হাসপাতালের অপারেশন থিয়েটারে উদ্ধার সাপ। যা দেখে আতঙ্কিত রোগী থেকে শুরু করে রোগীর পরিজনেরা। ঘটনাটি ঘটেছে বোলপুর সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে।
জানা গিয়েছে, বোলপুর সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালের দ্বিতীয় তলায় রয়েছে অপারেশন থিয়েটার। গতকাল অর্থাৎ বুধবার সন্ধ্য়ায় চিকিৎসক চন্দ্রনাথ অধিকারী অপারেশন থিয়েটারে গিয়ে দেখেন একটি সাপ ঘোরাঘুরি করছে। এরপর তিনি তড়িঘড়ি হাসপাতালের কর্মীদেরকে খবর দেন। হাসপাতালের কর্মীরা এসে ব্য়াগে ভরে ওই সাপটিকে বাইরে ফেলে দেয়।
ডাক্তার চন্দ্রনাথ অধিকারীর অভিযোগ, হাসপাতালে বিভিন্ন জায়গায় সাপ বাসা বেঁধেছে। এই নিয়ে বারংবার হাসপাতালে সুপারকে জানানো হলেও কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। অপারেশন থিয়েটার এর মধ্যে যদি সেই সময় কোনও অপারেশন চলত তাহলে সেক্ষেত্রে অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটে যেতেই পারত। এমনটাই বলছেন ডাক্তার চন্দ্রনাথ অধিকারী। এই নিয়ে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের ব্যবস্থা নেওয়া উচিত বলে জানিয়েছেন তিনি।
প্রকাশ্য দিবালোকে বিশ্বভারতীর (Visva Bharati University) এক ছাত্রকে (Student) অপহরণ করলো দুষ্কৃতীরা। ভাড়া বাড়িতে ঢুকে তুলে নিয়ে গেলো ছাত্রটিকে।। থানায় মেইল (Email) করে অভিযোগ দায়ের করেছে বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ।
জানা গিয়েছে, ছেলেটির নাম পান্না চারা। তাঁর বাড়ি মায়ানমারে। বিশ্বভারতীর সংস্কৃত ডিপার্টমেন্ট-এর পিএইচডি স্কলার ফাইনাল ইয়ারের এর পড়ুয়া পান্না।। শান্তিনিকেতনের ইন্দিরা পল্লী এলাকায় একটি বাড়িতে ভাড়া থাকতেন এই ছাত্র। সূত্রের খবর, বৃহস্পতিবার দুপুর দুটো নাগাদ ৭ থেকে ৮ জন দুষ্কৃতী আসে গাড়ি নিয়ে। তারপর যে ভাড়া বাড়িতে থাকতেন সেই ভাড়া বাড়িতে প্রবেশ করে ছাত্রটিকে তুলে নিয়ে যায় বলে অভিযোগ।
আর এই ঘটনার পরই সন্ধ্যেবেলায় বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষকে বিষয়টি জানান ছাত্রের বন্ধু। জানানোর পরেই কর্তৃপক্ষের তরফ থেকে বোলপুর থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে মেইল মারফত। পুলিস সূত্রে খবর, ইতিমধ্যেই ঘটনার অভিযোগের ভিত্ততে তদন্ত শুরু হয়েছে।
তবে কারা, কেন, কী উদ্দেশ্যে ছাত্রকে অপহরণ করল সেটা এখনও পর্যন্ত স্পষ্ট নয়।ো কেবল টাকার উদ্দেশ্যে অপহরণ করা হয়েছে নাকি এর পিছনে অন্য কোনও রহস্য রয়েছে তা খতিয়ে দেখছে পুলিস।
পুলিশের জালে বিশ্বভারতীর ছাত্রী। আর্থিক প্রতারণার দায়ে ঈশিতা শীল নামে ওই ছাত্রীকে গ্রেফতার করে বোলপুর থানার পুলিশ। অভিযুক্তকে পাঁচদিনের পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে আদালত।
গত ৩ ফেব্রুয়ারি একটি নতুন চিটফান্ড সংস্থার পর্দা ফাঁস হয় বোলপুরে। ওই সংস্থার নাম 'এসএস কনসালটেন্সি'। অভিযোগ ইতিমধ্যেই ওই সংস্থা বাজার থেকে কমপক্ষে ৩০ কোটি টাকা তুলেছে। প্রতারিতদের দায়ের হওয়া অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্তে নামে পুলিশ।
