্য যাচ্ছিল। আর সেই সময় অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্র সংলগ্ন পুকুর থেকে পাওয়া একটি বোমাকে তারা বল ভেবে খেলতে থাকে। তারপর হঠাৎ সেই বোমা হাত থেকে পড়ে গিয়ে ফেটে যায়।এরফলে জখম হয় তিন শিশু। বোমা ফাটার শব্দ পেয়ে স্থানীয়রা এসে দেখেন ওই তিন শিশু বোমা বিস্ফোরণে জখম হয়েছে। ঘটনাকে কেন্দ্র করে ব্যাপক উত্তেজনা ছড়িয়েছে গোটা এলাকায়।
তবে কে বা কারা ওই অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্র সংলগ্ন এলাকায় বোমা রেখে গিয়েছিল। আর ঠিক কোন উদ্দেশ্যেই বা রেখে গিয়েছিল তা খতিয়ে দেখছে পুলিস।
কানাঘুষো শোনা যাচ্ছিল প্রথম থেকেই। আমডাঙার প্রধান খুনের তদন্ত এগোলে বোধহয় তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের তথ্যেও শিলমোহর পড়ার পালা। তবে তার আগে সিএন-র অন্তর্তদন্তে উঠে এল চাঞ্চল্যকর তথ্য। শুধু দলের রেষারেষি নয়, এ যে একেবারে এলাকার দখলের লড়াই। কার দম কত? কার জোর কত? কার দখলে যাবে জমি? ক্ষমতা প্রদর্শনের লড়াইতেই কি বলি আমডাঙার প্রধান?
দুষ্কৃতী-বোমাবাজিতে উত্তর ২৪ পরগনার আমডাঙার প্রধান রূপচাঁদ মণ্ডলের খুনে প্রাইম সাসপেক্টের তালিকায় তৃণমূল নেতা তৈয়ব হোসেন। তদন্তের শুরুতেই খাঁড়া হয় তৃণমূলী গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের তত্ত্ব। কিন্তু খুনের মোটিভ কী হতে পারে? সেই কেঁচো খুঁড়তে গিয়েই বেরিয়ে এল কেউটে। উত্তর ২৪ পরগনার বোদাই অঞ্চল, এই এলাকায় প্রভাব তৃণমূল নেতা তৈয়ব হোসেনের। অভিযোগ, তৈয়বকে টপকে বোদাইতেও জমি দখল, বাগান বাড়ির দখল, দালালি শুরু করেছিলেন রূপচাঁদ। গণ্ডগোলের মূলে থাকতে পারে দত্তপুকুরের ১০ বিঘা জমির ওপর অবকাশ বাগানবাড়ি।
কাকের বাসায় কোকিলের মতো জুড়ে বসেন রূপচাঁদ। শুধু অবকাশ বাগান বাড়ি নয়, নীলগঞ্জ-দত্তপুকুর রোডে সন্তোষপুরে সরকারি জমি দখল করে নাকি একটি হোটেল ও কার সার্ভিস সেন্টার তৈরি করেছিলেন আমডাঙার প্রধান।
মাকড়সার জালের মতো তৈয়বের এলাকায় প্রভাব বিস্তার করেন রূপচাঁদ। অভিযোগ, সরকারি জমি দখল করে রূপচাঁদের হোটেল তৈরিতে আপত্তি জানিয়েছিলেন তৈয়ব। কসমস গ্রীন সিটি নামে একটি প্রোজেক্টেও প্রভাব খাটান রূপচাঁদ। বোদাইতে জমি কেনা-বেচার লড়াইয়ে দিনের পর দিন তৈয়ব-রূপচাঁদের সম্পর্ক তিক্ত হতে শুরু করে।
তৈয়বের বোদাইয়ে কেন রূপচাঁদের প্রভাব খাটবে? বিবাদ তুঙ্গে যাওয়ার পর আমডাঙায় বৈঠকও হয়। সেই বৈঠকে তৈয়বের ছেলে ও ভাইয়েরা রূপচাঁদকে মারধর করে বলে অভিযোগ।
পুরনো শত্রুতার জেরেই কি প্রধান খুন? দখলদারির লড়াইটা বাড়তে বাড়তে কতদূর বেড়েছিল? খুনের মূলে বখরার লড়াই? মানুষ মারার মতো প্রতিশোধ স্পৃহা কী জন্মেছিল?
