
খাস কলকাতায় (Kolkata) বোমাতঙ্ক (Bomb)। রবিবার সাতসকালে হরিদেবপুর (Haridevpur) থানা এলাকার ব্যানার্জি পাড়ায় একটি ভ্যাট থেকে উদ্ধার হল টাইম বোমা জাতীয় একটি বস্তু। পুলিস এসে বোমাটি উদ্ধার করে জলের বালতিতে রাখে। খবর দেওয়া হয় বম্ব স্কোয়াডে (Bomb Squad)। কিছুদিন আগেও হরিদেবপুর এলাকা থেকে বোমা উদ্ধার হয়েছিল। পরপর একই এলাকা থেকে বোমা উদ্ধারের ঘটনায় আতঙ্ক ছড়িয়েছে এলাকায়। বস্তুটা বোম কিনা সেটা নিয়ে সংশয় রয়েছে পুলিসের তরফ থেকে।
রবিবার সকালে প্রতিদিনের মতোই কলকাতা পুরসভার সাফাই কর্মীরা ভ্যাট পরিস্কার করতে এসেছিলেন। তখনই ভ্যাটের মধ্যে তার জড়ানো অবস্থায় বোমার মতো দেখতে একটি বস্তু পড়ে থাকতে দেখেন। এরপর স্থানীয়রা কাউন্সিলরকে তারযুক্ত টাইম বোমা দেখতে পেয়েছেন বলে খবর দেন। সঙ্গে সঙ্গে হরিদেবপুর থানায় খবর যায়। পুলিশ এসে বোমা উদ্ধার করে জলের বালতি রেখে বম্ব স্কোয়াডকে খবর দেয়। বম্ব স্কোয়াড এসে পরীক্ষানিরীক্ষার পর বালির মধ্যে করে বস্তুটিকে নিয়ে চলে যায়। সন্দেহজনক বস্তুটি কি আদৌ বিস্ফোরক নাকি অন্য় কিছু তা খতিয়ে দেখছে।
উল্লেখ্য, কিছুদিন আগেই হরিদেবপুর থেকে বোমা উদ্ধার করেছিল পুলিস। আবারও বোমা উদ্ধারের ঘটনায় আতঙ্ক ছড়িয়েছে এলাকায়। ভয়ে রয়েছেন এলাকাবাসীও।
পুরনো বিবাদ মাথাচাড়া দিচ্ছে ফের। জামিন পেয়েই এলাকায় বোমাবাজি চালাল অভিযুক্তের দল। অন্তত ৭টি বোমার বিস্ফোরণে (Bomb explosion) কেঁপে উঠল মুর্শিদাবাদের (Murshidabad) সাগরপাড়ার নোটিয়াল ঘোষপাড়া এলাকা। আইনের বাঁধনও ঢিলে? জামিন পেয়েই এলাকায় বোমা হাতে দাপাদাপি!
ঘটনার সূত্রপাত মাস সাতেক আগে। অভিযোগ, পুকুরে মাছ ধরার বিবাদে ধুন্ধুমার বাধে ঘোষপাড়া এলাকায়। সংঘর্ষে মৃত্যু হয় পাইলট শেখ নামে এক ব্যক্তির, জখম ছিলেন আরও ৫ জন। ঘটনায় গ্রেফতার হয় বেশ কিছু অভিযুক্ত। কিন্তু জেল থেকে মুক্তি পেতেই ফের তাণ্ডব শুরু। অভিযোগ, টাকায় মামলা রফা করতে রাজি না হলেই বোমাবাজি, ভাঙচুর চালায় অভিযুক্তরা। এবার নিহত পাইলট শেখের কোলের শিশু এবং তাঁর স্ত্রীর প্রাণ সঙ্কটে।
জেল থেকে ছাড়া পেয়েই মাত্রা ছাড়াচ্ছে বোমাবাজদের স্পর্ধা? কেন সজাগ ছিল না পুলিস? তদন্ত চলছে নিজের তালে, কিন্তু ন্যায্য বিচার কি মিলছে? লাগামহীন হয়ে পড়ছে বাংলার সন্ত্রাস। কেন রাশ টানতে পারছে না প্রশাসন? বোমার সহজলভ্যতা বাড়ছে। হাতে হাতে ঘুরছে বিস্ফোরক! কোথায় দাঁড়িয়ে বোমা-বারুদের রাজ্য?