গ্রেফতার করা হয় হয় চিটফান্ড সংস্থার কর্ণধার শুভ্রনারায়ণ শীল নামে এক যুবককে। এরপরেই পুলিশ জানতে পারে শুভ্রনারায়ণের সঙ্গে এই প্রতারণার ঘটনায় জড়িত তাঁর বোন ঈশিতা।
ভাইবোন দু'জনেই বাজার থেকে টাকা তুলে দামি গাড়ি, মোবাইল সহ একাধিক বহুমূল্য জিনিস ব্যবহার করতেন। অভিযোগের ভিত্তিতে রবিবার সকালে গুরুপল্লী থেকে অভিযুক্তের বোনকেও গ্রেফতার করে পুলিশ।
সৌমেন সুর: (দেবী দুর্গা সম্পর্কীয় ধারাবাহিক আলোচনা) আকাশের মেঘ আর রোদের খেলা দেখে, চোখ বুজে বলতে পারা যায় দুর্গাপুজো আসন্ন। এখন বেশকিছু মাঠের কিনারে সাদা কাশফুলের দোলা আর শিউলি ফুলের উল্লাস দেখে মনে হয়- মা আসছেন। মা অর্থাৎ দুর্গা মা। কোনো কোনো বাঙালির ঘরে কন্যা উমা মর্তে আসছেন। মায়ের কাছে কটা দিন মেয়ে আসছে তার পুত্রকন্যা নিয়ে। এই আনন্দে সারা বাংলায় সাজো সাজো রব।
দুর্গাপুজো মূলত শাক্ত পুজো। শক্তির আরাধনাই এখানে মূল বিষয়। রক্তের মাধ্যমে অশুভ অসুর শক্তি বিনাশ করে শুভ শক্তি প্রতিষ্ঠা করাই একমাত্র উদ্দেশ্য। সুতরাং দুর্গাপুজো বা যে কোন শক্তির আরাধনায় পশুগুলি জড়িয়ে আছে রক্তপাতের মাধ্যমে শুভ শক্তির জয় আর অশুভ শক্তির পরাজয়। দুর্গাপূজোই পশু বলি নিয়ে নানা ঘটনার উল্লেখ আছে। মার্কেন্ডেয় পুরাণ-এর দেবী মাহাত্ম্য নিয়ে প্রখ্যাত নৃতাত্ত্বিক ও লোকশিল্পের গবেষক মোহিত রায় তাঁর 'রূপে রূপে দুর্গা' নামক বইটিতে লিখেছেন বোলপুরের আদি ইতিহাস। এক সময় রাজা সুরথ তাঁর রাজধানীর সুপুরে এক লক্ষ বলি দিয়ে দেবীকে পুজো দিয়েছিলেন। এক লক্ষ বলির পর তার রাজধানীর নাম বদলে হয় বলিপুর। কালক্রমের সেই বলিপুর হয়ে উঠল বোলপুর নামে।
খোদ কলকাতাতেই আছে ৪০০ বছরের পুরনো চিত্তেশ্বরী মন্দির। চিতপুরের চিতে ডাকাত এই মাকে পুজো করতেন। সুতরাং বলা যায় ডাকাত কালীর মতো ডাকাতের দুর্গাপুজোয় বলিদান নিত্য ঘটনা। ১৭৫৭ সালে পলাশী যুদ্ধের বিজয় উৎসব পালনের জন্য বসন্তকালের দুর্গাপুজো শরৎকালে নিয়ে এসে নবপত্রিকা পুজোর সঙ্গে জুড়ে দেওয়া হয়েছিল। এই কাজ করেছিলেন নদীয়ার কৃষ্ণচন্দ্র ও কলকাতার নবকৃষ্ণ দেব। এদের উৎসাহিত করেছিলেন লর্ড ক্লাইভ। প্রমাণ হচ্ছে সপারিষদ ক্লাইভের উপস্থিতি ও একশো এক টাকা দক্ষিনা ও ঝুড়ি ঝুড়ি ফলদান। তিনি নব কৃষ্ণের বাড়িতে পশুবলি সহ পুজো দিয়েছিলেন শোনা যায়।
বর্তমানে বিভিন্ন বারোয়ারি এবং অধিকাংশ রাজবাড়িতে পশুবলি না হয়ে সন্ধিপুজোয় আঁখ, চালকুমড়ো, শশা প্রভৃতি বলিদান প্রথায় অনুষঙ্গ হিসাবে বলি দেওয়া হয়ে থাকে। শাক্ত পুরুষ মাতৃভক্ত রামপ্রসাদ সেনের এই গানটি ভীষণভাবে প্রাসঙ্গিক- " মেষ, ছাগ, মহিষাদি কাজ কিরে তোর বলিদানে/ তুই জয় কালী জয় কালী বলে বলি দাও ষড়রিপুগনে।" অবলা পশুদের হত্যা করে পুজো- মা কখনই তা চায় না। আসুন, আসন্ন দুর্গাপূজায় শপথ করি প্রাণী হত্যা করে পুজো আমরা কখনোই দেব না। এই প্রথায় আমরা ঘোরবিরোধী। তথ্য সংকেত- সুমিত তালুকদার
পুকুর ভরাটের অভিযোগ খোদ ভাইস চেয়ারম্যানের (Vice Chairman) ওয়ার্ডে। ঘটনাটি ঘটেছে বোলপুর (Bolpur) পৌরসভা (Municiplity) এলাকায়। কিছুদিন আগে বোলপুর পৌরসভার চেয়ারম্যান পর্ণা ঘোষের ওয়ার্ডে একটি পুকুর বুজিয়ে ফেলার ঘটনা দেখা গিয়েছিল। ঠিক একইভাবেই বোলপুর পৌরসভার ভাইস চেয়ারম্যান ওমর শেখের ছয় নম্বর ওয়ার্ডেও পুকুর বুজিয়ে ফেলার ঘটনাটি সামনে আসে। যদিও এমন কোনও ঘটনা ঘটেছে বলে কিছুই জানেন না বলে জানিয়েছেন বোলপুর পৌরসভার চেয়ারম্যান পর্ণা ঘোষ।