জয়নগরের পর এবার আমডাঙ্গা। তৃণমূল প্রধানকে বোমা মেরে খুনের অভিযোগ উঠল। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় আমডাঙ্গা কামদেবপুর এলাকার ঘটনা। পুলিশ জানিয়েছে, আমডাঙার ওই মৃত পঞ্চায়েত প্রধানের নাম রূপচাঁদ মন্ডল। পুলিশ জানিয়েছে, তদন্তে নেমে এখনও অবধি একজন অভিযুক্তকে গ্রেফতার করা হয়েছে, পাশাপাশি আরও দুজনকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ চালানো হচ্ছে। এ ঘটনায় এখনও অবধি মৃত ওই প্রধানের পরিবারের তরফে তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দের দিকেই অভিযোগ তোলা হয়েছে।
সূত্রের খবর, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় কামদেবপুর বাজার এলাকায় রূপচাঁদ মণ্ডলকে লক্ষ্য করে বোমা ছোড়ে দুষ্কৃতীরা। বোমার আঘাতে রূপচাদের দেন হাত উড়ে যায়। এ ঘটনা টের পেতেই তাঁকে উদ্ধার করে বারাসতের একটি বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানেই বৃহস্পতিবার রাতেই মৃত্যু হয় রূপচাঁদের। ঘটনার তদন্তে নেমে পুলিশ এক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করে। বারাসত পুলিশ জেলা সুপার ভাস্কর মুখোপাধ্যায় জানিয়েছেন, যে ব্যক্তিকে গ্রেফতার করা হয়েছে তার নাম আনোয়ার হোসেন। কয়েকদিন আগেই জমি কেনাবেচা নিয়ে তৈয়বের সঙ্গে ঝামেলা হয় রূপচাদের। পাশাপাশি আটক তৈয়ব হোসেন ও সাদ্দাম হোসেন। পুলিশ আরও জানিয়েছে, তৈয়ব হোসেনের দুই ছেলে আনোয়ার ও সাদ্দাম। সম্প্রতি জমি কেনাবেচা নিয়ে তৈয়বের সঙ্গে গন্ডগোল রূপচাঁদ মণ্ডলের। যদিও আমডাঙার বিধায়ক রফিকুর রহমান জানিয়েছেন, তৈয়ব অঞ্চলের তৃণমূল নেতা। কিন্তু এই ঘটনায় তৈয়বের নাম আসলেও, সেটা রাজনীতির কোনো সম্পর্ক নেই। এখানে রাজনৈতিক কোনো গোষ্ঠী নেই। রূপচাঁদের এর সঙ্গে তৈয়বের কোনো ঝামেলা থাকলে অন্য কোনো কারণে হতে পারে। সেটা ব্যাক্তিগত হতে পারে।
এ ঘটনায় রূপচাদের পরিবার ও স্থানীয়দের তরফে তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের দিকেই অভিযোগ তুলেছে। স্থানীয়দের অভিযোগ, যারা খুন করেছে তারা শাসক দলের কর্মী। উনি প্রধান হওয়ায় অনেকে মেনে নিতে পারেন নি। ওদিকে, বেসরকারি হাসপাতাল থেকে পঞ্চায়েত প্রধান রূপচাঁদ মন্ডলের মৃতদেহ বারাসাত মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ময়না তদন্তের জন্য নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