দত্তপুকুর (Duttapukur) থানার নীলগঞ্জের ভয়াবহ বিস্ফোরণের (explosion) স্মৃতি এখনও টাটকা। স্বজন হারানোর ক্ষতটা এখনও দগদগে। তার মধ্যেই ফের বোমা বিস্ফোরণে কেঁপে উঠল দত্তপুকুর থানার কদম্বগাছির উলা মাঝের পাড়া গ্রাম। জানা গিয়েছে, মঙ্গলবার রাতে একটি ক্ষেতের পাশে মজুত করে রাখা বোমা বিস্ফোরণ হয়। বিস্ফোরণের তীব্রতা এতটাই ছিল যে বড় গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। অভিযোগ, এর আগেও বহুবার উলা মাঝের পাড়ায় বোমা বিস্ফোরণ হয়েছে। এলাকায় বোমা বাঁধত আইএসএফ কর্মীরা। অভিযোগ এলাকাবাসীদের। ঘটনায় আতঙ্ক ছড়িয়েছে এলাকায়।
একের পর এক বিস্ফোরণের পরেও কেন তৎপর নয় প্রশাসন? এর আগে বিস্ফোরণের ঘটনার কথা কিছুই কি জানা নেই প্রশাসনের? যদিও আগে একাধিকবার বিস্ফোরণের অভিযোগ সম্পর্কে নাকি কিছু জানা নেই অঞ্চল তৃণমূল সভাপতি নিজামুল কবির। এমনটাই দাবি করলেন তিনি। বোমা তৈরির কাজ করে শাসকদলের লোক। পাল্টা অভিযোগ আইএসএফ কর্মী আব্দুর রহিম-এর।
দত্তপুকুর থানার অন্তর্গত নীলগঞ্চের বিস্ফোরণের জের কাটতে না কাটতেই ফের কদম্বগাছিতে বিস্ফোরণ। যে কদম্বগাছি দত্তপুকুর থানার আওতাধীন। একই থানার অন্তর্গত দুটি জায়গায় কিছুদিনের ব্যবধানে বিস্ফোরণ। তবে কি কোথাও প্রশাসনের নজরদারিতে ফাঁক থেকে যাচ্ছে? নীলগঞ্জ বিস্ফোরণে পর ধারাবাহিকভাবে ওই এলাকা থেকে বহু বিস্ফোরক উদ্ধার করা হয়েছিল। নড়েচড়ে বসেছিল প্রশাসন। প্রশাসনিক তৎপরতা শিথিল হতেই ফের আবারও কি মজুত করা হচ্ছিল বোমা? উঠছে প্রশ্ন।
বোমার রাজত্বে বাংলা! পঞ্চায়েতের দিন ঘোষণার পর থেকেই রাজ্যের বিভিন্ন জায়গা থেকে বোমা উদ্ধারের (Bomb rescue) ঘটনা প্রকাশ্যে এসেছে। গত মাসে ২৭ অগাস্ট ভয়ঙ্কর বিস্ফোরণে কেঁপে উঠেছিল দত্তপুকুরের (Duttapukur) নীলগঞ্জ। সেই রেশ এখনও তাজা রাজ্যবাসীর মনে। এই আবহেই খোদ শহর কলকাতায় (Kolkata) উদ্ধার হল তাজা বোমা।
জানা গিয়েছে, সোমবার সকাল ১০ টা নাগাদ হারিদেবপুর থানা এলাকার ঢালী পাড়া ঝিল পাড়ে উদ্ধার করা হয় তাজা বোমা। হরিদেবপুর থানার পুলিস আধিকারিকরা খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যান। সেখানে পড়ে থাকতে দেখেন একটি তাজা বোমা। তারপরেই তৎক্ষণাৎ খবর দেওয়া হয় বম্ব স্কোয়াড টিমকে। বম্ব স্কোয়াডের আধিকারিকরা সেখানে এসে বোমা উদ্ধার করে নিয়ে যান।