স্থানীয়দের সূত্রে খবর, পুকুর বুজিয়ে আবাসন তৈরি করা হবে। অন্যদিকে ভূমি ও ভূমি সংস্কার দপ্তর এর আধিকারিকরা জানায়, অভিযোগের ভিত্তিতে যদি এরকম কোন ঘটনা ঘটে থাকে তাহলে তারা যথোপযুক্ত ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। তারা আশ্বস্ত করে এরকম ধরণের ঘটনা পরবর্তী কালে যাতে না ঘটে সেইদিকে নজর রাখবে তাঁরা।
রবীন্দ্রপ্রেমীদের জন্য সুখবর বন্দে ভারতের স্টপেজ তালিকায় নাম ঢুকলো বোলপুর (শান্তিনিকেতন)-এর (Bolpur/Santiniketan)। রেল মন্ত্রক হাওড়া-নিউ জলপাইগুড়ি বন্দে ভারত এক্সপ্রেসের (Vande Bharat Express) পরিবর্তিত যে সূচি প্রকাশ করেছে, তাতে হাওড়া,বোলপুর (শান্তিনিকেতন), মালদা টাউন, বারসই এবং নিউ জলপাইগুড়ির নাম আছে। বৃহস্পতিবার রাজ্য বিজেপির সভাপতি তথা বালুরঘাটের বিজেপি সাংসদ সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumder) রেলমন্ত্রীকে একটা চিঠি লেখেন।
সেই চিঠিতে কবিগুরুর কর্মস্থল শান্তিনিকেতনে বন্দে ভারত এক্সপ্রেসের স্টপেজের জন্য আবেদন করেন। সেই চিঠি রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণবের কাছে পৌঁছনোর পরেই মন্ত্রকের হাওড়া-এনজিপি বন্দে ভারত এক্সপ্রেসের পরিবর্তিত সূচি ঘোষণা তাৎপর্যপূর্ণ। শুক্রবার অর্থাৎ ৩০ ডিসেম্বর প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর হাত দিয়ে এই ট্রেনের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন। কবে থেকে সাধারণ যাত্রীদের জন্য সহজলভ্য এই সেমি হাই স্পিড ট্রেন, সেই বিষয়ে এখনও কিছু খোলসা করেনি রেল।
প্রাথমিক ভাবে জানা গিয়েছিল, হাওড়া থেকে ছেড়ে নিউ জলপাইগুড়ির পৌঁছনোর মাঝে কেবল মালদহ টাউন এবং বারসইয়ে দাঁড়াবে বন্দে ভারত। কিন্তু বালুরঘাটের বিজেপি সাংসদ সুকান্ত মজুমদার রেলমন্ত্রীকে চিঠি লিখে এই ট্রেনের জন্য শান্তিনিকেতন স্টেশনে স্টপেজের আবেদন করেন। কেন বাংলার সামাজিক প্রেক্ষাপটে এই স্টেশন গুরুত্বপূর্ণ সেই চিঠিতে উল্লেখ করেন রাজ্য বিজেপির সভাপতি।
তিনি লেখেন, বাংলার মানুষের দাবি বোলপুর/শান্তিনিকেতন স্টেশনে দাঁড়াক বন্দে ভারত এক্সপ্রেস। কলকাতা থেকে ২০০ কিমি দূরে অবস্থিত এই জায়গায় পৌঁছনোর জন্য কোনও বিমান যোগাযোগ ব্যবস্থা নেই। পাশাপাশি বছরভর দেশ-বিদেশের বহু পড়ুয়া এবং পর্যটক শান্তিনিকেতনে আসেন। তাই বন্দে ভারত সেখানে দাঁড়ালে উপকৃত হবেন বহু মানুষ।
এদিকে, রেল মন্ত্রকের নতুন বিজ্ঞপ্তি জানিয়েছে, বুধবার ছাড়া সপ্তাহে ছয় দিন চলবে বন্দে ভারত এক্সপ্রেস। হাওড়া থেকে ভোর ৫টা ৫৫ মিনিটে ছেড়ে নিউ জলপাইগুড়ি পৌঁছবে দুপুর ১টা ২৫ মিনিটে। মাঝে মাত্র তিন স্টেশনে দাঁড়াবে, আবার নিউ জলপাইগুড়ি থেকে বিকেল ৩টে ৫ মিনিটে ছেড়ে রাত ১০টা ৩৫-এ হাওড়ায় ঢুকবে।