জয়নগরের পর এবার আমডাঙা। তৃণমূল পঞ্চায়েত প্রধানের উপর বোমা বর্ষণ। গুরুতর অবস্থায় তাঁকে নারায়ণা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। এই ঘটনায় আহত হয়েছেন তাঁর কিছু সঙ্গীও। আমডাঙা থানার পুলিস জানিয়েছে, আহত ওই পঞ্চায়েত প্রধানের নাম রূপচাঁদ মণ্ডল। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় স্থানীয় কান্দেপপুর বাজারে দলীয় কাজে এসেছিলেন তিনি। সেখানেই তাঁকে দুষ্কৃতীরা বোমা মারে বলে অভিযোগ। এই ঘটনায় রীতিমতো চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এলাকায়। এ বিষয়ে আমডাঙার বিধায়ক রফিকুর রহমান সিএন-কে জানিয়েছেন, ঘটনার পূর্ণ তদন্ত করে দোষীদের শাস্তির দাবি জানাচ্ছেন। ইতিমধ্যে আমডাঙা থানার পুলিস ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে।
কলকাতা থেকে ছাড়ে মৈত্রী এক্সপ্রেস। বাংলাদেশগামী এই ট্রেন লক্ষ করে পরপর দুবার ছোড়া হল বোমা। বুধবার দুপুর ১২টা নাগাদ পাবনা জেলা ছাড়ার পরেই ঈশ্বরডি জাংশনের কাছে একটি পেট্রোল বোমা ছোড়া হয় ট্রেনটিকে লক্ষ করে। ইতিমধ্যেই ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।
ট্রেনের পাশেই বিকট শব্দে হয় বিস্ফোরণ। তবু ভাগ্যের জোরে বেঁচে যান যাত্রীরা। তবে ট্রেনের একটি জানলা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ট্রেনের গায়ে আক্রমণের চিহ্ন, এবং বিস্ফোরণের প্রমাণ পাওয়া গিয়েছে।
যদিও, এই ঘটনায় ট্রেন চলাচলে কোনও সমস্যা হয়নি। কলকাতা থেকে ঢাকামুখী মৈত্রী এক্সপ্রেস যথাসময়েই গন্তব্যে পৌঁছেছে। জানা গিয়েছে, দু’টি পেট্রোল বোমা ছোড়া হয়েছিল ট্রেন লক্ষ করে। এতে ট্রেনের একটি জানলা ক্ষতিগ্রস্ত হলেও এর বেশি কোনও ক্ষতি হয়নি। যাত্রীরা সুরক্ষিত আছেন। ভারত-বাংলাদেশ দ্বৈত সম্পর্কে কোনওরকম প্রভাব ফেলার জন্যই এই আক্রমণ কি না, সেই বিষয়টিও তদন্ত করে দেখছে পুলিশ।