পুলিস সূত্রে খবর, হরিদেবপুরের ঢালী পাড়া ঝিলের গেট সবসময় বন্ধ থাকে। তা সত্ত্বেও কীভাবে এখানে বোমা পাওয়া গেল, তা নিয়ে উঠছে প্রশ্ন। কোথা থেকে এবং কীভাবে এই বোমা আসল তা তদন্ত করছে হরিদেবপুর থানার পুলিস। তবে বাংলায় যেভাবে মুড়ুি মুড়কির মত বোমা উদ্ধার হচ্ছে, তাতে রাজ্যের মানুষ সবসময় আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছেন। কবে বন্ধ হবে এই বোমার রাজত্ব? প্রশ্ন সাধারণ মানুষের।
দায়িত্ব নিয়েই বন্ধ করতে হবে বোমার কারাখানা। দত্তপুকুরের ঘটনা থেকে শিক্ষা নিয়ে ভাঙড়ের নতুন আট থানার সামনে এই টার্গেট বেধে দিল লালবাজার। আগামী কয়েকদিনের মধ্যেই দক্ষিণ ২৪ পরগনার এই অঞ্চলে তৈরি হবে কলকাতা পুলিশের দশম ডিভিশন। আটটি থানায় ১৭৫ জন করে থাকবেন পুলিশ কর্মী। সেই কাজ শুরুর আগেই লালবাজার জানিয়েদিল, যে করেই হোক ভাঙড়কে বোমামুক্ত করতেই হবে।
আগে ছিল দুটি থানা, তা ভেঙে নতুন করে মোট আটটি থানা তৈরি করা হচ্ছে। পঞ্চায়েত ভোট এবং তার পরবর্তী সময়েও কাশীপুর-সহ ভাঙড়ের একাধিক এলাকায় রোজই বোমাবাজির ঘটনা ঘটেছে।এমনকী, কাশীপুর থানা এলাকার একাধিক গ্রামে যে বোমা তৈরির কারখানা রয়েছে, সেই ব্যাপারে স্পষ্ট প্রমাণ পাওয়া গিয়েছে। এই পরিস্থিতিতে নতুন থানা হওয়ার আগেই ভাঙড় নিয়ে সতর্ক লালবাজার। সাফ নির্দেশ, যে করেই হোক এই বোমা কারখানা বন্ধ করতেই হবে।
এদিকে, দত্তপুকুরের ঘটনায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ৯। এই ঘটনায় কর্তব্যে গাফিলতির অভিযোগে নীলগঞ্জ ফাঁড়ির ওসিকে ইতিমধ্যেই সাসপেন্ড করা রয়েছে। পুলিশের নিচু তলায় দুর্নীতিতে যে এখনও মজুত রয়েছে, তা নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করছেন মুখ্যমন্ত্রী।
স্বাধীনতা দিবসের পর আবারও উদ্ধার (Rescue) ব্যাগ ভর্তি তাজা বোমা। রবিবার রাতে মুর্শিদাবাদ (Murshidabad) সামশেরগঞ্জ থানার অন্তর্গত বলবলপাড়া এলাকায় এই ঘটনাটি ঘটেছে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে সামশেরগঞ্জ থানার পুলিস এসে বোমা উদ্ধার করে জায়গাটিকে ঘিরে রেখেছে। ব্যাগ ভর্তি বোমা উদ্ধারের ঘটনায় বেশ আতঙ্ক ছড়িয়েছে গোটা এলাকায়।
পুলিস জানিয়েছে, গোপন সূত্রে খবর পেয়ে বলবলপাড়া এলাকার একটি ইট ভাটা সংলগ্ন ফাঁকা মাঠে হানা দেয় সামসেরগঞ্জ থানার পুলিস। তারপরেই সেখানে থাকা একটি সেগুন গাছের পাশে একটি ব্যাগের ভিতরে থাকা তাজা বোমা গুলো দেখতে পায় পুলিস। বোমা উদ্ধারের পরেই এলাকাটি ঘিরে রেখে পুলিস পিকেট বসানো হয়। খবর দেওয়া হয়েছে বম্ব স্কোয়াড টিমকে। কে বা কারা ঠিক কি উদ্দেশে এবং ব্যাগ ভর্তি তাজা বোমা রেখেছে গিয়েছে, পুরো বিষয়টি তদন্ত করে দেখছে সামশেরগঞ্জ থানার পুলিস।