চিকিৎসাধীন যুবকের মৃত্যু (dead) ঘিরে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে বোলপুরের (Bolpur) এক বেসরকারি হাসপাতালে। চলেছে জানলা-দরজা ভাঙচুরও। উত্তাল হয়ে পড়ে হাসপাতাল (hospital) চত্বর। জানা গিয়েছে, মৃত ২২ বছরের ইমদাদুল হক, বীরভূমের ইলামবাজার থানার পাইকনি গ্রামের বাসিন্দা। তাঁকে চিকিৎসার জন্য মঙ্গলবার রাত ৮টা নাগাদ ভর্তি করা হয় বোলপুরের একটি বেসরকারি হাসপাতালে। সেই হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ওই যুবকের মৃত্যু হয়। এরপরই ক্ষোভে ফেটে পড়েন রোগীর পরিবার। তাঁদের অভিযোগ, বিনা চিকিৎসায় এবং চিকিৎসক নয় এমন এক ব্যক্তিকে দিয়ে চিকিৎসা করানোর জন্যই ওই যুবকের মৃত্যু হয়েছে। ঘটনাকে কেন্দ্র করে বুধবার হাসপাতাল চত্বরে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। মৃত যুবকের পরিবারের সদস্য ও তাঁদের আত্মীয়রা হাসপাতালে এসে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন।
তাঁদের দাবি, বিনা চিকিৎসাতেই মেরে ফেলা হয়েছে এবং সঙ্কটজনক অবস্থা থাকলেও কোনও ব্যবস্থা গ্রহণ না করে সাধারণ বেডে ফেলে রাখা হয়। পরে যখন রোগী মারা যান তারপর আইসিইউ-তে নিয়ে যাওয়া হয়। ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে তাঁদের তরফ থেকে বিক্ষোভ দেখানোর পাশাপাশি মর্মান্তিক এই ঘটনার যাতে পুনরাবৃত্তি না ঘটে তার দাবি জানানো হয়।
এ যেন এক আজব কাণ্ড! প্রাথমিক চিকিৎসা কেন্দ্রে চিকিৎসা (treatment) বন্ধ করে চলছে জমজমিয়ে পিকনিকের আয়োজন। যা দেখেই চক্ষু চড়কগাছ বীরভূমের বোলপুর প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে (primary health center) আসা রোগী ও অন্যান্যদের। শুক্রবার ওই স্বাস্থ্য কেন্দ্রের চক্ষু বিভাগে কোনও ডাক্তারের দেখা মিলল না অথচ সেখানে খাওয়া-দাওয়ার জন্য রমরমিয়ে হচ্ছে রান্না। এমন ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে চিকিৎসকদের দায়িত্ববোধ নিয়ে উঠছে প্রশ্ন। একদিকে যখন এই প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রের চক্ষু বিভাগে চলছে রান্নাবান্নার কাজ, সেই সময় দূর-দূরান্ত থেকে আসা রোগীরা চিকিৎসা করাতে না পেরে ফিরে যাচ্ছেন। স্বাভাবিকভাবেই তাঁদের হয়রানি ছাড়া আর কিছুই হচ্ছে না। কেন হুঁশ নেই স্বাস্থ্যকেন্দ্র কর্তৃপক্ষের? মেলেনি উত্তর।
এই বিষয়ে যারা এই রান্নার কাজে ব্যস্ত ছিলেন তাঁদের প্রশ্ন করা হয়। তাঁরা জানান, চিকিৎসক না থাকাই রান্নার কাজ হচ্ছে। পাশাপাশি স্বাস্থ্যকেন্দ্রেরই স্টাফরা তাঁদের রান্না করার জন্য বলেছেন। ঘটনাকে নিয়ে ফের একবার স্বাস্থ্য পরিষেবার দিকে আঙুল উঠছে।
শেষ পৌষ মেলা (poush mela) হয়েছিল তখন সালটা ২০১৯। এরপর থেকেই পৌষ মেলা নিয়ে শান্তিনিকেতনে (Santiniketan) টালবাহানা দেখাতে শুরু করে বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ (Visva Bharati Authority)। প্রথমে করোনা (covid—19) মহামারির জন্য এবং পরে বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষের গা ছাড়া ভাব। এই দুয়ের ফাঁসে আর দেখা যায়নি শান্তিনিকেতনের ঐতিহ্যবাহী পৌষ মেলা। তবে এবার পৌষ মেলা বাঁচানোর জন্য বোলপুর ব্যবসায়ী সমিতি, হস্তশিল্প সমিতি এবং বাংলা সংস্কৃতি মঞ্চের যৌথ উদ্যোগে তৈরি হয় শান্তিনিকেতন পৌষ মেলা বাঁচাও কমিটি।