খাস কলকাতায় (Kolkata) বোমাতঙ্ক (Bomb)। রবিবার সাতসকালে হরিদেবপুর (Haridevpur) থানা এলাকার ব্যানার্জি পাড়ায় একটি ভ্যাট থেকে উদ্ধার হল টাইম বোমা জাতীয় একটি বস্তু। পুলিস এসে বোমাটি উদ্ধার করে জলের বালতিতে রাখে। খবর দেওয়া হয় বম্ব স্কোয়াডে (Bomb Squad)। কিছুদিন আগেও হরিদেবপুর এলাকা থেকে বোমা উদ্ধার হয়েছিল। পরপর একই এলাকা থেকে বোমা উদ্ধারের ঘটনায় আতঙ্ক ছড়িয়েছে এলাকায়। বস্তুটা বোম কিনা সেটা নিয়ে সংশয় রয়েছে পুলিসের তরফ থেকে।
রবিবার সকালে প্রতিদিনের মতোই কলকাতা পুরসভার সাফাই কর্মীরা ভ্যাট পরিস্কার করতে এসেছিলেন। তখনই ভ্যাটের মধ্যে তার জড়ানো অবস্থায় বোমার মতো দেখতে একটি বস্তু পড়ে থাকতে দেখেন। এরপর স্থানীয়রা কাউন্সিলরকে তারযুক্ত টাইম বোমা দেখতে পেয়েছেন বলে খবর দেন। সঙ্গে সঙ্গে হরিদেবপুর থানায় খবর যায়। পুলিশ এসে বোমা উদ্ধার করে জলের বালতি রেখে বম্ব স্কোয়াডকে খবর দেয়। বম্ব স্কোয়াড এসে পরীক্ষানিরীক্ষার পর বালির মধ্যে করে বস্তুটিকে নিয়ে চলে যায়। সন্দেহজনক বস্তুটি কি আদৌ বিস্ফোরক নাকি অন্য় কিছু তা খতিয়ে দেখছে।
উল্লেখ্য, কিছুদিন আগেই হরিদেবপুর থেকে বোমা উদ্ধার করেছিল পুলিস। আবারও বোমা উদ্ধারের ঘটনায় আতঙ্ক ছড়িয়েছে এলাকায়। ভয়ে রয়েছেন এলাকাবাসীও।
পুরনো বিবাদ মাথাচাড়া দিচ্ছে ফের। জামিন পেয়েই এলাকায় বোমাবাজি চালাল অভিযুক্তের দল। অন্তত ৭টি বোমার বিস্ফোরণে (Bomb explosion) কেঁপে উঠল মুর্শিদাবাদের (Murshidabad) সাগরপাড়ার নোটিয়াল ঘোষপাড়া এলাকা। আইনের বাঁধনও ঢিলে? জামিন পেয়েই এলাকায় বোমা হাতে দাপাদাপি!
ঘটনার সূত্রপাত মাস সাতেক আগে। অভিযোগ, পুকুরে মাছ ধরার বিবাদে ধুন্ধুমার বাধে ঘোষপাড়া এলাকায়। সংঘর্ষে মৃত্যু হয় পাইলট শেখ নামে এক ব্যক্তির, জখম ছিলেন আরও ৫ জন। ঘটনায় গ্রেফতার হয় বেশ কিছু অভিযুক্ত। কিন্তু জেল থেকে মুক্তি পেতেই ফের তাণ্ডব শুরু। অভিযোগ, টাকায় মামলা রফা করতে রাজি না হলেই বোমাবাজি, ভাঙচুর চালায় অভিযুক্তরা। এবার নিহত পাইলট শেখের কোলের শিশু এবং তাঁর স্ত্রীর প্রাণ সঙ্কটে।
জেল থেকে ছাড়া পেয়েই মাত্রা ছাড়াচ্ছে বোমাবাজদের স্পর্ধা? কেন সজাগ ছিল না পুলিস? তদন্ত চলছে নিজের তালে, কিন্তু ন্যায্য বিচার কি মিলছে? লাগামহীন হয়ে পড়ছে বাংলার সন্ত্রাস। কেন রাশ টানতে পারছে না প্রশাসন? বোমার সহজলভ্যতা বাড়ছে। হাতে হাতে ঘুরছে বিস্ফোরক! কোথায় দাঁড়িয়ে বোমা-বারুদের রাজ্য?