গোটা রাজ্য যেন বারুদের স্তূপে পরিণত হয়েছে। বোমা বিস্ফোরণ আর বোমা উদ্ধারের ঘটনা যেন থামছেই না। রবিবার সাত সকালেই ঘটে গেল ভয়াবহ বোমা (Bomb) বিস্ফোরণ (Blast)। ঘটনাটি ঘটেছে মুর্শিদাবাদের (Murshidabad) রঘুনাথগঞ্জের লক্ষীজোলায় বন্ধ আইসিডিএস সেন্টারে। আইসিডিএস সেন্টারটি বন্ধ থাকার ফলে এই ঘটনায় কোনও হতাহত হয়নি। তবে বিস্ফোরণের তীব্রতার জেরে আইসিডিএস সেন্টারের ছাদ উড়ে গিয়েছে। পাশাপাশি কালো ধোঁয়ায় ঢেকে গিয়েছে ওই এলাকা। ঘটনার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় রঘুনাথগঞ্জ থানার পুলিস (Police)। যদিও এই ঘটনায় এখনও পর্যন্ত কাউকে আটক বা গ্রেফতার করা হয়নি।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, রবিবার সকাল ৭ টা নাগাদ আচমকা ওই আইসিডিএস সেন্টারে বেমা বিস্ফোরণের ঘটে। তারপরেই কালো ধোঁয়ায় ঢেকে যায় গোটা এলাকা। পাশাপাশি বিস্ফোরণের তীব্রতার জেরে ভেঙে পড়েছে অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রের একাধিক অংশ। স্থানীয়দের দাবি, যেই ব্য়ক্তির বাড়িতে অঙ্গনওয়াড়িটি তৈরি হয়েছে এই বোমা বিস্ফোরণের পর থেকেই ওই বাড়ির সদস্য়রা পলাতক।
সূ্ত্রের খবর, ইতিমধ্য়েই পুলিস ঘটনাস্থলে পৌঁছে তদন্ত শুরু করেছে। কে বা কারা এই বোমাগুলি মজুত করছিল তা খতিয়ে দেখছে পুলিস।
দিল্লি-পুণে বিমানে বোমা হামলার (Bomb Threat) হুমকি। এই খবর বিমানযাত্রীদের কানে যেতেই আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে বিমানযাত্রীদের মধ্যে। সূত্রের খবর, শুক্রবার সাত-সকালে ভিস্তারা বিমান (Vistara Flight) সংস্থার বিমানে বোমা রয়েছে বলে হুমকি ফোন আসে। জানা গিয়েছে, বিমানটি দিল্লি থেকে পুণে যাওয়ার কথা ছিল। কিন্তু তার আগেই এমন খবর আসায় বিমানটি সেই সময়ের জন্য বাতিল করা হয়। এই ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে দিল্লি বিমানবন্দরে (Delhi Airport)। এরপর যাত্রীদের নিরাপদে বিমান থেকে নামিয়ে তল্লাশি চালানো হচ্ছে বলে খবর।
সূত্রের খবর, আজ অর্থাৎ ১৮ অগাস্ট সকাল সাড়ে ৭টা নাগাদ জিমএমআর কল সেন্টারে ফোন আসে। ফোন করে বলা হয় যে, 'দিল্লি থেকে পুণে যাওয়ার বিমানে বোমা রাখা রয়েছে'। অন্যদিকে আগে থেকেই যাত্রীরা নিজেদের সিটে বসে গিয়েছিলেন। কিন্তু বোমার ব্যাপারে জানতেই তৎক্ষণাৎ যাত্রীদের বিমান থেকে বের করে আনা হয় ও তাঁদের ফের দিল্লির বিমানবন্দরে নিরাপদে নিয়ে আসা হয়।