করোনাকালের পর এবছর যখন সমস্ত কিছু স্বাভাবিক, সে সময়ও পৌষ মেলা নিয়ে ফের অনিশ্চয়তা তৈরি হয়েছে। এর জেরে শান্তিনিকেতন পৌষ মেলা বাঁচাও কমিটির তরফ থেকে বুধবার বিশ্বভারতীর বলাকা গেটের সামনে বিক্ষোভ দেখানো হয়। কমিটির সদস্যদের দাবি, উপাচার্য এবং বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ ইচ্ছাকৃতভাবে শান্তিনিকেতন থেকে ঐতিহ্যবাহী পৌষ মেলা তুলে দিতে চাইছে। কিন্তু তাঁরা তা হতে দেবেন না। পৌষ মেলা বাঁচানোর দাবিতে যেমন এদিন বিক্ষোভ সামিল হন এই মঞ্চের সদস্যরা, ঠিক সেইরকমই তাঁরা ২০১৯ সালে যে ডিপোজিট মানি দিয়েছিলেন ব্যবসা করার জন্য সেই টাকা ফেরতের দাবিও তোলেন। কারণ, সেই টাকার বিপুল অংশ এখনও পর্যন্ত ব্যবসায়ীদের ফিরিয়ে দেওয়া হয়নি বলেই অভিযোগ। যদিও সেই টাকা পৌষ মেলার পরেই ফিরিয়ে দেওয়ার কথা ছিল বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষের। অন্যদিকে, তাঁদের তরফ থেকে জানানো হয় পৌষ মেলা করার জন্য যারাই এগিয়ে আসবেন তাঁদেরই সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেবেন তাঁরা।
পাশাপাশি, মেলার আয়োজনকে ঘিরে বোলপুর পুরসভার তরফ থেকে ইতিমধ্যেই তৎপরতা শুরু হয়েছে। বোলপুর পুরসভার তরফ থেকে তাদের মধ্যে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে, তারা মেলার আয়োজন করতে আগ্রহী। এরই পরিপ্রেক্ষিতে যাতে বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ পূর্বপল্লীর মাঠে মেলার আয়োজন করার ক্ষেত্রে কোনও বাধা হয়ে না দাঁড়ায় তার জন্য পুরসভার তরফ থেকে একটি চিঠি দেওয়া হয়েছে। চিঠি পাঠানো হয়েছে বিশ্বভারতীর উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তী এবং বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষকে। এখন সেই চিঠির উত্তরের অপেক্ষায় রয়েছে বোলপুর পুরসভা।
সুজিত সাহা : মহর্ষি দেবেন্দ্রনাথ ঠাকুর বীরভূম ভ্রমণকালে বোলপুরে একটা শান্ত স্নিগ্ধ সবুজে ঘেরা অঞ্চল (বর্তমানে শান্তিনিকেতন) তাঁর খুব মনে ধরে। ১৮৬৩ সালে এই জায়গাটা কেনবার জন্য আগ্রহ প্রকাশ করেন তিনি, রায়পুরের জমিদার ভূবন মোহন সিনহার কাছে। বিশ বিঘা জমি ষোলো আনার বিনিময়ে পাট্টা নেন তিনি। মহর্ষির মূল উদ্দেশ্য ছিল নির্জনে ঈশ্বর চিন্তা ও ধর্মালোচনার বিকাশ। ঠিক তার পঁচিশ বছর পর তিনি প্রতিষ্ঠা করেন শান্তিনিকেতন ট্রাষ্টের। তার মাধ্যমেই একটি অতিথি ভবন, প্রার্থনা কক্ষ, এবং ধর্মীয় সাহিত্যের জন্য একটি গ্রন্থাগার প্রতিষ্ঠা করেন। পরবর্তীকালে রবীন্দ্রনাথ শিলাইদহ থেকে ফিরে আসেন শান্তিনিকেতনে। সময়টা ছিল ১৯০১ সাল। পাঁচজন খুদে ছাত্রকে নিয়ে শুরু করেন ব্রক্ষ্ম বিদ্যালয়।
বাঁধাধরা গণ্ডির মাঝে আবদ্ধ থেকে পড়াশোনার ঘোর বিরোধী ছিলেন তিনি। প্রকৃতির মাঝে উন্মুক্ত শিক্ষাচিন্তা, শিশু মনকে সকল দিকে সমৃদ্ধ করার কথা ভেবেছিলেন। পরবর্তীকালে তাঁর চিন্তা চেতনায় ধীরে ধীরে গড়ে ওঠে বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়। স্বয়ং রবীন্দ্রনাথই বিশ্বভারতীর ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন ১৯১৮ সালে। এর তিনবছর পর অর্থাৎ ১৯২১ সালে ২৩ শে ডিসেম্বর আচার্য ব্রজেন্দ্রনাথ শীল রবীন্দ্রনাথের উপস্থিতিতে বিশ্বভারতীর আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন। পরবর্তীকালে শিক্ষা ও শিল্পকলা ক্ষেত্রে দেশের মূল পীঠস্থান হয়ে ওঠে এই বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়। উদ্বোধনের ত্রিশ বছর পড়ে ১৯৫১ সালে কেন্দ্রীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের মর্যাদা লাভ করে।