দত্তপুকুর (Duttapukur) থানার নীলগঞ্জের ভয়াবহ বিস্ফোরণের (explosion) স্মৃতি এখনও টাটকা। স্বজন হারানোর ক্ষতটা এখনও দগদগে। তার মধ্যেই ফের বোমা বিস্ফোরণে কেঁপে উঠল দত্তপুকুর থানার কদম্বগাছির উলা মাঝের পাড়া গ্রাম। জানা গিয়েছে, মঙ্গলবার রাতে একটি ক্ষেতের পাশে মজুত করে রাখা বোমা বিস্ফোরণ হয়। বিস্ফোরণের তীব্রতা এতটাই ছিল যে বড় গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। অভিযোগ, এর আগেও বহুবার উলা মাঝের পাড়ায় বোমা বিস্ফোরণ হয়েছে। এলাকায় বোমা বাঁধত আইএসএফ কর্মীরা। অভিযোগ এলাকাবাসীদের। ঘটনায় আতঙ্ক ছড়িয়েছে এলাকায়।
একের পর এক বিস্ফোরণের পরেও কেন তৎপর নয় প্রশাসন? এর আগে বিস্ফোরণের ঘটনার কথা কিছুই কি জানা নেই প্রশাসনের? যদিও আগে একাধিকবার বিস্ফোরণের অভিযোগ সম্পর্কে নাকি কিছু জানা নেই অঞ্চল তৃণমূল সভাপতি নিজামুল কবির। এমনটাই দাবি করলেন তিনি। বোমা তৈরির কাজ করে শাসকদলের লোক। পাল্টা অভিযোগ আইএসএফ কর্মী আব্দুর রহিম-এর।
দত্তপুকুর থানার অন্তর্গত নীলগঞ্চের বিস্ফোরণের জের কাটতে না কাটতেই ফের কদম্বগাছিতে বিস্ফোরণ। যে কদম্বগাছি দত্তপুকুর থানার আওতাধীন। একই থানার অন্তর্গত দুটি জায়গায় কিছুদিনের ব্যবধানে বিস্ফোরণ। তবে কি কোথাও প্রশাসনের নজরদারিতে ফাঁক থেকে যাচ্ছে? নীলগঞ্জ বিস্ফোরণে পর ধারাবাহিকভাবে ওই এলাকা থেকে বহু বিস্ফোরক উদ্ধার করা হয়েছিল। নড়েচড়ে বসেছিল প্রশাসন। প্রশাসনিক তৎপরতা শিথিল হতেই ফের আবারও কি মজুত করা হচ্ছিল বোমা? উঠছে প্রশ্ন।
বোমার রাজত্বে বাংলা! পঞ্চায়েতের দিন ঘোষণার পর থেকেই রাজ্যের বিভিন্ন জায়গা থেকে বোমা উদ্ধারের (Bomb rescue) ঘটনা প্রকাশ্যে এসেছে। গত মাসে ২৭ অগাস্ট ভয়ঙ্কর বিস্ফোরণে কেঁপে উঠেছিল দত্তপুকুরের (Duttapukur) নীলগঞ্জ। সেই রেশ এখনও তাজা রাজ্যবাসীর মনে। এই আবহেই খোদ শহর কলকাতায় (Kolkata) উদ্ধার হল তাজা বোমা।
জানা গিয়েছে, সোমবার সকাল ১০ টা নাগাদ হারিদেবপুর থানা এলাকার ঢালী পাড়া ঝিল পাড়ে উদ্ধার করা হয় তাজা বোমা। হরিদেবপুর থানার পুলিস আধিকারিকরা খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যান। সেখানে পড়ে থাকতে দেখেন একটি তাজা বোমা। তারপরেই তৎক্ষণাৎ খবর দেওয়া হয় বম্ব স্কোয়াড টিমকে। বম্ব স্কোয়াডের আধিকারিকরা সেখানে এসে বোমা উদ্ধার করে নিয়ে যান।
পুলিস সূত্রে খবর, হরিদেবপুরের ঢালী পাড়া ঝিলের গেট সবসময় বন্ধ থাকে। তা সত্ত্বেও কীভাবে এখানে বোমা পাওয়া গেল, তা নিয়ে উঠছে প্রশ্ন। কোথা থেকে এবং কীভাবে এই বোমা আসল তা তদন্ত করছে হরিদেবপুর থানার পুলিস। তবে বাংলায় যেভাবে মুড়ুি মুড়কির মত বোমা উদ্ধার হচ্ছে, তাতে রাজ্যের মানুষ সবসময় আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছেন। কবে বন্ধ হবে এই বোমার রাজত্ব? প্রশ্ন সাধারণ মানুষের।