বিমান সংস্থার তরফে এক বিবৃতি দিয়ে জানানো হয়েছে, 'আমরা নিশ্চিত করছি যে, ইউকে৯৭১ নম্বর বিমানটি দিল্লি থেকে পুণে যাওয়ার কথা ছিল। কিন্তু নিরাপত্তা খতিয়ে দেখার জন্য বিমানের উড়ানে কিছুক্ষণের জন্য দেরী হতে পারে। আমারা খুব শীঘ্রই পরিস্থিতি ঠিক করার ব্যবস্থা নিচ্ছি।' সূত্রের খবর, বিমানযাত্রী ও তাঁদের ব্যাগ সহ নিরাপদে সরিয়ে আনা হয়েছে ও বিমানে আদৌ কিছু রয়েছে কিনা, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসলেই যাত্রা শুরু করবে বিমানটি।
প্যারিসের (Paris) ঐতিহ্যবাহী আইফেল টাওয়ারে (Eiffel tower) বোমা বিস্ফোরণের (Bomb Threat) হুমকি দেওয়ার খবর এবার প্রকাশ্যে এল। আচমকা এমন হুমকি আসায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে প্যারিসে। সূত্রের খবর, শনিবার এই হুমকির খবর প্রকাশ্যে আসতেই তৎক্ষণাৎ সেখান থেকে সরিয়ে ফেলা হয় পর্যটকদের। জানা গিয়েছে, পর্যটকদের নিরাপত্তার জন্য এর তিনটি তলা ও সামনের চত্বর খালি করে ফরাসি পুলিস।
আন্তর্জাতিক সংবাদ সূত্রে খবর, বোমা হামলার আশঙ্কা থাকায় স্থানীয় সময় শনিবার দুপুর দেড়টার পর আইফেল টাওয়ারের নিচ থেকে পর্যটকদের সরিয়ে নেওয়া হয়। টাওয়ারের তিনটি তলায়ও লোকজন ছিল, তাদেরও সরিয়ে নেওয়া হয়। প্যারিসের এই আইফেল টাওয়ারের রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্বে রয়েছে SETE নামের একটি সংস্থা। শনিবার বিস্ফোরণের হুমকি মিলতেই বম্ব স্কোয়াডকে খবর দেয় তারা। এর পরই গোটা এলাকা ঘিরে ফেলে ফরাসি পুলিস। শুরু হয় চিরুনি তল্লাশি। আইফেল টাওয়ার-সংলগ্ন হোটেল, রেস্টুরেন্টও খালি করে তল্লাশি চালায় বম্ব স্কোয়াড ও প্যারিস পুলিস।
SETE সংস্থার মুখপাত্র বলেন, 'এটা একটা অদ্ভুত ঘটনা। এই ধরনের পরিস্থিতির মুখোমুখি আমরা কখনও হইনি।' অন্যদিকে প্যারিস পুলিসের মুখপাত্র জানান, এই ধরনের ঘটনা বিরল। তবে বোমাতঙ্ক কীভাবে ছড়াল, সে ব্যাপারে স্পষ্ট করে কিছু বলেননি তিনি। শেষ পাওয়া খবর পর্যন্ত, আইফেল টাওয়ার বা সংলগ্ন এলাকায় বোমা বা বিস্ফোরক জাতীয় কিছু মেলেনি। তবে এর নেপথ্যে কাদের হাত রয়েছে তা নিয়ে তদন্ত শুরু করেছে ফরাসি পুলিস।