নানা চড়াই উৎরাই ও প্রতিকূলতার মাঝেও নিজের গরিমায় আজও মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়ে আছে। কত স্বনামধন্য ব্যক্তিদের পাদস্পর্শে ধন্য হয়েছে এই পবিত্রভূমি।
বিশ্বের শিল্পী ও শিল্পানুরাগীদের কাছে মহা তীর্থক্ষেত্র হিসাবে স্থান পেয়েছে এই শান্তিনিকেতনের বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়।
একের পর এক নিখোঁজের ঘটনা। হদিশ হওয়ায় কিছুদিন বাদে মৃতদেহ (Deadbody) উদ্ধার। এসব ঘটনায় কার্যত আতঙ্কিত ছিলেন নিখোঁজ (Missing) হওয়া দুই শিশুর পরিবার। অবশেষে খোঁজ মিলল তাঁদের। পুলিসি (Police) তৎপরতায় তারা এখন কোথায় রয়েছে তা জানা গিয়েছে। অবশেষে স্বস্তি শিশুদুটির পরিবারে।
গত শনিবার দুপুর ১ টার পর থেকে বোলপুর (Bolpur) থানার অন্তর্গত সুরশ্রী পল্লী (Surashree Palli) থেকে নিখোঁজ হয়ে যায় বিনোদ মাহাতো এবং প্রমোদ মাহাতো নামের ওই দুই শিশু। ঘটনার পর বোলপুর থানায় অভিযোগ জানান শিশুদুটির বাবা। এরপর থেকেই এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়ায়। পুলিসের তরফ থেকে তল্লাশি শুরু হয়। তবে রবিবার বিকেল পর্যন্ত কোন খোঁজ পাওয়া যায়নি ওই দুই শিশুর।
শেষমেশ রবিবার রাতে তাদের খোঁজ পায় পুলিস। পুলিস এবং তার বাবা যৌথভাবে পৌঁছে যায় বিহারের বৈশালী জেলার শীতল ভাকরোহ গ্রামে। সেখানে ওই দুই শিশুর মায়ের নিজের বাড়ি। দুই শিশুর খোঁজ মিলতে স্বস্তি ফেরে পরিবারের সদস্যদের মধ্যে। যদিও দুই শিশুকে বাবা মহেশ মাহাতো মায়ের কাছে রেখে আসতে বাধ্য হন বলে জানা গিয়েছে। এরপর সেখান থেকে বোলপুর থানার পুলিস এবং মহেশ মাহাতো বোলপুর ফিরে আসছেন।
বোলপুরের (Bolpur) দুই শিশু নিখোঁজের (missing) ঘটনায় এবার নয়া মোড়। রবিবার বেলা গড়াতেই শিশু দুটির বাবাকে পুলিস (police) নিয়ে যায়। তবে কোথায় গিয়েছে এখনও পর্যন্ত বাড়ির কেউ জানেনা এবং বাচ্চার বাবার ফোনটাও অফ, লোকেশন জানা যাচ্ছে না বলে পরিবার জানায়।
প্রসঙ্গত, শনিবার দুপুর ১ টার পর থেকে বোলপুর থানার অন্তর্গত সুরশ্রী পল্লী (Surashree Palli) থেকে দুই শিশু নিখোঁজ হয়ে যায়। ঘটনার পর বোলপুর থানায় অভিযোগ জানান নিখোঁজ ওই দুই শিশুর বাবা। তবে এরই মধ্যে শোনা যায় ওই শিশু দুটিকে নাকি তার মা বর্ধমানের কোনও এক জায়গায় নিয়ে চলে গিয়েছেন। সেই খবর পেয়ে বোলপুর থানার পুলিস এবং ওই দুই শিশুর বাবা তাদের খুঁজতে রওনা দেন বর্ধমানের দিকে। যদিও এখনও পর্যন্ত সঠিকভাবে জানা যায়নি ওই দুই শিশু তার মায়ের কাছেই রয়েছে কিনা।
তবে আরও জানা যায়, পারিবারিক অশান্তির জেরে দিন কয়েক আগেই ওই দুই শিশুর মা বাড়ি থেকে চলে যান। তবে বাড়ি থেকে চলে যাওয়ার সময় বাচ্চাদের নিয়ে যেতে অস্বীকার করেন। এরপরেই এমন ঘটনা। এই ঘটনায় বর্তমানে রহস্য দানা বাঁধতে শুরু করেছে।