দায়িত্ব নিয়েই বন্ধ করতে হবে বোমার কারাখানা। দত্তপুকুরের ঘটনা থেকে শিক্ষা নিয়ে ভাঙড়ের নতুন আট থানার সামনে এই টার্গেট বেধে দিল লালবাজার। আগামী কয়েকদিনের মধ্যেই দক্ষিণ ২৪ পরগনার এই অঞ্চলে তৈরি হবে কলকাতা পুলিশের দশম ডিভিশন। আটটি থানায় ১৭৫ জন করে থাকবেন পুলিশ কর্মী। সেই কাজ শুরুর আগেই লালবাজার জানিয়েদিল, যে করেই হোক ভাঙড়কে বোমামুক্ত করতেই হবে।
আগে ছিল দুটি থানা, তা ভেঙে নতুন করে মোট আটটি থানা তৈরি করা হচ্ছে। পঞ্চায়েত ভোট এবং তার পরবর্তী সময়েও কাশীপুর-সহ ভাঙড়ের একাধিক এলাকায় রোজই বোমাবাজির ঘটনা ঘটেছে।এমনকী, কাশীপুর থানা এলাকার একাধিক গ্রামে যে বোমা তৈরির কারখানা রয়েছে, সেই ব্যাপারে স্পষ্ট প্রমাণ পাওয়া গিয়েছে। এই পরিস্থিতিতে নতুন থানা হওয়ার আগেই ভাঙড় নিয়ে সতর্ক লালবাজার। সাফ নির্দেশ, যে করেই হোক এই বোমা কারখানা বন্ধ করতেই হবে।
এদিকে, দত্তপুকুরের ঘটনায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ৯। এই ঘটনায় কর্তব্যে গাফিলতির অভিযোগে নীলগঞ্জ ফাঁড়ির ওসিকে ইতিমধ্যেই সাসপেন্ড করা রয়েছে। পুলিশের নিচু তলায় দুর্নীতিতে যে এখনও মজুত রয়েছে, তা নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করছেন মুখ্যমন্ত্রী।
স্বাধীনতা দিবসের পর আবারও উদ্ধার (Rescue) ব্যাগ ভর্তি তাজা বোমা। রবিবার রাতে মুর্শিদাবাদ (Murshidabad) সামশেরগঞ্জ থানার অন্তর্গত বলবলপাড়া এলাকায় এই ঘটনাটি ঘটেছে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে সামশেরগঞ্জ থানার পুলিস এসে বোমা উদ্ধার করে জায়গাটিকে ঘিরে রেখেছে। ব্যাগ ভর্তি বোমা উদ্ধারের ঘটনায় বেশ আতঙ্ক ছড়িয়েছে গোটা এলাকায়।
পুলিস জানিয়েছে, গোপন সূত্রে খবর পেয়ে বলবলপাড়া এলাকার একটি ইট ভাটা সংলগ্ন ফাঁকা মাঠে হানা দেয় সামসেরগঞ্জ থানার পুলিস। তারপরেই সেখানে থাকা একটি সেগুন গাছের পাশে একটি ব্যাগের ভিতরে থাকা তাজা বোমা গুলো দেখতে পায় পুলিস। বোমা উদ্ধারের পরেই এলাকাটি ঘিরে রেখে পুলিস পিকেট বসানো হয়। খবর দেওয়া হয়েছে বম্ব স্কোয়াড টিমকে। কে বা কারা ঠিক কি উদ্দেশে এবং ব্যাগ ভর্তি তাজা বোমা রেখেছে গিয়েছে, পুরো বিষয়টি তদন্ত করে দেখছে সামশেরগঞ্জ থানার পুলিস।