বোমা বিস্ফোরণে (Bomb Blast) গুরুতরভাবে জখম (Ijured) এক ন'বছরের শিশু। জানা গিয়েছে, বিস্ফোরণের জেরে ডান হাতটি ছিন্নভিন্ন হয়ে গিয়েছে। রবিবার সকাল ১১ টা নাগাদ ঘটনাটি ঘটেছে বসিরহাটের (Basirhat) নলকোড়া গোলবাগান এলাকায়। বোমকে বল ভেবে খলতে গিয়েই ঘটে বিস্ফোরণ। ঘটনার পরেই স্থানীয়রা ওই শিশুটিকে উদ্ধার করে তড়িঘড়ি হাসপাতালে নিয়ে যায়। এরপরেই খবর পেয়ে ওই ভাটাতে পৌঁছয় বসিরহাট থানার পুলিস (Police)। বাকি বোমা গুলিও উদ্ধার করে পুলিস। এমনকি কে বা কারা এই ধরনের বোমা মজুত করে রেখেছে তার তদন্ত শুরু করেছে পুলিস। ঘটনাকে ঘিরে বেশ চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এলাকায়।
সূত্রের খবর, আহত ওই শিশুটির নাম ইউসুফ মণ্ডল (৯)। বাড়ি উত্তর ২৪ পরগনার বসিরহাট পৌরসভার ২ নম্বর ওয়ার্ডের অন্তর্গত গোলবাগান এলাকায়। এই ঘটনায় স্থানীয় প্রতিবেশীরা ইউসুফকে উদ্ধার করে প্রথমে বসিরহাট জেলা হাসপাতালে নিয়ে যায়। তবে ওই শিশুটির অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাকে কলকাতা আরজিকর হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়েছে। পরিবার সূত্রে খবর, ইতিমধ্যেই জ্ঞান ফিরেছে ইউসুফের। একটু একটু করে কথাও বলছে সে। তবে ওই শিশুটির ডান হাতের কবজি থেকে বাকিটা বাদ দিতে হয়েছে। পরিবারের দাবি, যে বা যারা এই বোমাগুলি মজুত করছিল পুলিস তাদের খুঁজে বের করে কঠোর শাস্তি দিক।
যদিও এই ঘটনায় ভাটার মালিক হাজী মোহাম্মদ মসিবর বৈদ্য বলেন, "ভাটাটি দীর্ঘদিন ধরে বন্ধ ছিল। কে বা কারা এসে বোমাগুলি রেখেছে তা জানা যায়নি। তবে এই ধরনের ঘটনা যারা ঘটিয়েছে তাদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি হওয়া উচিত।"
আচমকা বোমা বিস্ফোরণে (Bomb Blast) গুরুতর জখম (Injured) এক নাবালক। রবিবার ঘটনাটি ঘটেছে মালদহের (Malda) মানিকচক থানার নারায়ণপুর চর এলাকায়। বোমা বিস্ফোরণের জেরে আহত নাবালক বর্তমানে মালদহের মানিকচক গ্রামীণ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। রবিবারই তাকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। ইতিমধ্যেই এই ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিস (Police)। এমনকি ঘটনাস্থলটি ঝাড়খন্ড সংলগ্ন হওয়ায় পৃথকভাবে এই ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে ঝাড়খণ্ড পুলিসও। ঘটনাকে ঘিরে বেশ চাঞ্চল্য ওই এলাকায়।
এই বিষয়ে আহত নাবালক বলে, রবিবার মহিষ চরাতে মাঠে গিয়েছিল সে। তারপর কিছুক্ষণ মাঠে খেলাধুলোও করে। এরপরেই প্রচণ্ড রোদের কারণে সামনে থাকা একটি বাঁশ বাগানে গিয়ে বসে আরাম করে জল খায়। তারপরেই বাঁশ বাগানের মধ্যে একটি ব্যাগ পড়ে থাকতে দেখে। ওই নাবালকের দাবি, সে বাঁশ বাগান থেকে ব্যাগটি তুলে দেখে তার মধ্যে একটি বোমা। তারপরেই ভয়ে সে ব্যাগটিকে মাটিতে ফেলে দেয়। আর তারপরেই ঘটে ওই বিস্ফোরণ। আহতর পরিবারের দাবি, যে বা যারা এলাকার মধ্যে বোমা মজুত করছে, যার জেরে বারবার বিস্ফোরণ ঘটে চলেছে, পুলিস তাদের গ্রেফতার করে।