ফের জোড়া শিশু নিখোঁজের ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়ালো বোলপুরে (Bolpur)। বীরভূমের (Birbhum) বিভিন্ন জায়গা থেকে একের পর এক শিশু নিখোঁজের (missing) ঘটনা ক্রমশই ঘটে চলেছে। প্রথম শিশু নিখোঁজের ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়ায় শান্তিনিকেতন (Santiniketan) থানার অন্তর্গত মোলডাঙ্গা গ্রামে। এরপর একইভাবে নানুরের ১৫ বছর বয়সী এক শিশুর নিখোঁজ হওয়ার ঘটনা সামনে আসে। এরপর সিউড়ি থেকেও এক শিশু নিখোঁজ হয়। যদিও তাকে বর্তমানে খুঁজে পাওয়া সম্ভব হয়েছে। তবে এই সকল ঘটনার রেশ কাটতে না কাটতেই শনিবার নতুন করে দুই শিশু নিখোঁজ হওয়ার ঘটনা বোলপুরে।
জানা যায়, বোলপুর থানার অন্তর্গত সুরশ্রীপল্লী থেকে বিনোদ মাহাতো, বয়স সাত বছর এবং প্রমোদ মাহাতো যার বয়স চার বছর এই দুই শিশু নিখোঁজ হয়। শনিবার তাদের দুপুর ১ টার পর থেকে আর খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না বলে অভিযোগ পরিবারের। এই দুই শিশু অন্তরঙ্গ প্রাথমিক স্কুলের ছাত্র। সম্পর্কে তারা দুজনে দাদাভাই। এইভাবে তাদের খোঁজ না পাওয়ায় এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে পুলিস অভিযোগ পেয়ে তদন্তে নেমেছে।
এদিকে, ওই দুই শিশুর পরিবারের অভিভাবকদের দাবি, কীভাবে এমন ঘটনা ঘটলো তাঁরা বুঝতে পারছেন না। এমনকি তাঁরা অপহরণের মতো ঘটনা ঘটতে পারে বলেও আশঙ্কা করছেন। যদিও তাঁদের সঙ্গে কারও কোনও শত্রুতা ছিল না বলেও তাঁরা দাবি করেছেন।
কাজের ব্যস্ত সময়ে বোলপুরের (Bolpur) এক প্রাইভেট ব্যাঙ্কে (Fire in Bank) অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় চাঞ্চল্য। হঠাৎই ওই ব্যাঙ্কে বুধবার সকালে দাউ দাউ করে আগুন জ্বলতে দেখা যায়। জানা গিয়েছে, বিকেল পর্যন্ত সেই আগুন নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ দমকল (Fire Brigade)। ঠিক কী কারণে এই আগুন? খতিয়ে দেখবে দমকল এবং পুলিস। তবে এই অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় রহস্য দেখছেন স্থানীয়রা। কারণ গরু পাচার (Cow Smuggling)-কাণ্ডে অনুব্রত গ্রেফতারের পর এই ব্যাঙ্ক সিবিআই (CBI) স্ক্যানারে রয়েছে।
সিবিআই তদন্তকারীরা একাধিকবার এই ব্যাঙ্কে এসে নথি তল্লাশি করে গিয়েছে। তাই তদন্তাধীন একটি সংস্থায় এভাবে আগুন লাগায়, প্রশ্ন উঠছে স্থানীয়দের মনে। এক স্থানীয়ের মন্তব্য, '২৫ বছর ধরে তিনি ওই এলাকায় রয়েছেন। কিন্তু এমন অগ্নিকাণ্ড দেখেননি। দমকল মাত্র দু'মিনিট দূরে তারপরেও এত দাউদাউ করে আগুন। অথচ কোনও প্রাণহানি হল না শুধু নথি পুড়লো।'
আরও এক স্থানীয়দের মন্তব্য, 'আগুন লাগার পর যেভাবে ব্যাঙ্ক কর্মী ও অন্যরা বাইরে বেড়িয়ে আসেন, তাতে কোনও তাড়াহুড়ো ছিল না। ভিতর আগুন লেগেছে তাঁদের দেখে মনে হয়নি। এতেই মনে সন্দেহ জাগছে।' ব্যাঙ্কের ব্রাঞ্চ ম্যানেজার বলেন, 'প্রথম ধোঁয়া দেখেই আমরা গ্রাহক ও কর্মীদের বের করে আনি। প্রথম লক্ষ্য ছিল প্রাণ বাঁচানো। তারপর দমকলকে ডাকি। এটুকু সময়ের মধ্যেই আগুনের গ্রাস বেড়েছে। এখনও পর্যন্ত জানি না ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ কতটা।'
কী কারণে আগুন লাগল তা অবশ্য এখনো জানা যায়নি। তবে আগুন লাগাকে কেন্দ্র করে নানান প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। কারণ গরু পাচার কাণ্ডে বীরভূম জেলা তৃণমূল সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল গ্রেপ্তার হওয়ার পর ব্যাংকিং বিভিন্ন তথ্য জানতে একাধিকবার এই ব্যাংকে যেতে দেখা যায় সিবিআই আধিকারিকদের। এর পাশাপাশি অ্যাক্সিস ব্যাংকের আধিকারিকদের থেকেও একাধিকবার নানান তথ্য চেয়ে পাঠান সিবিআই আধিকারিকরা। সিবিআই আধিকারিকরা যখন এই ব্যাংকের নথিপত্র নিয়ে তদারকি শুরু করেছেন সেই সময় এইভাবে আগুন লাগার ঘটনা নানান প্রশ্ন তুলতে শুরু করেছে।