গোটা রাজ্য যেন বারুদের স্তূপে পরিণত হয়েছে। বোমা বিস্ফোরণ আর বোমা উদ্ধারের ঘটনা যেন থামছেই না। রবিবার সাত সকালেই ঘটে গেল ভয়াবহ বোমা (Bomb) বিস্ফোরণ (Blast)। ঘটনাটি ঘটেছে মুর্শিদাবাদের (Murshidabad) রঘুনাথগঞ্জের লক্ষীজোলায় বন্ধ আইসিডিএস সেন্টারে। আইসিডিএস সেন্টারটি বন্ধ থাকার ফলে এই ঘটনায় কোনও হতাহত হয়নি। তবে বিস্ফোরণের তীব্রতার জেরে আইসিডিএস সেন্টারের ছাদ উড়ে গিয়েছে। পাশাপাশি কালো ধোঁয়ায় ঢেকে গিয়েছে ওই এলাকা। ঘটনার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় রঘুনাথগঞ্জ থানার পুলিস (Police)। যদিও এই ঘটনায় এখনও পর্যন্ত কাউকে আটক বা গ্রেফতার করা হয়নি।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, রবিবার সকাল ৭ টা নাগাদ আচমকা ওই আইসিডিএস সেন্টারে বেমা বিস্ফোরণের ঘটে। তারপরেই কালো ধোঁয়ায় ঢেকে যায় গোটা এলাকা। পাশাপাশি বিস্ফোরণের তীব্রতার জেরে ভেঙে পড়েছে অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রের একাধিক অংশ। স্থানীয়দের দাবি, যেই ব্য়ক্তির বাড়িতে অঙ্গনওয়াড়িটি তৈরি হয়েছে এই বোমা বিস্ফোরণের পর থেকেই ওই বাড়ির সদস্য়রা পলাতক।
সূ্ত্রের খবর, ইতিমধ্য়েই পুলিস ঘটনাস্থলে পৌঁছে তদন্ত শুরু করেছে। কে বা কারা এই বোমাগুলি মজুত করছিল তা খতিয়ে দেখছে পুলিস।
দিল্লি-পুণে বিমানে বোমা হামলার (Bomb Threat) হুমকি। এই খবর বিমানযাত্রীদের কানে যেতেই আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে বিমানযাত্রীদের মধ্যে। সূত্রের খবর, শুক্রবার সাত-সকালে ভিস্তারা বিমান (Vistara Flight) সংস্থার বিমানে বোমা রয়েছে বলে হুমকি ফোন আসে। জানা গিয়েছে, বিমানটি দিল্লি থেকে পুণে যাওয়ার কথা ছিল। কিন্তু তার আগেই এমন খবর আসায় বিমানটি সেই সময়ের জন্য বাতিল করা হয়। এই ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে দিল্লি বিমানবন্দরে (Delhi Airport)। এরপর যাত্রীদের নিরাপদে বিমান থেকে নামিয়ে তল্লাশি চালানো হচ্ছে বলে খবর।
সূত্রের খবর, আজ অর্থাৎ ১৮ অগাস্ট সকাল সাড়ে ৭টা নাগাদ জিমএমআর কল সেন্টারে ফোন আসে। ফোন করে বলা হয় যে, 'দিল্লি থেকে পুণে যাওয়ার বিমানে বোমা রাখা রয়েছে'। অন্যদিকে আগে থেকেই যাত্রীরা নিজেদের সিটে বসে গিয়েছিলেন। কিন্তু বোমার ব্যাপারে জানতেই তৎক্ষণাৎ যাত্রীদের বিমান থেকে বের করে আনা হয় ও তাঁদের ফের দিল্লির বিমানবন্দরে নিরাপদে নিয়ে আসা হয়।
বিমান সংস্থার তরফে এক বিবৃতি দিয়ে জানানো হয়েছে, 'আমরা নিশ্চিত করছি যে, ইউকে৯৭১ নম্বর বিমানটি দিল্লি থেকে পুণে যাওয়ার কথা ছিল। কিন্তু নিরাপত্তা খতিয়ে দেখার জন্য বিমানের উড়ানে কিছুক্ষণের জন্য দেরী হতে পারে। আমারা খুব শীঘ্রই পরিস্থিতি ঠিক করার ব্যবস্থা নিচ্ছি।' সূত্রের খবর, বিমানযাত্রী ও তাঁদের ব্যাগ সহ নিরাপদে সরিয়ে আনা হয়েছে ও বিমানে আদৌ কিছু রয়েছে কিনা, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসলেই যাত্রা শুরু করবে বিমানটি।