পঞ্চায়েত নির্বাচন মিটলেও রাজ্যের জেলায় জেলায় উদ্ধার (Recovery) হয়ে চলেছে বোমা (Bomb)। শনিবার মুর্শিদাবাদের সালার (Salar) থানার অন্তর্গত খাঁড়েরা গ্রামে এই ঘটনাটি ঘটেছে। খাঁড়েরা গ্রামের ক্যানেল পাড় ও উপসাস্থ্য কেন্দ্র থেকে মোট ১৪ টি বোমা উদ্ধার করেছে সালার থানার পুলিস। বোমাগুলিকে উদ্ধার করে তা নিষ্ক্রিয় করার জন্য পুলিস খবর দেয় বোম স্কোয়াডকে। কিছুক্ষণ পর ঘটনাস্থলে পৌঁছয় বোম স্কোয়াডের আধিকারিরা এবং উদ্ধার করা বোমাগুলিকে নিষ্ক্রিয় করে। ইতিমধ্যেই এই ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিস। কে বা কারা এই বোমা গুলি মজুত করেছে তাও খতিয়ে দেখছে পুলিস (Police)।
একইভাবে শনিবার উত্তর ২৪ পরগণার দেগঙ্গা (Deganga) হরিণখোলার একটি পরিত্যাক্ত দোকানেও উদ্ধার হয়েছে একটি তাজা বোমা। বোমাটি উদ্ধার করে দেগঙ্গা থানার পুলিস। বোম স্কোয়াডের পক্ষ থেকে ওই বেমাটিকেও ইতিমধ্যেই নিষ্ক্রিয় করা হয়েছে। তবে কে বা কারা বারবার এই ধরনের বোমা মজুত করে চলেছে তার তদন্ত শুরু করেছে দেগঙ্গা থানার পুলিস। ঘটনাকে ঘিরে বেশ চাঞ্চল্য এলাকায়।
আগ্নেয়াস্ত্র (Firearm) সহ গ্রেফতার (Arrest) হল দুই দুষ্কৃতী। রবিবার, বীরভূমের তারাপীঠ বীরচন্দ্রপুর রাজ্য় সড়কের কাছে ঘটনাটি ঘটে। পুলিস সূত্রে খবর, ধৃতদের নাম সুরজ শেখ ও ভিক্টর শেখ। তাদের দুজনেরই বাড়ি তারাপীঠ থানার সন্ধ্যাজল গ্রামে। এই পুরো ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিস।
পুলিস সূত্রে খবর, রবিবার মল্লারপুর থানার পুলিস গোপন সূত্রে খবর পেয়ে তারাপীঠ বীরচন্দ্রপুর রাজ্য সড়কের গ্যাস গোডাউনের কাছে দশ বারো জনের একটি দল ডাকাতির উদ্দেশ্য়ে জড়ো হয়েছিল। তাদেরকে ধরতে গেলে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। সেই সময় তাদের মধ্যে থেকে দু জনকে আটক করতেই তাদের কাছ থেকে গুলি ভর্তি একটি আগ্নেয়াস্ত্র ও একটি ভোজালি উদ্ধার করে মল্লারপুর থানার পুলিস। এই আগ্নেয়াস্ত্র কোথা থেকে কি উদ্দেশ্য়ে তারা রেখেছে তার তদন্ত শুরু করেছে।