প্রায় একমাস পর বীরভূমে অনুব্রত মণ্ডলের (Anubrata Mondal) বাড়িতে ফের সিবিআই (CBI)। বোলপুরের নিচুপট্টির বাড়িতে এদিনে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দারা জানা সুকন্যা মণ্ডলের বয়ান রেকর্ড করতে। এই দলে রয়েছেন মহিলা সিবিআই আধিকারিকও। এর আগে গত ১৭ অগাস্ট সুকন্যা মণ্ডলকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে নিচুপট্টির বাড়িতে এসেছিলেন সিবিআই আধিকারিকরা। সেদিন অসুস্থতার কথা বলে সিবিআই আধিকারিকদের ফিরিয়ে দিয়েছিলেন সুকন্যা। শুক্রবার ফের সুপর্ণাকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে অনুব্রত মণ্ডলের বোলপুরের (Bolpur) বাড়িতে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দারা। এমনটাই কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার সূত্রের খবর।
১১ অগাস্ট গরু পাচার-কাণ্ডে অনুব্রতর গ্রেফতারির পর তৃণমূল নেতা এবং তাঁর পরিবারের নামে একাধিক সম্পত্তির হদিশ পেয়েছে সিবিআই। সেই সম্পত্তির মধ্যে অনুব্রত কন্যা সুকন্যা মণ্ডলের নাম রয়েছে। সিবিআই সূত্রে খবর, এই সম্পত্তি কীভাবে সুকন্যা মণ্ডলের নামে হয়েছে? একজন স্কুলশিক্ষিকা এবং বেতনভুক হিসেবে কীভাবে এত সম্পত্তির মালিক হলেন তিনি। সেটা জানতেই অনুব্রতর বোলপুরের বাড়িতে সিবিআই। জানা গিয়েছে ব্যাঙ্কের আধিকারিকদের সামনে বসিয়ে সুকন্যা মণ্ডলকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে সিবিআই। এদিন প্রায় ঘণ্টাখানেক সুকন্যা মণ্ডলকে জিজ্ঞাসাবাদ করেন কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা।
শুক্রবার বোলপুর পোস্ট অফিস এবং অনুব্রত মণ্ডলের হিসেব রক্ষককেও জিজ্ঞাসাবাদ করেছে সিবিআই। এদিকে বৃহস্পতিবার গোরু পাচার-কাণ্ডে আসানসোল জেলে গিয়ে অনুব্রতকে ঘণ্টাখানেক জেরা করে সিবিআই। পাশাপাশি ওই জেলেই বন্দি ইসিএল কর্তাদের এদিন জেরা করে সিবিআই। এই নিয়ে মোট তিনবার জেলে গিয়ে তৃণমূল নেতাকে জেরা করল সিবিআই। এদিন ফের খারিজ হয়েছে অনুব্রত মণ্ডলের দেহরক্ষী সায়গল হোসেনের জামিন। তাঁকে আরও ১৪ দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে আসানসোলের বিশেষ সিবিআই আদালত। একইসঙ্গে গ্রেফতারির সময় সিবিআইয়ের বাজেয়াপ্ত করা অনুব্রতর দুটি মোবাইল ফরেন্সিক পরীক্ষায় পাঠিয়েছে আদালত। সিএফএসএল এই ফোনের ফরেন্সিক পরীক্ষা করবে। এমনটাই সূত্রের খবর।
যদিও অনুব্রতর আইনজীবী এদিন এজলাসে ফোন বিকৃত করার আশঙ্কা করেছেন। তিনি সওয়াল করেন, 'প্রায় একমাস ধরে সিবিআইয়ের হেফাজতে থাকা অনুব্রত মণ্ডলের দুটি ফোন বিকৃত হতে পারে। তাই আদালতের লকারে রাখা হোক ফোন দুটি। ফরেন্সিক দল আদালতে এসে ফোন বাজেয়াপ্ত করে পরীক্ষা করুক। পাশাপাশি খতিয়ে দেখা হোক আদৌ এই সময়ের মধ্যে ফোন ট্যাম্পার করা হয়েছে কিনা। অর্থাৎ নতুন কিছু জোড়া হয়েছে কিনা কিংবা মুছে দেওয়া হয়েছে কিনা।'