অন্য়দিকে, ফের মুর্শিদাবাদে বিপুল পরিমাণে বোমা সহ বোমা তৈরীর মশলা উদ্ধার করল সিআরপিএফ-এর ৩১০ ব্যাটেলিয়ান সি/২৩৪ কমান্ড্যান্ট আশিস বিশ্বকর্মা ও ফরাক্কা থানার পুলিস। ঘটনাটি ঘটেছে মুর্শিদাবাদের ফরাক্কা মহেশপুর পঞ্চায়েতের অন্তর্গত শিবতলা এলাকায়। এই পুরো এলাকার সিআরপিএফ জওয়ান এবং ফারাক্কা থানার পুলিস প্রশাসনের তরফ থেকে মুড়ে ফেলা হয়েছে।
দুই মহিলাকে বিবস্ত্র করে মারধরের ঘটনায় ইতিমধ্যেই উত্তেজনা ছড়িয়েছে মালদহে। আর এই ঘটনার মধ্যেই মালদহের (Malda) হরিশচন্দ্রপুর হাসপাতাল এলাকার পিছনদিকে একটি ইটভাটা সংলগ্ন ধানক্ষেত থেকে তিনটি তাজা বোমা (Bomb) উদ্ধার হয়েছে। যদিও বোমাগুলি উদ্ধার করেছে হরিশচন্দ্রপুর থানার পুলিস (Police)। এমনকি ওই ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়েছে বোম স্কোয়াডের আধিকারিকরাও। উদ্ধার হওয়া বোমাগুলি নিষ্ক্রিয় করা হবে। বর্তমানে ওই এলাকা পুলিসের কড়া নজরদারিতে রয়েছে। এমনকি কে বা কারা বোমাগুলি ওই এলাকায় রেখেছে তার তদন্ত শুরু করেছে পুলিস।
অন্যদিকে, উত্তর ২৪ পরগনার দেগঙ্গায় (Deganga) উদ্ধার হয়েছে তাজা বোমা। জনবহুল এলাকায় রাস্তার পাশেই পড়েছিল বোমাটি। ঘটনার চাঞ্চল্য এলাকায়। এই ঘটনায় প্রত্যক্ষদর্শী এক স্থানীয়র দাবি, তিনি শনিবার সকালে ওই রাস্তা দিয়ে যাচ্ছিলেন। ঠিক সেই সময়ই তিনি এই বোমাটিকে দেখতে পান। তবে বেমাটিকে প্রথমে দেখে তাঁর দড়ির বাণ্ডিল মনে হলেও পরে তিনি বুঝতে পারেন ওটা বোম। আর তারপরেই তড়িঘড়ি করে বাকি এলাকাবাসীদের খবর দেন এবং পুলিসকেও জানান।
ইউক্রেনের (Ukraine) ক্ষেপণাস্ত্র হানা (War)। রুশ (Russia) বাহিনীকে ছত্রভঙ্গ করতে আমেরিকার দেওয়া ক্লাস্টার বোমা (Cluster Bomb) ব্যবহার করেছে ইউক্রেন। আর সেই বোমা ফেটে তার থেকে আরও অনেক ছোটো ছোটো বোমা বেরিয়ে আসছে। পরে আবার সেই ছোটো ছোটো বোমাগুলিই বিস্ফোরণ ঘটাচ্ছে। ফলে সাধারণ মানুষের প্রাণহানির শঙ্কা বেড়েই চলেছে। এই বোমা ব্যবহার একরকম প্রায় নিষিদ্ধ। একটি রিপোর্টে ইউক্রেনীয় কর্তাদের দাবি, শুধুমাত্র শত্রুদের হামলার জবাব দিতেই ক্লাস্টার বোমা ব্যবহার করা হবে।
অন্যথায় এই অস্ত্রের ব্যবহার নিষিদ্ধ জেনেও ইউক্রেনে এই অস্ত্রটি পাঠানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছেন আমেরিকার প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন (Joe Biden)। যার ফলে আমেরিকার প্রেসিডেন্টের এই সিদ্ধান্তে ক্ষুব্ধ সবাই। এমনকি ক্ষোভ প্রকাশ করেছে মানবাধিকার সংগঠনগুলিও। ইউরোপের কিছু মিত্র দেশও বাদ পড়েনি বাইডেনের এই সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করতে।